• ৩ আষাঢ় ১৪৩২, বৃহস্পতি ১৯ জুন ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

GT

রাজ্য

বগটুই গণহত্যার সঙ্গে ভাদু খুনের ঘটনারও তদন্তে সিবিআই, নির্দেশ হাইকোর্টের

বগটুই গণহত্যার পাশাপাশি তৃণমূল উপপ্রধান ভাদু শেখের খুনের তদন্ত করবে সিবিআই। কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ শুক্রবার এই নির্দেশ দিয়েছে। বিচারপতিরা মনে করছেন একটা ঘটনার সঙ্গে অন্যটার ইন্টারলিংক আছে। দুটি ঘটনা দুটি সংস্থা তদন্ত করলে সঠিক হত না। মামলাকারীরা দাবি করছিলেন, একটা ঘটনার সঙ্গে আরেকটা যুক্ত। সিবিআই তদন্তে প্রকৃত সত্য উদ্ঘাটিত হতে পারে।বগটুই মোড়ে তৃণমূল উপপ্রধান খুন হওয়ার পর বগটুই গ্রামে একের পর এক বাড়িতে আগুন ধরানো হয়। তার মধ্যে একটি বাড়িতে ৮ জনকে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়। অন্য একটি বাড়িতও একজন মারা যায়। এই গণহত্যার ঘটনায় তোলপাড় হয়ে যায় রাজ্য-রাজনীতি। কলকাতা হাইকোর্ট প্রথমে গণহত্যার ঘটনার সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয়। হাইকোর্টে প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্ট জমা দিয়েছে সিবিআই। ভাদু খুনের দুঘন্টার মধ্যে গণহত্যার ঘটনা ঘটেছে। দুটো ঘটনার মধ্যে সংযোগ রয়েছে বলে রিপোর্টে জানিয়েছে সিবিআই।এদিকে মুম্বাই থেকে গণহত্যার ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে চারজনকে গ্রেফতার করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। তাদের রামপুরহাটে নিয়ে এসে জেরা করা হবে। ইতিমধ্যে কয়েক দফায় বেশ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই।

এপ্রিল ০৮, ২০২২
রাজ্য

বগটুই কান্ডে মুম্বাই থেকে ৪ জনকে গ্রেফতার সিবিআইয়ের

বগটুই কাণ্ডে প্রথম গ্রেফতার করল সিবিআই। বাপ্পা শেখ, সাবু শেখ সহ চারজনকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন করে তাঁদের ধরা হয় মুম্বাই থেকে। জানা গিয়েছে, সিবিআই মুম্বাইয়ে তাদের আদালতে পেশ করে। তাদের রিমান্ডে রামপুরহাট নিয়ে আসবে সিবিআই। ঘটনার পরই তারা মুম্বাইয়ে পালিয়ে যান। বগটুইয়ে আগুন লাগিয়ে গণহত্যার ঘটনায় এদের নাম রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ভাদু শেখের খুনের পর বগটুইয়ে ৯ জনকে জীবন্ত পুড়িয়ে খুন করা হয়। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে ওই ঘটনার তদন্ত করছে সিবিআই।বিস্তারিত আসছে......

এপ্রিল ০৭, ২০২২
রাজ্য

ভাদু খুনে গ্রেপ্তার আরও তিন, মিহিলালকে ফের জেরা সিবিআই-এর

বগটুই-কাণ্ডে আরও তিন জনকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। রামপুরহাটের বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ভাদু শেখ খুনে বুধবার এ রাজ্যের বিভিন্ন এলাকা থেকে তিন জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ভাদু খুনের পর অভিযুক্তেরা এলাকা ছেড়ে চম্পট দিয়েছিল। ধৃতদের ১০ দিনের পুলিশি হেপাজত দিয়েছেন রামপুরহাট আদালতের বিচারক। ধৃত তিন জনের মধ্যে সঞ্জু এবং শেরার নাম রয়েছে এফআইআরে। রাজা নামে এক জনকে সন্দেহের বশে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।অন্য দিকে, নিহত ভাদুর বাড়িতে বুধবার সিবিআইয়ের একটি দল পৌঁছয়। ভাদুর প্রতিবেশীদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন তদন্তকারীরা। পাশাপাশি নলহাটি থানার এক পুলিশ আধিকারিককে জিজ্ঞাসাবাদ করবে।বুধবার সিবিআই আধিকারিকরা আবারও এক বার জিজ্ঞাসাবাদ করেন বগটুইয়ের বাসিন্দা মিহিলাল শেখকে। পাশাপাশি রামপুরহাট থানার এএসআই সত্যেন্দ্রনাথ সাহাকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়। বুধবার সাঁইথিয়ার বাতাসপুর থেকে বগটুইয়ের পার্শ্ববর্তী গ্রাম কুমারড্ডায় রওনা দিয়েছেন মিহিলাল। তাঁর কথায়, বগটুই গ্রামে আপাতত কোনও আতঙ্ক নেই। কিন্তু ভবিষ্যতে কী হবে জানি না। আপাতত বগটুইয়ের পাশের গ্রাম কুমারড্ডায় আত্মীয়ের বাড়িতে থাকব। মেয়ে মারা গিয়েছে। ছেলে ইব্রাহিমকে মানুষ করতে চাই। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। বাড়ি ঘরদোর ঠিক হলে তার পর বগটুইতে ফিরব।

মার্চ ৩০, ২০২২
রাজ্য

বগটুইয়ে সিবিআই-এর তদন্তকে প্রভাবিত করতে চাইছে বিজেপি: মমতা

বুধবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাহাড়ের সফরের তৃতীয় দিন। বৃহস্পতিবার কলকাতায় ফেরার কথা মমতার। তার আগে ফের একবার রামপুরহারকাণ্ডে বিজেপিকে আক্রমণ শানালেন মমতা।রামপুরহাটের বগটুই কাণ্ডে জেপি নাড্ডার কাছে তদন্ত রিপোর্ট জমা দিয়েছে বিজেপির কেন্দ্রীয় দল। দার্জিলিংয়ে দাঁড়িয়ে সেই ইস্যুতেই বিজেপির কড়া সমালোচনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কেন্দ্রীয় দলের রিপোর্ট তদন্তকে প্রভাবিত করবে বলেই আশঙ্কা তাঁর। এমনকী, এই ঘটনায় অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেপ্তার করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।দার্জিলিঙে মমতা বললেন, বিজেপির আচরণের নিন্দা করছি। ওরা রিপোর্টে আমার জেলা সভাপতির নাম রেখেছে। যখন সিবিআই তদন্ত করছে এবং তাদের সঙ্গে পূর্ণ সহযোগিতা করা হচ্ছে তখন বিজেপি তদন্তকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে। এদিন দার্জিলিঙয়ের মহাকাল মন্দিরে পুজো দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কালী মন্দিরের সামনে আরতি করতে দেখা গেল তাঁকে।

মার্চ ৩০, ২০২২
রাজ্য

বগটুই হত্যাকান্ডঃ সাসপেন্ডেন্ট আইসিকে টানা জিজ্ঞাসাবাদ সিবিআইয়ের

রামপুরহাটের বগটুই গ্রামের হত্যাকাণ্ডের তদন্ত করছে সিবিআই। ইতিমধ্যে ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রাথমিক পর্যায়ে খতিয়ে দেখেছে তাঁরা। প্রথম দফায় নিহতদের আত্মীয় মিহিলাল শেখকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। মঙ্গলবার ফের তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। এদিকে এদিন জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে রামপুরহাট থানার সাসপেন্ডেন্ট আইসি ত্রিদীপ প্রামানিককে।সিবিআই সূত্রে খবর, ত্রিদীপ প্রামানিককে প্রায় সাড়ে ৪ ঘন্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। বগটুইয়ের ঘটনা কখন ঘটেছিল? সেদিন রাত কটা নাগাদ আইসি খবর পেয়েছিলেন? তারপর কী ব্যবস্থা নিয়েছেন? কেন একসঙ্গে এভাবে পুড়ে গেল একাধিক দেহ? গন্ডগোলটা কোথায়? মূলত এসবই তার কাছে জানতে চেয়েছে সিবিআই। কীভাবে খুন হওয়ার পর আগুনে জীবন্তদের ভষ্মীভূত করা সম্ভব হল তা নিয়ে বিস্মিত কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। এর পিছনে আদৌ কী রহস্য রয়েছে তা উদ্ঘাটন করতে চাইছে সিবিআই।জানা গিয়েছে, ঘটনার রাতে রামপুরহাট থানা চত্বরে কী ঘটেছিল তা জানার জন্য সিসি ফুটেজ সংগ্রহ করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। সেই সময় থানায় কোন কোন আধিকারিকরা ছিলেন, ঘটনা নিয়ে পুলিশের কোনও ততপরতা ছিল কীনা থানায়, তা-ও খতিয়ে দেখতে চাইছে তদন্তকারীরা। একইসঙ্গে সিবিআই জানতে চাইছে ওই দিন থানায় কারা এসেছিলেন। তাঁদের মধ্যে সন্দেহভাজন কেউ আছে কীনা তা-ও দেখে নিতে চাইছে তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। এদিকে এদিন ফের মিহিলাল শেখকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই।

মার্চ ২৯, ২০২২
রাজ্য

দ্বিতীয় 'বগটুই' হতে যাওয়ার আগে রুখে দিল কাটোয়া থানার পুলিশ- অস্ত্রসস্ত্র সহ গ্রেপ্তার ৩ দুস্কৃতি

বিরোধী পক্ষের হাত থেকে খাসজমির দখল ছিনিয়ে নেওয়ার জন্য বিপুল অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে অপেক্ষা করছিল দুস্কৃতি দল। তাঁদের পরিকল্পনা ছিল শনিবার গভীর রাতে পূর্ব বর্ধমানের শ্রীবাটি গ্রামে গিয়ে বিরোধী পক্ষের উপর হামলা চালানো। আর তেমনটা হলে হয়তো দ্বিতীয় বগটুই এর মত ঘটনা ঘটে যেতে পারতো। কিন্তু তা আর হতে দেয়নি কাটোয়া থানার পুলিশ। রাতেই অভিযান চালিয়ে কাটোয়া থানার পুলিশ অস্ত্রসস্ত্র সহ তিন দুস্কৃতিকে ধরে ফেলে। দুই দুস্কৃতি পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও দুস্কৃতি দলের সমস্ত পরিকল্পনা ভেস্তে দিতে পেরে আপাত স্বস্তিতে কাটোয়া থানার পুলিশ।পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম জামীর আলি মণ্ডল, বজরুল শেখ ওরফে কালো শেখ এবং সইদুল শেখ ওরফে ফুটো। ধৃতদের সকলের বাড়ি শ্রীবাটি গ্রামেই। পুলিশের দাবী ধৃতদের মজুত করা ৪ টি রাইফেল, ২৪ রাউন্ড রাইফেলের গুলি, একটি পিস্তল ও ২ রাউন্ড পিস্তলের গুলি এবং ১৬ টি সকেট বোমা উদ্ধার হয়েছে। দুস্কৃতিদের এত বিপুল অস্ত্র ভান্ডার দেখে চোখ কার্যত কপালে উঠে যায় পুলিশ কর্তাদের। সুনির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ তিন ধৃতকেই রবিবার পেশ করে কাটোয়া মহকুমা আদালতে। আরও আগ্নেআস্ত্র উদ্ধার ও পলাতক দুস্কূতিদের নাগাল পেতে তদন্তকারী অফিসার এদিন ধৃতদের ১২ দিন নিজেদের হেপাজতে নেওয়ার জন্য আদালতে আবেদন জানান। বিচারক সেই আবেদন মঞ্জুর করেছেন। হেপাজতে নেওয়া দুস্কৃতিদের জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে অস্ত্রসস্ত্রের উৎসের সন্ধান চালাচ্ছে।এছাড়াও দুস্কৃতিরা আর কোথাও অস্ত্র মজুত করে রেখেছে কিনা সেই বিষয়েও পুলিশ খোঁজ খবর নিচ্ছে ।উদ্ধার হওয়া শকেট বোমা নিস্কৃয় করার জন্য কাটোয়া থানার পুলিশ বোম ডিসপোজাল স্কোয়াডে খবর দিয়েছে।কাটোয়া থানার এক পুলিশ অফিসার জানান গ্রেপ্তারের পর ধৃতদের জিজ্ঞাবাদ চালানো হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, শ্রীবাটি গ্রামের একটি খাস জমি নিয়ে বজরুল শেখ এর সঙ্গে ওই গ্রামেরই অন্য আর একটি গোষ্ঠীর মধ্যে বেশ কিছুদিন ধরে বিবাদ চলছে। বিবাদের কোন নিস্পত্তি হয় নি। তার কারণে বজরুল শেখ তাঁর বিরোধী পক্ষের উপরে প্রাণঘাতী হামলা চালানোর পরিকল্পনা চুড়ান্থ করে ফেলে। পরিকল্পনা মাফিক হামলার আগে বোমা, বন্দুক সহ অন্য আরো অস্ত্রসস্ত্র আগে থেকেই জোগাড় করে রাখা হয়েছিল। শনিবার রাতে বিরোধী পক্ষের উপর হামলার চালানোর চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত বজরুল নিয়ে ফেলেছিল। শনিবার গভীর রাতে তাঁরা গ্রামের এক জায়গায় অস্ত্রসস্ত্র হামলা চালানোর জন্য অপেক্ষা করছিল বজরুল শেখ ও তাঁর দলবল। কাটোয়া থানার পুলিশ গোপন সূত্রে সেই খবর পেয়ে গিয়ে অভিযান চালানোয় সব পরিকল্পনা ভেস্তে যায় বলে ধৃত দুস্কৃতিরা জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ কে জানিয়েছে।

মার্চ ২৭, ২০২২
রাজ্য

আগুন লাগানো হয়েছিল কীভাবে, বগটুই-তে গিয়ে খতিয়ে দেখছেন সিবিআইয়ের ডিআইজি

কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে বগটুই-কাণ্ডের তদন্ত গিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই-এর হাতে। তদন্তভার পাওয়ার পরদিনই অকুস্থলে ডিআইজি অখিলেশ সিংয়ের নেতৃত্বে সিবিআইয়ের বিশাল দল। শনিবার সকালে রামপুরহাট থানায় সিটের হাত থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কেস ডায়েরি-সহ মামলার সব নথি নিজেদের হাতে তুলে নেওয়ার পরই বগটুইয়ের উদ্দেশে রওনা দেন অখিলেশ। অন্য সিবিআই আধিকারিকের পাশাপাশি গ্রামে তাঁর জন্য অপেক্ষা করছিলেন ফরেন্সিক, কেমিক্যাল ও ব্যালিস্টিক বিশেষজ্ঞরা। পৌঁছতেই শুরু হয় তদন্তের কাজ। যা চলে প্রায় সারাদিন।ঘড়িতে সকাল এগারোটা বেজে পাঁচ মিনিট। রামপুরহাট থানা থেকে সিবিআইয়ের ডিআইজি অখিলেশ সিংয়ের গাড়ি রওনা দেয় বগটুইয়ের উদ্দেশে। তার আগেই সম্পূর্ণ হয়েছে রামপুরহাট থানায় মামলার আনুষ্ঠানিক হস্তান্তর। থানা থেকে সিবিআইয়ের একটি দল সোজা চলে যায় রামপুরহাট আদালতে। সেখানে মামলা হস্তান্তরের নথি জমা দেওয়া হয়। অখিলেশের গাড়ি চলে যায় বগটুই। গ্রামে পৌঁছেই শুরু হয় অকুস্থল ঘুরে দেখার কাজ। ডিআইজি নিজে ঘুরে দেখেন গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িগুলি। কথা বলেন, সেখানে উপস্থিত কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দার সঙ্গে।সিবিআই আধিকারিকদের পাশাপাশি আধুনিক যন্ত্রপাতি নিয়ে কাজে নেমে পড়েন সেন্ট্রাল ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবরেটরির দল, কেমিক্যাল ও ব্যালিস্টিক বিশেষজ্ঞরা। ব্যবহার করা হয় থ্রিডি স্ক্যান। সোনা শেখ ও বানিরুল শেখের বাড়ির মধ্যে ফিতে দিয়ে দূরত্ব মাপার পাশাপাশি ব্যবহার করা হয় থ্রিডি স্ক্যান। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, বগটুই তদন্তে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল কী ভাবে অগ্নিসংযোগ করা হল। তা জানতে অত্যন্ত নির্ভরযোগ্য থ্রিডি স্ক্যান। পাশাপাশি সোনা শেখের বাড়ির ছাদে উঠেও এলাকা জরিপ করেন তদন্তকারীরা। বোঝার চেষ্টা করেন, কোন দিক থেকে আক্রমণ এসেছিল। গ্রিল কেটে বাড়িতে ঢুকে আগুন লাগানো হয়, না কি বাইরে থেকে বোমা বা ওই জাতীয় কিছু ভিতরে ছুড়ে ফেলে আগুন লাগানো হয়, এটাই এখন বড় প্রশ্ন।

মার্চ ২৬, ২০২২
রাজনীতি

বগটুই কাণ্ডঃ 'অনুব্রত মন্ডলের কল রেকর্ড আগে ধরা উচিত,' দাবি শুভেন্দুর

সিবিআই তদন্তের নির্দেশের পরও রামপুরহাট কাণ্ডে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে বিজেপি। শনিবার রামপুরহাটে এসডিও অফিসের সামনে অবস্থান-বিক্ষোভ করে বিজেপি। চলবে রবিবারও। এদিন অবস্থানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে অনুব্রত মন্ডল ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তুলোধোনা করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বীরভূমের অশান্তির জন্য দুজনকে দায়ী করেছেন তিনি।শুভেন্দু বলেন, প্রশাসনিক সভাতে একজন অশিক্ষিত তোলাবাজ, একজন গুন্ডা সর্দার জেলা সভাপতি হাজির থাকেন। প্রশাসনিক সভাতে তাঁকে বসিয়ে আইসি, ওসি, বিডিও, এসডিও, ডিএম, এসপিকে তিনি নির্দেশ দেন। তাঁর নির্দেশ, এই লোকটার কথা আপনাদের শুনে চলতে হবে। এভাবে গোটা জেলাতে প্রশাসনিক নিরপেক্ষতাকে ধংস করে দেওয়া হচ্ছে। গণতান্ত্রিক পরিবেশকে নষ্ট করে দিচ্ছে। তার ফল এই বগটুইয়ের মর্মান্তিক ঘটনা। শুভেন্দু বলেন, সিবিআই তদন্ত শুরু হয়েছে। এখন আমাদের দুটি দাবি আছে। পুলিশমন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে হবে। গোটা বীরভূম জুড়ে বছরের পর বছর ধরে যে খুন-সন্ত্রাস-লুটের রাজনীতি করছে তাঁদেরকে কঠিনতম শাস্তি দিতে হবে। মূলত এই দুই দাবিতে আমাদের অবস্থান। গত সোমবার বাড়শালের উপপ্রধান ভাদু শেখকে খুন করে দুষ্কৃতীরা। তারপর বগটুই গ্রামে ৮ জনকে জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যা করা হয়। শুভেন্দুর দাবি, উপপ্রধানকে খুন করেছে তৃণমূল কংগ্রেসের লোকেরা। বখড়ার গন্ডগোল নিয়ে বিবাদ। পরবর্তী সময়ে দেড় ঘণ্টার মধ্যে পুরো বাইকবাহিনী ব্যবহার করে। ২০১৮ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিরোধী শূন্য করা হয়েছিল এই বাহিনী দিয়ে। এদের দিয়ে এবার পুরভোট লুঠ হয়েছে। পাথর ও বালু নিয়ে গোটা জেলা জুড়ে লুটের ব্যবসা চলছে। ভাদু শেখ ও আনারুলের মতো অজস্র বাড়ি আজ সর্বত্র তৈরি হয়েছে। তারা আগে ফাটা জামা পড়ত, সাইকেলে চড়ত, বিড়ি নিভিয়ে নিভিয়ে খেত, রাস্তার পাশে বসে তাস খেলত। মুখ্যমন্ত্রী হেলিকপ্টারে করে এসেছেন। তাঁর নাম এখন আকাশরাণী। বাম জমানায় সূচপুরে ১১ জন তৃণমূল কর্মী-সমর্থককে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠেছিল সিপিএমের বিরুদ্ধে। শুভেন্দু বলেন, সুচপুরের ঘটনায় সিপিএম শেষ হয়ে গিয়েছে, রামপুরহাটের ঘটনায় বীরভূম শুধু নয় বাংলা থেকে শেষ হয়ে যাবে তৃণমূল। শুধু খুনীদের ধরলে হবে না, শুধু বাইকবাহিনীকে ধরলে হবে না, যাঁরা ফোন করেছেন তাঁদের কল রেকর্ড ধরতে হবে। অনুব্রত মন্ডলের কল রেকর্ড আগে ধরা উচিত। তারপর পশ্চিমবঙ্গের পুলিশমন্ত্রীর কতবার কথা হয়েছে সেটা প্রকাশ্যে আসা উচিত। তিনি কী নির্দেশ দিয়েছিলেন সেটাও আসা উচিত। আমরা দাবি করব, নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের ধরতে হবে।

মার্চ ২৬, ২০২২
রাজ্য

রামপুরকাণ্ডে হাইকোর্টের নির্দেশের পরই সিটের থেকে এফআইআর কপি চাইল সিবিআই

রামপুরহাট হত্যাকাণ্ডে ইতিমধ্যেই সিবিআইয়ের হাতে তদন্তভার তুলে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। সূত্রের খবর, হাইকোর্টের সেই নির্দেশের পর রাজ্য পুলিশের সিটের সঙ্গে কথা বললেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের অফিসাররা। সিটের থেকে এফআইআরের কপি চাইলেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। মামলা রুজু করে তারপর কেস ডায়েরি হাতে নেবে সিবিআই। এদিকে সূত্র মারফত আরও জানা গিয়েছে, সিটের তরফেও তদন্তে সবরকম সাহায্য করা হবে বলে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে ফোনে জানানো হয়েছে।জানা গিয়েছে, কলকাতা হাইকোর্টের অর্ডার কপি হাতে পাওয়ার পরই সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা যোগাযোগ করেন সিটের সদস্যদের সঙ্গে। এরপর ই-মেল মারফত এফআইআরের কপি চাওয়া হয়েছে বলে খবর। রামপুরহাটে মূলত দুটি ঘটনার তদন্ত চলছে। তৃণমূল কংগ্রেসের স্থানীয় নেতা তথা পঞ্চায়েত উপপ্রধান ভাদু শেখের খুন এবং তারপর সোনা শেখের বাড়ি-সহ এলাকার বেশ কিছু বাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা। এক্ষেত্রে বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনাতে রাজ্য পুলিশের তরফে যে এফআইআর করা হয়েছে, সেই এফআইআরের কপি চেয়ে পাঠিয়েছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা।জানা গিয়েছে, এই এফআইআর কপি হাতে পাওয়ার পর সিবিআই নিজেদের তদন্তকারী দল গঠন করবে। তারপর যত দ্রুত সম্ভব সেই তদন্তকারী দল রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে পাঠাবে সিবিআই। এখনও পর্যন্ত সূত্র মারফত যা খবর, তাতে শনিবার সিবিআইয়ের তদন্তকারী দল যেতে পারে বগটুই গ্রামে। সেন্ট্রাল ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবের বিশেষজ্ঞ দল ইতিমধ্যেই বগটুই গ্রাম থেকে ঘুরে গিয়েছে।

মার্চ ২৫, ২০২২
রাজ্য

বগটুই নিয়ে হাইকোর্টের রায়, তৃণমূল কী বলছে?

বগটুই কাণ্ডে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। এই রায়ের কোনও বিরোধিতা করবে না তৃণমূল কংগ্রেস, জানিয়েছেন দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তবে তদন্ত নিয়ে রাজনীতি হলে গণ আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন কুণাল।তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষে কুণাল ঘোষ বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে সমস্ত অ্যাকশন হয়েছে। আমরা সিবিআই তদন্তের নির্দেশের বিরোধিতা করব না। আমরা সহযোগিতা করব। আমরা বলব সঠিক বিচার হোক। বিজেপির আর এক ভাই সিবিআই। সিবিআই বিজেপির পক্ষে। রাজ্য সরকার তো ব্যবস্থা নিয়েছে। রবীন্দ্রনাথের নোবেল চুরি, নন্দীগ্রামের ঘটনায় সিবিআই বিচার দিতে পারেনি। এ টু জেড সবই বিজেপির কেনা। দুদিন আগেই রাজ্যপাল বলেছেন, এবার কী হয় দেখতে পাবেন।এখনও সারদা, নারদা কাণ্ডের তদন্ত শেষ করতে পারেনি সিবিআই। তৃণমূল মুখপাত্রের হুঁশিয়ারি, যদি দেখা যায় ন্যায় বিচার হয়নি, নির্দিষ্ট ঘটনার পরিধি পার করে অন্য রাজনীতি করে তাহলে গণ আন্দোলন হবে। বৃহত্তর ষড়য়ন্ত্রের আড়াল করছে তার প্রতিবাদ হবে।

মার্চ ২৫, ২০২২
রাজ্য

বড় খবরঃ বগটুই কাণ্ডে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

বগটুইকাণ্ডে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। প্রধান বিচারপতির তত্বাবধানে সিবিআই তদন্ত হবে। রাজ্য় সরকারের হাতে এই মামলা থাকছে না। উল্লেখ্য বগটুই মোড়ে স্থানীয় তৃণমূল উপপ্রধান ভাদু শেখ খুন হন। তারপরই বগটুই গ্রামের ৮ জনকে জীবন্ত পুড়িয়ে খুন করা হয়েছে। ইতিমধ্যে এই ঘটনায় সিট গঠন করা হয়েছে। তবে এদিন আদালত স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, শীঘ্রই ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত শুরু করতে হবে সিবিআইকে। সিট আর কোনও তদন্ত করতে পারবে না। প্রধান বিচারপতি নিজেই স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এই মামলা করেছেন। আগামী ৭ এপ্রিলের মধ্যে প্রাথমিক রিপোর্ট দিতে বলেছে সিবিআইকে।রাজ্য আর তদন্ত করতে পারবে না। প্রধান বিচারপতি নির্দেশনামায় বলা হয়েছে, ২২ মার্চ সিট গঠন করা হয়েছিল। তবে কোনও উল্লেখনীয় পদক্ষেপ করা হয়নি। রামপুরহাট থানার কাছাকাছি গণহত্যার ঘটনা ঘটেছে। থানা থেকে কোনও পুলিশ আধিকারিক এসে গ্রামবাসীদের বাঁচানোর চেষ্টা করেনি। পুলিশ কর্মীদের তদন্তে একাধিক গাফিলতির কথা উল্লেখ রয়েছে। ঘটনাস্থলে টাওয়ার ডাম্পিং টেকনোলজি ব্যববার করা হয়েছে কীনা, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।এদিকে এদিন বিধানসভায় লাগাতার বিক্ষোভ দেখাচ্ছে বিজেপি। রাজ্য সরকারকে বিবৃতি দেওয়ার দাবি জানিয়ে আসছে বিজেপি। এদিন নির্দিষ্ট ভাবে বিজেপির দাবি, মুখ্যমন্ত্রীকে বিবৃতি দিতে হবে। বিধানসভায় না জানিয়ে বাইরে কেন বলছেন মুখ্যমন্ত্রী। বিধানসভাকে অন্ধকারে রেখে যা খুশি করছে রাজ্য সরকার। টানা এদিন ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখিয়েছে বিজেপি বিধায়করা।

মার্চ ২৫, ২০২২
রাজ্য

মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরই গ্রেপ্তার আনারুল

মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরই বগটুই-কাণ্ডে ধরা পড়লেন তৃণমূল নেতা আনারুল হোসেন। আনারুলের বিরুদ্ধেই প্রথম থেকে অভিযোগ উঠেছিল। বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সামনেও তাঁরা একই অভিযোগ করেন। আর তারপরই আনারুলকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই নির্দেশের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই গ্রেপ্তার করা হল তৃণমূলের ব্লক সভাপতি আনারুল হোসেনকে। মমতা নির্দেশ দেওয়ার পরই বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়েছিলেন তৃণমূল নেতা। পরে তাঁকে তারাপীঠ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুলিশকে বলেছিলেন, যেখান থেকে সম্ভব তুলে এনে গ্রেপ্তার করতে হবে আনারুলকে। সেই মতো পুলিশ তল্লাশি শুরু করে। সঙ্গে সঙ্গে তাঁর বাড়িতে গেলেও পাওয়া যায়নি আনারুলকে। গেটে তালা লাগানো ছিল। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পর আনারুল হোসেন কোথায় গা ঢাকা দিয়েছেন সেই খোঁজ শুরু হয়। পরে তারাপীঠ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাঁকে।তৃণমূলের রামপুরহাট ১ নম্বর ব্লক সভাপতি আনারুল হোসেন। নৃশংস এই হত্যাকান্ডে বৃহস্পতিবার থেকে বারবার তাঁর নাম উঠে এসেছে। স্থানীয়রা বলেছেন, আগুন লাগান হয়েছে তাঁর নির্দেশেই। তবে এই অভিযোগ শোনার পরও বিন্দুমাত্র বিচলিত হননি তিনি। সাফ জানান, ওই সময় এলাকাতেই ছিলেন না তিনি। শুধু তাই নয়, শান্তির বার্তা দিয়েছিলেন বলেও দাবি করেছেন আনারুল।

মার্চ ২৪, ২০২২
রাজ্য

ব্লক তৃণমূল সভাপতি গ্রেফতারে ক্ষুব্ধ অনুগামীরা, সাসপেন্ড আইসি

রামপুরহাটে বগটুই গ্রামে মুখ্য়মন্ত্রীর ঘোষণার পরই পুলিশ গ্রেফতার করেছে রামপুরহাট ১ নম্বর ব্লক তৃণমূল সভাপতি আনারুল হোসেনকে। একইসঙ্গে রামপুরহাট থানার আইসিকে সাসপেন্ড করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। বগটুই-কাণ্ডে তারাপীঠের একটি লজ থেকে থেকে আনারুলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। জানা গিয়েছে, জেলাপুলিশ সুপার তারাপীঠ থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করছেন আনারুলকে। তবে আনারুলের গ্রেফতারের খবরে ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন তাঁর অনুগামীরা।বৃহস্পতিবার বগটুই গ্রামে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে পুলিশ-প্রশাসনের কর্তারা হাজির করেন নিহতদের পরিবারের সদস্যদের। এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রামপুরহাট ১ নম্বর ব্লক তৃণমূলের সভাপতি আনারুল হকের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। তার আগে নিহতদের পরিবার মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অভিযোগ করে আনারুলকে জানানো সত্বেও সে কোনও পদক্ষেপ করেনি। মুখ্যমন্ত্রী মনে করেন, অশান্তির আঁচ পেয়েও আনারুল পুলিশকে খবর দেননি। পুলিশকে প্রথমেই খবরটা জানালে এত বড় ঘটনা হয়তো আটকানো যেত বলে মনে করছেন মুখ্যমন্ত্রী। বগটুই গ্রাম থেকেই আনারুলকে গ্রেফতার করার নির্দেশ দেন ডিজিকে। মমতা বলেন, আনারুল আত্মসমর্পণ করুক, নতুবা গ্রেফতার করবে পুলিশ। তবে আনারুলের অনুগামীদের বক্তব্য, তিনি ভাল মানুষ। সাধারণ মানুষের পাশে থাকেন আনারুল। তাঁকে ফাঁসিয়ে দেওয়া হয়েছে।মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরই আনারুলের বাড়িতে ছোটে পুলিশ। বাড়িতে ছিলেন না ব্লক তৃণমূল সভাপতি। সূত্রের খবর, আনারুল হোসেনকে তারপীঠের লজ থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতারের খবরে আনারুলের অনুগামীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। তাঁকে ফাঁসানোর অভিযোগ তুলেছেন তাঁর অনুগামীরা।

মার্চ ২৪, ২০২২
রাজ্য

বগটুইয়ের সর্বহারাদের পাশে মুখ্যমন্ত্রী, দিলেন ক্ষতিপূরণ, চাকরি, চিকিৎসা ও বাড়ি তৈরির আশ্বাস

সকাল থেকেই মুখ্যমন্ত্রীর অপেক্ষায় ছিল বগটুই গ্রামের সব হারানো পরিবারগুলো। বৃহস্পতিবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বগটুই গ্রামে এসে সব প্রশ্নের উত্তর দিয়ে গেলেন। শুধু বগটুইয়ের বাসিন্দাদের কাছেই নয়, বিরোধী রাজনৈতিক শিবিরের তোলা সব দাবিরও কার্যত জবাব দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা।ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়েই তিনি কর্তব্যে অবহেলা করা পুলিশকর্মীদের কড়া নিন্দা করেন। একই সঙ্গে জেলা পুলিশকে নির্দেশ দেন, বগটুই গ্রামের বাড়িগুলিতে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত তৃণমূলের ব্লক সভাপতি আনিরুলকে গ্রেপ্তার করতে হবে। তিনি বলেন, আমি চাই আনিরুল থানায় গিয়ে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করুক। নইলে যেখান থেকে হোক তাকে গ্রেপ্তার করতে হবে। সেখানেই না থেমে মমতা পুলিশকে নির্দেশ দেন, মামলা এমন ভাবে সাজাতে হবে, যাতে কোনওভাবেই অভিযুক্তরা ছাড়া না পায়।মমতার সঙ্গেই ঘটনাস্থলে হাজির ছিলেন বীরভূমের জেলাশাসক বিধান রায়। সবার সামনে তাঁকে ডেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, যাঁদের বাড়ি পুড়ে গিয়েছে তাঁদের প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে দিয়ে দিতে হবে ঘর বানানোর জন্য। জেলাশাসক জানান, তিনি তৈরি হয়েই এসেছেন। বৃহস্পতিবারই টাকা দিয়ে দেবেন। পরে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এই ব্যাপারে কোনও কার্পণ্য করা চলবে না। প্রয়োজনে দুলাখ টাকা পর্যন্ত দিতে হবে। শুধু পোড়া বাড়ি সারানো নয়, ক্ষতিগ্রস্তদের হাতে পাঁচ লাখ টাকা করে দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছেন মমতা। জখম তিনটি শিশুর জন্য ৫০ হাজার টাকা করে এবং গুরুতর জখমদের এককালীন এক লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী।মমতা বগটুইতে দাঁড়িয়েই বলেন, জখমদের সকলের চিকিৎসার দায়িত্ব নেবে রাজ্য সরকার। জখমদের ১ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। আগুনে পুড়ে তুলনায় কম জখম তিন শিশুকে ৫০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। এর পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমি জানি কোনও মৃত্যুর বিকল্প আর্থিক ক্ষতিপূরণ বা চাকরি হতে পারে না। তবু প্রতিটি পরিবারের একজনের জন্য চাকরির ব্যবস্থা করবে রাজ্য সরকার। মমতা আরও বলেছেন, মুখ্যমন্ত্রীর কোটায় হবে চাকরি। ইন্টারভিউ ছাড়াই প্রথমে মাসিক ১০ হাজার টাকা বেতন মিলবে। এক বছরের মধ্যে গ্রুপ ডি পদে স্থায়ী চাকরি হবে।

মার্চ ২৪, ২০২২
রাজ্য

রাজ্যের পুলিশ মন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে বৃহস্পতিবার বিধানসভায় স্বোচ্চার হবে বিজেপি বিধায়করা

রামপুরহাটের নারকীয় হত্যাকাণ্ড নিয়ে বিজেপির জনপ্রতিনিধিরা বৃহস্পতিবার লোকসভা ও রাজ্য বিধানসভায় প্রতিবাদে স্বোচ্চার হবে। ওই দিন রাজ্য বিধানসভায় রাজ্যের পুলিশ মন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে বিজেপি বিধায়করা স্বোচ্চার হবেন তাঁরা। বুধবার রামপুরহাট থেকে ফেরার পথে বর্ধমানের এদিন রাতে জেলা বিজেপি পার্টি অফিসে এসে এই কথা জানালেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং।শুভেন্দু অধিকারী এদিন আরও বলেন, রাজ্যে খুনের রাজনীতি চলছে। পাড়ুইয়ে আবার একজন খুন হয়েছেন। রামপুরহাটের ঘটনার প্রতিবাদে লোকসভা ও বিধানসভার ভিতরে প্রতিবাদের পাশাপাশি বাইরেও প্রতিবাদ জারি রাখবে বিজেপি। রাজ্যের প্রতিটা মণ্ডলে বিজেপি কর্মীরা ঘটনার প্রতিবাদ জানাবে। সরাষ্ট্রমন্ত্রক ৭২ঘন্টার মধ্যে রামপুরহাটের গণহত্যা কাণ্ডের রিপোর্ট চেয়েছে। ঘটনার পর থেকে বুধবার ২৪ঘন্টা পার হয়ে গেছে। রিপোর্ট পাওয়ার পর সরাষ্ট্রমন্ত্রক পদ্ধতি মেনে পরবর্তী সিদ্বান্ত নেবে। শুভেন্দু বাবু বলেন, তাঁরা চান এনআইএ ও সিবিআই রামপুরহাটের গণহত্যা কাণ্ডের তদন্ত করুক। প্রধানমন্ত্রী নিজে ঘটনার বিষয়ে অবহিত আছেন। এ ঘটনা নিয়ে ভারতীয় জনতা পার্টি লড়াই চালিয়ে যাবে। ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং ও একই কথা বলেন।

মার্চ ২৩, ২০২২
কলকাতা

'দোষীরা ছাড় পাবে না', কালই বগটুইয়ে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী

রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে বৃহস্পতিবারই যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার হওয়া হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে বুধবার তখনও ঘটনাস্থলে পৌঁছতে পারেনি বিজেপি-র বিধায়ক দল। দিল্লি থেকে কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেয়নি বিজেপির প্রতিনিধি দল। তার আগেই মমতা জানিয়ে দিলেন তিনি যাচ্ছেন। সঙ্গে এটাও জানালেন যে, বিজেপি বিধায়ক দলের কর্মসূচি না থাকলে যেতেন বুধবারেই। মঙ্গলবরাই তদন্তকারী দল গঠন করে রাজ্য প্রশাসন যে তৎপরতা দেখিয়েছিল তার ধারাবাহিকতাই যেন বজায় থাকল মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণায়। বিরোধী দলনেত্রী থাকাকালীন যে ভাবে দ্রুত অকুস্থলে পৌঁছে যেতেন সে ভাবেই বৃহস্পতিবার যাচ্ছেন আগুনে পুড়ে আট জনের মৃত্যু হওয়া বগটুই গ্রামে। বুধবার তিনি বলেন, আজই যেতাম। কিন্তু বিরোধীরা গিয়েছেন। আগামিকাল আমি যাচ্ছি।রামপুরহাটে যা ঘটেছে তা দুর্ভাগ্যজনক। যারা এর পিছনে রয়েছে তারা কেউ ছাড় পাবে না। বগটুই গ্রামের হত্যাকাণ্ড নিয়ে প্রথমবার মুখ খুলেই জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একই সঙ্গে আক্রমণ শানালেন বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলিকে। এই রাজ্যের বিজেপি নেতাদের তো বটেই, মমতার আক্রমণ ছিল বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলি নিয়েও।বগটুইয়ের ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই তৃণমূল এর পিছনে ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে দাবি করে। এ দিন মমতা যেন সেই দাবিতে সিলমোহর দিলেন। এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তৃণমূলের যে যোগ নেই সেই দাবি করে তিনি বলেন, আমরা সরকারে। আমরা কি চাই কোথাও কেউ বোমা মারুক! বদনামের চেষ্টা করা হচ্ছে। যারা ঘটনা ঘটিয়েছে তারা কেউ ছাড় পাবে না। একই সঙ্গে তিনি বলেন, আমরা সিপিএম, কংগ্রেসের মতো চক্রান্তকারী দল নই। এর পাশাপাশি মমতা নাম না করেও বিজেপি-কে আক্রমণ করে বলেন, আসলে দাঙ্গা করতে পারছে না। লোকে খেতে পারছে না, তাও তো বলতে পারছে না। মেয়েরা পড়াশুনা করতে পারছে না, এ কথাও বলতে পারছে না। মানুষ চিকিৎসা পাচ্ছে না, এ কথা বলতে পারছে না। তাই দেশলাই জ্বালানো খুব সহজ তাই না। দেশলাই জ্বালাতে চক্রান্তকারীদের জুড়ি নেই। কিন্তু তারা এটা বোঝে না যে, অন্যের ঘরে দেশলাই জ্বাললে নিজের ঘরে এসেও পড়তে পারে। অনেক নষ্টামি, অনেক দুষ্টুমি দেখেছি। এর সঙ্গে সঙ্গেই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কালকেও দেখেছেন গ্যাসের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে, পেট্রোলের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। আর এটা নিয়ে যাতে কেউ বলতে না পারে, তাই হট করে একটা এমন ঘটনা ঘটিয়ে দিচ্ছে।

মার্চ ২৩, ২০২২
রাজ্য

দর্শক হয়ে রাজভবনে বসে থাকতে পারি না, মুখ্যমন্ত্রীকে পালটা চিঠি রাজ্যপালের

রামপুরহাটের বগটুইয়ে অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পাল্টা চিঠি দিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। জানালেন, এমন ঘটনার পর তিনি চুপ থাকতে পারেন না। মুখ্যমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে রাজ্যপাল লেখেন, তাঁর বিরুদ্ধে আবারও অভিযোগের মনোভাব প্রকাশ করেছেন মমতা। কিন্তু যে রামপুরহাটের বগটুইয়ে সঞ্জু শেখের পুরো পরিবার ছজন মহিলা এবং দুটো শিশুকে পুড়িয়ে দেওয়ার পর রাজ্যপাল হিসেবে তিনি চুপ থাকতে পারেন না। মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে চিঠি দিয়ে সংযত থাকার কথা বলেছিলেন। জানিয়েছিলেন রাজ্যপাল হিসাবে রামপুরহাট-কাণ্ড নিয়ে তিনি যে মন্তব্য করেছেন তা সমীচীন নয়। কারণ, এখন ঘটনার তদন্ত করছে প্রশাসন।বুধবার রাজ্যপাল পাল্টা চিঠিতে লেখেন, কৌশলে তাঁর মন্তব্যকে মাত্রাজ্ঞানহীন এবং অযাচিত বলে দাগিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু এমন মস্ত অপরাধ-এর পর রাজভবনে বসে তিনি সময় নষ্ট করতে পারেন না। নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করবেন না। যদি তা করতেন তা সাংবিধানিক কর্তব্যে অমার্জনীয় কাজ হবে। মমতাকে ধনখড় এও জানান, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানা যাচ্ছে। রামপুরহাটের ঘটনার মতো অতীতে রাজ্যে অনেক ঘটনা ঘটেছে। তখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিরোধীর আসনে। মুখ্যমন্ত্রী তাঁর চিঠিতে লিখেছিলেন রাজ্যে শান্তি বজায় আছে। তার মধ্যে রামপুরহাটের ঘটনা দুর্ভাগ্যজনক। যার প্রেক্ষিতে ধনখড় লেখেন, এর চেয়ে হাস্যকর দাবি কিছু হতে পারে না।রাজ্যপাল চিঠিতে টেনে আনেন বিধানসভা ভোটপরবর্তী হিংসার কথা। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের বিবৃতিকে উদ্ধৃত করে লেখেন, পশ্চিমবঙ্গে শাসকের আইন আছে, আইনের শাসন নেই। পাশাপাশি, জ্ঞানবন্ত সিংহের নেতৃত্বাধীন সিটের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।চিঠির শেষাংশে মমতাকে তাঁর ভূমিকা মনে করিয়ে ধনখড় লেখেন, রাজ্যে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ এবং মানবাধিকার যাতে ফিরে আসে সে ব্যাপারে পদক্ষেপ করুন তিনি।

মার্চ ২৩, ২০২২
রাজনীতি

Binoy Tamang: তৃণমূলে যোগ দিলেন বিনয় তামাং

পাহাড় রাজনীতিতে নয়া মোড়। শুক্রবারই তৃণমূলে যোগ দিলেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার প্রাক্তন সভাপতি বিনয় তামাং। ক্যামাক স্ট্রিটে একটি হোটেলে তৃণমূলে যোগ দেন বিনয়। একই সঙ্গে তৃণমূলে যোগ দিলেন রোহিত শর্মাও। তিনি কার্শিয়াংয়ের প্রাক্তন বিধায়ক। জিটিএ নির্বাচনের আগেই বিনয় তামাংয়ের তৃণমূলে যোগদান নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ।এদিন তৃণমূলে যোগ দিয়ে বিনয় তামাং বলেন, গত ১৫ জুলাই আমি আমার দল থেকে ইস্তফা দিয়েছিলাম। পদও ছেড়েছিলাম। এরপর আজ ১৬৪ দিন হয়ে গেল। এই সময়ের মধ্যে আমি কিন্তু অন্য কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত হইনি। যোগাযোগও করিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ ছিলই। উনি একজন ডায়ানামিক লিডার। এক সময় স্থানীয় পার্টি করতাম। এখন জাতীয় দল করে মানুষের সেবা করতে চাই। আমরা চাই ২০২৪ সালে জাতীয় রাজনীতিতে প্রধানমন্ত্রীর মুখ হিসাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখতে। সর্বভারতীয় তৃণমূলে থেকেই আমরা পাহাড়বাসী, গোটা উত্তরবঙ্গের মানুষের সেবা করতে চাই।বিনয় তামাং বলেন, বিমল গুরুং আগে কলকাতায় এসেছিলেন। কথাবার্তাও হয়েছে। আমরাও এরপর সাক্ষাৎ করেছি। আমরা মিলেমিশেই কাজ করব। কলকাতা থেকে যা নির্দেশ দেওয়া হবে সে কাজই আমরা করব। গোর্খাল্যান্ড একটি সাংবিধানিক ইস্যু বলে এদিন তুলে ধরেন বিনয় তামাং। বিনয়ের দাবি, ভারতীয় জনতা পার্টি এই ইস্যুকে ললিপপ করে তিনবার সাংসদ জিতিয়ে নিয়ে গেল। এই ইস্যুকে নিয়ে আমাদের ইমোশনালি ব্ল্যাকমেল করে গিয়েছে। এটা রাজ্যের বিষয় না। আলাদা রাজ্যের বিষয় নয়। আমরা চাই সকলে মিলেমিশে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে পাহাড়ের উন্নয়ন করতে। শিক্ষা হোক বা স্বাস্থ্য বা পর্যটন। যেখানেই আমরা কাজ করতে পারি, সেখানে কাজ করব। এই জন্য সর্বভারতীয় দল তৃণমূলে যোগ দিয়েছি।

ডিসেম্বর ২৪, ২০২১
বিদেশ

Modi-Biden meeting: ভারত-আমেরিকার বন্ধুত্ব তোলা থাকল ইতিহাসের পাতায়, স্বাক্ষর করলেন মোদি

শুক্রবারই প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে প্রথমবার মুখোমুখি বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। গত জানুয়ারি মাসে জো বাইডেন প্রেসিডেন্ট পদে বসলেও বিশ্বজুড়ে করোনা সংক্রমণের দাপটের জেরে নতুন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দেখা করতে যেতে পারেনননি প্রধানমন্ত্রী। শুভেচ্ছাবার্তা থেকে যাবতীয় বার্তালাপ ফোন ও ভার্চুয়াল মাধ্যমেই হয়েছে। এর আগে প্রধানমন্ত্রী ও মার্কিন প্রেসিডেন্টের মোট তিনবার সাক্ষাৎ হয়েছে, তবে প্রতিটিই ভার্চুয়াল মাধ্যমে। মার্চ মাসে কোয়াডের ভার্চুয়াল সামিট ও এপ্রিল মাসে জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে ভার্চুয়াল সামিটে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছিল মার্কিন প্রেসিডেন্টের। এদিনের বৈঠককে স্মরণীয় করে রাখতে ভারত-আমেরিকার বন্ধুত্বকে খাতায় কলমেও লিখে রাখলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। করোনাকালে মার্কিন সফর ও প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন-র সঙ্গে প্রথম সাক্ষাৎকে চিরস্মরণীয় করে রাখতে হোয়াইট হাউস-এর রুজ়ভেল্ট কক্ষের ভিজিটরস বুকে স্বাক্ষর করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।Prime Minister @narendramodi signs the visitor book in the Roosevelt Room of the White House. Registering the spirit of 🇮🇳 🇺🇸 friendship in ink. pic.twitter.com/E2revXyrUK Arindam Bagchi (@MEAIndia) September 24, 2021হোয়াইট হাউসের পশ্চিম ভাগে অবস্থিত এই কক্ষটি দুই প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট থিয়োডর রুজ়ভেল্ট ও ফ্রাঙ্কলিন ডি রুজ়ভেল্ট-র নামে নামাঙ্কিত। এই কক্ষেই রাখা রয়েছে অতিথিদের জন্য একটি স্বাক্ষর পুস্তিকা, যেখানে বিশেষ অতিথিরা এসে নিজেদের নাম ও কিছু কথা লিখে যান। এ বার সেই বইতে জ্বলজ্বল করবে প্রধানমন্ত্রীর স্বাক্ষরও। বিদেশ মন্ত্রকের তরফেই প্রধানমন্ত্রীর এই স্বাক্ষর করার কথা জানানো হয়। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী টুইটে লেখেন, ভারত ও আমেরিকার মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে কালিতে নথিভুক্ত করতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি হোয়াইট হাউসের রুজ়ভেল্ট কক্ষে অতিথিদের জন্য রাখা পুস্তিকায় স্বাক্ষর করেছেন।A Partnership of Trust-globally we will make a difference!Vibrant discussions between PM @narendramodi @POTUS Joseph Biden on global, regional bilateral issues. An expansive agenda including defence, security, health, education, trade, IT, economic, ST, energy P2P ties. https://t.co/ylQwOPlMD8 Arindam Bagchi (@MEAIndia) September 24, 2021শুক্রবারের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক, বাণিজ্য, পারস্পরিক বিশ্বাস নিয়ে আলোচনা করেন। নতুন মার্কিন প্রশাসনের একাধিক উদ্য়োগের প্রশংসা করেও প্রধানমন্ত্রী জানান, কীভাবে এই উদ্যোগগুলির মাধ্যমে উপকার পাচ্ছেন মার্কিনবাসী-সহ অন্যান্য দেশের বাসিন্দারাও। বাইডেনের সঙ্গে বৈঠক চলাকালীন, প্রধানমন্ত্রী ফের একবার করোনাযুদ্ধে ভারতকে সাহায্যের জন্য ধন্যবাদ জানান। একইসঙ্গে আমেরিকাও যেভাবে করোনার বিরুদ্ধে লড়াই চালাচ্ছে, তার প্রশংসাও করেন তিনি। জলবায়ু পরিবর্তন ও কোয়াড সম্মেলনের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলিতে আমেরিকা যে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে, সেই উদ্যোগকেও সাধুবাদ জানান তিনি।

সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২১
কলকাতা

CM-Dhankhar: অতীত টেনে রাজ্যপালকে পালটা দুর্নীতিগ্রস্ত বললেন মমতা

উত্তরবঙ্গ সফর শেষে কলকাতায় ফেরার আগেই জিটিএ-কে দুর্নীতির আখড়া বলে চিহ্নিত করেছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankhar)। ক্যাগ (CAG) অডিট করানোর কথাও বলেছিলেন। এবার তারই জবাব দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। আর তা উল্লেখ করতে গিয়ে তিনি হাওয়ালা জৈন কাণ্ডের প্রসঙ্গ টেনে তীব্র আক্রমণ শানালেন। বলেন, উনি নিজে বড় দুর্নীতিগ্রস্ত। হাওয়ালা জৈন কাণ্ডের চার্জশিটে কার নাম উল্লেখ ছিল? তারপর কীভাবে পার পেয়েছেন? জিটিএ-র দুর্নীতির কথা বলার আগে উনি কাদের নিয়ে, কত খরচ করে দার্জিলিং গেলেন, রাজভবনে কত খরচ হলো, সেসব নিয়ে তদন্ত হোক। আর ক্যাগ (CAG) দিয়ে জিটিএ-র অডিটের বিরোধিতায় মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, রাজ্য সরকার নিজেই তার অডিট করছে, ক্যাগ (CAG) অডিট প্রয়োজন নেই।আরও পড়ুনঃ অসুস্থ কবীর সুমনএদিন অতীত টেনে এনে রাজ্যপালকে বিদ্ধ করার পাশাপাশি ফের রাজ্যপালের অপসারণের দাবি তোলেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, যতদিন এ রাজ্যের দায়িত্বে রয়েছেন, ততদিন কাজ করব একসঙ্গে। এটা সৌজন্য, কর্তব্য। ওঁকে সরানোর জন্য তিনটে চিঠি দিয়েছি কেন্দ্রকে। তাদের এবার বিষয়টা গুরুত্ব দিয়ে দেখা উচিত বলে মনে হয়। এখনও কেন্দ্রের তরফে কোনও উত্তর পাইনি। রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত বাংলার পরিচিত ছবি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের সঙ্গে রাজভবনের একটা দ্বন্দ্ব চলছে বরাবর। এমনকী তৃতীয়বার রাজ্যের ক্ষমতায় এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরই তাঁর সমালোচনা করেন। তা নিয়েও বেশ জলঘোলা হয়েছিল। এবার দুর্নীতির মতো ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রীও কড়া ভাষায় তাঁকে পালটা আক্রমণে নামলেন।

জুন ২৮, ২০২১
  • ‹
  • 1
  • 2
  • 3
  • ›

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

১০০ দিনের কাজ নিয়ে হাইকোর্টে বড় ধাক্কা কেন্দ্রীয় সরকারকে

গতকালই ওবিসি মামলায় হাইকোর্টে জোরদার ধাক্কা খেয়েছে রাজ্য সরকার। এবার ১০০ দিনের কাজ নিয়ে বড় ধাক্কা খেল কেন্দ্রীয় সরকার। বুধবার নজিরবিহীন একটি নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। পশ্চিমবঙ্গে ফের ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প চালু করতে হবে, এই মর্মে কেন্দ্রীয় সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। আগামী ১ আগস্ট থেকেই এই প্রকল্প চালু করতে নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চ।উল্লেখ্য, বাংলায় ১০০ দিনের কাজের টাকা বহুদিন ধরে আটকে রেখেছে কেন্দ্র, এই অভিযোগ করে আসছে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ রাজ্য সরকারের একাধিক মন্ত্রী এই ব্যাপারে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বারবার সমালোচনায় সরব হয়েছেন। কেন্দ্রীয় সরকারের দাবি, পশ্চিমবঙ্গে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে লাগামহীন দুর্নীতি হয়েছে। এই দুর্নীতির তদন্তে কেন্দ্র বেশ কয়েকটি দলও বাংলার জেলায় জেলায় পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।কেন্দ্রের অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল অশোক চক্রবর্তী আদালতে জানিয়েছিলেন, ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে পশ্চিমবঙ্গে মোট ৫ কোটি ৩৭ লক্ষ টাকা বন্টনের ক্ষেত্রে গরমিল ধরা পড়েছে।। তার মধ্যে ২ কোটিরও বেশি টাকা পুনরুদ্ধার করা গিয়েছে। হুগলি, মালদা, বর্ধমান, দার্জিলিংয়ের মতো জেলাগুলিতে ১০০ দিনের কাজের টাকা বন্টনের ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ পেয়েছে কেন্দ্রের প্রতিনিধি দল। ১০০দিনের কাজের প্রকল্পে টাকা বন্টনের ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গে বেনজির দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ কেন্দ্রের।রাজ্যে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প আটকে থাকা নিয়ে মামলার শুনানি বুধবার ছিল কলকাতা হাইকোর্টে। এদিন উভয় পক্ষের সওয়াল-জবাব শুনেছেন প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। এরপর প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছেন যে শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গের জন্যই বিশেষ কোনও বেঁধে দিতে পারে কেন্দ্র। এই রায়ের পর সোচ্চার হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছেন, ১০০ দিনের পুরনো বকেয়া টাকা ফেরত দিতে হবে।

জুন ১৮, ২০২৫
রাজ্য

তোলা না দেওয়ায় গাছে বেঁধে কাপড় ব্যবসায়ীকে মারধর

পাঁচ লক্ষ টাকা তোলা না দেওয়ায় গাছে বেঁধে এক কাপড় ব্যবসায়ীকে মারধর এবং সালিশি করে গ্রাম ছাড়া করার অভিযোগ উঠলো স্থানীয় একদল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে কালিয়াচক থানার ফতেখানি এলাকায়। এই ঘটনায় আক্রান্ত ব্যবসায়ীর পরিবার কালিয়াচক থানার দ্বারস্থ হলেও চারদিন পরে পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ। অবশেষে বুধবার ওই ব্যবসায়ী দম্পতি সমস্ত ঘটনার বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ জানালেন পুলিশ সুপারের কাছে। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পুরো বিষয়টি নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মালদার পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব। এদিকে কালিয়াচকের ওই ব্যবসায়ীর ওপর আক্রমণ এবং পাঁচ লক্ষ টাকা তোলাবাজির ঘটনায় রীতিমতো অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন জেলার সর্ববৃহৎ ব্যবসায়ীদের সংগঠন মালদা মার্চেন্ট চেম্বার অফ কমার্সের কর্মকর্তারা। সংশ্লিষ্ট সংগঠনের সভাপতি জয়ন্ত কুন্ডু জানিয়েছেন, এই ধরনের ঘটনার আমরা তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। বারবার যদি ব্যবসায়ীদের ওপর দুষ্কৃতীদের হামলা নেমে আসে, তাহলে আমরা যাব কোথায়। অবিলম্বে পুলিশ সুপার যাতে অপরাধীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করে, সেই আবেদন জানাচ্ছি। এদিকে পুলিশকে অভিযোগে কালিয়াচক থানার ফতেখানি এলাকার পোশাক ব্যবসায়ী মহম্মদ রহিম বিশ্বাস জানিয়েছেন, পুরনো একটি মামলার ঘটনায় গত শনিবার এলাকার এক কুখ্যাত দুষ্কৃতী জহরুল খান এবং তার দলবল তাকে বাড়ির সামনে থেকে তুলে নিয়ে যায়। তাদের একটি ডেরায় তাঁকে গাছে বেঁধে ব্যাপক মারধর করা হয়। এরপর পাঁচ লক্ষ টাকার তোলা চাওয়া হয়। সেই টাকা না দেওয়ায় আশেপাশের আরও কিছু সাগরেদদের জুটিয়ে সালিশি ডাকা হয়। সেই সালিশির মাধ্যমে তাদের পরিবারকে গ্রাম ছাড়া করার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। আর এই ঘটনার পর থেকেই গত চারদিন ধরেই ওই ব্যবসায়ী পরিবার নিজের বাড়ি ছেড়ে অন্য এক আত্মীয়ের বাড়িতে আত্মগোপন হয়ে রয়েছেন। এমনকি ফতেখানি স্ট্যান্ডের কাছে ওই ব্যবসায়ী তার নিজের পোশাকে শোরুম খুলতে পারছেন না।

জুন ১৮, ২০২৫
রাজ্য

বাংলা দিবস পালন নিয়ে বিজেপিকে কড়া তোপ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের

বাংলা দিবস পালন নিয়ে ফের বিজেপি ও তৃণমূলের মধ্যে বাগযুদ্ধ শুরু হয়ে গেল। আগামী ২০ জুন বাংলা দিবস পালন করা হবে বলে উত্তরপ্রদেশের বিশেষ সচিব পশ্চিমবঙ্গের সংস্কৃতি দফতরকে একটি চিঠি দিয়েছে। আলাদা করে বাংলা দিবস পালনের দিন নির্ধারণ নিয়ে এবার প্রশ্ন তুললেন খোদ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই ইস্যুতে BJP-র কড়া জবাব দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।বুধবার সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ২০ জুন প্রতিটি রাজ্যের রাজভবনে বাংলা দিবস পালন করা হবে বলে ঠিক করা হয়েছে। এই তারিখ কীভাবে ঠিক করা হল? দেশ স্বাধীন হয়েছে ১৫ আগস্ট। বাংলার প্রতিষ্ঠা দিবস আপনারা ঠিক করে দেবেন? বিজেপি ইচ্ছা মতো চাপিয়ে দেবে? এটা বাংলাকে চরম অসম্মান বলে আমরা মনে করছি। বাংলা দিবস বাংলার সরকার পালন করবে। সেটা ১ বৈশাখ।এদিন কেন্দ্রকে নিশানা করে মুখ্যমন্ত্রীর আরও তোপ, সব বুলডোজ করছে, দেশে জুমলা সরকার চলছে। পেহেলগাঁওয়ের পর সবাই বিশেষ অধিবেশন ডাকার কথা বলেছে। বিরোধীরা সবাই অধিবেশন ডাকার কথা বলেছিল। কেন বিশেষ অধিবেশন ডাকা হবে না?একশো দিনের কাজের টাকা চার বছর ধরে বন্ধ করেছে। আবাস যোজনার টাকা দিচ্ছে না। রাজ্য সরকার নিজে সেই টাকা খরচ করে উন্নয়ন বজায় রেখেছে।

জুন ১৮, ২০২৫
রাজ্য

ভাগীরথী সেতুতে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা, লরির চাকায় পিষ্ঠ হয়ে মৃত্যু রোগীর

মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর ভাগীরথী সেতুর উপর ঘটল মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। বুধবার দুপুরে চলন্ত লরির চাকায় পিষ্ট হয়ে মৃত্যু হল এক বৃদ্ধের। মৃতের নাম হরেন মণ্ডল (৬৩)। তিনি ঝাড়খণ্ডের পাকুর জেলার বাসিন্দা বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।জানা গিয়েছে, বুধবার সকালেই অসুস্থতা জনিত কারণে হরেন মণ্ডলকে জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাঁর সঙ্গে ছিলেন পুত্রবধূ। দুপুরে বৌমা ফুলতলা বাজারে ফল কিনতে গেলে অনেকক্ষণ কেটে গেলেও তিনি না ফেরায়, চিন্তায় পড়ে বৃদ্ধ খুঁজতে বের হন। খুঁজতে খুঁজতে উঠে পড়েন ভাগীরথী সেতুর উপর। সেই সময় এক চলন্ত লরির সামনে পড়ে যান তিনি। অসাবধানতাবশত লরির চাকায় পিষ্ট হন হরেন মণ্ডল। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।ঘটনাস্থলে পৌঁছায় রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ ও রঘুনাথগঞ্জ সদর ট্রাফিক গার্ড। কিছু সময়ের জন্য সেতুর উপর যান চলাচল ব্যাহত হয়। পরে পুলিশ ব্যবস্থা নিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ। দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ কী, লরি চালকের গাফিলতি ছিল কিনাতা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।এই দুর্ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকাজুড়ে। হাসপাতালে ভর্তি রোগীর এমন মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে পরিবার ও হাসপাতাল চত্বরে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পরেও কি ভাবে রাজ্য সড়কে পৌছালো ঐ রুগী তা নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছে একলাবাসীর মধ্যে।

জুন ১৮, ২০২৫
রাজ্য

রায়নার বিধায়কের কন্যার নামকরণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী

রায়নার বিধায়ক শম্পা ধারার শিশু কন্যার নামকরণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার বিধানসভাতেই বিধায়ক শম্পা ধারা কন্যা সন্তান নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সামনে হাজির হন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিধায়ক শম্পা ধারার শিশু কন্যার নাম রাখেন ঐশী। আশাপূরণ হওয়ায় শম্পা ধারা বেজায় খুশি। মেয়ের অন্নপ্রাসন অনুষ্ঠানের দিনও নির্দিষ্ট করে ফেলেছেন বিধায়ক। সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হওয়ার জন্য শম্পা ধারা এদিন মুখ্যমন্ত্রী সহ সকল বিধায়ককে নিমন্ত্রণও করেন।শম্পা ধারার কন্যার এখন বয়স মাত্র সাড়ে চার মাস। বাংলার অগ্নিকন্যা তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অন্তত তাঁর কন্যার নামকরণ করে আশীর্বাদ করুন, এমনটাই স্বপ্ন ছিল রায়নার তৃণমূল বিধায়কের। সেই স্বপ্ন পূরণের লক্ষে নিজের শিশু কন্যাকে সঙ্গে নিয়ে সোমবার দুপুরে বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর ঘরের সামনে পৌছে যান পূর্ব বর্ধমানের বিধায়ক। মুখ্যমন্ত্রী ঘর থেকে বের হতেই বিধায়ক শম্পা তাঁর কন্যার নামকরণ করার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করেন। নিজের দলের বিধায়কের সেই অনুরোধ ফেরাননি মুখ্যমন্ত্রী।শম্পা ধাড়া জানান, চলতি বছরের ২৩ জানুয়ারি তাঁর কন্যা সন্তানের জন্ম হয়েছে। শম্পা ধারার কথা অনুযায়ী নাম করণ করে দেওয়ার পর তাঁর মেয়ের মাথায় হাত দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আশীর্বাদ করেছেন। এটাই তো তাদের কাছে অনেক বড় পাওয়া। এর জন্য তিনি গর্বিত বোধ করছেন।তাঁর খুব আনন্দও হচ্ছে।

জুন ১৭, ২০২৫
বিনোদুনিয়া

কেশরী চ্যাপ্টার টু, ইতিহাস বিকৃত করার ভয়ঙ্কর অভিযোগ

ইতিহাসের একটি পরিচিত অধ্যায় ইংরেজ শাসনের সময় বিখ্যাত স্বাধীনতা সংগ্রামী ও বিপ্লবী ক্ষুদিরাম বোস ও প্রফুল্ল চাকী কুখ্যাত ইংরেজ জাজকে বধ করার চেষ্টা করেছিল। এর ভিত্তিতে ক্ষুদিরাম বোসের ফাঁসি হয়েছিল এবং প্রফুল্ল চাকীও পুলিশের হাতে যাতে ধরা না পড়ে তার জন্য নিজের প্রাণ নিজের হাতে নিয়েছিল। বিধাননগর দক্ষিণ থানাতে অভিযোগ এসেছে যে একটি সিনেমা ইদানিংকালে লাইভ স্ট্রিমিং হচ্ছে সিনেমাটির নাম হচ্ছে কেশরী চ্যাপ্টার টু। সেই সিনেমাটি জিও হটস্টারে দেখানো হচ্ছে লাইভ স্ট্রিমিং এর মাধ্যমে সেখানে একটা দৃশ্যে দেখানো হয়েছে যে ক্ষুদিরাম বোসের নামকে ক্ষুদিরাম সিং বলা হয়েছে এবং প্রফুল্ল চাকির সেখানে কোন উল্লেখ নেই।বিখ্যাত স্বাধীনতা সংগ্রামী অরবিন্দ ঘোষের ছোট ভাই বিরেন্দ্র কুমার ঘোষ তিনি ও বিপ্লবী ছিলেন উনার নামটাকে বারিন্দ্রা কুমার বলে বলা হচ্ছে। শুধুমাত্র ঐতিহাসিক তথ্যগুলোকে বিকৃত করা হয়নি, বরঞ্চ স্বাধীনতা সংগ্রামী যারা আছেন তাদের নামটাকে বিকৃত করে তাদের গরিমাটাকে কিছুটা হলেও ম্লান করার চেষ্টা হয়েছে এবং করা হয়েছে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে একটা কেস করা হয়েছে। এটাও দেখানো হয়েছে খুদিরাম বোস এবং বারিন্দ্র ঘোষ ওনারা অমৃতসরের ছাত্র ছিলেন। এই পরিপ্রেক্ষিতে অভিযোগটা করা হয়েছে। আর সেই অভিযোগের ভিত্তিতে বিধান নগর দক্ষিণ থানাতে একটি কেস রুজ করা হয়েছে এবং তদন্ত শুরু হয়েছে।

জুন ১৭, ২০২৫
কলকাতা

ভূয়ো কল সেন্টারের পর্দা ফাঁস, বাগুইআটিতে গ্রেফতার ৬

গোপন সূত্রে প্রাপ্ত সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে বাগুইহাটি থানা অধীনস্ত সৃষ্টি অ্যাপার্টমেন্টে অভিযান চালায় বিধাননগর পুলিশের একটি দল এবং পর্দা ফাঁস করে একটি ভুয়ো কল সেন্টারের। অভিযুক্তরা বিভিন্ন রাজ্যে সমাজের প্রান্তিক শ্রেণীর মানুষদের সঙ্গে যোগাযোগ করত এবং কম সুদে ঋণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাদের কস্টার্জিত অর্থ হাতিয়ে নিতো।স্বতঃপ্রণোদিত অভিযোগের ভিত্তিতে বাগুইআটি থানায় কেস নাম্বার ৩৮২/২০২৫ মামলা রুজু হয়। এই অভিযানে মোট ছয় জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং উদ্ধার হয়েছে বহু বৈদ্যুতিন সরঞ্জাম, ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন ইত্যাদি। এই মামলার তদন্ত চলছে। ধৃতদের আজ আদালতে পেশ করা হলে তাদের প্রত্যেকের সাত দিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন মঞ্জুর হয়। মামলার তদন্ত চলছে।

জুন ১৭, ২০২৫
রাজ্য

তৃণমূলের দলীয় বৈঠকে মমতাবালাকে কটুক্তির অভিযোগ, উপপ্রধানকে গ্রেফতারের দাবি

দলীয় বৈঠক তৃণমূল উপপ্রধানের গালাগাল ও কটুক্তির শিকার তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ মমতা ঠাকুর। অভিযুক্তকে গ্রেফতারের দাবিতে থানায় অভিযোগ দায়ের করলেন তৃণমূল কর্মী। সরব হলেন মতুয়া ভক্তরা। পার্থ ভৌমিকের সম্পর্কে কিছু কথা বলার জন্যে কর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছে, আর কিছু নয় বলে দাবি তৃণমূল জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ দাসের।একুশে জুলাই এর প্রস্তুতি সভা ছিল সোমবার উত্তর ২৪ পরগনার গোবরডাঙ্গায়। অভিযোগ, সেখানে বক্তব্য রাখার সময় গোপালনগর চৌবেরিয়া ১ নাম্বার গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সুনীল সরকার মমতা ঠাকুরকে উদ্দেশ্য করে গালিগালাজ করেন। এমনকি বৈঠক শেষে মমতা ঠাকুর বাইরে বের হলে তাঁকে উদ্দেশ্য করে সুনীলসহ আরও কয়েকজন কটুক্তি করে এবং অশ্লীল অঙ্গিভঙ্গি করে, এমনকি তাঁকে হুমকিও দেওয়া হয়। এবং ছোট জাত বলে আক্রমণ করা হয়। এই মর্মে সোমবার রাতে সব্যসাচী ভট্ট নামে এক তৃণমূল কর্মী গাইঘাটা থানায় এফ আই আর দায়ের করেন। অভিযোগ করার সময় সব্যসাচীর সঙ্গে ছিলেন মতুয়া ভক্তরা ও গোসাইরা। অভিযুক্তর গ্রেফতারের দাবি করেন তারা। তারা বলেন, মাকে গালাগালি দেওয়া মানে আমাদের মতুয়া সমাজকে গালি দেওয়া। এটা আমরা কোনওভাবেই মেনে নেব না। ২৪ ঘন্টার মধ্যে যদি অভিযুক্তকে গ্রেফতার না করা হয় তাহলে তীব্র প্রতিবাদ হবে।এই বিষয়ে অভিযুক্ত চৌবেড়িয়া এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সুনীল সরকার জানিয়েছেন, মমতা ঠাকুর বক্তব্য রাখতে গিয়ে নানা কথার মধ্যে দিয়ে জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস ও পার্থ ভৌমিককে আক্রমণ করছিল। আমি শুধু প্রতিবাদ করে বলেছি আপনাদের ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বের বৈঠকে এটা আলোচনা করবেন। আমি যদি উনাকে গালাগাল করে থাকি সেটা প্রমাণ করুক। আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। যদিও বনগাঁ জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস জানিয়েছেন, গতকাল একুশে জুলাইয়ের প্রস্তুতি সভায় চেয়ারম্যান পার্থ ভৌমিক সম্পর্কে কিছু কথা বলাতে কর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছে আর কিছু নয়। তৃণমূলের সভায় মমতা ঠাকুরকে উদ্দেশ্য করে গালাগাল ও জাত তুলে কটুক্তি নিয়ে কটাক্ষ করা প্রসঙ্গে শান্তনু ঠাকুর বলেন, ওদের নেত্রী হরিচাঁদ গুরুচাঁদ নিয়ে যা বলেছেন তাতে ছোট নেতা কি বলবে। মমতা ঠাকুর হারিকাঠে গলা দিয়েছে, কি হবে বুঝতে পারছে না। ওর লজ্জা ঘৃণা ভয় কিছু নেই। এই বিষয়ে মমতা ঠাকুরবালার কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

জুন ১৭, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal