• ২ আষাঢ় ১৪৩২, বৃহস্পতি ১৯ জুন ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Bardhaman

রাজ্য

রামনবমীতে অযোধ্যার 'রামলালা' বর্ধমানে, পুজোয় ভিড় জমাচ্ছেন ভক্তরা

রামনবমী উপলক্ষ্যে অযোধ্যার রামলালা বর্ধমানে অবস্থান করছেন। একেবারে শহর বর্ধমানের মধ্যস্থল বিজয় তোরণের সামনে মন্ডপে পুজিত হচ্ছেন রামলালা। অযোধ্যার রামমন্দিরের রামলালার আদলে মূর্তি গড়ে রামনবমী উৎসব পালিত হল বর্ধমানে। বিজয় তোরণের সামনে রামলালার পুজো হয়েছে। এই পুজোর উদ্যোক্তা শ্রীরামনবমী উদযাপন সমিতি। আজ, বুধবার, সকাল ৯টায় বিজয় তোরণ চত্বরে ভগবান শ্রী শ্রী রামচন্দ্রের পুজো শুরু হয়। উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, বিকাল ৪টায় বর্ধমান নগরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা শুরু হয়ে এই পুজো স্থলে মিলিত হবে। সন্ধ্যা ৬টায় সন্ধ্যারতি এবং প্রসাদ বিতরনের পর কার্যক্রমের পরিসমাপ্তি হইবে। বর্ধমানে রামলালার মূর্তি দেখতে ভীড় জমাচ্ছে ভক্তগন। রাজ্যজুড়ে এদিন রামনবমী উৎসব পালিত হচ্ছে।

এপ্রিল ১৭, ২০২৪
রাজ্য

প্রকাশ্য দিবালোকে অফিসে ঢুকে কুলটিতে এক ব্যবসায়ীকে গুলি করে খুন করল দুষ্কৃতী

আসানসোলের কুলটি থানার চিনাকুড়িতে শুট আউট। প্রকাশ্য দিবালোকে অফিসে ঢুকে একজনকে গুলি করে খুন করল দুষ্কৃতী।খবর পেয়ে ঘটনাস্থলেই পুলিশ। মৃতের নাম উমা শঙ্কর চৌহান। অফিসের কর্মীরা বলেন এক দুষ্কৃতী এসে উমা শঙ্কর চৌহান কে পরপর কয়েক রাউন্ড গুলি করে খুন করে বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়াল।দুষ্কৃতী হানায় মৃতের অফিসের কর্মীরা জানান, গতকাল রবিবার পয়লা বৈশাখ চেন্নাই থেকে কাজ সেরে বাড়ি ফিরেছিলেন উমা শঙ্কর চৌহান। আজ সোমবার সকালে অফিসে এসে কর্মীদের সঙ্গে ব্যবসা সংক্রান্ত নানাবিধ আলোচনা বলছিলেন। ঠিক সেই সময় আতর্কিতে মুখে গামছা বাঁধা এক দুষ্কৃতী ওই অফিসে ঢুকে পড়ে। ঢুকেই উমা শঙ্করকে লক্ষ্য করে পর পর কয়েক রাউন্ড গুলি চালায়। ওই আতর্কিত হানায় ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান উমা শঙ্কর চৌহান।উমা শঙ্কর চৌহান-র অফিসের এক কর্মী রাজকুমার জানান, গতকালকেই উমাশঙ্কর চেন্নাই থেকে এখানে ফিরেছেন। সকালে আমাদের সাথে ব্যবসা সংক্রান্ত আলোচনায় বসেছিলাম। এমন সময় এক জন হটাৎ এক ব্যক্তি এসে বলে যে, সে উমা শঙ্করকে টাকা দিতে এসেছে। যে তাঁকে পাঠিয়েছে বলল, তাঁর নাম আমরা আগে কখনও শুনিনি। তারপর ওই ব্যক্তি মোবাইলে কথা বলতে বলতে অফিসের বাইরে বেরিয়ে যায়। আমরা আমাদের গাড়ির চালককে ওঁর পিছনে পাঠিয়েছিলাম দেখতে যে, লোক্টি কোথায় যাচ্ছে। কিছুক্ষন পর আমাদের গাড়ির চালক এসে আমাদের বলে যে, ওই অজ্ঞাত ব্যক্তি সেখান থেকে চলে গিয়েছে। তার কিছুক্ষণ পরেই সেই অজ্ঞাত ব্যক্তি মুখে গামছা বেঁধে আবার আসে। অফিসে ঢুকেই উমাশঙ্করকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি চার-পাঁচ রাউন্ড গুলি চালায়। তারপরই সেই অজ্ঞাত ব্যক্তি দৌড়ে সেখান থেকে পালিয়ে যায়।চিনাকুড়িতে ব্যবসায়ী খুনের ঘটনায় আলোড়ন পরে গেছে। এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। আকুস্থলে পৌঁছেছে কুলটি থানার পুলিশ। তারা তদন্ত শুরু করেছে। ব্যবসায়ী উমা শঙ্কর চৌহান-র দেহ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ময়না তদন্তের জন্য। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। পুলিস জানিয়েছে সিসি টিভি ফুটেজ দেখে জানা চেষ্টা হচ্ছে, কে বা কারা সেই সময় ওখানে এসেছিল।

এপ্রিল ১৫, ২০২৪
খেলার দুনিয়া

অপরাজিত জেলা চাম্পিয়ান হয়ে রাজ্যস্তরে 'বর্ধমান মডেল স্কুল', ফাইনালে হারাল 'বর্ধমান মিউনিসিপ্যাল হাইস্কুল' কে

দত্তু ফড়কর অনুর্ধ ১৫-র জেলা ভিত্তিক ক্রিকেটে নকআউট পর্বের ম্যাচ জিতে রাজ্যস্তরে খেলার ছাড়পত্র পেল বর্ধমান শহরের ইংরাজি মাধ্যম স্কুল বর্ধমান মডেল স্কুল। ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অব বেঙ্গল-র উদ্যোগে বর্ধমান জেলা ক্রীড়া সংস্থা-র পরিচালনায় পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান জেলার অনুর্ধ ১৫ র এই ক্রিকেট খেলা অনুষ্ঠিত হয়। ২৫ ওভারের এই খেলায় আজ আগাগোড়া প্রাধান্য রেখে বর্ধমান মডেল স্কুল ৬ উইকেটে বিপক্ষ দল বর্ধমান মিউনিসিপ্যাল হাইস্কুল কে পরাজিত করে।সোমবার সকালে রাধারানী স্টেডিয়াম মেঘাচ্ছন পরিবেশে টসে জিতে বর্ধমান মডেল স্কুল প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নেয়। কয়েকদিন যাবৎ অত্যাধিক গরম থাকায় বর্ধমান জেলা ক্রীড়া সংস্থা খেলোয়াড়দের কথা ভেবে আজকের খেলাটি সকাল ৯ টায় শুরু করার সিদ্ধান্ত নেয়। দুই দলের অভিভাবকদেরই এই সিদ্ধান্তের প্রসংশা করতে দেখা যায়। এলোমেলো হাওয়ায় প্রথমদিকে নতুন বল অত্যাধিক সুইং করছিল। পরের দিকে পরিস্থিতি উন্নতি হয়।প্রথমে ব্যাট করে নিয়মিত ব্যবধানে উইকেটের পতন হওয়ায় বর্ধমান মিউনিসিপ্যাল হাইস্কুল কোনও জুটি-ই সেই ভাবে স্থিতি হয়নি। তারা তাদের সমস্ত উইকেট হারিয়ে ২৫ ওভারে মাত্র ১১৩ রান তোলে। জয়ের জন্য বর্ধমান মডেল স্কুলকে তারা ১১৪ রানের লক্ষ মাত্রা দেয়। বর্ধমান মিউনিসিপ্যাল হাইস্কুল-র শ্রেয়ান ঘোষ ২১ রান ও সৌম্যজিত ঘোষ এবং মির্জা আতিফ হোসেন দুই ব্যাটার-ই ১৫ রান করে। বর্ধমান মডেল স্কুল র সেখ সাবিউদ্দীন ১৫ রান দিয়ে ২ উইকেট ও অরিত্র দাস ২৭ রান দিয়ে ৩ উইকেট লাভ করে। এই ম্যচে বর্ধমান মডেল স্কুল র হয়ে উল্লেখযোগ্য বোলিং পারফরমেন্স করে আয়ুষ চট্টোপাধ্যায়। ডানহাতি এই লেগ স্পিনার মাত্র ১৬ রান দিয়ে ৪টি উইকেট তুলে নিয়ে বর্ধমান মিউনিসিপ্যাল হাই স্কুল-র মিডিলঅর্ডার কে একেবারে পঙ্গু করে দেয়। ডানহাতি ব্যাটারের লেগ স্ট্যাম্পের বাইরে থেকে ঘুরে তাঁর বলে দু-দুটি বোল্ড আউট হয়। উল্লেখ্য এর আগের দুটি ম্যাচেও আয়ুষ-র বোলিং পারফরমেন্স ছিল লক্ষণীয়।১১৪ রান তারা করতে নেমে, প্রথম থেকেই বর্ধমান মডেল স্কুল গোড়াপত্তনকারী ব্যাটাররা খুব সাবধানী খেলা শুরু করে। মূলত তারা খুচরো রানের ওপরই জোড় দেয়। দলের ৫০ রান অতিক্রম করে তাদের প্রথম উইকেটের পতন হয়। বর্ধমান মডেল স্কুল-র অনীশ দাস মহাপাত্র ২৬ রান করে, সেখ সাবিউদ্দিন ২৮ রান ও চতুর্থ উইকেট পতনের পর ব্যাট করতে নেমে আয়ুষ চট্টোপাধ্যায় ২টি চার ও ১টি ছয় মেরে ঝোড়ো ১৯ রান করে অপরাজিত থেকে দলের জয়ে বিরাট অবদান রাখে। মাত্র ২১.৪ ওভারেই জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয় বর্ধমান মডেল স্কুল। বর্ধমান মিউনিসিপ্যাল হাই স্কুল-র জোড়ে বোলার স্নেহাশিস মাহালী খুব ভালো বল করেন। তাঁর বিষাক্ত ইনসুইং বারবার বিব্রত করছিল বর্ধমান মডেল স্কুল-র ব্যাটারদের। বর্ধমান মিউনিসিপ্যাল হাইস্কুলর শ্রেয়ান ঘোষ ব্যাটিঙ্গের সাথে সাথে বল হাতেও নজর কারেন। তিনি মডেল স্কুলের ৪টি উইকেটের মধ্যে ৩ টি উইকেট তুলে নেন।আজকের জেলা স্তরের ফাইনাল খেলায় রাধারানী স্টেডিয়াম-র গ্যালারী ভরে ওঠে বর্ধমান মডেল স্কুল-র ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষকদের দের আগমনে। তারা সারাক্ষণ তাঁদের প্রিয় স্কুলকে ফাইনালে সাপোর্ট করতে থাকে। উপস্থিত ছিলেন বর্ধমান মডেল স্কুল-র প্রিন্সিপ্যাল বিপিন বিহারী সিং ও। এছাড়াও দুই দলের অভিভাবকদের উৎসাহও ছিল চোখে পড়ার মত।বর্ধমান মডেল স্কুল-র প্রিন্সিপ্যাল বিপিন বিহারী সিং জনতার কথা মাধ্যমে দুই দলকেই অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন খেলাতে অংশগ্রহণ করাই সবচেয়ে বড় কথা, হারজিত তো আছেই। ছেলেরা যত বেশী মাঠমুখী হবে তারা তত বেশী কর্মমুখী হবে। বর্ধমান মডেল স্কুল-র কর্ণধার অচিন্ত্য কুমার মণ্ডল তাঁর নিজের স্কুলের বিজয়ী দলের সদস্যদের সকলকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তিনি জনতার কথার মাধ্যমে বর্ধমান মিউনিসিপ্যাল হাই স্কুল এর ছাত্রদেরও অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন, বর্ধমান মডেল স্কুল আমার তৈরি স্কুল আর বর্ধমান মিউনিসিপ্যাল হাই স্কুল আমায় তৈরি করেছে। তাই ওটাও আমার স্কুল, তাই তাঁদের কেও জেলা পর্বের এই খেলায় ফাইনালে পৌছানোর জন্য বিশেষ অভিনন্দন।বর্ধমান মডেল স্কুল-র ক্রীড়া প্রশিক্ষক চিন্ময় পাঁজা জনতার কথা কে জানান, ছেলেরা চূড়ান্ত খেলায় দাপটের সাথে জেতায় আমি খুশি, কিন্তু দায়িত্ব অনেক বেড়ে গেলো। সামনে রাজ্য স্তরের খেলা। অন্য জেলায় গিয়ে আমাদের খেলতে হবে। প্রতিদ্বন্দ্বিতা অনেক কঠিন হবে। ছেলেদের নিয়ে অনেক খাটতে হবে। তবে তিনি আশাবাদী রাজ্যস্তরেও বর্ধমান মডেল স্কুল ভালো পারফরমেন্স করবে।বর্ধমান মডেল স্কুলের হয়ে আজকের ম্যাচে আজ প্রথম একাদশ ছিল এই প্রকারঃ অরিত্র দাস, ঋদ্ধিমান হালদার (অধিনায়ক),অনীশ দাস মহাপাত্র (উইকেট রক্ষক), সমৃদ্ধা মন্ডল, অরিন্দম ভকত, আয়ুষ চট্টোপাধ্যায়, সোহম চক্রবর্তী, সেখ সাবিউদ্দিন, বানিব্রত রুদ্র, শিবম কুমার সিং, চন্দ্রজিৎ গোস্বামী।উল্লেখ্য, বর্ধমান শহরের ইংরাজি মাধ্যমের স্কুল বর্ধমান মডেল স্কুল এই টুর্নামেন্টে এর আগে টানা তিনটি খেলায় জয়লাভ করে। লিগ পর্যায়ের খেলায় বি গ্রুপের তিনটি দলের সাথেই তারা খুব সহজেই জয়লাভ করে।

এপ্রিল ০৮, ২০২৪
রাজনীতি

"রোদে এমন চেহারা হবে বাড়ির বউ চিনতে পারবে না", কেন বললেন দিলীপ ঘোষ

যারা কলকাতার বাইরে যায় না, তারা রাজনীতির কি বোঝে? যারা বলছে তারা একটু বাইরে বেরিয়ে দেখুক। রোদে এমন চেহারা হবে বাড়ির বউ চিনতে পারবে না। অনেকে সারা বছর স্টেটমেন্ট দেয়। আমি একবার দিলে তাদের বরাবর হয়ে যায়। আমি প্রেস মিট করি না, আমি ডিবেট শো তে যাই না। দিলীপ ঘোষ কি রাজনীতি করে এটা বাংলার মানুষ জানে। ওরাও আসুক। দেখা যাবে কাকে দেখতে লোক বেরোয়।তিনি আরও বলেন, আমি মুখ্যমন্ত্রীকে ফলো করি। সংস্কৃতে একটা কথা আছে মহাজনো যেন গতঃ সঃ পন্থাঃ। উনি নিজে, ওনার পার্টির নেতা, মন্ত্রী, আগে যারা নেতা ছিল, তাদের কমেন্টগুলো শুনুন। বাংলায় এটাই ট্রেন্ড। এটাই লোকে সহজে বোঝে। ওনারা যে এগুলো হজম করতে পারবেন না, ওদের যে হজম শক্তি এতো কম, এটা আমি জানতাম না।*ময়নাগুড়ি তে ত্রাণ নিয়ে ভুরি ভুরি অভিযোগ উঠছে। কি বলবেন?সরকার ফুটো হয়ে গেছে। তারা ভালো হাঁড়ি দেবে কীভাবে? রাজ্যকে রেকর্ড টাকা দিয়েছি: মোদী। রাজ্য তো বলছে কেন্দ্র টাকা দেয় না।কেন্দ্র কি দিয়েছে সেটা ওয়েবসাইটে পেয়ে যাবেন। এই সরকার সেই টাকা দিয়ে কি করছে সেটাও সিএজি রিপোর্টে পেয়ে যাবেন। ফলে মিথ্যা কথা বলে পার পাওয়া যাবে না। এমন ভাব করছে যেন টাকা ওখানে জমা রেখেছে। চাইলেই দিয়ে দেবে আর লুঠ করে খাবে। এই টাকা দিয়ে ভোট কেনার অধিকার কেউ দেয়নি। বোস বনাম ব্রাত্য। বেশ বিতর্ক দেখা দিয়েছে।মজার ব্যাপার। এরা রাজ্যপালকে আর কমিশনকে গালাগাল দেবে। ওগুলো নাকি বিজেপি অফিস। আবার ঠেলায় পড়লে সকাল বিকেল এরা কাকা বা মেসোর বাড়ি দৌড়াবে। রাজ্যপালের সঙ্গে ভাব করলেন। অ আ ক খ শেখালেন। তারপর আবার সেটা মাটি হয়ে গেল। আবার সেটিং করলেন। গিয়ে চা খেলেন। আবার কি হল? আসলে আপনারা এমন লোক যে আপনাদের সঙ্গে কোনও ভদ্রলোক বেশিদিন থাকতে পারে না। রোজ ঝগড়া হবে। আবার ঠেলায় পড়লে দৌড়াবেন। এটাই দেখে আসছি আমরা। বাহিনী আরও ৩ মাস?আমরা বিধানসভার সময় একই দাবি জানিয়েছিলাম। ফল পাইনি। গুণ্ডারা ওপেন বেরিয়ে এসে খুন খারাপি করছিল। মানুষের মনে হয়েছে বাহিনী থাকলে কিছু করলেও করতে পারে। বাহিনী ব্যাবহার করে এখানকার পুলিশ। পুলিশের যেমন ভূমিকা বাহিনীর তাই-ই ভূমিকা হয়ে দাঁড়ায়। প্রশাসন না চাইলে কি ভাবে হিংসা বন্ধ হবে?আমি না থাকলেই সব বন্ধ: মুখ্যমন্ত্রী!উনি তো এটাও বলেছেন যে সব জায়গায় উনিই মুখ। ওনার মুখ মানে তো সন্দেশখালি। কেউ তো মুখ দেখতে চায় না। তাই ব্যান্ডেজ বেঁধে এদিক সেদিক ঘুরতে হয়। আমিও চলাসার ছবি দেখে চিনতে পারছি না। এটা পুরনো ছবি না নতুন ছবি। উনিও বুঝেছেন ছবি পাল্টাতে হবে। এই ছবি দিয়ে আর চলছে না। দেখা যাক ভোটের আগে আর কি কি হয়।ইউনিফর্ম সিভিল কোড নিয়ে আপত্তি মমতার। কেন এমব বলছেন?উনি বলেছিলেন জিএসটি করতে দেব না। শেষে মেনে নিলেন। দেখলেন লাভ পাচ্ছেন। উনি বলেছিলেন সিএএ করতে দেব না। এরকম উনি বলেন। উনি ওনার সরকারটাই ভালো করে চালাতে পারেন না। মানুষও আজকাল ওনার কথা সিরিয়াসলি নেয় না। গ্যারান্টি মোদী দেবেন। মোদীর গ্যারান্টি এখন দেশে চলছে। কাকে বিয়ে করতে হবে বিজেপি ঠিক করে দেবে নাকি? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন।যেটা উনি নিজের ক্ষেত্রে ব্যবহার করুন। যেটা উনি নিজে সারাজীবন ঠিক করতে পারেননি। সেটা ঠিক করতে হবে তো। বিজেপি কোনও ধর্মীয় বা ব্যাক্তিগত আক্রমণ করে না। উনি মিথ্যা বলে এতদিন লোক ক্ষেপিয়ে এসেছেন। এখন সেটা ধরা পরে গেছে। নওশাদ এর ইউ টার্ন। ফের বিতর্ক।এই সব সেটিং। শুধু ডায়লগ। লোকে এখন এদিক ওদিক তাকাচ্ছে না। গো স্ট্রেট। গো ফর বিজেপি।

এপ্রিল ০৫, ২০২৪
খেলার দুনিয়া

সিএবি-র টুর্নামেন্টে টানা তিন ম্যাচ জিতে নজির 'বর্ধমান মডেল স্কুলের'

ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অব বেঙ্গল-র অনুর্ধ ১৫ ক্রিকেট খেলায় অনন্য নজির বর্ধমানের স্কুলের। বর্ধমান শহরের ইংরাজি মাধ্যমের স্কুল বর্ধমান মডেল স্কুল এই টুর্নামেন্টে টানা তিনটি খেলায় জয়লাভ করল। লিগ পর্যায়ের খেলায় বি গ্রুপের তিনটি দলের সাথেই তারা খুব সহজেই জয়লাভ করে।বৃহস্পতিবার বর্ধমানের মোহনবাগান মাঠে ডিপিএস বেলগ্রাম এর সাথে খেলায় ডিপিএস টসে জয়লাভ করে বর্ধমান মডেল স্কুল কে ব্যাট করতে পাঠায়। ২৫ ওভারের খেলায় ব্যাট করতে নেমে বর্ধমান মডেল স্কুল মাত্র ১ উইকেট হারিয়ে ১৫০ রান করে। বর্ধমান মডেল স্কুলের ব্যাটার আরিত্র দাস ৬২ রান ও ব্যাটার অনিশ দাস মহাপাত্র ৫০ রান করেন।বর্ধমান মডেল স্কুল ১৫০ রান তারা করতে নেমে ডিপিএস বেলগ্রাম নির্ধারিত ২৫ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৪৭ রান করে। মডেল স্কুল -র বোলার সমৃদ্ধ মণ্ডল ২ উইকেট ও ডানহাতি লেগ স্পিনার আয়ুষ চট্টোপাধ্যায় ১ উইকেট তুলে নিয়ে মডেল স্কুল কে এই ম্যাচ জেতাতে সাহায্য করে। এই ম্যাচে বর্ধমান মডেল স্কুল ৩ রানে জয়লাভ করে সিএবি অনুর্ধ-১৫ স্কুল ক্রিকেটে পরবর্তী পর্যায়ে খেলার যোগ্যতা অর্জন করল।এর আগে, ১লা এপ্রিল লিগের প্রথম খেলায় বর্ধমান মডেল স্কুল বর্ধমান টাউন স্কুল-কে বিশাল রানের ব্যবধানে (১৭৮ রানে) পরাজিত করে। টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করে বর্ধমান মডেল স্কুল ৮ উইকেট হারিয়ে ২২৬ রান (পেনাল্টি সহ) সংগ্রহ করে। জবাবে ব্যট করতে নেমে টাউন স্কুল ২৫ ওভারে মাত্র ৪৮ রানে অলাউট হয়ে যায়। বর্ধমান মডেল স্কুলের অরিত্র দাস ৫টি ও ঋদ্ধিমান হালদার ৪টি উইকেট সংগ্রহ করে।২রা এপ্রিল লিগের অন্য এক খেলায় দুর্গাপুরের পিটার্স স্কুল টশে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয়। পিটার্স স্কুল বর্ধমান মডেল স্কুল এর বোলারদের বোলিঙের দাপটে ১০ উইকেট হারিয়ে মাত্র ৫৫ রান সংগ্রহ করে। মডেল স্কুলের সেখ সাবিউদ্দিন ৫ ওভার বল করে মাত্র ১৭ রান দিয়ে তিনটি উইকেট সংগ্রহ করে। জবাবে বর্ধমান মডেল স্কুল ৬ ওভার ব্যাট করে মাত্র ১ উইকেট হারিয়ে জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান সংগ্রহ করে নেয়।বর্ধমান মডেল স্কুল-র ক্রিকেট কোচ চিন্ময় পাঁজা জনতার কথা কে জানান, ছেলেরা অফ সিজিনে প্রচুর অনুশীলন করেছে, যার ফল তারা পেয়েছে। তিনি জানান, এই টুর্নামেন্টের জন্য তারা ফাইনাল পরীক্ষা পর থেকে টানা অনুশীলন করিয়েছেন। যদিও এপ্রিলের চড়া তাপে দুপুরে ক্রিকেট খেলাও খুব চাপের, সেকথাও তিনি উল্লেখ করেছেন। চিন্ময় পাঁজা জানান, পরবর্তী পর্যায়ের খেলা আরো কঠিন হবে, তাই প্রস্তুতিও আরো বেশী নিতে হবে।

এপ্রিল ০৪, ২০২৪
উৎসব

বাংলায় ব্যতিক্রম: রাজ ঐতিহ্যের রীতি মেনে আজ, মঙ্গলবার রঙের উৎসবে মেতেছে বর্ধমান

দোল পূর্ণিমার দিন অর্থাৎ গতকাল, সোমবার সারা বাংলা রঙের উৎসবে মেতেছে। লোকসভা নির্বাচনের প্রার্থীরা এই উৎসবের আবহে ভোট প্রচারও করেছেন। কিন্তু ব্যতিক্রম ছিল একদা রাজাদের শহর বর্ধমান। ঐতিহ্যের পরম্পরা বজায় রেখে আজ, মঙ্গলবার রঙের উৎসবে মেতেছে বর্ধমান। অবশ্য হাল আমলের দুএকটি হাউসিং কমপ্লেক্সে ও কিছু কলা ও সংস্কৃতি শিক্ষাকেন্দ্র গতকাল সোমবার হোলি বা দোল পূর্ণিমা পালন করেছে। যা বর্ধমানের ঐতিহ্যের সঙ্গে একেবারেই বেমানান।রাঢ়বঙ্গের অন্যতম প্রাচীন নগর বর্ধমানের বাসিন্দারা দোল উৎসব পালন করেন দোল পূর্ণিমার পরের দিন। রাজাদের আমল চলে গেলেও সেই রীতিনীতি মেনেই রঙের উৎসব পালন করে চলেছেন বর্ধমানবাসী। শুধু শহর বর্ধমান নয় সাবেকি রীতি মেনে অম্বিকা কালনা সহ আরও বেশ কয়েক জায়গায় আজ চলছে রঙের উৎসব।কথিত আছে বর্ধমানের মহারাজা বিজয় চাঁদ মহতাব এই প্রথা চালু করেন। প্রথম দিন অর্থাৎ দোল পূর্ণিমার দিনটি বর্ধমানের অধিষ্টাত্রী দেবী মা সর্বমঙ্গলা দেবীর দোল। এও কথিত আছে বর্ধমানে দোল পূর্ণিমা তিথিটি হল কূল দেবতার দোল উৎসবের দিন। লক্ষ্মী নারায়ণ জিউ মন্দিরে দোল পালন হয়েছে গতকাল। সেদিন শুধুমাত্র দেব-দেবীর রাঙা চরণ আবির ও কুমকুমে চর্চিত হবে। সেই উপলক্ষে রাজবাড়ির অন্দর মহলে দোল খেলা হয়ে থাকে। পরের দিন অনুষ্ঠিত হবে সাধারণের রঙের উৎসব। সেই রীতির আজও চালু রয়েছে।

মার্চ ২৬, ২০২৪
রাজনীতি

দ্বিতীয় দফায় ৪ প্রার্থীর নাম ঘোষণা করতে ঘটা করে সাংবাদিক বৈঠক সিপিএমের

প্রথম দফায় ১৭ আসনের পর দ্বিতীয় দফায় বামেদের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করলেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু। মাত্র চারটি লোকসভা কেন্দ্রের জন্য প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হয় শনিবার। এই ঘোষণা করা হয় ঘটা করে সাংবাদিক বৈঠক করে।এদিন, মুর্শিদাবাদ, বর্ধমান-দুর্গাপুর, বোলপুর এবং রানাঘাট কেন্দ্রের জন্য প্রার্থী ঘোষণা করেছে বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান।একনজরে চার কেন্দ্রের বামেদের প্রার্থী?মুর্শিদাবাদ- মহঃ সেলিমবর্ধমান-দুর্গাপুর- ডঃ সুকৃতি ঘোষালবোলপুর- শ্যামলী প্রধানরানাঘাট- অলোকেশ ঘোষশনিবার যে চার প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে এঁরা সকলেই সিপিআইএম প্রার্থী। সবমিলিয়ে এখনও বামেরা ২১ আসনে প্রার্থী দিল। প্রথম দফার তালিকায় মতুন মুখ, অপেক্ষাকৃত নবীনদের উপর ভরসা রেখেছিল সিপিআইএম। তবে, দ্বিতীয় পর্বের তালিকায় তরুণ মুখ নেই।এরকম ধাপে ধাপে প্রার্থী ঘোষণা বামফ্রন্টে আগে খুব একটা ঘটেনি। তাহলে কী শরিকি চাপ, কংগ্রেস-আইএসএফের সঙ্গে আসন সমঝোতায় চাপে বামেরা? শনিবার প্রার্থী ঘোষণার সঙ্গেই সব পক্ষের সহমতে না হওয়ার বিষয়টি কার্যত স্বীকার করে নিয়েছেন বিমানবাবু। এ দিন বিমান বসু বলেছেন, সব কেন্দ্রের প্রার্থী নির্দিষ্ট করার ক্ষেত্রে এখনও কিছু আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে। সেটি সম্পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত সম্পূর্ণ তালিকা প্রকাশ করতে পারছি না। একটু সময় লাগবে।আলিমুদ্দিন সূত্রে খবর, বেশ কয়েকটি আসন নিয়ে বাম শরিকদের সঙ্গে সিপিআইএমের ও কংগ্রেসের জট রয়েছে। যেমন, উত্তর চব্বিশ পরগণার বসিরহাট আসটির দাবি জানিয়েছে কংগ্রেস৷ আবার ওই আসনে বরাবরই সিপিআই প্রার্থী দিয়েছে৷ কিন্তু, এবার বসিরহাটে প্রার্থী দিয়েছে সিপিআইএম। বসিরহাট লোকসভা আসনটি কংগ্রেসকে ছাড়া নিয়ে বামেদের মধ্যেও জটিলতা রয়েছে৷ সিপিআইএম চাইছে বসিরহাটের পরিবর্তে বনগাঁ কেন্দ্রটি কংগ্রেসকে ছাড়তে৷ পুরুলিয়া আসনে এবার কংগ্রেসের প্রার্থী নেপালদেব মাহাতো৷ এই আসনটিতে লড়াই করে ফরওয়ার্ড ব্লক। ফলে অসন্তোষ রয়েছে ফ্রন্ট শরিক দলের নেতৃত্বের। আইএসএফ-ও এমন বেশ কয়েকটি আসন দাবি করেছে যেগুলোতে ইতিমধ্যেই বাম বা কংগ্রেস প্রার্থী ঘোষণা করেছে বা করতে পারে। তাই এইসব জটিলতা মিটিয়েই বাকি কয়েকটি লোকসভা আসনে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করতে চাইছে বামফ্রন্ট।আইএসএফ-এর সঙ্গে এখনও জোট হয়নি বলে এ দিন সাফ বলে দিয়েছেন বিমান বসু। তাঁর দাবি, আইএসএফের সঙ্গে এখনও পর্যন্ত আমাদের কোনও বোঝাপড়া হয়নি। ওরা আন্তরিক থাকলে আলোচনা হবে। আলোচনা হলে আমরা সংবাদ মাধ্যমকে সব জানাব।

মার্চ ২৩, ২০২৪
রাজনীতি

বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রে সিপিএমের প্রার্থী সুকৃতি ঘোষাল

শনিবার বামেদের দ্বিতীয় দফায় পার্থী ঘোষণা করা হল। বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের সিপিআই(এম) পার্থী করা হয় বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ডঃ সুকৃতি ঘোষাল কে। বর্ধমান শহরেরই মানুষ সুকৃতি ঘোষাল, শহরের বোরহাট অঞ্চলে থাকেন ৬৩ বছর বয়সী সুকৃতি। পিতা: চিত্তরঞ্জন ঘোষাল।তিনি বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজিতে এমএ ও পিএইচডি (MA, PhD , English)। হুগলীর রবীন্দ্র মহাবিদ্যালইয় ও হাওড়া বিজয়কৃষ্ণ গার্লস কলেজে অধ্যাপনা করেন এই বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ। এবং ২০০২ থেকে ২০২০, মোট ১৮ বছর জেলার স্বনামন্য কলেজ বর্ধমান শহরে অবস্থিত মহারাজাধিরাজ উদয়চাঁদ মহিলা মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ হিসাবে দায়িত্ব পালন যা বর্ধমান উইমেন্স কলেজ নামে অধিক পরিচিত। সুকৃতি ঘোষাল ২০২০ সালে ওই পদ থেকে স্বেচ্ছা অবসর গ্রহণ করেন। কিছু কাল রি-এমপ্লয়মেন্ট স্কিমের অধীনে হাওড়ায় নবগঠিত হিন্দি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিবন্ধক (Register) হিসেবে কর্মপ্রদান করেন। বর্তমানে তিনি সেই পদ থেকেও অবসর গ্রহণ করেন।ছাত্র রাজনীতির মধ্য দিয়ে সুকৃতি ঘোষালের বাম রাজনীতিতে প্রবেশ, পরে অধ্যাপক আন্দোলনের সঙ্গেও যুক্ত হন, অবস্র কালে নতুন চিঠি পত্রিকার প্রকাশনার দায়িত্ব নিয়েছিলেন।

মার্চ ২৩, ২০২৪
রাজ্য

বর্ধমানের নয়া জেলাশাসক কে রাধিকা আয়ার, আরও তিন জেলায় পরিবর্তন

নির্বাচন কমিশন রাজ্যের চার জেলায় নতুন জেলাশাসক নিয়োগ করল। মুখ্যসচিব বিপি গোপালিকাকে চিঠি দিয়ে পূর্ব মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পূর্ব বর্ধমান, বীরভূমের জেলাশাসক পদে চার জনের নাম অনুমোদন করল কমিশন। বৃস্পতিবার ওই চার জেলার জেলাশাসককে পদ থেকে সরায় নির্বাচন কমিশন।২০১০ ব্যাচের আইএএস জয়শী দাশগুপ্ত পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নতুন জেলাশাসক হলেন। ঝাড়গ্রামের নতুন জেলাশাসক পদে বসানো হয়েছে মৌমিতা গোদারা বসুকে। মৌমিতা ২০০৭ ব্যাচের আইএএস। পূর্ব বর্ধমান জেলায় কে রাধিকা আয়ারের নাম জেলাশাসক হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে, এবং বীরভূমে শশাঙ্ক শেঠিকে নতুন জেলাশাসক হিসাবে নিয়োগ করা হয়েছে। উল্লেখ্য, রাধিকা ২০১১ এবং শশাঙ্ক ২০১০ ব্যাচের আইএস। চার নয়া জেলাশাসকই পশ্চিমবঙ্গ ক্যাডারের এবং তারা প্রত্যকেই একাধিক বার জেলাশাসকের দায়িত্বভার পালন করেছেন। কমিশন নির্দেশ দিয়েছেন, আগামিকাল, শনিবার সকাল ১০টার মধ্যে নবনিযুক্ত জেলাশাসকদের হাতে দায়িত্ব দিয়ে কমিশনকে জানাতে হবে রাজ্য প্রশাসনকে।বৃহস্পতিবার পূর্ব বর্ধমান, পূর্ব মেদিনীপুর, বীরভূম ও ঝাড়গ্রামের জেলাশাসকদের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য প্রশাসনকে নির্দেশ দেয় কমিশন। কমিশন সূত্রে খবর, ওই চার জেলার জেলাশাসকেরা কেউই আইএএস ক্যাডারের অফিসার নন। ৪ জনই ডব্লিউবিসিএস আধিকারিক। সেই কারণেই তাঁদের জেলাশাসক পদ থেকে সরানো হয়েছে। এই বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককে চিঠি দেয় পশ্চিমবঙ্গের সিভিল সার্ভিস (ডব্লিউবিসিএস) আধিকারিকদের সংগঠন। সেই আবেদনে চার জেলার জেলাশাসকের অপসারণের যে কারণ নির্বাচন কমিশন দেখিয়েছেন সেই বিষয়ে দুঃখপ্রকাশ করা হয়েছে। সিভিল সার্ভিস (ডব্লিউবিসিএস) আধিকারিকদের সংগঠন দাবি করেছে এই অপসারণ বৈষম্যমূলক। তাঁদের বক্তব্য যে কারণ দেখিয়ে ওই চার জেলার জেলাশাসকদের অপসারণ করা হয়েছে, তা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক এবং আধিকারিকদের আবেগ, নীতিতে ধাক্কা দিয়েছে বলেও জানানো হয়েছে।

মার্চ ২২, ২০২৪
রাজ্য

বর্ধমানের ছোট রাজকুমারের প্রয়াণে শোকের ছায়া

প্রয়াত প্রণয়চাঁদ মহাতাব। তিনি বর্ধমানের ছোট রাজকুমার নামেই অধিক পরিচিত। মৃত্যুর সময় বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর। সোমবার সন্ধ্যায় কলকাতার আলিপুরের ডায়মণ্ড হারবার রোডের বিজয় মঞ্জিলে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মঙ্গলবার দুপুরে কেওড়াতলা মহাশ্মশানে রাজকুমারের শেষকৃত্য হয়। প্রণয়চাঁদ মহতাবের প্রয়াণে বর্ধমানের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে শোকসভা হয়। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে তিনি যুক্ত ছিলেন।জানা গিয়েছে, ১৯৪০ সালের ১৭ এপ্রিল বর্ধমানে জন্মগ্রহণ করেন প্রণয়চাঁদ। জমিদারি প্রথা বিলোপ হয়ে যাওয়ার পরে প্রণয়চাঁদের বাবা উদয়চাঁদ তিন সন্তান নিয়ে বর্ধমান ছাড়েন। দার্জিলিংয়ের দুন স্কুলে পড়াশোনা করতেন ছোট রাজকুমার। জানা গিয়েছে, তারপর ইউনিভার্সিটি অফ লন্ডন থেকে স্কুল অফ ওরিয়েন্টাল অ্যান্ড আফ্রিকান স্টাডিসে ডক্টরেট করেন। ১৯৬৪ সালে তিনি বিয়ে করেন নন্দিনী মহতাবকে। তাঁদের একমাত্র ছেলে অজয়চাঁদ একটি বহুজাতিক সংস্থার উচ্চপদস্থ আধিকারিক হয়ে আমেরিকায় রয়েছেন।বর্ধমানের লক্ষী নারায়ণ জিউ মন্দির, সোনার কালী, বিজয় বিহার, রাধা বল্লভ মন্দির ছাড়াও জামালপুর, কালনা, পূর্ব মেদিনীপুরে বেশ কিছু মন্দিরের দায়িত্বে রয়েছে মহতাব ট্রাষ্ট। বর্ধমানে ছোট রাজকুমার বা রানী এলে তাঁরা লক্ষ্মী নারায়ণ জিউ মন্দিরের দোতলায় থাকতেন। শহরের কোন নামীদামী হোটেলে থাকতেন না।

ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২৪
নিবন্ধ

রাজ্য স্তরে সন্মানিত বর্ধমানের নাট্যদলের নাটক 'ভৌতিক'

নাটকে অবদানের জন্য বিভিন্ন বিভাগে নাট্য একাডেমির তরফে পুরষ্কার প্রদান করা হয়। শ্রেষ্ঠ স্বল্পদৈর্ঘ্য নাটকের শিরোপা পেলো পূর্ব বর্ধমান জেলার জামালপুর ব্লকের ময়না অন্যভবনা নাট্য ও সংস্কৃত চর্চার প্রযোজনা ভৌতিক। পশ্চিমবঙ্গ নাট্য একাডেমী পুরস্কার ২০২৪- সম্মানে ভূষিত হলো ময়না অন্যভাবনার শত-রজনী মঞ্চায়ন অতিক্রান্ত এই নাটক। ভৌতিক নাটকটি রচনা করেন সৌমিত্র বসু এবং নাটকটির নির্দেশনা দেন প্রখ্যাত নাট্যকার স্বরাজ ঘোষ। ভৌতিক নাটকটি-কে ১ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার কলকাতার শিশির মঞ্চে সম্মানিত করা হলো। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের শিক্ষামন্ত্রী তথা বিশিষ্ট নাট্যব্যক্তিত্ব ব্রাত্য বসু, পশ্চিমবঙ্গ নাট্য একাডেমীর সভাপতি, অভিনেতা দেবশঙ্কর হালদার, নাট্য একাডেমীর সদস্যা অর্পিতা ঘোষ, সদস্য সচিব দেবকুমার হাজরা, পশ্চিমবঙ্গের সেচ ও জলসম্পদ মন্ত্রী তথা নাট্য ব্যক্তিত্ব পার্থ ভৌমিক প্রমুখ। রাজধানী শহর দিল্লি সহ পশ্চিমবঙ্গের প্রায় সমস্ত জেলায় একাধিক বার এই নাটক মঞ্চস্থ ও সমাদৃত হয়েছে। বেশ কিছু প্রতিযোগিতামূলক মঞ্চেও পুরস্কৃত হয়েছে ভৌতিক নাটকটি।রেলপথে বর্ধমান-হাওড়া কর্ড লাইনের নবগ্রাম স্টেশনের পাশে এক ছোট্ট গ্রামের নাট্য দল ময়না অন্য ভাবনা কয়েকদিন আগেই মহাসমারোহে শততম দিনের নাটক উপস্থাপনা করলো বর্ধমান শহরের সংস্কৃতির প্রানকেন্দ্র সংস্কৃতি লোকমঞ্চে। সেদিন তাঁদের প্রযোজনা সত্যিই মুগ্ধ করে দেয় উপস্থিত দর্শকদের। এক গা ছমছম মঞ্চ সজ্জা দেখে অনেকেরই মনে প্রশ্ন জেগেছিল হয়ত বা কোনও গায়ে কাঁটা দেওয়া ভুতের কাহিনী নিয়ে আবর্তিত হবে এদিনের নাটক।ময়না অন্য ভাবনার ভোতিক নাটকটি রচনা করেন সৌমিত্র বসু, নির্দেশনা স্বরাজ ঘোষের। এই নাটকের উৎস জানতে চাইলে, ভৌতিক নাটকের মূল চরিত্র ভুতের ভূমিকার অভিনেতা সুকান্ত বন্দ্যোপাধ্যায় জনতার কথা কে জানান, তাঁরা দূরদর্শনে একটি নাট্য প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছিলেন, সেখানে তাঁরা প্রথম স্থান লাভ করেন। গ্রাম থেকে আসা একদল তরুণ ছেলের অভিনয়ে মুগ্ধ হয়ে সেই প্রতিযোগিতার বিচারক সৌমিত্র বসু তাঁদের তাঁর লেখা ভৌতিক নাটকটি মঞ্চস্থ করার জন্য দেন।তাঁদের দলের প্রান ভোমরা সুকান্ত বন্দ্যোপাধ্যায় আরও জানান, ২০১৭ সালে ময়না অন্য ভাবনা সৃষ্টি হয়। অনেকের আমাদের কাছে দাবী ছিল করলে ভালো কিছু কর, নাহলে বন্ধ করে দাও। সেই ভালো করে করার জেদ থেকেই অন্য ভাবনার যাত্রা শুরু। তিনি জানান ভৌতিক ছাড়াও তাঁদের এই মুহুর্তে তিনটি নাটক চলছে, যথাক্রমে প্রতিঘাত, আযান্ত্রিক, ও কর্মফল। তিনি জানান তাঁরা পশ্চিমবঙ্গের সবকটি জেলা সহ রাজধানী শহর দিল্লীতেও ভৌতিক নাটকটি মঞ্চস্থ করেছেন। তিনি আরও জানান, নাটককে ভালোবেসে আমরা নাটক করি। নাটক থেকে কোনও আয় আমরা করিনা। আমদের প্রত্যকেই কিছু না কিছু কাজ করি, সেখান থেকে সময় বার করেই আমাদের নাট্য চর্চা।

ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০২৪
রাজ্য

মুখ্যমন্ত্রীর কনভয়ে ঢুকল ২০০ কিমি বেগে গাড়ি! মাথায় আঘাত মমতার

বুধবার বর্ধমানের সভা সেরে সড়কপথে কলকাতায় আসার পথে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে মুখ্যমন্ত্রীর গাড়ি। চোট পান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সন্ধ্যায় রাজ্যপালের সহ্গে বৈঠক শেষে মুখ্যমন্ত্রী ভয়ঙ্কর ইঙ্গিত করেছেন। দাবি করেন, যে ভাবে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে, তাতে তাঁর মৃত্যুও হতে পারত! মমতা জানান, একটি গাড়ি ২০০ কিলোমিটার বেগে তাঁর কনভয়ে ঢুকে পড়েছিল। যে কারণে তাঁর গাড়ির চালক জোরে ব্রেক কষেন। তাতেই তাঁর মাথায় আঘাত লেগেছে।আঘাতের কারণে বর্তমানে তাঁর শীতকরছে, মাথাও ব্যথা করছে বলে দাবি মুখ্যমন্ত্রী। জ্বর আসতে পারে বলে আশঙ্কা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।কীভাবে আঘাত পেলেন তিনি? কীভাবে ঘটল দুর্ঘটনা? উত্তরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় বলেন, জানি না ঠিক কী হল। আমরা একটা গলি দিয়ে বেরচ্ছি। সামনে একটা গাড়ি প্রায় ২০০ স্পিডে যাচ্ছে। পুরো মরেই যেতাম। যে ড্রাইভার ছিল, ও সঙ্গে সঙ্গে ব্রেক কষে। তখন ড্যাশবোর্ডটা আমার মাথায় এসে লাগে। রক্তও বেরিয়েছিল। তাই নিয়ে কাজ করে গেলাম।দুর্ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, তাঁর গাড়ির কাচটা খোলা ছিল তাঁর। জনসংযোগের জন্যই ওই কাচ খোলা রেখেছিলেন তিনি। বলেন, যদি কাচটা বন্ধ থাকত তাহলে কাচ-ড্যাশবোর্ড সব শুদ্ধ আমার সারা শরীরের ওপর পড়ত। মানুষের আশীর্বাদে বেঁচেছি।শেষে তিনি বলে যান, আমার মাথা টনটন করছে। গা বমি বমি করছে। তাই বাড়ি চলে যাচ্ছি।ওই গাড়িতে কে ছিলেন? তা জানেন না বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বলেন, আইন আইনের পথে চলবে। পুলিশ সবটা দেখছে।বুধবার কলকাতা থেকে হেলিকপ্টারে বর্ধমানে গিয়ে প্রশাসনিক সভা করেন মুখ্যমন্ত্রী। ফেরার পথে আবহাওয়া খারাপ হওয়ায় আর কপ্টারে নয়, গাড়িতে চেপে কলকতার উদ্দেশে রওনা দেন তিনি। সড়ক পথে ফেরার পথেই চোট পান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পুলিশ সূত্রে খবর, মুখ্যমন্ত্রীর গাড়ি জিটি রোডে ওঠার সময়ে চালক আচমকা জোরে ব্রেক কষেন। তাতেই মুখ্যমন্ত্রীর কপাল গাড়ির উইন্ড স্ক্রিনে ঠুকে যায়। মুখ্যমন্ত্রীর কনভয়ে অন্য একটি গাড়ি ঢুকে পড়াতেই এই বিপত্তি বলে সেই সময়ই জানা গিয়েছিল।

জানুয়ারি ২৪, ২০২৪
নিবন্ধ

ভাবনায় অন্য মাত্রা যোগ করে ১০০ রজনী অতিক্রান্ত করল 'অন্য ভাবনা'-র 'ভৌতিক'

২০২৪-এ বছরের প্রথম দিনটা শুরু হলো একেবারে ভৌতিক ভাবে। জোড়া নাটকের মুর্ছনায় মেতে উঠলো শহর বর্ধমান। ১লা জানুয়ারি ইংরাজি নববর্ষের প্রথম দিনে যখন একদল মানুষ হুল্লোর করে পিকিনিক-এ ব্যস্ত ঠিক সেই দিন ভরসন্ধ্যায় শহরের সংস্কৃতির প্রাণকেন্দ্র কার্জন গেট চত্তরে সংস্কৃতি লোকমঞ্চে অয়োজিত হল এই জোড়া নাটক। নাট্য পিপাসু বর্ধমান-বাসীর উপস্থিতিতে সংস্কৃতি লোকমঞ্চ আক্ষরিক অর্থেই হাউসফুল ছিল।প্রথম নাটকটি ছিল তিমিরবরণ রায় রচিত এবং প্রিয়তোষ রায় নির্দেশিত মনসামঙ্গল কাব্যের আশ্রয় করে জীয়ন কন্যা। যাত্রা দলের নায়েব বা চাঁদসদাগর ও লখিন্দর চরিত্রের অভিনেতা দর্শক মনে দাগ কেটে যায়। হারমোনিয়াম ও বাংলা ঢোলের আবহে মঞ্চে গ্রাম বাংলার হারিয়ে যেতে বসা যাত্রা-র আমেজ বেশ পাওয়া গেল। এই নাটকের এক অন্যতম আকর্ষন এর গান। বাংলার ঐতিহ্যবাহী লোক নাটকের সম্পদ মনসামঙ্গল। এদের আছে আলাদা পরিবেশন রীতি, আলাদা আঙ্গিক। যাতে গ্রামীণ মানুষের আশা-আকাঙ্খা আর জীবনের ভাবচিন্তা পরিস্কার বোঝা যায়। ১লা জানুয়ারি ছিল তাঁদের ষষ্ট প্রযোজনা। তাঁদের মঞ্চাভিনয় দেখে কোন সময়েই মনে হয়নি তাঁরা মাত্র ছয়দিন এই নাটকটি মঞ্চস্থ করছেন।তাঁদের জীয়ন কন্যা নাটকটি যে বার্তা বহন করে তা আজকের দিনে খুব-ই প্রাসঙ্গিক। দেশ জুড়ে যখন ধর্ম নিয়ে রাজনিতীর হিড়িক, যখন মানুষকে তাঁর শিক্ষা দিয়ে বিচার না করে, ধর্মের শতাংশের নিরিখে বিবেচনা করা হয়, ঠিক সেই সময়ে এই ধরনের বার্তাবহনকারি নাটকের প্রাসঙ্গিকতা উপলব্ধি করার মত। এক নামকরা চিত্র সমলোচক একবার বলেছিলেন, যে স্লোগান দেওয়ালে লিখে বোঝানো যায় না তাঁর জন্য সিনেমা/নাটক করতে হয়। ঠিক সে রকমই এক বার্তা যুদ্ধ নয় শান্তি চায় বক্তব্য কে ফোটাতে সত্যজিৎ রায় সৃষ্টি করেন হীরক রাজার দেশ। এই নাটকের মাধ্যমে যাঁরা ধর্মের জিগিড় তুলে বিভেদের রাজনীতি করছেন তাঁদের মুখে বেহুলার চরিত্রে মুসলিম মহিলার অভিনয় যেন সজোরে থাপ্পড়।নাট্য সন্ধ্যার দ্বিতীয় উপস্থাপনা ছিল ময়না অন্য ভাবনার ভোতিক। বর্ধমান-হাওড়া কর্ড লাইনের নবগ্রাম স্টেশনের পাশে শহরতলীর এক ছোট্ট গ্রামের নাট্য দলের শততম দিনের প্রযোজনা দাগ কেটে গেল এদিনের উপস্থিত দর্শকদের মধ্যে। এক গা ছমছম মঞ্চ সজ্জা দেখে প্রথমেই অনেকের মনে প্রশ্ন জেগেছিল হয়ত বা কোনও গায়ে কাঁটা দেওয়া ভুতের কাহিনী নিয়ে আবর্তিত হবে এদিনের নাটক।উপস্থিত দর্শককুলকে ভুল প্রমান করে একাধিক ভ্রান্তিময় বদ্ধমূল ভুল ধারনার গোড়ায় আঘাত করলো তাঁদের এই প্রযোজনা। এক গহন জঙ্গলে মাঝ রাত্রিতে আত্মহননে উদ্যত যুগলকে একটি ভুত যে অবচেতন মনের হদিস দিলেন তা সত্যিই সমাজের সামগ্রিক চেতনা ফেরাবার জন্য যথেষ্ট। নাটকের বেশ কয়েকটি সামজিক বার্তার মধ্যে অন্যতম কোনও কিছু হেলায় পেলে তাঁর মুল্য থাকেনা। নাটকের মাধ্যমে যা মূল বার্তাটি তারা দিতে চেয়েছেন, বাঁচতে গেলে লড়তে হবে, মৃত্যুর অনেক রাস্তা আছে, আত্মহননের অর্থ হেরে যাওয়া।ময়না অন্য ভাবনার ভোতিক নাটকটি রচনা করেন সৌমিত্র বসু, নির্দেশনা স্বরাজ ঘোষের। এই নাটকের মূল চরিত্র ভুতের ভূমিকার অভিনেতা সুকান্ত বন্দ্যোপাধ্যায় জনতার কথা কে জানান, তাঁরা দূরদর্শনে একটি নাট্য প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছিলেন, সেখানে তাঁরা প্রথম স্থান লাভ করেন। গ্রাম থেকে আসা একদল তরুণ ছেলের অভিনয়ে মুগ্ধ হয়ে সেই প্রতিযোগিতার বিচারক সৌমিত্র বসু তাঁদের তাঁর লেখা ভৌতিক নাটকটি মঞ্চস্থ করার জন্য দেন। বছরের প্রথম দিনে তাঁরা তাঁদের শততম রজনী বর্ধমান শহরে মঞ্চস্থ করলেন। সুকান্ত বন্দ্যোপাধ্যায় আরও জানান, ২০১৭ সালে ময়না অন্য ভাবনা সৃষ্টি হয়। অনেকের আমাদের কাছে দাবী ছিল করলে ভালো কিছু কর, নাহলে বন্ধ করে দাও। সেই ভালো করে করার জেদ থেকেই অন্য ভাবনার যাত্রা শুরু। তিনি জানান তাঁদের এই মুহুর্তে চারটি নাটক চলছে, যথাক্রমে প্রতিঘাত, আযান্ত্রিক, কর্মফল ও ভৌতিক। তিনি জানান তাঁরা পশ্চিমবঙ্গের সবকটি জেলা সহ রাজধানী শহর দিল্লীতেও ভৌতিক নাটকটি মঞ্চস্থ করেছেন। সুকান্ত বন্দ্যোপাধ্যায় আরও জানান, তাঁদের নাটকটি এতটাই জনপ্রিয় এই মহুর্তে তা জানাতে তিনি বলেন জানুয়ারী মাসেই তাঁদের এখনও অবধি ১৫টি শো আছে। তিনি জানান, নাটককে ভালোবেসে আমরা নাটক করি। নাটক থেকে কোনও আয় আমরা করিনা। আমদের প্রত্যকেই কিছু না কিছু কাজ করি, সেখান থেকে সময় বার করেই আমাদের নাট্য চর্চা।প্রথম থেকে শেষ অবধি যে টানটান অভিনয় দেখা গেল তাতে এটুকু বোঝা গেল কেন তাঁরা এত দ্রুত শততম রজনী পার করলেন। আশা করাই যায় অতি দ্রুত তাঁরা সহস্র রজনীও অতিক্রম করবেন। নাটকের মূল চরিত্রাভিনেতা ভুত রূপী সুকান্ত বন্দ্যোপাধ্যায়-র অভিনয়ে দর্শককূল মুগ্ধ হয়ে যায়। সাহিত্যিক সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায় একবার বলেছিলেন ভুত কে আমরা ভালোবাসি বলেই ভুতের গল্প পড়ি, আর সেই ভুতের গল্প বই বেস্ট সেলার হয়। আজকের নাটক দেখতে বসে দর্শকদের অভিব্যাক্তি দেখে মনে হচ্ছিল তাঁরা তাঁদের অজান্তে কখন যেন ভূতকে ভালোবেসে আপন করে ফেলেছেন।

জানুয়ারি ০২, ২০২৪
শিক্ষা

চাকরির মেলা, 'মেলা চাকরি'! বর্ধমানে ম্যানেজমেন্ট কলেজের অভিনব উদ্যোগ

কোভিড কালে পরিষায়ী শ্রমিক বলে এক অনুচ্চারিত বাংলা শব্দের হটাৎ আগমন! এর আগে এই শব্দবন্ধন সাধারণত দুরদুরান্ত থেকে আগত শীতের পাখীদের জন্যই ব্যবহার করা হত। কোভিড আমাদের চোখ খুলে দেয় । আমাদের জানার বাইরে এই বাংলার কত সহস্র শিক্ষিত অথবা অর্ধ-শিক্ষিত মানুষ পাড়ি জমান ভিনরাজ্যে রুজির টানে। এ নিয়ে পাতার পর পাতা লেখা হয়েছে, টিভির পর্দায় প্যনেল ডিসকাশানে তুফান তুলে অনেক মতামত শোনা গেছে। কিন্তু সমস্যা সেই তিমিরেই! শিক্ষিত বেকার যুবকেরা যখন চাকরির সন্ধানে দিশেহারা, ঠিক সময়ই আশার আলো দেখালেন স্বামী বিবেকানন্দ বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য ও ওরিয়েন্টাল অ্যাসোসিয়েশন ফর এডুকেশন এন্ড রিসার্চ (OAER) -র ভাইস প্রেসিডেন্ট ড. নন্দন গুপ্ত।স্বামী বিবেকানন্দ গ্রুপ অফ ইনস্টিটিউট ও আইএইচআর টেকনলজি সল্যুশান প্রাঃ লিঃ উদ্যোগে বর্ধমানে ওরিয়েন্টাল অ্যাসোসিয়েশন ফর এডুকেশন এন্ড রিসার্চ -এর বর্ধমান ইনস্টিটিউট অফ ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড কম্পিউটার সায়েন্স (BIMS) ক্যাম্পাসে শনিবার এক মাল্টি ইন্ডাস্ট্রি জব ফেয়ার-র আয়োজন করা হয়। প্রায় ৫০ টি মাল্টি ন্যাশানাল কোম্পানি এই জব ফেয়ারে অংশগ্রহণ করে।বর্ধমান ইনস্টিটিউট অফ ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড কম্পিউটার সায়েন্স (BIMS)-র অধ্যক্ষা লিজা ব্যানার্জী জনতার কথা কে জানান, প্রায় ১৫০ জন চাকরি পার্থী এই মাল্টি ইন্ডাস্ট্রি জব ফেয়ার-এ অংশগ্রহণ করে। তিনি আরও জানান, শুধুমাত্র বিআইএমএস (BIMS)-ই নয়, বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের আরও অনেক কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরাও এই চাকরির মেলায় এসেছিল এবং তাঁদের অনেকেই বিভিন্ন মাল্টিন্যাশানাল কোম্পানিতে চাকরির অফার পেয়েছে।লিজা ব্যানার্জী জানান, তাঁদের বর্ধমান ইনস্টিটিউট অফ ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড কম্পিউটার সায়েন্স (BIMS) ও অন্যান্য কলেজ মিলিয়ে প্রায় শতাধিক (১০০) ছেলে মেয়ে চাকরির অফার পেয়েছে। ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য এরকম সুবর্ণ সুযোগ করে দেওয়ার জন্য তিনি বিআইএমএস (BIMS)-র প্রেসিডেন্ট ড. নন্দন গুপ্ত-কে ধন্যবাদ জানান।স্বামী বিবেকানন্দ বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য ড. নন্দন গুপ্ত জানান, দ্বাদশ শ্রেণী পাশ করার পর মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে যাঁরা এই ধরনের ম্যানেজমেন্ট কলেজে ভর্তী হন, তাঁদের মুখ্য উদ্দেশ্য-ই থাকে পড়াশোনা শেষ করে একটা চাকরি করে পরিবারের পাশে দাঁড়ানো। সেই ছেলেগুলি-ই যখন চাকরি না পেয়ে দিশেহারা হয়ে যায়, ঠিক তখনই এই ধরনের জব ওরিয়েন্টেড কোর্সের বাস্তবতা নিয়ে প্রশ্ন উঠে যায়। তিনি বলেন, আমার ভালো লাগছে এতগুলো ছেলে প্লেসড হয়েছে। তাঁদের নতুন জীবনের শুভেচ্ছা জানাই। তিনি বলেন, এবারে এতগুলো ছাত্র-ছাত্রী আমাদের এই উদ্যোগে সামিল হয়ে তাদের যোগ্যতায় চাকরি পাওয়ায় আমরাও ভীষণভাবে খুশি। আমরা চেষ্টা করব বছরে একাধিক বার এই চাকরি মেলার আয়োজন করার। তাতে আরও বেশি সংখ্যক ছাত্র-ছাত্রী অংশগ্রহণ করতে পারে।

ডিসেম্বর ১৭, ২০২৩
রাজ্য

বড়সড় দুর্ঘটনা বর্ধমান রেল স্টেশনে, আশঙ্কা মৃত ৩

ইস্টার্ন রেলওয়ের ব্যস্ততম স্টেশন বর্ধমান। তখন ২ ও ৩ নম্বর প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে বহু যাত্রী। আচমকা ঘটে গেল হাড় হিম হওয়া ঘটনা। প্রাণ গেল ৩ জনের। এই দুর্ঘটনায় জখম বহু, চরম আতঙ্কে যাত্রীরা। ফের প্রশ্নের মুখে রেল স্টেশনে যাত্রী সুরক্ষা।বুধবার দুপুর ১২টা বেজে ৮ মিনিটে বর্ধমান রেল স্টেশনে করোগেটেড শিটের তৈরি জলের ট্যাঙ্ক ভেঙে বড়সড় বিপত্তি ঘটে যায়। ট্যাঙ্ক ভেঙে প্ল্যাটফর্মে ট্রেনের অপেক্ষায় থাকা তিন যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। নিহত তিন জনের মধ্যে দুজন হলেন মফিজা খাতুন এবং ক্রান্তি কুমার। একজনের নাম জানা যায়নি। এখনও পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী জখমের সংখ্যা কমপক্ষে ২৭ জন। দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছায় আরপিএফ এবং দমকল। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলে উদ্ধারকাজ। আহতদের নিয়ে যাওয়া হয় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।স্থানীয় সূত্রে খবর, বর্ধমান স্টেশনের ২ এবং ৩ নম্বর প্ল্যাটফর্মের মাঝে যে জলের ট্যাঙ্কটি ছিল, আচমকাই তা হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে। কী করে ট্যাঙ্ক ভেঙে পড়ল তা এখনও পরিষ্কার নয়। বর্ধমান স্টেশনে এর আগে ২০২০ সালে ৪ জানুয়ারি সন্ধ্যায় হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়েছিল স্টেশনের ব্রিটিশ আমলে নির্মিত ঝুল বারান্দা।স্থানীয় সূত্রে খবর, বর্ধমান স্টেশনের ২ এবং ৩ নম্বর প্ল্যাটফর্মের মাঝে যে জলের ট্যাঙ্কটি ছিল, আচমকাই তা হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে। কী করে ট্যাঙ্ক ভেঙে পড়ল তা এখনও পরিষ্কার নয়। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, বিকট শব্দের পরই আর্তনাদ শুনে বোঝা যায়, বেশ কয়েকজন চাপা পড়েছেন ধ্বংসস্তূপের নীচে। তাঁদের উদ্ধারের জন্য শুরু হয় ছোটাছুটি। ততক্ষণে আরপিএফ ও জিআরপিও ছুটে এসে উদ্ধার কাজে হাত লাগায়। এ পর্যন্ত প্রায় ২৭ জনকে উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানেই ৩ জনকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

ডিসেম্বর ১৩, ২০২৩
উৎসব

দোলায় চড়ে নজরকাড়া শোভাযাত্রা কালীপ্রতিমার, মন কাড়ল বর্ধমানের

শ্যামাপুজোর বিসর্জন শোভাযাত্রা মাতিয়ে দিল বর্ধমান শহর। দোলায় চড়ে কালীপ্রতিমার শোভাযাত্রা দেখতে রাস্তার পাশে ভির জমালেন অগুনিত মানুষ। বর্ধমানের ঠাকুরপল্লী স্বামীজি সংঘের এই অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন শয়ে শয়ে মানুষ। ক্লাবের সদস্য ও সদস্যারা হাজির ছিলেন মায়ের বিদায়বেলায়। নজর কাড়ল বর্ধমানের।বিগত কয়েকবছর ধরেই চলছে কালীপ্রতিমার দোলায় চড়ে শোভাযাত্রা। সঙ্গে নানা বাদ্য। ক্লাবের পুরুষ-মহিলা উভয়ের কাঁধে ভর করে দোলায় যাত্রা করেন মা। মাঝে মাঝে চলে মাকে দোলায় চড়িয়ে নৃত্য। সেই দৃশ্য দেখতে বাড়ির ছাদ, বারান্দা থেকে মানুষজন হাজির ছিলেন। পাশাপাশি রাস্তার পাশে মায়ের দোলায় যাত্রা একবার দেখার জন্য মুখিয়ে ছিলেন বহুজন। কালীপুজে কমিটির পক্ষে আশুতোষ দে ও সুজন দাস বলেন, বিগত কয়েকবছর ধরেই মাকে নিয়ে দোলায় শোভাযাত্রা বের হয়। এটাই আমাদের বিশেষত্ব। প্রচুর মানুষ আমাদের সহযোগিতা করেন। আগমী দিনে এই অনুষ্ঠান আরও আকর্ষণীয় করার উদ্যোগ নেওয়া হবে। নেওয়া হবে নতুন পরিকল্পনা। আমাদের কালীপুজো ৬৪ বছর পার করেছে। স্বামীজি সংঘের সদস্যরা জানান, সারা বছর এই দিনটার অপেক্ষায় থাকেন তাঁরা।

নভেম্বর ১৮, ২০২৩
উৎসব

বর্ধমান শহরে ৫১ ফুটের কেদারনাথ মন্দির দেখতে ভক্তদের ঢল

কালীপুজোর ধারে-ভারে উত্তর ২৪ পরগনা, কলকাতা, নদীয়া জেলার দাপট থাকলেও আসতে আসতে বাঙালির ১২ মাসের ১৩ পার্বণের অন্যতম এই পুজো ক্রমশ জমজমাট আকার ধারন করেছে দক্ষিণ বঙ্গের অন্যতম জেলা পূর্ব-বর্ধমানে। সন্ধ্যা নামতেই আলোর উৎসব ও শক্তির আরাধনায় মেতে উঠেছেন জেলাবাসী। নানা ধরনের থিম থেকে জনপ্রিয় স্থাপত্যের অনুকরণে তৈরি পুজো মণ্ডপের পাশাপাশি, বেশ কিছু ঐতিহ্যশালী মন্দিরে এবারও জমজমাট শ্যামাপুজো।কালীপুজোর মণ্ডপেও থিমের ছড়াছড়ি। কোথাও দিল্লী-র লালকেল্লা তো আবার কোথাও দুর্গম অমরনাথ। সেই থিমের আশ্রয় নিয়েই জমজমাট পুজোর আয়োজন হয়েছে বর্ধমান শহরের বাজেপ্রতাপপুর সংলগ্ন হরিনারায়ণপুরের দুর্গামাতা সংঘের কালি পুজোয়। ১৫তম বছরে তাঁদের নিবেদন রাঙা জবার সূত্রে গাঁথা। আকর্ষণ এই কেদারনাথ।। ভারতের বিখ্যাত তীর্থ যাত্রাগুলির মধ্যে অন্যতম প্রসিদ্ধ তীর্থস্থান কেদারনাথ। কেদারনাথ পুণ্যভুমি ভারতের উত্তরাখণ্ড রাজ্যে গাড়োয়ালের হিমালয় পর্বতশ্রেণীতে অবস্থিত কেদারনাথ শহরে মন্দাকিনী নদীর তীরে স্থাপিত একটি শিব মন্দির। মন্দিরের ইতিহাসকে স্মরণ করে ভক্তদের ঢল নামে এই মণ্ডপে। পুজোর দিন সকাল থেকেই মন্দিরে ভক্তসমাগম শুরু হয়ে যায়। রাতে পুজোর বিশেষ আয়োজন করা হয়। এই পুজোয় ভক্তদের জমায়েতকে কেন্দ্র করে বর্ধমান শহরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির দিকে বিশেষ নজর রাখার জন্য বর্ধমান থানার পক্ষ থেকে সিভিক ভলেন্টিয়ার পাঠানো হয়।দুর্গামাতা সংঘের কেদারনাথ মন্দিরের আদলে তৈরি মণ্ডপ দেখতে শহর ও শহরের আশপাশ থেকে প্রচুর মানুষের আগমন হচ্ছে। এবছরে তাঁদের মণ্ডপের উদ্বোধন করেন রামকৃষ্ণ আশ্রমের মহারাজ স্বামী অজ্ঞেয়ানন্দ ও পূর্ব বর্ধমান জেলা মহিলা থানা ইন্সপেক্টর-ইন-চার্জ বনানী রায়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের শেষে তাঁরা এলাকার কচিকাঁচাদের নিয়ে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। হোম মহাযজ্ঞ-এর মধ্যদিয়ে শ্যামা মায়ের আরাধনায় ব্রতী হন তাঁরা। পুজোর পরেরদিন সন্ধ্যায় মায়ের ভোগের আয়োজন করেন দুর্গা মাতা সংঘ, প্রায় সহস্রাধিক মানুষ মায়ের ভোগ গ্রহণ করেন।১৫তম বছরে দুর্গা মাতা সংঘের ৫১ ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট কেদারনাথ মণ্ডপ দেখতে মানুষের ঢল নামে। স্থাপত্যের সাথে সাথে আলোর রোশনাই-এ সেজে উঠেছে তাঁদের মণ্ডপ। সংঘের এক গুরুত্বপূর্ণ সদস্য সৌম্য দাস জনতার কথাকে জানান, এবছরে তাঁদের পুজোর বাজেট প্রায় ৫ লক্ষ টাকা। মূলত সদস্য চাঁদা ও কিছু সহৃদয় সংস্থা হাত বাড়িয়েছেন বলেই আমাদের মত ছোট্ট পাড়ায় বড় মাপের পুজো করা সম্ভব হয়েছে। তিনি জনতার কথার মাধ্যমে সেই সমস্ত সহৃদয় ব্যক্তি ও সংস্থা কে ধন্যবাদ জানান। সাথে সাথে সংঘের প্রতিটি সদস্য কেও ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, দুর্গা পুজোর মাত্র কয়েক দিনের মধ্যে এত বড় পুজোর আয়োজন করা খুবই কষ্টসাধ্য এক কাজ, তা সম্ভব হয়েছে একমাত্র ক্লাবের সদস্যদের অক্লান্ত পরিশ্রমের জন্য-ই।সংঘের অপর এক সদস্য তারকনাথ মুখোপাধ্যায় জানান, দেখতে দেখতে আমাদের পুজো ১৫তম বছরে পদাপর্ণ করল। নিছকই পুজোর আনন্দে পুজো করার নেশা নিয়ে শুরু করা দুর্গা মাতা সংঘের ছোট্ট পুজো ক্রমশ মহীরুহতে পরিণত হচ্ছে। এতে আগামীদিনে দায়ীত্বও অনেকগুন বেড়ে যাচ্ছে। তিনি আরও জানান, আমাদের অনুভুতি অনেকটা জনপ্রিয় বাংলা কমেডি শোয়ে পরান বন্দ্যোপাধ্যায়-র বিখ্যাত ডায়লগ ভালো হয়েছে, কিন্তু আরও ভালো করতে হবে-র মত। মানুষের চাহিদা পুরণের চ্যালেঞ্জ-ই সবচেয়ে প্রাধান্য আমাদের কাছে।দুর্গা মাতা সংঘের কালচারাল কমিটির প্রধান চঞ্চল চৌধুরি জানান, উদ্বোধনের দিন এলাকার কচিকাঁচারা কবিতা, গান, ছোট নাটিকা, নৃত্য-এ প্রায় ২৫ জন তাঁদের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছে। তিনি আরও জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তাঁরা আরও একটি জমজমাট গানবাজনার অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রতিমা নিরঞ্জন করা হবে বলে তিনি জানান।

নভেম্বর ১৪, ২০২৩
রাজ্য

বর্ধমানে ব্যবসায়ীর গাড়ি থেকে উদ্ধার লক্ষ লক্ষ টাকা, জামিন পেলেন ধৃত

পার্থর বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের দুটি ফ্লাট থেকে টাকার পাহাড় মিলেছিল। সেই ঘটনায় অর্পিতার সঙ্গে গ্রেফতার হয়েছিলেন তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। হইচই পড়ে গিয়েছিল। তারপর হাওড়ায় ঝাড়খন্ডের বিধায়কদের গাড়ি থেকে পুলিশ উদ্ধার করেছে লক্ষ লক্ষ টাকা। এবার বর্ধমানের তেলিপুকুর সাবওয়েতে এক ব্যবসায়ীর গাড়ির ডিকি থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা টাকা উদ্ধার করেছে বর্ধমান থানার পুলিশ। টাকা ও গাড়ি বাজেয়াপ্ত করার পাশাপাশি চালকল ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে বর্ধমান থানার পুলিশ। জেলা পুলিশ সুপার আমনদীপ জানিয়েছেন, ধৃতের নাম অচিন্ত্য কুমার যশ। তিনি ধানকলের মালিক। ওই ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ৪০ লক্ষ টাকা পাওয়া গিয়েছে।এদিকে এই ঘটনায় বর্ধমানের চালকল ব্যবসায়ী মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পড়েছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাত ৯টা নাগাদ পুলিশ বর্ধমান-আরামবাগ রোডের তেলিপুকুর মোড়ে নাকা তল্লাশি চালাচ্ছিল। ওই সময়ে কালো রঙের একটি চারচাকা গাড়ি সেখানে পৌছাতেই পুলিশ গাড়িটি দাঁড় করায়। গাড়িতে দুজন মহিলা সহ পাঁচ জন ছিলেন। গাড়ির ডিকি খুলিয়ে পুলিশ তল্লাশি চালাতে গেলে পুলিশ ডিকিতে কয়েকটি ব্যাগ দেখতে পায়। ওই ব্যাগগুলিতে টাকা ভর্তি রয়েছে দেখেই পুলিশ গাড়ি সহ যাত্রীদের আর যেতে না দিয়ে আটকে রাখে। এত টাকার উৎস কি তা জানার জন্য পুলিশ গাড়ির সকল আরোহীকে বর্ধমান থানায় নিয়ে যায়।জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ জানতে পারে, অচিন্ত্য যশ খণ্ডঘোষ ব্লকের উখরিদ অঞ্চলের শরঙ্গা গ্রামের বাসিন্দ। খণ্ডঘোষের বাদুলিয়া ও রায়নায় অচিন্ত্য যশের একাধিক চালকল রয়েছে। বর্ধমানের রামকৃষ্ণ পল্লীতেও ওই ব্যবসায়ীর বাড়ি রয়েছে। পাশাপাশি বর্ধমান শহরে বহুজাতিক সংস্থার একটি পোষাকের শোরুমও আছে ব্যবসায়ী অচিন্ত্য যশের। তাঁর ভাই একজন স্বনামধন্য চিকিৎসক বলেও জানা জানা গিয়েছে। কোনও নথি ছাড়া মোটা অংকের নগদ টাকা গাড়িতে করে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করে পুলিশ ব্যবসায়ী অচিন্ত্য যশকে গ্রেপ্তার করে। শনিবার ধৃতকে পেশ করা হয় বর্ধমান আদালতে। ধৃতের আইনজীবী পার্থ হাটি এদিন বলেন, সন্দেহের বশে পুলিশ জিডি (জেনারেল ডাইরি) করে আমার মক্কেলকে গ্রেফতার করে। শনিবার তাঁকে আদালতে তোলা হতেই বিচারক জামিন দেন। আমরা পুলিশকে সব নথি জমা দেব। তবে বিচারক জামিন দিলেও টাকা বা গাড়ি এদিন ওই ব্যবসায়ী ফেরত পাননি।আদালত পুলিশের কাছে এই সংক্রান্ত বিস্তারিত রিপোর্ট চেয়েছে। আগামী ৭ নভেম্বর সেই রিপোর্ট পুলিশকে আদালতে জমা দিতে বলা হয়েছে।

নভেম্বর ০৪, ২০২৩
রাজ্য

শারদ উৎসবে বর্ধমানে বস্ত্র উপহার বেঙ্গল প্রেস ক্লাবের

শারদ উৎসবকে আরও আনন্দমুখর করে তুলতে বস্ত্র উপহার অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বেঙ্গল প্রেস ক্লাব। রবিবার সকালে বর্ধমানে বিজয় তোরণের সামনে কয়েকশো মহিলার হাতে শারদ উৎসবের উপহার স্বরূপ শাড়ি তুলে দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক খোকন দাস, দুই কাউন্সিলর রাসবিহারী হালদার ও শাহাবুদ্দিন খান, বর্ধমান থানার আইসি সুখময় চক্রবর্তী। রবিবার বিধায়ক খোকন দাস বেঙ্গল প্রেস ক্লাব-এর বস্ত্র উপহার অনুষ্ঠানে এসে মহিলাদের হাতে শাড়ি উপহার তুলে দেন। এসো, ভাগ করে নিই আনন্দ এই আবেদন ছিল সাংবাদিক সংগঠনের। এই অনুষ্ঠানে প্রায় দুই শতাধিক বস্ত্র উপহার দেওয়া হয়েছে।খোকন দাস বলেন, প্রতি বছরের মতো এবছরও বেঙ্গল প্রেস ক্লাবের উদ্যোগে সাংবাদিকরা দুর্গাপূজা উপলক্ষে সবার হাতে নতুন বস্ত্র দেওয়ার আয়োজন করেছে। দুর্গাপুজো বাঙালির সব থেকে বড় উৎসব। প্রতিটি মানুষ পুজোর সময় একটা নতুন জামা কাপড় পড়বেন, একথা ভাবেন। বেঙ্গল প্রেস ক্লাব মানুষের পাশে থাকে। সাংবাদিক সংগঠনকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন খোকন দাস।বর্ধমান থানার আই সি সুখময় চক্রবর্তী বলেন, সাংবাদিকদের সঙ্গে পুলিশের একটা মিল আছে। পুলিশ সারাদিন রাস্তায় থাকে, সাংবাদিকরাও সারাদিন রাস্তায় থাকেন। রাস্তায় থেকে তাঁরা বিভিন্ন খবর সংগ্রহ করেন। জীবনের ঝুঁকি নিয়েও অনেক সময় খবর সংগ্রহ করতে হয়। এখানে শুধু খবর সংগ্রহই নয়, সাথে সাথে তাঁরা সামাজিক দায়িত্বও পালন করছেন। প্রত্যেকটা সংগঠনের একটা সামাজিক দায়িত্ববোধ থাকে বেঙ্গল প্রেস ক্লাব এই বস্ত্র বিতরণের মাধ্যমে তাদের সেই সামাজিক দায়িত্ব পালন করছেন। রাসবিহারী হালদারও সাংবাদিক সংগঠনের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন।বেঙ্গল প্রেস ক্লাবের সভাপতি বিজয়প্রকাশ দাস, সাধারণ সম্পাদক সৌগত সাঁই জানিয়েছেন, ২০০৮ সাল থেকে তাঁদের সংগঠন নানা ধরনের সামাজিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত। আগামিদিনেও তাঁরা মানুষের পাশে থাকতে দায়বদ্ধ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ঋষিগোপাল মন্ডল।

অক্টোবর ১৫, ২০২৩
নিবন্ধ

'রূপং দেহি জয়ং দেহি..' এই মহালয়ার ভোরে আজও যেন আমাদের কী হয়ে যায়!

নীলঅঞ্জনঘনপুঞ্জছায়ায় সম্বৃত অম্বর আর নেহাতই বদখত আমার খাঁদা নাক-এর নিরন্তর জলপ্রপাত স্তিমিত হয়েছে দিন কয় হলো। আশ্বিন যাই যাই করছে; সাদা মেঘের অগুন্তি ভেলা ভাসানো সুনীল আকাশেও যেন হেমন্তের মনকেমনিয়া মেজাজ আজ! পথে বেরিয়ে ঘাড়ে-মাথায়-কাঁধে লেপটে থাকা দুপুরের রোদ ততটা নিষ্করুণ লাগছে না আর, একটু বেলাশেষের আমেজ আছে তাতে!পুজোর বাজার তেতে উঠেছে অবশ্য! পুরো স্লগ ওভার-এর ব্যাটিং করে নিচ্ছে পিতৃপক্ষের অন্তিম লগ্নে ফানটুস ছোকরা-ফিসফিসে কিশোরী-টগবগে তরুণ-তরতরে তরুণী-গুছোনো গিন্নী-গেরেম্ভারী গেরস্ত সব্বাই! বেশ একটা হৈহৈ রইরই ব্যাপার!!শালবল্লা-বাঁশ-প্লাইউডের কাঠামো-রা তো এখানে সেখানে মাথা তুলছে বেশ কসপ্তাহ হয়ে গেল। ধুলিধূসর ইঁট-কাঠ-পাথরের জঙ্গলে হঠাৎ হঠাৎই জেগে উঠছে থাই প্যাগোডা-ভুটিয়া গোমফা-রাজস্থানী ঝরোখা-ফরাসী অপেরা! ভাঙা রাস্তায় শেষ মুহূর্তে বিটুমেন-এর পুল্টিশ দুপাশারি আটপৌরে বাড়িঘরের মুখ ঢাকছে কাতারে কাতারে কাপড়ের হোর্ডিং দীপিকা-আলিয়া-কিয়ারা-সন্দীপ্তা-মৌনীরা রহস্যময়ী হাসির ঝিলিক দিচ্ছে বস্ত্রাবরণ - স্বর্ণাভরণ - প্রসাধন - প্রলোভনসম্ভার নিয়ে.আজ রাত পেরোলেই দেবীপক্ষ শুরু। অখিল বিমানে বেজে উঠবে তাঁর জয়গান আলোর বেণু মাতিয়ে তুলবে ভুবন অন্তরে যে আবেশ লুকিয়ে লুকিয়ে ছেয়ে গেছে এ কয়দিন মুখরিত বর্ষণগীতের মেঘমন্দ্রিত ছন্দ বিদায় নেওয়ার পর অরুণবীনায় যে সুর বেজে উঠেছে অমোঘ উচ্চারণে সেই আনন্দযজ্ঞে মধুর আমন্ত্রণ কাল ভোরে মায়ের সকল সন্তানের: যে যেথায় আছো সিলেট থেকে সিয়াটল কাঠমান্ডু থেকে কেপটাউন!এই কেজো প্রাত্যহিকতার একঘেয়েমি, স্বার্থক্লিন্ন দরকষাকষির কুশ্রীতা, বড় বেরঙীন পেশাগত যাপনের মধ্যেও প্রতিবারের মতোই আগমনী আলো এসে প্রদীপ জ্বালিয়ে দিয়েছে মনের গোপন ঘরে। শহরের উপকণ্ঠে-সড়কপ্রান্তে-শস্যময়ী শ্যামল প্রান্তরের আনাচে কানাচে উপচে পড়া দুধসাদা কাশবন লহমায় মনকে উড়িয়ে নিয়ে যাচ্ছে টাইমমেশিনে চড়িয়ে, চার দশকের ওপারে..এমনই সর্বব্যাপী শুভ্র কাশের সমুদ্র ছেয়ে থাকতো তিস্তার চরে, সেই সব মহালয়ার ভোরে আকাশবানী-র মহিষাসুরমর্দিনী সম্প্রচার শেষ হওয়ার পরই যখন গোটা জলপাইগুড়ি শহরের মানুষজন পায়ে পায়ে চলে আসতেন করলা নদীর বাঁধ বেয়ে জুবিলীপার্ক-এর দিকে, নেমে আসতেন আদিগন্ত কাশসঙ্কুল সেই বালিভূমিতে। সুনীল আকাশ.. ভোরের মায়াময় আলো.. কুলুকুলু করলা বাজির আওয়াজ যৌবনের হিল্লোলমনে পড়ে যায় শ্লথপদ সেই নেপালী বৃদ্ধের কথা উষষী ঊষার আবছায়া পথে যেতে যেতে যিনি থেমে গিয়েছিলেন আমার বন্ধুর বাড়ির পাশে; নীরবে দাঁড়িয়েছিলেন কিছুক্ষণ আধখোলা জানালার ঠিক সামনেই। বন্ধুদের শোয়ার ঘরের রেডিও-তে তখন রূপং দেহি জয়ং দেহি..-র অন্তহীন সুরসঞ্চার। খানিক দূরে দাঁড়িয়ে দেখেছিলাম লোলচর্ম মানুষটিকে জানালার কপাটে ভক্তিভরে মাথা ঠেকিয়ে প্রণতি জানাতে!এত বছরের গার্হস্থ্য মালিন্য - দুনিয়াদারির চাপ - জীবনযাত্রার পৌনঃপুনিকতাও পারে নি মহালয়ার ভোরে নিহিত রোমাঞ্চ এ মন থেকে মুছে ফেলতে। সিংহস্থা শশীশেখরা মরকতপ্রেক্ষা সেই দনুজদলনী, গুণাশ্রয়ে গুণময়ী নারায়ণী মা-টি হয়ে বছরভর যিনি আগলে রাখেন আমাদের, সহসাই যেন তিনি বড় কাছে এসে যান এই শরতের ঝঞ্ঝাবাতের নিশার শেষে রোদেলা সকালে ক্ষান্তবর্ষণ শরতের আকাশবীনা গানের মালা বিলায় চরাচর জুড়ে ভোরের পাখি মায়াবী আলোছায়ায় গেয়ে ওঠে তাঁর জয়গানসত্যি, এই মহালয়ার ভোরে আজও যেন আমাদের কী হয়ে যায়!!ড. সুজন সরকার, বর্ধমান।

অক্টোবর ১৪, ২০২৩
  • ‹
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
  • 6
  • 7
  • 8
  • 9
  • 10
  • ...
  • 38
  • 39
  • ›

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

১০০ দিনের কাজ নিয়ে হাইকোর্টে বড় ধাক্কা কেন্দ্রীয় সরকারকে

গতকালই ওবিসি মামলায় হাইকোর্টে জোরদার ধাক্কা খেয়েছে রাজ্য সরকার। এবার ১০০ দিনের কাজ নিয়ে বড় ধাক্কা খেল কেন্দ্রীয় সরকার। বুধবার নজিরবিহীন একটি নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। পশ্চিমবঙ্গে ফের ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প চালু করতে হবে, এই মর্মে কেন্দ্রীয় সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। আগামী ১ আগস্ট থেকেই এই প্রকল্প চালু করতে নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চ।উল্লেখ্য, বাংলায় ১০০ দিনের কাজের টাকা বহুদিন ধরে আটকে রেখেছে কেন্দ্র, এই অভিযোগ করে আসছে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ রাজ্য সরকারের একাধিক মন্ত্রী এই ব্যাপারে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বারবার সমালোচনায় সরব হয়েছেন। কেন্দ্রীয় সরকারের দাবি, পশ্চিমবঙ্গে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে লাগামহীন দুর্নীতি হয়েছে। এই দুর্নীতির তদন্তে কেন্দ্র বেশ কয়েকটি দলও বাংলার জেলায় জেলায় পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।কেন্দ্রের অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল অশোক চক্রবর্তী আদালতে জানিয়েছিলেন, ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে পশ্চিমবঙ্গে মোট ৫ কোটি ৩৭ লক্ষ টাকা বন্টনের ক্ষেত্রে গরমিল ধরা পড়েছে।। তার মধ্যে ২ কোটিরও বেশি টাকা পুনরুদ্ধার করা গিয়েছে। হুগলি, মালদা, বর্ধমান, দার্জিলিংয়ের মতো জেলাগুলিতে ১০০ দিনের কাজের টাকা বন্টনের ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ পেয়েছে কেন্দ্রের প্রতিনিধি দল। ১০০দিনের কাজের প্রকল্পে টাকা বন্টনের ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গে বেনজির দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ কেন্দ্রের।রাজ্যে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প আটকে থাকা নিয়ে মামলার শুনানি বুধবার ছিল কলকাতা হাইকোর্টে। এদিন উভয় পক্ষের সওয়াল-জবাব শুনেছেন প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। এরপর প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছেন যে শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গের জন্যই বিশেষ কোনও বেঁধে দিতে পারে কেন্দ্র। এই রায়ের পর সোচ্চার হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছেন, ১০০ দিনের পুরনো বকেয়া টাকা ফেরত দিতে হবে।

জুন ১৮, ২০২৫
রাজ্য

তোলা না দেওয়ায় গাছে বেঁধে কাপড় ব্যবসায়ীকে মারধর

পাঁচ লক্ষ টাকা তোলা না দেওয়ায় গাছে বেঁধে এক কাপড় ব্যবসায়ীকে মারধর এবং সালিশি করে গ্রাম ছাড়া করার অভিযোগ উঠলো স্থানীয় একদল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে কালিয়াচক থানার ফতেখানি এলাকায়। এই ঘটনায় আক্রান্ত ব্যবসায়ীর পরিবার কালিয়াচক থানার দ্বারস্থ হলেও চারদিন পরে পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ। অবশেষে বুধবার ওই ব্যবসায়ী দম্পতি সমস্ত ঘটনার বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ জানালেন পুলিশ সুপারের কাছে। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পুরো বিষয়টি নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মালদার পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব। এদিকে কালিয়াচকের ওই ব্যবসায়ীর ওপর আক্রমণ এবং পাঁচ লক্ষ টাকা তোলাবাজির ঘটনায় রীতিমতো অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন জেলার সর্ববৃহৎ ব্যবসায়ীদের সংগঠন মালদা মার্চেন্ট চেম্বার অফ কমার্সের কর্মকর্তারা। সংশ্লিষ্ট সংগঠনের সভাপতি জয়ন্ত কুন্ডু জানিয়েছেন, এই ধরনের ঘটনার আমরা তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। বারবার যদি ব্যবসায়ীদের ওপর দুষ্কৃতীদের হামলা নেমে আসে, তাহলে আমরা যাব কোথায়। অবিলম্বে পুলিশ সুপার যাতে অপরাধীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করে, সেই আবেদন জানাচ্ছি। এদিকে পুলিশকে অভিযোগে কালিয়াচক থানার ফতেখানি এলাকার পোশাক ব্যবসায়ী মহম্মদ রহিম বিশ্বাস জানিয়েছেন, পুরনো একটি মামলার ঘটনায় গত শনিবার এলাকার এক কুখ্যাত দুষ্কৃতী জহরুল খান এবং তার দলবল তাকে বাড়ির সামনে থেকে তুলে নিয়ে যায়। তাদের একটি ডেরায় তাঁকে গাছে বেঁধে ব্যাপক মারধর করা হয়। এরপর পাঁচ লক্ষ টাকার তোলা চাওয়া হয়। সেই টাকা না দেওয়ায় আশেপাশের আরও কিছু সাগরেদদের জুটিয়ে সালিশি ডাকা হয়। সেই সালিশির মাধ্যমে তাদের পরিবারকে গ্রাম ছাড়া করার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। আর এই ঘটনার পর থেকেই গত চারদিন ধরেই ওই ব্যবসায়ী পরিবার নিজের বাড়ি ছেড়ে অন্য এক আত্মীয়ের বাড়িতে আত্মগোপন হয়ে রয়েছেন। এমনকি ফতেখানি স্ট্যান্ডের কাছে ওই ব্যবসায়ী তার নিজের পোশাকে শোরুম খুলতে পারছেন না।

জুন ১৮, ২০২৫
রাজ্য

বাংলা দিবস পালন নিয়ে বিজেপিকে কড়া তোপ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের

বাংলা দিবস পালন নিয়ে ফের বিজেপি ও তৃণমূলের মধ্যে বাগযুদ্ধ শুরু হয়ে গেল। আগামী ২০ জুন বাংলা দিবস পালন করা হবে বলে উত্তরপ্রদেশের বিশেষ সচিব পশ্চিমবঙ্গের সংস্কৃতি দফতরকে একটি চিঠি দিয়েছে। আলাদা করে বাংলা দিবস পালনের দিন নির্ধারণ নিয়ে এবার প্রশ্ন তুললেন খোদ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই ইস্যুতে BJP-র কড়া জবাব দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।বুধবার সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ২০ জুন প্রতিটি রাজ্যের রাজভবনে বাংলা দিবস পালন করা হবে বলে ঠিক করা হয়েছে। এই তারিখ কীভাবে ঠিক করা হল? দেশ স্বাধীন হয়েছে ১৫ আগস্ট। বাংলার প্রতিষ্ঠা দিবস আপনারা ঠিক করে দেবেন? বিজেপি ইচ্ছা মতো চাপিয়ে দেবে? এটা বাংলাকে চরম অসম্মান বলে আমরা মনে করছি। বাংলা দিবস বাংলার সরকার পালন করবে। সেটা ১ বৈশাখ।এদিন কেন্দ্রকে নিশানা করে মুখ্যমন্ত্রীর আরও তোপ, সব বুলডোজ করছে, দেশে জুমলা সরকার চলছে। পেহেলগাঁওয়ের পর সবাই বিশেষ অধিবেশন ডাকার কথা বলেছে। বিরোধীরা সবাই অধিবেশন ডাকার কথা বলেছিল। কেন বিশেষ অধিবেশন ডাকা হবে না?একশো দিনের কাজের টাকা চার বছর ধরে বন্ধ করেছে। আবাস যোজনার টাকা দিচ্ছে না। রাজ্য সরকার নিজে সেই টাকা খরচ করে উন্নয়ন বজায় রেখেছে।

জুন ১৮, ২০২৫
রাজ্য

ভাগীরথী সেতুতে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা, লরির চাকায় পিষ্ঠ হয়ে মৃত্যু রোগীর

মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর ভাগীরথী সেতুর উপর ঘটল মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। বুধবার দুপুরে চলন্ত লরির চাকায় পিষ্ট হয়ে মৃত্যু হল এক বৃদ্ধের। মৃতের নাম হরেন মণ্ডল (৬৩)। তিনি ঝাড়খণ্ডের পাকুর জেলার বাসিন্দা বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।জানা গিয়েছে, বুধবার সকালেই অসুস্থতা জনিত কারণে হরেন মণ্ডলকে জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাঁর সঙ্গে ছিলেন পুত্রবধূ। দুপুরে বৌমা ফুলতলা বাজারে ফল কিনতে গেলে অনেকক্ষণ কেটে গেলেও তিনি না ফেরায়, চিন্তায় পড়ে বৃদ্ধ খুঁজতে বের হন। খুঁজতে খুঁজতে উঠে পড়েন ভাগীরথী সেতুর উপর। সেই সময় এক চলন্ত লরির সামনে পড়ে যান তিনি। অসাবধানতাবশত লরির চাকায় পিষ্ট হন হরেন মণ্ডল। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।ঘটনাস্থলে পৌঁছায় রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ ও রঘুনাথগঞ্জ সদর ট্রাফিক গার্ড। কিছু সময়ের জন্য সেতুর উপর যান চলাচল ব্যাহত হয়। পরে পুলিশ ব্যবস্থা নিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ। দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ কী, লরি চালকের গাফিলতি ছিল কিনাতা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।এই দুর্ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকাজুড়ে। হাসপাতালে ভর্তি রোগীর এমন মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে পরিবার ও হাসপাতাল চত্বরে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পরেও কি ভাবে রাজ্য সড়কে পৌছালো ঐ রুগী তা নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছে একলাবাসীর মধ্যে।

জুন ১৮, ২০২৫
রাজ্য

রায়নার বিধায়কের কন্যার নামকরণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী

রায়নার বিধায়ক শম্পা ধারার শিশু কন্যার নামকরণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার বিধানসভাতেই বিধায়ক শম্পা ধারা কন্যা সন্তান নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সামনে হাজির হন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিধায়ক শম্পা ধারার শিশু কন্যার নাম রাখেন ঐশী। আশাপূরণ হওয়ায় শম্পা ধারা বেজায় খুশি। মেয়ের অন্নপ্রাসন অনুষ্ঠানের দিনও নির্দিষ্ট করে ফেলেছেন বিধায়ক। সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হওয়ার জন্য শম্পা ধারা এদিন মুখ্যমন্ত্রী সহ সকল বিধায়ককে নিমন্ত্রণও করেন।শম্পা ধারার কন্যার এখন বয়স মাত্র সাড়ে চার মাস। বাংলার অগ্নিকন্যা তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অন্তত তাঁর কন্যার নামকরণ করে আশীর্বাদ করুন, এমনটাই স্বপ্ন ছিল রায়নার তৃণমূল বিধায়কের। সেই স্বপ্ন পূরণের লক্ষে নিজের শিশু কন্যাকে সঙ্গে নিয়ে সোমবার দুপুরে বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর ঘরের সামনে পৌছে যান পূর্ব বর্ধমানের বিধায়ক। মুখ্যমন্ত্রী ঘর থেকে বের হতেই বিধায়ক শম্পা তাঁর কন্যার নামকরণ করার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করেন। নিজের দলের বিধায়কের সেই অনুরোধ ফেরাননি মুখ্যমন্ত্রী।শম্পা ধাড়া জানান, চলতি বছরের ২৩ জানুয়ারি তাঁর কন্যা সন্তানের জন্ম হয়েছে। শম্পা ধারার কথা অনুযায়ী নাম করণ করে দেওয়ার পর তাঁর মেয়ের মাথায় হাত দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আশীর্বাদ করেছেন। এটাই তো তাদের কাছে অনেক বড় পাওয়া। এর জন্য তিনি গর্বিত বোধ করছেন।তাঁর খুব আনন্দও হচ্ছে।

জুন ১৭, ২০২৫
বিনোদুনিয়া

কেশরী চ্যাপ্টার টু, ইতিহাস বিকৃত করার ভয়ঙ্কর অভিযোগ

ইতিহাসের একটি পরিচিত অধ্যায় ইংরেজ শাসনের সময় বিখ্যাত স্বাধীনতা সংগ্রামী ও বিপ্লবী ক্ষুদিরাম বোস ও প্রফুল্ল চাকী কুখ্যাত ইংরেজ জাজকে বধ করার চেষ্টা করেছিল। এর ভিত্তিতে ক্ষুদিরাম বোসের ফাঁসি হয়েছিল এবং প্রফুল্ল চাকীও পুলিশের হাতে যাতে ধরা না পড়ে তার জন্য নিজের প্রাণ নিজের হাতে নিয়েছিল। বিধাননগর দক্ষিণ থানাতে অভিযোগ এসেছে যে একটি সিনেমা ইদানিংকালে লাইভ স্ট্রিমিং হচ্ছে সিনেমাটির নাম হচ্ছে কেশরী চ্যাপ্টার টু। সেই সিনেমাটি জিও হটস্টারে দেখানো হচ্ছে লাইভ স্ট্রিমিং এর মাধ্যমে সেখানে একটা দৃশ্যে দেখানো হয়েছে যে ক্ষুদিরাম বোসের নামকে ক্ষুদিরাম সিং বলা হয়েছে এবং প্রফুল্ল চাকির সেখানে কোন উল্লেখ নেই।বিখ্যাত স্বাধীনতা সংগ্রামী অরবিন্দ ঘোষের ছোট ভাই বিরেন্দ্র কুমার ঘোষ তিনি ও বিপ্লবী ছিলেন উনার নামটাকে বারিন্দ্রা কুমার বলে বলা হচ্ছে। শুধুমাত্র ঐতিহাসিক তথ্যগুলোকে বিকৃত করা হয়নি, বরঞ্চ স্বাধীনতা সংগ্রামী যারা আছেন তাদের নামটাকে বিকৃত করে তাদের গরিমাটাকে কিছুটা হলেও ম্লান করার চেষ্টা হয়েছে এবং করা হয়েছে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে একটা কেস করা হয়েছে। এটাও দেখানো হয়েছে খুদিরাম বোস এবং বারিন্দ্র ঘোষ ওনারা অমৃতসরের ছাত্র ছিলেন। এই পরিপ্রেক্ষিতে অভিযোগটা করা হয়েছে। আর সেই অভিযোগের ভিত্তিতে বিধান নগর দক্ষিণ থানাতে একটি কেস রুজ করা হয়েছে এবং তদন্ত শুরু হয়েছে।

জুন ১৭, ২০২৫
কলকাতা

ভূয়ো কল সেন্টারের পর্দা ফাঁস, বাগুইআটিতে গ্রেফতার ৬

গোপন সূত্রে প্রাপ্ত সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে বাগুইহাটি থানা অধীনস্ত সৃষ্টি অ্যাপার্টমেন্টে অভিযান চালায় বিধাননগর পুলিশের একটি দল এবং পর্দা ফাঁস করে একটি ভুয়ো কল সেন্টারের। অভিযুক্তরা বিভিন্ন রাজ্যে সমাজের প্রান্তিক শ্রেণীর মানুষদের সঙ্গে যোগাযোগ করত এবং কম সুদে ঋণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাদের কস্টার্জিত অর্থ হাতিয়ে নিতো।স্বতঃপ্রণোদিত অভিযোগের ভিত্তিতে বাগুইআটি থানায় কেস নাম্বার ৩৮২/২০২৫ মামলা রুজু হয়। এই অভিযানে মোট ছয় জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং উদ্ধার হয়েছে বহু বৈদ্যুতিন সরঞ্জাম, ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন ইত্যাদি। এই মামলার তদন্ত চলছে। ধৃতদের আজ আদালতে পেশ করা হলে তাদের প্রত্যেকের সাত দিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন মঞ্জুর হয়। মামলার তদন্ত চলছে।

জুন ১৭, ২০২৫
রাজ্য

তৃণমূলের দলীয় বৈঠকে মমতাবালাকে কটুক্তির অভিযোগ, উপপ্রধানকে গ্রেফতারের দাবি

দলীয় বৈঠক তৃণমূল উপপ্রধানের গালাগাল ও কটুক্তির শিকার তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ মমতা ঠাকুর। অভিযুক্তকে গ্রেফতারের দাবিতে থানায় অভিযোগ দায়ের করলেন তৃণমূল কর্মী। সরব হলেন মতুয়া ভক্তরা। পার্থ ভৌমিকের সম্পর্কে কিছু কথা বলার জন্যে কর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছে, আর কিছু নয় বলে দাবি তৃণমূল জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ দাসের।একুশে জুলাই এর প্রস্তুতি সভা ছিল সোমবার উত্তর ২৪ পরগনার গোবরডাঙ্গায়। অভিযোগ, সেখানে বক্তব্য রাখার সময় গোপালনগর চৌবেরিয়া ১ নাম্বার গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সুনীল সরকার মমতা ঠাকুরকে উদ্দেশ্য করে গালিগালাজ করেন। এমনকি বৈঠক শেষে মমতা ঠাকুর বাইরে বের হলে তাঁকে উদ্দেশ্য করে সুনীলসহ আরও কয়েকজন কটুক্তি করে এবং অশ্লীল অঙ্গিভঙ্গি করে, এমনকি তাঁকে হুমকিও দেওয়া হয়। এবং ছোট জাত বলে আক্রমণ করা হয়। এই মর্মে সোমবার রাতে সব্যসাচী ভট্ট নামে এক তৃণমূল কর্মী গাইঘাটা থানায় এফ আই আর দায়ের করেন। অভিযোগ করার সময় সব্যসাচীর সঙ্গে ছিলেন মতুয়া ভক্তরা ও গোসাইরা। অভিযুক্তর গ্রেফতারের দাবি করেন তারা। তারা বলেন, মাকে গালাগালি দেওয়া মানে আমাদের মতুয়া সমাজকে গালি দেওয়া। এটা আমরা কোনওভাবেই মেনে নেব না। ২৪ ঘন্টার মধ্যে যদি অভিযুক্তকে গ্রেফতার না করা হয় তাহলে তীব্র প্রতিবাদ হবে।এই বিষয়ে অভিযুক্ত চৌবেড়িয়া এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সুনীল সরকার জানিয়েছেন, মমতা ঠাকুর বক্তব্য রাখতে গিয়ে নানা কথার মধ্যে দিয়ে জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস ও পার্থ ভৌমিককে আক্রমণ করছিল। আমি শুধু প্রতিবাদ করে বলেছি আপনাদের ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বের বৈঠকে এটা আলোচনা করবেন। আমি যদি উনাকে গালাগাল করে থাকি সেটা প্রমাণ করুক। আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। যদিও বনগাঁ জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস জানিয়েছেন, গতকাল একুশে জুলাইয়ের প্রস্তুতি সভায় চেয়ারম্যান পার্থ ভৌমিক সম্পর্কে কিছু কথা বলাতে কর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছে আর কিছু নয়। তৃণমূলের সভায় মমতা ঠাকুরকে উদ্দেশ্য করে গালাগাল ও জাত তুলে কটুক্তি নিয়ে কটাক্ষ করা প্রসঙ্গে শান্তনু ঠাকুর বলেন, ওদের নেত্রী হরিচাঁদ গুরুচাঁদ নিয়ে যা বলেছেন তাতে ছোট নেতা কি বলবে। মমতা ঠাকুর হারিকাঠে গলা দিয়েছে, কি হবে বুঝতে পারছে না। ওর লজ্জা ঘৃণা ভয় কিছু নেই। এই বিষয়ে মমতা ঠাকুরবালার কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

জুন ১৭, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal