• ৩ আষাঢ় ১৪৩২, শুক্রবার ২০ জুন ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Champion

খেলার দুনিয়া

কেন অবসর নেবে রোহিত শর্মা? বললেন সৌরভ, জানালেন, শনিবার ইন্ডিয়া ফেবারিট

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়ের দোরগোড়ায় ভারতীয় ক্রিকেট দল। এই প্রতিযোগিতায় এখনও পর্যন্ত কোনও ম্যাচে পরাজিত হয়নি রোহিত, বিরাটরা। শনিবার নিউজিল্যান্ড ম্যাচে ভারতের জয়ের সম্ভাবনা দেখছেন প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেট অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। শনিবার মধ্যমগ্রামে এমএলএ কাপের ফাইনাল ম্যাচে উপস্থিত ছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক বলেন, আমাদের দলের সকলে ভালো খেলছে। ভালো খেলা হবে। ভারত ফেবারিট। এই টুর্নামেন্টে ভারত এখনও অপরাজেয়। ইন্ডিয়া দারুণ ফর্মে আছে। তাই ভারতের জেতার সম্ভাবনা বেশি। সবাই ভালো ফর্মে আছে। শনিবার মাঠে এসে খেলোয়াড়দের সঙ্গে পরিচিত হন সৌরভ। তিনি বলেন, এত ভালো মাঠে ফুটবল খেলা হচ্ছে, এত দর্শক খুব ভালো লাগছে। রবিবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনাল ভারতের জয় নিয়ে আশাবাদী সৌরভ বলেন, ভারতীয় দলের জয় অব্যাহত আছে ফলে দলের প্লেয়ারদের পরিবর্তনের কোনও দরকার নেই। রোহিত শর্মার ভালো ফর্ম নেই তার অবসর নেওয়ার সময় এসেছে কিনা এই প্রশ্নের জবাবে সৌরভ রহিতের পাশে দাঁড়ান। তিনি বলেন, রোহিত ভালো ফর্মে আছে। এইতো ছয় মাস আগে ওয়ার্ল্ড কাপ জিতলো। ক্যাপটেন হিসেবেও সফল হচ্ছে। বিগত দিনের পরিসংখ্যান তুলে ধরে বলেন, রোহিতের অবসরের কোন কারণই নেই। কেন অবসর নেবে? বাংলার ক্রিকেট নিয়ে তিনি তেমন কোন মন্তব্য করতে চাননি। এই প্রসঙ্গে সৌরভের মন্তব্য, বাংলার কোচ লক্ষ্মী রতন শুক্লা দেখছে। লক্ষ্মী ভালো কোচ। বায়োপিকের কাজ চলছে, ডিসেম্বরে রিলিজ হবে বলে জানালেন সৌরভ।

মার্চ ০৮, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

বিরাট রাজার দাপটে ভূপতিত পাকিস্তান। আপাত নিশ্চিন্ত শর্মা'র সাজঘর

ম্যায় হুঁ না!, জেতার জন্য শেষ শটটা খেলে অধিনায়ক রোহিতকে কি ইশারায় এটাই বলতে চাইলেন? সত্যিই বিরাটের মত ক্রিকেটার দলে থাকলে সে দল খেলার আগেই মানসিক ভাবে অনেকটা এগিয়ে থাকে। আর এই রকম ফর্মে থাকলে তো জয়লাভ ছাড়া অন্য কিছু ভাবাই অন্যায়। পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তেই ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ মানেই মারমার কাটকাট উত্তেজনা। রবিবাসরীয় দুবাইয়ের শুরুতে গ্যালারির কিছুটা হালকা থাকলেও ম্যাচ গড়াতেই আস্তে আস্তে ভরে যায়। ভারত-পাকিস্তান খেলার যে স্নায়ুর লড়াই ৮০ বা ৯০এর দশকেও দেখা গেছে আজকের ম্যাচে তাঁর কোনও দৃশ্য চোখে পড়ল না। ভারত একপ্রকার একপেশেই ম্যাচটা শেষ করল। বিগত দিনের মতই আইসিসি প্রতিযোগিতায় একপেশে দাপটই দেখাল ভারত।পাকিস্তান দল চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে প্রথম ম্যাচে নিউ জ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে হেরে দুবাই এসেছে। ভারতের বিরুদ্ধে প্রাজ্য মানে প্রতিযোগিতা থেকে বিদায়ের ঘন্টা বেজে যাওয়া সময়ের অপেক্ষা। বোলিং-ফিল্ডিং-ব্যাটিং কোনও বিভাগেই সেইরকম কোনও মরিয়া লড়াই আজ দেখা গেল না। আজ টস জিতে মহঃ রিজ়ওয়ান প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। পরে ব্যাট করে দুবাইয়ের পিচে রান তাড়া করা বরাবরই কঠিন। সেই হিসাব করেই পাকিস্তান আজ আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। এই মুহুর্তে ভারতের ব্যাটিংএ যা গভীরতা তাতে রান তাড়া করার ক্ষেত্রে ব্যাটাররা যথেষ্ট সাবলীল। সেই প্রমান উপমহাদেশের দুটি দলের বিরুদ্ধে পরপর দুটি ম্যাচে রাখলেন ভারতীয় কোহলিরা।গত ম্যাচে বিশ্বরেকর্ড করা শামি এই ম্যাচে ছন্দে ছিলেন না। প্রথম ওভারেই শামি পাঁচটি ওয়াইড বল করেন তিনি। শামির তৃতীয় ওভারে বল করার সময় হটাৎ পায়ের পেশিতে টান লেগে কোনোরকমে ওভারটি শেষ করেই মাঠ ছাড়েন শামি। যদিও চোট সেরকম গুরুতর না হওয়ায় খানিক বাদে মাঠে ফিরে এসে বল করেন। শামি ৮ ওভারে ৪৩ রান দিলেও আজ কোনও উইকেট পাননি। হার্দিক পান্ডিয়া ৮ ওভারে ৩১ রান দিয়ে দুটি উইকেট দখল করেন। অপর পেসার হর্ষিত রানাও আজ সেই ভাবে দাগ কাটতে পারেননি। তিনি একটি উইকেট পান। আজকের ম্যচে ভারতের তরূপের তাস ছিল তাঁদের বাঁহাতি স্পিনার ত্রয়ী। আজ পাকিস্তানকে রীতিমত চাপে ফেলে দিলেন কুলদীপেরা। তিন ভারতীয় স্পিনারেরা মিলে পাঁচটি উইকেট নেন। যার মধ্যে কুলদীপ সিং একাই নেন তিনটি। অক্ষর প্যাটেল এবং রবীন্দ্র জাডেজা একটি করে উইকেট লাভ করেন। অনবদ্য ফিল্ডিংয়ের ন্মুনা রাখেন অক্ষর প্যাটেল। তিনি দু দুটি রান আউট করেন।𝗖.𝗛.𝗔.𝗠.𝗣.𝗜.𝗢.𝗡.𝗦 🏆#TeamIndia 🇮🇳 HAVE DONE IT! 🔝👏ICC Mens T20 World Cup 2024 Champions 😍#T20WorldCup | #SAvIND pic.twitter.com/WfLkzqvs6o BCCI (@BCCI) June 29, 2024প্রথম ব্যাট করে পাকিস্তান ৪৭ রানের মধ্যে দু উইকেট হারিয়ে ব্যকফুটে চলেগেছিল। মহম্মদ রিজ়ওয়ান (৪৬) ও সাউদ শাকিল (৬২) এর ১০৪ রানের পার্টনারশিপে খেলায় ফেরে পাকিস্তান দল। দুবাইয়ের মাঠে রান তাড়া করা বরাবরই কঠিন। পিছ ক্রমশ স্লো হতে থাকে। আজকের ম্যাচের পিছ ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচের মত অতটা মন্থর নয় বলেই বিশেষজ্ঞ মহলের ধারনা। ৪৯.৪ ওভার খেলে ১০ উইকেট হারিয়ে ভারতের জন্য ২৪২ রানের লক্ষ্যমাত্রা রাখে পাকিস্তান।দুবাইয়ে স্লো পিচে ২৪২ রানের লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমে শুরুতেই রোহিতের উইকেট হারায় ভারত। শাহিন শাহ আফ্রিদীর এক অনবদ্য ইয়ার্কারে বোল্ড হয়ে ফিরে যান রোহিত শর্মা। অল্প সময়ে পিচে থেকে বিপক্ষের দিকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে ১৫ বলে ২০ রান করে যান। বিরাট কোহলি ও শুভমন গিল কোনও রকম তাড়াহুড়ো না করে ধীরে সুস্থে জুটি গড়তে শুরু করেন। এই দুই ব্যাটার ৬৯ রানের জুটি গড়েন। বাংলাদেশ ম্যাচে শতরান করা শুভমন এই ম্যাচে ৪৬ রানে আউট হয়ে গেলেও, লক্ষ্যে স্থির থেকে বিরাট কোহলি শ্রেয়াস আয়ারকে জুড়ি করে পাকিস্থানকে ম্যাচ থেকে কয়েক যোজন দূরে পাঠিয়ে দেন। প্রত্যাশা মতই আজকের ম্যাচে ম্যান অফ দা ম্যাচ নির্বাচিত হন বিরাট কোহলি। কোহলি আজ আরও একটি মাইলস্টোন পেরিয়ে যান। ভারতের কিংবদন্তি ফিল্ডার মহঃ আজাহারউদ্দিন (১৫৬) কে টপকে সর্বোচ্চ ক্যাচের অধিকারী হন বিরাট কোহলি (১৫৮)। বিশ্ব ক্রমপর্যায় তৃতীয়।

ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে রয়েল বেঙ্গল টাইগার ধরাশয়ী, ভারতের কাছে বিড়াল হয়ে গেল বাংলাদেশ

বাংলাদেশের লম্ফঝম্ফই সার। বাংলাদেশের বাঘ যে ভারতের সামনে পড়লে বিড়াল হয়ে যায় তা আবার প্রমানিত। দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচে ৬ উইকেটে জয় পেল ভারত। টস জিতে প্রথমে ব্যাট করে বাংলাদেশ ৪৯.৪ ওভারে ১০ উইকেটে তুলেছিল ২২৮ রান। জবাবে ২১ বল (৪৬.৩ ওভারে) বাকি থাকতেই ভারত জেতার জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয়। ভারতের অন্যতম ওপেনার শুভমান গিল ১২৯ বলে ৯টি চার এবং ২টি ছয়-সহ ১০১ রানে ও কেএল রাহুল ৪৭ বলে ১টি চার এবং ২টি ছয়-সহ ৪১ রানে অপরাজিত থেকে যান।শুভমান বৃহস্পতিবার তাঁর ক্যারিয়ারের ৮ম ওয়ানডে সেঞ্চুরি করলেন ১২৫ বলে। ভারতের এই ওপেনারের কাছে এইরকম দুর্দান্ত ইনিংসের আশায় তাঁকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দলে রাখা হয়েছে। এর আগে দলের ১৪৪ রানের মাথায় ভারতের ৪র্থ উইকেটের পতন হয়। রিশাদ হোসেনের বলে তাঁর হাতেই ধরা পড়েন গৌতম গম্ভীরের নতুন তাস অক্ষর প্যাটেল। অক্ষর বিশেষ সফল হননি, তিনি ১২ বলে ১টি চার-সহ ৮ রান করেছেন। মধ্যম বর্গীয় ব্যাটার শ্রেয়াস আইয়ার তাঁর নামের প্রতি সুবিছার করতে পারেননি। তিনি তুলে মারতে গিয়ে মুস্তাফিজুর রহমানের বলে নাজমুল হোসেন শান্তর হাতে ধরা পড়েন। শ্রেয়স ১৭ বলে ২টি চার-সহ ১৫ রান করেছেন। খাতা খুলতে ১০টি বল নিলেও ক্রমশ নিজেকে পিচের সাথে মানিয়ে নিচ্ছিলেন। ঠিক যখনই মনে হতে শুরু হচ্ছিল যে, আজ বিরাট বড় রান করবে ঠিক তখনি রিশাদ হোসেনকে কাট করতে গিয়ে বল হাওয়ায় ভেসে সোজা চলে গেল সৌম্য সরকারের হাতে। তাঁর আগে ৩৮ বলে ১টি চার-সহ ২২ রান করেছেন কোহলি। ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা তাসকিন আহমেদের বলে রিশাদ হোসেনের হাতে ধরা পড়েন। ৩৬ বলে ৭টি চার-সহ ৪১ রান করেছেন রোহিত।𝗖.𝗛.𝗔.𝗠.𝗣.𝗜.𝗢.𝗡.𝗦 🏆#TeamIndia 🇮🇳 HAVE DONE IT! 🔝👏ICC Mens T20 World Cup 2024 Champions 😍#T20WorldCup | #SAvIND pic.twitter.com/WfLkzqvs6o BCCI (@BCCI) June 29, 2024চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ভারত-বাংলাদেশ এই গ্রুপ ম্যাচে টস জিতে বৃহস্পতিবার প্রথমে ব্যাট করে বাংলাদেশ ১০ উইকেটে ৪৯.৪ ওভারে তোলে ২২৮ রান। অনবদ্য সেঞ্চুরি করেন তৌহিদ হৃদয়। ১১৪ বলে ৬টি চার এবং ২টি ছয়ের সাহায্যে তিনি সেঞ্চুরি করেন। শেষ পর্যন্ত তিনি ১১৮ বলে ১০০ রান করে আউট হন। হর্ষিত রানার বলে মহম্মদ শামির হাতে ধরা পড়েন। এর আগে তৌহিদ ব্যাটসম্যান জাকির আলির সঙ্গে যৌথভাবে বড় পার্টনারশিপ গড়ে বাংলাদেশকে ভারতের বিরুদ্ধে লজ্জাজনক স্কোর থেকে রক্ষা করেন।ম্যাচে মহম্মদ শামির বলে শ্রেয়স আইয়ারের হাতে ধরা পড়েন তাসকিন আহমেদ। ৬ বলে ৩ রান করেন তাসকিন। মহম্মদ শামির বলে বোল্ড হয়েছেন তানজিম হাসান সাকিব। তিনি ৪ বল খেলে বিনা রানেই আউট হয়েছেন। হর্ষিত রানার বলে হার্দিক পান্ডিয়ার হাতে ধরা পড়েন রিশাদ হোসেন। তিনি ১২ বলে ১টি চার এবং ২টি ছয়-সহ ১৮ রান করেন। মহম্মদ শামির বলে বিরাট কোহলির হাতে ধরা পড়লেন জাকির আলি। তিনি ১১৪ বলে ৪টি চার-সহ ৬৮ রান করেছেন। তানজিদ হাসানকে ফিরিয়ে দেন অক্ষর প্যাটেল। তানজিদের ক্যাচ ধরেন কেএল রাহুল। ২৫ বলে ৪টি চার-সহ ২৫ রান করেছেন তানজিদ।এক দিনের বিশ্বকাপে ঠিক যেখানে শেষ করেছিলেন, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে যেন সেখান থেকেই শুরু করলেন মহম্মদ শামি। আইসিসি প্রতিযোগিতায় ফিরেই আবার ছন্দে তিনি। আজ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারতের প্রথম ম্যাচে পড়শি দেশ বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ৫ উইকেট নিয়েছেন শামি। এক দিনের ক্রিকেটে সবচেয়ে কম বলে এই কীর্তি গড়েছেন ভারতীয় দ্রুত গতির বোলার।বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নামার আগে শামির ঝুলিতে ১৯৭ উইকেট ছিল। ২০০ উইকেটের মাইলস্টোনে পৌঁছতে শামির দরকার ছিল ৩ টি উইকেট। জাকের আলিকে আউট করে ২০০ উইকেটে পৌঁছে যান শামি। ২০০ উইকেট নিতে ৫১২৬ বল করেছেন শামি। বিশ্বে এত কম বলে কোনও বোলার ২০০ উইকেট নিতে পারেননি। এত দিন এই রেকর্ড ছিল মিচেল স্টার্কের দখলে। অস্ট্রেলিয়ার পেসার মিচেল স্টার্কের ২০০ উইকেট নিতে ৫২৪০ বল করেছিলেন।

ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

১৯৮৩-২০২৪ ব্যবধান ৪১ বছর হলেও, একসুত্রে ধরা পরলো কপিল-সূর্য-র 'ক্যাচ'-এ

ভারতীয় ক্রিকেট দল শনিবার বর্বাডোসে ২০২৪-র টি-২০ বিশ্বকাপ জয়লাভ করে ক্রিকেট ইতিহাসে একটি নতুন অধ্যায় শুরু করেছে। মেন ইন ব্লু চূড়ান্ত খেলায় দক্ষিণ আফ্রিকাকে সাত রানে হারিয়ে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ট্রফি জিতেছে। ১১ বছরের দীর্ঘ আইসিসি ট্রফির খরার অবসান ঘটে। এশিয়ান জায়ান্টরা শেষবার ২০১৩ তে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিতেছিল।ভরতের বারা ভাতে ছায় দিয়ে দিয়েছিলো অক্ষর প্যাটেলের ১৫ তম ওভার। হেনরিক ক্লাসেন অক্ষর প্যাটেলের ওই ওভারে ২৪ রান নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকাকে প্রায় জয়ের দোরগোড়ায় নিয়ে আসেন। ঠিক যখন ম্যাচটি ভারত হাত থেকে সরে যাচ্ছে বলে মনে হচ্ছে, ঠিক সেই সময় ১৬ তম ওভারে হার্দিক পান্ড্য বল করতে এসেই বিপজ্জনক ক্লাসেনকে উইকেটের পিছনে ধরা দিতে বাধ্য করেন। এক্ষেত্রে উইকেটরক্ষক ঋষভ পন্থ কোনও ভুল করেননি। অক্ষর প্যাটেলের ওভারে বিশাল রান হওয়ার সাথে সাথে কমেন্ট্রী বক্সে বহু যুদ্ধের নায়ক রবি শাস্ত্রী কে বলতে শোনা যায়, যখন ব্যাটারকে কোনও কিছুতেই পরাস্ত করা যাচ্ছে না তখন মোমেন্টাম ব্রেক করতে হয়। মানে সাময়িক বিরতি খেলোয়ারের মনচ্যুতি বা ধৈর্জচ্যুতি ঘটে, এখানে লক্ষনীয় ঋষভ পন্থ পায়ে চোটের জন্য ফিজিও ডেকে ৩-৪ মিনিট সময় ব্রেক নিলেন। তাতেই কাজ। ক্লাসেন ধৈর্জ হারিয়ে বাইরের বল তারা করে উইকেটের পিছনে ধরা পরলেন।ক্রিজে ডেভিড মিলারের সাথে জনসেন, প্রোটিয়ারা তখনও স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে, তাঁরা নিশ্চিত ছিল এই ম্যাচ তাঁরা বের করে নিতে পারবে। ক্লাসেনের বিদায়ের পরের তিনটি ওভার আরশদীপ, বুমরা, হ্রাদিক যেন অলৌকিক স্পেলিং করলেন। বল-রান প্রায় সমান-সমান অবস্থা থেকে আস্কিং রেট ক্রমশ বারতে থাকে। চাপ বাড়ে সাউথ আফ্রিকার। শেষ ওভার কে বল করবে এই নিয়ে ভাবনার মাঝেই হ্রাদিক বল হাতে রান-আপে দাঁড়ায়। ভারতীয় দলের দিকপাল ফিল্ডাররা তখন বাউন্ডারি লাইনের গা ঘেঁশে দাঁড়িয়ে। হ্রাদিকের ২০ তম ওভারের প্রথম বল, কিলার মিলার সোজা লং অফের দিকে তুলে মাড়লেন, হৃদস্পন্দন সাময়ীক ছন্দ হারালো বল মাঠের বাইরে চলে যাচ্ছে দেখে। সবাই যখন বলটাকে মাঠের বাইরে যেতে দেখছে, একজন কিন্তু ওটাকে বিশ্বকাপ দেশের বাইরে চলে যাচ্ছে দেখছিলেন। লং অফ বাউন্ডারিতে দাড়িঁয়ে ধীর শান্ত ভাবে বলটিকে তালুবন্দি করলেন, নিজের ভারসাম্য ঠিক রাখার জন্য তালুবন্দি বলটিকে হাওয়ায় ভাসিয়ে দিয়ে মাঠের বাইরে গিয়ে ভারসাম্য ঠিক করে আবার মাঠে ঢুকে ফাইনালি বিশ্বকাপ (বল) তালুবন্দি করলেন সূর্যকুমার যাদব। তাঁর এই শান্ত মাথা তাঁকে চাপের মধ্যে সর্বকালের অন্যতম সেরা ক্যাচ নিতে সাহায্য করেছিল।তাঁর এই অনবদ্য ক্যাচ ক্রিকেট ইতিহাসে আইসিসি বিশ্বকাপ ফাইনালে ইভেন্টে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ ক্যাচ হয়ে থাকলো। অবধারিত ভাবেই সূর্যকুমার যাদবের এই মহাকাব্যিক ক্যাচ ১৯৮৩-র বিশ্বকাপ ফাইনালে ভারত অধিনায়ক কপিলদেবের ঐতিহাসিক ক্যাচ নেওয়ার কথা মনে করিয়ে দেয়। সেদিনও মদনলালের বলে ভিভিয়ান রিচার্ডসের ডিপ মিড-উইকেটে তোলা উঁচু ক্যাচ কপিল দেব প্রায় ২৫ মিটার পিছনে দৌড়ে গিয়ে অসামান্য দক্ষতায় তালুবন্দি করেন। সেদিনও ভিভ রিচার্ডস না ফিরলে ভারতের বিশ্বকাপ জয় হয়ত বা সম্ভব হত না। ৪১ বছর পর, সূর্যকুমার যাদবও শেষ ওভারে তার খেলা পরিবর্তনকারী ক্যাচ দিয়ে ভারতের ভাগ্য পরিবর্তন করলেন। যদিও কপিলের ক্যাচ ভারতীয় ক্রিকেটের চেহারা চিরতরে বদলে দিয়েছে, সূর্যকুমার যাদব ভারতীয় ক্রিকেটের ১১ বছরের দীর্ঘ যন্ত্রণার অবসান ঘটিয়েছে কারণ রোহিতের অধিনায়কত্বে এই দলটি অধীর আগ্রহে আইসিসি খেতাবের জন্য অপেক্ষা করেছিল। ভারতীয় ক্রিকেট তাদের ক্রিকেট ইতিহাসে আরেকটি গৌরবময় অধ্যায় শুরু করার সাথে সাথে, কপিলদেব এবং সূর্যকুমার যাদব তাদের দুর্দান্ত ফিল্ডিং দিয়ে দলের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য চিরকাল স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।

জুন ৩০, ২০২৪
খেলার দুনিয়া

দেশের হয়ে শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলে ফেললাম, বিশ্বকাপ জিতে সমর্থকদের কাঁদালেন বিরাট কোহলি

বিশের বিশ্বযুদ্ধে আর পাওয়া যাবেনা তাঁকে। ক্রিকেট মহাকাব্যের রূপকথার নায়ক পরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আর খেল্বেন না। বিশ্বকাপ জিতেই এই ফরম্যাট থেকে তাঁর এই অবসরের কথা ঘোষনা করলেন বিরাট কোহলি। সারা টুর্নামেন্ট নিস্প্রভ থেকেও ফাইনালে জ্বলে ওঠেন বিরাট। ম্যাচের সেরার খেলোয়ারের পুরস্কার নিতে এসে নিজের মুখেই অবসরের কথা ঘোষণা করে দিলেন তিনি। হর্ষ ভোগলের প্রশ্নের উত্তরে জানালেন, টি=২০ বিশ্বকাপ ফাইনালই তাঁর শেষ টি-২০ বিশ্বকাপ ম্যাচ হয়ে থাকল। তিনি আরো জানান, পরের প্রজন্মকে জায়গা ছেড়ে দিতেই তাঁর এই সিদ্ধান্ত।শনিবারের ক্রিকেটের মহারনে প্রচণ্ড ধৈর্যশীল এক ইনিংস খেলে ৭৬ রান করেন। গোটা টুর্নামেন্টে চুড়ান্ত সফল ব্যাটার রোহিত শর্মা ফাইনালে প্রথমেই ফিরে যাওয়ায় বিরাটের ওপর বিশাল চাপ এসে পরে। ক্রিকেট দেবতার বরপুত্র চাপ কাটিয়ে ধীরে ধীরে এল আসাধরণ ইনিংস খেললেন কোহলি। শেষ পর্যন্ত তাঁর ওই ইনিংস-ই ভারতকে বড় স্কোরে দাঁড় করিয়ে দেয়। বিরাট কোহলি ম্যাচের সেরার পুরস্কার নিতে এসে বলেন, এটাই আমার শেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ছিল। ঠিক যেটা অর্জন করতে চেয়েছিলাম সেটাই করেছি। মাঝে মাঝে এটা মনে হয় যে আপনি হয়তো রান পাচ্ছেন না। তার পরেই একটা বড় রান চলে আসে। আসলে আমার কাছে ব্যাপারটা ছিল, হয় এখন, না হলে কখনও নয়।তাঁর আগে অবধি কেউ আন্দাজ করতে পারেননি যে এর পর তিনি সেই সাঙ্ঘাতিক সিদ্ধান্তের কথা জানাবেন! হর্ষের পরবর্তী প্রশ্নের উত্তরে কোহলি বলেন, এটাই ভারতীয় দলের হয়ে আমার শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ ছিল। আমরা বিশ্বকাপ জিততে চেয়েছিলাম। জোর করে কোনও পরিস্থিতি তৈরি করার থেকে পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া উচিত। সবাই জানত এর পরে কী হতে চলেছে। এটাই সময় নতুন প্রজন্মের হাতে দায়িত্ব তুলে দেওয়ার। অসাধারণ সব ক্রিকেটার রয়েছে আমাদের ভারতীয় দলে। ওরাই দলকে পরবর্তী সময়ে সঠিক পথে এগিয়ে নিয়ে যাবে এবং দলকে আরও উঁচুতে তুলবে।

জুন ৩০, ২০২৪
খেলার দুনিয়া

ওস্তাদের 'বিরাট' মার শেষ রাতে! ১৩ বছর পর বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ভারত

ভারতের ১৭৬ রান টপকে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে টি-২০ বিশ্বকাপ ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকার রথ থেমে গেল ১৬৯ রানে। ভারতের ১১ বছর পর আইসিসি ট্রফি খরা কাটল। প্রতিযোগিতায় অপরাজিত থেকে এবারের টি-২০ বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন ভারত। ভারতই প্রথম দেশ যারা অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন।রোহিতের নেতৃত্বে ভারত টস জিতে প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভার ৭ উইকেটে তোলে ১৭৬ রান। সারা টুর্নামেন্টে সেভাবে নিজেকে মেলে ধরতে না পারলেও, চূড়ান্ত খেলায় মেলে ধরলেন নিজেকে, কোহলি একাই করেছেন ৭৬ রান। এ যেন ওস্তাদের মার শেষ রাতে। ফাইনালে ভারত দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৭ রানে হারাল।হার্দিকের বলে ঋষভ পন্থের হাতে ধরা পড়লেন হেনরিখ ক্লাসেন। যার ফলে, সংকটজনক পরিস্থিতিতে বড় সাফল্য পেল ভারত। ক্লাসেন ২৬ বলে ৫২ রান করেছেন। ২টো চার ও ৫টা ছয় মেরেছেন। এরপর মার্কো জানসেনকে ২ রানে বোল্ড করে ফিরিয়ে দেন বুমরাহ। শেষলগ্নে দক্ষিণ আফ্রিকার কফিনে পেরেক পুঁতে ডেভিড মিলারকে ফিরিয়ে দেন হার্দিক পান্ডিয়া। মিলার ১টি চার ও ১টি ছয় সহযোগে ১৭ বলে ২১ রান করার পর সূর্যকুমার যাদবের হাতে ধরা পড়েন।দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটারদের হাতে বেধড়ক মার খেলেন কুলদীপ যাদব ও অক্ষর প্যাটেল। কুলদীপ গোটা টুর্নামেন্টে ভালো খেললেও এই ম্যাচে ৪ ওভারে ৪৫ রান দিয়েছেন। তিনি একটাও উইকেট পাননি। অন্যদিকে অক্ষর প্যাটেল ৪ ওভারে ৪৯ রান দিয়েছেন। শুধু ট্রিস্টান স্টাবসের উইকেট পেয়েছেন। অলরাউন্ডার অক্ষর অবশ্য ব্যাটিংয়ে ফাইনালের দর্শকদের তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। তিনি ১টি চার আর ৪টি ছয় সহযোগে ৩১ বলে ৪৭ রান করেন।ক্লাসেন ২৬ বলে ৫২ রান করেছেন। মিলার ৯ বলে ১৫। জয়ের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকার ২৪ বলে ২৬ রান প্রয়োজন। ক্লাসেন ২টো চার ও ৫টা ছয় মেরেছেন। ক্লাসেন কাঁপুনি ধরিয়ে দিয়েছিল ভারতীয় বোলারদের। একটা সময় তো মনে হচ্ছিল ম্যাচের রাশ ভারতের হাত থেকে ফসকে যাচ্ছে।পুরো টুর্নামেন্টে ঘারাবাহিকভাবে ব্যর্থ কিংবদন্তি ক্রিকেটার বিরাট কোহলি শনিবার বার্বাডোজে টি-২০ বিশ্বকাপের ফাইনালে জ্বলে ওঠেন। মধ্যে কয়েকটা বল নষ্ট করলেও রীতিমতো ধরে খেলে অর্ধশতক পূর্ণ করতেই তিনি ফেরেন চেনা ছন্দে। ৬টি চার এবং ২টি ছয় মেরে ৫৯ বলে ৭৬ রান করেন। শেষে মার্কো জানসেনের বলে কাগিসো রাবাদার হাতে ধরা পড়েন কোহলি। যার জেরে ভারতের ৫ম উইকেটের পতন হয়। অক্ষর প্যাটেলও দুর্দান্ত খেলেছেন। ১টি চার আর ৪টি ছয় সহযোগে ৩১ বলে ৪৭ রানও করেন। কিন্তু, অর্ধশতকের মুখে কুইন্টন ডি কক রান আউট করে দেন অক্ষর প্যাটেলকে। শিবম দুবে ৩টি চার ও ১টি ছয় সহযোগে ১৬ বলে ২৭ রান করেছেন। এছাড়া ভারতের বাকিরা দুই অঙ্কের ঘরে প্রবেশ করেনি।

জুন ৩০, ২০২৪
খেলার দুনিয়া

১০ জনে খেলেও প্রথমবার আইএসএল লিগ-শিল্ড চাম্পিয়ান মোহনবাগান

ইতিহাস তৈরি করল মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। আইএসএল প্রতিযোগিতার দশ বছরের ইতিহাসে মোহনবাগান এই প্রথম লিগ-শিল্ড জিতল মোহনবাগান। বাংলা নববর্ষের দিন বার পুজো করে দ্বিতীয় দিনেই সাফল্য। সোমবার কোলকাতার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে ফুটবলের মহারণে মুম্বই সিটি এফসি-কে ২-১ গোলের ব্যবধানে হারিয়ে দিল। মোহনবাগানের হয়ে গোল দুটি করেন লিস্টন কোলাসো এবং জেসন কামিংস।খেলার শেষ মুহুর্তে মুম্বই এফসির একমাত্র গোলটি করেন লালিয়ানজুয়ালা ছাংতের। ২০২৩ এ আইএসএলের ট্রফি মোহনবাগান জয়লাভ করলেও লিগ-শিল্ড কখনও জেতেনি তারা। আন্তোনিয়ো হাবাসের দলের অধরা স্বপ্নও পূরণ হয়ে গেল ২০২৪ এ। মোট ২২ টি ম্যাচ খেলে ৪৮ পয়েন্ট নিয়ে লিগ-শিল্ড শেষ করল তারা। আইএসএল ট্রফি জিতে ডাবল করার সুযোগ এখন মোহনবাগানের সামনে।খেলার শুরু থেকেই বারবার আক্রমণে উঠে মোহনবাগান রক্ষণভাগকে বিব্রত করতে থাকে মুম্বাই এফসি। আক্রমনের চাপে বেশ কয়েকটি কর্নার আদায় করে নিয়েছে মুম্বাই। খেলার ১৭ মিনিটের মাথায় হলুদ কার্ড দেখেন শুভাশিস।LISTON COLACO SENDS THE CROWD CRAZY!!! 🔥🔥🔥Watch #ISL 2023-24 live on @JioCinema , @sports18 @vh1india 👉 https://t.co/lCKd3AbGTl#MBSG #JoyMohunBagan #আমরাসবুজমেরুন #ISL10 #LetsFootball #ISLonJioCinema pic.twitter.com/97oz51PuGo Mohun Bagan Super Giant (@mohunbagansg) April 15, 2024২৮ মিনিটে মোহনবাগানের হয়ে খেলার প্রথম গোলটি করেন লিস্টন কোলাসো। মুম্বই সিটির বিরুদ্ধে মোহনবাগান ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় হাবাসের দল। বক্সের বাঁদিকে বল পেয়েছিলেন কোলাসো। তাঁর সামনে ছিলেন মুম্বাইয়ের বিপিন সিংহ। বিপিনকে এক ঝটকায় ডানদিকে মচ্র দিয়ে বাঁদিক দিয়ে বল কাটিয়ে নিয়েই সোজা জালে জড়িয়ে দেন লিস্টন।খেলার প্রথম দিকেই গোল পেয়ে যাওয়ায়, যুবভারতীর মোহন সমর্থদের প্রবল হর্ষ ধ্বনিতে তখন কান পাতা দায়। সবুজ-মেরুনে সমর্থকে ভরা যুবভারতী তখন মোহনবাগানের ঘরের মাঠ। আনুমানিক ৪৬ হাজার ফুটবল প্রেমী এদিন যুবভারতী স্টেডিয়ামে খেলা দেখতে হাজিত হয়েছেন। বলাবাহুল্য তাঁরা সকলেই ছিলেন মোহনবাগান সমর্থক।গোল খেয়ে পেছিয়ে গিয়েও হাল ছাড়েনি মুম্বাই এফসি। বারবার প্রতি আক্রমণে এসে বিব্রত করতে থাকে বাগানিদের। এই রকমই এক আক্রমণ থেকে গোল করার সুযোগ পেয়ে যায় তারা। গোলের সিজোগ নষ্ট করে মুম্বইয়ের ছাংতে। মুম্বাইয়ের পেরেদা দিয়াজ় বল ভাসিয়েছিলেন মোহনবাগানের বক্সে ছাংতের উদ্দেশে। কিন্তু সেই ছাংতে বলের আন্দাজ বুঝতে পারেননি। ছাংতে বলে ঠিক মতো পা লাগাতে না পারায় কোনও অঘটন ঘটেনি।খেলায় গতি আনতে মুম্বই এফ সি খেলোয়াড় বদল করে। তারা তিরিকে বসিয়ে সেই জায়গায় নামলেন ইয়াকুব ভজতাস।৬১ মিনিটে মোহনবাগান ও দু - দুটি বদল করে, সবুজ-মেরুন সাদিকু এবং কাউকোকে তুলে নেয়। তদের জায়গায় হাবাস নামান কামিন্স এবং হামিল-কে।CHECKMATE ♟️🃏Watch #ISL 2023-24 live on @JioCinema, @sports18 @vh1india 👉 https://t.co/lCKd3Ab93N#MBSG #JoyMohunBagan #আমরাসবুজমেরুন #ISL10 #LetsFootball #ISLonJioCinema pic.twitter.com/1XnEdAeicz Mohun Bagan Super Giant (@mohunbagansg) April 15, 2024গোলের ব্যবধান কম থাকায় দুদলই মাঝমাঠের দখল নেওয়ার চেষ্টায় মরীয়া হয়ে ওঠে। মুম্বাইয়ের আক্রমণের ঝাঁঝ প্রতিহত করতে খেলার গতিকে মন্থর করে দিতে হাবাসে মোহনবাগান নানা আছিলায় সময় নষ্টের চেষ্টা করছে। এক গোলে এগিয়ে থাকার সুবিধা নিতে তারা গতি মন্থরতার স্ট্রেটেজি নিয়েছে বলে বিশেষজ্ঞ মহলের ধারনা। এদিকে মুম্বাই ও খেলার ঝাঁজ বাড়াতে প্রতি আক্রমণে ওঠার চেষ্টা করে গেছে বারবার। কিন্তু মোহনবাগানের জমাট রক্ষণে প্রতিহত হয়ে ফিরে এসেছে সেই সমস্ত আক্রমণ।দুই দলের দুজন হলুদ কার্ড দেখেন! মোহনবাগানের দীপক টাংরি এবং মুম্বইয়ের ভান নিফ। খেলার ৮০ মিনিটে আবার গোল মোহনবাগানের। বাগানের হয়ে গোল করলেন পরিবর্ত খেলোয়াড় জেসন কামিন্স। মুম্বইয়ের মাঝমাঠে বল পেয়েছিলেন পেত্রাতোস, তিনি বল বাড়ান কামিন্সকে লক্ষ্য করে। কাউন্টার অ্যাটাকে গিয়ে মুম্বইয়ের রক্ষণভাগ তখন অনেকটাই ওপরে উঠে এসেছে। কামিন্স বল ধরে তাড়াহুড়ো না করে, দেখে শুনে বল জালে জড়িয়ে দেন। মহোনবাগান এগিয়ে যায় ২-০ ব্যবধানে।খেলার নির্ধারিত সময় শেষ হবার ১ মিনিট আগে ৮৯ মিনিটে মুম্বই এফ সি ১ টি গোল শোধ করে। মুম্বাইয়ের হয়ে গোলটি করেন ছাংতে। কর্নার থেকে আসা বলে গোল করেন ছাংতে।

এপ্রিল ১৫, ২০২৪
খেলার দুনিয়া

শেষ ৩০ মিনিট ১০ জনে খেলেই ডুরান্ড চ্যাম্পিয়ন! বাগানিরা "সেই মাঠেই বদলা নিল"!

সবুজ মেরুন ব্রিগেড ডুরান্ডের গ্রুপ লিগে হারের মধুর বদলা নিলো ফাইনালে। চিরশত্রু ইস্টবেঙ্গলের কাছে লিগের ম্যাচে সাড়ে চার বছর অপরাজিত থেকে হারতে হয়েছিল মোহনবাগানকে। আজ রবিবাসরীয় ফাইনালের ডার্বিতে সেই লাল-হলুদকেই পরাজিত করে ডুরান্ড চ্যাম্পিয়ন হল সবুজ-মেরুন। এটি মোহনবাগানের ১৭ তম ডুরান্ড খেতাব। ইস্টবেঙ্গলকে টপকে মোহনবাগানই এই খেতাবের সর্বোচ্চ দাবিদার। এত দিন ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে যৌথ ভাবে ১৬ বার ডুরান্ড কাপ জিতেছিল মোহনবাগান। টিকেটের চূড়ান্ত অব্যবস্তা, টিকিটের হাহাকার, দীর্ঘদিন পর দুই প্রধান ফাইনালে একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বী সব মিলিয়ে রবিবারের যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন এক অস্ত্রবিহীন যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হয়েছিল।সাড়ে চার বছর ধরে টানা আটটি ম্যাচে হারের ধাক্কা কাটিয়ে লাল হলুদ ডুরান্ডের লিগ পর্বের ডার্বিতে জয়ের মুখ দেখে সমর্থকরা আশায় বুক বেঁধেছিলেন। কিন্তু সেই জয়ের রেশ কাটতে না কটতেই চিংড়ির কাছে পড়াজিত ইলিশ। মাত্র তিন সপ্তাহের মধ্যেই যে ডার্বির মুকুট লাল হলুদের মাথায় গিয়েছিল তা আবার পাল তোলা নৌকা মশালর থেকে ছিনিয়ে নিয়ে গেলো।ঠিক যেন রূপকথা, জয় মোহনবাগান 💚️#MBSG #JoyMohunBagan #আমরাসবুজমেরুন pic.twitter.com/TNpEi1D1IJ Mohun Bagan Super Giant (@mohunbagansg) September 3, 2023খেলার ৬০ মিনিটের মাথায় লাল কার্ড দেখেন মোহনবানের অনিরুদ্ধ। লাল হলুদের বাম দিকের মাঝমাঠের প্লেয়ার যেখানে দাঁড়ায় ঠিক সেই জায়গায় ইস্টবেঙ্গালের সিভেরিয়ো একটি উচু বল হেডে ক্লিয়ার করতে গিয়েছিলেন। ঠিক সে সময়-ই আচমকা বলের নাগাল পেতে অনিরুদ্ধ তাঁর ডান পা ওপরে তুললে সিভেরিয়োর মুখে লাগে। অনিচ্ছাকৃত ভুল হলেও ঐ ঘটনাতে মারাত্মক চোট পেতে পারতেন লাল হলুদ খেলোয়াড়। ফুটবলের নিয়মে এটি অমার্জনীয় অপরাধ। রেফারি অনিরুদ্ধকে হলুদ কার্ড দেখান, কিন্তু ওটি তাঁর দ্বিতীয় হলুদ কার্ড হওয়ায় রেফারি তাঁকে লাল কার্ড দেখিয়ে মাঠের বাইরে যাওয়ার নির্দেশ দেন। তখনো খেলার ৩০ মিনিট বাকি। ফলাফল গোলশূন্য, ম্যচের ফল যেকোনো দিকেই যেতে পারে। বীনা মেঘে বজ্রপাত হয় বাগান শিবিরে, তখন বাগান গ্যালারীতে শ্মশানের নিস্তব্ধতা।মোহনবাগানের হয়ে একমাত্র জয়সুচক গোলটি করেন দিমিত্রি পেত্রাতোস। ১০ জন হয়ে যাওয়ার পরও ইস্টবেঙ্গল সেইভাবে আক্রমণের ঝাঁজ বাড়াতে ব্যার্থ হয়। ম্যাচের শেষ আধ ঘণ্টা সেই ভাবে বোঝাই গেলো না যে মোহনবাগান দশ জনে খেলছে। টানা আটটি ডার্বি জেতার পর হেরে গিয়ে আবার ইস্টবেঙ্গলকে হারিয়ে যেটুকু সুতো ছেড়েছিল আবার গুটিয়ে নিলো মেরিনার্সরা।প্রথমার্ধে থেকেই দুদলের খেলাই উদ্দেশহীন লেগেছে। কোন আক্রমণ-ই সেইভাবে গোলমুখে দানা বাঁধলো না। দেখা গেলো না গোল লক্ষ করে জোরালো কোন শট। সৃজনশিলতা ও সৃষ্টিশীলতা যেমন ছিলো না তেমনই খেলায় প্রান প্রতিষ্টা করতে ব্যর্থ দুই দল-ই। দুই দলেরই দূর্বলতম জায়গা রক্ষণ। তাই যেকোনো আক্রমণ দেখেই মনে হচ্ছিল এই বুঝি গোল হয়ে গেলো। দুই দলই একাধিক গোলের সুযোগ পেয়েও তা কাজে লাগাতে পারেনি।১৭তম ডুরান্ড জয় 💚️#MBSG #JoyMohunBagan #আমরাসবুজমেরুন pic.twitter.com/REQZe95DAZ Mohun Bagan Super Giant (@mohunbagansg) September 3, 2023এইরকম হাইভোল্টেজ ম্যাচ গোল শুন্য থাকলে যা হওয়া উচিত তাই হচ্ছিল। দুই দলই বলের থেকে বেশী শরীরে ধাক্কা মারা পছন্দ করছিল। দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচ ক্রমশ শারীরিক ফুটবলে পর্যবসিত হয়ে ওঠে। বুমোস, বোরহা, ক্রেসপো তিন তিন জন হলুদ কার্ড দেখে ফেলেন। ধাক্কাধাক্কি, ঠেলাঠেলি, হাতাহাতির চুড়ান্ত পরিণতি অনিরুদ্ধ থাপা-র লাল কার্ড। তবে শেষ হাসি সবুজ-মেরুন-ই হাঁসে। দশ জনে হয়ে যাওয়ার কিছুক্ষণ পরেই মোহনবাগানের হয়ে জয়সূচক গোল করে যান পেত্রাতোস। অজি তারকার একক প্রচেষ্টার গোলেই শেষমেশ ডার্বি এবং ডুরান্ড জয় পায় বাগান।দশ জনে হয়ে যাওয়ার পরেও মোহনবাগানকে আক্রমণের রাস্তা থেকে সরে আসতে দেননি কোচ ফেরান্দো। পরিবর্ত খেলোয়াড় হিসাবে সেই সময় যেকোনও কোচই রক্ষণ বিভাগের খেলোয়াড় নামিয়ে খেলাটার গতি মন্থর করে দিতে চাইবে। বাগান কোচ ফেরান্দো তখন বুমোসের পরিবর্ত হিসাবে কামিংসকে নামান। অন্যদিকে লিস্টন কোলাসোকে নামান আশিক-কে তুলে নিয়ে। ফেরান্দো-র সেই সিদ্ধান্তগুলি কতটা সঠিক ছিলো তার প্রমান মিলে গেলো ১০ জন হবার ১০ মিনিট বাদেই।চিরকাল রেলায় আছে থাকবে মোহনবাগান 💚️#MBSG #JoyMohunBagan #আমরাসবুজমেরুন pic.twitter.com/of6f1pSOq2 Mohun Bagan Super Giant (@mohunbagansg) September 3, 2023খেলার ৭০ মিনিটে গোল পাবার পর মোহনবাগান তাঁদেরকে নিজেদের অর্ধে গুটিয়ে নেন। ১০ জনে খেলেও শেষমেশ ২০ মিনিট তাঁরা কোনও অঘটন ঘটাতে দেননি। লাল হলুদ খেলোয়াররা একের পর এক সুযোগ তৈরি করলেও আসল কাজ করতে ব্যর্থ হয়। মোহনবাগানের রক্ষণ ভেদ করতে তাঁরা পারেননি। সেমিফাইনাল ম্যাচ জিতে মোহনবাগানিদের স্লোগান এই মাঠেই বদলা নেব শেষমেশ সত্যি হল।

সেপ্টেম্বর ০৩, ২০২৩
খেলার দুনিয়া

বর্ষা শেষে বর্শায় সোনা গাঁথল সোনার ছেলে নীরজ, ইতিহাস গড়ে বিশ্ব অ্যাথলেটিক্সে প্রথম স্বর্ণপদক

প্রথম ভারতীয় হিসাবে বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপের ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ড মিটে জ্যাভলাইন সোনার পদক জিতলেন নীরজ চোপরা। চূড়ান্ত পর্বে ফাইনালে ৮৮.১৭ মিটার দূরত্বে জ্যাভলিন ছুঁড়ে ইতিহাস গড়লেন অলিম্পিক্সের সোনাজয়ী ভারতেরএই সোনার ছেলে।নীরজের ট্রাম্প কার্ড সাধারণত প্রথম থ্রোয়েতেই লুকানো থাকে। ফাইনালে সেই কার্ড কাজে না এলেও সোনা পেতে কোনও অসুবিধা হয়নি। ফাইনালে নীরজের প্রথম থ্রো ফাউল হয়। নীরজ তাঁর দ্বিতীয় থ্রোতেই ৮৮.১৭ মিটার দূরত্বে জ্যাভলিন ছুঁড়ে বিপক্ষকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেন। ঠিক যেমন যোগ্যতা অর্জন পর্বে ৮৮.৭৭ মিটার দূরত্বে জ্যাভলিন ছুঁড়ে এক থ্রোয়েই বাজিমাত করে দিয়েছিলেন। সেই এক থ্রোয়েই নীরজ প্যারিস অলিম্পিক্সের যোগ্যতা অর্জনও করে ফেলেছেন।.@Neeraj_chopra1 brings home a historic gold for India in the javelin throw 👏#WorldAthleticsChamps pic.twitter.com/YfRbwBBh7Z World Athletics (@WorldAthletics) August 27, 2023কিন্তু ফাইনালে প্রথম থ্রোটি ফাউল করে ফেলেন নীরজ। দ্বিতীয় থ্রোতে আর কোনও ভুল করেননি তিনি। সারা দেশের রাত জাগা সফল করে ৮৮.১৭ মিটার দূরত্বে জ্যাভলিন ছুঁড়েই উল্লাসে চিৎকার করে ওঠেন। প্রতিপক্ষের পরিসংখ্যান তার জানায় ছিল। তাই হয়ত নিজে বুঝতে পেরে গিয়েছিলেন যে, তাঁকে টপকানো একটু চাপ আছে। দ্বিতীয় স্থানে শেষ করেন পাকিস্থানের নাদিম, তিনি ৮৭.৮২ মিটার দুরুত্বে জ্যাভলিন ছোঁড়েন। ভারতের ওপর দুই প্রতিযোগী জেনা ও মানু যথাক্রমে পঞ্চম ও ষষ্ঠ স্থানে শেষ করেন। জেনার সর্বোচ্চ দূরত্ব ছিল ৮৪.৭৭, এটি তার ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ এবং মানু ছোঁড়েন ৮৪.১৪ মিটার।অলিম্পিক্সে অ্যাথলেটিক্সে সোনা পদক প্রাপ্তির পর থেকেই নীরাজ চোপরার ওপর দেশ বাসীর আশা ক্রমশ উর্ধমুখী হয়ে উঠেছে। দেশের একজন ক্রীড়াবিদ হিসাবে তার সামাজিক মাধ্যম ইন্সটাগ্রাম ফলোয়ারের সংখ্যা সর্বাধিক। ইন্সটাগ্রামে নীরজের ফলোয়ার ছয় মিলিয়ন। নীরজের জন্য ২০২১ সালের ৭ অগস্ট দিনটি ভারতীয় ক্রীড়াপ্রেমীদের কাছে স্বর্নাক্ষরে লেখা আছে। অলিম্পিক্সে অ্যাথলেটিক্সে দেশকে সোনা এনে তিনি হয়ে উঠেছিলেন ভারতের সোনার ছেলে।

আগস্ট ২৮, ২০২৩
খেলার দুনিয়া

বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে উঠলেন নীরজ, দুরন্ত থ্রো! প্যারিস অলিম্পিক্সের যোগ্যতা ও অর্জন করলেন

আবার দুরন্ত ভারতীয় ট্র্যাক ফিল্ডের সোনার ছেলে। ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ডে ফের স্বমহিমায় জ্যাভলিন থ্রোয়ার নীরজ চোপড়া। সোনা জয়ের লক্ষ্যে আরও এক ধাপ এগোলেন এই ভারতীয় অ্যাথলিট। তার সাথে সাথেই প্যারিস অলিম্পিকের ছাড়পত্র পেয়ে গেলেন নীরজ।তার প্রথম থ্রো ছিল ৮৮.৭৭ মিটার-র। শুক্রবার প্রথম থ্রোয়েই নীরজ যোগ্যতা অর্জনের মাপকাঠি পেরিয়ে যান। এই মরশুমে এটাই নীরজের সেরা থ্রো। আগামী ২৭শে আগস্ট রবিবার ফাইনালে সোনার লক্ষে ট্রাকে নামবেন নীরজ। ক্যারিয়ারের বিভিন্ন সময়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক আসরে পদক অনেক পেলেও, তিনি কোনদিন বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে সোনা জেতেননি।এবারের বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স মিট অনুষ্ঠিত হচ্ছে হাঙ্গেরির রাজধানী বুদাপেস্টে। এবারের চ্যাম্পিয়নশিপে নীরজ- সহ তিনজন ভারতীয় জ্যাভলিন থ্রোয়ার অংশ নিয়েছেন। এই ইভেন্টে মোট প্রতিযোগীর সংখ্যা ৩৭। তার মধ্য থেকে ১২ জন ফাইনালে উঠতে পারবেন। শুক্রবার ৩৭ জনের মধ্যে প্রথম প্রতিযোগী হিসাবে ফাইনালে জায়গা করে নিলেন গত বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে রুপোজয়ী নীরজ। ফাইনালের ওঠার নিয়ম অনুযায়ী, ৮৩ মিটার বা তার বেশি দূরত্বে জ্যাভলিন ছুঁড়লেই সরাসরি ফাইনালের টিকিট মেলে। নীরজ নিজের প্রথম থ্রোয়েই তিনি ৮৮.৭৭ মিটার দূরত্ব অতিক্রম করেন সরাসরি ফাইনালে পৌঁছে যান।One throw is all it takes 🎶🇮🇳s Olympic champ @Neeraj_chopra1 is on fire in Budapest 🔥Catch him in the javelin throw final on Sunday.#WorldAthleticsChamps pic.twitter.com/ACVakCvPIK World Athletics (@WorldAthletics) August 25, 2023গ্রপ এ থেকে একমাত্র নীরজই সরাসরি ফাইনালে উঠলেন। ভারতের অপর জ্যভলিন থ্রোয়ার ডিপি মানু, তিনিও নীরজের সাথে গ্রুপ এ-তেই রয়েছেন। মানু ৮১.৩১ মিটার দূরত্বে জ্যাভলিন ছুঁড়ে গ্রুপে তিন নম্বর স্থান লাভ করেন। এখনও তাঁর ফাইনালে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অন্য গ্রুপ বি-র যোগ্যতা অর্জন পর্ব শেষে হলে জানা যাবে মানু ফাইনালে যাবেন কি না। দুটি গ্রুপ মিলিয়ে মোট ১২ জন প্রতিযোগী ফাইনালে অংশগ্রহন করবেন।

আগস্ট ২৫, ২০২৩
রাজ্য

ক্যারাটে জেলা চ্যাম্পিয়নশিপ অনুষ্ঠিত হল বর্ধমান শহরে

অল ইন্ডিয়া সোতোকান ক্যারাটে ডু স্কুলের উদ্যোগে সোতোকান ডিস্ট্রিক্ট ক্যারাটে চ্যাম্পিয়নশিপ অনুষ্ঠিত হল বর্ধমানে। বর্ধমানের লোকো কমিউনিটি হলে আয়োজিত এই প্রতিযোগিতায় পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমানের ছাত্রছাত্রীরা অংশগ্রহণ করেন। আয়োজকরা জানান, কাতা (ডেমোস্ট্রেশন) ও কুমিতে(ফাইটিং) এই দুই বিভাগে বয়স অনুপাতে মোট ৯৬ টি ইভেন্ট ছিল। প্রত্যেকটি ইভেন্টে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকারীদের সার্টিফিকেট ও স্মারক দেওয়া হয় সংস্থার পক্ষ থেকে।এই প্রতিযোগিতা থেকে স্বর্নপদক প্রাপ্তরা সরাসরি জাতীয় স্তরের প্রতিযোগিতায় সম্পূর্ণ বিনা খরচে অংশগ্রহণ করতে পারবেন বলে সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। এই প্রতিযোগিতায় মোট ২১০ জন প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করেছিল। এই প্রতিযোগিতায় উপস্থিত ছিল সংস্থার স্টাইল চীফ মনোরঞ্জন বিশ্বাস, রেনসি সেখ মুন্না, রেনসি নিরঞ্জন সাউ, রেনসি দেবব্রত মন্ডল, সেনসাই আশিষ পুরকাইত সহ একাধিক ক্যারাটে প্রশিক্ষক।

নভেম্বর ০৬, ২০২২
খেলার দুনিয়া

আশিয়ান জয়ের ১৯ বছর, ইতিহাসে ইস্টবেঙ্গল

মনে আছে ২৬ জুলাই দিনটির কথা? লালহলুদ সমর্থকদের নিশ্চয় ভুলে যাওয়ার কথা নয়। ২০০৩ সালের ২৬ জুলাই। ১৯ বছর আগে ইন্দোনেশিয়া মাটিতে ইতিহাস গড়েছিল লালহলুদ ব্রিগেড। ভারতীয় ফুটবলকে আন্তর্জাতিক স্তরে অন্য উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। বেকতেরো সাসানাকে হারিয়ে আশিয়ান কাপ জিতেছিল লালহলুদ ব্রিগেড।এশিয়ার অন্যতম সেরা দলগুলিকে নিয়ে ইন্দোনেশিয়ায় বসেছিল আশিয়ান কাপের আসর। ইন্দোনেশিয়ার সেরা দুটি দল পেত্রোকিমা পুত্রা, পার্সিতা তাঞ্জেরাং, কম্বোডিয়ার সামার্ট ইউনাইটেড, মায়ানমারের সেরা দল পেরাক এফসি, ফিন্যান্স অ্যান্ড রেভেনিউ, সিঙ্গাপুর আমর্ড ফোর্স, ব্রুনেইয়ের ডিপিএমেম এসসি, ভিয়েতনামের হোয়াং আন গিয়া লাই, থাইল্যান্ডের বেকতেরো সাসানা, ফিলিপিন্স আর্মির মতো দল প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিল। ভারত থেকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল একমাত্র ইস্টবেঙ্গলকে।গ্রুপ ডিতে ছিল ইস্টবেঙ্গল। ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গেই এই গ্রুপে ছিল থাইল্যান্ডের হাইপ্রোফাইল দল বেকতেরো সাসানা ও ফিলিপিন্স আর্মি। গ্রুপ লিগের ম্যাচে বেকতেরো সাসানার কাছে ১০ ব্যবধানে হেরে গিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। দ্বিতীয় ম্যাচে ফিলিপিন্স আর্মিকে ৬ গোলে উড়িয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছয় ইস্টবেঙ্গল। শেষ আটে ইন্দোনেশিয়ার পার্সিতা তাঞ্জেরাংকে ২১ ব্যবধানে হারিয়ে সেমিফাইনালে জায়গা করে নেয় লালহলুদ ব্রিগেড। ইস্টবেঙ্গলের হয়ে গোলদুটি করেন বাইচুং ভুটিয়া ও বিজেন সিং। সেমিফাইনালে ইন্দোনেশিয়ার পেত্রোকিমিয়া পুত্রার মুখোমুখি হয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। নির্ধারিত সময়ে খেলার ফল ছিল ১১। প্রথমে পিছিয়ে পড়েছিল ইস্টবেঙ্গল। ম্যাচের ৫৩ মিনিটে সমতা ফেরান বাইচুং। টাইব্রেকারেও খেলার মীমাংসা হয়নি। সাডেন ডেথে ৭৬ ব্যবধানে জিতে ফাইনালে ওঠে ইস্টবেঙ্গল।জাকার্তার গিলোরা বুং কার্নো স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ফাইনালে বেকতেরো সাসানার মুখোমুখি হয়েছিল গ্রুপ লিগের ম্যাচে সাসানার কাছে হারলেও ফাইনালে সেই ম্যাচের কথা মাথায় রাখেনি লালহলুদ ব্রিগেড। ফাইনালে দারুণ শুরু করে ইস্টবেঙ্গল। মাইক ওকোরোর দুরন্ত গোলে প্রথমার্ধে ১০ ব্যবধানে এগিয়ে ছিল ইস্টবেঙ্গল। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে আরও একটা গোল তুলে নেয় ইস্টবেঙ্গল। ম্যাচের ৫২ মিনিটে ২০ করেন বাইচুং ভুটিয়া। ২ মিনিটের মধ্যে বেকতেরো সাসানার হয়ে সমতা ফেরান পানাই কংপ্রাপুন। ম্যাচে ৭৮ মিনিটে গোল করে লালহলুদের আশিয়ান জয় নিশ্চিত করেন আলভিটো ডিকুনহা।আশিয়ান কাপ জয়ে ফুটবলারদের যেমন অবদান রয়েছে, তেমন অস্বীকার করা যাবে না প্রয়াত কোচ সুভাষ ভৌমিকের অবদানকেও। লালহলুদ ব্রিগেডকে স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন তিনিই। ফুটবলারদের পাঁচতারা হোটেলে রেখে আসাবাসিক শিবির, ক্লাবে জাকুজি, সবই তিনি আশিয়ান কাপের প্রস্তুতির জন্য করেছিলেন। সঙ্গে ছিল তাঁর দুর্দান্ত ফর্মেশন। গ্রুপ লিগে বেকতেরো সাসানার খেলা দেখে মনি হয়েছিল। মাঝমাঠই সবথেকে বেশি শক্তিশালী। আর বিপক্ষের সবথেকে সেরা ফুটবলার ছিলেন চাইম্যান। ফাইনালে ৩৫২ ছকে দল সাজানোর পাশাপাশি ষষ্ঠী দুলেকে চাইম্যানের মার্কার করে দিয়েছিলেন। ষষ্ঠী দুলেকে নির্দেশ দিয়েছিলেন, চাইম্যান যেখানে যাবেন, তাঁর সঙ্গে আঠার মতো লেগে থাকতে। ম্যাচ চলাকালীন চাইম্যান সাইড লাইনে জল খেতে এলেও ষষ্ঠী চাইম্যানের পাশে দাঁড়িয়ে থাকছিলেন। ফাইনালে চাইম্যানকে পুরোপুরি বন্দী করে রেখেছিলেন ষষ্ঠী দুলে। ফলে বেকতেরো সাসানার সাপ্লাই লাইন পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। গোল না করেও সেদিনের হিরো হিসেবে কিন্তু ষষ্ঠী দুলের কথা বলতেই হবে।

জুলাই ২৬, ২০২২
খেলার দুনিয়া

‌আইপিএল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর অন্য লক্ষ্য স্থির করে ফেলেছেন হার্দিক

২০১৫ সাল থেকে আইপিএলে খেলছেন। পাঁচ বার ফাইনালে উঠে পাঁচ বারই চ্যাম্পিয়ন হওয়ার অনন্য নজির গড়েছেন হার্দিক পান্ডিয়া। কিন্তু এবারের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গুরুত্বই আলাদা তাঁর কাছে। কারণ এবারই প্রথম নেতৃত্ব দেওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন আইপিএলের রঙ্গমঞ্চে। প্রথমবার নেতৃত্ব দেওয়ার সুযোগ পেয়েই বাজিমাত। তবে এখানেই থেমে থাকতে চাননা হার্দিক। তাঁর এবার লক্ষ্য দেশকে বিশ্বকাপ এনে দেওয়া।গুজরাট টাইটান্সকে ট্রফি জেতানোর পর হার্দিক পান্ডিয়া বলেন, একসময় দেশের হয়ে খেলার স্বপ্ন দেখতাম। সেই স্বপ্ন পূরম হয়েছে। দেশের হয়ে খেলার সময় সকলের সমর্থন ও ভালবাসা পেয়েছি। আমি সবসময় দেশের সাফল্যকে প্রাধান্য দিয়ে এসেছি। এবার দেশকে বিশ্বকাপ জেতানোই লক্ষ্য। সেই লক্ষ্যেই কঠোর পরিশ্রম করছি। চেষ্টা করছি সেরাটা দেওয়ার। আশা করছি সফল হব।হার্দিক আরও বলেন, আমি বরাবরই দায়িত্ব নিতে ভালবাসি, সামনে থেকে দলকে নেতৃত্ব দিতে পছন্দ করি। আমি যদি সামনে দাঁড়িয়ে পতাকা বহন করতে পারি, তাহলে সতীর্থদের কাছে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারব। আইপিএলে ৫ বার ফাইনালে উঠে ৫ বারই চ্যাম্পিয়ন হলাম। এবারের চ্যাম্পিয়ন হওয়াটা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এবছরই প্রথম নেতৃত্ব দেওয়ার সুযোগ পেয়েছি। আমার আর একটা লক্ষ্য রয়েছে। দেশের হয়ে বিশ্বকাপ জেতা।টি২০ ক্রিকেট নাকি ব্যাটারদের খেলা। হার্দিকের মত অবশ্য ভিন্ন। তিনি মনে করেন, ব্যাটাররা কয়েকটা ম্যাচ জেতাতে পারে। কিন্তু ধারাবাহিকভাবে জিততে গেলে ভাল বোলিং শক্তি দরকার। আইপিএলের মেগা নিলামে সেই দিকেই নজর দিয়েছিলেন বলে জানান হার্দিক। তাঁর কথায়, আমি আর বোলিং কোচ আশিস নেহরা ঠিক করেছিলাম, অভিজ্ঞ বোলিং শক্তি তৈরি করব। সেই লক্ষেই সামি, রশিদ, ফার্গুসনদের দলে নিয়েছিলাম। অভিজ্ঞ বোলারদের নিয়ে দল তৈরির সুফল পেয়েছি। বোলাররা প্রতি ম্যাচেই ১০২০ রান কম দিয়েছে। ওই রানগুলোই ম্যাচের ফয়সালা করে দিয়েছে। এবছর প্রতিটি ম্যাচে গ্যালারিতে ছিলেন হার্দিকের স্ত্রী নাতাশা স্তানকোভিচ। স্ত্রী ও পরিবার তাঁর সব থেকে বড় শক্তি বলে জানিয়েছেন হার্দিক। তিনি বলেন, নাতাশা আমার লড়াইয়ের সাক্ষী। ওই আমার অনুপ্রেরণা। আমি কতটা পরিশ্রম করেছি সেটা ও জানে। আমি সফল হওয়ায় ওর খুব আনন্দ হয়েছে। উচ্ছ্বাসে মেতে উঠেছিল।

মে ৩০, ২০২২
খেলার দুনিয়া

প্রথম নেতৃত্ব দেওয়ার সুযোগ পেয়েই ইতিহাস হার্দিক পান্ডিয়ার

চলতি আইপিএলে কি নতুন চ্যাম্পিয়ন দেখতে পাবেন ক্রিকেটপ্রেমীরা? না, দ্বিতীয় বারের জন্য আবার রাজস্থান রয়্যালসের হাতে উঠবে ট্রফি? আমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে প্রশ্নটা রবিবাসরীয় সন্ধেয় বারবার ঘুরে ফিরে আসছিল। ঘরের দলকে সমর্থন জানাতে এদিন গ্যালারি ভরিয়েছিলেন দর্শকরা। ক্রিকেটপ্রেমীদের হতাশ হতে হয়নি। দ্বিতীয় বার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বপ্ন চুরমার হয়ে গেল রাজস্থান রয়্যালসের। রাজস্থানকে ৭ উইকেটে উড়িয়ে আইপিএলে অভিষেকেই চ্যাম্পিয়ন গুজরাট টাইটান্স। প্রথমবার নেতৃত্ব দেওয়ার সুযোগ পেয়েই ইতিহাস গড়লেন হার্দিক পান্ডিয়া।গুজরাট টাইটান্সের বিরুদ্ধে ফাইনালে রাজস্থান রয়্যালস বড় রানের জন্য তাকিয়েছিল জস বাটলারের দিকে। বাটলার ব্যর্থ হতেই বড় রানের স্বপ্ন শেষ হয়ে যায় রাজস্থানের। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৩০ রানের বেশি তুলতে পারেননি। জয়ের জন্য ১৩১ রানের লক্ষ্য খুব একটা কঠিন ছিল না গুজরাট টাইটান্সের কাছে। কিন্তু ব্যাট করতে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই ধাক্কা খায় হার্দিক পান্ডিয়ার দল। দ্বিতীয় ওভারের চতুর্থ বলে ঋদ্ধিমান সাহার স্টাম্প ছিটকে দেন প্রসিদ্ধ কৃষ্ণা। ৭ বলে মাত্র ৫ রান করে আউট হন ঋদ্ধি। পঞ্চম ওভারের তৃতীয় বলে ম্যাথু ওয়েডকে তুলে নিয়ে ম্যাচ জমিয়ে দিয়েছিলেন ট্রেন্ট বোল্ট। ১০ বলে ৮ রান করে আউট হন ওয়েড।🏆 ➡️ 🎂 #SeasonOfFirsts #AavaDe #IPLFinal #GTvRR pic.twitter.com/eDUCgtQZgD Gujarat Titans (@gujarat_titans) May 29, 2022ওয়েড যখন আউট হন গুজরাট টাইটান্সের রান তখন ৪.৩ ওভারে ২৩/২। এরপর রাজস্থান রয়্যালসের বোলার ওপর ক্রমশ চাপ তৈরি করতে শুরু করেন হার্দিক পান্ডিয়া ও শুভমান গিল। এই দুই ব্যাটার পার্টনারশিপ গড়ে তুলে গুজরাটকে ক্রমশ জয়ের দিকে এগিয়ে নিয়ে যান। ১৪ তম ওভারের দ্বিতীয় বলে জুটি ভাঙেন যুজবেন্দ্র চাহাল। হার্দিক পান্ডিয়াকে তুলে নেন। ৩০ বলে ৩৪ রান করে আউট হন হার্দিক। গুজরাটের রান তখন ৮৬। এরপর দলকে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে দেন শুভমান গিল (৪৩ বলে অপরাজিত ৪৫) ও ডেভিড মিলার (১৯ বলে ৩২)। ১৮.১ ওভারে ১৩৩/৩ তুলে ম্যাচ জিতে যায় গুজরাট টাইটান্স।টস জিতে এদিন রাজস্থান অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। গুজরাট টাইটান্স অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়ার দুর্দান্ত বোলিং ও নেতৃত্ব একবারে ব্যাকফুটে পাঠিয়ে দিয়েছিল রাজস্থান রয়্যালসকে। যশস্বী জয়সোয়ালকে (১৬ বলে ২২) তুলে নিয়ে রাজস্থানকে প্রথম ধাক্কা দিয়েছিলেন যশ দয়াল। তারপর বাইশ গজে আগুন ঝড়ান হার্দিক। তাঁর শিকারের তালিকায় সঞ্জু (১১ বলে ১৪), বাটলার (৩৫ বলে ৩৯), হেটমায়ার (১২ বলে ১১)। পাড়িক্কলকে (২) তুলে নেন রশিদ খান। দুরন্ত বোলিং করে ৪ ওভারে মাত্র ১৭ রান দিয়ে ৩ উইকেট তুলে নেন হার্দিক। ১৮ রানে ১ উইকেট নেন রশিদ খান। ২০ রানে ২ উইকেট নেন সাই কিশোর।

মে ৩০, ২০২২
খেলার দুনিয়া

তাচ্ছিলের জবাব, ‘‌লিস্টন সাইক্লোনে’‌ উড়ে গেল বসুন্ধরা কিংস

ম্যাচের আগের দিন বাংলাদেশের বসুন্ধরা কিংসের কোচ অস্কার ব্রুজোর মুখে এটিকে মোহনবাগানকে নিয়ে শোনা গিয়েছিল তাচ্ছিল্যের সুর। জয়ের ব্যাপারে এতটাই আত্মবিশ্বাসী ছিলেন যে, ভাবছিলেন কত ব্যবধানে জিতবেন, সেই কথাই। তাঁর সেই কথা যে ফাঁকা আওয়াজ ছাড়া কিছুই ছিল না, এদিন প্রমাণ হয়ে গেল। কলকাতায় সাইক্লোনের মতো বসুন্ধরার ওপর বয়ে গেল সাইক্লোন। এই সাইক্লোনের নাম লিস্টন সাইক্লোন। যার দাপটে এটিকে মোহনবাগানের কাছে খড়কুটোর মতো উড়ে বসুন্ধরা কিংস। ৪০ ব্যবধানে জিতে এএফসি কাপে আঞ্চলিক পর্বের সেমিফাইনালে ওঠার আশা জিইয়ে রাখল সবুজমেরুণ ব্রিগেড। দুরন্ত হ্যাটট্রিক লিস্টন কোলাসোর।এদিন যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে বিকেল সাড়ে ৪টে থেকে ম্যাচ ছিল। ম্যাচ শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যেই শুরু হয় ঝড়ের তান্ডব। উড়ে যায় যুবভারতীর ছাউনির বেশ কিছুটা জায়গা। রেফারি খেলা বন্ধ রাখতে বাধ্য হন। ম্যাচ আদৌও হবে কিনা, তা নিয়ে একসময় অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছিল। ঝড় থামার পরও আকাশে মেঘের ঘনঘটা। তার মাঝেই দীর্ঘক্ষণ বন্ধ থাকার পর আবার খেলা শুরু হয়। আর তারপরই বসুন্ধরার ওপর সবুজমেরুণ ঝড়।Weather Update:Its raining goals at VYBK tonight 🌧#ATKMohunBagan #JoyMohunBagan #AmraSobujMaroon #AFCCup2022 #MarinersInAsia pic.twitter.com/8eVdxJDTPx ATK Mohun Bagan FC (@atkmohunbaganfc) May 21, 2022প্রথম ম্যাচে গোকুলাম এফসির কাছে হার এবং বসুন্ধরা কিংসের কোচ অস্কার ব্রুজোর তাচ্ছিল্য হয়তো তাতিয়ে দিয়েছিল সবুজমেরুণ ব্রিগেডকে। পরের পর্বে জেতা ছাড়া রাস্তা ছিল না এটিকে মোহনবাগানের সামনে। মরণবাঁচন ম্যাচে দারুণভাবে জ্বলে উঠলেন জুয়ান ফেরান্দোর দলের ফুটবলাররা। বৃষ্টিস্নাত যুবভারতীতে বসুন্ধরা কিংসকে নাস্তানাবুদ করে ছাড়লেন লিস্টন কোলাসোরা।শুরু থেকেই এদিন আক্রমণে ঝড় তুলেছিল এটিকে মোহনবাগান। একের পর এক আক্রমণ তুলে নিয়ে আসছিল বসুন্ধরা বক্সে। ম্যাচের ২৪ মিনিটে গোল করে এটিকে মোহনবাগানকে এগিয়ে দেন লিস্টন। ৩৪ মিনিটে তিনিই ব্যবধান বাড়ান। দ্বিতীয়ার্ধেও সবুজমেরুণের দাপট অব্যাহত ছিল। প্রথমার্ধের মতো সেই একই ছবি। ম্যাচের ৫৩ মিনিটে দলকে ৩০ ব্যবধানে এগিয়ে দেন লিস্টন। একই সঙ্গে হ্যাটট্রিকও পূর্ণ করেন। তিন গোল হজম করার পরও ম্যাচ থেকে হারিয়ে যায়নি বসুন্ধরা কিংস। বরং দারুণভাবে ম্যাচে ফিরে আসার চেষ্টা করে। কিন্তু সবুজমেরুণ ফুটবলাররা সেই সুযোগ দেননি। ম্যাচের ৭৭ মিনিটে ডেভিড উইলিয়ামস বাগানের হয়ে চতুর্থ গোলটি করেন।

মে ২১, ২০২২
খেলার দুনিয়া

৭৩ বছরের ইতিহাসে প্রথম, ব্যাডমিন্টনের বিশ্বকাপে সেরা ভারত

ইন্দোনেশিয়াকে হারিয়ে ইতিহাস তৈরি করল ভারত। ৭৩ বছরের ইতিহাসে এই প্রথমবার ব্যাডমিন্টনের বিশ্বকাপে সেরার তকমা ছিনিয়ে নিল। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পথে কিদাম্বী শ্রীকান্তরা ৩০ ব্যবধানে উড়িয়ে দিয়েছেন ১৪ বারের চ্যাম্পিয়ন ইন্দোনেশিয়াকে। ফেবারিটের তকমা নিয়েই এবারের টমাস কাপে খেলতে নেমেছিল ইন্দোনেশিয়া। ফাইনালে ওঠার পথে একটা ম্যাচও হারেনি। প্রচন্ড শক্তিশালী দল। ফাইনালে ওঠার পথে ভারতকে গ্রুপ লিগে চাইনিজ তাইপের বিরুদ্ধে হারতে হয়েছিল। সেই অর্থে কিছুটা পিছিয়ে থেকেই ফাইনালে কোর্টে নেমেছিল ভারতীয় দল। কিন্তু ফাইনালে তার প্রভাব দেখা যায়নি। ফাইনালে ইন্দোনেশিয়ার বিরুদ্ধে এদিন প্রথম সিঙ্গলসে কোর্টে নেমেছিলেন লক্ষ্য সেন। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিশ্বের ৪ নম্বর তারকা অ্যান্টনি সিনিসুকা জিনটিং। এবছর মার্চে জার্মান ওপেনে ইন্দোনেশিয়ার এই তারকাকে হারিয়েছিলেন লক্ষ্য সেন। সেই জয়ই এদিন লক্ষ্যর কাছে অনুপ্রেরণার কাজ করেছিল। তাই প্রথম গেম হেরে গিয়েও দারুণভাবে ম্যাচে ফিরে আসেন লক্ষ্য। প্রথম গেমে লক্ষ্যকে দাঁড়াতেই দেননি বিশ্বের ৪ নম্বর তারকা অ্যান্টনি সিনিসুকা জিনটিং। ২১৮ ব্যবধানে প্রথম গেম জিতে নেন জিনটিং। দ্বিতীয় গেমে দারুণভাবে ম্যাচে ফিরে আসেন লক্ষ্য সেন। ২১১৭ ব্যবধানে দ্বিতীয় গেম জিতে সমতা ফেরান। তৃতীয় গেম ২১১৬ পয়েন্টে জিতে ভারতকে ১০ ব্যবধানে এগিয়ে দেন। বিশ্বের ৪ নম্বর তারকার বিরুদ্ধে লক্ষ্য সেনের জয় চাগিয়ে দিয়েছিল ভারতীয় ব্যাডমিন্টন দলকে। চিরাগ শেট্টি ও সাত্ত্বিকসাইরাজ রানকিরেড্ডির কাছে টনিকের মতো কাজ করেছিল। ডাবলসে এই ভারতীয় জুটি খেলতে নেমেছিল মহম্মদ এহসান ও সুকামুলিয়োর বিরুদ্ধে। প্রথম গেমে ১৮২১ ব্যবধানে হেরে যায় চিরাগ শেট্টি ও সাত্ত্বিকসাইরাজ জুটি। দ্বিতীয় গেমে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ান চিরাগরা। দুর্দান্ত লড়াই করে ২৩২১ ব্যবধানে বিতীয় গেম জিতে সমতা ফেরান। তৃতীয় গেমে চিরাগরা জেতেন ২১১৯ ব্যবধানে। ২০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় ভারত।তৃতীয় গেমে প্রতিযোগিতায় দুরন্ত ছন্দে থাকা কিদাম্বি শ্রীকান্ত কোর্টে নামেন বিশ্বের ৮ নম্বর তারকা জোনাথন ক্রিস্টির বিরুদ্ধে। প্রথম গেমে ২১১৫ ব্যবধানে জেতেন শ্রীকান্ত। দ্বিতীয় গেমে জোনাথান ক্রিস্টি প্রতিরোধ গড়ে তুললেও শেষরক্ষা করতে পারেননি। ২৩২১ ব্যবধানে জিতে ভারতকে প্রথমবারের মতো টমাস কাপ জেতার স্বাদ এনে দেন কিদাম্বি শ্রীকান্ত। ভারত ৩০ ব্যবধানে এগিয়ে যাওয়ায় বাকি দুটি সিঙ্গলস খেলার প্রয়োজন হয়নি।

মে ১৫, ২০২২
খেলার দুনিয়া

‌৮ বছর পর এশিয়ান ব্যাডমিন্টন চ্যাম্পিয়নশিপে নজির সিন্ধুর

এশিয়ান ব্যাডমিন্টন চ্যাম্পিয়নশিপে আবার সিন্ধু গর্জন। ৮ বছর পর আবার পদক নিশ্চিত করলেন ভারতের মহিলাদের ১ নম্বর তারকা পি ভি সিন্ধু। ফিলিপিন্সের ম্যানিলায় অনুষ্ঠিত প্রতিযোগিতায় কোয়ার্টার ফাইনালে চীনের হে বিং জিয়াওকে হারিয়ে সেমিফাইনালে উঠেছেন তিনি। সেমিফাইনালে ওঠার পথটা অবশ্য ততটা মসৃন ছিল না সিন্ধুর সামনে। ২৫ বছর বয়সী চীনের হে বিং জিয়াও চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিয়েছিলেন সিন্ধুকে। শেষ পর্যন্ত ১ ঘন্টা ১৬ মিনিটের লড়াইয়ে ২১৯, ১৩২১, ২১১৯ ব্যবধানে জেতেন সিন্ধু। গত ১ বছরের মধ্যে এই নিয়ে টানা তিনবার হে বিং জিয়াওয়ের বিরুদ্ধে জিতলেন তিনি। গতবছর টোকিও অলিম্পিকে চীনের এই শাটলারকে হারিয়েই ব্রোঞ্জ জিতেছিলেন সিন্ধু। এদিনও হে বিং জিয়াওকে হারিয়ে এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে ব্রোঞ্জ নিশ্চিত করলেন। ২০১৪ সালে শেষবার দক্ষিণ কোরিয়ার গিমচেওনে অনুষ্ঠিত এশিয়ান ব্যাডমিন্টন চ্যাম্পিয়নশিপে বোঞ্জ জিতেছিলেন সিন্ধু। ৮ বছর পর আবার পদক নিশ্চিত করলেন এই ব্যাডমিন্টন তারকা। ২০১৭ সালে ইউহানে অনুষ্ঠিত প্রতিযোগিতায় বিং জিয়াওয়ের কাছেই পরাজিত হয়েছিলেন সিন্ধু। সেই পরাজয়ের মধুর প্রতিশোধও নিলেন। দুজনের মুখোমুখি লড়াইয়ে অবশ্য এখনও ৯৮ ব্যবধানে এগিয়ে বিং জিয়াও।এদিন কোয়ার্টার ফাইনালে দারুণ শুরু করেছিলেন সিন্ধু। শুরুর দিকে বিং জিয়াওকে একেবারে দাঁড়াতেই দেননি। একসময় ১১২ ব্যবধানে এগিয়ে যান। মাত্র ১৩ মিনিটেই প্রথম গেম ২১৯ ব্যবধানে জিতে নেন সিন্ধু। দ্বিতীয় গেমে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ান বিং জিয়াও। ২১১৩ ব্যবধানে জিতে ম্যাচে সমতা ফেরান। তৃতীয় গেম জমে ওঠে। শুরুর দিকে সিন্ধুর দাপট থাকলেও পরে খেলায় ফেরেন বিং জিয়াও। এক সময় ৬১১ ব্যবধানে পিছিয়ে ছিলেন। সেখান থেকে সমতা ফেরান। হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করেও শেষরক্ষা করতে পারেননি। বিং জিয়াওয়ের একের পর এক আনফোর্সড এররের সুবিধা কাজে লাগিয়ে শেষপর্যন্ত ২১১৯ ব্যবধানে তৃতীয় গেম জিতে সেমিফাইনালে পৌঁছে যান সিন্ধু।

এপ্রিল ২৯, ২০২২
রাজ্য

সারা ভারত আন্তঃ বিশ্ববিদ্যালয় জিমনাস্টিক প্রতিযোগীতায় স্বর্ণ ও রৌপ্য পদক জয় রাজমিস্ত্রির মেয়ে রোজিনার

সরা ভারত আন্তঃ বিশ্ববিদ্যালয় জিমনাস্টিক প্রতিযোগীতায় অংশনিয়ে বাংলার মুখ উজ্জ্বল করলো পূর্ব বর্ধমানের কন্যা রোজিনা মির্জা। ইন্ডিয়ান ইউনিভার্সিটি অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত এই প্রতিযোগীতা ২৯ মার্চ শুরু হয় পাঞ্জাবের অমৃতসরে। সেখানেই ৩১ মার্চ অনুষ্ঠিত হয় চুড়ান্ত পর্বের প্রতিযোগীতা। প্রতিযোগীতায় সার্বিক ভাবে দ্বিতীয় স্থান লাভ করার জন্য বঙ্গতনয়া রোজিনা রৌপ্য পদক লাভ করেছে। এছাড়াও টেবিল ভল্টে প্রথম স্থান অর্জন করা ও টিম চাম্পিয়ান হওয়ার জন্যেও রোজিনা দুটি স্বর্ণ পদক ও ট্রফি লাভ করেছে। রোজিনার এই সাফল্যে খুশি তাঁর কোচ, পরিবার পরিজন ও গুরুনানক দেব ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষ। রোজিনা মির্জার বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের রায়নার নাড়ুগ্রাম পঞ্চায়েতের শংকরপুর গ্রামে। তাঁর বাবা মির্জা কাশেম আলী পেশায় রাজমিস্ত্রী। মা সাবিলা মির্জা সাধারণ গৃহবধূ। কাশেম আলীর তিন মেয়ের মধ্যে রোজিনা সবার ছোট। ছোট বয়স থেকেই রোজিনার জিমনাস্টিক্সের প্রতি আগ্রহ তৈরি হয়। তখন সে তাঁর কাকা মির্জা হাসেম আলীর সহযোগীতা নিয়ে গ্রামের মাঠে জিমনাস্টিক অনুশীলন করতো। ওই সময়েই জিমনাস্টিকে তাঁর প্রতিভার প্রকাশ ঘটতে শুরু করে। রোজিনা গ্রামের স্কুলে ষষ্ঠ শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশুনা করে। এর পর পরিবারের লোকজন তাঁকে কলকাতার সুকান্তনগর বিদ্যানিকেতনে ভর্তি করেন। সেখানে পড়াশুনার পাশাপাশি রোজিনা কলকাতার সাই (Aports Authority of India) জিমনাস্টিকের কোচিং নেওয়াও শুরু করে। কঠোর অনুশীলন চালিয়ে গিয়ে স্কুল জীবনেই রোজিনা জিমনাস্টিকে ৪ বার বেঙ্গল চাম্পিয়ান হয়। পরে ২০১৫ সালে জাতীয় স্তরের প্রতিযোগীতায় অংশ নিয়ে রোজিনা স্বর্ণ পদক ছিনিয়ে নিয়ে আসে। কলকাতার স্কুল থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করার পর সেখানকার কলেজে বি, প্রথম বর্ষে ভর্তি হয় রোজিনা। কলকাতায় অনুশীলন করার সময়ে সে পায়ে গুরুতর চোট পায়। দীর্ঘদিন ধরে তাঁর পায়ের চিকিৎসা চলে। তার কারণে তাঁর কলেজ যাওয়াও বন্ধ হয়ে থাকে। পায়ের চোট পুরোপুরি সারলে তারপর ২০২০ সালে রোজিনা পাঞ্জাবের গুরুনানক দেব ইউনিভার্সিটি অধীন অমৃতসরে খালসা কলেজে বি এ প্রথম বর্ষে ভর্তি হয়। পাঞ্জাবে থেকে পড়াশুনা চালিয়ে যাবার পাশাপাশি সেখানে কোচের তত্বাবধানে রোজিনা জিমনাস্টিকের অনুশীলনও চালিয়ে যাচ্ছে।রোজিনা জানিয়েছে, ইন্ডিয়ান ইউনিভার্সিটি অ্যাসোসিয়েশন সরা ভারত আন্তঃ বিশ্ববিদ্যালয় জিমনাস্টিক প্রতিযোগীতার আয়োজন করে। ২৯ মার্চ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত অমৃতসরে অনুষ্ঠিত হওয়া প্রতিযোগীতায় দেশের ১৯২ টি বিশ্ববিদ্যালয়েয় প্রতিযোগীরা অংশ নেয়। রোজিনা জানায় সেই প্রতিযোগীতায় আর্টিস্টিক জিমনাস্টিকে সে মহিলা বিভাগে গুরুনানক দেব ইউনিভার্সিটির য়ে প্রতিনিধিত্ব করে। সেই প্রতিযোগীতায় সার্বিক ভাবে সে দ্বিতীয় স্থান লাভ করে রৌপ্য পদক ও ট্রফি পায়। এছাড়াও টেবিল ভল্টে স্বর্ণ পদক ও টিম চাম্পিয়ান হওয়ার জন্যে আরও একটি স্বর্ণ পদক ও ট্রফি পয়েছে বলে রোজিনা মির্জা জানিয়েছে। সর্বভারতীয় স্তরের প্রতিযোগীতায় পদক প্রাপ্তিতে রোজিনা যথেষ্টই খুশি। তবে এখন তাঁর লক্ষ দেশের হয়ে আন্তর্জাতিক স্তরের প্রতিযোগীতায় অংশ নিয়ে পদক ছিনিয়ে আনা।

এপ্রিল ০৪, ২০২২
খেলার দুনিয়া

অনূর্ধ্ব ২০ জাতীয় দাবায় চ্যাম্পিয়ন বাংলার নীলাশ সাহা

কোভিডের জন্য দীর্ঘদিন জাতীয় স্তরের প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়নি। দীর্ঘ বিরতির পর জাতীয় স্তরের প্রতিযোগিতা আয়োজিত হতেই বাজিমাত বাংলার প্রতিশ্রুতিবান দাবাড়ু নীলাশ সাহার। গুরুগ্রামে অনুষ্ঠিত অনূর্ধ্ব ২০ জাতীয় দাবায় চ্যাম্পিয়ন হলেন বাংলার এই আন্তর্জাতিক মাস্টার। কোনও রাউন্ডে না হেরেই খেতাব জিতলেন নীলাশ।সুইস পদ্ধতিতে আয়োজিত ৯ রাউন্ডের এই প্রতিযোগিতায় নীলাশের সংগ্রহ ৮ পয়েন্ট। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পথে তিনি ৭টি গেমে জয় পেয়েছেন। মাত্র ২টি গেমে ড্র করেছেন। চতুর্থ রাউন্ডে তামিলনাডুর আয়ূষ রবির কাছে আটকে যান নীলাশ। অষ্টম রাউন্ডে বাংলার উৎসব চ্যাটার্জির সঙ্গে ড্র করেন। বাকি সব রাউন্ডেই তিনি দাপটের সঙ্গে জয় পান।করোনার জন্য ২ বছর জাতীয় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত না হওয়ায় সর্বভারতীয় দাবা সংস্থা অনূর্ধ্ব ১৯এর পরিবর্তে প্রতিযোগিতা অনূর্ধ্ব ২০ বিভাগে করার সিদ্ধান্ত নেয়। এতে তরুণ দাবাড়ুরা উপকৃত হয়েছেন। এই নিয়ে তিনবার চ্যাম্পিয়ন হলেন নীলাশ। এর আগে অনূর্ধ্ব ১৩, অনূর্ধ্ব ১৭ বিভাগেও জাতীয় চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন। নীলাশ ছাড়াও এবারের প্রতিযোগিতায় বাংলার দাবাড়ুদের আধিপত্য। রানার্স হয়েছেন উৎসব চ্যাটার্জি। তাঁর সংগ্রহে ৭.৫ পয়েন্ট। বাংলার আর এক দাবাড়ু কৌস্তুভ চ্যাটার্জি ৭ পয়েন্ট পেয়ে চতুর্থ স্থানে শেষ করেছেন। করোনার জন্য দীর্ঘদিন জাতীয় স্তরের দাবা বন্ধ থাকলেও অন লাইনে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহন করেছেন নীলাশ। সাফল্যও পেয়েছেন। বাংলাদেশের দাবা লিগেও খেলে এসেছেন। সেখানে প্রশিক্ষণও নিয়েছেন। এছাড়া বিভিন্ন দেশে আন্তর্জাতিক দাবা প্রতিযোগিতাতেও অংশগ্রহন করেছেন নীলাশ। এবার জাতীয় প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর নীলাশের লক্ষ্য এবার এশিয়ান জুনিয়র ও বিশ্ব জুনিয়র দাবা চ্যাম্পিয়নশিপ। চলতি বছরেই এই দুটি প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। জাতীয় প্রতিযোগিতায় সাফল্যের পর আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় এবার দেশকে সাফল্য এনে দিতে চান নীলাশ।

মার্চ ১৩, ২০২২
খেলার দুনিয়া

এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলার স্বপ্ন ফিকে হয়ে আসছে এটিকে মোহনবাগানের, কেন?

এটিকে মোহনবাগান কোচ জুয়ান ফেরান্দোর স্বপ্ন দেখেছিলেন সরাসরি এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলার। তাঁর সেই স্বপ্নের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াল ওডিশা এফসি। বৃহস্পতিবার গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে এটিকে মোহনবাগানকে আটকে দিয়ে জুয়ান ফেরান্দোর দলের সামনে আইএসএলের লিগ টেবিলের শীর্ষে ওঠার পথে কাঁটা ছড়িয়ে দিল।আইএসএলের লিগ টেবিলের শীর্ষে থাকা দল সরাসরি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলার সুযোগ পায়। দ্বিতীয় স্থানে থাকা দল খেলে এএফসি কাপের প্লে অফ। আর আই লিগের চ্যাম্পিয়ন দল সরাসরি এএফসি কাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে। এবছর আইএসএলে লিগের শীর্ষস্থান না পেলে এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলার সুযোগ পাবে না এটিকে মোহনবাগান। ওডিশা এফসি-র বিরুদ্ধে ড্র অনেকটাই পিছিয়ে দিয়েছে সবুজমেরুন শিবিরকে। বৃহস্পতিবার জিতলে লিগের শীর্ষে থাকার ব্যাপারে অনেকটাই এগিয়ে যেত জুয়ান ফেরান্দোর দল। ওডিশা ম্যাচের পর ১৭ ম্যাচে এটিকে মোহনবাগানের ঝুলিতে ৩১ পয়েন্ট। লিগ টেবিলের শীর্ষে থাকা হায়দরাবাদ এফসি-র ১৮ ম্যাচে ২৫ পয়েন্ট। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে জামশেদপুর এফসি। তাদের ঝুলিতে ১৬ ম্যাচে ৩১ পয়েন্ট। এটিকে মোহনবাগান রয়েছে তৃতীয় স্থানে। ১৭ ম্যাচে ২৮ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ স্থানে রয়েছে মুম্বই সিটি এফসি। সমসংখ্যক ম্যাচে ২৭ পয়েন্ট কেরালা ব্লাস্টার্সের। মুম্বই ও কেরালা এখনও প্লে অফের লড়াইয়ে দারুনভাবেই রয়েছে। বেঙ্গালুরুর আশাও এখনও শেষ হয়নি। ফলে এটিকে মোহনবাগানের কাজ সহজ হবে না। ২৭ ফেব্রুয়ারি বেঙ্গালুরু এফসি, ৩ মার্চ চেন্নাইয়িন এফসি ও ৭ মার্চ জামশেদপুর এফসির বিরুদ্ধে খেলা রয়েছে এটিকে মোহনবাগানের।একেই ওডিশা এফ সি-র কাছে হার, তার ওপর লালকার্ড দেখেছেন রয় কৃষ্ণা। বেঙ্গালুরু এফসি-র বিরুদ্ধে পরের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে তিনি খেলতে পারবেন না। ধারাবাহিকভাবে ভাল খেলা লিস্টন কোলাসো ওডিশা এফ সি ম্যাচে ছন্দ হারিয়েছেন। ফলে এটিকে মোহনবাগানকেও চেনা ছন্দে দেখা যায়নি। ফলে চিন্তা মাথায় নিয়ে বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে মাঠে নামতে হবে জুয়ান ফেরান্দোকে।

ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২২
  • ‹
  • 1
  • 2
  • 3
  • ›

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

দামোদরে বালি তুলতে গিয়ে বিরাট বিপত্তি, জলে ভাসছে ১৫টি লরি

দামোদরে বালি তোলায় কোনও লাগাম নেই। ডিভিসি থেকে জল ছাড়ার খবর থাকা সত্বেও বালি তোলার কাজ চলছিল। লরি নেমেছিল একেবারে নদের ভিতরে। জল ভরে টুইটুম্বুর হওয়ায় ভেসে গেল ১৫টি বালি বোঝাই লরি। পূর্ব বর্ধমানের গলসির গোহগ্রামের এই ঘটনায় বেশ চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পরে। পরে লরিগুলিকে উদ্ধারের তৎপরতা শুরু হয়।দুর্গাপুর ব্যারাজ থেকে জল ছাড়ার কথা ডিভিসি ও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আগাম ঘোষণা করা হয়েছিল। মাইথন ও পাঞ্চেত থেকে বুধবার জল ছাড়া হয় ৪০ হাজার কিউসেক। এরই মধ্যে নিম্ন দামোদর অববাহিকায় দুদিন ধরে টানা বৃষ্টি চলেছে। এই সব কারণে বৃহস্পতিবার সকালে হঠাৎ দামোদর নদে জলের পরিমাণ বেশ বেড়ে যায়। এতেই ঘটে যায় বিপত্তি। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ১৫টি বালি বোঝাই লরি দামোদর নদের জলে ভাসতে থাকে। তার উপর বৃহস্পতিবার বেলা বাড়তে নদের জল আরও হু হু করে বাড়তে শুরু হয়। বিপদ বুঝে লরিগুলি নদী থেকে তোলার জন্য তৎপরতা শুরু করে চালকরা । ওই সময়েই সামনে থাকা দুটি লরি বিকল হয়ে যাওয়ায় লরি গুলি নদ থেকে পাড়ে তোলা আর সম্ভব হয়নি। জেসিবি মেশিন ব্যবহার করেও কাজ হয়নি। জল কমা পর্যন্ত লরিগুলো তুলতে অপেক্ষা করতে হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

জুন ১৯, ২০২৫
রাজ্য

"কেশরী: চ্যাপ্টার ২" তে ক্ষুদিরাম বসু সহ বাঙালি স্বাধীনতা সংগ্রামীদের অপমান, প্রতিবাদে গর্জে উঠল বাংলা পক্ষ

সম্প্রতি কেশরী: চ্যাপ্টার ২ নামের এক বলিউডি হিন্দি সিনেমায় ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের সশস্ত্র সংগ্রামের উজ্জ্বল ইতিহাস তথা বীর বাঙালি স্বাধীনতা সংগ্রামীদের পরিচয় ও ভূমিকা বিকৃত করে এক মনগড়া মিথ্যা ইতিহাস তুলে ধরার অভিযোগ উঠেছে। সিনেমাটিতে দেখানো হয়েছে যে ক্ষুদিরাম সিং ও বারীন্দ্র কুমার নামক দুই বিপ্লবী বৃটিশ পুলিশকর্তা কিংসফোর্ডকে বোমা মেরে হত্যার চেষ্টা করে ও তাদের বোমা তৈরীর প্রশিক্ষণ দেয় কৃপাণ সিং! যার সাথে বাস্তবের কোন মিল নেই। প্রকৃত পক্ষে ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে বাঙালি বিপ্লবীদের সশস্ত্র সংগ্রামের ইতিহাসের এক যুগান্তকারী ঘটনা কিংসফোর্ড হত্যার প্রচেষ্টা ও পরবর্তীতে মানিকতলা বোমা মামলার ঘটনার কথা সম্পূর্ণ বিকৃত ভাবে এই সিনেমাটিতে দেখানো হয়েছে।সশস্ত্র সংগ্রামের লক্ষ্যে কলকাতার মানিকতলার যুগান্তর গুপ্ত সমিতিতেই অরবিন্দ ঘোষের নেতৃত্বে বোমা তৈরীর কর্মশালা গড়ে ওঠে, ইউরোপ থেকে বোমা তৈরী শিখে এসে এখানে বোমা তৈরী করে বিপ্লবীদের সরবরাহ করতেন হেমচন্দ্র কানুনগো, যিনি বলিউডের দৌলতে হয়েছেন কৃপাণ সিং। এই গুপ্ত সমিতির পক্ষেই ক্ষুদিরাম বসু ও প্রফুল্ল চাকী কিংসফোর্ডকে বোমা নিক্ষেপ করে হত্যার চেষ্টা করেন। মেদিনীপুরের বীর বাঙালি কিশোর ক্ষুদিরাম বসুর পদবী সিনেমায় হয়েছে সিং অন্যদিকে প্রফুল্ল চাকীর নামই মুছে গেছে, শোনা গেছে জনৈক বারিন্দর কুমারের নাম, যেকোন ইতিহাস সচেতন ব্যক্তিই বলতে পারবেন এই নাম আসলে মানিকতলা বোমা মামলার অন্যতম অভিযুক্ত ও পরবর্তীতে আন্দামানে দ্বীপান্তরিত বারীন্দ্র ঘোষের, যিনি সম্পর্কে অরবিন্দ ঘোষের ভাই। এই মানিকতলা বোমা মামলায় বিপ্লবীদের পক্ষে কোর্টে আইনি লড়াই করেন আরেক মহান বাঙালি স্বাধীনতা সংগ্রামী দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ। এই গৌরবজনক অধ্যায় সম্পূর্ণ ভাবে বিকৃত করা হয়েছে, যা বাঙালি জাতি তথা ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রতি চূড়ান্ত অবমাননা।এই বিকৃতির বিরুদ্ধে বাঙালির ক্ষোভের প্রকাশ দেখা যাচ্ছে সামাজিক মাধ্যমে। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী থেকে সংস্কৃতি জগতের নানান ব্যক্তিত্ব এই ইতিহাস তথা মহান স্বাধীনতা সংগ্রামীদের নাম বিকৃতির বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। ভারতীয় বাঙলির জাতীয় সংগঠন বাংলা পক্ষও সরব হয়েছে, আজ তারা পথে নেমে প্রতিবাদ করল কলকাতার বাংলা একাডেমী সংলগ্ন রানুছায়া মঞ্চে। এই প্রতিবাদ সভায় বাংলা পক্ষর সাংগঠনিক সম্পাদক কৌশিক মাইতি বলেন, কেশরী ২ সিমেমার মূখ্য অভিনেতা অক্ষয় কুমার, তিনি কাদের স্বার্থে বিকৃত ইতিহাস প্রচার করে সিনেমা তৈরি করেন এটা আমাদের সকলের জানা৷ বিজেপি ও বলিউডের উদ্দেশ্য বাঙালির গৌরবজনক বীরত্বের ইতিহাস মুছে দেওয়া। সেই উদ্দেশ্যেই বারবার এই ধরনের ঘটনা দেখা যাচ্ছে। বলিউড এর আগেও অভয় ২ সিরিজে বীর শহীদ ক্ষুদিরাম বসুকে ক্রিমিনাল, জঙ্গি হিসাবে দেখিয়েছিল। বাংলা পক্ষ তখন Zee5 কে লিগ্যাল নোটিশ দিয়েছিল এবং সল্টলেকে Zee5 এর অফিসে বিক্ষোভ করেছিল। পরবর্তীতে Zee5 ক্ষমা চেয়ে সেই অংশ বাদ দিতে বাধ্য হয়। শীর্ষ পরিষদ সদস্য অরিন্দম চট্টোপাধ্যায় বলেন যতক্ষণ না পর্যন্ত কেশরী ২ সিনেমার নির্মাতারা ক্ষমা না চায়, বাংলা পক্ষর লড়াই চলবে। ক্ষমা চেয়ে এই দৃশ্য বাদ দিতে হবে। বাঙালি বিদ্বেষীদের কিভাবে ক্ষমা চাওয়াতে হয় সেটা বাংলা পক্ষ ভালো ভাবে জানে।শীর্ষ পরিষদ সদস্য সৌম্যকান্তি ঘোড়ই বলেন, ক্ষুদিরাম বসুকে অপমান মানে বাঙালিকে অপমান। প্রফুল্ল চাকীকে অপমান মানে বাঙালিকে অপমান৷ বীর বিপ্লবী বারীন ঘোষদের অপমানের বিরুদ্ধে এই লড়াই চলবে। অক্ষয় কুমারকে ক্ষমা চাইতেই হবে।এছাড়াও আজকের প্রতিবাদ সভায় উপস্থিত ছিলেন কলকাতা জেলার সম্পাদক সৌম্য বেরা, দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা সম্পাদক কুশনাভ মন্ডল, শিল্পী পক্ষর অধিকর্তা প্রবাল চক্রবর্তী প্রমুখ। এর আগে বিধাননগর দক্ষিণ থানায় এই সিনেমা নিয়ে একই ইস্যুতে এফআইআর হয়েছে। এমনকী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পর্যন্ত ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন বাঙালি বীর বিপ্লবীদের ইতিহাস বিকৃতি করার জন্য।

জুন ১৯, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

লর্ডসের ঐতিহাসিক শতরানের আলোতেও সমুজ্জ্বল বোলার সৌরভের পারফরম্যান্স

লর্ডসে টেস্ট অভিষেক হয়েছিল সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ও রাহুল দ্রাবিড়ের। দিনটা ছিল ১৯৯৬ র ২০ জুন। এই টেস্টের কথা উঠলেই মহারাজকীয় শতরানের কথাই সবার আগে মনে আসে। যা এসেছিল ২২ জুন।তবে ২০ জুন বল হাতে কামাল দেখিয়েছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। ইংল্যান্ডের তৃতীয় ও চতুর্থ উইকেট পড়েছিল চার রানের ব্যবধানে। দলের ৯৮ রানের মাথায় সৌরভের প্রথম শিকার হন তিন নম্বরে নামা নাসের হুসেন। ১১০ বলে ৩৬ রান করে তিনি ফেরেন বিক্রম রাঠোরের হাতে ক্যাচ দিয়ে। ১০২ রানে ইংল্যান্ডের চতুর্থ উইকেট পড়ে। ৯ বলে ১ রান করে গ্রেম হিক সৌরভের বলেই জাভাগল শ্রীনাথের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। প্রথম ইনিংসে সৌরভের বোলিং ফিগার ছিল ১৫-২-৪৯-২। বেঙ্কটেশ প্রসাদ পাঁচটি, শ্রীনাথ তিনটি ও সৌরভ ২টি উইকেট পান। পরশ মামব্রে, অনিল কুম্বলে ও সচিন তেন্ডুলকর উইকেট পাননি। দ্বিতীয় ইনিংসে সৌরভ তুলে নিয়েছিলেন প্রথম ইনিংসে শতরানকারী জ্যাক রাসেলের উইকেট। দ্বিতীয় ইনিংসে মহারাজ ৩ ওভারে মাত্র ৫ রানের বিনিময়ে একটি উইকেট পেয়েছিলেন। ফলে লর্ডসের ঐতিহাসিক শতরানের আলোতেও সমুজ্জ্বল বোলার সৌরভের পারফরম্যান্স।

জুন ১৯, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

বৃষ্টির মোকাবিলায় ইডেন সেরা, মাঠ ভরানোর আহ্বান মনোজের

আজও বৃষ্টিতে ব্যাহত বেঙ্গল প্রো টি২০ লিগের খেলা। কয়েক দিন ধরেই কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি চলছে। যার জেরে বেঙ্গল প্রো টি২০ লিগের খেলাগুলি পরিত্যক্ত হচ্ছে। ইডেনে বৃষ্টি থামার পর খেলা শুরু হলেও ফের অবিরাম বর্ষণে ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়েছে। তবে গতকাল যা হলো তা অন্য কোথাও আর হতে পারতো না।সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের মস্তিষ্কপ্রসূত ভাবনাতেই ইডেনের গোটা মাঠ ঢেকে রাখার বন্দোবস্ত হয়েছে। উন্নতমানের কভার আনিয়ে। এমনকী ইডেনের মতো সল্টলেক যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস মাঠেও মাঠ ঢেকে রাখা হয় প্রধান কিউরেটর সুজন মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন অনবদ্য টিম যার ফলে বৃষ্টি থামার কিছুক্ষণের মধ্যেই মাঠ খেলার উপযুক্ত করে দিতে পারেন। ইডেনের এমন ব্যবস্থাপনা বিশ্বের বৃহত্তম ক্রিকেট স্টেডিয়াম আমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামেও নেই। সুনীল গাভাসকর-সহ অনেকেই তাই বলে থাকেন মাঠ ঢাকার ব্যবস্থাপনায় ইডেনকে অনুসরণ করতে। এই ব্যবস্থাপনার সুফল মিলল আরও একবার। গতকাল বৃষ্টি একটু ধরতেই রাতে ৯ ওভারের ম্যাচ হলো। হারবার ডায়মন্ডস ৪০ রানে হারাল লাক্স শ্যাম কলকাতা টাইগার্সকে। যে পরিমাণ বৃষ্টি হচ্ছে শহরে তাতে অন্য কোথাও এটা সম্ভব হতো না। হলো মাঠ ঢাকার ব্যবস্থা ছিল বলেই। হারবার ডায়মন্ডস অধিনায়ক তথা রাজ্যের ক্রীড়া ও যুবকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী মনোজ তিওয়ারি অনুরোধ করেছেন সকলকে কাজ সেরে মাঠে এসে তরুণ ক্রিকেটারদের উৎসাহিত করার জন্য। এই লিগে বিনামূল্যে খেলা দেখা যায়। এমনকী হারবার ডায়মন্ডসের সমর্থকদের জল, ইলেক্টোরাল, কেক দেওয়ার কথাও মনোজ বলেছেন। তার কারণ ক্রিকেটারদের উৎসাহিত করতে সমর্থকদের উপস্থিতি দরকার। গ্যালারির সিংহভাগ ফাঁকা থাকছে। যে লিগের সম্প্রচার স্টার স্পোর্টসে চলছে সেখানে এমন ফাঁকা গ্যালারি মোটেই ভালো বিজ্ঞাপন নয়।

জুন ১৯, ২০২৫
দেশ

ওরঙ্গাবাদের এই হৃদয়স্পর্শী কাহিনী আপনার মন ছুঁয়ে যাবেই

মহারাষ্ট্রের ঔরঙ্গাবাদের সম্ভাজি নগরে ঘটনা এখন সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল। ওই হৃদয়স্পর্শী ঘটনা নাড়া দিয়েছে পুরো সমাজকে। সেখানে এক গয়নার দোকানে গিয়েছিলেন অতি সাধারণ এক দম্পতি। স্ত্রীকে কিছু উপহার দেওয়াই ছিল স্বামীর উদ্দেশ্য। গয়নার শোরুমের ম্যানেজার তাদের সঙ্গে গল্প জুড়ে দেন। হাসিঠাট্টার মাঝে কথা বলতে বলতে জেনে নেন তাঁদের জীবনকাহিনী। এবার এল জিনিস কেনার পালা। হাতের ঝোলা ব্যাগ থেকে বেরোল একটা ৫০০ টাকার নোট। একে একে ১০, ২০ টাকার নোট। সবশেষে একটা ছোটখাট বোঁচকা। তাতে ভর্তি খুচরো পয়সা।শোরুমের ম্যানেজার গোটা বিষয়টা বুঝতে পেরে তাঁদের একটি হার উপহার দেন। সঙ্গে একজোড়া কানের দুলও। এরপর বৃদ্ধের কাছে সরল আবদার জানান, নিজে হাতে স্ত্রীর হাতে সেটা তুলে দিতে হবে। উপহার তো দিলেন ম্যানেজার, কিন্তু এত বড় দোকানে এসে কোনও টাকা না দিয়ে চলে যাবেন, এতেও যেন সম্মানে বাধে বৃদ্ধের। সমাজের খেটে খাওয়া মানুষের কাছে আত্মসম্মানই বড় কথা। প্রাণ যাক, সম্মান নিয়ে বাঁচাটাই বড় কথা। তাই সবচেয়ে বড় নোটটি তুলে দিতে চেয়েছিলেন ম্যানেজারের হাতে। কিন্তু তাতে ম্যানেজারের উত্তর, আপনার আশীর্বাদের হাত থাকলেই হবে। পান্ডুরঙ্গ (কর্নাটক, মহারাষ্ট্রের পূজিত দেবতা) আছেন, কিছুর অভাব হবে না কোনওদিন। কিন্তু বৃদ্ধ নাছোড়বান্দা, টাকা তিনি দেবেনই। উপায় নেই বুঝে অবশেষে দুটো ১০ টাকার নোট নেন ম্যানেজার।স্বামীর চোখে জল, ধুতির খুঁট দিয়ে মুছে ফেললেন। তা দেখে স্ত্রীও আটকাতে পারলেন না নিজেকে। ভিডিওতেই স্পষ্ট, এমন এক মূল্যবান উপহার পেয়ে বিশ্বাস হচ্ছে না ওই দম্পতির। কিন্তু যেকজন ভিডিওটি দেখেছেন, তাঁরা সবাই বুঝেছেন এই চোখের জল, অবিশ্বাস শুধু মূল্যবান এক উপহারের জন্য নয়, জীবনের অন্যতম এই দিনটি মনের মণিকোঠায় সাজিয়ে রাখছেন দম্পতি।

জুন ১৯, ২০২৫
দেশ

আহমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনা: শিশুদের শনাক্ত করতে বড় সমস্যা, এখনও হস্তান্তর ১৫৯ দেহ

সুরাটের নানাবাওয়া পরিবার ৩৬ বছর বয়সী আকিল এবং ৩১ বছর বয়সী স্ত্রী হান্না ভোরাজির নামাজ-এ-জানাজা (জানাজা) সম্পন্ন হয়। বুধবার ভোরে ফোন করে জানায় যে বোয়িং ড্রিমলাইনার দুর্ঘটনায় তাদের সাথে মারা যাওয়া তাদের মেয়ে সারার মৃতদেহ শনাক্ত করা হয়েছে। আত্মীয়স্বজনরা চার বছর বয়সী মেয়ের দেহাবশেষ দাবি করতে আহমেদাবাদে ছুটে যান। যাতে তাকে তার বাবা-মায়ের পাশে দাফন করা যায়।আহমেদাবাদ-লন্ডন AI-171 বিমান দুর্ঘটনার প্রায় এক সপ্তাহ পর, সারার সন্ধানে দেখা যাচ্ছে যে পুড়ে যাওয়া দেহাবশেষের মধ্যে নাবালকদের শনাক্ত করা কতটা কঠিন। বুধবার পর্যন্ত, ডিএনএ ম্যাচিং এবং শনাক্তকরণের পরে ১৫৯টি মৃতদেহ আত্মীয়দের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। সারা ছাড়াও, এই মৃতদেহগুলির মধ্যে কেবল একজন নাবালিকা ছিল ফাতিমা শেঠওয়ালা, যার বয়স ১৮ মাস।বিমান সংস্থার তালিকা অনুসারে, AI-171-এ ১২ বছরের কম বয়সী ১৩টি শিশু ছিল, যার মধ্যে তিনজন এখনও ২ বছর পূর্ণ করেনি। আরও বেশ কয়েকজনের বয়স ১১ থেকে ১৮ বছরের মধ্যে।এই ধরনের দুর্যোগে অপ্রাপ্তবয়স্কদের শনাক্ত করার জন্য ডিএনএ প্রযুক্তি ব্যবহারে অসুবিধা ব্যাখ্যা করে গুজরাটের সরকারি ডেন্টাল কলেজের ফরেনসিক দন্ত বিশেষজ্ঞ ডঃ জয়শঙ্কর পিল্লাই বলেন, শিশুদের শরীরের ভর কম থাকে এবং তাই টিস্যুর ক্ষতি হয় এবং লম্বা হাড় তাপের সংস্পর্শে আসে। তবে দাঁত বেশি শক্তিশালী হওয়ায় তাপ সহ্য করতে পারে।তবে অপ্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে এটিও জটিল। শিশুদের যে কোনও দাঁত থেকে ডিএনএ বের করা যেতে পারে, কিন্তু আগুন লাগার সময় সামনের দাঁত ব্যবহার করা যায় না কারণ তাপ তাদের নষ্ট করে দেয়। তাই আমরা মোলার থেকে ডিএনএ নিই। ছয় বছরের কম বয়সী শিশুদের ক্ষেত্রে, আমরা স্থায়ী মোলার পেতে পারি না... তাদের বেশিরভাগই দুধের দাঁত থাকে, এবং কখনও কখনও সেগুলিও নষ্ট হয়ে যায়। কারণ খিলানটি খুব ছোট। তাই আমরা চোয়ালে একটি ছেদ তৈরি করি এবং ভিতরে স্থায়ী মোলার তৈরি করার চেষ্টা করি, পিল্লাই বলেন, যার বিভাগের সাথে ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগ দাঁতের ডিএনএ বের করতে এবং ক্ষতিগ্রস্তদের দাঁতের চার্ট তৈরি করতে সাহায্য করার জন্য যোগাযোগ করেছিল।একজন ফরেনসিক কর্মকর্তা বলেছেন যে দুর্ঘটনার পরে যে আগুন লেগেছিল তা খুব অল্প সময়ের মধ্যে ১৬০০ ডিগ্রি ফারেনহাইটের বেশি তাপমাত্রায় পৌঁছেছিল। সুতরাং, কিছু ব্যক্তির জন্য কেবলমাত্র আংশিক ডিএনএ প্রোফাইল পাওয়া যায়, যাদের আমরা সন্দেহ করি যে তারা নাবালক, কর্মকর্তা বলেন, আরও বলেন যে আত্মীয়দের সাথে নিঃসন্দেহে নির্ভুলতার সাথে মেলানো কঠিন।আকিলের বাবা আবদুল্লাহ স্মরণ করিয়ে দেন যে তিনজন ৬ জুন, ঈদুল আযহার একদিন আগে, এক আকস্মিক পরিদর্শনে এসেছিলেন। এটা একটা ছোট ভ্রমণ ছিল। আমরা জানতাম না যে এটাই তাদের শেষ হবে, কাঁদতে কাঁদতে আবদুল্লাহ বলেন, যিনি বিমানে পরিবারকে নামিয়ে দিতে আহমেদাবাদ গিয়েছিলেন।ভদোদরায়, আসিফ শেঠওয়ালা তার নাতনি ফাতিমার জন্য শোক প্রকাশ করেছেন। যার দেহাবশেষ বুধবার শনাক্ত করা হয়েছে, যখন তার মা সাদিকার মৃতদেহ এখনও পাওয়া যায়নি। আসিফ বলেন, ফাতিমা তার লন্ডন-ভিত্তিক ছেলের একমাত্র সন্তান। সাদিকা এবং ফাতিমা আমার ছোট ছেলের বিয়েতে বেড়াতে এসেছিলেন। তারা প্রায় ২০ দিন ধরে এখানে ছিলেন এবং তাদের ফেরার টিকিট অনেক আগেই বুক করা হয়েছিল।ডিএনএ সরবরাহ করার পাশাপাশি, দাঁতের দেহাবশেষ একজন ব্যক্তির আনুমানিক বয়স নির্ধারণেও সাহায্য করে। যা শনাক্তকরণের জন্য প্রয়োজনীয় সূত্র প্রদান করে। আহমেদাবাদ দুর্ঘটনায় এটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় প্রাপ্তবয়স্কদের জন্যও, বিস্ফোরণ এবং আগুনের ফলে উদ্ধার করা বেশিরভাগ ডিএনএ নষ্ট হয়ে গিয়েছিল।ডঃ পিল্লাই বলেন, ফরেনসিক ওডন্টোলজি বিভাগ এক থেকে ছয় বছর বয়সী বেশ কয়েকজন প্রাপ্তবয়স্ক যাত্রীর দাঁতের ডিএনএ সংগ্রহ করেছে অথবা ডেন্টাল চার্টিং করেছে এবং অন্তত কিছু ভুক্তভোগীর বয়স মূল্যায়ন করেছে। এরপর এই বয়সের যাত্রীদের জন্য ফ্লাইট ম্যানিফেস্টের সাথে তুলনা করা হয়েছে। কিছু শিশুর ক্ষেত্রে, আমরা দ্বিতীয় মোলার বিকশিত হতে দেখেছি, যা স্পষ্ট করে দিয়েছিল যে তারা তিন থেকে ছয় বছর বয়সী। এটি অনুসন্ধানকে সংকুচিত করতে সাহায্য করেছে। তারপর তাদের ডিএনএ নমুনা তাদের আত্মীয়দের সাথে মেলানো যেতে পারে।যারা খবরের জন্য অপেক্ষা করছেন তাদের মধ্যে রয়েছে ভদোদরার ভাহোরা পরিবার। তারা দুর্ঘটনায় তিন সদস্যকে হারিয়েছে। সোমবার ইয়াসমিনের মৃতদেহ হস্তান্তর করা হলেও, পারভেজ এবং তার ৪ বছর বয়সী মেয়ে জুভেরিয়ার দেহাবশেষ এখনও পাওয়া যায়নি। প্রাক্তন আইপিএস অফিসার এবং ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ, ডঃ কেশব কুমার বলেছেন, পরিবারগুলির আশা হারানো উচিত নয়। বিমান দুর্ঘটনাটি প্রায় বোমা বিস্ফোরণের মতো ছিল। যেখানে ৫৪,০০০ লিটার বিমান জ্বালানি এক ঘন্টারও বেশি সময় ধরে জ্বলছিল। উৎপন্ন তাপের পরিমাণ শরীরের জন্য ক্ষতিকর। আমরা ভাগ্যবান হব যদি ভালো নমুনা পাওয়া যায়। কিন্তু যদি একটি দাঁতও পাওয়া যায়, তাহলে ডিএনএ পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। ফরেনসিক পরীক্ষা খড়ের গাদায় সূঁচ পাওয়ার মতো। কিন্তু একজন তদন্তকারী হিসেবে, আমি বলতে পারি যে ম্যাচ পাওয়ার সম্ভাবনা ১০০%। ডিএনএ হাজার হাজার বছর টিকে থাকতে পারে এবং প্রয়োজনে ধ্বংসাবশেষে ডিএনএর আরও চিহ্ন থাকবে। গুজরাট পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেছেন যে তারা দুর্ঘটনাস্থল থেকে একাধিক নমুনা সংগ্রহ নিশ্চিত করেছেন।

জুন ১৯, ২০২৫
রাজ্য

১০০ দিনের কাজ নিয়ে হাইকোর্টে বড় ধাক্কা কেন্দ্রীয় সরকারকে

গতকালই ওবিসি মামলায় হাইকোর্টে জোরদার ধাক্কা খেয়েছে রাজ্য সরকার। এবার ১০০ দিনের কাজ নিয়ে বড় ধাক্কা খেল কেন্দ্রীয় সরকার। বুধবার নজিরবিহীন একটি নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। পশ্চিমবঙ্গে ফের ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প চালু করতে হবে, এই মর্মে কেন্দ্রীয় সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। আগামী ১ আগস্ট থেকেই এই প্রকল্প চালু করতে নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চ।উল্লেখ্য, বাংলায় ১০০ দিনের কাজের টাকা বহুদিন ধরে আটকে রেখেছে কেন্দ্র, এই অভিযোগ করে আসছে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ রাজ্য সরকারের একাধিক মন্ত্রী এই ব্যাপারে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বারবার সমালোচনায় সরব হয়েছেন। কেন্দ্রীয় সরকারের দাবি, পশ্চিমবঙ্গে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে লাগামহীন দুর্নীতি হয়েছে। এই দুর্নীতির তদন্তে কেন্দ্র বেশ কয়েকটি দলও বাংলার জেলায় জেলায় পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।কেন্দ্রের অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল অশোক চক্রবর্তী আদালতে জানিয়েছিলেন, ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে পশ্চিমবঙ্গে মোট ৫ কোটি ৩৭ লক্ষ টাকা বন্টনের ক্ষেত্রে গরমিল ধরা পড়েছে।। তার মধ্যে ২ কোটিরও বেশি টাকা পুনরুদ্ধার করা গিয়েছে। হুগলি, মালদা, বর্ধমান, দার্জিলিংয়ের মতো জেলাগুলিতে ১০০ দিনের কাজের টাকা বন্টনের ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ পেয়েছে কেন্দ্রের প্রতিনিধি দল। ১০০দিনের কাজের প্রকল্পে টাকা বন্টনের ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গে বেনজির দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ কেন্দ্রের।রাজ্যে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প আটকে থাকা নিয়ে মামলার শুনানি বুধবার ছিল কলকাতা হাইকোর্টে। এদিন উভয় পক্ষের সওয়াল-জবাব শুনেছেন প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। এরপর প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছেন যে শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গের জন্যই বিশেষ কোনও বেঁধে দিতে পারে কেন্দ্র। এই রায়ের পর সোচ্চার হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছেন, ১০০ দিনের পুরনো বকেয়া টাকা ফেরত দিতে হবে।

জুন ১৮, ২০২৫
রাজ্য

তোলা না দেওয়ায় গাছে বেঁধে কাপড় ব্যবসায়ীকে মারধর

পাঁচ লক্ষ টাকা তোলা না দেওয়ায় গাছে বেঁধে এক কাপড় ব্যবসায়ীকে মারধর এবং সালিশি করে গ্রাম ছাড়া করার অভিযোগ উঠলো স্থানীয় একদল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে কালিয়াচক থানার ফতেখানি এলাকায়। এই ঘটনায় আক্রান্ত ব্যবসায়ীর পরিবার কালিয়াচক থানার দ্বারস্থ হলেও চারদিন পরে পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ। অবশেষে বুধবার ওই ব্যবসায়ী দম্পতি সমস্ত ঘটনার বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ জানালেন পুলিশ সুপারের কাছে। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পুরো বিষয়টি নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মালদার পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব। এদিকে কালিয়াচকের ওই ব্যবসায়ীর ওপর আক্রমণ এবং পাঁচ লক্ষ টাকা তোলাবাজির ঘটনায় রীতিমতো অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন জেলার সর্ববৃহৎ ব্যবসায়ীদের সংগঠন মালদা মার্চেন্ট চেম্বার অফ কমার্সের কর্মকর্তারা। সংশ্লিষ্ট সংগঠনের সভাপতি জয়ন্ত কুন্ডু জানিয়েছেন, এই ধরনের ঘটনার আমরা তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। বারবার যদি ব্যবসায়ীদের ওপর দুষ্কৃতীদের হামলা নেমে আসে, তাহলে আমরা যাব কোথায়। অবিলম্বে পুলিশ সুপার যাতে অপরাধীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করে, সেই আবেদন জানাচ্ছি। এদিকে পুলিশকে অভিযোগে কালিয়াচক থানার ফতেখানি এলাকার পোশাক ব্যবসায়ী মহম্মদ রহিম বিশ্বাস জানিয়েছেন, পুরনো একটি মামলার ঘটনায় গত শনিবার এলাকার এক কুখ্যাত দুষ্কৃতী জহরুল খান এবং তার দলবল তাকে বাড়ির সামনে থেকে তুলে নিয়ে যায়। তাদের একটি ডেরায় তাঁকে গাছে বেঁধে ব্যাপক মারধর করা হয়। এরপর পাঁচ লক্ষ টাকার তোলা চাওয়া হয়। সেই টাকা না দেওয়ায় আশেপাশের আরও কিছু সাগরেদদের জুটিয়ে সালিশি ডাকা হয়। সেই সালিশির মাধ্যমে তাদের পরিবারকে গ্রাম ছাড়া করার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। আর এই ঘটনার পর থেকেই গত চারদিন ধরেই ওই ব্যবসায়ী পরিবার নিজের বাড়ি ছেড়ে অন্য এক আত্মীয়ের বাড়িতে আত্মগোপন হয়ে রয়েছেন। এমনকি ফতেখানি স্ট্যান্ডের কাছে ওই ব্যবসায়ী তার নিজের পোশাকে শোরুম খুলতে পারছেন না।

জুন ১৮, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal