• ২ পৌষ ১৪৩২, শনিবার ২০ ডিসেম্বর ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Apu

দেশ

৪৫ বছরের বাম দুর্গ ভাঙল বিজেপি! কেরলের রাজধানীতে ইতিহাস গড়ল এনডিএ

কেরলের রাজধানী তিরুবনন্তপুরমে বড় রাজনৈতিক পরিবর্তন। পুরসভা নির্বাচনে বিজেপি-নেতৃত্বাধীন এনডিএ একক বৃহত্তম দল হিসেবে উঠে এসেছে। এর ফলে টানা ৪৫ বছর ধরে চলা বামফ্রন্টের দখল ভেঙে গেল রাজধানীর কর্পোরেশনে। এই ফলাফলকে কেরলের রাজনীতিতে ঐতিহাসিক বলেই মনে করা হচ্ছে।১০১টি ওয়ার্ডের মধ্যে এনডিএ জিতেছে ৫০টিতে। শাসক বামফ্রন্ট এলডিএফ নেমে এসেছে মাত্র ২৯টি আসনে। কংগ্রেস-নেতৃত্বাধীন ইউডিএফ পেয়েছে ১৯টি ওয়ার্ড। দুটি আসনে জয়ী হয়েছেন নির্দল প্রার্থীরা। এক ওয়ার্ডে প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে ভোট বাতিল হয়েছে।এই ফলের ফলে তিরুবনন্তপুরম কর্পোরেশনে সরকার গঠনের পথে অনেকটাই এগিয়ে গেল এনডিএ। শহরের রাজনৈতিক সমীকরণে যে বড় পরিবর্তন এসেছে, তা স্পষ্ট বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহল।ফলাফলটি আরও তাৎপর্যপূর্ণ, কারণ তিরুবনন্তপুরম জেলা কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা ও সাংসদ শশী থারুরের নিজের এলাকা। তাঁর ঘাঁটিতেই বিজেপির এই সাফল্য কেরলের রাজনীতিতে নতুন বার্তা দিচ্ছে বলে মত পর্যবেক্ষকদের।এখানেই শেষ নয়। কেরলের স্থানীয় নির্বাচন শেষে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য পেয়েছে এনডিএ। ত্রিপুনিথুরা পুরসভাতেও ক্ষমতা হারিয়েছে এলডিএফ, সেখানে দখল নিয়েছে বিজেপি-নেতৃত্বাধীন জোট।ফল প্রকাশের পর প্রতিক্রিয়া জানিয়ে শশী থারুর বলেন, কেরলের গণতন্ত্রের জন্য এটি একটি উল্লেখযোগ্য দিন। তিনি ইউডিএফ-এর সামগ্রিক ফলের প্রশংসা করেন এবং একই সঙ্গে তিরুবনন্তপুরম কর্পোরেশনে বিজেপির ঐতিহাসিক জয়ের কথা স্বীকার করেন। থারুর বলেন, মানুষের রায়কে সম্মান জানানোই গণতন্ত্রের সৌন্দর্য, সে রায় বিরোধীদের পক্ষেও গেলে। তিনি আরও জানান, দীর্ঘদিনের শাসনের বিরুদ্ধে মানুষের পরিবর্তনের ইচ্ছাই এই ফলাফলে প্রতিফলিত হয়েছে। শশী থারুরের কথায়, এলডিএফের ৪৫ বছরের শাসনের বিরুদ্ধে তিনি পরিবর্তনের ডাক দিয়েছিলেন, কিন্তু ভোটাররা অন্য একটি দলকে সেই পরিবর্তনের দায়িত্ব দিয়েছেন। সেটাই গণতন্ত্রের শক্তি।শেষে তিনি বলেন, কংগ্রেস কেরলের মানুষের জন্য কাজ চালিয়ে যাবে এবং ভাল শাসনের পক্ষে তাদের লড়াই অব্যাহত থাকবে।

ডিসেম্বর ১৩, ২০২৫
রাজ্য

দুর্গাপুরে ডাক্তারি ছাত্রী গণ.ধর্ষণ কাণ্ডে মুখ খুললেন পুলিশ কমিশনার, উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য

দুর্গাপুরে ডাক্তারি পড়ুয়া ছাত্রীর উপর গণধর্ষণের অভিযোগ ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ঘটনায় ইতিমধ্যেই পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট। সোমবার বিকেলে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে পুলিশ কমিশনার সুনীল কুমার চৌধুরী বলেন, পুলিশ নির্যাতিতার পরিবারের পাশে আছে। প্রথম দিন থেকেই আমরা তাঁর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। তাঁরা যেন নিরাপদে থাকেন, তার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।কমিশনার আরও বলেন, পুলিশ এই মামলায় নির্যাতিতার পরিবারের সদস্য হিসেবেই কাজ করছে। তাঁরা যেন ন্যায়বিচার পান, সেই লক্ষ্যে দ্রুত তদন্ত চলছে। তিনি জানান, অভিযোগ পাওয়ার পরই একাধিক দল গঠন করে অভিযুক্তদের খোঁজে অভিযান শুরু করা হয়। এখন পর্যন্ত পাঁচজন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উঠে এসেছে।তদন্তের স্বার্থে ঘটনাস্থলের পুনর্নির্মাণ (crime scene reconstruction) করা হয়েছে। অভিযুক্তদের ব্যবহৃত জামাকাপড় ও অন্যান্য সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করে ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। পুলিশের দাবি, তদন্তের প্রতিটি ধাপে নির্যাতিতার পরিবারকে অবহিত করা হচ্ছে।তবে তদন্তের অগ্রগতির বিষয়ে কমিশনার বলেন, মেডিক্যাল রিপোর্ট ও প্রাথমিক ফরেনসিক বিশ্লেষণে জানা যাচ্ছে, ধর্ষণের ঘটনায় মূলত একজন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে নিশ্চিত প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। বাকিদের ভূমিকা এখনও তদন্তাধীন। ফলে গণধর্ষণ অভিযোগের পরিধি নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে। যদিও কমিশনার স্পষ্ট জানান, যে দোষী হবে, তাকে কোনওভাবেই রেয়াত করা হবে না। আইনের পথে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।এই ঘটনার পর দুর্গাপুর জুড়ে উত্তেজনা ছড়ালেও পুলিশ কমিশনার সকলকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ঘটনাকে কেউ রাজনৈতিক রঙ দেওয়ার চেষ্টা করলে, তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এদিন পুলিশ কমিশনার ব্যক্তিগতভাবে নির্যাতিতার বাবা-মায়ের সঙ্গে দেখা করে তাঁদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন। তাঁর কথায়, মেয়েটির সাহসকে আমরা স্যালুট জানাই। এমন অপরাধ যেন আর কেউ করার সাহস না পায়, তার জন্য পুলিশ সর্বোচ্চ পদক্ষেপ নেবে।

অক্টোবর ১৪, ২০২৫
রাজ্য

দুর্গাপুরে ডাক্তারি ছাত্রীর ‘গণধর্ষণ’, তিন অভিযুক্ত গ্রেফতার — সহপাঠীর ভূমিকাও প্রশ্নের মুখে

দুর্গাপুরে কলেজ ছাত্রীকে অপহরণ করে গণধর্ষণের অভিযোগে তীব্র চাঞ্চল্য। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গ্রেফতার করা হয়েছে তিন অভিযুক্তকে। তাঁদের রবিবার দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক ১০ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন।ঘটনাস্থল কলেজ ক্যাম্পাস থেকে মাত্র ৭০০ মিটার দূরে, ঘন ঝোপঝাড়ে ঘেরা এলাকায়। পুলিশ জানায়, সেখানে দীর্ঘদিন ধরেই বসে নেশার ঠেকমদ ও গাঁজা বিক্রির আড্ডা। শনিবার রাতে ওই ঠেকেই ছিলেন তিন অভিযুক্ত। তখনই তাঁরা কলেজের ডাক্তারি ছাত্রী এবং তাঁর এক সহপাঠীকে রাস্তায় হাঁটতে দেখে প্রথমে তরুণীকে উত্ত্যক্ত করতে শুরু করেন। এর পর তাঁকে জোর করে টেনে নিয়ে গিয়ে জঙ্গলে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ।পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনাকালীন তরুণীর মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয় অভিযুক্তরা। পরে তদন্তে ধৃতদের কাছ থেকেই তরুণীর ফোন উদ্ধার হয়েছে। পুলিশ দাবি করেছে, তিন জনের বিরুদ্ধেই প্রত্যক্ষ প্রমাণ মিলেছে। তদন্তকারীদের একটি সূত্র জানিয়েছে, সহপাঠীকে পালিয়ে যেতে দেখে তরুণী কলেজের বন্ধুদের ফোন করেছিলেন। পরে তাঁর বন্ধুরাই ওই সহপাঠীকে ঘটনাস্থলে ফের যেতে বলেন। এই সময়েই নির্যাতিতাকে ধর্ষণ করা হয় বলে প্রাথমিক তদন্তে ধারণা পুলিশের।ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরেই পুলিশ ওই সহপাঠীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। তাঁর বয়ানেই পুরো ঘটনার প্রাথমিক তথ্য মিলেছে বলে সূত্রের খবর। তরুণীর সঙ্গে কথা বলেছেন ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট রঞ্জনা রায়।কলেজ কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, রাত ৭টা ৫৮ মিনিটে সহপাঠীর সঙ্গে ক্যাম্পাস থেকে বেরিয়েছিলেন তরুণী। ৮টা ৪২ মিনিটে সহপাঠী একা ফিরে আসেন, গেটের কাছে কিছুক্ষণ ঘোরাঘুরি করে ফের বাইরে যান। পরে রাত ৯টা ২৯ মিনিটে দুজন একসঙ্গে কলেজে ফেরেন। ৯টা ৩১ মিনিটে তরুণী নিজের হস্টেলে ফিরে যান।অভিযোগ, তরুণীর বাবার দাবি অনুযায়ী, তাঁর মেয়েকে বাইরে নিয়ে গিয়েছিলেন সেই সহপাঠীই, এবং ধৃত তিন জন ওই ছাত্রেরই বন্ধু। তাঁর কথায়, রাত ১০টার দিকে ওর বন্ধু ফোন করে জানায়, আমার মেয়েকে ধর্ষণ করা হয়েছে। ওর এক বন্ধু ওকে খেতে নিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু যখন দু-তিন জন মেয়েকে ঘিরে ধরে, তখন ওর বন্ধুটি পালিয়ে যায়।এখনও পর্যন্ত তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে পুলিশ মনে করছে, ঘটনায় আরও কয়েক জন যুক্ত থাকতে পারে। তাঁদের খোঁজে চলছে তল্লাশি অভিযান

অক্টোবর ১২, ২০২৫
দেশ

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দুর্গাপুরে ৫০০০ কোটির বেশি মূল্যের প্রকল্পের সূচনা করবেন

আগামীকাল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দুর্গাপুরে তেল ও গ্যাস, বিদ্যুৎ, সড়ক ও রেল খাতে একাধিক উন্নয়নমূলক প্রকল্পের শিলান্যাস, উদ্বোধন ও জাতির উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করবেন।১৯৫০ কোটি টাকার বেশি অর্থ বরাদ্দে তেল ও গ্যাস পরিকাঠামোয় প্রধানমন্ত্রী বাঁকুড়া ও পুরুলিয়া জেলায় ভারত পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন লিমিটেড (BPCL)-এর সিটি গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন (CGD) প্রকল্পের শিলান্যাস করবেন। এই প্রকল্পের মাধ্যমে ঘরোয়া, বাণিজ্যিক ও শিল্পগ্রাহকদের PNG সংযোগ প্রদান করা হবে, রিটেল আউটলেটে CNG উপলব্ধ থাকবে এবং এই অঞ্চলে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে।প্রধানমন্ত্রী দুর্গাপুর-হলদিয়া প্রাকৃতিক গ্যাস পাইপলাইনের দুর্গাপুর থেকে কলকাতা পর্যন্ত ১৩২ কিমি দীর্ঘ অংশটিও জাতির উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করবেন, যা প্রধানমন্ত্রী উর্জা গঙ্গা (PMUG) প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত জগদীশপুর-হলদিয়া ও বোকারো-ধামরা পাইপলাইন প্রকল্পের অংশ। আনুমানিক ১,১৯০ কোটি টাকার এই প্রকল্পটি পূর্ব বর্ধমান, হুগলি ও নদিয়া জেলার মধ্যে দিয়ে গিয়েছে। স্থানীয়দের জন্য এই পাইপলাইন নির্মাণকালে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে এবং এখন লক্ষাধিক পরিবারকে প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহে সহায়তা করবে।পরিবেশবান্ধব শক্তি উৎপাদনের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী দুর্গাপুর স্টিল থার্মাল পাওয়ার স্টেশন এবং রঘুনাথপুর থার্মাল পাওয়ার স্টেশনে ফ্লু গ্যাস ডিজালফারাইজেশন (FGD) সিস্টেম সংযোজনের প্রকল্পটিও জাতির উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করবেন, যার আনুমানিক ব্যয় ₹ ১,৪৫৭ কোটি টাকা। এটি এলাকার পরিবেশ ও স্বাস্থ্য সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করবে।রেল পরিকাঠামো উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী পুরুলিয়া জেলার পুরুলিয়া-কোটশিলা রেললাইন দ্বিগুণ করার ৩৬ কিমি দীর্ঘ প্রকল্পটিও জাতির উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করবেন, যার ব্যয় প্রায় ৩৯০ কোটি। এই প্রকল্পটি জামশেদপুর, বোকারো ও ধানবাদের শিল্পাঞ্চলের সঙ্গে রাঁচি ও কলকাতার সংযোগ উন্নত করবে, পণ্য পরিবহনের গতি বাড়াবে এবং শিল্প ও ব্যবসার ক্ষেত্রে লজিস্টিক্স সুবিধা উন্নত করবে।সেতু ভারতম প্রকল্পের অধীনে পশ্চিম বর্ধমানের তোপসি ও পাণ্ডবেশ্বরে নির্মিত দুটি রোড ওভার ব্রিজ (ROBs)-এর উদ্বোধনও প্রধানমন্ত্রী করবেন, যার মোট ব্যয় প্রায় ৩৮০ কোটি টাকা। এই সেতুগুলি রেল লেভেল ক্রসিংয়ে দুর্ঘটনা রোধ এবং এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে সহায়তা করবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দুর্গাপুরে তেল ও গ্যাস, বিদ্যুৎ, সড়ক ও রেল খাতে একাধিক উন্নয়নমূলক প্রকল্পের শিলান্যাস, উদ্বোধন ও জাতির উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করবেন

জুলাই ১৭, ২০২৫
রাজ্য

এলাকায় মদের দোকান তৈরির প্রতিবাদে গাইঘাটার ইছাপুরে বিক্ষোভ গ্রামবাসীদের

উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটা থানার ইছাপুরে গোল্ডেন রেস্টুরেন্ট নামে একটি দোকানের উদ্বোধন হচ্ছিল। এলাকাবাসীর দাবি মানুষকে বোকা বানাতে রেস্টুরেন্ট বলা হচ্ছে। কিন্তু এখানে হবে মদের দোকান, একটি ট্রেড লাইসেন্স দেখিয়ে এমই দাবি করেন গ্রামবাসীরা। এবং ইছাপুর গ্রামের বাসিন্দারা মিছিল করে এসে দোকানের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। তাদের দাবি, দোকান মালিক পাশের জমির মালিকদের ভুল বুঝিয়ে রেস্টুরেন্ট কাম বারের লাইসেন্স বানিয়েছে।এলাকায় মদের দোকান হলে পরিবেশ নষ্ট হবে, নারী নিরাপত্তায় বিঘ্ন ঘটবে ধ্বংস হবে যুবসমাজ। ফলে তারা কোনভাবেই মদের দোকান হতে দেবেন না। ঘন্টাখানেক বিক্ষোভ চলার পর বিক্ষোভে শামিল হন গাইঘাটার বিজেপি বিধায়ক সুব্রত ঠাকুর । কোনভাবেই এখানে মদের দোকান হতে দেবেন না বলে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিজেপি বিধায়ক। তবে মালিক পক্ষের দাবি, তাদের যেকোনো লাইসেন্স থাকতে পারে। কিন্তু এখানে রেস্টুরেন্টই তৈরি হবে।

জুন ২৮, ২০২৫
রাজ্য

অরিজিৎ সিং বর্ধমানে? শুটিংয়ের জায়গা খুঁজতে গেলেন বাংলা সিনেমার গ্রামে

মঙ্গলবার ঠিক সন্ধ্যা ৬ টা নাগাদ অরিজিৎ সিং এলেন পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের মৌখিড়া জমিদার বাড়ির কাছে। ঘুরে দেখলেন জেলার একমাত্র জঙ্গল মহলের কালিকাপুর রাজবাড়িও। ছবি তুললেন রাজবাড়ির পুরোহিত পিগলু ওরফে গোপাল চক্রবর্তীর সঙ্গে। তাকে নিরাপত্তাহীন জঙ্গলের বিভিন্ন রাস্তায় ঘুরতে দেখে অবাক হন অনেকে। শোনা যায় সম্প্রতি অরিজিৎ সিং বোলপুরে এসেছেন এবার এলেন আউশগ্রামে হঠাৎই। জনপ্রিয় গায়ক অরিজিৎ সিং একটি নতুন ছবির শুটিংয়ের জন্য রেকি করতে এসেছেন বলে জানান চিত্রনাট্যকার, লেখক, আউশগ্রামের ভূমিপুত্র রাধামাধব মণ্ডল। তিনি আরও জানান, যে তিনি ইলামবাজার সংলগ্ন অঞ্চলে শুটিংয়ের জন্য বিভিন্ন জায়গা খুঁজছেন বেশ কয়েক দিন ধরেই। তাঁকে এদিন হঠাৎ করে আউশগ্রামের রাস্তায় দেখেই চমকে ওঠেন সকলে। যদিও তাঁর আশার বিষয়টি ছিল সম্পূর্ণ গোপনীয়।

জুন ২৬, ২০২৫
রাজ্য

জলমগ্ন একাধিক গ্রাম, জল ছাড়ছে ডিভিসি, দুর্গাপুর ব্য়ারেজ পরিদর্শন সেচমন্ত্রীর

দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে মঙ্গলবার থেকে ভারি বৃষ্টিপাত চলছে। পাঞ্চেত, মাইথন থেকে জল ছাড়ার পরে দুর্গাপুর ব্যারাজ থেকেও যথারীতি জল ছাড়া শুরু হয়েছে। আজ, শুক্রবার ৪৬ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে বলে সেচমন্ত্রী মানস ভুঁইয়া জানিয়েছেন। সেচমন্ত্রী মানস ভুইয়া দুর্গাপুর ব্যারাজের সংস্কারের কাজের পর চালু ব্যারাজ রাস্তা পরিদর্শনে আসেন। সেচমন্ত্রী বলেন, ৪৫ দিনের মধ্যেই কাজ শেষ করা হয়েছে। বর্ষা এসে গিয়েছে। ফলে বাকি যেসব কাজ রয়েছে তা বর্ষার পরেই শুরু হবে।দুর্গাপুর ব্যারাজের পরিদর্শনের সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সেচমন্ত্রী বাংলার প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারের ইচ্ছাকৃত বঞ্চনার কথা তুলে ধরেন। সেচমন্ত্রী বারবার বলেন, কেন্দ্রীয় সরকারের যে দায়িত্ব রয়েছে তা পালন করছে না এবং রাজ্যের হকের টাকা কেন্দ্র দিচ্ছে না। তাই ড্রেজিং করা সম্ভব হচ্ছে না। রাজ্য ও ডিভিসির মধ্যে বারবার জল ছাড়া নিয়ে যে বিতর্ক দেখা দেয় তা নিয়ে কোন মন্তব্য না করে সেচমন্ত্রী বলেন, এই মুহুর্তে এই বিতর্কে যাব না। ৪৫ দিনের মধ্যেই কাজ শেষ করা হয়েছে। মাঝে ছয় দিন প্রচন্ড বৃষ্টি হয়েছিল বলে কাজে কিছু অসুবিধা দেখা দিয়েছিল। তবু কাজ ৪৫ দিনের মধ্যেই শেষ করা গিয়েছে। হায়দ্রাবাদ থেকে রাবার সিল আসছে তা দিয়ে কাজ করা হবে।সেচমন্ত্রী বলেন, দেড় মাস দুর্গাপুর ব্যারাজে জল ধরে রাখা হয়। এরপরে দুর্গাপুর, মাইথন ও পাঞ্চেত নিয়ে একটি সেল গঠন করা হয়েছে এবং মনিটরিং করা হচ্ছে জল ছাড়া নিয়ে যেন মানুষের ক্ষতি না হয়। সেচমন্ত্রী বলেন, প্রচন্ড বৃষ্টি হচ্ছে এবং বিভিন্ন জেলা এবং ঝাড়খণ্ডের জল নামছে ফলে সমস্ত বিষয়ের উপরে নজর রাখা হয়েছে।তেনুঘাট নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে সেচমন্ত্রী বলেন, মুখ্যমন্ত্রী, সেচ দপ্তরের কর্তারা এবং আমি নিজে বারবার কথা বলেছি। তেনুঘাটকে নিয়ন্ত্রণে রেখে অপারেট করা যায়।সেচমন্ত্রী একাধিকবার বলেন, মুখ্যমন্ত্রী এবং সেচ দপ্তর মাইথন, পাঞ্চেত এবং দুর্গাপুর ব্যারাজের জল ছাড়া নিয়ে নজর রেখেছেন । আজ ৪১ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। বন্যার যন্ত্রণা যাতে পেতে না হয় তার প্রতি সজাগ রয়েছেন প্রশাসনিক কর্তারা এবং আজ বাঁকুড়ায় আসছেন পরিস্থিতি নিয়ে আলচনা করতে। রাস্তার বিষয় নিয়ে তিনি বলেন, পি ডাব্লু ডিকে নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বৃষ্টি কমলেই।সেচমন্ত্রী ব্যারাজগুলির গভীরতা কমে যাওয়ার জন্য কার্যত কেন্দ্রীয় সরকারের টাকা না দেওয়ার কথা তুলে ধরেন। সেচমন্ত্রী বলেন, ১২ বছর ধরে কেন্দ্রের জলসম্পদ দপ্তর, প্রধানমন্ত্রীকে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার দেখছি দেখছি করে পার করে দিচ্ছে কিন্তু রাজ্যের হকের টাকা দিচ্ছে না। সেচমন্ত্রী বিজেপি সরকারের বাংলাকে বঞ্চনা করার কথা তুলে ধরেন। বন্যার প্রসঙ্গে সেচমন্ত্রী বলেন, আমরা প্রার্থনা করছি যেন বন্যার মুখে পড়তে না হয় কিন্তু দেড় মাস জল ধরে রাখা হয় আর তারপরে রয়েছে প্রচন্ড বৃষ্টি, ফলে জলের চাপ বাড়ছে, সেদিকেই নজর রাখতে হচ্ছে।দুর্গাপুর ব্যারাজের এক নম্বর গেটে বেশ কিছু সমস্যা দেখা দিয়েছে । সাংবাদিকেরা এ নিয়ে সেচমন্ত্রীকে প্রশ্ন করলে সেচমন্ত্রী বলেন, সব দিক নজরে রাখা হয়েছে, সংস্কার হবে। তিনি এরপরে আবার বলেন, কেন্দ্রিয় সরকারের কাছ হতে এক কানা কড়ির সাহায্য পাইনি। মুখ্যমন্ত্রী নিজের রাজ্যের কোষাগার থেকেই খরচ করে কাজ করছেন। তিনি এরপরেই পরিসংখ্যান তুলে ধরেন কিভাবে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সীমিত আর্থিক ক্ষমতায় এবং কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনার পরেও কাজ করে চলেছেন। সেচমন্ত্রী জোড়ের সাথে বলেন, একটা নয়া পয়সা কেন্দ্রের সরকার দেয় নি। তবু একের পর এক কাজ হচ্ছে এবং এটাও করা হবে।

জুন ২০, ২০২৫
কলকাতা

মহিলার গোপন ছবি নিয়ে ব্ল্যাকমেল, গ্রেফতার যুবক

এক মহিলার গোপন ছবি ভাইরাল করার অভিযোগে এক ফটোগ্রাফারকে গ্রেফতার করল নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ৷ হালতু এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে৷ ধৄতকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ৷ তার মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ৷ তা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে বলে পুলিশ সুত্রে জানা গিয়েছে।নরেন্দ্রপুর থানা এলাকার বাসিন্দা এক তরুণীর সাথে আলাপ হয় হালতুর বাসিন্দা পার্থ দাসের৷ পার্থ পেশায় একজন ফটোগ্রাফার। সোশাল মিডিয়ায় তাদের আলাপ হয়েছিল৷ দুজনেই বিবাহিত। তবে তরুণীর বছর খানেক আগে ডিভোর্স হয়েছে। দুজনের মধ্যে সম্পর্ক হয়। তারা একসাথে একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতেও শুরু করে। যদিও রাতে ঐ বাড়িতে থাকত না যুবক৷ তরুণীর কাছ থেকে ২ লক্ষ টাকাও নেয় বলে অভিযোগ৷ তরুণীর অভিযোগ, দুজনের ব্যক্তিগত শারীরিক সম্পর্কের ছবি ও তরুণীর ছবি ভাইরাল করে দেওয়ার হুমকি দেয়। এমনকি সেই ছবি তার তরুণীর প্রাক্তন স্বামীর কাছেও পাঠায় বলে অভিযোগ৷ এই ঘটনায় ওই তরুণী নরেন্দ্রপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করলে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাকে বারুইপুর মহকুমা আদালতে পেশ করা হবে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানানো হবে বলে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ সুত্রে জানা গিয়েছে ৷

মে ২৫, ২০২৫
রাজ্য

বিয়ে বাড়ির অনুষ্ঠানে চলল গুলি, মৃত যুবক

বিয়ে বাড়ির অনুষ্ঠানে এসে বর পক্ষের সাথে কনে পক্ষের হাতাহাতি, ভাঙচুর বিয়ে বাড়িতে। খুনের অভিযোগ কনে পক্ষের একজনকে।কনে পক্ষের দাবি খুন করা হয়েছে আশিষ বেদ নামে বছর ২০ র এক যুবককে, গুলির শব্দ শোনা গেছে বলে এলাকাবাসীর দাবি। ঘটনাকে ঘিরে দুর্গাপুরের অমরাবতী সংলগ্ন ভ্যামবে কলোনি হরি মন্দির সংলগ্ন এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য। পুলিশ ঘিরে রেখেছে ঘটনাস্থল। গতকাল এই এলাকায় একটি বিয়ে বাড়ির অনুষ্ঠান ছিল, বিয়ে বাড়িতে আসানসোল থেকে বর পক্ষের লোকজন আসার কিছুক্ষন পর বিয়ে বাড়ির ডান্স প্লাটফর্ম এ গান চেঞ্জ করাকে কেন্দ্র করে অশান্তির শুরু, গান চেঞ্জ করতে রাজি হয়নি কনেবাড়ির লোকজন, এরপরই শুরু হয় দু পক্ষের হাতাহাতি, ঠিক এইসময় কনে বাড়ির আত্মীয় আর্টিস্ট বেদকে টেনে হিচড়ে নিয়ে এসে খুনের অভিযোগ কনে বাড়ির লোকজনদের, গুলি করে খুনের অভিযোগও আনছে এলাকার মানুষ। তবে ঠিক কি কারণে এই মৃত্যু তা নিয়ে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। ময়না তদন্তর জন্য আর্টিস্ট বেদের মৃতদেহ দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠায় নিউ টাউনশিপ থানার পুলিশ। গোটা ঘটনার জেরে টানটান উত্তেজনা দুর্গাপুরে ভ্যাঁমবে কলোনি এলাকায়।নিউ টাউনশিপ থানার পুলিশ অক্ষয় বেদ, নামে একজনকে আটক করেছে, আরো কয়েকজনকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে।

মার্চ ১০, ২০২৫
রাজ্য

গাড়ি উল্টে তরুণীর মৃত্যু, শেষমেশ গ্রেফতার বাবলু যাদব, বাকিরা অধরা

রবিবার গভীর রাত্রে পানাগড়ে মর্মান্তিক মৃত্যু হয় হুগলির চন্দননগরের সুতন্দ্রা চট্টোপাধ্যায়ের(২৭)। এই মৃত্যুর ঘটনায় পানাগড়ের কয়েকজন যুবকের বিরুদ্ধে কটুক্তির অভিযোগ ওঠে। যে সাদা রংয়ের গাড়িতে করে ওই যুবতীকে কটুক্তি করার অভিযোগ ওঠে সেই গাড়ির মধ্যে ছিলেন গাড়ির মালিক বাবলু যাদব। রবিবার দুর্ঘটনার পর থেকেই এলাকা ছাড়া বাবলু ও গাড়িতে থাকা বাকিরা। কাঁকসা থানার পুলিশ বাবলু যাদব সহ বাকিদের সন্ধানে মঙ্গলবার বাবলু যাদবের বাড়িতে যায় এসিপি সুমন কুমার জয়সওয়াল। ঘটনার চার দিনের মাথায় বাবলু যাদবকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।অভিযুক্ত বাবলু যাদবকে গ্রেফতার করলেও বাকিরা এখনও অধরা। পুলিশের বিশেষ দল তাকে গ্রেফতার করেছে। আসানসোলের নিঘা থেকে তাঁকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। প্রসঙ্গত, ওই ঘটনায় প্রথমে ইভটিজিংয়ের দাবি করেছিল পরিবার। যদিও পুলিশ ইভটিজিংয়ের তত্ত্ব খারিজ করে দিয়েছে। বরং পুলিশ দাবি করা হয়েছে, দুটি গাড়ির রেষারেষির জেরেই ঘটে দুর্ঘটনা। সুতন্দ্রা চট্টোপাধ্যায়ের মা এদিন বলেছেন, যদিও গ্রেফতার হয়েছে একজন। বাকিদেরও গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করুক। আমি চাই সেদিনের ঘটনায় যাঁরা ছিলেন সবাইকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হোক। পুলিশ কি আগে সেভাবেব তৎপরল হয়নি। ওই গাড়ির একজনকে গ্রেফতার করল। আমি সন্তানহারা হয়েছি। আমি চাই ছেলে বা মেয়ে হোক নির্বিশেষে সুরক্ষা থাকে। নিজের খুশি মত বাইরে বের হতে পারে। কেউ অসুস্থ হলে বাইরে ওষুধ আনতে কেউ যেতে পারবে না। সমাজে নিরাপত্তা পাওয়া তো অধিকার। কেন এই নিরাপত্তা পাব না। প্রত্যেককে নিরাপত্তা দেওয়া হোক।

ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২৫
রাজ্য

পানাগড়ে তরুণীর মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনায় মূল অভিযুক্ত বাবলু যাদব কে? তদন্তে সিআইডি

রবিবার গভীর রাত্রে পানাগড়ে মর্মান্তিক মৃত্যু হয় হুগলির চন্দননগরের সুতন্দ্রা চট্টোপাধ্যায়ের(২৭)। এই মৃত্যুর ঘটনায় পানাগড়ের কয়েকজন যুবকের বিরুদ্ধে কটুক্তির অভিযোগ ওঠে। যে সাদা রংয়ের গাড়িতে করে ওই যুবতীকে কটুক্তি করার অভিযোগ ওঠে সেই গাড়ির মধ্যে ছিলেন গাড়ির মালিক বাবলু যাদব। রবিবার দুর্ঘটনার পর থেকেই এলাকা ছাড়া বাবলু ও গাড়িতে থাকা বাকিরা। কাঁকসা থানার পুলিশ বাবলু যাদব সহ বাকিদের সন্ধানে মঙ্গলবার বাবলু যাদবের বাড়িতে যায় এসিপি সুমন কুমার জয়সওয়াল। ঘটনার দুদিন কেটে গেলেও এখনও বাবলু যাদবকে গ্রেফতার না করায় ক্ষোভ বাড়ছে এলাকার বাসিন্দাদের। কেন এই বাবলু যাদব কে এখনও পর্যন্ত পুলিশ গ্রেপ্তার করতে পারছে না? সেই নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে।কে এই বাবলু যাদব ?স্থানীয় সূত্রে খবর, উত্তরপ্রদেশ থেকে প্রায় দশ বছর আগে পানাগড়ে আসে বাবলু যাদব। পানাগড় বাজারের কাওয়ারি মার্কেটে এক ব্যক্তির দোকানে কাজ শুরু করে। সেখান থেকে পরে লোহার যন্ত্রাংশ অল্প পরিমাণে কেনা বেচার ব্যবসা শুরু করে। মূলত ছোট এবং বড় গাড়ির স্প্রিং পাতির ব্যবসা করতো বাবলু। পরে এই ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত এক বাংলাদেশের ব্যবসায়ীর সঙ্গে তার যোগাযোগ হয়। পানাগড়ে কাওয়ারি মার্কেটে মূলত পুরনো গাড়ির স্পেয়ার পার্টস কেনা বেচার বিরাট এলাকা জুড়ে ব্যবসা চলে। অবৈধ গাড়ির কেনা বেচা হয় সমস্তটাই পুলিশের নজর এড়িয়ে। মূলত এখানে ভিন রাজ্য থেকে বড় এবং ছোট গাড়ি কিনে এনে সেগুলিকে কাটাই করে তার সমস্ত যন্ত্রাংশ আলাদা করার পর লোহার কেজি দরে বিক্রি করা হয়। সেখান থেকেই গাড়ির স্প্রিং পাতি কিনে সেগুলি অবৈধভাবে বাংলাদেশ পাচার করত বাংলাদেশী এক ব্যবসায়ীর হাত ধরে। এই ব্যবসা শুরু করার পর মাত্র দু বছরের মধ্যে রীতিমত ফুলে ফেঁপে ওঠে এই বাবলু যাদব। কাওয়ারি মার্কেটের মধ্যে একজন বড় ব্যবসায়ী হিসেবে তার পরিচিতি বাড়ে। স্প্রিং পাতির ব্যবসার সাথে চোরাই গাড়ি ও পুরনো গাড়ি কিনে সেগুলি বেআইনিভাবে কাটাই করে শুরু হয় আরো একটি ব্যবসা। পুলিশের নজর এড়িয়ে রমরমিয়ে চলতো তার ব্যবসা। গত এক বছর আগে ভিন রাজ্য থেকে একটি লরি কিনে এনে পানাগড় বাইপাসের ধারে একটি ফাঁকা জায়গায় লরিটি কাটাই করার সময় বুদবুদ থানার পুলিশ অভিযান চালিয়ে হাতেনাতে ধরে। বাবলু যাদবের নামে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। বুদবুদ থানার পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয় বাবলু যাদব ও তার সঙ্গী সাথীরা। বাজেয়াপ্ত হয় ভিন রাজ্যের একটি গাড়ির বিভিন্ন পার্টস ও লরির যন্ত্রাংশ।আদালতে পেশ করার পর তারা পরে জামিনে মুক্তি পায়। রবিবার গভীর রাত্রে সেই বাবলু যাদব গাড়ির মধ্যে ছিলেন বলে দাবি করেছেন এসিপি সুমন কুমার জয়সওয়াল। যদিও এসিপি জানিয়েছেন তারা বাবলু যাদবকে শীঘ্রই গ্রেফতার করবে। অন্যদিকে মঙ্গলবার কাঁকসা থানার ঘটনার তদন্তে নামে সিআইডি আধিকারিকরা। এদিন কাঁকসা থানায় আটক হওয়া দুর্ঘটনাগ্রস্থ দুটি গাড়ি খতিয়ে দেখার পাশাপাশি গাড়ি দুটির ছবি ও নমুনা সংগ্রহ করেন সিআইডি আধিকারিকরা। পাশাপাশি পানাগড়ের রাইস মিল মোরে দুর্ঘটনাস্থল খতিয়ে দেখেন তারা। এদিন কাঁকসা থানার পুলিশ আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে গিয়ে গোটা এলাকা ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে দেয়। ঘটনাস্থলে মোতায়েন করা হয় দুই সিভিক ভলেন্টিয়ারকে। যদিও এদিন পুলিশের পক্ষ থেকে সিআইডির হাতে অফিসিয়ালি কোনও তদন্তভার তুলে দেওয়া হয়নি বলে তারা জানিয়েছেন। অন্যদিকে মঙ্গলবার বিকেলে কাঁকসা থানায় আসেন আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের ডিসিপি ইস্ট অভিষেক গুপ্তা। এদিন তিনি দুর্ঘটনা গ্রস্থ গাড়ি দুটি খতিয়ে দেখেন। এদিন সাংবাদিকরা ডিসিপি-কে ঘটনার সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করতে গেলে। সাংবাদিকদের উপর ক্ষুব্ধ হন ডিসিপি অভিষেক গুপ্তা।এদিন তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন, যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে তাদেরকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি শুধুমাত্র মিডিয়া সন্ত্রাসের কারণে। মিডিয়ায় খবর দেখে সকলে গা ঢাকা দিয়েছে। তার দাবি, সংবাদ মাধ্যমে সোমবার সকাল থেকে যে খবর দেখানো হয়েছে তা সত্য নয়। সোমবার আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের সিপি দাবি করেন কোনরকম ইভটিজিংয়ের মতো ঘটনা ঘটেনি। রেষারেষির কারণেই দুর্ঘটনা ঘটে। সেই কথা মঙ্গলবার বিকেলে কাঁকসা থানায় এসে ফের দাবি করেন ডিসিপি।পুলিশ জানিয়েছে, ১০৫ ও ৩০৪ ধারায় মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।গত রবিবার গভীর রাত্রে হুগলির চন্দননগর থেকে সুতন্দ্রা চ্যাটার্জি একটি ছোট গাড়িতে করে চালকসহ পিছনে তিনজনকে সাথে নিয়ে বিহারের গয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন। সেখানে তাদের একটি নাচের অনুষ্ঠান ছিল। বুদবুদের আগে জাতীয় সড়কের ধারে একটি পেট্রোল পাম্পে তারা গাড়িতে তেল ভরার পর। জাতীয় সড়ক ধরে আসানসোলের দিকে যাওয়ার সময় একটি সাদা রঙের ছোট গাড়ি থেকে ৫ জন যুবক তাদের কটুক্তি করে বলে অভিযোগ ওঠে। দুটি গাড়ির মধ্যে কয়েকবার সংঘর্ষ হয়। এরপরই সাদা গাড়িতে থাকা পানাগড়ের বাসিন্দাদের গাড়ি ধাওয়া করে সুতন্দ্রার চার চাকাটি। পানাগড় বাজারের রাইস মিল রোডে সাদা গাড়িটি রাইস মিল রোডে ঢোকার মুখে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। সেখানে দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই মারা যায় সুতন্দ্রা।

ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২৫
রাজ্য

মদ্যপ যুবকদের গাড়ির তাড়াতে দুর্ঘটনায় মৃত্য যুবতীর, পুলিশের পাল্টা দাবি!

নারী সুরক্ষা নিয়ে বড়সড় প্রশ্নের মুখে রাজ্য। এবার জাতীয় সড়কে তরুণীর গাড়ি লক্ষ্য করে ধাওয়া মদ্যপ যুবকদের। পালাতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায় তরুণীদের গাড়িটি। গুরুতর জখম হয়ে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয় হুগলির চন্দননগরের বাসিন্দা ওই তরুণীর। যদিও আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের দাবি, দুটি গাড়ি রেষারেষি করছিল। কটূক্তি বা তাড়া করার বিষয়টি মানতে চায়নি পুলিশ।চন্দননগরের বাসিন্দা সুতন্দ্রা চট্টোপাধ্যায়। পেশায় একটি ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সংস্থার কর্মী সুতন্দ্রা। রবিবার মাঝ রাতে তাঁর সহকর্মীদের নিয়ে একটি গাড়ি করে চন্দননগর থেকে গয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দেন সুতন্দ্রা। সুতন্দ্রাদের গাড়ি চালকের দাবি, পূর্ব বর্ধমানের বুদবুদে পৌঁছে তেল ভরার জন্য তাঁরা একটি পেট্রোল পাম্পে গিয়েছিলেন। পেট্রোল পাম্প থেকে তেল ভরার পরেই তাঁদের গাড়িকে ধাওয়া করে অন্য একটি গাড়ি।সেই গাড়িতে ছিল পাঁচ যুবক। ওই যুবকরা প্রত্যেকে মদ্যপ অবস্থায় ছিল বলে অভিযোগ। সুতন্দ্রাকে তারা কটুক্তি করতে থাকে, এরপরই সুতন্দ্রাদের গাড়ি ধাওয়া করতে শুরু করে যুবকদের গাড়িটি। কোনওক্রমে গাড়ি নিয়ে পালাতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি রাস্তার পাশের দোকানে ধাক্কা মারে সুতন্দ্রাদের গাড়ি। মুহূর্তের মধ্যে গাড়িটি উল্টে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় এবার সুতন্দ্রা চট্টোপাধ্যায়কে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। সুতন্দ্রাদের গাড়িতে থাকা প্রত্যেকেই চোট পেয়েছেন।পরবর্তী সময়ে ঘটনার খবর পেয়ে হাসপাতালে যায় পুলিশ। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে কাঁকসা থানার পুলিশ। তবে অভিযুক্তরা এখনও অধরা রয়েছে। জাতীয় সড়কের CCTV ফুটেজ খতিয়ে দেখে অভিযুক্তদের শনাক্ত করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। এদিকে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজ্যে নারী সুরক্ষা নিয়ে ফের বড়সড় প্রশ্ন উঠে গিয়েছে।পেট্রোল পাম্প থেকেই বারে বারে সাদা গাড়িটি আমাদের গাড়িটিকে ওভারটেক করে। যখন তেল ভরে পেট্রোল পাম্প থেকে গাড়ি নিয়ে বেরোতে যায় তখনই আমাদের গাড়িটিকে বাঁ দিকে চেপে দেয় কিছু দূর গিয়ে আচমকা ব্রেক কষে। তরুণী মৃত্যুতে বিস্ফোরক বয়ান গাড়ির চালকের। দুর্ঘটনার পর ওই গাড়ি চালক দাবি করেন, পেট্রোল পাম্প থেকে বেরোনোর পরেই ওদের গাড়িটা আমাদের গাড়িতে এসে ধাক্কা দেয়। ম্যাডামের দিকে হাত নেড়ে অশ্লীল ইঙ্গিত করছিল ওরা। আমি গাড়ি থামালে ওরা ম্যাডামকে নামিয়ে তুলে নিয়ে চলে যেতে পারত। এদিকে গোটা ঘটনায় অভিযুক্তের কঠোর শাস্তির দাবি করেছে মৃতার মা। মাত্র ৮ মাস আগেই স্বামীকে হারিয়েছেন। এবার পথদুর্ঘটনায় মেয়ের মৃত্যুতে স্বাভাবিক ভাবেই বাকরুদ্ধ। হুগলির চন্দননগরের ২ নম্বর ওয়ার্ডের নাড়ুয়া রায়পাড়ার পুরোনো দোতলা বাড়িতে আজ শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সরু একচিলতে গলির ধারে বাড়িটির বাইরে এলাকার মানুষজন এবং মিডিয়ার ভিড়। নিজস্ব ট্রুপ নিয়ে প্রোগ্রাম করতে বেরিয়েছিলেন ওই বাড়ির মেয়ে বছর ২৭ এর সুতন্দ্রা চট্টোপাধ্যায়। গন্তব্য ছিল গয়া। গতকাল রাতেই ঘটে যায় মর্মান্তিক দুর্ঘটনা।

ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২৫
রাজ্য

মালদার সরকারি হাসপাতাল চত্বরে আগুন, ধোঁয়া, আতঙ্কে ওয়ার্ডের বাইরে বেরিয়ে যায় রোগীও

হরিশ্চন্দ্রপুরে সরকারি গ্রামীণ হাসপাতালে জঞ্জাল থেকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ালো । এমনকি আগুনের ধোঁয়ায় ওই সরকারি হাসপাতালে বিভিন্ন ওয়ার্ডে চরম অস্বস্তিতে পড়ে রোগী ও তাদের আত্মীয়েরা। পাশাপাশি কর্তব্যরত চিকিৎসক, নার্সদেরও সমস্যায় পড়তে হয়। মঙ্গলবার দুপুরে এই ঘটনার পর দমকলের একটি ইঞ্জিন এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ওই হাসপাতালের জৈব বজ্র ব্যবস্থাপনার জায়গা থেকেই এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটে বলে জানা গিয়েছে।সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, এই হাসপাতালের পাশেই জমে রয়েছে আবর্জনার স্তুপ। সেখানেই কোনও ভাবে আগুন লেগে যায়। তারপরে বিষাক্ত ধোঁয়ায় ঢেকে যায় সমগ্র ওয়ার্ড। ধোঁয়ার বীভৎসতায় প্রসূতি থেকে শুরু করে অন্যান্য রোগীরা ওয়ার্ডের বাইরে বেরিয়ে যেতে শুরু করে। ছড়িয়ে পড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য। চিকিৎসক নার্সরা চেষ্টা করেন রোগীদের সুরক্ষিত ভাবে বাইরে বের করার। তারাও শ্বাসকষ্টের কারণে সাময়িক ভাবে অসুস্থ বোধ করেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের নজরে আসে আগুন। সেই আগুন নেভানোর চেষ্টা শুরু হয়। খোঁজ দেওয়া হয় দমকল কে। তারপর কিছু ক্ষণের মধ্যে স্বাভাবিক হয়ে পরিস্থিতি। যদিও ব্লক স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এই হাসপাতালে জৈব বজ্র ব্যবস্থাপনা রয়েছে। সেখান থেকে আবর্জনা বের করার সময় বা নিয়ে যাওয়ার সময় বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে। সেই জায়গায় কেউ ধূমপান করে ফেলার ফলে বা অন্য কোনো কারণে আগুন লেগে গিয়েছিল। হরিশ্চন্দ্রপুর ১ ব্লকের ভারপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ ছোটনমন্ডল জানিয়েছেন, হাসপাতালের জঞ্জাল মজুত রাখার জায়গাতেই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটেছিল। ক্ষয়ক্ষতি হয়নি, তবে সাময়িক একটা সমস্যা তৈরি হয়েছিল। সেই আগুন নিয়ন্ত্রণ করে দমকল।

ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২৫
রাজ্য

নুরুল নাম বদলে নারায়ণ! দত্তপুকুরে গ্রেফতার দুই বাংলাদেশি, শুরু জোরদার তদন্ত

নুরুল এদেশে এসে হয়ে গিয়েছে নারায়ণ। টাইটেল হয়েছে অধিকারী। বাংলাদেশি এই নুরুলের দোসর শেখ রফিকুল ইসলামকেও গ্রেফতার করেছে পলিশ।গোপন সূত্রে খবর পেয়ে, উত্তর ২৪ পরগনার বামনগাছি থেকে ২ বাংলাদেশি যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল সন্ধ্যায় এই দুই যুবককে দত্তপুকুর থানার পুলিশ গ্রেপ্তার করে। ধৃত ২ যুবকের নাম নুরুল ইসলাম এবং শেখ রফিকুল ইসলাম। দুজনই বাংলাদেশের বাসিন্দা বলেই খবর। সূত্রের খবর, ভুয়ো শংসাপত্র তৈরি করে দীর্ঘদিন যাবত দত্তপুকুর এলাকায় বাস করছিলেন তারা। ২ যুবকের মধ্যে নুরুল ইসলাম সরাসরি নিজের নাম পরিবর্তন করে নিজের নাম নারায়ণ অধিকারী রূপে ভারতীয় সংসাপত্র তৈরি করেন। ইতিমধ্যেই দত্তপুকুর থানার পুলিশ ধৃত ২ যুবকের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলার রুজু করে তাদের বারাসাত জেলা আদালতে পাঠিয়েছে। এই দুই বাংলাদেশি এখানে কেন বসবাস করছিল, খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তারওপর আবার নুরুল ইসলাম যখন নারায়ণ অধিকারী হয়।

জানুয়ারি ১৩, ২০২৫
রাজ্য

দামোদরে ইলিশ! খুশির হাওয়া দক্ষিণবঙ্গে। এবার কি নিয়মিত পাওয়া যাবে? প্রশ্ন মুখে মুখে

দক্ষিণবঙ্গে খুশির হাওয়া, পূর্ব বর্ধমান জেলায় দামোদরে জেলের জালে ধরা দিলো রুপালী সুন্দরী। শুক্রবার পূর্ব বর্ধমান জেলার জামালপুরে দামোদরে এক জেলের জালে উঠলো প্রায় ১ কেজি ১০০ গ্রামের ইলিশ। স্থানীয় সুত্রে জানা যায় প্রায় ২০ বছর পর জামালপুরের দামোদরে ধরা পড়লো ইলিশ। দামোদরের জলে পাওয়া রূপালী সুন্দরীকে দেখতে স্থানীয় মানুশের ভিড় জমে যায়। কোন পথে জামালপুরে ইলিশ দামোদরে পৌছলো তা নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ চলছে মৎস্য বিশেষজ্ঞ মহলে। নোনা জলের কুলীন মাছ দামোদরের মিষ্টি জলে চলে কোন পথে এল? কেউ কেউ জানাচ্ছেন জামালপুরে থেকে ভাগ হয়ে যাওয়া মুন্ডেশ্বরী নাব্যতা বেড়ে যাওয়ায় জল প্রবাহ বেশী হওয়ায় ইলিশের গতিপথ হয়ত সুগম হয়েছে। দুর্গাপুর ব্যারেজ হয়ে প্রবাহিত দামোদর তার গতিপথ পূর্ব বর্ধমান জেলার জামালপুরের কাছে জ্যোতসিরাম থেকে পরিবর্তন করে এবং তারপরে দুটি চ্যানেলে বিভক্ত হয়ে যায়। একটি দামোদর চ্যানেল (আমতা চ্যানেল নামেও পরিচিত) এবং অপরটি কঙ্কা-মুন্ডেশ্বরী চ্যানেল। মূল চ্যানেলটি শেষ পর্যন্ত হুগলি নদীর (গঙ্গা) সাথে মিলিত হয়ে শেষ পর্যন্ত বঙ্গোপসাগরে মিলিত হয়েছে।বিশিষ্ট মৎস্য চাষী বৃন্দাবন ঘোষ জানান, যেহেতু গঙ্গা হয়ে বঙ্গোপসাগরে পড়েছে সেক্ষেত্রে বর্ধমান জেলায় দামোদরে ইলিশ পাওয়া খুব একটা আশ্চর্যের বিষয় নয়। গলসি এলাকার দামোদরের পাড়ের বাসিন্দা শিল্পী সুব্রত বৈরাগি জনতার কথাকে জানান, এই এলাকার অনেক জেলে আছেন যারা নিয়মিত ভাবে দামোদরের জলে মাছ ধরে থাকেন। তাদের মধ্যে কয়েকজন দামোদরে ইলিশ পেয়েছেন তবে তার কোনটায় ৪৫০-৬০০ গ্রামের বেশী নয়। সুব্রত আরো জানান, তবে নিয়মিত ভাবে ইলিশ এখানে পাওয়া যায় না।হটাৎ হাজির হওয়া অতথি কে দেখতে শুক্রবার সকালে জামালপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকার মাছের আড়তে ভিড় জমে যায়। দক্ষিণবঙ্গে টানা বৃষ্টিতে কয়েক দিন আগেই ডিভিসি-র জলাধার থেকে ব্যাপক জল ছাড়ার ফলে বানভাসি হয় জামালপুরের বিভিন্ন এলাকা। মাছ সবসময় স্রোতের বিপরীতে ভেসে বেড়ায়। এখন জামালপুরে ইলিশ ধরার পড়ায় মনে করা হচ্ছে দূর্গাপুরের ডিভিসি-র ব্যারেজ থেকে ছাড়া জলের তোড়ে মোহনা থেকে স্রোতে বিপরীতে ভাসতে ভাসতে কিছু ইলিশ জামালপুরের দামোদরে এসে পড়েছে। ইলিশটি ধরা পড়ে তপন বিশ্বাস নামে এক মৎস্যজীবীর জালে। সেই খবরে খুশির হাওয়া জামালপুর সহ দক্ষিণবঙ্গে, খবর চাউর হতেই অনেকেই জাল হাতে নিয়ে দামোদরের পাড়ে হাজির হয়ে পরেন। যদি তার শিকে ছেঁড়ে।স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ইলিশটিকে কিনতে অনেকে ইচ্ছা প্রকাশ করায় মাছের আড়তে নিলাম ডাকেন আড়তদার। ১২০০ টাকা থেকে ডাক শুরু হয়, শেষমেশ ২১০০ টাকায় কেজিতে এসে থামে ডাক। জানাযায় জামালপুরের স্থানীয় বাসিন্দা লক্ষ্মণ বিশ্বাস ওই মাছটি ২,১০০ টাকা কেজি দরে মাছটিকে কিনে নেন। গর্বিত ক্রেতা লক্ষ্মণ বিশ্বাস বলেন, এক কেজি ওজনের জীবন্ত ইলিশ পেয়ে আমি খুবই খুশি। তাই টাকার কথা মাথায় ছিলনা। তায় ২,১০০ টাকায় মাছটি কিনে ফেললাম।স্থানীয় মাছ ব্যবসায়ী এবং আড়তদারেরা জানান, জামালপুর এলাকায় এর আগেও মাছ পাওয়া গেছে। আনুমানিক বছর ২০ আগে দামোদরে ইলিশ পাওয়া যেত। দীর্ঘ ২০ বছর পরে দামোদরের জলে ইলিশ ওঠায় এলাকায় ব্যাপক উৎসাহ দেখা দেয়। জামালপুর ব্লকের মৎস্য সম্প্রসারণ আধিকারিক (FEO) নিত্যানন্দ মণ্ডল জনতার কথাকে জানান, আমি শুনেছি উত্তর মোহনপুর এলাকার মৎস্যজীবী তপন বিশ্বাস মাছটি পেয়েছেন। জামালপুরের বাসস্ট্যান্ডের পাশে মাছের আড়তের আড়তদার প্রভাত পাত্রের আড়তে মাছটি নিলাম হয়েছে। আড়তদার প্রভাত পাত্র বলেন, ভরা বর্ষায় নোনা জল থেকে উঠে এসে মিষ্টি জলে ডিম পাড়তে আসে ইলিস। সেই ভাবেই হয়তো ইলিসটি এসেছিল, এবং কাল্লা এবং জামালপুরের মাঝে ধরা পড়ল। তবে আশার কথা শুনিয়েছেন প্রভাত সহ স্থানীয় মৎস ব্যাবসায়ীরা। তাঁরা বলেছেন, ইলিশ হল ঝাঁকের মাছ। একটি যখন ধরা পড়েছে তখন আগামী কয়েকদিনে আরও মাছ ধরা পড়বে। সেই আশায় দক্ষিণবঙ্গের মৎসপ্রেমী রা।

অক্টোবর ০৫, ২০২৪
উৎসব

নগরবাসীর মঙ্গল কামনায় ঘট উত্তোলনের মাধ্যমে সর্বমঙ্গলা মন্দিরে দুর্গা পুজোর ঢাকে কাঠি পড়ল রাঢ় বঙ্গে

বর্ধমান রাজ পরিবারের প্রথামতই প্রতিবছরের ন্যায় এই বছরেও মহালয়ার পরের দিন প্রতিপদে বর্ধমান শহরের অধিষ্ঠাত্রী দেবী মা সর্বমঙ্গলা ঘট উত্তোলন ও প্রতিষ্ঠার মধ্যে দিয়েই বর্ধমানে আনুষ্ঠানিকভাবে শারদ উৎসবের সূচনা হল। আজ বৃহস্পতিবার প্রতিপদে রূপোর ঘটে রাজপরিবারের প্রতিষ্ঠিত জলাশয় কৃষ্ণসায়ের থেকে জল ভরে নিয়ে আসা হয়। সর্বমঙ্গলা ট্রাস্টি বোর্ডের আয়োজনে বিবিধ বাদ্যযন্ত্রের সমবেত পরিবেশনায় এক্কাগাড়িতে করে ঘট নিয়ে শোভাযাত্রার মাধ্যমে মঙ্গল ঘট মন্দিরে এনে তা প্রতিষ্ঠা করা হয়। বৃহস্পতিবার বর্ধমানে মা সর্বমঙ্গলার ঘট উত্তোলন শোভাযাত্রায় বিভিন্ন জায়গার অসংখ্য মানুশ অংশগ্রহ্নন করেন।কৃষ্ণসায়রের চাঁদনী ঘাট থেকে ঘটে জল ভরে সুসজ্জিত এক্কাগাড়ি করে মন্দিরের উদ্দেশ্যে শুরু হয় শোভাযাত্রা, সেই ঘট রাঢ়বঙ্গের অন্যত্যম অধিষ্ঠাত্রী দেবী সর্বমঙ্গলা মায়ের মন্দিরে আনা হয় তারপর সেই ঘট প্রতিষ্ঠা করে শুরু হয় দেবী সর্বমঙ্গলার দূর্গা পুজোর আবাহন।জানায়ায় ১৭০২ সালে স্বপ্নাদেশ পেয়ে চুনুরীদের কাছে থাকা দেবীর মুর্তীটি বর্ধমান শহরের অদুরে দামোদর নদের পার থেকে উদ্ধার করে বর্ধমানের মহারাজ কীর্তিচাঁদ মন্দিরে প্রতিষ্ঠা করেন। তখন থেকেই বর্ধমানের অধিষ্ঠাত্রী দেবী মা সর্বমঙ্গলার পুজা শুরু হয়। রাঢ়বঙ্গের প্রথম নবরত্ন মন্দির এটি। এই মন্দিরের দুটি প্রবেশদ্বার রয়েছে। পূর্ব দিকের প্রবেশদ্বারটি অধিক পুরাতন। মন্দিরের দক্ষিণ দিকে আরও একটি প্রবেশ দ্বার আছে সেটিকেই প্রধান প্রবেশদ্বার বলা হয়ে থাকে। দক্ষিণ দিকের প্রবেশদ্বারের সামনেই রয়েছে দুটি শিবমন্দির। একটির নাম চন্দ্রেশ্বর। অপরটির ইন্দ্রেশ্বর। কথিত আছে এই দুটি মন্দির-ই বর্ধমানের রাজা চিত্রসেন রায়ের দুই রানি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। সর্বমঙ্গলা মন্দিরের সামনেরদিকে আরও তিনটি উত্তরমুখী শিবের মন্দির আছে। যেগুলির নাম যথাক্রমে রামেশ্বর, কমলেশ্বর এই দুটি মন্দিরের গায়ে টেরাকোটার কাজ লক্ষিত করায়ায়। মন্দিরের শ্বেতপাথরের শিবলিঙ্গ আছে। এই দি মন্দিরের মধ্যে রয়েছে মিত্রেশ্বর শিব মন্দির। যার শিবলিঙ্গ কালো পাথরের।প্রতি বছরই প্রথা মেনে মহালয়ার পরের দিন প্রতিপদে দেবীর ঘট উত্তলোন হয়। এবছরও তার ব্যতিক্রম হয়নি। রাজপরিবারের প্রথা মেনে দশমি অবধি নয় (৯) দিন ধরে চলবে মা সর্বমঙ্গলার পুজো। দৈনন্দিন প্রথা মেনে দুর্গা পুজার দিনগুলিতেও মায়ের নিত্যপুজার কোনও হেরফের হয় না। দেবী অষ্টাদশভূজা সিংহবাহিনী কষ্টিপাথরের খোদাই করা মূর্তি। সুবিশাল রুপোর সিংহাসনে তিনি অধিষ্টাত্রী থাকেন। আগে মহাঅষ্টমীর সন্ধি পুজোয় কামান দাগা হতো, মেষ, মহিষ ও ছাগ বলি হতো বলে জানা যায়। কামান ব্লাস্ট হয়ে বহু মানুষের হতাহতের কারণে বর্তমানে আর কামান দাগানো হয় না। কথিত আছে, সর্বমঙ্গলা মন্দিরের সন্ধিপুজোর কামানের আওয়াজ শুনে আশেপাশের গ্রামগুলির সমস্ত জমিদার বাড়িতে সন্ধিপুজো শুরু হতো। সর্বমঙ্গলা মন্দিরে নবমী তিথিতে নবকুমারী পুজো হয়। নবদুর্গার বিভিন্ন রুপকে নব কুমারী রুপে পুজোর প্রচলন আছে এই মন্দিরে।

অক্টোবর ০৩, ২০২৪
রাজ্য

আরজি কর কাণ্ড, ময়নাতদন্ত নিয়ে ভয়ঙ্কর হুমকি দিয়েছিল কে?

আরজি কর কাণ্ডে এবার বিস্ফোরক অভিযোগ হাসপাতালের ফরেন্সিক মেডিসিনের প্রফেসর অপূর্ব বিশ্বাসের। তাঁর অভিযোগ, ময়নাতদন্ত করার ক্ষেত্রে ভয়ঙ্কর চাপ দেওয়া হয়েছিল। ঘটনার রাতের মধ্যেই যদি ময়নাতদন্ত না হয় তাহলে রক্ত গঙ্গা বইয়ে দেওয়ারও হুমকি দেন নির্যাতিতার এলাকার কোনও এক প্রাক্তন কাউন্সিলর। তিনি হুমকি দিয়েছিলেন আজ রাতের মধ্যেই ময়না তদন্ত করতে হবে। প্রায় সাড়ে ছঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর সিবিআই দফতর থেকে বেরোনোর সময় জানালেন অপূর্ব বিশ্বাস।

সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২৪
বিদেশ

জমাটি বিতর্কের পর ওপারের পদ্মার ইলিশ এবারও পুজোয়! পরিমাণই বা কত?

শেষমেশ নানা টানাপোড়েনের পর ওপারের পদ্মার রূপালী শস্য এপারে আসতে চলেছে। ইলিশ ভারতে রপ্তানি করবে কিনা তা নিয়ে নয়া স্বাধীন বাংলাদেশ-এ বিতর্ক অভ্যাহত। তারই মধ্যে এই ইলিশ পাঠানোর খবর। ইলিশ মানেই যেন এক আলাদা রসনা ত্প্তি! ইলিশের পাতুরি, ইলিশ ভাপা, ইলিশ জাফরানি, মেথি ইলিশ, রসুন নারকেল ইলিশ, ইলিশ হরিয়ালি, ইলিশ বিরিয়ানি, ইলিশ ভর্তা, ইলিশ কোর্মা, ইলিশের টক কি নেই রসনার তালিকায়! দুর্গাপুজোয় রসনাতৃপ্তিতে বাঙ্গালির পাতে ইলিশ চাইই- চাই। তবে এবার বাংলার মাছের বাজার মাত করেছে দক্ষিণ ২৪ পরগণা ও পূর্ব মেদিনীপুরের স্বাদের ইলিশ। এবার দুর্গাপুজোয় পাতে পরতে চলেছে পদ্মার ইলিশ।গত ৫ বছর টানা দুর্গাপুজো উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ থেকে এপার বাংলায় ইলিশ মাছ আমদানি হয়েছে। কিন্তু এবার বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি একেবারে ভিন্ন। শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়েছে। নোবেল জয়ী মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে চলছে বাংলাদেশে তদারকি সরকার। দুর্গা পুজোর মুখে বাঙ্গালির পাতে আদৌ পদ্মার ইলিশ পড়বে কিনা তা নিয়ে যথেষ্ট সংশয় ছিলই। তবে শেষ মুহূর্তে বাংলাদেশের তরফে ৩ হাজার মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানির সবুজ সংকেত দওয়া হয়েছে।এই আমদানিতে স্বভাবতই খুশির হাওয়া এপার বাংলায়। দুর্গাপুজোয় বাংলাদেশ সরকারের কাছে ইলিশ রফতানি করার জন্য আবেদন জানিয়েছিল ফিস ইমপোর্টার অ্যাসোসিয়েশন। সেই আবেদনে সাড়া দিয়েই বাংলাদেশে সরকারের তরফে জানানো হয়েছে ইলিশ রফতানির একাধিক আবেদন পেয়ে সরকারের তরফে তিন হাজার মেট্রিক টন ইলিশ রফতানি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ সরকার।অ্যাসোসিয়েশনের তরফে বাংলাদেশ সরকারের কাছে আবেদন জানিয়ে বলে হয়েছিল, ১৯৯৬ সাল থেকে বাংলাদেশ ইলিশ রফতানি করছে এপার বাংলায়। পেট্রাপোল সীমান্ত থেকে প্রতি বছর গড়ে ৫০০০ মেট্রিক টন ইলিশ আমদানি করা হত। দুর্ভাগ্যবশত ২০১২ সালের জুলাই মাসে হঠাৎ করেই বাংলাদেশ সরকার ইলিশ রফতানি নিষিদ্ধ করে। তারপর আমরা নিষেধাজ্ঞা শিথিল করার জন্য তাদের কাছে চিঠি দিয়েছি কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। তবে গত ৫ বছর ধরে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ থেকে শুরু করে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ পর্যন্ত ইলিশ আমদানি করা হয়।অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সৈয়দ আনোয়ার মকসুদ বলেন, এর আগে বাংলাদেশ সরকার দুর্গাপুজোর সময় ইলিশ মাছ রফতানির অনুমতি দিয়েছে। বিগত ৫ বছর ধরে ইলিশ আসছে এখানে। পশ্চিমবঙ্গ, আসাম এবং ত্রিপুরার মাছ ব্যবসায়ীদের কাছে বাংলাদেশের ইলিশের প্রচুর চাহিদা। মানুষও এই সময় ইলিশের জন্য অপেক্ষা করে থাকে। দুর্গাপুজোর সময় ইলিশ মাছ রফতানির অনুমতি দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছি।অ্যাসোসিয়শনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ২০১৯ সালে ইলিশ এসেছে ৫০০ মেট্রিক টন। তার পরের বছর ২০২০ সালে ইলিশ আমদানি করা হয়েছে ১৮৫০ মেট্রিক টন। ২০২১ সালে ২৬০০ টনের অনুমোদন থাকলেও আমদানি হয়েছে ১২০০ মেট্রিক টন। তার পরের দুবছর ২০২২ ও ২০২৩ সালে আমাদানিকৃত ইলিশের পরিমাণ ছিল ১৩০০ মেট্রিক টন। যদিও এবার সেই সকল পরিসংখ্যানকে টপকে গিয়ে ৩ হাজার মেট্রিক টন ইলিশ রফতানিতে সবুজ সংকেত দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশের তরফে।

সেপ্টেম্বর ২১, ২০২৪
রাজ্য

দুর্গাপুরে কোটি টাকা ছিনতাইয়ে যুক্ত দুই পুলিশ কর্তা! অভিযোগে গ্রেফতার মোট ৬

দিল্লির এক ব্যবসায়ীর এক এজেন্টের কাছ থেকে জাতীয় সড়কে গাড়ি দাঁড় করিয়ে ছিনতাই করা হয় এক কোটি এক লক্ষ টাকা। আর এই ছিনতাই কাণ্ডে জড়িয়ে গেল দুই পুলিশ কর্তা। ছিনতাইয়ের ঘটনায় দুর্গাপুর পুলিশের কর্তা ও সিআইডি দুর্গাপুরের এক কর্তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়াও গ্রেফতার হয় পুলিশের কাজ থেকে বরখাস্ত এক কর্মী। মোট ছয়জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানান অভিষেক গুপ্তা। শনিবার তাদেরকে আদালতে তোলা হবে। ডিসি জানান এখন তদন্ত চলছে, পুলিশ বলে ছাড় দেওয়া হবে না। আইন আইনের পথেই চলবে। এই ঘটনা নিয়ে সকাল থেকেই দুর্গাপুর উত্তাল ছিল। ডিসিপি অভিষেক গুপ্তা বলেন, দিল্লীর এক ব্যবসায়ী এক কোটি এক লক্ষ টাকা নিয়ে সড়কপথে কলকাতা যাচ্ছিল। সেই সময় ডিভিসি মোড়ের কাছে টাকা লুঠ করে দুস্কৃতীরা। যার মধ্যে ছিলেন দুই পুলিশ কর্তা। ডিসিপি বলেন, দিল্লীর ব্যবসায়ীর সাথে যোগাযোগ ছিল যাদের তারাও ছিল এর মধ্যে। কোন টাকা উদ্ধার হয়নি। তদন্ত চলছে তবে ব্যবসায়ীর পরিচিত লোকেরা যুক্ত রয়েছে। আইন আইনের পথেই চলবে কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।

সেপ্টেম্বর ০৬, ২০২৪
রাজ্য

এলাকার উন্নয়নের দাবিতে ভোট বয়কট, অরন্ধন পালন ভোটারদের

এলাকার উন্নয়নের দাবিতে ভোট দিতে গেলেন না এক হাজারেরও বেশি ভোটার। এমনকি অরন্ধন পালন করে গ্রামের রাস্তায় মহিলা ভোটারেরা হাতে এলাকার সমস্যার প্ল্যাকার্ড নিয়ে অবস্থান বিক্ষোভ করলেন। জেলা প্রশাসন এবং নির্বাচন কমিশনের কর্তব্যরত অফিসারেরা ঘটনাস্থলে গিয়ে ভোটারদের বুঝিয়ে ভোটমুখী করতে পারেন নি। মঙ্গলবার লোকসভা নির্বাচনের সময় উত্তর মালদার হবিবপুর ব্লকের মঙ্গলপুরা গ্রাম পঞ্চায়েতের ১২২ নম্বর বুথেই এমন ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই বুথে ১৩৮১ জন ভোটার রয়েছে। তারাই এদিন এলাকার রাস্তা, পরিশ্রুত পানীয় জল সহ একাধিক দাবি নিয়েই ভোট বয়কট করেন। এমনকি মহিলারা ভোটারেরা এদিন সকাল থেকে রীতিমতো অরন্ধন পালন করে অবস্থান বিক্ষোভে সামিল হন। এদিন বিক্ষোভকারী মহিলা ভোটার সুজাতা মন্ডল, রেবতী মন্ডল, দেবিকা হালদারদের বক্তব্য, দীর্ঘদিনের ধরে গ্রামের রাস্তা খারাপ। পানীয় জলের অভাব রয়েছে । পাকা সেতুর অভাবে নদী পথে নৌকা নিয়ে চলাচল করতে হয়। বিগত নির্বাচন গুলিতেও এলাকায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা এসে নানান প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু কোন লাভ হয় নি। তাই এবারে বাধ্য হয়ে ভোট বয়কটের পথে নামতে হয়েছে। এদিন অবস্থান বিক্ষোভের মাধ্যমেই ভোট বয়কট করা হয়। যদিও এদিন এই ঘটনাটি ঘিরে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো রকম প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

মে ০৭, ২০২৪
  • ‹
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
  • 6
  • ›

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

যুবভারতী কাণ্ডে নতুন মোড়, শতদ্রু দত্তের রিষড়ার বাড়িতে হানা বিধাননগর পুলিশের

যুবভারতী কাণ্ডের পর থেকেই রিষড়ার একটি ঝাঁ চকচকে তিনতলা বাড়ি ঘিরে কৌতূহল বেড়েছে। শুক্রবার সকালে সেই বাড়িতেই হাজির হল বিধাননগর পুলিশ। যুবভারতী স্টেডিয়ামে মেসির অনুষ্ঠান ঘিরে হওয়া বিশৃঙ্খলার ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া উদ্যোক্তা শতদ্রু দত্তের এই বাড়িতে এদিন তল্লাশি চালান তদন্তকারীরা। তবে ঠিক কী কারণে এই তল্লাশি, তা নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি পুলিশ আধিকারিকরা।গত ১৩ ডিসেম্বর যুবভারতী স্টেডিয়ামে লিওনেল মেসির অনুষ্ঠান আয়োজনের দায়িত্বে ছিলেন শতদ্রু দত্ত। ওই দিন স্টেডিয়ামে ব্যাপক বিশৃঙ্খলা ছড়ায়। সেই ঘটনার পরই আয়োজক সংস্থার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে এবং পুলিশ শতদ্রুকে গ্রেফতার করে। বর্তমানে তিনি পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন। ঠিক সেই সময়ই শুক্রবার সকালে তাঁর রিষড়ার বাড়িতে পৌঁছে যায় বিধাননগর পুলিশের একটি দল।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দক্ষিণ বিধাননগর থানার পাঁচজন আধিকারিক, তাঁদের মধ্যে মহিলা পুলিশকর্মীও ছিলেন, এদিন সকালে রিষড়ায় যান। প্রথমে তাঁরা রিষড়া থানায় হাজির হন। পরে স্থানীয় থানার পুলিশের সহযোগিতায় বাঙুর পার্ক এলাকায় শতদ্রু দত্তের বাড়িতে যান তদন্তকারীরা। সেই সময় বাড়িতে শুধুমাত্র এক পরিচারিকা ছিলেন। তাঁর সঙ্গেও কথা বলেন পুলিশ আধিকারিকরা।এরপর তিনতলা বাড়ির প্রতিটি ঘরে তল্লাশি চালানো হয়। সূত্রের খবর, ওই বাড়িতে একটি ব্যক্তিগত ফুটবল মাঠ এবং একটি সুইমিং পুল রয়েছে। সেগুলিও ঘুরে দেখেন তদন্তকারীরা। তবে তল্লাশির পর বাড়ি থেকে কোনও কিছু বাজেয়াপ্ত করা হয়নি বলেই জানা গিয়েছে। বাড়ি থেকে বেরোনোর সময় এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, বিষয়টি তদন্তাধীন, তাই এখনই কিছু বলা সম্ভব নয়।এদিকে তদন্তকারীদের একাংশের অনুমান, মেসির অনুষ্ঠানে বিপুল পরিমাণ কালো টাকা ব্যবহার হয়ে থাকতে পারে। যুবভারতী কাণ্ডে পুলিশের তরফে ইতিমধ্যেই দুটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। সেই এফআইআরের ভিত্তিতে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট ইসিআইআর দায়ের করে আর্থিক লেনদেনের উৎস খতিয়ে দেখতে পারে বলে তদন্তকারী সূত্রে খবর।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫
দেশ

সংবাদমাধ্যমে আগুন, ভারত-বিরোধী স্লোগান—ঢাকা পরিস্থিতিতে কড়া নজর দিল্লির

ওসমান হাদির মৃত্যুর পর ফের তপ্ত হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। বৃহস্পতিবার রাত থেকেই ঢাকাসহ একাধিক শহরে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। প্রথম সারির সংবাদমাধ্যমের অফিসে আগুন লাগানো হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ হয়েছে এবং কট্টরপন্থীদের একাংশ প্রকাশ্যে ভারত-বিরোধী মন্তব্য করছে। পরিস্থিতি কোন দিকে গড়ায়, তা নিয়ে কড়া নজর রাখছে ভারত।সূত্রের খবর, ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনায় যেখানে ভারতীয় হাইকমিশনের অফিস রয়েছে, সেখানে কর্মরত ভারতীয় আধিকারিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দিকে বিশেষ নজর দিচ্ছে নয়া দিল্লি। সাম্প্রতিক পরিস্থিতির জেরে একাধিক জায়গায় ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্র ইতিমধ্যেই বন্ধ রাখা হয়েছে। পরিস্থিতি আরও খারাপ হলে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে বলেও ইঙ্গিত মিলেছে।বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনের সামনে কট্টরপন্থীদের বিক্ষোভ চলে। কয়েকটি ক্ষেত্রে সেই বিক্ষোভ আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে বলে অভিযোগ। রাত সাড়ে দশটা নাগাদ চট্টগ্রামে ভারতীয় ডেপুটি হাইকমিশনারের বাসভবন ঘিরে ধরার ডাক দেওয়া হয়েছে বলে খবর আসে। বিভিন্ন দিক থেকে অফিস ঘেরাওয়ের আহ্বান জানানো হয়। এই পরিস্থিতিতে গোটা ঘটনার উপর নজর রাখছে ভারত সরকার। সূত্রের খবর, নিরাপত্তার কারণে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনায় আজও ভিসা কেন্দ্র বন্ধ থাকতে পারে।উল্লেখ্য, এর আগেও বাংলাদেশের এক রাজনৈতিক মিছিলে ভারতের সেভেন সিস্টার্সকে আলাদা করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন এনসিপি নেতা হাসনাত। সেই মন্তব্যের পরই দিল্লি কড়া অবস্থান নেয়। বাংলাদেশের হাইকমিশনার মহম্মদ রিয়াজ হামিদুল্লাহকে তলব করে স্পষ্ট জানানো হয়, এই ধরনের উস্কানিমূলক মন্তব্য ভারত কোনওভাবেই বরদাস্ত করবে না। কিন্তু সাম্প্রতিক ঘটনার পর স্পষ্ট, সেই বার্তা এখনও পুরোপুরি কার্যকর হয়নি বলেই মনে করছে কূটনৈতিক মহল।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫
বিদেশ

কে এই ওসমান হাদি? যাঁর মৃত্যুতে গোটা বাংলাদেশে আগুন জ্বলছে

কয়েক মাস আগেও যাঁকে প্রায় কেউ চিনতেন না, অল্প সময়ের মধ্যেই তিনি ঘরে ঘরে পরিচিত মুখ হয়ে উঠেছিলেন। রাজনীতিতে আচমকা উত্থান, আবার সেই কাহিনি পূর্ণতা পাওয়ার আগেই থেমে গেল। শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুতে অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশ। দেশজুড়ে ছড়িয়েছে উত্তেজনা, বহু জায়গায় আগুন ও বিক্ষোভ। যাঁকে ঘিরে এত আলোচনা, আন্দোলন ও বিতর্ক, সেই ওসমান হাদি আসলে কে ছিলেন?অত্যন্ত সাধারণ পরিবার থেকে উঠে এসেছিলেন ওসমান হাদি। শেখ হাসিনার দল আওয়ামী লিগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে যে আন্দোলন শুরু হয়েছিল, তার অন্যতম মুখ ছিলেন তিনি। সেই আন্দোলনের মাধ্যমেই জাতীয় রাজনীতিতে পরিচিতি পান হাদি। বিতর্কিত গ্রেটার বাংলাদেশ-এর মানচিত্র তৈরির সঙ্গেও তাঁর নাম জড়ায়, যেখানে ভারতের সেভেন সিস্টার্স-সহ একাধিক অঞ্চলকে বাংলাদেশের অংশ হিসেবে দেখানো হয়েছিল।১৯৯৩ সালের ৩০ জুন বরিশালে জন্ম ওসমান হাদির। ছয় ভাইবোনের মধ্যে তিনি ছিলেন সবার ছোট। ঢাকার রামপুরা এলাকায় থাকতেন। পেশায় শিক্ষক ছিলেন হাদি। জুলাই আন্দোলনের সময় তিনি সক্রিয়ভাবে স্থানীয় সাংগঠনিক কাজে যুক্ত হন। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই রামপুরা এলাকার সমন্বয়ক হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পান এবং পরিচিত মুখ হয়ে ওঠেন।শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর আওয়ামী লিগ নিষিদ্ধ করার দাবিতে যারা সরব হন, তাঁদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন হাদি। সেই সময়েই গড়ে ওঠে ইনকিলাব মঞ্চ। এই মঞ্চের লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং ন্যায়বিচারের দাবি। ইনকিলাব মঞ্চের তরফে জুলাই অভ্যুত্থানের স্মৃতি সংরক্ষণ, অভিযুক্তদের বিচার, আহত ও নিহতদের স্বীকৃতি এবং জুলাই চার্টার ঘোষণার দাবি তোলেন হাদি। এর ফলে রাজনৈতিক আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসেন তিনি।ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায়ও হাদির নাম জড়ায়। বিষয়টি নিয়ে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়। ইনকিলাব মঞ্চের ব্যানারে হাদি বারবার আওয়ামী লিগের বিরুদ্ধে দমন-পীড়ন ও হত্যার অভিযোগ তুলে দলটিকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানান। দাবি মানা না হলে সচিবালয় ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারিও দিয়েছিলেন তিনি।সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদি জানিয়েছিলেন, তাঁকে ফোন ও মেসেজ করে খুনের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। তবুও তিনি পিছিয়ে যাননি। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়াইয়ের ঘোষণা দেন। চা-সিঙ্গারা আড্ডার মাধ্যমে প্রচারও শুরু করেছিলেন। ঠিক সেই সময়ই ঘটে যায় মর্মান্তিক ঘটনা।গত ১২ ডিসেম্বর জুম্মার নামাজের পর ঢাকার বিজয়নগরের বক্স কালভার্ট এলাকা দিয়ে ফেরার সময় তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। গুলি মাথা ভেদ করে বেরিয়ে যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে প্রথমে ঢাকার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে একটি বেসরকারি হাসপাতালে এবং সেখান থেকে সিঙ্গাপুরে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সব চেষ্টা ব্যর্থ করে শুক্রবার, ১৮ ডিসেম্বর রাতে সিঙ্গাপুরে মৃত্যু হয় ওসমান হাদির। আজ তাঁর দেহ বাংলাদেশে আনা হবে।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫
রাজ্য

নিষিদ্ধপল্লীতে ভোটার উধাও! খসড়া তালিকায় বাদ ২০ শতাংশ নাম

নিজস্ব সংবাদদাতা: খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ হতেই চমকে দেওয়ার মতো তথ্য সামনে এল আসানসোলে। উদ্বেগ ছড়িয়েছে রাজনৈতিক মহলেও। এসআইআর বা স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশনের প্রাথমিক পর্ব শেষে দেখা যাচ্ছে, কুলটি বিধানসভার নিয়ামতপুর সংলগ্ন নিষিদ্ধপল্লী এলাকার চারটি বুথে মোট ভোটারের প্রায় ২০ শতাংশ নাম তালিকা থেকে বাদ পড়েছে। পাশাপাশি আরও প্রায় ২০ শতাংশ ভোটারের সঙ্গে পুরনো তালিকার কোনও ম্যাপিং করা যায়নি বলে নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর।এসআইআর শুরু হওয়ার সময় এই চারটি বুথে মোট ভোটার ছিলেন ৩ হাজার ৬২৭ জন। খসড়া তালিকা প্রকাশের পর দেখা যাচ্ছে, ৭৪২ জনের নাম বাদ গিয়েছে। বাদ পড়া ভোটারদের মধ্যে ১৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে, ৬৯ জন অন্যত্র চলে গিয়েছেন। সবচেয়ে বেশি সংখ্যক, অর্থাৎ ৫৩৪ জন ভোটারের কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। জানা গিয়েছে, তাঁরা এনুমারেশন ফর্ম তুললেও তা আর জমা দেননি। পাশাপাশি ২০০২ সালের ভোটার তালিকার সঙ্গে মিলিয়ে দেখা সম্ভব হয়নি এমন ভোটারের সংখ্যা ৬৮৪ জন।এই তথ্য সামনে আসতেই বিরোধীরা সরব হয়েছেন। তাঁদের অভিযোগ, বছরের পর বছর এই ভূতুড়ে ভোটারদের ব্যবহার করে এসেছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। নিষিদ্ধপল্লী এলাকায় বাংলাদেশি নাগরিকদের নাম ভোটার তালিকায় ঢোকানো হয়েছিল বলেও অভিযোগ তুলেছে বিরোধীরা।তবে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। দলের দাবি, এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী বুথ লেভেল অফিসার বা বিএলও-রা। তৃণমূলের জেলা সহ-সভাপতি বাচ্চু রায় বলেন, নিষিদ্ধপল্লীর অনেক যৌনকর্মী নিজের পরিচয় ও ঠিকানা গোপন রেখে সেখানে কাজ করতে আসেন। এসআইআর চলাকালীন তাঁরা ভয় পেয়ে এলাকা ছেড়ে চলে গিয়েছেন বা ফর্ম তুললেও জমা দেননি। তাঁর দাবি, এখানে কোনও বাংলাদেশি যোগ নেই।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫
রাজ্য

আপাতত স্বস্তি যোগ্য শিক্ষকদের, চাকরির মেয়াদ বৃদ্ধি সুপ্রিম কোর্টের

অবশেষে কিছুটা স্বস্তির। সৌজন্যে সুপ্রিম কোর্ট। যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকাদের চাকরির মেয়াদ বাড়ানোর নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। আগামী ৩১ ডিসেম্বর নয়, ২০২৬ সালের ৩১ অগস্ট পর্যন্ত চাকরিতে বহাল থাকবেন যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকারা। এই সময়সীমার মধ্যেই নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে রাজ্য সরকারকে। এমনই স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত।নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য অতিরিক্ত সময় চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল স্কুল সার্ভিস কমিশন (SSC)। রাজ্যের তরফে ২০২৬ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় বাড়ানোর আবেদন জানানো হলেও আদালত সেই আবেদন আংশিক মঞ্জুর করে প্রায় আট মাসের অতিরিক্ত সময় দেয়। আদালত জানিয়ে দেয়, আগামী ৩১ অগস্টের মধ্যেই নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে।শীর্ষ আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, এই সময়কালে যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকারা নিয়মিত বেতন পাবেন এবং পড়ানোর কাজও চালিয়ে যেতে পারবেন। তবে আদালত স্পষ্ট করেছে, এই সুবিধা শুধুমাত্র শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি কর্মীদের ক্ষেত্রে এই নির্দেশ কার্যকর হবে না।আজকের এই রায়ে বড় স্বস্তি পেল রাজ্য সরকারও। কারণ ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে শিক্ষা ব্যবস্থা সচল রাখা এবং বিদ্যালয়গুলিতে শিক্ষক সংকট এড়ানো রাজ্যের পক্ষে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত আগের যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকাদের পরিষেবা ও বেতন বহাল থাকবে।উল্লেখ্য, চলতি বছরের ৩ এপ্রিল ২৬ হাজার চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেওয়ার সময় সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে নতুন করে পরীক্ষা নিয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে রাজ্যের শিক্ষা দপ্তরকে। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এই জটিল প্রক্রিয়া শেষ করা কার্যত অসম্ভব হয়ে পড়ায় রাজ্য সরকার সময় বাড়ানোর আবেদন জানায়।আদালতে রাজ্যের তরফে জানানো হয়, নবম-দশম এবং একাদশ-দ্বাদশ স্তরের শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী নিয়োগের সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া শেষ করতে আরও কয়েক মাস সময় প্রয়োজন। পাশাপাশি যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকাদের চাকরির মেয়াদ বাড়ানোর আর্জিও জানানো হয়। সেই আবেদনের ভিত্তিতেই এই গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫
রাজ্য

চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগে দেওচা–পাঁচামিতে পাথর উত্তোলনের বরাত বাতিল, নতুন দরপত্রে বিতর্ক

চুক্তির শর্ত লঙ্ঘনের অভিযোগে দেওচাপাঁচামি কয়লাখনি প্রকল্প এলাকায় পাথর উত্তোলনের কাজের বরাত বাতিল করল রাজ্য সরকার। প্রাথমিক পর্যায়ে ১২ একর জমিতে পাথর উত্তোলনের দায়িত্বে থাকা মেসার্স পাচামি ব্যাসল্ট মাইনিং প্রাইভেট লিমিটেডের সঙ্গে চুক্তি বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রাজ্যের দাবি, সংস্থাটি চুক্তির একাধিক গুরুত্বপূর্ণ শর্ত মানেনি বলেই এই পদক্ষেপ।রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, প্রকল্পের দ্বিতীয় ধাপে ৩১৪ একর জমিতে পাথর উত্তোলনের জন্য নতুন করে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। তবে এই সিদ্ধান্ত ঘিরে শুরু হয়েছে তীব্র রাজনৈতিক বিতর্ক। বিরোধী দল বিজেপির অভিযোগ, দেওচাপাঁচামি কয়লাখনি প্রকল্প নিয়ে রাজ্য সরকার আসলে ধোঁয়াশা তৈরি করছে। বৃহস্পতিবার সিউড়িতে বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, গত ১৫ বছরে রাজ্য সরকার একটি বড় শিল্প প্রকল্পও বাস্তবে রূপ দিতে পারেনি। অথচ দেওচাপাঁচামিকে দেশের বৃহত্তম কয়লাখনি বলে প্রচার করা হচ্ছে। তাঁর দাবি, আসন্ন শিল্প সম্মেলনের আগে বরাত বাতিল ও নতুন দরপত্র ডেকে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে।বিজেপি নেতার আরও অভিযোগ, নতুন দরপত্রে কোথাও কয়লাখনি স্থাপনের উল্লেখ নেই। বরং আগামী ১৫ বছরের জন্য শুধুমাত্র পাথর উত্তোলনের কথাই বলা হয়েছে। তাঁর বক্তব্য, এর থেকেই স্পষ্ট যে আপাতত কয়লা উত্তোলনের কোনও পরিকল্পনাই রাজ্যের নেই। যদিও গত অক্টোবর মাসে আন্তর্জাতিক স্তরে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছিল, এখনও পর্যন্ত কোনও সংস্থা আগ্রহ দেখায়নি বলেও দাবি করেন তিনি।জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়ের বক্তব্য, কেন্দ্রের অনুমোদন ছাড়া এই প্রকল্প বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। অথচ এখনও পর্যন্ত কোনও পূর্ণাঙ্গ নকশা বা প্রস্তাব কেন্দ্রের কাছে জমা পড়েনি। পাশাপাশি আদিবাসীদের জমি নেওয়া হলেও উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ বা স্থায়ী কর্মসংস্থানের প্রতিশ্রুতি পূরণ হয়নি বলেও অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। এই পরিস্থিতিকে রাজ্য সরকারের শিল্পনীতির ব্যর্থতার প্রতিফলন বলে দাবি করছে বিরোধীরা।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫
কলকাতা

মেসি-কাণ্ডে মানহানির অভিযোগ, লালবাজারে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের এফআইআর

লিওনেল মেসিকে ঘিরে কলকাতার সাম্প্রতিক বিতর্কে এবার আইনি মোড়। প্রকাশ্যে মানহানিকর মন্তব্যের অভিযোগ তুলে কলকাতা পুলিশের সদর দফতর লালবাজারে এফআইআর দায়ের করলেন প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। অভিযোগের আঙুল উঠেছে কলকাতার আর্জেন্টিনা ফ্যান ক্লাবের প্রধান তথা মেসি-ভক্ত উত্তম সাহার দিকে।সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের আইনজীবীর তরফে জানানো হয়েছে, যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে মেসিকে ঘিরে যে বিতর্কিত ঘটনার সূত্রপাত, তা নিয়ে সংবাদমাধ্যমে সৌরভের ভূমিকা সম্পর্কে একাধিক ভুল ও বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো হয়েছে। এই মন্তব্যগুলিকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও মানহানিকর বলেই দাবি করা হয়েছে অভিযোগে।সৌরভের পক্ষ থেকে স্পষ্ট করে জানানো হয়েছে, সংশ্লিষ্ট অনুষ্ঠানে তিনি শুধুমাত্র একজন আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবেই উপস্থিত ছিলেন। ইভেন্টের আয়োজন বা পরিচালনার সঙ্গে তাঁর কোনও রকম সাংগঠনিক যোগ ছিল না। অনুষ্ঠানের মূল আয়োজক ছিলেন শতদ্রু দত্ত। একই অনুষ্ঠানে অভিনেতা শাহরুখ খান-সহ অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিরাও উপস্থিত ছিলেন বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, উত্তম সাহা প্রকাশ্যে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে চিটিংবাজ বলে কটাক্ষ করেন, যা প্রাক্তন অধিনায়কের সামাজিক সম্মান ও দীর্ঘদিনের ভাবমূর্তিকে গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। এই কারণেই মানহানির নোটিস পাঠানোর পাশাপাশি লালবাজারে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।উল্লেখ্য, মেসিকে দেখার আশায় যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে হাজার হাজার দর্শক মোটা অঙ্কের টিকিট কেটেও শেষ পর্যন্ত হতাশ হন। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজ্য রাজনীতিতেও তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় এবং তদন্ত কমিটি গঠিত হয়। ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস পদত্যাগ করেন। পুলিশ কর্তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে। একজন ডিসিপি সাসপেন্ড হয়েছে। এই আবহেই দেওয়া উত্তম সাহার মন্তব্যকে ঘিরে এবার আইনি পথে হাঁটলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫
রাজনীতি

একেই হুমায়ুন কবীরে অস্থির! এবার দুর্নীতির অভিযোগ জেলা পরিষদের সদস্যপদে ইস্তফা দাপুটে তৃণমূলনেত্রীর

২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে মুর্শিদাবাদে তৃণমূল কংগ্রেসের অন্দরে বড়সড় রাজনৈতিক বিস্ফোরণ। দলের হেভিওয়েট নেত্রী ও জেলা পরিষদের প্রাক্তন সহকারী সভাধিপতি শাহনাজ বেগম জেলা পরিষদের সদস্য পদ থেকে ইস্তফা দিলেন। শুধু পদত্যাগই নয়, দুর্নীতির অভিযোগ তুলে প্রকাশ্যে নিজের দলের পরিচালিত জেলা পরিষদ বোর্ডকে কাঠগড়ায় তুলেছেন তিনি।১৭ ডিসেম্বর বিভাগীয় কমিশনারের কাছে ইস্তফাপত্র পাঠান শাহনাজ বেগম। তার প্রতিলিপি জমা পড়েছে জেলা শাসকের কাছেও। তবে প্রশাসনিক চিঠির থেকেও বেশি আলোড়ন তৈরি করেছে তাঁর ফেসবুক পোস্ট। সেখানে তিনি স্পষ্ট ভাষায় লেখেন, চোর জেলা পরিষদের একজন অংশীদার হয়ে থাকা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। এই এক লাইনের মন্তব্যেই জেলা তৃণমূল রাজনীতিতে তীব্র অস্বস্তি ছড়িয়েছে।শাহনাজ বেগম দাবি করেছেন, তিনি কখনও অন্যায়ের সঙ্গে আপস করেননি এবং ভবিষ্যতেও করবেন না। দীর্ঘদিন ধরে জমে থাকা ক্ষোভই যে এবার প্রকাশ্যে এসেছে, তা তাঁর বক্তব্যেই স্পষ্ট। রাজনৈতিক মহলের মতে, নির্বাচনের মুখে দাঁড়িয়ে দলের অন্দরে এমন প্রকাশ্য বিদ্রোহ তৃণমূলের জন্য বড় ধাক্কা।মুর্শিদাবাদ জেলা রাজনীতিতে শাহনাজ বেগম অত্যন্ত প্রভাবশালী নাম। একসময় কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটি ভেঙে জেলা পরিষদে তৃণমূলের ক্ষমতা প্রতিষ্ঠার নেপথ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল তাঁর। ২০১৩ সাল থেকে সোমপাড়া, রামপাড়া ও রামনগর বাছড়া এলাকা থেকে টানা তিনবার নির্বাচিত হন তিনি। কর্মাধ্যক্ষ থেকে সহকারী সভাধিপতি, একাধিক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সামলেছেন শাহনাজ।যদিও আপাতত অন্য কোনও দলে যোগ দেওয়ার ইঙ্গিত দেননি তিনি। তবে পদ ছাড়লেও এলাকার মানুষের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন। এই বিস্ফোরক ইস্তফা মুর্শিদাবাদের রাজনীতিতে কী প্রভাব ফেলে, এখন সেটাই দেখার।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal