• ২ পৌষ ১৪৩২, শনিবার ২০ ডিসেম্বর ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Boxing

খেলার দুনিয়া

Boxing Day: শ্রেয়স না রাহানে, প্রথম টেস্টে কার ভাগ্যে শিকে ছিঁড়বে?

নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে সেঞ্চুরি করেও কি প্রথম একাদশের বাইরে থাকতে হবে শ্রেয়স আয়ারকে? তেমন কিছু ঘটলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে সিরিজের প্রথম টেস্ট খেলতে নামার ৪৮ ঘন্টা আগে ভারতীয় দলের সহ অধিনায়ক লোকেশ রাহুল যেকথা বলে গেলেন, তেমন সম্ভাবনাই প্রবল। শুক্রবার সাংবাদিক সম্মেলনে লোকেশ রাহুল ভারতীয় দলের ৫ বোলার নিয়ে মাঠে নামার ইঙ্গিত দিয়েছেন। সেক্ষেত্রে ৫ বিশেষজ্ঞ ব্যাটসম্যান নিয়ে প্রথম টেস্ট খেলবে ভারত। চোটের জন্য রোহিত শর্মা টেস্ট সিরিজ থেকে ছিটকে গেছেন। এই অবস্থায় রোহিত শর্মার অনুপস্থিতিতে দক্ষিণ আফ্রিকার জোরে বোলারদের সামলাতে খুব ঝুঁকি নেওয়ার বিলাসিতা দেখাতে পারছে না ভারত। শেষ দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে ভারত যে একমাত্র টেস্ট জিতেছিল তার মূল কৃতিত্ব ছিল অজিঙ্ক রাহানের। ফলে এই সিরিজের প্রথম টেস্টে তাঁর প্রথম একাদশে থাকার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। ভারত যদি ৫ ব্যাটারকে নিয়ে মাঠে নামে সেক্ষেত্রে ওপেন করবেন মায়াঙ্ক আগরওয়াল ও লোকেশ রাহুল। তিন নম্বরে চেতেশ্বর পূজারা। চার নম্বরে বিরাট কোহলি। পাঁচ নম্বরে লড়াই শ্রেয়স আয়ার, অজিঙ্ক রাহানে ও হনুমা বিহারীর মধ্যে। শ্রেয়স আয়ার নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে মুম্বই টেস্টে দুই ইনিংসে সেঞ্চুরি ও হাফ সেঞ্চুরি করেছেন। হনুমা বিহারী দক্ষিণ আফ্রিকা এ দলের বিরুদ্ধে ভাল খেলেছেন। ফলে ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্টের কাজ যে যথেষ্ট কঠিন তা মেনে নিচ্ছেন লোকেশ রাহুল। তিনি বলেন, মেলবোর্ন ও লর্ডস টেস্ট-সহ দেশের হয়ে অনেকবারই গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেছেন রাহানে। দলের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্যাটার। শ্রেয়সও সুযোগ কাজে লাগিয়েছে। হনুমাও দেশের হয়ে ভাল খেলেছে। সবমিলিয়ে একজনকে বেছে নেওয়া খুব কঠিন। বিষয়টি নিয়ে আমরা ম্যাচের আগের দিন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারব।আগেরবারের দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের তুলনায় এবারের সফরে ভারতের প্রস্তুতি অনেক ভাল হয়েছে বলে মনে করছেন লোকেশ রহুল। সেঞ্চুরিয়নে পেস ও বাউন্সের সঙ্গে মানিয়ে নিতে সেখানে যে প্রস্তুতি দল নিয়েছে তা পর্যাপ্ত বলেই মনে করেন কোহলির সহকারী। দক্ষিণ আফ্রিকায় খেলার খুব বেশি অভিজ্ঞতা না থাকলেও রাহুল বলেন, এখানকার উইকেট অস্ট্রেলিয়ার তুলনায় আলাদা। এখানকার পেস ও বাউন্স সামলানো চ্যালেঞ্জিং হবে। তবে অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডে ভালো খেলার আত্মবিশ্বাস নিয়েই।

ডিসেম্বর ২৪, ২০২১
খেলার দুনিয়া

Lovelina : ‌সেমিফাইনালে হেরে ব্রোঞ্জেই সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে লাভলিনাকে

মেরি কম ব্যর্থ হওয়ার পর অলিম্পিকে মহিলাদের বক্সিংয়ে লাভলিনা বরগোঁহাইকে নিয়ে স্বপ্ন দেখেছিল দেশবাসী। মহিলাদের ৬৯ কেজি ওয়েল্টারওয়েট বিভাগের সেমিফাইনালে উঠে স্বপ্নও দেখিয়েছিলেন। কিন্তু ফাইনালের স্বপ্ন অপূর্ণই থেকে গেল লাভলিনা বরগোঁহাইয়ের কাছে। সেমিফাইনালে বিশ্বের ১ নম্বর তারকা তুরস্কের বুসেনাজ সুরমেনেলির কাছে হেরে সোনা জয়ের স্বপ্ন শেষ ভারতের এই মহিলা বক্সারের।সেমিফাইনালে হরলেও মেরি কম, বিজেন্দ্র সিংয়ের মতো ব্রোঞ্জ জিতেই সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে লাভলিনা বড়গোহাঁইকে। কোয়ার্টার ফাইনালে যে দাপট নিয়ে তিনি বাউট জিতেছিলেন, সেমিফাইনালে শীর্ষ বাছাই বক্সারের বিরুদ্ধে তাঁর ধারেকাছেও পৌঁছতে পারলেন না লাভলিনা। ৫০ ব্যবধানে বুসেনাজ সুরমেনেলির কাছে উড়ে গেলেন। শুরু থেকেই আক্রমণাত্মকভাবে এগোনোর চেষ্টা করেন লাভলিনা। ভারতীয় বক্সারকে পাল্টা জবাব দেন শীর্ষ বাছাই বুসেনাজ সুরমেনেলি। প্রথম রাউন্ডের শুরুতেই পরপর দুটি পাঞ্চ হজম করার পরই ব্যাকফুটে চলে যান লাভলিনা। ভারতীয় বক্সারের বিরুদ্ধে অনায়াসে পয়েন্ট অর্জন করতে থাকেন তুরস্কের বুসেনাজ। পরপর দুটি পাঞ্চ হজম করে চাপে পড়ে যান লাভলিনা। প্রতিপক্ষের কোনও আক্রমণেরই জবাব দিতে পারছিলেন না। এমনকি প্রতিরোধ ক্ষমতাও হারিয়ে ফেলেন। কেন তিনি বিশ্বের ১ নম্বর, বুঝিয়ে দিলেন বুসেনাজ সুরমেনেলি। নিজের সব অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে লাভলিনার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েন। তাতেই হতদ্যোম হয়ে পড়েন বড়গোহাঁই। শেষ দুই রাউন্ডে বিধ্বস্ত হয়ে পড়েন লাভলিনা। শেষে রাউন্ডে তো কার্যত হালই ছেড়ে দেন ভারতীয় বক্সার। সেমিফাইনালে হারলেও টোকিও অলিম্পিক থেকে ব্রোঞ্জ পদক নিয়ে ফিরছেন লাভলিনা বড়গোহাঁই। মেরি কম, বিজেন্দ্র সিংয়ের পর তৃতীয় ভারতীয় বক্সার হিসেবে এই নজির গড়লেন তিনি। সেমিফাইনালে লাভলিনার পরাজয়ে হতাশ না হয়ে বরং এই কীর্তিকেই বড় করে দেখছে দেশের ক্রীড়াপ্রেমী মানু্ষ। অসমের এই বক্সারের লড়াইকে কুর্নিশ জানাচ্ছে গোটা দেশ। সবমিলিয়ে এখনও পর্যন্ত টোকিও অলিম্পিক থেকে তিনটি পদক এসেছে ভারতের। ভারোত্তোলনে রূপো জিতেছিলেন মীরাবাঈ চানু। ব্যাডমিন্টনে ব্রোঞ্জ জিতেছেন শাটলার পিভি সিন্ধু। সেই তালিকায় যোগ হল লাভলিনা বড়গোহাঁইয়ের নাম।

আগস্ট ০৪, ২০২১
বিনোদুনিয়া

Farhan : সতীশকে নিয়ে উচ্ছ্বসিত ফারহান

এবারের অলিম্পিকের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছিলেন ভারতীয় বক্সার সতীশ কুমার। কিন্তু উজবেকিস্তানের বক্সার বাখোদির জালোলভ তাঁকে ৫-০ ব্যবধানে হারিয়ে পদক জয়ের আশা থেকে বঞ্চিত করেন। তবে হেরে গেলেও দেশের মানুষের প্রশংসা পান তাঁর লড়াকু পারফরম্যান্সের জন্য।খেলা শেষ হওয়ার কিছুক্ষণ আগে ডান চোখে আঘাত পান তিনি। কিন্তু তিনি ময়দান থেকে সরে আসেননি। শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যান। তাঁর উজবেকিস্তানের প্রতিপক্ষ এই লড়াইকে কুর্ণিশ জানিয়েছেন।Shout out to boxer Satish Kumar who showed the world what true competitors are made of. Proud of you brother .. #Tokyo2020 #Boxing #TeamIndia Farhan Akhtar (@FarOutAkhtar) August 2, 2021তাঁর পারফরম্যান্সে মুগ্ধ হয়ে এবার টুইট করলেন বলিউড অভিনেতা ফারহান আখতার। টুইট করে তিনি জানিয়েছেন,সতীশ তুমি দেখিয়ে দিয়েছো সত্যিকারের যোদ্ধারা কী করে তৈরি হয়। তোমাকে নিয়ে আমি গর্বিত।

আগস্ট ০২, ২০২১
খেলার দুনিয়া

Satish Kumar : স্বপ্ন শেষ, অলিম্পিক থেকে বিদায় বক্সার সতীশ কুমারের

অলিম্পিকে পুরুষদের বক্সিংয়ে স্বপ্ন শেষ ভারতের। পুরুষদের সুপার হেভিওয়েট ক্যাটেগরিতে কোয়ার্টার ফাইনালে বিশ্বের ১ নম্বর তারকা উজবেকিস্তানের বাখোদির জালোলভের কাছে হের পদকের স্বপ্ন শেষ ভারতীয় এই বক্সারের। মহিলাদের বক্সিংয়ে লাভলিনা বগোঁগাইয়ের হাত ধরে একটা পদক নিশ্চিত হয়েছে। সুপার হেভিওয়েট ক্যাটেগরিতে ৯১ কেজি বিভাগে প্রথম রাউন্ডে বাই পেয়েছিলেন সতীশ কুমার। সরাসরি নেমেছিলেন প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে। শেষ ষোলোর লড়াইয়ে জামাইকার রিকার্ডো ব্রাউনকে ৪-১ ব্যবধানে হারিয়ে ইতিহাস গড়েছিলেন সতীশ কুমার। আর এক ধাপ এগোতে পারলে দেশের হয়ে পদক নিশ্চিত ছিল সতীশ কুমারের। কিন্তু শেষরক্ষা হল না উজেবেকিস্তানের বাখোদির জালোলভের কাছে হারায়। এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে দুবারের ব্রোঞ্জজয়ী সতীশ। প্রথম ভারতীয় হিসেবে অলিম্পিকের সুপার হেভিওয়েট ক্যাটাগরির জিতে ইতিহাস গড়েছিলেন সতীশ। তাঁকে ঘিরে স্বপ্ন দেখেছিলেন দেশবাসী। বক্সিংয়ে শনিবার তিনি জিতলেই আরও একটি পদক নিশ্চিত হত ভারতের। কিন্তু বাখোদির জালোলাভের কাছে ৫০ ব্যবধানে উড়ে গেলেন সতীশ। জালোলাভের বিরুদ্ধে কোনও প্রতিরোধই গড়ে তুলতে পারেননি এই ভারতীয় বক্সার। বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন বাখোদির জালোলাভের বিরুদ্ধে প্রথম রাউন্ড থেকেই সুবিধা করতে পারেননি সতীশ। একবার তাঁর চোখে আঘাত লাগে। ম্যাচ ছেড়ে দিতে পারতেন। কিন্তু নাছোড়বান্দা মানসিকতা দেখিয়ে লড়াই চালিয়ে যান। যদিও পেরে ওঠেননি। সতীশ কুমারের থেকে বাখোদির জালোলাভের উচ্চতা অনেক বেশি। সেই উচ্চতাকে কাজে লাগিয়ে বাখোদির বার বার পাঞ্চ করে যান সতীশের ওপর। বিশ্বের ১ নম্বর তারকার পাঞ্চের জবাব দিতে পারেননি সতীশ। তাড়াচে বাখোদির জালোলাভকে দেখে মনে হচ্ছিল আত্মবিশ্বাসের শিখড়ে রয়েছেন। শুরু থেকেই জয়ের বিশ্বাস নিয়েই যেন কোর্টে নেমেছিলেন ৯১ কেজি বিভাগের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন বক্সার। তাঁর খেলাতেও তারই ইঙ্গিত ছিল। সারাক্ষণ একটা হাত চালিয়ে সতীশকে ডিফেন্স করতে ব্যস্ত রাখেন। অন্য হাত দিয়ে ভারতীয় বক্সারের মুখে পাঞ্চ করে যান। তাতেই ব্যাকফুটে চলে যান সতীশ কুমার।

আগস্ট ০১, ২০২১
খেলার দুনিয়া

Puja Rani: রিও অলিম্পিকে ব্রোঞ্জজয়ীর কাছে হেরে স্বপ্ন শেষ বক্সার পূজা রানির

অনেক আশা ছিল পূজা রানিকে ঘিরে। হতাশ করলেন হরিয়ানার এই বক্সার। লাভলিনা বড়গোহাঁই পারলেও ব্যর্থ হলেন পূজা রানি। টোকিও অলিম্পিকের কোয়ার্টার ফাইনালে হেরে পদক জয়ের সম্ভাবনা হাতছাড়া করলেন ভারতের এই মহিলা বক্সার। মিডলওয়েট ক্যাটেগরিতে ২০১৬ সালের রিও অলিম্পিকে ব্রোঞ্জজয়ী তথা বিশ্বের তিন নম্বর বক্সার চীনের লি কুইয়ানের সামনে দাঁড়াতেই পারলেন না পূজা রানি। ৫-০ ব্যবধানে উড়ে গেলেন এই ভারতীয় বক্সার।টোকিও অলিম্পিকে মহিলা বক্সিংয়ের ৬৯ কেজি বিভাগে সেমিফাইনালে পৌঁছে পদক নিশ্চিত করেছিলেন লাভলিনা। লাভলিনার মতো লড়াই লড়তে পারলেন না পূজা। ম্যাচে প্রথম থেকেই ব্যাকফুটে ছিলেন এই ভারতীয় বক্সার। তিন রাউন্ড থেকে তিনি কোনও পয়েন্টই ঘরে তুলতে পারেননি। উল্টে আক্রমণাত্মক স্ট্রাটেজিতে ম্যাচের ওপর পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ কায়েম করেন কুইয়ান। চিনা প্রতিপক্ষের আক্রমণাত্মক মুভমেন্টের জবাব দিতে পারেননি ভারতের পূজা।২০১৮ সালে বক্সিং বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের খেতাব জিতেছিলেন চিনের লি কুইয়ান। কেন তিনি বিশ্বের এক নম্বর তারকা, তা ফের প্রমাণ করলেন ৩১ বছরের বক্সার। ২০১৭ ও ২০১৯ সালের এশিয়ান বক্সিং চ্যাম্পিয়নশিপ জেতা কুইয়ানের বিরুদ্ধে কোনও প্রতিরোধই গড়ে তুলতে পারেননি পূজা। ২০১৯ ও ২০২১ সালের এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে সোনা জেতা এই ভারতীয় বক্সার শনিবার ঘুরেই দাঁড়াতে পারলেন না। প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে আবজেরিয়ার ইচরাক চাইবকে ৫-০ পয়েন্টের ব্যবধানে হারিয়েছিলেন পূজা রানি। ওই ম্যাচে তাঁর পারফরম্যান্স দেখে মুগ্ধ হয়েছিলেন দেশের ক্রীড়াপ্রেমীরা। সেই বক্সার যে কোয়ার্টার ফাইনালে এভাবে হারবেন, তা হয়তো কল্পনার মধ্যেই আনেননি অনেকে। যদিও এই হার থেকে শিক্ষা নিয়ে আগামী দিনে পথ চলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন পূজা।চলতি অলিম্পিকের প্রি-কোয়াটার ফাইনাল থেকেই ছিটকে যেতে হয়েছিল কিংবদন্তি মেরি কমকে। ইতিমধ্যে মহিলাদের বক্সিংয়ে ৬০ কেজি বিভাগের কোয়ার্টার ফাইনালে হেরে বিদায় নেন ভারতের সিমরনজিৎ কৌর। এই দুই হারের ক্ষততে প্রলেপ দেন লাভলিনা বরগোঁহাই। মহিলাদের ৬৯ কেজি বিভাগের সেমিফাইনালে পৌঁছে দেশের জন্য পদক নিশ্চিত করেন অসমের বক্সার। চাইনিজ তাইপের চেন নিয়েন-চিনকে ৪-১ পয়েন্টের ব্যবধানে হারিয়েছেন লাভলিনা। তিন রাউন্ডেই দাপট অব্যাহত রেখে তিনি সেমিফাইনালে পৌঁছেছেন। ভারতের জন্য অন্তত একটা ব্রোঞ্জ পদক নিশ্চিত করেছেন বরগোঁহাই।

জুলাই ৩১, ২০২১
খেলার দুনিয়া

মহিলা বক্সিংয়ের সেমিফাইনালে পৌঁছে পদক নিশ্চিত করলেন লাভলিনা বরগোঁহাই

অলিম্পিক ভারতকে পদকের স্বপ্ন দেখাচ্ছেন বক্সাররা। আগেরদিন মেরি কম ব্যর্থ হলেও পুরুষের সুপার হেভিওয়েট ক্যাটেগরির প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে ইতিহাস গড়েছেন সতীশ কুমার। শুক্রবার ইতিহাস গড়লেন লাভলিনা বরগোঁহাই। টোকিও অলিম্পিকের মহিলা বক্সিংয়ের সেমিফাইনালে পৌঁছে দেশের হয়ে পদক নিশ্চিত করলেন ভারতের এই বক্সার। ৬৯ কেজি বিভাগের শেষ চারে পৌঁছেছেন লাভলিনা বরগোঁহাই। অলিম্পিকে দিনটা অবশ্য ভারতের কাছে মিশ্রভাবে কাটল। দীপিকা কুমারী তিরন্দাজিতে জিতলেও শুটিং থেকে বিদায় নেন মানু ভাকের ও রাহি সর্নোবত। মহিলাদের ৬০ কেজি বিভাগের বক্সিং থেকে বিদায় নেন সিমরনজিত কাউর। এই পাঞ্জাব তনয়া প্রি-কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায় নেন।সিমরনজিত বিদায় নিলেন পদক নিশ্চিত করেন লাভলিনা বরগোঁহাই। মহিলাদের ৬৯ কেজি ওয়েলটারওয়েট বিভাগের কোয়ার্টার ফাইনালে তিনি ৪-১ ব্যবধানে হারান নিয়েন-চিন চেনকে। লাভলিনা বরগোঁহাই-এর সামনে সেভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারেননি নিয়েন-চিন চেন। সেমিফাইনালে উঠে ব্রোঞ্জ পদক নিশ্চিত করেছেন লাভলিনা বরগোঁহাই। এখন দেখার এই পদক তিনি সোনা কিংবা রূপো পরিণত করতে পারেন কিনা। সেমিফাইনালে তাঁর সামনে বিশ্বের ১ নম্বর তুরস্কের বুসেঞ্জে সেরমেনলি।অন্যদিকে, মহিলাদের ৬০ কেজি লাইট বিভাগের কোয়ার্টার ফাইনালে সিমরনজিত কাউর হারেন সুদাপর্ন সিসন্দির কাছে।

জুলাই ৩০, ২০২১
খেলার দুনিয়া

Boxing: সুপার হেভিওয়েট ক্যাটেগরির প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে ইতিহাস সতীশ কুমারের

লাভলিনা বরগোঁগাই ও পূজা রানির পর টোকিও অলিম্পিকে পদক জয়ের সম্ভাবনা উজ্জ্বল হল বক্সার সতীশ কুমারের। পৌঁছে গেলেন কোয়ার্টার ফাইনালে। সুপার হেভিওয়েট ক্যাটেগরির প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে জামাইকার রিকার্ডো ব্রাউনকে ৪-১ ব্যবধানে হারিয়ে ইতিহাস গড়লেন এই ভারতীয় বক্সার। আর এক ধাপ এগোতে পারলে দেশের হয়ে পদক নিশ্চিত সতীশ কুমারের। ৯১ কেজি বিভাগে সরাসরি প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে নেমেছিলেন সতীশ কুমার। এই ম্যাচে প্রথম রাউন্ড থেকেই আক্রমণাত্মক মেজাজে ছিলেন জামাইকার বক্সার। অন্যদিকে, শুরুর দিকে রক্ষণাত্মক রণনীতি নেন সতীশ। পরের দিকে ধীরে ধীরে নিজের রক্ষণাত্মক খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসেন। প্রতিপক্ষের দুর্বল ফুটওয়ার্কের ফায়দা তোলেন কেরিয়ারের প্রথম অলিম্পিক খেলতে নামা ৩২ বছর বয়সী ভারতীয় বক্সার।প্রথম রাউন্ডেই এগিয়ে যান এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে দুবারের ব্রোঞ্জজয়ী সতীশ। দ্বিতীয় রাউন্ডে রিকার্ডো ব্রাউন কিছুটা লড়াই করার চেষ্টা করেন। কিন্তু ততক্ষণে ম্যাচের রাশ সতীশের হাতে চলে যায়। তৃতীয় রাউন্ডে প্রতিপক্ষকে একেবারে দাঁড়াতেই দেননি। প্রথম ভারতীয় হিসেবে অলিম্পিকের সুপার হেভিওয়েট ক্যাটাগরির জিতে ইতিহাস রচনা সতীশ। আর একটি ম্যাচ জিতলেই সেমিফাইনালে পৌঁছে যাবেন সতীশ। শেষ চারে পৌঁছলেই একটি পদক নিশ্চিত। ১ অগাস্ট কোয়ার্টার ফাইনালে উজবেকিস্তানের বাকোদির জালোলভের মুখোমুখি হবেন অর্জুন পুরস্কার জয়ী এই ভারতীয় বক্সার। উল্লেখ্য, এর আগে মহিলাদের বক্সিংয়ের কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছেছেন লাভলিনা বরগোঁহাই ও পূজা রানি।

জুলাই ২৯, ২০২১
খেলার দুনিয়া

Puja Rani : মহিলা বক্সিংয়ের ৭৫ কেজি বিভাগে কোয়ার্টার ফাইনালে পূজা রানি

অন্য ইভেন্টে যখন একের পর এক ব্যর্থতা, ভারতবাসীকে স্বপ্ন দেখাচ্ছে বক্সিং। আগের দিনই টোকিও অলিম্পিকের শেষ আটে পৌঁছে গিয়েছিলেন লভলিনা বরগোঁহাই। বুধবার আরও এক ভারতীয় মহিলা বক্সার পৌঁছে কোয়ার্টার ফাইনালে। ৭৫ কেজি বিভাগের প্রিকোয়ার্টার ফাইনালে হরিয়ানার পূজা রানি বোরা দাপটের সঙ্গে উড়িয়ে দিলেন আলজেরিয়ার ইচরাক চাইবকে।পূজা রানি ও আচরিকা চাইবের কাছে এটাই প্রথম অলিম্পিক। আর মিডলওয়েট বক্সিংয়ে এদিন তাঁদের ছিল প্রথম বাউট। ৩০ বছরের পূজার চেয়ে চাইব বছর দশেকের ছোট। দুবারের এশিয়া চ্যাম্পিয়ন পূজা রানি শুরু থেকেই আধিপত্য বজায় রাখেন। তিনটি রাউন্ডেই তিনি পেছনে ফেলে দেন ইচরাক চাইবকে। চাইব জোরালোভাবে পাঞ্চ করতে চাইছিলেন। কিন্তু অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে পূজা নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখায় চাইব সুবিধা করতে পারেননি। বরং পূজার কাউন্টার অ্যাটাক সামলাতে বারবারই বেগ পেতে হল চাইবকে। শেষে ৫-০ ব্যবধানে জিতে অলিম্পিকের শেষ আটে পৌঁছে গেলেন পূজা। কোয়ার্টার ফাইনালে শনিবার তাঁর সামনে চিনের লি কিয়ান।পরিবারের অমতেই বক্সিংয়ে আসা পূজা রানির। হরিয়ানার ভিওয়ানি জেলার নিমড়িওয়ালি গ্রাম থেকে উঠে এসেছেন। বাবাকে না জানিয়েই ভর্তি হন হাওয়া সিং বক্সিং আকাদেমিতে। কারণ, তিনি জানতেন পুলিশ অফিসার বাবা কখনোই বক্সার হওয়ার অনুমতি দেবেন না। পূজা আগে জানিয়েছিলেন, তাঁরা বাবা চাননি তিনি বক্সার হোন। বাবা বলতেন, আচ্ছে বাচ্চে বক্সিং নেহি খেলতে। মার লাগ জায়েগি। অর্থাৎ ভাল বাচ্চারা বক্সিংয়ে খেলেনা। এই খেলায় চোট লাগবে! পূজার বাবার ধারণা ছিল, যাঁরা খুব আগ্রাসী মনোভাবসম্পন্ন তাঁদের জন্যই বক্সিং, কিন্তু পূজার মতো মেয়েদের জন্য নয়। কিন্তু পূজা তাঁর বাবামাকে বরাবরই বোঝানোর চেষ্টা করে গিয়েছেন, তিনি বক্সিংয়ে ভালো করবেন এবং দেশের প্রতিনিধিত্ব করবেন। বক্সিং রিংয়ে চোট পেলেও বাবা যাতে বুঝতে না পারেন, সে কারণে চোট না সারা অবধি বন্ধুর বাড়িতেও কাটিয়েছেন। বাবাকে রাজি করাতে না পারায় পেশাদার বক্সিংয়ে নামার জন্য প্রস্তুত হয়েও পূজাকে অপেক্ষা করতে হয়েছে মাস ছয়েক! কিন্তু দেশের প্রতিনিধিত্ব করার স্বপ্ন যে আকাশকুসুম কল্পনা ছিল না সেটা পূজা প্রমাণ করে দেখিয়েছেন। পরিবারের আস্থা পূজা অর্জন করেছিলেন ২০০৯ সালে ৬০ কেজি বিভাগে জাতীয় যুব বক্সিং চ্যাম্পিয়নশিপে রুপো জয়ের পর। এর দুই মাস পর হরিয়ানার নামি বক্সার প্রীতি বেনিওয়ালকে হারিয়ে দেন পূজা। এই জয়ের পর আর তাঁকে বক্সিং নিয়েই এগিয়ে যেতে পরিবার বাধা দেয়নি। হরিয়ানা সরকারের আয়কর অফিসারের চাকরিও পান পূজা। ২০১২ ও ২০১৫ সালে এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে যথাক্রমে রুপো ও ব্রোঞ্জ জেতেন মিডলওয়েটে। ২০১৪ সালের ইনচেয়ন এশিয়ান গেমসে জেতেন ব্রোঞ্জ। ২০১৯ সালে ব্যাঙ্ককে এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে লাইট হেভিওয়েটে সোনা জেতার পর চলতি বছর দুবাইয়ে মিডলওয়েটেই সোনা জেতেন।তবে অলিম্পিকে আসার যাত্রা পথ একেবারেই মসৃণ ছিল না পূজা রানির কাছে। ২০১৭ সালে দেওয়ালির সময় বাজি ফাটাতে গিয়ে হাত পুড়ে যায়, তখনও ছয় মাস বক্সিং অনুশীলন চালাতে পারেননি। এই সময় নষ্টের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে ট্রেনিংয়ে তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে কাঁধে মারাত্মক চোট পান, যা তাঁর কেরিয়ার শেষ করে দিতে পারত। রানির ইচ্ছা ছিল ৮১ কেজি বিভাগে খেলা চালিয়ে যাওয়ার। কিন্তু পরবর্তীতে সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন অলিম্পিকে দেশের প্রতিনিধিত্ব করার লক্ষ্যে। অলিম্পিকে নেমে পদক জয়ের লক্ষ্যে আপাতত পেরোলেন প্রথম বাধা। অভিজ্ঞতা, অদম্য মানসিকতা আর কৌশলের মেলবন্ধন ঘটিয়ে দেশের হয়ে পদক আনুন পূজা রানি, এটাই এখন কামনা।

জুলাই ২৮, ২০২১
খেলার দুনিয়া

Mary Kom : অলিম্পিকের দ্বিতীয় রাউন্ডে পৌঁছে গেলেন মেরি কম

পদক জয়ের স্বপ্ন নিয়েই টোকিও গেছেন। অলিম্পিকে যাওয়ার আগে মেরি কম বলেছিলেন, পদক জিতেই বক্সিংকে বিদায় জানাতে চান। স্বপ্নপূরণের প্রথম ধাপে সফল। টোকিও অলিম্পিকের প্রথম ম্যাচেই নিজের জাত চেনালেন এই ভারতীয় মহিলা বক্সার। মহিলাদের ফ্লাইওয়েট ইভেন্টে ডোমিনিকান রিপাবলিকের মিগুয়েলিনা হার্নান্ডেজকে ৪১ ব্যবধানে উড়িয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডে পৌঁছে গেলেন মেরি কম। নিজের অভিজ্ঞতার সম্পূর্ণ প্রয়োগের মাধ্যমে প্রতিযোগিতার প্রথম রাউন্ডে দাপুটে জয় পেলেন ৬ বারের এই বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন।লন্ডন অলিম্পিকে ব্রোঞ্জ জিতেছিলেন মেরি কম। চোটআঘাতের জন্য ২০১৬ রিও অলিম্পিকে যোগ্যতা অর্জন করতে পারেননি। টোকিও অলিম্পিকই মেরি কমের কাছে শেষ অলিম্পিক। ৬ বার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হলেও অলিম্পিকে সোনা অধরাই থেকে গেছে। মনের মধ্যে অনেকদিন ধরে অলিম্পিকে সোনা জয়ের স্বপ্ন দেখছেন। টোকিওতে সেই স্বপ্নপূরণ করতে চান মেরি কম।#TeamIndia | #Tokyo2020 | #BoxingWomens Fly Weight 48-51kg Round of 32 Results@MangteC के पंच में है दम। Mary kick starts her #Olympics campaign on a strong note, dominating Garcia Hernandez. What a power packed bout by our champ #RukengeNahi #EkIndiaTeamIndia #Cheer4India pic.twitter.com/4kE6vfspd2 Team India (@WeAreTeamIndia) July 25, 2021যে কোনও প্রতিযোগিতায় প্রথম বাউট সবসময় কঠিন। তার ওপর আবার অলিম্পিকের মতো আসর। সুতরাং বাড়তি চাপ থাকাই স্বাভাবিক। সেই চাপ উপেক্ষা করে প্রথম বাউটেই দারুণ জয় তুলে নিলেন মেরি কম। প্রথম দুই রাউন্ডে লড়াই দারুণ জমে উঠেছিল। দুই রাউন্ড শেষে স্কোর ছিল সমান সমান। দ্বিতীয় রাউন্ডের শেষের দিতে মেরি কমকে কিছুটা ক্লান্ত মনে হচ্ছিল। তবে তৃতীয় রাউন্ডের শুরু থেকেই জ্বলে ওঠেন মেরি কম। নিজের স্কোর আস্তে আস্তে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন। শেষ পর্যন্ত ৪১ ব্যবধানে বাউট জিতে নেন ৬ বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন এই ভারতীয় মহিলা বক্সার। দ্বিতীয় রাউন্ডে মেরি কম মুখোমুখি হবেন তৃতীয় বাছাই কলম্বিয়ার ইনগ্রিট ভ্যালেন্সিয়ার বিরুদ্ধে। রিও অলিম্পিকে ব্রোঞ্জ জিতেছিলেন ভ্যালেন্সিয়া।

জুলাই ২৫, ২০২১

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

যুবভারতী কাণ্ডে নতুন মোড়, শতদ্রু দত্তের রিষড়ার বাড়িতে হানা বিধাননগর পুলিশের

যুবভারতী কাণ্ডের পর থেকেই রিষড়ার একটি ঝাঁ চকচকে তিনতলা বাড়ি ঘিরে কৌতূহল বেড়েছে। শুক্রবার সকালে সেই বাড়িতেই হাজির হল বিধাননগর পুলিশ। যুবভারতী স্টেডিয়ামে মেসির অনুষ্ঠান ঘিরে হওয়া বিশৃঙ্খলার ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া উদ্যোক্তা শতদ্রু দত্তের এই বাড়িতে এদিন তল্লাশি চালান তদন্তকারীরা। তবে ঠিক কী কারণে এই তল্লাশি, তা নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি পুলিশ আধিকারিকরা।গত ১৩ ডিসেম্বর যুবভারতী স্টেডিয়ামে লিওনেল মেসির অনুষ্ঠান আয়োজনের দায়িত্বে ছিলেন শতদ্রু দত্ত। ওই দিন স্টেডিয়ামে ব্যাপক বিশৃঙ্খলা ছড়ায়। সেই ঘটনার পরই আয়োজক সংস্থার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে এবং পুলিশ শতদ্রুকে গ্রেফতার করে। বর্তমানে তিনি পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন। ঠিক সেই সময়ই শুক্রবার সকালে তাঁর রিষড়ার বাড়িতে পৌঁছে যায় বিধাননগর পুলিশের একটি দল।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দক্ষিণ বিধাননগর থানার পাঁচজন আধিকারিক, তাঁদের মধ্যে মহিলা পুলিশকর্মীও ছিলেন, এদিন সকালে রিষড়ায় যান। প্রথমে তাঁরা রিষড়া থানায় হাজির হন। পরে স্থানীয় থানার পুলিশের সহযোগিতায় বাঙুর পার্ক এলাকায় শতদ্রু দত্তের বাড়িতে যান তদন্তকারীরা। সেই সময় বাড়িতে শুধুমাত্র এক পরিচারিকা ছিলেন। তাঁর সঙ্গেও কথা বলেন পুলিশ আধিকারিকরা।এরপর তিনতলা বাড়ির প্রতিটি ঘরে তল্লাশি চালানো হয়। সূত্রের খবর, ওই বাড়িতে একটি ব্যক্তিগত ফুটবল মাঠ এবং একটি সুইমিং পুল রয়েছে। সেগুলিও ঘুরে দেখেন তদন্তকারীরা। তবে তল্লাশির পর বাড়ি থেকে কোনও কিছু বাজেয়াপ্ত করা হয়নি বলেই জানা গিয়েছে। বাড়ি থেকে বেরোনোর সময় এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, বিষয়টি তদন্তাধীন, তাই এখনই কিছু বলা সম্ভব নয়।এদিকে তদন্তকারীদের একাংশের অনুমান, মেসির অনুষ্ঠানে বিপুল পরিমাণ কালো টাকা ব্যবহার হয়ে থাকতে পারে। যুবভারতী কাণ্ডে পুলিশের তরফে ইতিমধ্যেই দুটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। সেই এফআইআরের ভিত্তিতে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট ইসিআইআর দায়ের করে আর্থিক লেনদেনের উৎস খতিয়ে দেখতে পারে বলে তদন্তকারী সূত্রে খবর।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫
দেশ

সংবাদমাধ্যমে আগুন, ভারত-বিরোধী স্লোগান—ঢাকা পরিস্থিতিতে কড়া নজর দিল্লির

ওসমান হাদির মৃত্যুর পর ফের তপ্ত হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। বৃহস্পতিবার রাত থেকেই ঢাকাসহ একাধিক শহরে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। প্রথম সারির সংবাদমাধ্যমের অফিসে আগুন লাগানো হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ হয়েছে এবং কট্টরপন্থীদের একাংশ প্রকাশ্যে ভারত-বিরোধী মন্তব্য করছে। পরিস্থিতি কোন দিকে গড়ায়, তা নিয়ে কড়া নজর রাখছে ভারত।সূত্রের খবর, ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনায় যেখানে ভারতীয় হাইকমিশনের অফিস রয়েছে, সেখানে কর্মরত ভারতীয় আধিকারিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দিকে বিশেষ নজর দিচ্ছে নয়া দিল্লি। সাম্প্রতিক পরিস্থিতির জেরে একাধিক জায়গায় ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্র ইতিমধ্যেই বন্ধ রাখা হয়েছে। পরিস্থিতি আরও খারাপ হলে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে বলেও ইঙ্গিত মিলেছে।বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনের সামনে কট্টরপন্থীদের বিক্ষোভ চলে। কয়েকটি ক্ষেত্রে সেই বিক্ষোভ আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে বলে অভিযোগ। রাত সাড়ে দশটা নাগাদ চট্টগ্রামে ভারতীয় ডেপুটি হাইকমিশনারের বাসভবন ঘিরে ধরার ডাক দেওয়া হয়েছে বলে খবর আসে। বিভিন্ন দিক থেকে অফিস ঘেরাওয়ের আহ্বান জানানো হয়। এই পরিস্থিতিতে গোটা ঘটনার উপর নজর রাখছে ভারত সরকার। সূত্রের খবর, নিরাপত্তার কারণে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনায় আজও ভিসা কেন্দ্র বন্ধ থাকতে পারে।উল্লেখ্য, এর আগেও বাংলাদেশের এক রাজনৈতিক মিছিলে ভারতের সেভেন সিস্টার্সকে আলাদা করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন এনসিপি নেতা হাসনাত। সেই মন্তব্যের পরই দিল্লি কড়া অবস্থান নেয়। বাংলাদেশের হাইকমিশনার মহম্মদ রিয়াজ হামিদুল্লাহকে তলব করে স্পষ্ট জানানো হয়, এই ধরনের উস্কানিমূলক মন্তব্য ভারত কোনওভাবেই বরদাস্ত করবে না। কিন্তু সাম্প্রতিক ঘটনার পর স্পষ্ট, সেই বার্তা এখনও পুরোপুরি কার্যকর হয়নি বলেই মনে করছে কূটনৈতিক মহল।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫
বিদেশ

কে এই ওসমান হাদি? যাঁর মৃত্যুতে গোটা বাংলাদেশে আগুন জ্বলছে

কয়েক মাস আগেও যাঁকে প্রায় কেউ চিনতেন না, অল্প সময়ের মধ্যেই তিনি ঘরে ঘরে পরিচিত মুখ হয়ে উঠেছিলেন। রাজনীতিতে আচমকা উত্থান, আবার সেই কাহিনি পূর্ণতা পাওয়ার আগেই থেমে গেল। শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুতে অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশ। দেশজুড়ে ছড়িয়েছে উত্তেজনা, বহু জায়গায় আগুন ও বিক্ষোভ। যাঁকে ঘিরে এত আলোচনা, আন্দোলন ও বিতর্ক, সেই ওসমান হাদি আসলে কে ছিলেন?অত্যন্ত সাধারণ পরিবার থেকে উঠে এসেছিলেন ওসমান হাদি। শেখ হাসিনার দল আওয়ামী লিগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে যে আন্দোলন শুরু হয়েছিল, তার অন্যতম মুখ ছিলেন তিনি। সেই আন্দোলনের মাধ্যমেই জাতীয় রাজনীতিতে পরিচিতি পান হাদি। বিতর্কিত গ্রেটার বাংলাদেশ-এর মানচিত্র তৈরির সঙ্গেও তাঁর নাম জড়ায়, যেখানে ভারতের সেভেন সিস্টার্স-সহ একাধিক অঞ্চলকে বাংলাদেশের অংশ হিসেবে দেখানো হয়েছিল।১৯৯৩ সালের ৩০ জুন বরিশালে জন্ম ওসমান হাদির। ছয় ভাইবোনের মধ্যে তিনি ছিলেন সবার ছোট। ঢাকার রামপুরা এলাকায় থাকতেন। পেশায় শিক্ষক ছিলেন হাদি। জুলাই আন্দোলনের সময় তিনি সক্রিয়ভাবে স্থানীয় সাংগঠনিক কাজে যুক্ত হন। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই রামপুরা এলাকার সমন্বয়ক হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পান এবং পরিচিত মুখ হয়ে ওঠেন।শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর আওয়ামী লিগ নিষিদ্ধ করার দাবিতে যারা সরব হন, তাঁদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন হাদি। সেই সময়েই গড়ে ওঠে ইনকিলাব মঞ্চ। এই মঞ্চের লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং ন্যায়বিচারের দাবি। ইনকিলাব মঞ্চের তরফে জুলাই অভ্যুত্থানের স্মৃতি সংরক্ষণ, অভিযুক্তদের বিচার, আহত ও নিহতদের স্বীকৃতি এবং জুলাই চার্টার ঘোষণার দাবি তোলেন হাদি। এর ফলে রাজনৈতিক আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসেন তিনি।ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায়ও হাদির নাম জড়ায়। বিষয়টি নিয়ে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়। ইনকিলাব মঞ্চের ব্যানারে হাদি বারবার আওয়ামী লিগের বিরুদ্ধে দমন-পীড়ন ও হত্যার অভিযোগ তুলে দলটিকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানান। দাবি মানা না হলে সচিবালয় ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারিও দিয়েছিলেন তিনি।সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদি জানিয়েছিলেন, তাঁকে ফোন ও মেসেজ করে খুনের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। তবুও তিনি পিছিয়ে যাননি। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়াইয়ের ঘোষণা দেন। চা-সিঙ্গারা আড্ডার মাধ্যমে প্রচারও শুরু করেছিলেন। ঠিক সেই সময়ই ঘটে যায় মর্মান্তিক ঘটনা।গত ১২ ডিসেম্বর জুম্মার নামাজের পর ঢাকার বিজয়নগরের বক্স কালভার্ট এলাকা দিয়ে ফেরার সময় তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। গুলি মাথা ভেদ করে বেরিয়ে যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে প্রথমে ঢাকার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে একটি বেসরকারি হাসপাতালে এবং সেখান থেকে সিঙ্গাপুরে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সব চেষ্টা ব্যর্থ করে শুক্রবার, ১৮ ডিসেম্বর রাতে সিঙ্গাপুরে মৃত্যু হয় ওসমান হাদির। আজ তাঁর দেহ বাংলাদেশে আনা হবে।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫
রাজ্য

নিষিদ্ধপল্লীতে ভোটার উধাও! খসড়া তালিকায় বাদ ২০ শতাংশ নাম

নিজস্ব সংবাদদাতা: খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ হতেই চমকে দেওয়ার মতো তথ্য সামনে এল আসানসোলে। উদ্বেগ ছড়িয়েছে রাজনৈতিক মহলেও। এসআইআর বা স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশনের প্রাথমিক পর্ব শেষে দেখা যাচ্ছে, কুলটি বিধানসভার নিয়ামতপুর সংলগ্ন নিষিদ্ধপল্লী এলাকার চারটি বুথে মোট ভোটারের প্রায় ২০ শতাংশ নাম তালিকা থেকে বাদ পড়েছে। পাশাপাশি আরও প্রায় ২০ শতাংশ ভোটারের সঙ্গে পুরনো তালিকার কোনও ম্যাপিং করা যায়নি বলে নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর।এসআইআর শুরু হওয়ার সময় এই চারটি বুথে মোট ভোটার ছিলেন ৩ হাজার ৬২৭ জন। খসড়া তালিকা প্রকাশের পর দেখা যাচ্ছে, ৭৪২ জনের নাম বাদ গিয়েছে। বাদ পড়া ভোটারদের মধ্যে ১৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে, ৬৯ জন অন্যত্র চলে গিয়েছেন। সবচেয়ে বেশি সংখ্যক, অর্থাৎ ৫৩৪ জন ভোটারের কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। জানা গিয়েছে, তাঁরা এনুমারেশন ফর্ম তুললেও তা আর জমা দেননি। পাশাপাশি ২০০২ সালের ভোটার তালিকার সঙ্গে মিলিয়ে দেখা সম্ভব হয়নি এমন ভোটারের সংখ্যা ৬৮৪ জন।এই তথ্য সামনে আসতেই বিরোধীরা সরব হয়েছেন। তাঁদের অভিযোগ, বছরের পর বছর এই ভূতুড়ে ভোটারদের ব্যবহার করে এসেছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। নিষিদ্ধপল্লী এলাকায় বাংলাদেশি নাগরিকদের নাম ভোটার তালিকায় ঢোকানো হয়েছিল বলেও অভিযোগ তুলেছে বিরোধীরা।তবে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। দলের দাবি, এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী বুথ লেভেল অফিসার বা বিএলও-রা। তৃণমূলের জেলা সহ-সভাপতি বাচ্চু রায় বলেন, নিষিদ্ধপল্লীর অনেক যৌনকর্মী নিজের পরিচয় ও ঠিকানা গোপন রেখে সেখানে কাজ করতে আসেন। এসআইআর চলাকালীন তাঁরা ভয় পেয়ে এলাকা ছেড়ে চলে গিয়েছেন বা ফর্ম তুললেও জমা দেননি। তাঁর দাবি, এখানে কোনও বাংলাদেশি যোগ নেই।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫
রাজ্য

আপাতত স্বস্তি যোগ্য শিক্ষকদের, চাকরির মেয়াদ বৃদ্ধি সুপ্রিম কোর্টের

অবশেষে কিছুটা স্বস্তির। সৌজন্যে সুপ্রিম কোর্ট। যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকাদের চাকরির মেয়াদ বাড়ানোর নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। আগামী ৩১ ডিসেম্বর নয়, ২০২৬ সালের ৩১ অগস্ট পর্যন্ত চাকরিতে বহাল থাকবেন যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকারা। এই সময়সীমার মধ্যেই নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে রাজ্য সরকারকে। এমনই স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত।নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য অতিরিক্ত সময় চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল স্কুল সার্ভিস কমিশন (SSC)। রাজ্যের তরফে ২০২৬ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় বাড়ানোর আবেদন জানানো হলেও আদালত সেই আবেদন আংশিক মঞ্জুর করে প্রায় আট মাসের অতিরিক্ত সময় দেয়। আদালত জানিয়ে দেয়, আগামী ৩১ অগস্টের মধ্যেই নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে।শীর্ষ আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, এই সময়কালে যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকারা নিয়মিত বেতন পাবেন এবং পড়ানোর কাজও চালিয়ে যেতে পারবেন। তবে আদালত স্পষ্ট করেছে, এই সুবিধা শুধুমাত্র শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি কর্মীদের ক্ষেত্রে এই নির্দেশ কার্যকর হবে না।আজকের এই রায়ে বড় স্বস্তি পেল রাজ্য সরকারও। কারণ ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে শিক্ষা ব্যবস্থা সচল রাখা এবং বিদ্যালয়গুলিতে শিক্ষক সংকট এড়ানো রাজ্যের পক্ষে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত আগের যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকাদের পরিষেবা ও বেতন বহাল থাকবে।উল্লেখ্য, চলতি বছরের ৩ এপ্রিল ২৬ হাজার চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেওয়ার সময় সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে নতুন করে পরীক্ষা নিয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে রাজ্যের শিক্ষা দপ্তরকে। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এই জটিল প্রক্রিয়া শেষ করা কার্যত অসম্ভব হয়ে পড়ায় রাজ্য সরকার সময় বাড়ানোর আবেদন জানায়।আদালতে রাজ্যের তরফে জানানো হয়, নবম-দশম এবং একাদশ-দ্বাদশ স্তরের শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী নিয়োগের সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া শেষ করতে আরও কয়েক মাস সময় প্রয়োজন। পাশাপাশি যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকাদের চাকরির মেয়াদ বাড়ানোর আর্জিও জানানো হয়। সেই আবেদনের ভিত্তিতেই এই গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫
রাজ্য

চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগে দেওচা–পাঁচামিতে পাথর উত্তোলনের বরাত বাতিল, নতুন দরপত্রে বিতর্ক

চুক্তির শর্ত লঙ্ঘনের অভিযোগে দেওচাপাঁচামি কয়লাখনি প্রকল্প এলাকায় পাথর উত্তোলনের কাজের বরাত বাতিল করল রাজ্য সরকার। প্রাথমিক পর্যায়ে ১২ একর জমিতে পাথর উত্তোলনের দায়িত্বে থাকা মেসার্স পাচামি ব্যাসল্ট মাইনিং প্রাইভেট লিমিটেডের সঙ্গে চুক্তি বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রাজ্যের দাবি, সংস্থাটি চুক্তির একাধিক গুরুত্বপূর্ণ শর্ত মানেনি বলেই এই পদক্ষেপ।রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, প্রকল্পের দ্বিতীয় ধাপে ৩১৪ একর জমিতে পাথর উত্তোলনের জন্য নতুন করে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। তবে এই সিদ্ধান্ত ঘিরে শুরু হয়েছে তীব্র রাজনৈতিক বিতর্ক। বিরোধী দল বিজেপির অভিযোগ, দেওচাপাঁচামি কয়লাখনি প্রকল্প নিয়ে রাজ্য সরকার আসলে ধোঁয়াশা তৈরি করছে। বৃহস্পতিবার সিউড়িতে বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, গত ১৫ বছরে রাজ্য সরকার একটি বড় শিল্প প্রকল্পও বাস্তবে রূপ দিতে পারেনি। অথচ দেওচাপাঁচামিকে দেশের বৃহত্তম কয়লাখনি বলে প্রচার করা হচ্ছে। তাঁর দাবি, আসন্ন শিল্প সম্মেলনের আগে বরাত বাতিল ও নতুন দরপত্র ডেকে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে।বিজেপি নেতার আরও অভিযোগ, নতুন দরপত্রে কোথাও কয়লাখনি স্থাপনের উল্লেখ নেই। বরং আগামী ১৫ বছরের জন্য শুধুমাত্র পাথর উত্তোলনের কথাই বলা হয়েছে। তাঁর বক্তব্য, এর থেকেই স্পষ্ট যে আপাতত কয়লা উত্তোলনের কোনও পরিকল্পনাই রাজ্যের নেই। যদিও গত অক্টোবর মাসে আন্তর্জাতিক স্তরে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছিল, এখনও পর্যন্ত কোনও সংস্থা আগ্রহ দেখায়নি বলেও দাবি করেন তিনি।জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়ের বক্তব্য, কেন্দ্রের অনুমোদন ছাড়া এই প্রকল্প বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। অথচ এখনও পর্যন্ত কোনও পূর্ণাঙ্গ নকশা বা প্রস্তাব কেন্দ্রের কাছে জমা পড়েনি। পাশাপাশি আদিবাসীদের জমি নেওয়া হলেও উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ বা স্থায়ী কর্মসংস্থানের প্রতিশ্রুতি পূরণ হয়নি বলেও অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। এই পরিস্থিতিকে রাজ্য সরকারের শিল্পনীতির ব্যর্থতার প্রতিফলন বলে দাবি করছে বিরোধীরা।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫
কলকাতা

মেসি-কাণ্ডে মানহানির অভিযোগ, লালবাজারে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের এফআইআর

লিওনেল মেসিকে ঘিরে কলকাতার সাম্প্রতিক বিতর্কে এবার আইনি মোড়। প্রকাশ্যে মানহানিকর মন্তব্যের অভিযোগ তুলে কলকাতা পুলিশের সদর দফতর লালবাজারে এফআইআর দায়ের করলেন প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। অভিযোগের আঙুল উঠেছে কলকাতার আর্জেন্টিনা ফ্যান ক্লাবের প্রধান তথা মেসি-ভক্ত উত্তম সাহার দিকে।সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের আইনজীবীর তরফে জানানো হয়েছে, যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে মেসিকে ঘিরে যে বিতর্কিত ঘটনার সূত্রপাত, তা নিয়ে সংবাদমাধ্যমে সৌরভের ভূমিকা সম্পর্কে একাধিক ভুল ও বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো হয়েছে। এই মন্তব্যগুলিকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও মানহানিকর বলেই দাবি করা হয়েছে অভিযোগে।সৌরভের পক্ষ থেকে স্পষ্ট করে জানানো হয়েছে, সংশ্লিষ্ট অনুষ্ঠানে তিনি শুধুমাত্র একজন আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবেই উপস্থিত ছিলেন। ইভেন্টের আয়োজন বা পরিচালনার সঙ্গে তাঁর কোনও রকম সাংগঠনিক যোগ ছিল না। অনুষ্ঠানের মূল আয়োজক ছিলেন শতদ্রু দত্ত। একই অনুষ্ঠানে অভিনেতা শাহরুখ খান-সহ অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিরাও উপস্থিত ছিলেন বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, উত্তম সাহা প্রকাশ্যে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে চিটিংবাজ বলে কটাক্ষ করেন, যা প্রাক্তন অধিনায়কের সামাজিক সম্মান ও দীর্ঘদিনের ভাবমূর্তিকে গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। এই কারণেই মানহানির নোটিস পাঠানোর পাশাপাশি লালবাজারে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।উল্লেখ্য, মেসিকে দেখার আশায় যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে হাজার হাজার দর্শক মোটা অঙ্কের টিকিট কেটেও শেষ পর্যন্ত হতাশ হন। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজ্য রাজনীতিতেও তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় এবং তদন্ত কমিটি গঠিত হয়। ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস পদত্যাগ করেন। পুলিশ কর্তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে। একজন ডিসিপি সাসপেন্ড হয়েছে। এই আবহেই দেওয়া উত্তম সাহার মন্তব্যকে ঘিরে এবার আইনি পথে হাঁটলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫
রাজনীতি

একেই হুমায়ুন কবীরে অস্থির! এবার দুর্নীতির অভিযোগ জেলা পরিষদের সদস্যপদে ইস্তফা দাপুটে তৃণমূলনেত্রীর

২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে মুর্শিদাবাদে তৃণমূল কংগ্রেসের অন্দরে বড়সড় রাজনৈতিক বিস্ফোরণ। দলের হেভিওয়েট নেত্রী ও জেলা পরিষদের প্রাক্তন সহকারী সভাধিপতি শাহনাজ বেগম জেলা পরিষদের সদস্য পদ থেকে ইস্তফা দিলেন। শুধু পদত্যাগই নয়, দুর্নীতির অভিযোগ তুলে প্রকাশ্যে নিজের দলের পরিচালিত জেলা পরিষদ বোর্ডকে কাঠগড়ায় তুলেছেন তিনি।১৭ ডিসেম্বর বিভাগীয় কমিশনারের কাছে ইস্তফাপত্র পাঠান শাহনাজ বেগম। তার প্রতিলিপি জমা পড়েছে জেলা শাসকের কাছেও। তবে প্রশাসনিক চিঠির থেকেও বেশি আলোড়ন তৈরি করেছে তাঁর ফেসবুক পোস্ট। সেখানে তিনি স্পষ্ট ভাষায় লেখেন, চোর জেলা পরিষদের একজন অংশীদার হয়ে থাকা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। এই এক লাইনের মন্তব্যেই জেলা তৃণমূল রাজনীতিতে তীব্র অস্বস্তি ছড়িয়েছে।শাহনাজ বেগম দাবি করেছেন, তিনি কখনও অন্যায়ের সঙ্গে আপস করেননি এবং ভবিষ্যতেও করবেন না। দীর্ঘদিন ধরে জমে থাকা ক্ষোভই যে এবার প্রকাশ্যে এসেছে, তা তাঁর বক্তব্যেই স্পষ্ট। রাজনৈতিক মহলের মতে, নির্বাচনের মুখে দাঁড়িয়ে দলের অন্দরে এমন প্রকাশ্য বিদ্রোহ তৃণমূলের জন্য বড় ধাক্কা।মুর্শিদাবাদ জেলা রাজনীতিতে শাহনাজ বেগম অত্যন্ত প্রভাবশালী নাম। একসময় কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটি ভেঙে জেলা পরিষদে তৃণমূলের ক্ষমতা প্রতিষ্ঠার নেপথ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল তাঁর। ২০১৩ সাল থেকে সোমপাড়া, রামপাড়া ও রামনগর বাছড়া এলাকা থেকে টানা তিনবার নির্বাচিত হন তিনি। কর্মাধ্যক্ষ থেকে সহকারী সভাধিপতি, একাধিক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সামলেছেন শাহনাজ।যদিও আপাতত অন্য কোনও দলে যোগ দেওয়ার ইঙ্গিত দেননি তিনি। তবে পদ ছাড়লেও এলাকার মানুষের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন। এই বিস্ফোরক ইস্তফা মুর্শিদাবাদের রাজনীতিতে কী প্রভাব ফেলে, এখন সেটাই দেখার।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal