• ২৪ আশ্বিন ১৪৩২, মঙ্গলবার ১৪ অক্টোবর ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Bangladesh

রাজনীতি

বাংলাদেশে গ্রেফতার চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের মুক্তির দাবি উঠলো এবাংলায়, পথে শুভেন্দু অধিকারী

শেখ হাসিনার দেশ ত্যাগের পর থেকে বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর লাগাতার অত্যাচার চলছে। নোবেল শান্তি পুরস্কার প্রাপক মহম্মদ ইউনুসের শাসনকালে ওই দেশে হিন্দু তথা সংখ্যালঘুদের খুন, মারধর, মন্দির-বাড়ি লুঠপাট থেমে নেই। হিন্দু তথা স্ংখ্যালঘু নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতার করায় বাংলাদেশ উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। তাঁর মুক্তির দাবিতে পথে নেমেছে সেদেশের হিন্দুরা। এদিকে এরাজ্যেও পথে নেমেছে বিজেপি। বাংলাদেশের সনাতনীদের উপর ক্রমাগত বেড়ে চলা অত্যাচারের প্রতিবাদে ও বাংলাদেশের হিন্দুদের অস্থিত্ব রক্ষার অন্যতম মুখ, বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র প্রভু চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে বিজেপি পরিষদীয় দল বাংলাদেশ ডেপুটি হাই কমিশন অভিযান করে। দিল্লিতে এদিন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর নির্যাতনের ঘটনার নিন্দা করেছেন।

নভেম্বর ২৭, ২০২৪
রাজ্য

দামোদরে ইলিশ! খুশির হাওয়া দক্ষিণবঙ্গে। এবার কি নিয়মিত পাওয়া যাবে? প্রশ্ন মুখে মুখে

দক্ষিণবঙ্গে খুশির হাওয়া, পূর্ব বর্ধমান জেলায় দামোদরে জেলের জালে ধরা দিলো রুপালী সুন্দরী। শুক্রবার পূর্ব বর্ধমান জেলার জামালপুরে দামোদরে এক জেলের জালে উঠলো প্রায় ১ কেজি ১০০ গ্রামের ইলিশ। স্থানীয় সুত্রে জানা যায় প্রায় ২০ বছর পর জামালপুরের দামোদরে ধরা পড়লো ইলিশ। দামোদরের জলে পাওয়া রূপালী সুন্দরীকে দেখতে স্থানীয় মানুশের ভিড় জমে যায়। কোন পথে জামালপুরে ইলিশ দামোদরে পৌছলো তা নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ চলছে মৎস্য বিশেষজ্ঞ মহলে। নোনা জলের কুলীন মাছ দামোদরের মিষ্টি জলে চলে কোন পথে এল? কেউ কেউ জানাচ্ছেন জামালপুরে থেকে ভাগ হয়ে যাওয়া মুন্ডেশ্বরী নাব্যতা বেড়ে যাওয়ায় জল প্রবাহ বেশী হওয়ায় ইলিশের গতিপথ হয়ত সুগম হয়েছে। দুর্গাপুর ব্যারেজ হয়ে প্রবাহিত দামোদর তার গতিপথ পূর্ব বর্ধমান জেলার জামালপুরের কাছে জ্যোতসিরাম থেকে পরিবর্তন করে এবং তারপরে দুটি চ্যানেলে বিভক্ত হয়ে যায়। একটি দামোদর চ্যানেল (আমতা চ্যানেল নামেও পরিচিত) এবং অপরটি কঙ্কা-মুন্ডেশ্বরী চ্যানেল। মূল চ্যানেলটি শেষ পর্যন্ত হুগলি নদীর (গঙ্গা) সাথে মিলিত হয়ে শেষ পর্যন্ত বঙ্গোপসাগরে মিলিত হয়েছে।বিশিষ্ট মৎস্য চাষী বৃন্দাবন ঘোষ জানান, যেহেতু গঙ্গা হয়ে বঙ্গোপসাগরে পড়েছে সেক্ষেত্রে বর্ধমান জেলায় দামোদরে ইলিশ পাওয়া খুব একটা আশ্চর্যের বিষয় নয়। গলসি এলাকার দামোদরের পাড়ের বাসিন্দা শিল্পী সুব্রত বৈরাগি জনতার কথাকে জানান, এই এলাকার অনেক জেলে আছেন যারা নিয়মিত ভাবে দামোদরের জলে মাছ ধরে থাকেন। তাদের মধ্যে কয়েকজন দামোদরে ইলিশ পেয়েছেন তবে তার কোনটায় ৪৫০-৬০০ গ্রামের বেশী নয়। সুব্রত আরো জানান, তবে নিয়মিত ভাবে ইলিশ এখানে পাওয়া যায় না।হটাৎ হাজির হওয়া অতথি কে দেখতে শুক্রবার সকালে জামালপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকার মাছের আড়তে ভিড় জমে যায়। দক্ষিণবঙ্গে টানা বৃষ্টিতে কয়েক দিন আগেই ডিভিসি-র জলাধার থেকে ব্যাপক জল ছাড়ার ফলে বানভাসি হয় জামালপুরের বিভিন্ন এলাকা। মাছ সবসময় স্রোতের বিপরীতে ভেসে বেড়ায়। এখন জামালপুরে ইলিশ ধরার পড়ায় মনে করা হচ্ছে দূর্গাপুরের ডিভিসি-র ব্যারেজ থেকে ছাড়া জলের তোড়ে মোহনা থেকে স্রোতে বিপরীতে ভাসতে ভাসতে কিছু ইলিশ জামালপুরের দামোদরে এসে পড়েছে। ইলিশটি ধরা পড়ে তপন বিশ্বাস নামে এক মৎস্যজীবীর জালে। সেই খবরে খুশির হাওয়া জামালপুর সহ দক্ষিণবঙ্গে, খবর চাউর হতেই অনেকেই জাল হাতে নিয়ে দামোদরের পাড়ে হাজির হয়ে পরেন। যদি তার শিকে ছেঁড়ে।স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ইলিশটিকে কিনতে অনেকে ইচ্ছা প্রকাশ করায় মাছের আড়তে নিলাম ডাকেন আড়তদার। ১২০০ টাকা থেকে ডাক শুরু হয়, শেষমেশ ২১০০ টাকায় কেজিতে এসে থামে ডাক। জানাযায় জামালপুরের স্থানীয় বাসিন্দা লক্ষ্মণ বিশ্বাস ওই মাছটি ২,১০০ টাকা কেজি দরে মাছটিকে কিনে নেন। গর্বিত ক্রেতা লক্ষ্মণ বিশ্বাস বলেন, এক কেজি ওজনের জীবন্ত ইলিশ পেয়ে আমি খুবই খুশি। তাই টাকার কথা মাথায় ছিলনা। তায় ২,১০০ টাকায় মাছটি কিনে ফেললাম।স্থানীয় মাছ ব্যবসায়ী এবং আড়তদারেরা জানান, জামালপুর এলাকায় এর আগেও মাছ পাওয়া গেছে। আনুমানিক বছর ২০ আগে দামোদরে ইলিশ পাওয়া যেত। দীর্ঘ ২০ বছর পরে দামোদরের জলে ইলিশ ওঠায় এলাকায় ব্যাপক উৎসাহ দেখা দেয়। জামালপুর ব্লকের মৎস্য সম্প্রসারণ আধিকারিক (FEO) নিত্যানন্দ মণ্ডল জনতার কথাকে জানান, আমি শুনেছি উত্তর মোহনপুর এলাকার মৎস্যজীবী তপন বিশ্বাস মাছটি পেয়েছেন। জামালপুরের বাসস্ট্যান্ডের পাশে মাছের আড়তের আড়তদার প্রভাত পাত্রের আড়তে মাছটি নিলাম হয়েছে। আড়তদার প্রভাত পাত্র বলেন, ভরা বর্ষায় নোনা জল থেকে উঠে এসে মিষ্টি জলে ডিম পাড়তে আসে ইলিস। সেই ভাবেই হয়তো ইলিসটি এসেছিল, এবং কাল্লা এবং জামালপুরের মাঝে ধরা পড়ল। তবে আশার কথা শুনিয়েছেন প্রভাত সহ স্থানীয় মৎস ব্যাবসায়ীরা। তাঁরা বলেছেন, ইলিশ হল ঝাঁকের মাছ। একটি যখন ধরা পড়েছে তখন আগামী কয়েকদিনে আরও মাছ ধরা পড়বে। সেই আশায় দক্ষিণবঙ্গের মৎসপ্রেমী রা।

অক্টোবর ০৫, ২০২৪
বিদেশ

জমাটি বিতর্কের পর ওপারের পদ্মার ইলিশ এবারও পুজোয়! পরিমাণই বা কত?

শেষমেশ নানা টানাপোড়েনের পর ওপারের পদ্মার রূপালী শস্য এপারে আসতে চলেছে। ইলিশ ভারতে রপ্তানি করবে কিনা তা নিয়ে নয়া স্বাধীন বাংলাদেশ-এ বিতর্ক অভ্যাহত। তারই মধ্যে এই ইলিশ পাঠানোর খবর। ইলিশ মানেই যেন এক আলাদা রসনা ত্প্তি! ইলিশের পাতুরি, ইলিশ ভাপা, ইলিশ জাফরানি, মেথি ইলিশ, রসুন নারকেল ইলিশ, ইলিশ হরিয়ালি, ইলিশ বিরিয়ানি, ইলিশ ভর্তা, ইলিশ কোর্মা, ইলিশের টক কি নেই রসনার তালিকায়! দুর্গাপুজোয় রসনাতৃপ্তিতে বাঙ্গালির পাতে ইলিশ চাইই- চাই। তবে এবার বাংলার মাছের বাজার মাত করেছে দক্ষিণ ২৪ পরগণা ও পূর্ব মেদিনীপুরের স্বাদের ইলিশ। এবার দুর্গাপুজোয় পাতে পরতে চলেছে পদ্মার ইলিশ।গত ৫ বছর টানা দুর্গাপুজো উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ থেকে এপার বাংলায় ইলিশ মাছ আমদানি হয়েছে। কিন্তু এবার বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি একেবারে ভিন্ন। শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়েছে। নোবেল জয়ী মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে চলছে বাংলাদেশে তদারকি সরকার। দুর্গা পুজোর মুখে বাঙ্গালির পাতে আদৌ পদ্মার ইলিশ পড়বে কিনা তা নিয়ে যথেষ্ট সংশয় ছিলই। তবে শেষ মুহূর্তে বাংলাদেশের তরফে ৩ হাজার মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানির সবুজ সংকেত দওয়া হয়েছে।এই আমদানিতে স্বভাবতই খুশির হাওয়া এপার বাংলায়। দুর্গাপুজোয় বাংলাদেশ সরকারের কাছে ইলিশ রফতানি করার জন্য আবেদন জানিয়েছিল ফিস ইমপোর্টার অ্যাসোসিয়েশন। সেই আবেদনে সাড়া দিয়েই বাংলাদেশে সরকারের তরফে জানানো হয়েছে ইলিশ রফতানির একাধিক আবেদন পেয়ে সরকারের তরফে তিন হাজার মেট্রিক টন ইলিশ রফতানি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ সরকার।অ্যাসোসিয়েশনের তরফে বাংলাদেশ সরকারের কাছে আবেদন জানিয়ে বলে হয়েছিল, ১৯৯৬ সাল থেকে বাংলাদেশ ইলিশ রফতানি করছে এপার বাংলায়। পেট্রাপোল সীমান্ত থেকে প্রতি বছর গড়ে ৫০০০ মেট্রিক টন ইলিশ আমদানি করা হত। দুর্ভাগ্যবশত ২০১২ সালের জুলাই মাসে হঠাৎ করেই বাংলাদেশ সরকার ইলিশ রফতানি নিষিদ্ধ করে। তারপর আমরা নিষেধাজ্ঞা শিথিল করার জন্য তাদের কাছে চিঠি দিয়েছি কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। তবে গত ৫ বছর ধরে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ থেকে শুরু করে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ পর্যন্ত ইলিশ আমদানি করা হয়।অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সৈয়দ আনোয়ার মকসুদ বলেন, এর আগে বাংলাদেশ সরকার দুর্গাপুজোর সময় ইলিশ মাছ রফতানির অনুমতি দিয়েছে। বিগত ৫ বছর ধরে ইলিশ আসছে এখানে। পশ্চিমবঙ্গ, আসাম এবং ত্রিপুরার মাছ ব্যবসায়ীদের কাছে বাংলাদেশের ইলিশের প্রচুর চাহিদা। মানুষও এই সময় ইলিশের জন্য অপেক্ষা করে থাকে। দুর্গাপুজোর সময় ইলিশ মাছ রফতানির অনুমতি দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছি।অ্যাসোসিয়শনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ২০১৯ সালে ইলিশ এসেছে ৫০০ মেট্রিক টন। তার পরের বছর ২০২০ সালে ইলিশ আমদানি করা হয়েছে ১৮৫০ মেট্রিক টন। ২০২১ সালে ২৬০০ টনের অনুমোদন থাকলেও আমদানি হয়েছে ১২০০ মেট্রিক টন। তার পরের দুবছর ২০২২ ও ২০২৩ সালে আমাদানিকৃত ইলিশের পরিমাণ ছিল ১৩০০ মেট্রিক টন। যদিও এবার সেই সকল পরিসংখ্যানকে টপকে গিয়ে ৩ হাজার মেট্রিক টন ইলিশ রফতানিতে সবুজ সংকেত দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশের তরফে।

সেপ্টেম্বর ২১, ২০২৪
বিদেশ

কোচবিহার সীমান্তের ওপারে হাজার হাজার সংখ্যালঘু বাংলাদেশি হিন্দুর মুখে জয়শ্রীরাম ধ্বনি, আশ্রয় চাইছেন ভারতে

অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পরও নিরাপত্তা নিয়ে বেজয় দুশ্চিন্তায় রয়েছেন ওই দেশের সংখ্যালঘুরা। কোচবিহারে ভারত বাংলাদেশ সীমান্তের ওপারে দাঁড়িয়ে তাঁরা এদেশে আশ্রয় চাইছেন। শীতলকুচির পাঠানতুলি গ্রামে কাঁটাতারের ওপারে শয়ে শয়ে বাংলাদেশিরা ভির করেছেন। শরণার্থীদের মতো তাঁদের অবস্থা। তাঁরা সেখানে দাঁড়িয়ে জয় শ্রীরাম স্লোগান তুলছেন। পাশাপাশি গদিচ্যুত প্রধানমন্ত্রী হাসিনা এবং ভারতের জয়ধ্বনিও শোনা গেল তাঁদের গলায়। সীমান্তের জলাশয়ের মাঝে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দুদের দাবি, আমরা ভারতের আশ্রয় চাই।এপারে কোচবিহারের (Cooch Behar) শীতলকুচির পাঠানতুলি গ্রাম, ওপারে লালমণিরহাট। মাঝে জলাশয় বরাবর কাঁটাতার। শুক্রবার সেই জলে নেমেই এপারে আসার জন্য হুড়োহুড়ি পড়ে গেল বাংলাদেশের (Bangladesh) সীমান্তবর্তী গ্রামগুলির সংখ্যালঘু বাসিন্দাদের। জিরো পয়েন্টে বসে তাঁরা হাসিনা ও আওয়ামি লিগের পক্ষে স্লোগান তুললেন। হিন্দুদের গলায় শোনা গেল জয় শ্রীরাম ধ্বনি। জলাশয় পেরিয়ে পাঠানতুলি গ্রামের ওপারে দাঁড়িয়ে তাঁদের বক্তব্য, আমাদের নিরাপত্তা নেই, ভারতের আশ্রয় চাই। বুধবার জলপাইগুড়ির সীমান্ত এলাকা বেরুবাড়িতে একইভাবে জড়ো হয়েছিলেন বহু বাংলাদেশি। সেখানে কাঁটাতার না থাকায় বিএসএফ-বিজিবি একযোগে কাজ করে তাঁদের নিজেদের এলাকায় ফেরত পাঠায়। শুক্রবার দেখা গেল, আরও বেশি সংখ্যক শরণার্থী ভারতের আশ্রয় ভিক্ষা করছেন। বিএসএফ (BSF) সূত্রে খবর, বাংলাদেশের লালমণিরহাট জেলার গাইবান্দা, পশ্চিম গোতামারি, পূর্ব গোতামারি, ডাকুয়াটারি এলাকার বাসিন্দা তাঁরা। এই সবকটিই সীমান্তবর্তী গ্রাম। বৃহস্পতিবার রাতেই অশান্ত বাংলাদেশের হাল ধরতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়েছে। তার প্রধান উপদেষ্টা নোবেলজয়ী ডঃ মহম্মদ ইউনুস। তাঁর আশ্বাসল আদৌ কোনও কাজ হয়েছে কওনা প্রশ্ন আছে। লুটপাট, মারধরের ঘটনার খবর সামনে আসছে।।তাতেই তাঁরা আতঙ্কিত হয়ে এবার ভারতের আশ্রয় চাইছেন।

আগস্ট ০৯, ২০২৪
দেশ

ভারতে এসে ভয়ানক অভিজ্ঞতার কথা শোনালেন বাংলাদেশের নাগরিক, অতঙ্কে তড়ঘড়ি ফিরছেন ভারতীয়রা

বাংলাদেশের নানা স্থানে চলছে সর্বত্র চলছে লুঠ, ধর্ষণ, খুন, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ। নিরাপত্তার অভাব বোধ করে বহু ভারতীয়রা পালিয়ে আসছে। বাংলাদেশীরা অনেকে অনেকে চিকিৎসার কথা বলে তড়িঘড়ি ভারতে প্রবেশ করছে। বুধবার সকাল থেকেই মালদা জেলার মহদিপুর এলাকার ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সীমান্তে এমন চিত্র দেখা গিয়েছে। একই দৃশ্য দেখা যাচ্ছে বণগাঁর পেট্রোপল সীমান্তে। যেখানে অনেক বাংলাদেশী পরিবার নিয়ে চিকিৎসার নাম করে ভারতের এই দুই সীমান্ত দিয়ে প্রবেশ করেছেন। তাঁরাই বলছেন, এরকম বাংলাদেশ আমরা চাইনি। শেখ হাসিনা তো পদত্যাগ করেছে। কোটা সংস্কারও মেনে মেনে নিয়ে সিদ্ধান্ত দিয়েছে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালত। তারপরও আন্দোলন থেমে থেমে নেই। সর্বত্রই লুঠ চলছে। ভাঙচুর করা হচ্ছে বাড়িঘর, দোকানপাট। পুকুরের মাছ থেকে জমির ফসল সব লুঠ করছে দুষ্কৃতীরা। রাস্তায় আগুন জ্বলছে। খুন হয়ে যাওয়ার আতঙ্কে পরিবার নিয়ে পালিয়ে এসেছি। রাস্তায় সেনাবাহিনী নেই , পুলিশ নেই। নিরাপত্তার সর্বত্রই অভাব রয়েছে। এই ঘটনার পিছনে বিদেশি শক্তির হাত রয়েছে বলেও এদিন ভারতে প্রবেশকারী বাংলাদেশী বেশকিছু নাগরিকেরা জানিয়েছেন। মালদার বাসিন্দা সুশান্ত সরকার গিয়েছিলেন বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জের শ্বশুরবাড়িতে। এদিন সকালে আত্মীয়দের নিয়ে ফিরে এসে সুশান্তবাবু বলেন, সংখ্যালঘুদের ওপর চরম অত্যাচার চলছে। বাড়িঘর পুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। সমস্ত কিছু লুঠ করে নেওয়া হচ্ছে। মহিলারাও আতঙ্কে রয়েছে। যে কোনও মুহূর্তে খুন হয়ে যাওয়ার ভয়ে নিজের দেশে চলে এসেছি। বাংলাদেশের পরিস্থিতি ভয়াবহ। বাংলাদেশের এক নাগরিক রাজশাহীর বাসিন্দা মহম্মদ হেলালউদ্দিন বলেন, হাসিনা সরকার তো পদত্যাগ করেছে। সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু হয়নি। আমার তিনটা পুকুরের মাছ লুঠ করেছে দুষ্কৃতীরা। বাড়িঘর ভাঙচুর করে দিয়েছে। ওরা বাড়ির সদস্যদের খুন করার চেষ্টা করেছিল। অনেক আকুতি মিনতি করাই প্রাণের রক্ষা পেয়েছি। চিকিৎসার নাম করে ভারতে পালিয়ে এসেছি। দেশে ফিরতে পারব কিনা জানি না। এরকম বাংলাদেশ আমরা চাইনি। রাস্তায় কোনও সেনাবাহিনীর কোনও ভূমিকা নেই বলেই তাঁর অভিযোগ। সর্বত্র লুঠপাট চলছে। মহিলাদের বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। যেখানে সেখানে অগ্নিসংযোগ ঘটিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আজকের বাংলাদেশকে শেষ করে দেওয়ার পিছনে বিদেশি শক্তির হাত রয়েছে বলেই মনে করছি। জানি না কবে বাংলাদেশের পরিস্থিতি ঠিক হবে। বলেন তিনি।এরকম আরও অনেকেই বাংলাদেশ ফেরত ভারতীয়রা একের পর এক উত্তাল পরিস্থিতির কথা জানিয়েছেন। ওই দেশের সংখ্যালঘুদের ওপর বিশাল দুর্যোগ নেমে এসেছে বলেও অভিযোগ করেছেন। পেট্রোপল সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে ফিরছেন রাধারাণী দেবী, পরিমল চন্দ্র ঘোষষেরা। তাঁরা আতঙ্কে বাড়ি ফিরছেন বলে জানালেন। ভিসার দিন শেষ ছিল বলে তাঁরা বাড়ি ফিরে গিয়েছেন। কিন্তু দেশের যা হাল আমরা খুব ভয়ে ভয়ে বাংলাদেশ যাচ্ছি বলেন, রাধারাণী দেবী।এদিকে বুধবার বাংলাদেশের অস্থির পরিস্থিতির মধ্যেও কাঁচা সব্জি রপ্তানির শুরু হলো। মহদিপুর এলাকার ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সীমান্তের শুল্ক অধিকর্তা দেশদুলাল চ্যাটার্জী বলেন, সীমান্তের ওপারে এখনও দেড়শোটি ভারতীয় লরি আটকে রয়েছে। সেগুলোই আনার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তবে ওপারে আটকে থাকা লরি চালক ও খালাসীরা প্রত্যেকে চলে এসেছে। পরিস্থিতি বুঝে ভারত থেকে কিছু কাঁচা সবজি যেমন লঙ্কা,পিঁয়াজ রপ্তানির করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যদিও এখনও পর্যন্ত বাংলাদেশের পরিস্থিতি ভালো নেই। এব্যাপারে ওপারের শুল্ক দপ্তর এবং সীমান্ত বাহিনীর সাথে আলোচনা করা হয়েছে। তবে রপ্তানির ক্ষেত্রে কোনওরকম সমস্যা হবে না বলে ওপারের প্রশাসন জানিয়েছে। সেইসব পরিস্থিতি তদারকি করে সাময়িক কিছু কাঁচামাল রপ্তানি করা হবে।

আগস্ট ০৭, ২০২৪
রাজ্য

"কোনওরকম গুজবে কান দেবেন না, উত্তেজক ভিডিও শেয়ার করবেন না", পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ

বাংলাদেশের আন্দোলনের ভিডিও ক্লিপিং সোশাল মিডিয়ার মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে সর্বত্র। এদের কিছু অতি উৎসাহী মানুষ কেউ পক্ষে বা কেউ বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে ফেসবুক সহ সোশাল মিডিয়ায় ক্রমশ মন্তব্য় করে চলেছেন। অনেকেই সেই দেশের ভিডিও পোস্ট করে চলেছেন। এই বিষয়ে সতর্ক করেছে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ। তাঁরা এক্স হ্য়ান্ডেলে বলেছে, উত্তেজক ভিডিও শেয়ার করবেন না। গুজবে কান না দিতেও আবেদন জানিয়েছে পুলি।পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের বক্তব্য়, প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে সোশ্যাল মিডিয়ায় কিছু পোস্ট এবং ভিডিও আমাদের নজরে এসেছে যা বিভেদ এবং অশান্তি তৈরি করতে পারে। অনুরোধ, কোনওরকম গুজবে কান দেবেন না, উত্তেজক ভিডিও শেয়ার করবেন না। রাজ্য প্রশাসন সতর্ক এবং সজাগ রয়েছে। শান্ত থাকুন, শান্তি বজায় রাখুন।

আগস্ট ০৬, ২০২৪
বিদেশ

বাংলাদেশে "নয়া স্বাধীনতা", ছাত্র আন্দোলনই হাসিনা বিরোধী ঝড়ে পরিণত

ছাত্র সমাজ ও সাধারণ মানমুষের ২৩ দিনের দেশ জুড়ে আন্দোলনে পতন হয়েছে শেখ হাসিনা সরকারের। আওয়ামী লীগ প্রধান দেশ ছেড়ে আপাতত ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন। তাঁর সঙ্গে আছেন তাঁর বোন শেখ রেহানা। দেশ ছেড়ে আসার আগে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। এই পদত্য়াগের ফলে ১৫ বছরের আওয়ামী লিগের শাসনের অবসান হল। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার সরকারের বিরুদ্ধে জনবিরোধী একাধিক অভিযোগ উঠেছিল। ছাত্র সমাজের কোটা বিরোধী আন্দোলন আসলে সরকারকে চাপে ফেলার কর্মসূচিতে পরিণত হয়েছিল। এই সুযোগটাকে কাজে লাগিয়েছে সেই দেশের শেখ হাসিনা সরকার বিরোধী লোকজন। তাঁদের অভিযোগ, দেশের ভোটব্যবস্থা সম্পূর্ণ প্রহসণে পরিণত হয়েছিল। দেশে ব্যাপক দুর্নীতি, বাক স্বাধীনতা হরণ, মানবাধিকার লঙ্ঘন, স্বজনপোষণ, ব্যাংকের টাকা লুট(ঋণের নামে), আয় বৈষম্য়, এসব নানা কারণেই ছাত্র আন্দোলনে সাধারণ মানুষের ক্ষোভ আছড়ে পড়ে বাংলাদেশের রাস্তায়।কোটা নিয়ে আন্দোলন শুরু হয়েছিল গত ১ জুলাই। ১৪ জুলাই প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনার রাজাকারসংক্রান্ত ছাত্র আন্দোলনে ঘৃতাহুতি দেয়। আদালতে গড়ায় কোটা আন্দোলন। সেদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা, তুমি কে, আমি কে, রাজাকার, রাজাকার; কে বলেছে, কে বলেছে, স্বৈরাচার, স্বৈরাচার। বাংলাদেশে সর্বাত্মক আন্দোলন শুরু হয়ে যায়। সরকারের বিরুদ্ধে সাহস করে রাস্তায় নামতে থাকেন সাধারণ মানুষ। যাঁর বাড়ির লোক গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায়, সপরিবারে ও তাঁর আশেপাশের মানুষজনও ভয় সরিয়ে রাস্তায় বেরিয়ে পড়ে। ক্রমশ লোক বাড়তে থাকা ঢাকা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, সহ দেশের সমস্ত এলাকায়। এরই মধ্যে আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠনকে নামিয়ে দেওয়া হয় কোটা আন্দোলনকারী ছাত্রদের বিরুদ্ধে। মূলত রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদকে খুব কাছ থেকে গুলি করে খুন করে পুলিশ। সেই ভিডিও ভাইরাল হতেও আন্দোলন আছড়ে পড়ে দেশজুড়ে। বিক্ষোভ শুরু হয়। স্লোগান দেওয়া হয় এই বলে যে বুকের ভেতর অনেক ঝড়, বুক পেতেছি, গুলি কর।ক্রমশ ছাত্র ও জনতার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়তে থাকে বাংলাদেশে। ১৯ জুলাই কার্ফু জারি হয়। দেখামাত্র গুলির নির্দেশ দেওয়া হয়। ব্যাপক সংখ্যায় শিক্ষার্থীদের গুলি করে মারা হল। দেশের সমস্ত স্তরের মানুষ এবার গর্জন শুরু করলেন। কয়েকহাজার মানুষ গ্রেফতার হয়। আগস্টে সেনাবাহিনী এই আন্দোলনের বিরুদ্ধে দাড়াতে অস্বীকার করে। পুলিশও পিছু হটে। ৪ আগষ্ট রাজনৈতিক মোকাবিলার চেষ্টা করে আওয়ামী লিগ ও তার নানা সংগঠন। কিন্তু তা আর কাজে আসেনি। গতকাল, ৫ অগাস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে মার্চ টু ঢাকা বা ঢাকামুখী গণযাত্রার ডাক দেওয়া হয়। আর সরকারে থাকার সাহস করেনি শেখ হাসিনা। বঙ্গভবন থেকে হেলিকপ্টারে করে বোন শেখ রেহানাকে নিয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়ে য়ান। শেষ মুহুর্তে জাতির উদ্দেশে আর ভাষন দিতে পারেনি মুজিব কন্যা।আন্দোলনের শেষ লগ্নে গণভবনে লুটপাঠ চলে। যে যা পেরেছেন নিয়ে গিয়েছেন। বাংলাদেশ স্বাধীনতার কারিগড় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবরের মূর্তিও ভাঙতে দেখা যায় আন্দোলনকারীদের। শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পার বাংলাদেশ জুড়ে যেন স্বাধীনতা দিবস পালন করা হয়। মন্দিরে বা সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণ হলে তৎখনাৎ সাহায্য়ের জন্য় বিশেষ ফোন নম্বর দিয়েছে সেনাবাহিনীর তরফ থেকে।

আগস্ট ০৬, ২০২৪
বিদেশ

ফের উত্তপ্ত বাংলাদেশ, দিনভর গুলি-সংঘর্ষ, কার্ফিউ, শিক্ষার্থী ও পুলিশ সদস্যসহ নিহত ৯৭

ফের বাংলাদেশে অশান্তির বাতাবরণ। এখনও পর্যন্ত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অসহযোগ কর্মসূচি ঘিরে সারা দেশে সংঘাতসংঘর্ষ, গুলি, পাল্টাপাল্টি ধাওয়ায় অন্তত ৯৭ জন নিহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ১৪ জন পুলিশ সদস্য। সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানায় ১৩ জন পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন। প্রথম আলো প্রকাশিত খবরে এই তথ্য প্রকাশ পেয়েছে।এই সংবাদ মাধ্যমে লেখা হয়েছে, আজ দিনভর সংঘর্ষে নরসিংদীতে ৬ জন, ফেনীতে ৮ জন, লক্ষ্মীপুরে ৮ জন, সিরাজগঞ্জে ১৩ পুলিশসহ মোট ২২ জন, কিশোরগঞ্জে ৫ জন, রাজধানী ঢাকায় ১১ জন, বগুড়ায় ৫ জন, মুন্সিগঞ্জে ৩ জন, মাগুরায় ৪ জন, ভোলায় ১ জন, রংপুরে ৪ জন, পাবনায় ৩ জন, সিলেটে ৫ জন, কুমিল্লায় পুলিশ সদস্যসহ ৩ জন, শেরপুরে ২জন, জয়পুরহাটে ২ জন, হবিগঞ্জে ১জন, ঢাকার কেরাণীগঞ্জে ১ জন, সাভারে ১ জন, কক্সবাজারে ১ জন ও বরিশালে ১ জনসহ ৯৭ জন নিহত হয়েছেন। আজ দিনভর সংঘর্ষে নরসিংদীতে ৬ জন, ফেনীতে ৮ জন, লক্ষ্মীপুরে ৮ জন, সিরাজগঞ্জে ১৩ পুলিশসহ মোট ২২ জন, কিশোরগঞ্জে ৫ জন, রাজধানী ঢাকায় ১১ জন, বগুড়ায় ৫ জন, মুন্সিগঞ্জে ৩ জন, মাগুরায় ৪ জন, ভোলায় ১ জন, রংপুরে ৪ জন, পাবনায় ৩ জন, সিলেটে ৫ জন, কুমিল্লায় পুলিশ সদস্যসহ ৩ জন, শেরপুরে ২জন, জয়পুরহাটে ২ জন, হবিগঞ্জে ১জন, ঢাকার কেরাণীগঞ্জে ১ জন, সাভারে ১ জন, কক্সবাজারে ১ জন ও বরিশালে ১ জনসহ ৯৭ জন নিহত হয়েছেন। নৈরাজ্যবাদীদের কঠোর হাতে প্রতিহত করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহ্বানপ্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কঠোর হাতে নৈরাজ্যবাদীদের দমন করতে আজ দেশের জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব এবিএম সরওয়ার-ই-আলম সরকার জানান, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, যারা এখন সহিংসতা চালাচ্ছে তাদের কেউই ছাত্র নয়, তারা সন্ত্রাসী।সরওয়ার আরও জানান, জাতীয় নিরাপত্তাবিষয়ক সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারক কর্তৃপক্ষ নিরাপত্তা বিষয়ক জাতীয় কমিটির সঙ্গে বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রী এ নির্দেশনা দিয়েছেন।পররাষ্ট্রমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী, আইনমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, বেসামরিক বিমান চলাচলমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা এবং বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী এবং তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।মন্ত্রিপরিষদ সচিব, তিন বাহিনীর প্রধানগণ, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের (এএফডি) প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার (পিএসও), পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি); বিজিবি, এনএসআই ও ডিজিএফআই মহাপরিচালক, এনসিএসএর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও), র্যাব মহাপরিচালক (ডিজি) এবং স্পেশাল ব্রাঞ্চের (এসবি) প্রধান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।এদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন মার্চ টু ঢাকা কর্মসূচির তারিখ পরিবর্তন করেছে। মঙ্গলবারের পরিবর্তে আগামীকাল সোমবার এ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছে তারা। এতে সারা দেশ থেকে আন্দোলনকারীদের ঢাকায় আসার আহ্বান জানানো হয়েছে। আজ রোববার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ এক বিবৃতিতে এ আহ্বান জানান।আসিফ মাহমুদ বলেন, পরিস্থিতি পর্যালোচনায় এক জরুরি সিদ্ধান্তে আমাদের মার্চ টু ঢাকা কর্মসূচি আগমী মঙ্গলবার থেকে পরিবর্তন করে আগামীকাল সোমবার করা হলো। অর্থাৎ আগামীকালই সারা দেশের ছাত্র-জনতাকে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করার আহ্বান জানাচ্ছি।রাজধানীতে দুই শিক্ষার্থীসহ নিহত ৮রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় আজ রোববার আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়েছে। এসব ঘটনায় এখন পর্যন্ত ছয়জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। তাঁদের মধ্যে দুজন শিক্ষার্থী ও একজন আওয়ামী লীগের নেতা।নিহতরা হলেন: আওয়ামী লীগ নেতার নাম আনোয়ারুল ইসলাম। ষাটোর্ধ্ব আনোয়ারুল ইসলাম ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটির সদস্য। তিনি উত্তরায় বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষে নিহত হন।রাজধানীর জিগাতলা এলাকায় সংঘর্ষের মধ্যে গুলিতে নিহত হন হাবিবুল্লাহ বাহার ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী নাম আবদুল্লাহ সিদ্দিকী (২৩)।কারওয়ানবাজার এলাকায় সংঘর্ষে রমিজ উদ্দিন রূপ (২৪) নিহত হন। তিনি ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।এদিকে সন্ধ্যায় আনুমানিক ২৫ বছরের এক যুবকের মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসেন কয়েকজন। নিহত ওই ব্যক্তির নামপরিচয় জানা যায়নি। তাঁর মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।বিকেলে ফার্মগেট এলাকায় সংঘর্ষে নিহত হন তৌহিদুল ইসলাম (২২)। তিনি মহাখালীর ডিএইট কনসালট্যান্ট লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠানের অফিস সহকারী।গুলিস্তান থেকে বিকেলে জহির উদ্দীন নামের এক ব্যক্তিকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতালে নেওয়া হয়। চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।রাত ৮টার দিকে যাত্রাবাড়ীর কাজলা এলাকা থেকে জুয়েল (২৮) নামে এক যুবকের মরদেহ ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসেন কয়েকজন পথচারী।এ ছাড়া রাজধানীর জিগাতলা এলাকায় সংঘর্ষের মধ্যে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যাওয়া এক কিশোরের লাশ রাতে ঢাকা মেডিকেলে আনা হয়। ওই কিশোরের নামপরিচয় জানা যায়নি।সারা দেশে ১৪ জন পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর। এর মধ্যে সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানায় ১৩ জন নিহত হয়েছেন। কুমিল্লার ইলিয়টগঞ্জে নিহত হয়েছেন একজন।পুলিশ সদর দপ্তর জানিয়েছে, ডিএমপির যাত্রাবাড়ী ও খিলগাঁও থানা; টাঙ্গাইলের গোড়াই হাইওয়ে থানা; বগুড়ার সদর, দুপচাঁচিয়া ও শেরপুর থানা এবং নারুলী পুলিশ ফাঁড়ি; জয়পুরহাট সদর থানা; কুমিল্লার ইলিয়টগঞ্জ হাইওয়ে থানা; রংপুরের গঙ্গাচড়া, মিঠাপুকুর, পীরগাছা, পীরগঞ্জ, বদরগঞ্জ ও গংগাচড়া; ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর ও আশুগঞ্জ থানা; সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর, উল্লাপাড়া ও শাহজাদপুর থানা; হবিগঞ্জের মাধবপুর ফাঁড়ি; ময়মনসিংহ রেঞ্জ অফিস; নারায়ণগঞ্জ, বগুড়া, পাবনা ও সিরাজগঞ্জ পুলিশ সুপারের কার্যালয়; দিনাজপুর সদর থানায় আক্রমণ করেছে। আহত পুলিশ সদস্য প্রায় তিন শতাধিক। হামলায় সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানার ১৩ পুলিশ নিহত।সৌজন্যে- প্রথম আলো

আগস্ট ০৪, ২০২৪
রাজনীতি

বাংলাদেশে রক্ত ঝড়ায় দুঃখী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অসহায়দের পাশে থাকার বার্তা

কোটা আন্দলন নিয়ে স্তব্ধ বাংলাদেশ। সারা দেশে কার্ফু জারি। দেখা মাত্র গুলির নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশের হাসিনা সরকার। যদিও বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট এই ইস্যুতে আজই রায় দিয়েছে। তবে অশান্তির জেরে ওই দেশে পড়তে যাওয়া ছাত্র-ছাত্রীরা ফিরে আসছে এদেশে। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তগুলিতে বানিজ্য বন্ধ। এরইমধ্যে ধর্মতলায় শহিদ মঞ্চ থেকে বাংলাদেশ নিয়ে কোনও মন্তব্য করব না বলেও বেশ কিছু কথা বলে ফেললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অসহায়দের জায়গা দেওয়ার পাশাপাশি দু:খ প্রকাশ করেছেন তিনি।এদিন শহিদ সমাবেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, বাংলাদেশ নিয়ে আমি কোনও কথা বলতে পারি না। কারণ ওটা একটা আলাদা দেশ। বাংলাদেশ নিয়ে যা বলার সেটা কেন্দ্রীয় সরকার বলবে। আমি এটুকু বলতে পারি অসহায় মানুষ বাংলায় দরজা খটখট করে আমরা তাঁদের আশ্রয় নিশ্চয় দেব। কারণ, এটা ইউনাইটেড নেশনের একটা রেজেলিউশন আছে। কেউ যদি রিফিউজি হয়ে যায় তাঁকে পার্শ্ববর্তী এলাকা সম্মান জানাবে। আসমে একটা গন্ডগোল হয়েছিল বোরোদের সাথে। আলিপুরদুয়ারে তাঁরা দীর্ঘ দিন ছিলেন। আমিও গিয়েছিলাম তাঁদের সঙ্গে দেখা করতে।বাংলাদেশের গন্ডগোলের জেরে প্রাণ গিয়েছে ছাত্রদের। প্রতিবাদে কলকাতাতেও বিক্ষোভ হয়েছে। এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, কিন্তু আমার আপনাদের কাছে আবেদন, বাংলাদেশ নিয়ে আমরা যেন কোনও প্ররোচনাতে না যাই। আমরা যেন কোনও উত্তেজনাতে না যাই। আমাদের সহমর্মিতা, আমাদের দুঃখ সে যারই রক্ত ঝড়ুক তাঁদের জন্য আছে। আমরা দুঃখী। আমরাও খবর রাখছি। ছাত্র-ছাত্রীদের মহান প্রাণ, তাজা প্রাণগুলো চলে যাচ্ছে।এদিকে এদিন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট তাঁর রায়ে হাইকোর্টের রায় খারিজ করে দিয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, চাকরিতে ৯৩ শতাংশ মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ হবে। বাকি ৭ শতাংশ সংরক্ষণ থাকবে। ৫ শতাংশ একাত্তের মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারের। বাকি ২ অন্য সংরক্ষণ। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে যদি আপনাদের কোনও পরিবার থাকে, পরিজন থাকে, কেউ পড়াশুনা করতে যান। কেউ চিকিৎসা করতে এসে ফিরতে না পারেন। যদি কোনও সহযোগিতার দরকার হয়। সহযোগিতা করা হবে।

জুলাই ২১, ২০২৪
বিদেশ

উত্তাল বাংলাদেশ, কোটা বিরোধী আন্দোলনে মৃত্যু বেড়ে ১৯!

কোটা বিরোধী আন্দোলনে বাংলাদেশে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ১৯ জন। মঙ্গলবার মারা যান ৬ জন। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ধারাবাহিক সংঘর্ষে মৃতদের মধ্যে ১জন সাংবাদিক, ১জন রিকশ চালক ও ১জন পথচারীও আছেন। বৃহস্পতিবার ঢাকার উত্তরা এলাকায় সংঘর্ষের খবর সংগ্রহ করার সময় গুলিবিদ্ধ হন স্থানীয় একটি পোর্টাল ঢাকা টাইমসের সাংবাদিক মেহেদী হাসান(৩২)। সাম্প্রতিক অতীতে বাংলাদেশে কোনও ঘটনায় এত মানুষের প্রাণ যায়নি। ঢাকা সহ ২৮ টি জেলায় বন্ধ করে দেয়া হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা।উত্তরা এলাকাই বৃহস্পতিবার সবচেয়ে বেশি অশান্ত ছিল। সেখানে মৃত্যু হয় মোট ৫ জনের। এছাড়া চট্টগ্রাম শহর এবং লাগোয়া এলাকাতেও সংঘর্ষ হয়। পুলিশ ও আন্দোলনকারীদের মধ্যে গোলমালের খবর এসেছে অন্য শহর থেকেও। ঢাকার গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান হারুন অর রশীদ বৃহস্পতিবার রাতে দাবি করেছেন, সংঘর্ষে জড়িতদের বেশিরভাগই ছাত্র নন। হামলাকারীদের তাঁরা চিহ্নিত করেছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বৃহস্পতিবার আন্দোলনকারীরা সারা দেশ স্তব্ধ করার ডাক দিয়েছিল। সেই কর্মসূচি সফল করতে সকাল থেকে আন্দোলনকারীরা অবরোধ, টোল প্লাজা ভাঙচুর, বাসে আগুন, পুলিশের গাড়িতে হামলা, পুলিশ চৌকিতে আগুন দেয়। পুলিশ ও বাংলাদেশ সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিজিবি এবং র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়নের জওয়ানদের সঙ্গে তাদের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। সন্ধ্যায় ঢাকার রামপুরায় বাংলাদেশের সরকারি টেলিভিশন চ্যানেল বাংলাদেশ টেলিভিশন বা বি-টিভির সদর দফতরে ঢুকে পড়ে আন্দোলনকারীরা। সেখানে পার্ক করা সব গাড়িতে আগুন দেওয়ার পাশাপাশি ভবন লক্ষ্য করে আগুনের গোলা ছোড়ে তারা। তাতে ভবনের বড় অংশে আগুন লেগে যায়। ভবনের ভিতর আটকে পড়েন বি-টিভির কর্মীরা। তারা দমকলকে খবর দিলেও পথ অবরোধের কারণে দীর্ঘ সময় অগ্নিনির্বাপণ বাহিনী আসতে পারেনি। আগুনে টেলিভিশন চ্যানেলের অনেকটা অংশ ভস্মীভূত হয়ে বিকল হয়ে যায়। দেশের বিভিন্ন জায়গায় সহিংসতা বন্ধ করে আন্দোলনকারীদের মতবিনিময়ের আহ্বান জানিয়ে জাতীর উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

জুলাই ১৯, ২০২৪
বিদেশ

মৈত্রী এক্সপ্রেস ও বন্ধন এক্সপ্রেস সাময়িক বাতিল, জানাল রেল দফতর

বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের অনুরোধে বাংলাদেশে ঈদ-উল-আধহা উদযাপন উপলক্ষে নিম্নলিখিত পরিষেবাগুলি সাময়িকভাবে বাতিল থাকবে। জানিয়েছে পূর্ব রেলওয়ে- 13109/13110 কলকাতা-ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট - কলকাতা মৈত্রী এক্সপ্রেস, 13107/13108 ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট -কলকাতা-ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট মৈত্রী এক্সপ্রেস এবং 13129/13130 কলকাতা-খুলনা-কলকাতা বন্ধন এক্সপ্রেস ।* 13107 ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট কলকাতা মৈত্রী এক্সপ্রেস (যাত্রা শুরু 14.06.2024, 16.06.2024, 18.06.2024 এবং 21.06.2024)* 13110 ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট কলকাতা মৈত্রী এক্সপ্রেস (যাত্রা শুরু 15.06.2024, 19.06.2024 এবং 22.06.2024 তারিখে)* 13108 কলকাতা ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট মৈত্রী এক্সপ্রেস (যাত্রা শুরু 15.06.2024, 17.06.2024, 19.06.2024 এবং 22.06.2024 তারিখে)* 13109 কলকাতা ক্যান্টনমেন্ট মৈত্রী এক্সপ্রেস (যাত্রা শুরু 14.06.2024, 18.06.2024 এবং 21.06.2024 তারিখে)* 13129 কলকাতা - খুলনা বন্ধন এক্সপ্রেস (যাত্রা শুরু 16.06.2024 এবং 20.06.2024 তারিখে)* 13130 খুলনা - কলকাতা বন্ধন এক্সপ্রেস (যাত্রা শুরু 16.06.2024 এবং 20.06.2024 তারিখে)

জুন ১০, ২০২৪
রাজ্য

রেমাল নামের অর্থ কি? কেন প্রক্রিয়ায় হয় এই নামকরণ?

ঘূর্ণিঝড়কে চিহ্নিত করার জন্য চালু হয়েছিল নামকরণের প্রথা। এই নামের সাহায্যে সাধারণ মানুষ ছাড়াও, বিজ্ঞানী, মিডিয়া, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার কাজে যুক্ত ব্যক্তিরাও ঘূর্ণিঝড়কে চিহ্নিত করতে পারে। নতুন নামই বুঝিয়ে দেয়, এটা আলাদা ঘূর্ণিঝড়। এব্যাপারে সচেতনতা বাড়াতে, প্রস্তুতি নিতে, বিভ্রান্তি দূর করতে নয়া নাম কাজে লাগে। কোনও অঞ্চলের সাইক্লোনিক সিস্টেমই হল ঘূর্ণিঝড়। বিশ্বের সমস্ত জায়গায় গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঝড়ের একইভাবে নামকরণের রীতি চালু আছে।রেমাল নামের অর্থ কি? আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় রেমাল রবিবার (২৬ মে) মধ্যরাতে পশ্চিমবঙ্গের সাগর দ্বীপ এবং বাংলাদেশের খেপুপাড়ার মধ্যে আছড়ে পড়বে। চলতি বছরে বঙ্গোপসাগরে এটিই হবে প্রথম প্রাক-মৌসুমি ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড়। আরবি ভাষায় রেমাল নামের অর্থ- বালি। নামকরণ করেছে ওমান। গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণের আদর্শ নিয়ম অনুসারে এই নাম বেছে নেওয়া হয়েছে।এবার ওমান কেন বেছে নিল?কিন্তু, ওমান কেন বঙ্গোপসাগরের ঘূর্ণিঝড়ের নাম বেছে নেবে? এই প্রশ্নও উঠেছে। আসলে বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা- ডব্লিউএমও (WMO)-এর সদস্য ১৮৫টি দেশ। এটি রাষ্ট্রসংঘের সংস্থা। পাশাপাশি রয়েছে এশিয়া এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের জন্য অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশন-এসক্যাপ (ESCAP)। এই সংস্থা রাষ্ট্রসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদের অধীনে থাকা একটি আঞ্চলিক কমিশন। যা এশিয়ায় অর্থনৈতিক কার্যকলাপ বৃদ্ধির জন্য তৈরি হয়েছে। ওমান যার সদস্য।ঘূর্ণিঝড়ের নাম আদৌ কেন?ঘূর্ণিঝড়ের নাম গ্রহণ করা মানুষের পক্ষে মনে রাখা সহজ, সংখ্যা এবং প্রযুক্তিগত পদের বিপরীতে। সাধারণ জনগণ ছাড়াও, বৈজ্ঞানিক সম্প্রদায়, মিডিয়া, দুর্যোগ ব্যবস্থাপক ইত্যাদিকেও এই নামকরণ সাহায্য করে। একটি নাম দিয়ে, এটি স্বতন্ত্র ঘূর্ণিঝড় শনাক্ত করা, এর উন্নয়ন সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করা, সম্প্রদায়ের প্রস্তুতি বাড়াতে এবং বিভ্রান্তি দূর করার জন্য দ্রুত সতর্কবার্তা প্রচার করা সহজ।২০০০ সালে ওমানের মাস্কাটে অনুষ্ঠিত হয়, পিটিসির ২৭তম অধিবেশন। পিটিসি বঙ্গোপসাগর এবং আরব সাগরে গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঘূর্ণিঝড়ের নাম ঠিক করতে রাজি হয়। প্যানেলের প্রতিটি দেশ তাদের সুপারিশ পাঠানোর পর, পিটিসি তার তালিকা তৈরি করে। আর, ২০০৪ সালে এই অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ শুরু করে। পিটিসি ২০১৮ সালে, ইরান, কাতার, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি এবং ইয়েমেনকেও তাদের সংগঠনভুক্ত করেছে। ২০২০ সালের এপ্রিলে, ১৬৯টি ঘূর্ণিঝড়ের নামের তালিকা প্রকাশিত হয়েছিল। সদস্য ১৩টি দেশের প্রত্যেক সদস্য ১৩টি করে পরামর্শ দিয়েছিল। সেই তালিকা থেকেই বর্তমানে ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করা হচ্ছে।কোন দেশে এই ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয়েছে, বা আছড়ে পড়বে নামকরণের ক্ষেত্রে তা বিবেচনা করা হয় না। বরং, দেশগুলোর পরপর নাম অনুযায়ী, ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষেত্রে তা ব্যবহার করা হয়। যেমন, ঘূর্ণিঝড় নিসর্গ-র নাম দিয়েছিল বাংলাদেশ। আছড়ে পড়েছিল মহারাষ্ট্রে। ভারত নাম দিয়েছিল গতি। আছড়ে পড়েছিল সোমালিয়াতে। ইরান নাম দিয়েছিল নিভার। আছড়ে পড়েছিল তামিলনাড়ুতে।

মে ২৬, ২০২৪
বিদেশ

নিউ টাউনে খুন বাংলাদেশের এমপি আনোয়ার উল আজিম

গত ১২ তারিখ কলকাতায় আসে চিকিৎসার জন্য। এরপর সেখান থেকে নিউ টাউন এর একটি বিলাসবহুল আবাসনে ফ্ল্যাট ভাড়া নেন তারপর থেকেই নিখোঁজ হয়ে যায়। বাড়ির লোক বারংবার ফোন করলেও যোগাযোগ করতে পারেনি। এরপরই বাংলাদেশ মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা বিভাগে লিখিত অভিযোগ জানানো হয় পরিবারের পক্ষ থেকে। এরপরই আনোয়ার উল আজিম দেহ উদ্ধার হয় নিউটাউনের বিলাসবহুল আবাসন থেকে।পুলিশ সূত্রে খবর, খুলনার ঝিনাইদহ এলাকার চার আসনের এমপি আনোয়ার উল আজিম। তিনি যখন নিউটাউনের বিলাসবহুল আবাসনে ওঠেন তার সঙ্গে ছিল একজন মহিলা সঙ্গী সহ বেশ কয়েকজন। তবে কারা খুন করল, কেনই বা খুন করল এখনো পর্যন্ত স্পষ্ট নয়। ইতিমধ্যে নিউটাউন থানার পুলিশ এবং বিধান নগর গোয়েন্দা শাখার পুলিশ ও এইচডিএফ আধিকারিকেরা তদন্তে নেমেছে। খতিয়ে দেখা হচ্ছে আবাসনে সিসিটিভি ফুটেজ।

মে ২২, ২০২৪
রাজ্য

দিল্লি থেকে ট্রেনে হাওড়া এসে বাংলাদেশ, দেশে ফিরতেই লক্ষ লক্ষ টাকার নকল নোটসহ গ্রেফতার

বর্ডার পোস্ট রামনগর, দক্ষিণ বঙ্গ সীমান্তের ০৮ ব্যাটালিয়নের সতর্ক বিএসএফ জওয়ানরা, আন্তর্জাতিক সীমান্তে জাল ভারতীয় মুদ্রা পাচারের প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দেয়। ৫০০ টাকা মূল্যের ভারতীয় মুদ্রার ৩১০০ পিস আটক করেছে। একজন ভারতীয় ব্যবসায়ীর সাথে এই জাল ভারতীয় মুদ্রা বাংলাদেশ থেকে ভারতে পাচারের চেষ্টা করার সময় কারেন্সি নোটগুলোকে হাতেনাতে আটক করা হয়। বিএসএফ-এর গোয়েন্দা বিভাগের সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে, বর্ডার পোস্ট রামনগরের বিএসএফ জওয়ানরা ১৫,৫০,০০০/- (মূল্য ৫০০৩১০০ পিস) মূল্যের ভারতীয় জাল নোট উদ্ধার করে। যার মধ্যে নোট নম্বর 8FK-986918, নোট নম্বর 8FK-এর ৭৭৯ টি নোট রয়েছে। - 986916-এর ৭৮০ টি নোট, 8FK-986913-এর ৭৭৩ টি এবং 8FK-986933-এর ৭৬৮ টি নোট রয়েছে।বিএসএফ-এর মুখপাত্রের মতে, ০৮ ব্যাটালিয়নের সীমান্ত চৌকি রামনগরের সতর্ক বিএসএফ জওয়ানরা নিজেদের গোয়েন্দা বিভাগ থেকে জাল ভারতীয় মুদ্রার সম্ভাব্য পাচার সম্পর্কে খবর পান। খবর পেয়ে সৈন্যরা একটি বিশেষ অভিযান শুরু করে এবং তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করে এবং রামনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের কাছে একটি মোবাইল চেকপোস্ট স্থাপন করে। গোয়েন্দা অধিদপ্তরের তথ্যের ভিত্তিতে একটি সন্দেহজনক অটোকে থামিয়ে তাতে বসা সমস্ত ব্যক্তিকে যথাযথভাবে চেক করা হয়, চেকিংয়ের সময় তাদের কাছে কিছু সন্দেহজনক প্যাকেট পাওয়া যায় যার কারণে অটোটি এবং এতে বসা সকল ব্যক্তিকেও আটক করা হয়। সীমান্ত চৌকি রামনগরে আটক করা হয়। এটি তল্লাশির জন্য আনা হয় এবং মালপত্রের পুঙ্খানুপুঙ্খ তল্লাশির সময় মোহাম্মদ আলীর ব্যাগে সন্দেহজনক প্যাকেট পাওয়া যায়, যা খুললে বিপুল পরিমাণ জাল ৫০০ টাকার নোট উদ্ধার করা হয়। গণনার ভিত্তিতে তাদের সংখ্যা ৩১০০ পাওয়া গেছে। এরপর জাল ভারতীয় মুদ্রা বাজেয়াপ্ত করে পাচারকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়। ধৃত পাচারকারী মোহাম্মদ আলী, পিতা- শেখ সামশুল হক, ঠিকানা- হযরত নিজামুদ্দিন, নয়াদিল্লি।জিজ্ঞাসাবাদে মোহাম্মদ আলী জানায়, বাংলাদেশে কিছু অবৈধ কাজ করার জন্য বদরপুর (নয়া দিল্লি) থেকে অজ্ঞাত কয়েকজন তার সাথে যোগাযোগ করেছিল। যার জন্য সে রাজি হয়েছিল। তিনি ১৩.০৩.২০২৪ তারিখে ট্রেনে করে হাওড়া পৌঁছান এবং বনগাঁ থেকে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশের যশোরে পৌঁছান। সেখানে তিনি শান্তি নামে এক বাংলাদেশী পাচারকারীর সাথে দেখা করেন যিনি তাকে ১৫,৫০,০০০/- টাকার জাল মুদ্রা দেন এবং ভারতে পৌঁছানোর পর আব্বাস নামে একজন ব্যক্তির কাছে চালানটি হস্তান্তর করতে বলেন।২০২৪ সালের ২১-২২ মার্চ মধ্যরাতে তিনি একটি অজানা এলাকা থেকে সীমান্ত অতিক্রম করে উমরপুর, পিএস-হাঁসখালীতে এক অজ্ঞাত ব্যক্তির বাড়িতে থাকেন এবং সকালে চালানটি নিয়ে যাওয়ার সময় বিএসএফ তাকে নকল ভারতীয়সহ ধরে ফেলে। মুদ্রা ছাড়া একই অটো থেকে চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত সন্দেহভাজন দালাল ও অটো চালককেও আটক করা হয়েছে।এ কে আর্য, বিএসএফ দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের জনসংযোগ আধিকারিক, এই সাফল্যে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, এটি তার সৈন্যদের এবং দায়িত্বে থাকা গোয়েন্দা বিভাগের সতর্কতার একটি ইঙ্গিত মাত্র। তিনি জনগণকে কোনও অবস্থাতেই চোরাচালানের পথ অবলম্বন না করার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি কড়া ভাষায় বলেন, তার সৈন্যরা কোনও অবস্থাতেই সীমান্তে চোরাচালান বা অন্য কোনও ধরনের অপরাধ সংঘটিত হতে দেবে না এবং এর সঙ্গে জড়িতদের রেহাই দেবে না।

মার্চ ২৩, ২০২৪
রাজ্য

বর্ধমানের বর ও বাংলাদেশের কনে, কাঁটাতার টপকে ঘর বেঁধেও হল না শেষরক্ষা

কথায় আছে বর্ধমানের বর আর বরিশালের কনে। এই জুটি ছিল নাকি সেরা জুটি। সোশাল মিডিয়ার বদান্যতায় জোরালো হয়েছে প্রেমের বাঁধন। দালাল চক্র ধরে কাঁটাতার পেরিয়ে বর্ধমানে এসে প্রেমিকের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন বাংলাদেশের প্রেমিকা। কিন্তু দুজনেই এখন শ্রীঘরে। অভিযোগ, বেআইনি ভাবে এদেশে এসেছেন প্রেমিকা নূরতাজ আক্তার মিম।প্রেমিকের টানে কাঁটাতার টপকে অবৈধ ভাবে ভারতে অনুপ্রবেশ করে বিয়েটাও সেরে ফেলেছিল পড়শি দেশের প্রেমিকা। কিন্তু সংসার আর জমে উঠল না। অভিযোগের পরিপেক্ষিতে বর্ধমান থানার পুলিশ প্রেমিক ও প্রেমিকা দুজনকেই গ্রেপ্তার করেছে। ধৃত প্রেমিকা নূরতাজ আক্তার মিম। আর প্রেমিক বর্ধমান শহরের তেঁতুলতলা এলাকার যুবক শেখ সামিম।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর ১৮-এর প্রেমিকা নূরতাজ আক্তার মিমের বাড়ি বাংলাদেশের নারায়নগঞ্জ জেলার এনায়েতনগরে। বর্ধমানের তেঁতুলতলার ২২ বছরের যুবক শেখ সামিমের সঙ্গে ফেসবুকের বন্ধুত্বের সম্পর্ক প্রেমের সম্পর্ক রূপ নেয়। তারপর থেকেই প্রেমিকের টানে ভারতে আসার জন্য ব্যাকুল হয়ে ওঠে নূরতাজ। মাস তিনেক আগে বাংলাদেশের এনায়েতনগর থেকে বনগাঁ বর্ডার পৌছে যায় অষ্টাদশি নূরতাজ। দালাল ধরে এর পর সে অবৈধ ভাবে বর্ডার পার হয়ে ভারতে অনুপ্রবেশ করে। অভিযোগ, এই কাজেও নাকি তাঁকে সাহায্য করে প্রেমিক সামিম। বর্ডার টপকেই নূরতাজ তাঁর প্রেমিকের সঙ্গে বর্ধমানের উদ্দশ্যে রওনা হয়। তেঁতুলতলায় প্রেমিকের বাড়িতেই সে ওঠে। সেখানে মুসলিম শরিয়ত অনুযায়ী তাঁরা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। কিন্তু আইনের গেরোয় তাঁদের সংসারে আপাতত ছেদ পড়েছে।এদিন দুজনকে বর্ধমান আদালতে পেশ করা হলে বিচারক দুজনের জামিন নামাঞ্জুর করে জেল হেপাজতে পাঠিয়ে দেয়। ১ জুলাই ফের আদালতে পেশের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।

জুন ২৬, ২০২৩
রাজ্য

বর্ধমানে জাল নোটের কারবারীর ডেরাতে বাংলাদেশের বই উদ্ধার, এনআইএ তদন্তের দাবী বিজেপির

সাত বছর আগে বর্ধমানের খাগড়াগড়ে ঘটা বিস্ফোরণ কাণ্ডে দুই জেএমবি জঙ্গী নিহত হওয়ার পরেই মিলেছিল বাংলাদেশ যোগ। সেই খাগড়াগড়ে যে জালনোট তৈরির কারখানা চলছিল তার পিছনেও কি বাংলাদেশ যোগ রয়েছে? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পেতে জাল নোট কাণ্ডে ধৃতদের নেওয়া খাগড়াগড়ের ভাড়া বাড়িতে শনিবার রাত থেকে রবিবার সারাটা দিন অনুসন্ধান চালিয়ে যায় এসটিএফ। উত্তর এখনও স্পষ্ট না হলেও ধৃতদের ভাড়া নেওয়া বাড়ি থেকে বাংলাদেশের একটি বই উদ্ধার হওয়ায় বাংলাদেশ যোগের জল্পনা জোরালো হয়েছে। তা জানার পরেই ঘটনার এনআইএ তদন্তের দাবীতে স্বোচ্চার হয়েছে বিজেপি। তবে এসটিএফের অনুসন্ধানে শেষ পর্যন্ত কি উঠে আসে সেদিকেই এখন তাকিয়ে বর্ধমানবাসী।বর্ধমানের খাগড়াগড়ের নাম প্রথম খবরের শিরোনামে আসে ২০১৪ তে। ওই বছরের ২ অক্টোবর খাগড়াগড়ে ঘটে ভয়াবহ বিস্ফোরণ কাণ্ড। সে বিস্ফোরণে নিহত হন দুই জেএমবি জঙ্গী শাকিল গাজী ও করিম শেখ। জখম হন আরো একজন। ঘটনা নিয়ে এনআইএ তদন্তে নামার পরেই প্রকাশ্যে আসে বাংলাদেশের নিষিদ্ধ জঙ্গী জামাতুল মুজাহিদীনের (জেএমবি) সদস্য। খাগড়াগড়ে বাড়ি ভাড়া নিয়ে সেখান থেকেই তারা জেহাদি কাজকর্ম চালাচ্ছিল। এনআইএ-র তদন্তে এই তথ্য উঠে আসায় দেশ জুড়ে শোরগোল পড়ে যায়। সেই ঘটনার পর সাত বছর কাটতে না কাটতে এবার জাল নোটের কারবারের পর্দা ফাঁস ঘিরে এখন সরগরম খাগড়াগড়।বর্ধমান থানার পুলিশ গত বৃহস্পতিবার গোপন সূত্রে খবর পেয়ে খাগড়াগড়ের পূর্ব মাঠপাড়ার সিরাজুল ইসলামের বাড়িতে হানা দেয়। তাঁর বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকা ব্যক্তিদের ঘরেই মেলে জাল (নকল) নোট তৈরির কারখানার। উদ্ধার হয় জাল নোট ছাপার মেশিন ও অন্যান্য সরঞ্জাম, জাল ১২ হাজার ৫০০ টাকার নোট, নোট তৈরীর ডাইস, পাউডার ও কেমিক্যাল। জাল নোট তৈরির কারবারে জড়িত থাকার অভিযোগে ওইদিনই ওই বাড়ি থেকে পুলিশ গোপাল সিং, বিপুল সরকার ও দীপঙ্কর চক্রবর্তীকে গ্রেপ্তার করে।বাংলাদেশী বই উদ্ধারধৃতদের মধ্যে দীপঙ্কর দক্ষিণ ২৪ পরগনায় বাসিন্দা হলেও বাকী দুই ধৃত গোপাল সিং এবং বিপুল সরকার বর্ধমান শহরের বাসিন্দা বলে পুলিশ জানতে পারে। পরদিন ধৃতদের বর্ধমান আদালতে পেশ করে পুলিশ নিজেদের হেপাজতে নিয়েছে। জাল নোটের কারবারী চক্রের জাল কতদূর বিস্তৃত রয়েছে এবং চক্রে আর কারা কারা যুক্ত রয়েছে তা জানার জন্যে পুলিশ হেপাজতে নেওয়া ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ চালায় পুলিশ। ঘটনা নিয়ে খোঁজ খবর নিতে সিআইডি আসরে নামে। পরে শনিবার রাত থেকে অনুসন্ধান চালিয়ে যাচ্ছে রাজ্য পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স অর্থাৎ এসটিএফ। একের পর এক অপরাধ মূলক কাজে খাগড়াগড়ের নাম জড়িয়ে যাওয়ায় অসন্তুষ্ট খাগড়াগড়ের স্থায়ী বাসিন্দারা। তাঁদের বক্তব্য, ভাড়াটিয়াদের জন্যেই বদনাম হচ্ছে খাগড়াগড়বাসীর। এবার থেকে ভাড়াটিয়াদের ব্যাপারে সমস্ত খাগড়াগড়বাসী যাতে সতর্ক হয় সেই ব্যাপারে পুলিশের সঙ্গে আলোচনায় ভাবনাচিন্তা করছে করছে এলাকার বাসিন্দারা।এরই মধ্যে জেলা বিজেপি নেতারা আবার খাগড়াগড়ে জাল নোট তৈরির কারখানা চলার বিষয়টি নিয়ে এনআইএ তদন্তের দাবী তুলে সরব হয়েছেন। পাশাপাশি মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্র নামে বর্ধমানের এক বিজেপি নেতা সামাজিক মাধ্যমে একটি ছবি পোস্ট করে দাবি করেছেন জাল নোটের কারবারী গোপাল সিং বর্ধমানের তৃণমূল নেতাদের ঘনিষ্ট। ভাইরাল হওয়া ওই ছবিতে দেখা যাচ্ছে বর্ধমান শহরের ১২ নম্বর ওয়ার্ডে একটি খো খো খেলার মঞ্চে থাকা চেয়ারে বসে রয়েছেন বর্ধমানের প্রভাবশালী তৃণমূল নেতারা। আর ওইসব নেতাদের পাশেই একই মঞ্চে দাঁড়িয়ে রয়েছেন এক ব্যক্তি। তাঁকেই জালনোটের কারবারী চক্রের মূল পাণ্ডা গোপাল সিং বলে দাবী করা হয়েছে। ছবিতে দেখা যাচ্ছে জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস, বিডিএর ভাইস চেয়ারম্যান আইনুল হক ও জেলা তৃণমূল যুব কংগ্রেসের প্রাক্তন যুবসভাপতি রাসবিহারী হালদারের পাশে আছে ধৃত গোপাল সিং ভাইরাল হওয়া এই ছবি নিয়েই এখন সরগরম বর্ধমানের রাজনৈতিক মহল।জেলা বিজেপি নেতা মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্র দাবী করেছেন,খাগড়াগড়ে বিস্ফোরণ কাণ্ডেও তৃণমূলের যোগ পাওয়া গিয়েছিল। সেই খাগড়াগড়ে ফের জাল নোটের কারবারের হদিশ উদ্ধারের পর থেকেই একই ভাবে তৃণমূলের যোগ থাকার আশংকা তৈরি হয়েছিল। তৃণমূলের প্রভাবশালী নেতাদের সঙ্গে একই মঞ্চে জাল নোটের কারবারের মূল চক্রী গোপাল সিং এর দাঁড়িয়ে থাকায় ছবি সেই আশঙ্কাকেই সত্যি করে তুলেছে। পাশাপাশি তিনি এনআইএ কে দিয়েই খাগড়াগড়ের জাল নোট কারবারের তদন্ত করানোর দাবী তুলেছেন।যদিও তৃণমূল কংগ্রেসের জেলার মুখপত্র প্রসেনজিৎ দাস বলেন, এখন সবই তৃণমূল। সুতরাং খেলার মাঠে আমাদের পাশে কে দাঁড়িয়ে থাকবে তা জানার কথা নয়। মিথ্যা অভিযোগ করাই বিজেপির কাজ। পুলিশ তদন্ত করছে। সব সত্যি বের হবে তৃণমূলের বদনাম করতে বিজেপি নেতারা এইসব করছে। তা নিয়ে থানায় অভিযোগ জানানো হয়েছে পুলিশ তদন্ত করছে। সব সত্যি সামনে আসবে বলে প্রসেনজিৎ বাবু জানিয়েছেন।বদনামের ভাগিদার হল খাগড়াগড়। এইসব নিয়ে এলাকাবাষীয় যথেষ্ট আতঙ্কিত হয়ে রয়েছেন। ধৃতদের কড়া শাস্তির দাবী করেছেন খাগড়াগড়ের আদি বাসিন্দারা। ধৃত গোপাল সিং এর বাড়ির পরিচারিকা জানান, পুলিশ এসে বাড়ি থেকে দুটি সাদা কাগজ ভর্তি ব্যাগ নিয়ে গেছে।

মে ২৩, ২০২২
খেলার দুনিয়া

এএফসি কাপে এটিকে মোহনবাগানকে চরম সমস্যায় ফেলতে পারে এই ক্লাবটি

এবছর এএফসি কাপের মূলপর্বে এটিকে মোহনবাগানের সঙ্গে গ্রুপ ডিতে রয়েছে বাংলাদেশের প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংস, ধিবেহী প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়ন মালদ্বীপের মাজিয়া স্পোর্টস রিক্রিয়েশন ক্লাব এবং গতবছর আই লিগ চ্যাম্পিয়ন দল মাজিয়া। ১৮ মে থেকে কলকাতার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে শুরু হবে গ্রুপ ডির ম্যাচ। এই গ্রুপে এটিকে মোহনবাগানকে চরম সমস্যায় ফেলতে পারে বাংলাদেশের বসুন্ধরা কিংস। ২১ মে এটিকে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে খেলবে বসুন্ধরা।গত মাসেই এএফসি কাপের প্লে অফে বাংলাদেশের বসুন্ধরা কিংসের বিরুদ্ধে মাঠে নেমেছিল এটিকে মোহনবাগান। সেই ম্যাচে দারুণ জয় তুলে নিয়েছিল জুয়ান ফেরান্দোর ছেলেরা। কিন্তু এএফসি কাপের মূলপর্বে গ্রুপ ডির ম্যাচে বসুন্ধরার বিরুদ্ধে এবার লড়াইটা সহজ হবে না। এবছর বাংলাদেশের প্রিমিয়ার লিগের শীর্ষে রয়েছে বসুন্ধরা কিংস। লিগে দুর্দান্ত পারফরমেন্স করছে অস্কার ব্রুজোনের ফুটবলাররা। এএফসি কাপের মূলপর্ব আপাতত তাদের পাখির চোখ। সেই লক্ষ্যে আবাসিক শিবির করে আধুনিক পরিকাঠামোর সুবিধা নিয়ে বিশেষ প্রস্তুতি সারছে বসুন্ধরা কিংস।এএফসি কাপের মূলপর্বে এটিকে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে বসুন্ধরা কিংসের যে দল খেলেছিল, সেই দলে বেশ কয়েকটা পরিবর্তন করেছে। এএফসি কাপের জন্য গতমাসে বসুন্ধরাতে যোগ দিয়েছেন ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার মিগুয়েল ফেরেইরা ও জাম্বিয়ার স্ট্রাইকার নুহা মারোং। এছাড়া কদিন আগেই বসুন্ধরা কিংস সই করিয়েছে ম্যাথু চিনোডোকে। বাংলাদেশ লিগে প্রথম পর্বে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের হয়ে হ্যাটট্রিকসহ ৭ গোল করেছিলেন এই নাইজেরিয়ান স্ট্রাইকার। হাঁটুর চোটের জন্য মাঝে তিনি মাঠে নামতে পারেননি। চোট সারিয়ে ফিরলেও ধানমন্ডি তাঁকে আর দলে রাখেনি। এই নাইজেরিয়ান স্ট্রাইকার বসুন্ধরাতে যোগ দিয়েছেন।ইতিমধ্যেই বসুন্ধরার হয়ে দারুণ পারফর্ম করছেন ব্রাজিলীয় উইঙ্গার রবসন রবিনহো ও ইরানীয় ডিফেন্ডার খালেদ শাফিয়েই। চলতি বাংলাদেশ লিগে ১১টি গোল করেছেন বসুন্ধরা কিংস অধিনায়ক রবিনহো। এছাড়া গোলের মধ্যে রয়েছে নয়া মারোং ও মিগুয়েলও। মাত্র তিনটি ম্যাচ খেলে তিনটি গোল করেছেন ব্রাজিলিয়ান মিগুয়েল। তবে বসুন্ধরার কাছে স্বস্তির খবর হল এলিটা কিংসলেকে পাওয়া। তিনি বাংলাদেশী হয়েই মাঠে নামতে পারবেন। নাইজেরীয় বংশোদ্ভূত এলিটা গত বছর বাংলাদেশের নাগরিকত্ব পেয়েছেন। গতবছরের মার্চে নাগরিকত্ব পেলেও বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার জন্য ফিফা ও এএফসি থেকে ছাড়পত্র মিলছিল না কিংসলের। অবশেষে মিলেছে ছাড়পত্র। এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন্স (এএফসি) থেকে জানানো হয়েছে, বসুন্ধরা কিংসের হয়ে এএফসি কাপে খেলতে পারবেন তিনি। এরইমধ্যে এএফসি কাপের জন্য এলিটা কিংসলের রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করেছে বসুন্ধরা কিংস।

মে ১০, ২০২২
দেশ

বাংলাদেশ স্বাধীনতা যুদ্ধের আঁতুরঘর ছিল শচীন্দ্রলালের বাড়ি, সেখানেই থাকতেন বঙ্গবন্ধু

বাংলাদেশ স্বাধীনতা যুদ্ধের আঁতুরঘর ছিল ত্রিপুরা কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠাতা শচীন্দ্রলাল সিংয়ের বাড়ি, অরুন্ধতি নগরের বাড়িতে থাকতেন বঙ্গবন্ধু মুজিবর রহমান এবং রাতে শচীনবাবুর সরকারি বাসভবনে থাকতেন। মুজিব ও তাঁর সহকারীদের রান্না করে খাওয়াতেন শচীন্দ্রলালে-র ভগিনী হেমাঙ্গিনী সিং। শচীন্দ্রলাল এখনও ত্রিপুরার মানুষের মনে গেঁথে রয়েছেন। উন্নয়নের কান্ডারী টানা ২৪ বছরের মুখ্যমন্ত্রী শচীন্দ্রলাল সিং জন্মসুত্রে ভিন রাজ্যের হলেও, কার্যত তিনি ত্রিপুরার ভূমিপুত্রই। ত্রিপুরার রূপকার বললে অত্য়ুক্তি হবে না।বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের নায়ক মুজিবর রহমান। যিনি বঙ্গবন্ধু নামে অধীক পরিচিত। আর বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে এদেশের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর ভূমিকাও দেশবাসী অবগত রয়েছেন। পাকিস্তান ভেঙে নতুন দেশ গঠন না হলে এখন হয়তো অন্য ইতিহাস লেখা হত। কিন্তু একজনের কথা দেশবাসীকে স্মরণ করতেই হবে, তিনি হলেন ত্রিপুরার প্রথম মুখ্যমন্ত্রী তথা টানা ২৪ বছর প্রশাসনিক প্রধান শচীন্দ্রলাল সিং। স্বাধীন বাংলাদেশ গঠনে তাঁর ভূমিকা অনস্বীকার্য। বাংলাদেশ যুদ্ধের সময় মুজিবর রহমানের এদেশের ঘর ছিল শচীন্দ্রলালবাবুর বাড়ি। সেখানে থেকে যাবতীয় পরকল্পনা রচিত হত। তাছাড়া ত্রিপুরার উন্নয়নের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে যুক্ত শচীন্দ্রলাল সিং।স্বাধীনতা সংগ্রামী হওয়ার কারণে শচীন্দ্রলাল সিং ১৭ বছর ব্রিটিশ জেলে কাটিয়েছেন। ভারত সরকার স্বাধীনতা সংগ্রামে বিশেষ ভুমিকার জন্য ৯৭ জন স্বাধীনতা সংগ্রামীর নাম ঘোষণা করেছে। সেই তালিকায় ই এম এস নাম্বুদিরিপাদ, অতুল্য ঘোষ, গোপিনাথ বড়দলুই, হরেকৃষ্ণ মহাতাব, প্রফুল্ল্য সেনেদের সাথে শচীন্দ্রলাল সিংও ছিলেন। তিনি স্বাধীনতা সংগ্রামী পেনসান কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন।শচীন্দ্রলাল সিং যখন মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন তখন ত্রিগুনা সেনকে রাজ্যসভার সাংসদ করেছিলেন ত্রিপুরা থেকে। ওনার সঙ্গে ত্রিগুনা সেনের কথা ছিল কেন্দ্রে মন্ত্রী হলে ওএনজিসি দেবেন। ত্রিগুনা সেনের ঠিকানা ছিল মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি। ওই ডিমান্ড ফুলফিল করেছিলেন ত্রিগুনা সেন। শচীন্দ্রলাল সিংয়ের আমলেই রাজ্যে গোবিন্দ বল্লভ হাসপাতাল হয়েছিল। তারপর ত্রিপুরায় বড় কোনও হাসপাতাল হয়নি। পাওয়ার প্রোজেক্ট, ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ কী হয়নি তখন পরশি রাজ্যে।বাংলাদেশ যুদ্ধের সময় সব থেকে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছিলেন শচীন্দ্রলাল সিং। বাংলাদেশ স্বাধীন হয় তখন জেল থেকে বেরিয়ে শচীন্দ্রলাল সিংকে বাংলাদেশের ঢাকায় নিয়ে যান মুজিবর রহমান। সেখানে রেড কার্পেটে তাঁকে স্বাগত জানানোর পাশাপাশি গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। মুজিবর রহমান শচীনবাবুর জন্য চেয়ার ছেড়ে দেন। তখন শচীনবাবু বলেছিলেন, এটা হয় না, আপনি বসুন। শচীন্দ্রলাল বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের একজন অন্য়তম হোতা। মুজিবর রহমানের সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করেছেন। শচীন্দ্রলালবাবুর ছোট ছেলে ঢাকায় গিয়েছিলেন। বাবার সৌজন্যে তাঁকে সোনার নৌকা দিয়ে সংবর্ধনা দিয়েছিল বাংলাদেশ সরকার। একসময় কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ছিল ত্রিপুরা, রাজ্য গঠন করার ক্ষেত্রেও অগ্রনী ভূমিকা ছিল শচীন্দ্রলাল সিংয়ের। মুখ্যমন্ত্রী হয়ে দাবি করেছিলেন রেললাইন চাই, ধর্মনগর অবধি সেই রেললাইন স্থাপিত হয়। ১৯৭৭ এ যখন তিনি সাংসদ হন সে সময় তৎকালীন রেলমন্ত্রী মধু দণ্ডবতকে অনশন করার হুমকি দিয়ে বলেছিলেন ধর্মনগর থেকে আগরতলা রেললাইন করতে হবে। যেদিন সংসদ ভবনের সামনে অনশনে বসার কথা, সেদিন সকালে মধু দন্ডবতে তাঁর দিল্লী বাসভবনে এসে সরকারের অর্থিক সমস্যার কথা জানিয়ে বলেন আপাতত কুমারঘাট অবধি রেললাইন দেওয়া হচ্ছে, পড়ে ওটা বর্ধিত করা হবে।শচীন্দ্রলাল সিং খেলার প্রসারের জন্য স্টেডিয়াম করেছিলেন। উদ্বোধন করতে গিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ড. প্রতাপচন্দ্র চন্দ্র। মহারাণী কাঞ্চনপ্রভাদেবী বনমালীপুরে একটি বাড়ি দিয়েছিলেন ত্রিপুরার জনপ্রিয় মুখ্যমন্ত্রী শচীনবাবুকে বসবাস করার জন্য। ত্রিপুরার রূপকার শচীন্দ্রলাল খোঁজ নিয়ে জানলেন ত্রিপুরাতে কোনও মহিলা কলেজ নেই। তিনি মহিলাদের শিক্ষাপ্রসারের জন্য সেই বাড়ি দান করে দেন কলেজ করার জন্য। এখন সেখানে স্থাপিত হয়েছে আগরতলা উইমেন্স কলেজ। শচীনবাবুর প্রধান সহযোগীদের মধ্যে উল্লেখ্যগয় হলেন তসলাম ফা, ওয়াজেদ আলি, মনসুর আলি, চক্র ফা, বুলু কুকি, কৃষ্ণদাস ভট্টাচার্য। এই কৃষ্ণদাস তাঁর মন্ত্রী সভায় অর্থ মন্ত্রী ছিলেন।২০১২-এর ২৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু অন্তর্জাতিক সন্মেলন কেন্দ্র, ঢাকাতে তৎকালীন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অনন্যসাধারণ অবদানের জন্য বাঙালি জাতির শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতার নিদর্শনস্বরূপ মরণোত্তর মুক্তিযুদ্ধ মৈত্রী সন্মাননা তাঁকে প্রদান করেন।মুজিবর রহমান মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতেই থাকতেন লালবাহাদুর শাস্ত্রী, জহরলাল নেহরুর সময় থেকেই। ১৯৭১ ১লা নভেম্বর সারাদিন বিভিন্ন রিফিউজি ক্যাম্প ঘুরে দেখেন সিদ্ধার্থ শঙ্কর রায় ও শচীন্দ্রলাল সিংকে নিয়ে। ফিরে এসে আগরতলা বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জে কথাবার্তা চলাকালীন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীকে তৎকালীন ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী বলেন, আপনি সীমান্ত খুলে দিয়েছেন, অস্ত্র ও অর্থ সাহায্য করছেন, আপনি তো দেশকে আন্তর্জাতিক যুদ্ধের দিকে নিয়ে যাচ্ছেন। ইন্দিরাকে ত্রিপুরার রূপকার শচীন্দ্রলাল জবাব দেন, আমি যা করছি তা দেশের মঙ্গলের জন্যই করেছি এবং আপনার জন্যই করছি। আমি একটা ছোট্ট রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, যুদ্ধ পরবর্তী সময়ে সমগ্র বিশ্ব আপনার নামই করবে, আমার নই। ইতিহাস আপনাকেই স্মরণ করবে। আরও বলেন, আমি আপনার বাবার সঙ্গে রাজনীতি করেছি। আপনি আমাকে রাজনীতি শেখাবেন না। একটা ছোট্ট রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কথা হজম না করতে পেরে দিল্লী ফিরেই ১লা নভেম্বর ১৯৭১ রাতে ত্রিপুরাতে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করলেন ইন্দিরা। ভেঙে দিলেন কংগ্রেসের-ই সংখ্যাগড়িষ্ট সরকার। তবুও দমলেন না দেশ তথা ত্রিপুরার প্রতি দায়বদ্ধ শচীন্দ্রলাল সিং, তিনি ইন্দিরা গান্ধীকে ফোন করে বলেন Imposition is a great sin। সেই রাতেই তিনি মুখ্যমন্ত্রী বাসভবন ত্যাগ করে পৈতৃক ভিটে জয়নগরের বাসভবনে ফিরে যান। তিনি চ্যালেঞ্জ ছুড়েছিলেন দাপুটে ইন্দিরা গান্ধীকে। তখনও তাঁর পাশে ছিলেন ত্রিপুরার আপামর সাধারণ মানুষ। অনবরত সমর্থন জুগিয়ে গিয়েছেন শচীনবাবুকে। নির্দল প্রার্থী হয়ে সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন শচীন্দ্রলাল।জাতপাতের উর্দ্ধে রাজনীতি করতেন শচীন্দ্রলাল সিং। মানুষকে মানুষ ভাবতেন। সাধারণের সঙ্গে মিশে যেতে পারতেন অনায়াসে। এই দেশে এমন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এখন অমিল। ত্রিপুরার আদিবাসীরা মনে করতে শচীন্দ্রনাথবাবু তাঁদের ঘরের লোক। আদিবাসী সমাজে তাঁর নাম ফাটা ছিলুম তার মানে ছেঁড়া কাপড়। আদিবাসী সম্প্রদায়ের কাছে এতটাই আপন ছিলেন তিনি। কাছে টেনে নিয়েছিলেন মনিপুরি, সংখ্যালঘুসহ সকলকেই। কোনও ভেদাভেদ তাঁকে কখনও স্পর্শ করতে পারেননি। ২০০০ সালে ইহলোক ত্যাগ করলেও ত্রিপুরার মানুষ ভোলেনি শচীন্দ্রলাল সিংকে। এখনও তাঁর জন্মদিনের উৎসবে হাজির হন অগনিত মানুষ।শচীন্দ্রলালবাবুর বড় ছেলে আশিসলাল সিং ত্রিপুরা তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি। এখন দলের কোর কমিটির সদস্য। তৃণমূলের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীদের কাছেও আশিসবাবু কাছের মানুষ, মাটির মানুষ। পাহাড় থেকে সমতল হোক রাত-বিরেতে কেউ বিপদে পড়লেই পাশে থাকেন শচীন্দ্রপুত্র আশিসলাল। তিনিও মহান পিতার মতোই কোনও জাতিগত ভেদাভেদে বিশ্বাস করেন না। তাঁর ভাবনাতেও রয়েছে বাবার মতোই ত্রিপুরার উন্নয়ন।

এপ্রিল ২৫, ২০২২
খেলার দুনিয়া

মূল্যহীন হয়ে গেল চৈতি ফারহানার লড়াই, মারণ ব্যাধির কাছে হার রুবেলের

মিরপুরের শেরইবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের কাঁচ ঘেরা শববাহী যানে চিরনিদ্রায় শুয়ে রয়েছেন মোশারফ হোসেন রুবেল। কাঁচের দেওয়ালে মাথা রেখে প্রিয় মানুষটির দিকে একদৃষ্টে তাকিয়ে চৈতি ফারহানা রুপা। চোখ দুটো যেন কাঁচের দেওয়ার ভেদ করে কাছে পৌঁছতে চাইছিল। কিন্তু সম্ভব ছিল না। চৈতির কোলে একমাত্র সন্তান রুশদান। মায়ের মাথায় হাত বোলাতে বোলাতে সেও তাকিয়ে মোশারফ হোসেন রুবেলের দিকে। হয়তো মায়ের কোলে বসে ভাবছিল, কখন উঠে আসবে আব্বু। তার যে এখনও বোঝার বয়স হয়নি তার জানের আব্বু না ফেরার দেশে চলে গেছেন। কী ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটে গেছে তাঁদের জীবনে। এইরকম যে হতে পারে, কল্পনা করেননি কেউই। দেশের হয়ে পাঁচটি একদিনের ম্যাচ খেলা মোশারফ হোসেন রুবেলের মস্তিষ্কে ২০১৯ সালের মার্চে টিউমার ধরা পড়ে। ২৪টি কেমোথেরাপি লেগেছিল তাঁর। সিঙ্গাপুরে গিয়ে অস্ত্রোপচার করিয়ে সেই টিউমার কেটে বাদও দেওয়া হয়েছিল। মোটামুটি সুস্থই হয়ে উঠেছিলেন তিনি। আবার মাঠে ফেরার প্রস্তুতিও নিচ্ছিলেন। কিন্তু মারণরোগ তার পিছু ছাড়েনি। পুনরায় ফিরে আসা ঘাতক ব্যাধিকে আর হারাতে পারেননি রুবেল।জানুয়ারি মাসে তাঁর মস্তিষ্কে নতুন করে টিউমার ধরা পড়ে। আবারও শুরু হয় কেমোথেরাপি। অবশ হয়ে যায় শরীরের একদিক। গত মাসে তাঁকে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। তবে প্রায় এক মাস পর ১৫ এপ্রিল হাসপাতাল থেকে বাড়িতে ফিরেছিলেন রুবেল। তাঁর শারীরিক অবস্থা ভালোমন্দের মধ্য দিয়েই যাচ্ছিল। চিকিৎসার ব্যয় মেটাতে হিমশিম খাচ্ছিল তাঁর পরিবার। তবে দেশের ক্রিকেটমহল তাঁর পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে। আগামী সপ্তাহেই তাঁর আবার কেমোথেরাপি নেওয়ার কথা ছিল। মঙ্গলবার হঠাৎ করে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে রুবেলকে ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে নিয়ে যাওয়ার পর চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।তিন বছর ধরে জীবনের প্রিয় মানুষকে বাঁচানোর জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করে গেছেন চৈতি ফারহানা রুপা। প্রেম করে মোশারফ হোসেন রুবেলকে বিয়ে করেছিলেন। ব্যাঙ্কে চাকরি করেন। ছোট বাচ্চা রয়েছে। সংসার, বাচ্চা ও ব্যাঙ্কের চাকরি সামলে প্রিয় মানুষটির জন্য লড়াই করে গেছেন। গত তিন বছর ধরে হাসপাতালই হয়েছিল চৈতি ফারফানার ঘরবাড়ি। স্বামীর চিকিৎসা করাতে গিয়ে নিঃস্ব হয়েছেন। ঢাকার একমাত্র ফ্ল্যাটটাও বিক্রি করে দিতে হয়েছে। অর্থ সংগ্রহের জন্য চারিদিকে ছোটাছুটি করছে হয়েছে। অনেকেই পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। সাকিব আল হাসান তুলে দিয়েছিলেন ১৫ লাখ টাকা। আর্থিক সাহায্য করেছিলেন মোশারপ হোসেনও। যেখানে যতটুকু অর্থ ছিল, সব নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন স্বামীকে বাঁচাতে। কিন্তু বাঁচাতে পারেননি। স্বামীর জন্য কী না করেননি চৈতি ফারহানা? হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে থাকা রুবেলকে গল্পের বই পড়ে শোনাতেন। স্বামীকে দেখাশোনার পাশাপাশি হাসপাতালে বসেই ল্যাপটপে অফিসের কাজ করতেন। রুবেলকে সবসময় মানসিকভাবে চাঙ্গা রাখার চেষ্টা করতেন। প্রিয় মানুষটির জন্য শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে গেছেন। তবু মারণ ব্যাধি সবকিছু কেড়ে নিয়ে গেল চৈতির। ৪০ বছর বয়সী মোশারফ হোসেন রুবেল দেশের হয়ে ৫টি একদিনের ম্যাচ খেলেছেন। ৪টি উইকেট পেয়েছেন। ২০০৮ সালে চট্টগ্রামে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তাঁর জাতীয় দলের হয়ে অভিষেক। জাতীয় দলের হয়ে শেষ খেলেন ২০১৬ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে।

এপ্রিল ২০, ২০২২
খেলার দুনিয়া

‌লজ্জার নজির ইতিহাস সৃষ্টিকারী বাংলাদেশের, সবথেকে কম রানের ইনিংস

বিশ্বের সবথেকে আনপ্রেডিক্টেবল দলের কথা যদি বলতে হয়, উঠে আসবে বাংলাদেশের নাম। বেঙ্গল টাইগাররা কখন যে কী করে বসবে বলা কঠিন। কিছুদিন আগেই দক্ষিণ আফ্রিকাকে তাদের ঘরের মাঠে একদিনের সিরিজে হারিয়ে ইতিহাস গড়েছিলেন সাকিব আল হাসানরা। কয়েকদিন পরেই সেই দলই কিনা সেই দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টেস্টে শেষ ৫৩ রানে! চরম লজ্জায় পড়তে হল বাংলাদেশ টেস্ট দলকে। টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন রানের ইনিংস। এর আগে বাংলারদেশের টেস্টের এক ইনিংসে সর্বনিম্ন রান ছিল ৪৩। একদিনের সিরিজে সাকিব আল হাসানদের দুর্দান্ত ক্রিকেট বাংলাদেশী ক্রিকেটপ্রেমীদের প্রত্যাশা বাড়িয়ে দিয়েছিল। কিন্তু ক্রিকেটপ্রমীদের সেই প্রত্যাশার ফানুস চুপসে দিয়ে প্রথম টেস্টেই ভরাডুবি। বাংলাদেশকে হারতে হল ২২০ রানে। টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করে প্রথম ইনিংসে দক্ষিম আফ্রিকা তুলেছিল ৩৬৭। জবাবে মাহমুদুল হাসানের দুরন্ত সেঞ্চুরির সুবাদে বাংলাদেশ তোলে ২৯৮। মাহমুদুল করেন ১৩৭। প্রথম ইনিংসে ৬৯ রানে এগিয়ে থেকে ব্যাট করতে নেমে দ্বিতীয় ইনিংসে ২০৪ রানে শেষ হয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস। সর্বোচ্চ ৬৪ রান করেন অধিনায়ক ডিন এলগার। বাংলাদেশের সামনে জয়ের জন্য লক্ষ্য দাঁড়ায় ২৭৪। জয়ের জন্য ২৭৪ রানের লক্ষ্য নিয়ে ব্যাট করতে নেমে চতুর্থ দিনের শেষে বাংলাদেশের রান ছিল ৩ উইকেটে ১১। তখনই পরাজয়ের ভ্রূকূটি সামনে এসে পড়েছিল বাংলাদেশের। পঞ্চম দিনে ইনিংস কতটা টানতে পারেন বাংলাদেশের ব্যাটাররা, সেটাই ছিল দেখার। এদিন প্রথম ওভারেই মুশফিকুর রহিমের (০) উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এরপর রীতিমতো প্যাভিলিয়নে যাওয়ার মিছিল শুরু হয়। বাংলাদেশের ইনিংসে ধস নামান স্পিনার কেশব মহারাজ। মাত্র ১৯ ওভারে ৫৩ রানে শেষ হয় বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংস। বাংলাদেশের ২ জন ব্যাটসম্যান মাত্র দুঅঙ্কের গন্ডি পার করেন। নাজমুল হোসেন করেন ২৬, তাস্কিন আমেদ করেন ১৪। ৪ জন ব্যাটার ০ রানে আউট হন। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে কেশব মহারাজ ১০ ওভার বল করে ৩২ রানে ৭ উইকেট নেন। সাইমন হার্মার ২১ রানে নেন ৩ উইকেট। এর আগে বাংলাদেশের টেস্টে সর্বনিম্ন রান ছিল ৪৩। ২০১৮ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে।

এপ্রিল ০৪, ২০২২
  • ‹
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
  • 6
  • ›

ট্রেন্ডিং

দেশ

বিহার বিধানসভা ভোটে বিজেপি ও আরজেডি কটা আসনে লড়ছে? শরিকরা কতগুলি আসন পেল?

রবিবার এনডিএ আগামী মাসে বিহার বিধানসভা নির্বাচনের জন্য আসন ভাগাভাগিতে সম্মত হয়েছে। বিজেপি এবং জনতা দল (ইউনাইটেড) ১০১টি করে আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে সম্মত হয়েছে। জেডি(ইউ) জাতীয় কার্যকরী সভাপতি সঞ্জয় ঝা এবং বিজেপির নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা ধর্মেন্দ্র প্রধানের দ্বারা নিশ্চিত করা এই চুক্তি অনুসারে, চিরাগ পাসওয়ানের নেতৃত্বাধীন লোক জনশক্তি পার্টি (রাম বিকাশ) ২৯টি আসন পাবে, যেখানে জিতন রাম মাঝির হিন্দুস্তানি আওয়াম মোর্চা (ধর্মনিরপেক্ষ) এবং উপেন্দ্র কুশওয়াহার জাতীয় লোক মোর্চা (আরএলএম) ছয়টি করে আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে।১৯৯৬ সালে জোট গঠনের পর এই প্রথমবারের মতো বিজেপি এবং জেডি(ইউ) বিধানসভা নির্বাচনে সমান সংখ্যক আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। ২০২০ সালে, জেডি(ইউ) ১২২টি আসনে এবং বিজেপি ১২১টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল, জেডি(ইউ) তাদের ভাগ থেকে এইচএএম(এস)-কে সাতটি আসন দিয়েছিল এবং বিজেপি তাদের ভাগ থেকে ১১টি আসন মুকেশ সাহানির বিকাশশীল ইনসান পার্টি (ভিআইপি)-কে বরাদ্দ করেছিল।এই চুক্তির ফলে কয়েক সপ্তাহ ধরে জোটের মধ্যে আলোচনার অবসান ঘটে, যেখানে এলজেপি (আরভি) এবং এইচএএম(এস) আক্রমণাত্মকভাবে আরও বেশি আসনের জন্য চাপ দিয়েছিল। পাসওয়ানের দল প্রথমে ৪০টি এবং পরে ৩৫টি আসনের জন্য চাপ দিলেও, মাজি ১৫টি আসন দাবি করেছিলেন বলে জানা গিয়েছে।এনডিএ সূত্র জানিয়েছে, যে জোট প্রথমে এলজেপি (আরভি)-কে ২০-২৫টি আসনের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে চেয়েছিল, কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাদের নির্বাচনী প্রভাবের কারণে তা মেনে নেওয়া হয়েছিল। দিল্লিতে বিজেপির কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিটির (সিইসি) এক বৈঠকের পর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এই বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং দিল্লি ও বিহারের শীর্ষ বিজেপি নেতৃত্ব হাজির ছিলেন।আলোচনায় এলজেপি (আরভি) এর দাবি একটি বড় বাধা ছিল। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে দলটির শক্তিশালী পারফরম্যান্স, যখন তারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা পাঁচটি আসনেই জয়লাভ করে এবং মোট ভোটের ৬% এরও বেশি ভোট অর্জন করে, তাদের দর কষাকষির ক্ষমতা দেয়। তবে বিজেপির সূত্র জানিয়েছে, যে দলটি রাজনৈতিক স্থায়িত্বের কারণে নয়, বরং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বের কারণে এই আসনগুলি জিতেছে।২০২০ সালে, বিভক্ত হওয়ার এক বছর আগে, এলজেপি বিহারের ২৪৩টি বিধানসভা আসনের মধ্যে ১৩৫টিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল, যার ফলে এনডিএকে চরম মূল্য দিতে হয়েছিল। ৬৪টি আসনে, যেখানে দল তৃতীয় বা তার কম স্থানে ছিল, সেখানে জয়ের ব্যবধানের চেয়ে বেশি ভোট পেয়েছিল। এই আসনগুলির মধ্যে, এটি সরাসরি ২৭টি আসনে জেডি(ইউ)কে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে, যেখানে এটি দ্বিতীয় স্থানে ছিল।এলজেপি (আরভি) এখনও তার প্রাপ্যের চেয়ে বেশি আসন পেয়েছে। আমরা প্রথমে দলের জন্য ২০টির বেশি আসনের পক্ষে ছিলাম না। পরে তা ২৩ এবং পরে ২৬-এ সংশোধন করা হয় কারণ চিরাগ ক্রমাগত চাপ প্রয়োগ করছিলেন। জোটকে শক্তিশালী ও ঐক্যবদ্ধ রাখার স্বার্থে, আমরা ২৯-এ সম্মত হয়েছি, বিহারের একজন প্রবীণ বিজেপি নেতা বলেন।আরেকজন বিজেপি নেতা বলেন, চিরাগ পাসোয়ান ছিলেন কঠোর দর কষাকষিকারী। যেহেতু তিনি কেন্দ্রে একজন গুরুত্বপূর্ণ মিত্র, তাই আমাদের তার দাবি মেনে নিতে হয়েছিল। এলজেপি ৪০টি আসন দিয়ে শুরু করে, পরে ৩৫টিতে নামিয়ে আনা হয় এবং অবশেষে ২৯টি আসন নিয়ে মীমাংসা করে। প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানের পর মাঝি ছয়টি আসন নিয়ে রাজি হন। ভবিষ্যতে তিনি একটি এমএলসি পদ দাবি করবেন বলে জানা গেছে।

অক্টোবর ১৩, ২০২৫
রাজ্য

বর্ধমান স্টেশনে ট্রেন ঢুকতেই হুড়োহুড়ি — পদপিষ্টে অন্তত ১২ জন আহত

রবিবার ছুটির সন্ধ্যায় বর্ধমান (Bardhaman) রেল স্টেশনে হুড়োহুড়িতে পদপিষ্টের ঘটনা ঘটে। বহু যাত্রী একযোগে ট্রেন ধরার চেষ্টায় মুখ্য সিঁড়ি ও ওভারব্রিজ এলাকায় ঠাসাঠাসিতে পদপিষ্ট হয়ে পড়েন। এই ঘটনায় অন্তত ১২ জন আহত হয়েছেন বলে প্রাথমিক খবর পাওয়া গেছে। আহতদের দ্রুত উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে (Burdwan Medical College Hospital) ভর্তি করা হয়েছে। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, অধিকাংশের অবস্থা আপাতত স্থিতিশীল। ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া সূত্র অনুযায়ী, একসঙ্গে ৩৪টি ট্রেন ৪, ৫ ও ৬ নম্বর প্ল্যাটফর্মে ছিল। যাত্রীরা ট্রেনে ওঠা ও নামার জন্য সিঁড়ি ও ওভারব্রিজ এলাকায় একসাথে ওটানামা করতে থাকেন, তখন ভিড় গিজ গিজ করছিল। সিঁড়িতে অতিরিক্ত চাপ ও ধাক্কাধাক্কির ফলে কয়েকজন পড়ে যান। এতেই আঘাত পান। প্রত্যক্ষদর্শীরা অভিযোগ করেছেন, বেশ কিছু দিন ধরে ওভারব্রিজ একাধিক অংশ কাজ করছে না বা সংস্কার হচ্ছে, ফলে যাত্রীদের মূল সিঁড়িগুলো ব্যবহার করতে হয়। রেলের উদ্ধার দল ও রেলে নিয়োজিত স্টাফ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের উদ্ধারে মনোনিবেশ করে। রেল প্রশাসনের তরফে বলা হয়েছে, অতিরিক্ত নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়ন করা হবে এবং ভবিষ্যতে এমন দুর্ঘটনা এড়াতে পরিকল্পিত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অক্টোবর ১২, ২০২৫
বিদেশ

গাজা শান্তি সম্মেলনে ভারতের প্রতিনিধি কীর্তি বর্ধন সিং

মিশরের শর্ম-এল-শেখে সোমবার অনুষ্ঠিত হতে চলেছে গাজা শান্তি সম্মেলন। সেখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিশেষ দূত হিসেবে ভারতকে প্রতিনিধিত্ব করবেন কেন্দ্রীয় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কীর্তি বর্ধন সিং।সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ এল-সিসি শেষ মুহূর্তে প্রধানমন্ত্রী মোদিকে আমন্ত্রণ জানান। তবে মোদি নিজে অংশ না নিয়ে প্রতিনিধিত্বের দায়িত্ব দিয়েছেন প্রতিমন্ত্রীকে।এই সম্মেলনে অংশ নেবেন আরও বেশ কয়েকজন বিশ্বনেতা জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মের্জ, ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমমানুয়েল মাক্রোঁ, স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদরো স্যাঞ্চেজ এবং জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।কূটনৈতিক মহল মনে করছে, গাজা উপত্যকার সংঘাত পরিস্থিতি নিয়ে এই বৈঠকে আন্তর্জাতিক পরিসরে শান্তি প্রক্রিয়া এগিয়ে নেওয়ার রূপরেখা তৈরি হতে পারে। উল্লেখ্য গাজায় আপাতত যুদ্ধবিরতি চলছে।

অক্টোবর ১২, ২০২৫
রাজ্য

দুর্গাপুরে ডাক্তারি ছাত্রীর ‘গণধর্ষণ’, তিন অভিযুক্ত গ্রেফতার — সহপাঠীর ভূমিকাও প্রশ্নের মুখে

দুর্গাপুরে কলেজ ছাত্রীকে অপহরণ করে গণধর্ষণের অভিযোগে তীব্র চাঞ্চল্য। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গ্রেফতার করা হয়েছে তিন অভিযুক্তকে। তাঁদের রবিবার দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক ১০ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন।ঘটনাস্থল কলেজ ক্যাম্পাস থেকে মাত্র ৭০০ মিটার দূরে, ঘন ঝোপঝাড়ে ঘেরা এলাকায়। পুলিশ জানায়, সেখানে দীর্ঘদিন ধরেই বসে নেশার ঠেকমদ ও গাঁজা বিক্রির আড্ডা। শনিবার রাতে ওই ঠেকেই ছিলেন তিন অভিযুক্ত। তখনই তাঁরা কলেজের ডাক্তারি ছাত্রী এবং তাঁর এক সহপাঠীকে রাস্তায় হাঁটতে দেখে প্রথমে তরুণীকে উত্ত্যক্ত করতে শুরু করেন। এর পর তাঁকে জোর করে টেনে নিয়ে গিয়ে জঙ্গলে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ।পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনাকালীন তরুণীর মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয় অভিযুক্তরা। পরে তদন্তে ধৃতদের কাছ থেকেই তরুণীর ফোন উদ্ধার হয়েছে। পুলিশ দাবি করেছে, তিন জনের বিরুদ্ধেই প্রত্যক্ষ প্রমাণ মিলেছে। তদন্তকারীদের একটি সূত্র জানিয়েছে, সহপাঠীকে পালিয়ে যেতে দেখে তরুণী কলেজের বন্ধুদের ফোন করেছিলেন। পরে তাঁর বন্ধুরাই ওই সহপাঠীকে ঘটনাস্থলে ফের যেতে বলেন। এই সময়েই নির্যাতিতাকে ধর্ষণ করা হয় বলে প্রাথমিক তদন্তে ধারণা পুলিশের।ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরেই পুলিশ ওই সহপাঠীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। তাঁর বয়ানেই পুরো ঘটনার প্রাথমিক তথ্য মিলেছে বলে সূত্রের খবর। তরুণীর সঙ্গে কথা বলেছেন ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট রঞ্জনা রায়।কলেজ কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, রাত ৭টা ৫৮ মিনিটে সহপাঠীর সঙ্গে ক্যাম্পাস থেকে বেরিয়েছিলেন তরুণী। ৮টা ৪২ মিনিটে সহপাঠী একা ফিরে আসেন, গেটের কাছে কিছুক্ষণ ঘোরাঘুরি করে ফের বাইরে যান। পরে রাত ৯টা ২৯ মিনিটে দুজন একসঙ্গে কলেজে ফেরেন। ৯টা ৩১ মিনিটে তরুণী নিজের হস্টেলে ফিরে যান।অভিযোগ, তরুণীর বাবার দাবি অনুযায়ী, তাঁর মেয়েকে বাইরে নিয়ে গিয়েছিলেন সেই সহপাঠীই, এবং ধৃত তিন জন ওই ছাত্রেরই বন্ধু। তাঁর কথায়, রাত ১০টার দিকে ওর বন্ধু ফোন করে জানায়, আমার মেয়েকে ধর্ষণ করা হয়েছে। ওর এক বন্ধু ওকে খেতে নিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু যখন দু-তিন জন মেয়েকে ঘিরে ধরে, তখন ওর বন্ধুটি পালিয়ে যায়।এখনও পর্যন্ত তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে পুলিশ মনে করছে, ঘটনায় আরও কয়েক জন যুক্ত থাকতে পারে। তাঁদের খোঁজে চলছে তল্লাশি অভিযান

অক্টোবর ১২, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

১৪ বছর পর কলকাতায় মেসি! “মাঠ কাঁপাবে” ডিসেম্বরে?

কলকাতার ফুটবলপ্রেমীদের জন্য এক বিশাল সুখবর! ফুটবল কিংবদন্তি লিওনেল মেসি (Lionel Messi) তাঁর বহু প্রতীক্ষিত GOAT Tour of India 2025-এর জন্য এ বছরের ডিসেম্বর মাসে কলকাতা ময়দান মাতাতে আসছেন। ১৪ বছর পর বিশ্বকাপজয়ী এই মহাতারকার ভারতে ফেরা নিঃসন্দেহে এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত হতে চলেছে।আগামী ডিসেম্বরে আর্জেন্টাইন মহাতারকা লিওনেল মেসি তাঁর ভারত সফরের সূচনা করবেন কলকাতাতেই। আয়োজকদের ঘোষণা অনুযায়ী, তিনি ১২ই ডিসেম্বর রাতে মহানগরে পৌঁছাবেন এবং ১৩ই ডিসেম্বর কলকাতায় বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নেবেন।কলকাতার আইকনিক সল্টলেক স্টেডিয়ামে (যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন) মূল অনুষ্ঠানগুলি হবে, যেখানে ২০১১ সালে মেসি আর্জেন্টিনার হয়ে ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে একটি আন্তর্জাতিক প্রীতি ফুটবল ম্যাচে খেলেছিলেন।GOAT কনসার্ট এবং GOAT কাপ, ১৩ই ডিসেম্বর এই দুটি প্রধান ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হবে। GOAT কাপ হবে একটি সেলিব্রেটর সেভেন-এ-সাইড (seven-a-side) সফট-টাচ ফুটবল ম্যাচ। বেশ কয়েকজন ভারতীয় কিংবদন্তির উপস্থিতির সম্ভবনা ওই খেলায়, সুত্রের খবর, এই বিশেষ ম্যাচে মেসির সঙ্গে মাঠে নামতে পারেন ভারতীয় ক্রীড়া জগতের তারকারা, যেমন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, বাইচুং ভুটিয়া এবং লিয়েন্ডার পেজ প্রমুখ।ম্যচের শেষে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে মেসিকে বিশেষ সংবর্ধনা দেওয়া হতে পারে। এছাড়াও এই সফরের অঙ্গ হিসাবে কলকাতা শহরে মেসির একটি মূর্তি উন্মোচন-র আয়োজন চলছে।এই সফরে নানাবিধ অনুষ্ঠানের মধ্যে, ফুড অ্যান্ড টি ফেস্টিভ্যালঅনুষ্ঠিত হবে। কলকাতায় তাঁর প্রিয় পানীয় আর্জেন্তিনীয় ভেষজ চা মাটে-এর সঙ্গে আসামের চায়ের ফিউশন করে একটি বিশেষ খাদ্য ও চা উৎসবের আয়োজন করা হবে।কলকাতা ছাড়াও মেসি ভারতে আরও কয়েকটি শহর সফর করবেন, সেকারনে তাঁর নিরাপত্তা ব্যবস্থাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কলকাতার পর মেসি আরও চারটি-শহরে সফর করবেন। যেগুলি হল আহমেদাবাদ, মুম্বাই এবং নয়া দিল্লী। ১৫ই ডিসেম্বর তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করে তাঁর ভারত সফর শেষ করবেন। এই সফরের ইভেন্টগুলোর টিকিটের মূল্য ৩,৫০০ টাকা থেকে শুরু হতে পারে বলে জানা গেছে।মেসির প্রতিক্রিয়াদীর্ঘ ১৪ বছর পর ভারতে আসা নিয়ে মেসি উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন। একটি সরকারি বিবৃতিতে তিনি বলেন, এই সফর করতে পারা আমার জন্য খুবই সম্মানের। ভারত খুব স্পেশাল একটি দেশ, এবং ১৪ বছর আগে আমার সেখানে কাটানো মুহূর্তগুলোর খুব ভালো স্মৃতি আছে এখানকার ভক্তরা ছিল অসাধারণ। ভারত ফুটবল প্রেমী দেশ (passionate football nation), এবং আমি ফুটবলের প্রতি আমার ভালোবাসা নতুন প্রজন্মের ভক্তদের সাথে ভাগ করে নেওয়ার জন্য মুখিয়ে আছি।২০২৫ এর ডিসেম্বর মাসে ফুটবল কিংবদন্তির আগমন শুধু কলকাতার নয়, গোটা ভারতের ক্রীড়াপ্রেমীদের কাছে এক বিশাল উৎসবের বার্তা নিয়ে আসছে।

অক্টোবর ০৭, ২০২৫
রাজ্য

সাংসদের ওপর হামলায় রাজ্যকে নিয়ে বড় প্রশ্ন মোদির, কড়া জবাব মমতার

বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু ও বিধায়ক শঙ্কর ঘোষের ওপর হামলা নিয়ে রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তার পাল্টা কড়া জবাব দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি সোশ্যাল মিডিয়া লিখেছেন, এটা খুবই দুর্ভাগ্যের এবং গভীর উদ্বেগের বিষয় যে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী একটি প্রাকৃতিক বিপর্যয় নিয়ে রাজনীতি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, কোনো উপযুক্ত অনুসন্ধানের জন্য অপেক্ষা না করেই তা-ও আবার যখন উত্তরবঙ্গের মানুষ ভয়াবহ বন্যা ও ধসের সঙ্গে যুঝছেন।যখন সমগ্র স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশ ত্রাণ ও উদ্ধারের কাজে ব্যস্ত হয়ে আছে, তখন বিজেপি নেতারা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় গিয়েছিলেন বিপুল সংখ্যক গাড়ির কনভয় নিয়ে, কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা নিয়ে এবং স্থানীয় পুলিশ ও প্রশাসনকে কোনো খবর না দিয়ে। রাজ্য প্রশাসন, স্থানীয় পুলিশ বা তৃণমূল কংগ্রেসকে কীভাবে এই ঘটনার জন্য দায়ী করা যাবে?এখানেই থামেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রশ্ন তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী পদের গরিমা নিয়েও। প্রশ্ন তুলেছেন মোদির নৈতিকতা নিয়েও। তাছাড়া কোনও প্রমান ছাড়াই প্রধানমন্ত্রী তৃণমূল কংগ্রেসকে দায়ী করেছে বলে দাবি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি লিখেছেন, প্রধানমন্ত্রী তৃণমূল কংগ্রেস এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ওপর দোষারোপ করেছেন কিছুমাত্র প্রমাণ ছাড়া, আইনানুগ কোনো তদন্ত ছাড়া এবং কোনো প্রশাসনিক রিপোর্ট ছাড়া। এটা শুধু রাজনৈতিক নিম্নতা স্পর্শ করল না, যে সাংবিধানিক নৈতিকতা তুলে ধরতে প্রধানমন্ত্রী শপথ নিয়েছেন, সেই নৈতিকতারও লঙ্ঘন হল। যে কোনো গণতন্ত্রে আইন তার নিজস্ব পথ নেয় এবং কোনো ঘটনার দায় নির্ধারিত হয় যথাযথ প্রক্রিয়ায় -কোনো রাজনৈতিক বেদীর উচ্চতা থেকে করা একটি ট্যুইটের মাধ্যমে নয়।উত্তরবঙ্গ কাল যাবো, আজ কার্নিভাল !!!কার্নিভাল নাকি বাংলার ঐতিহ্য ! তা দশমীর চার দিন পর সরকারি অনুদান আর প্রশাসনিক চোখ রাঙানির জেরে প্রতিমা নিরঞ্জন আটকে রেখে, মিছিল করিয়ে ঘাটে যাওয়া কবে থেকে বাংলার ঐতিহ্য হয়ে গেলো?আর মুখ্যমন্ত্রী চটজলদি উত্তরবঙ্গ যেতে আগ্রহী নন কেন, pic.twitter.com/mD0TeqWIaz Suvendu Adhikari (@SuvenduWB) October 5, 2025মমতা বলেছেন, সংশ্লিষ্ট ঘটনা ঘটেছিল একটি কেন্দ্রে, যেখানে মানুষ নিজেরাই বিজেপির একজন বিধায়ককে নির্বাচন করেছেন। তথাপি এই ঘটনায় তৃণমূল কংগ্রেসের তথাকথিত শক্তিমত্তা দেখায় প্রধানমন্ত্রী দ্বিচারিতা অনুভব করলেন না। এই ধরনের অসার এবং অতি-সরলীকৃত সাধারণীকরণ শুধু অপরিণতই নয়, তা দেশের সর্বোচ্চ পদের সঙ্গে মানানসইও নয়।

অক্টোবর ০৭, ২০২৫
রাজ্য

বিজেপি সাংসদ ও বিধায়কের ওপর হামলা, নিন্দা নরেন্দ্র মোদীর, ফোন রাজনাথ সিংয়ের

বন্যা ও ভমি ধ্বসে বিপর্যস্ত উত্তরবঙ্গ। এরই মধ্যে নাগরাকাটায় বন্যা পরিস্থিতি দেখতে গিয়েছিলেন মালদা উত্তরের সাংসদ খগেন মুর্মু ও শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। তাঁদের ওপর তৃণমূল কংগ্রেস প্রাণঘাতী হমলা করেছে বলে অভিযোগ। মাথা ফেটে রক্তাক্ত হয়েছেন খগেন মুর্মু। আঘাত পেয়েছেন শঙ্কর ঘোষ। যদিও তৃণমূল অভিযোগ অস্বীকার করেছে। এবার এই ঘটনায় সোশ্যাল মিডিয়ায় মুখ খুললে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। জখম সাংসদের সঙ্গে কথা বলেছেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং।প্রধানমন্ত্রী পশ্চিমবঙ্গের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। আক্রমণের তীব্র নিন্দা করেছেন। নরেন্দ্র মোদী এক্স হ্যান্ডেলে বলেছেন, যেভাবে আমাদের দলের সহকর্মীরাযাদের মধ্যে একজন বর্তমান সাংসদ ও বিধায়কও রয়েছেনপশ্চিমবঙ্গে বন্যা ও ভূমিধসে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সেবা করতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন, তা অত্যন্ত নিন্দনীয়। এটি তৃণমূল কংগ্রেসের অসংবেদনশীলতা এবং রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলার করুণ রূপের স্পষ্ট প্রতিফলন।যেভাবে আমাদের দলের সহকর্মীরাযাদের মধ্যে একজন বর্তমান সাংসদ ও বিধায়কও রয়েছেনপশ্চিমবঙ্গে বন্যা ও ভূমিধসে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সেবা করতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন, তা অত্যন্ত নিন্দনীয়। এটি তৃণমূল কংগ্রেসের অসংবেদনশীলতা এবং রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলার করুণ রূপের স্পষ্ট প্রতিফলন।আমার Narendra Modi (@narendramodi) October 6, 2025আমার একান্ত কামনা পশ্চিমবঙ্গ সরকার ও তৃণমূল কংগ্রেস এই কঠিন পরিস্থিতিতে হিংসায় লিপ্ত না হয়ে মানুষের সাহায্যে আরও মনোযোগী হোক। আমি বিজেপি কার্যকর্তাদের আহ্বান জানাই, তারা যেন জনগণের পাশে থেকে চলতি উদ্ধার কাজে সহায়তা করে যান।এদিকে নাগরাকাটায় বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শনে গিয়ে সাংসদ খগেন মুর্মু ও বিধায়ক শঙ্কর ঘোষের ওপর হামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংজি। রাজ্য বিজেপি সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য এক্স হ্যান্ডেলে বলেছেন, তিনি টেলিফোনে আমার সঙ্গে কথা বলে ঘটনার বিস্তারিত জানতে চান এবং স্পষ্ট বার্তা দেন রাজনীতিতে হিংসার কোনো স্থান নেই। পশ্চিমবঙ্গের মানুষ এই অন্যায় ও অত্যাচার কখনো মেনে নেবে না। সবাই মিলে এই হিংসার রাজনীতি প্রতিহত করতে হবে। বাংলার মানুষ গণতন্ত্রের শক্তিতে বিশ্বাস রাখে।

অক্টোবর ০৭, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal