• ২৪ আশ্বিন ১৪৩২, মঙ্গলবার ১৪ অক্টোবর ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Abhishek Banerjee

রাজনীতি

শুধুই কি মতান্তর না কৌশল? ফের দলীয় বৈঠকে অভিষেক

ফের কবে দলীয় কর্মসূচিতে আগের মতই সক্রিয় হতে দেখা যাবে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে? যখন তৃণমূলের অন্দরেই এই প্রশ্ন জোড়াল হতে শুরু করেছে, তখনই তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের অফিস থেকেই জরুরি বার্তা গেল জোড়া-ফুলের সব সাংসদ, বিধায়ক, ব্লক সভাপতিদের কাছে!অভিষেকের অফিস থেকে জানানো হয়েছে যে, আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার বিকেল ৩টের সময়ে দলের সব সাংসদ, বিধায়ক ও তৃণমূল ব্লক সভাপতিদের সঙ্গে বৈঠক করবেন সেনাপতি। তবে, যেহেতু এক সঙ্গে প্রায় চারশ জনকে নিয়ে বৈঠক করার মতো জায়গা নেই। তাই ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে হবে ওই বৈঠক।বয়সসীমা ও দলে এক ব্যক্তি এক পদ নিয়ে মমতা-অভিষেক মতপার্থক্য প্রকাশ্যে আসে। এরপরই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠমহলে জানিয়েছিলেন, তিনি আপাতত ডায়মন্ড হারবারের মধ্যে তাঁর কার্যকলাপ সীমিত রাখতে আগ্রহী। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা নির্দেশ দেবেন তা পালন করবেন। অথচ কদিন আগে দেখা যায় বীরভূম নিয়ে দলের সাংগঠনিক বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন অভিষেক। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কেন্দ্র বিরোধী ধর্নামঞ্চেও তাঁকে দেখা যায়নি। ফলে কোথায় অভিষেক? তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।এরপরই জানা যায়, সংসদের বাজেট অধিবেশনে যোগ দিতে অভিষেক দিল্লি গিয়েছেন। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী দিল্লি সফর বাতিল করতেই দেখা যায়, মঙ্গলবার বেলায় তড়িঘড়ি রাজধানী থেকে কলকাতায় ফিরেই কালীঘাটে নেত্রীর বাড়িতে গিয়েছেন সেনাপতি। সূত্রের খবর, সেখানে মমতা-অভিষেকের প্রায় ৪৫ মিনিট কথা হয়। এরপরই দলীয় কর্মসূচিতে ফের সক্রিয় হওয়ার বার্তা মিলেছে অভিষেকের অফিস থেকে। তাহলে কী মঙ্গলে তৃণমূলের দুই শীর্ষ নেতৃত্বের বৈঠকের পরই বরফ গলল? লোকসভার আগে কৌতূহলের বিষয় সেটাই।

ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০২৪
রাজ্য

কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ঘোষণার পর এবার শুভেন্দু, বাংলায় শীঘ্রই লাগু সিএএ

আগামী ২৯ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সিএএ ঘোষণা হবে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ইঙ্গিতে আগেই সিএএ ঘোষণা করেছিলেন কেন্দ্রীয় মন্দ্রী শান্তনু ঠাকুর। সোমবার, সেই সুরেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সিএএ-র ডেটলাইন ঘোষণা করে দিলেন। বিরোধী দলনেতা জানালেন, ২৯ ফেব্রুয়ারির মধ্যে চালু করা হবে সিএএ।২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু ছিল সিএএ। রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপি ক্ষমতায় এলে সিএএ চালু করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। পালটা, রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস অভিযোগ করেছিল, বিজেপি বাঙালি-বিরোধী। তাই বিজেপি বাঙালিদের নাগরিকত্বের অধিকার কাড়তে চাইছে। সেই কারণে এরাজ্যে সিএএ ঘোষণা করতে চাইছে বিজেপি। কিন্তু, তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় থাকলে কোনওমতেই পশ্চিমবঙ্গে সিএএ লাগু করতে দেবে না। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, অমিত শাহ জি শিলিগুড়ির সভা থেকেই জানিয়ে দিয়েছিলেন, সিএএ কারও নাগরিকত্ব হরণের আইন নয়। এটা নাগরিকত্ব দেওয়ার আইন। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা এই ইস্যুতে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে বলেন, ২০২১ সালে সিএএ নিয়ে মিথ্যা প্রচার করেই তো বেরিয়ে গেলেন। সিএএ আর এনআরসির মধ্যে কোনও সম্পর্ক নেই। এবার পারলে সিএএ লাগু হওয়া আটকান! দেখবেন, আর লুচির মত ফুলবেন।পরে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, শান্তনু কিছু জানেন, সেই জন্যই বলেছেন। এর আগে অমিত শাহও বলেছিলেন, সিএএ আইন বাক্সবন্দি করে রাখার জন্য তৈরি করা হয়নি। সেই কারণে আমি যতটা জানি যে সাত থেকে ১৫ দিনের মধ্যে সিএএ লাগু করার চেষ্টা হচ্ছে। যেখানে উদ্বাস্তুরা সরাসরি আবেদন করতে পারবেন। খুবই তাড়াতাড়ি লাগু হবে। গোটা বাংলায় বিজয় মিছিল করার প্রস্তুতি চলছে। ফেব্রুয়ারিতেই লাগু হবে। কারণ, মার্চে নির্বাচন ঘোষণা হবে। তখন আদর্শ নির্বাচনী আচরণবিধি চালু হয়ে যাবে। সেই কারণেই আমাদের আশা, ফেব্রুয়ারিতেই লাগু হবে।শুভেন্দু আরও বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২ ফেব্রুয়ারি ধরনার ডাক দিয়েছেন। তিনি ধরনা করলে বিজেপি পালটা ধরনা দেবে। নেতা-মন্ত্রীদের পরিবারের সদস্যদের ছেলেমেয়েরা ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে পড়েন। কিন্তু, সাধারণ অটো এবং টোটোচালকদের ঘরের ছেলেমেয়েরা বাংলামাধ্যম স্কুলে পড়ে। সেই কারণেই বৃহত্তর স্বার্থে আমি এই ধরনা দিতে তৃণমূল কংগ্রেসকে বারণ করব।এর আগে রবিবার রাহুল গান্ধী সম্পর্কে কটূক্তি করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী! রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় তার বিরুদ্ধে কংগ্রেস পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছে। নিন্দায় সরব হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসও। সোমবার এই প্রসঙ্গে সাংবাদিক বৈঠকে শুভেন্দু অধিকারী নিজের বক্তব্যে অটল থাকেন। তিনি বলেন, বোকাকে যে ভাষায় বলা হয়, সেই কথাই বলেছি। শুভেন্দুর অভিযোগ, রাহুল গান্ধী বিভিন্ন সময়ে যে ধরনের মন্তব্য করেছেন, তা তাঁর মর্যাদার সঙ্গে মানানসই নয়। সেই কারণেই তিনি রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে মন্তব্য করেছেন।

জানুয়ারি ২৯, ২০২৪
রাজনীতি

দলের নবীন ও প্রবীণ বিতর্কের মাঝে কড়া বার্তা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতার, প্রয়োজনে ছাঁটাই

দলে নবীন প্রবীণ দ্বন্দ্বের মধ্যে কড়া হুঁশিয়ারি দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার কালীঘাটে দলের সাংগঠনিক বৈঠকে এই বার্তা দিয়েছেন মমতা। এদিন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা তৃণমূলের সাংগঠনিক বৈঠক ছিল। ওই বৈঠকে দলীয় মুখপাত্রদের ব্যক্তিগত মতামত প্রকাশ নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তৃণমূল নেত্রী। প্রয়োজনে ছেঁটে ফেলা হবে বলে জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।বৈঠক থেকে বেরিয়ে তৃণমূল সাংসদ মানস ভুঁইয়া বলেন, লদলনেত্রী ঐক্যবদ্ধ ভাবে লড়াই করার নির্দেশ দিয়েছেন। ২০২৪ নির্বাচনে লড়াই করে আমাদের জিততে হবে। দলনেত্রী বলেছেন, ব্যক্তিগত ভাবে বাইরে মতামত প্রকাশ করা যাবে না। দলের অভ্যন্তরে বলতে হবে। এদিনের বৈঠকে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী, ঘাটালের সাংসদ দেব হাজির ছিলেন। তাঁদের উপস্থিতিতেই সতর্ক করেন দলনেত্রী।বিগত কয়েক দুন ধরে নবীব ও প্রবীণ নিয়ে বিরোধ প্রকাশ্যে আসে। এমনকী এই বিতর্কে শেষমেশ জড়িয়েছেন মমতা ও অভিষেক। বছরের প্রথম দিন সুব্রত বক্সীর বক্তব্য ঘিরে শুরু হয় বিতর্ক। তারপর লাগাতার মতবিরোধ চলেছে প্রকাশ্যে। দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ একে একে নানা নেতৃত্বের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য করে গিয়েছেন। কিছুতেই থামছিল না বিতর্ক। এমনকী অভিষেক বলেছেন বয়স বাড়লে কর্মক্ষমতা কমে এটা স্বাভাবিক। মমতা বলেছেন। ৬০ বছর হশে গেলেও আমরা অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাই। এবার তৃণমূলের বৈঠকেই হুঙ্কার ছাড়লেন মমতা। রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে কি বিতর্কিত কথা বলা মুখপাত্রদের দল সরিয়ে দেবে। সম্প্রতি সব থেকে বেশি বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন কুণাল ঘোষ। পাল্টার পর পাল্টা চলেছে। প্রবীণদের তুলোধোনা করার দায়িত্ব প্রায় একাই নিজের কাঁধে নিয়েছেন অভিষেক পন্থী কুণাল। এবার দেখার বিষয় মমতার হুঙ্কারের পর আদি-নব্য বা নবীন ও প্রবীণ বিতর্ক কতটা চাপা পড়ে?

জানুয়ারি ১০, ২০২৪
রাজ্য

বিহিত চাইতে এবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ অভিষেক, তিরে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ও অমৃতা সিনহা

এবার একযোগে কলকাতা হাইকোর্টের দুই বিচারপতির বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির হস্তক্ষেপ দাবি করে শীর্ষ আদালতে আবেদন জানিয়েছেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ। এছাড়া, বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চ থেকেও মামলা সরানোর আর্জি জানিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।নিয়োগ মামলা থেকে অভিষেকের সম্পত্তি- এছাড়াও আর্থ সামাজিক নানা বিষয়ে প্রকাশ্যে নিজের মতামত জানান বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। সন্দেশখালির ঘটনার পর বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। বলেছিলেন, বাংলায় সাংবিধানিক ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। আইনশ়ৃঙ্খলার পরিস্থিতি মোটেই ভাল নয়। কেন কিছু বলছেন না রাজ্যপাল? এরপরই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিপুল সম্পত্তির উৎস জানতে চেয়েছিলেন তিনি? বলেছিলেন, স্বচ্ছতা রাখতে অভিষেকের উচিত সোশাল মিডিয়ায় তাঁর সম্পত্তির হিসাব পোস্ট করা।বহু সময় বিচারপতির সেইসব মন্তব্য রাজ্যের শাসক দলের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। অনেকের দাবি, এতে প্রভাব পড়ে মামলায়। এসবের বিরুদ্ধেই পদক্ষেপ করার আবেদন জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর আবেদন, বিষয়ের বাইরে গিয়ে মামলার বিষয় নিয়ে আদালতের বাইরে মন্তব্য করা থেকে যেন বিরত থাকেন। সেই মর্মে যেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়কে নির্দেশ দেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি।বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেশ কিছু পর্যবেক্ষণ নিয়েও সম্প্রতি শাসক দল প্রশ্ন তুলেছিল। তৃণমূলের মুখপাত্রদের মতে, মামলার প্রকৃত রায় এখনও অজানা। তার আগেই বিচারপতির পর্যবেক্ষণ থেকে মামলায় নেতিবাচক ধারণা তৈরি হচ্ছে। শীর্ষ আদালতে আবেদনে অভিষেক জানিয়েছেন, কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতিকে নির্দেশ দেওয়া হোক যে তিনি যেন একটি বিশেষ বেঞ্চ গঠন করেন। সেই বেঞ্চ নিয়োগ সংক্রান্ত মামলা শুনবে। মূলত বিচারপতি সিনহার এজলাসে যে মামলাগুলি রয়েছে, সেই মামলাগুলি যাতে ওই বিশেষ বেঞ্চে যায়।

জানুয়ারি ১০, ২০২৪
রাজনীতি

তৃণমূলে প্রবীণ-নবীন বিতর্কে ইতি টানলেন অভিষেক, কটাক্ষ ব্রিগেডের সভাকে

রবিবারের ডিওয়াইএফআইয়ের ব্রিগেড সমাবেশ নিয়ে বামেদের কটাক্ষ করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। পৈলানের বিষ্ণুপুরের যুব সঙ্ঘের মাঠে অভষেক বলেন, আজ রবিবার দুপুরে অনেক দল সভা করছে। আমাদের সঙ্গে সেই সব দলের ফারাক আছে। সবাই তাঁদের সভায় যান ভাষণ শুনতে। আর, আমাদের সভায় আসেন স্বপ্নকে বাস্তবায়িত হওয়া দেখার জন্য। আমি আগে ভোট, পরে কাজের কথা বলি না। আমি আগে কাজ করি। পরে ভোটের কথা বলি। এটাই আমাদের সঙ্গে অন্য দলের ফারাক। বাম-বিজেপিকে একযোগে আক্রমণ করে অভিষেক বলেন, কেউ বলছেন ইনসাফ। কেউ বলছেন ন্যায়। কেউ বলছেন সবকা বিকাশ। আর আমরা যেটা করেছি, সেটা হল আসল ইনসাফ। সেটাই হল আসল ন্যায়। আজ ডায়মন্ড হারবারে যা হচ্ছে, সেটাই হল সবকা সাথ, সবকা বিকাশ।তাঁর এই সবকা সাথ, সবকা বিকাশ সম্পর্কেও মুখ খুলেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। এদিন তিনি নিজের লোকসভা কেন্দ্র ডায়মন্ড হারবারে অনেক কাঠখড় পুড়িয়েও যাঁরা বার্ধক্য ভাতা পাননি, নিজের লোকসভা কেন্দ্রের এমন প্রবীণদের দলীয় ভাবে বার্ধক্য ভাতা দেওয়ার ব্যবস্থা চালু করলেন। এই প্রবীণরা প্রতিমাসে ১ হাজার টাকা করে পাবেন। এটা সরকারি বার্ধক্য ভাতা নয়। এই প্রসঙ্গে অভিষেক বলেন, এটা করতে আমার মাত্র দুমাস সময় লেগেছে। ১ জানুয়ারি আমাদের দলের প্রতিষ্ঠা দিবস। তাই আরও সাত দিন সময় নিয়ে ৭৬ হাজার ১২০ জনকে বার্ধক্যভাতা দেওয়া হল। আগেই রেজিষ্ট্রেশন করা হয়েছিল। তারপর ফিজিক্যাল ভেরিফিকেশন করা হয়েছে। ডেটা চেক করা হয়েছে। তারপর বাড়ি বাড়ি ভেরিফিকেশন করে ৭৬ হাজার ১২০ জনকে ভাতা দেওয়া হল। ব্যাংক অ্যাকাউন্টে সরাসরি টাকা দেওয়া হচ্ছে। আমাদের ১৬,৩৮০ স্বেচ্ছাসেবক রয়েছেন। তাঁরা জনপ্রতি ৪-৫ জনের দায়িত্ব নিয়ে কাজগুলো করেছেন। এভাবেই আমরা ৭৬ হাজার ১২০ জনের মুখে হাসি ফোটালাম।তৃণমূলের নবীন-প্রবীণ দ্বন্দ্ব নিয়েও এদিন মুখ খোলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি এদিন বলেন, তৃণমূলের মধ্যে কোথাও দ্বন্দ্বের জায়গা নেই। দল আমাকে যে দায়িত্বই দিয়েছে, আমি তা পালন করেছি। ২০২১ সালে দলকে নেতৃত্ব দিতে বলেছিল, সেই সময় দিয়েছি। ২০২৪ সালে আমাকে প্রার্থী করা হলে, দায়িত্ব দেওয়া হলেও আমি তা অক্ষরে অক্ষরে পালন করব। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অত্যন্ত সুসংহত ভাবেই দল চালাচ্ছেন। আমি সব শক্তি দিয়ে তাঁর পাশে দাঁড়াব। আমি শুধু বলেছি যে, বয়স হলে কর্মক্ষমতা কমে। আমি ৩৬ বছর বয়স বলেই আড়াই মাস নবজোয়ার কর্মসূচির সময় রাস্তায় থাকতে পেরেছিলাম। আমার ৭০ বছর বয়স হলে সেই ক্ষমতা কমে যাবে। এই কথা নিয়ে এত বাজার গরম করার কী আছে? তৃণমূল কংগ্রেস একসঙ্গেই লড়বে। আমার প্রায়োরিটি হয়ত ডায়মন্ড হারবার। কিন্তু, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছবি আর জোড়া ফুলের ঝান্ডা নিয়ে দল যেখানে আমাকে যেতে বলবে, যে বুথে ঢুকতে বলবে, আমি যাব।

জানুয়ারি ০৮, ২০২৪
দেশ

এবার অভিষেককে নিয়ে মোদীর দরবারে মমতা, নয়া কৌশল তৃণমূলের

বুধবার বাংলার বকেয়া পাওনা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করার কথা রয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। রবিবারই দিল্লি যাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই দিনই রাজধানী যাবেন দলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তৃণমূল সূত্রে খবর, প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাতে মমতার নেতৃত্বে তৃণমূলের যে প্রতিনিধি দল যাবে তাতে থাকছেন অভিষেক।বাংলার বকেয়া নিয়ে সরব তৃণমূল। দাবি আদায়ে পুজোর আগে দিল্লি ও কলকাতায় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে ধরনা কর্মসূচি হয়েছে। কিন্তু, পুজো মিটতেই সেই আন্দোলন গতি হারায়। বদলে শাসক দলের অন্দরের বিবাদ মাথাচাড়া দেয়। চর্চায় আসে জোড়া-ফুলের অন্দরের এক ব্যক্তি এক পদ ও বয়সসীমা বিতর্ক। স্পষ্টতই তৃণমূলের চেয়ারপার্সন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও সেনাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যে মতপার্থক্য ধরা পড়ে। আর তাতেই তোলপাড় হয় বঙ্গ রাজনীতি। গুঞ্জন চলে ঘাস-ফুলের অন্দরেও।নভেম্বরের শেষে তৃণমূলের বিশেষ অধিবেশনে দেখা যায়নি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। চোখে রক্তক্ষরণের কারণেই তাঁর গড়হাজিরা বলে দাবি করেছিলেন খোদ দলনেত্রী। এরপর কুণাল ঘোষের মন্তব্যে বিতর্কের শুরু। তিনি বলেছিলেন, কারা এটা করেছেন, আমি বলতে পারব না। তবে এটা ঠিক হয়নি। এখন অভিষেকের ছবি ছাড়া তৃণমূলের মঞ্চ অসম্পূর্ণ। এটা হতে পারে না। যা মমতা-অভিষেককে ঘিরে দলের অন্দরে নেতৃত্বের আড়াআড়ি টানাপোড়েনের ইঙ্গিত জোড়াল করেছিল। তারপর কুণাল বলেছিলেন, ব্যাপারটা কখনওই মমতাদি বনাম অভিষেক নয়। ব্যাপারটা মমতাদি এবং অভিষেক। একজনকে ঘিরে আবেগ রয়েছে। আর একজন সময়ের কথা বিবেচনা করে দলের সামগ্রিক ব্যবস্থাপনা দেখছেন। কিন্তু এতে বিতর্কের ইতি ঘটেনি।এরপর মমতা-অভিষেককে একসঙ্গে নজরে পড়েনি। উল্টে খুড়তুতো ভাইয়ের বিয়েতে দার্জিলিং যাওয়ার পথে অভিষেক রাজনীতিতে প্রবীণদের প্রোডাক্টিভিটি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। রাজনীতিতে তারুণ্যের পক্ষে সওয়াল করেন। তার আগে নেতাজি ইন্ডোরের সভায় অবশ্য আশি ছুঁইছুইঁ সৌগত রায়ের নাম করেই তাঁকে আগামিতে কাজ চালিয়ে যাওয়ায় অনুপ্রেরণা দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরও দলে বয়সসীমা ও এক ব্যক্তি এক পদ নিয়ে নিজের অবস্থান অনড় থাকেন। যা পিসি-ভাইপোর প্রকট মতভেদের প্রকাশ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

ডিসেম্বর ১৬, ২০২৩
রাজ্য

অভিষেকের আর্জি খারিজ সুপ্রিম কোর্টে, সংবাদ মাধ্যমেও হস্তক্ষেপ নয়

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় শুনানি চলাকালীন বিচারপতি অমৃতা সিনহা যে ধরনের পর্যবেক্ষণ জানিয়েছেন, তা সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশের পর তাঁর মানহানি হচ্ছে বলে অনুযোগ করেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বিচারপতি সিনহার বেঞ্চ থেকে নিয়োগ মামলা সরানোর জন্য সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানিয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। শুক্রবার ছিল এই আবেদনের শুনানি। এ দিন অভিষেকের সেই আর্জি খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতি সঞ্জীব খান্না নির্দেশে জানিয়েছেন, নিয়োগ মামলা কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সিনহার এজলাস থেকে সরানো যাবে না। এছাড়া, বিচারপতির পর্যবেক্ষণ সংবাদমাধ্যমে প্রকাশের বিষয়েও কোনও নিষেধাজ্ঞাও জারি করা হয়নি।নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডের তদন্তের কারণে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সংস্থা লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের সম্পত্তির খতিয়ান আদালতে পেশ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি সিনহা। সম্প্রতি মুখবন্ধ খামে ৫ হাজার পৃষ্ঠার রিপোর্ট আদালতে পেশ করেছে ইডি। তার পরই বিচারপতি সিনহা ইডিকে প্রশ্ন করেছিলেন, সম্পত্তির পরিমাণ যদি কম হত, তাহলে কি এত নথি জমা পড়ত? এই সব সম্পত্তির জন্য আয়ের উৎস কী তা কি খতিয়ে দেখা হয়েছে? অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ে অধিকাংশ সম্পত্তি ২০১৪ সালের পর হয়েছ বলেও পর্যবেক্ষণে জানিয়েছিলেন বিচারপতি সিনহা। ঘটনাচক্রে ২০১৪ সালেই নিয়োগ দুর্নীতি হয়েছিল। এ ব্যাপারটা তদন্ত কি করা হয়েছে তাও প্রশ্ন ছিল বিচারপতি সিনহার।আদালতের পর্যবেক্ষণ সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হলে জোর চর্চা হয়। এ ব্যাপারে আপত্তি করে অভিষেকের আইনজীবী এ দিন সুপ্রিম কোর্টে একটি পাঁচ পৃষ্ঠার রিপোর্ট জমা দেন। তিনি বলেন, এই ধরনের পর্যবেক্ষণ সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ হওয়ায় তাঁর মক্কেলের মানহানি হচ্ছে।বিচারপতি সঞ্জীব খান্না এদিন জানিয়েছেন, কলকাতা হাইকোর্ট নিয়োগ মামলায় কোনও নির্দেশ দিলে সুপ্রিম কোর্ট তা বিবেচনা করে দেখতে পারে। কিন্তু বিচারপতি তাঁর পর্যবেক্ষণে কী বলছেন তা শীর্ষ আদালতের কাছে বিবেচ্য নয়। সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতাতেও হস্তক্ষেপ করা হবে না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়।অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, তাঁর স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বাবা-মা সহ লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের সমস্ত বর্তমান ও প্রাক্তন ডিরেক্টর তথা অধিকর্তাকে তাঁদের সম্পত্তির হিসাব পেশ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। আদালতে ওই রিপোর্ট বৃহস্পতিবার পেশ হয়েছে। ২০ তারিখ এ ব্যাপারে আবার শুনানি হতে পারে বিচারপতি সিনহার এজলাসে।

ডিসেম্বর ১৬, ২০২৩
দেশ

এবার আর অভিষেক নয়, সাংসদদের নিয়ে ডিসেম্বরেই দিল্লি অভিযানের ডাক মমতার

ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে অভিষেকও উপস্থিতি ছিলেন। রাজ্যের পাওনাগণ্ডা আদায়ে গত অক্টোবরে রাজধানীর বুকে আন্দোলনে নেমেছিলেন তৃণমূল। যার নেতৃত্বে ছিলেন খোদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সময় তাঁকে পুলিশের হাতে হেনস্থাও হতে হয়েছে। দুমাসের মধ্যে ফের একবার দিল্লি অভিযানে নামছে জোড়া-ফুল। তবে এবার আর অভিষেক নয়, অভিযানের নেতৃত্বে থাকবেন খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার নেতাজী ইন্ডোরে তৃণমূলের বিশেষ অধিবেশনে এই ঘোষণা করেছেন সুপ্রিমো।আগামী মাসেই দিল্লি চলো-র ডাক দিলেন তৃণমূল নেত্রী। কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে সুর চড়াতে প্রধানমন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ ছুড়েছেন। নেতাজী ইন্ডোরে এ দিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ডিসেম্বরের দ্বিতীয় বা তৃতীয় সপ্তাহে আমরা দিল্লিতে যাব। সেই সময় সংসদে অধিবেশন চলবে। আমি দলের সব সাংসদদের নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখার করার সময় চাইব। যদি সময় দেন ভাল, নাহলে রাস্তাই আমাদের পথ দেখাবে। যদি আমাদের মারে, মারুক অসুবিধা নেই। সিপিএমের কাছে অনেক মার খেয়েছি। আপনাদের কাছেও না হয় একটু মার খেলাম। মার খেলে শক্তি বাড়ে, চিন্তা করার কোনও কারণ নেই। এখন থেকে তৈরি হতে হবে।গত ৩ অক্টোবর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে দিল্লিতে ধর্নায় বসেছিল তৃণমূলের সাংসদ-মন্ত্রীরা। অভিষেক তখনই জানিয়েছিলেন, এই আন্দোলনে দিল্লির সরকার বকেয়া টাকা না মেটালে আগামী দিনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে আন্দোলনে নামবে তৃণমূল। সেইমতই দিল্লির অভিযানের সময় ঘোষণা করলেন দলনেত্রী। তবে এখনও দিনক্ষণ জানাননি। আগামী দিনে রাজধানীতে কি তোলপাড় হয় সেদিকেই এখন নজর।বকেয়া থেকে ইন্ডিয়া জোট- একাধিক ইস্যুতে এ দিন মোদী সরকারকে নিশানা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে ইন্ডিয়া জোট প্রসঙ্গে বিজেপিকে হুঁশিয়ারি দিয়ে মমতা বলেছেন, দিল্লি এবার দখল হবে। আর তিন মাস ওঁদের মেয়াদ। কিন্তু আমাদের ১০০ দিনের কাজ, বাংলা আবাস ও রাস্তার টাকা দিতেই হবে। এটা তোমাদের টাকা নয়, জনগণের টাকা। জনগণের টাকা ফেরত দাও, নইলে বিদায় নাও। এর বাইরে আর কোনও কথা নেই।

নভেম্বর ২৪, ২০২৩
রাজনীতি

নওশাদকে পাল্টা চ্যালেঞ্জ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের, ফলতার কি বললেন তিনি?

লোকসভা ভোট ঘোষণার আগে থেকেই ডায়মন্ড হারবার ঘিরে চড়তে শুরু করেছে উত্তেজনার পারদ। ২০১৪ সাল থেকে ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। চব্বিশে তাঁকে হারাতে মরিয়া বিরোধী দলগুলো। ইতিমধ্যেই ওই কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদককে চ্যালেঞ্জ ছুড়েছেন ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। শুক্রবার বিকেলে ফলতা দাঁড়িয়ে সেই কড়া টক্কর তিনি গ্রহণ করছেন বলে জানিয়েছেন অভিষেক। পাশাপাশি হুঁশিয়ারির সুরেই করে দিয়েছেন বড় অভিষ্যদ্বাণী।এদিকে ইন্ডিয়া জোটে নেই আইএসএফ। তবে ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি ডায়মন্ড হারবার লোকসভা আসন থেকে লড়াইয়ের ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন দিন কয়েক আগেই। সূত্রের খবর, সেকথা ইতিমধ্যেই আইএসএফের বিধানসভা ভোটের জোট সঙ্গী সিপিআইএম নেতৃত্বকে জানিয়েছেন তিনি। আলিমুদ্দিন এ নিয়ে এখনও মুখ খোলেনি। তবে, চাইলে নওশাদকে ডায়মন্ড হারবারে কংগ্রেসের সমর্থনে বাধা নেই বলেই ইঙ্গিত দিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। ফলেঅন্যদিকে বিজেপিও এবার অভিষেকের বিরুদ্ধে লড়াকু প্রার্থী দিতে কোমর বাঁধছে বলে জানা গিয়েছে। তাই ভোটযুদ্ধে ডায়মন্ড হারবারে এবার কাঁটে কি টক্কর দেখা যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।শুক্রবার বিকেলে ফলতার একটি বস্ত্র বিতরণী অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকেই কেন্দ্রীয় এজেন্সির তলব, বিজেপির ধর্মীয় ভেদাভেদের রাজনীতি, ডায়মন্ড হারবারের তাঁর বিরুদ্ধে প্রার্থী নিয়ে মুখ খোলেন।কোনও নাম উচ্চরাণ না করেই অভিষেক বলেছেন, শুনেছি, অনেকেই এখন ডায়মন্ড হারবার থেকে দাঁড়াতে চাইছেন। দাঁড়াতেই পারেন। এটাই তো ভারতীয় গণতন্ত্রের রীতি নীতি, ঐতিহ্য। খুব ভালো। গুজরাটের, উত্তর প্রদেশের নেতারাও ডায়মন্ড থেকে দাঁড়াতে পারেন। ডায়মন্ড হারবারে যে কেউ দাঁড়াতে পারেন। মানুষ একপক্ষকে বেছে নেবে, অন্যদের বর্জন করবে।গতবার এই কেন্দ্র থেকে ৩ লাখ ২১ হাজারের ব্যবধানে জিতেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। শুধুমাত্র ফলতা কেন্দ্র থেকেই ব্যবধান ছিল ৪৫ হাজার। সেই টার্গেট এবার ৭০ হাজার করতে হবে। আজকে যে পরিমাণ মানুষ এখানে এসেছেন, রাস্তায় ৫০ হাজার মানুষ দাঁড়িয়ে আছেন। এই মানুষরা ভোট দিলেই তো উড়ে যাবে। মানুষই ভো-কাট্টা করে দেবে। টাকা ছড়িয়ে কোনও লাভ হবে না। বড় ফুল টাকা দিলে নেবেন, কিন্তু ভোটটা জোড়াফুলেই দেবেন। ভোটের সময় আগেও সংখ্যালঘু তাস খেলেছিল সিপিএম। কিন্তু, যাঁরা সংখ্যালঘু তাস খেলেছিল, তাদের এখন কী অবস্থা সবাই জানে। আমাদের এখানে কাউকে ভাতে মারতে পারবে না কেন্দ্র।

নভেম্বর ১০, ২০২৩
রাজ্য

'অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কে? আমাদের লিডার?', সিজিওতে পাল্টা প্রশ্ন জ্যোতিপ্রিয়র

জন্মদিনে জনসংযোগ মিটতেই ইডির নোটিস। শিক্ষাক্ষেত্রে নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বৃহস্পতিবার ফের তলব করেছে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। বুধবার সিজিও কমপ্লেক্স থেকে হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল রেশন বন্টন দুর্নীতি মামলায় ইডির হেফাজতে থাকা জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে। তাঁকে এই প্রসঙ্গে প্রশ্ন করতেই বনমন্ত্রীর পাল্টা জিজ্ঞাসা, আমি জানি না, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কে? আমাদের লিডার?। এরপর আর এ বিষয়ে কোনও কথা শোনা যায়নি তাঁর মুখে। এদিনও তিনি নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেন। সাংবাদিকদের উদ্দেশে জ্যোতিপ্রিয় বলতে থাকেন, আপনাদের একটা কথা বলি শুনুন। আমি সমস্ত ব্যাপারে নির্দোষ, এটা জেনে নিন। ১৩ তারিখ আমাকে ব্যাঙ্কশাল আদালতে পেশ করা হবে। সেখানে বুঝতে পারবেন আমি অত্যন্ত ক্লিয়ার।স্বাস্থ্যপরীক্ষার জন্য এদিন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে সিজিও কমপ্লেক্সের ইডি দফতর থেকে কমান্ড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় । সিজিও থেকে গাড়িতে ওঠার সময়ই নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেন বনমন্ত্রী। হাসপাতাল থেকে সিজিও কমপ্লেক্সে ঢোকার সময় জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক জানিয়ে দেন শরীরটা খুব খারাপ।রেশন বণ্টন দুর্নীতি মামলায় রানাঘাট এর রেশন ডিলার জয়িতা পালকে তলব করেছিল ইডি। এদিন তিনি ইডি দফতরে আসেন। সূত্রের খবর, ইডি আধিকারিকরা তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বেশ কিছু তথ্য জানতে চায়। জানা গিয়েছে, এবার আরও রেশন ডিলারদের দিকে নজর দিয়েছে ইডি।ফের আজ, বুধবার ইডি দফতরে এলেন টিটাগর পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান প্রশান্ত চৌধুরী। পৌরনিয়গ দুর্নীতি মামলায় ইডি তাঁকে তলব করেছিল। এর আগে তাঁর বাড়িতে গিয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি আধিকারিকরা। পাশাপাশি টিটাগর পুরসভাতে তল্লাশি করেছে ইডি।

নভেম্বর ০৮, ২০২৩
রাজ্য

'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক সব জানে,' কি জানার কথা বললেন ইতি হেফাজতে থাকা জ্যোতিপ্রিয়

রীতিমতো বোমা ফাটালেন রেশন দুর্নীতিতে ধৃত রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। সিজিও কমপ্লেক্স থেকে কমান্ড হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল তাঁকে। বেরনোর সময় সাংবাদিকদের দেখেই বালুর সাফ কথা, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সব জানেন। দলের সুপ্রিমো এবং সেকেন্ড ইন কম্যান্ড আসলে কোন কথা জানেন? কীসের ইঙ্গিত জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের? তা নিয়েই চর্চা তুঙ্গে রাজনৈতিক মহলে।আমি নির্দোষ। আমাকে ফাঁসিয়েছে বিজেপি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সব জানেন। দলের সঙ্গে ছিলাম আছি ও থাকব। আমি নির্দোষ। মমতাদি সব জানেন। দুদিনের মধ্যে সত্য প্রকাশ হয়ে যাবে। বারে বারে এক কথা বলছিলেন মন্ত্রী।এদিকে, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের এই মন্তব্যের পাল্টা সমালোচনায় সোচ্চার বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা। সংবাদমাধ্যমে এদিন তিনি বলেন, এত বড় খাদ্য দুর্নীতির হওয়ার পর ওদের পার্টির নাম হয়েছে চাল চোর। যাঁর এত বেআইনি সম্পত্তি উদ্ধার হচ্ছে, মেয়ের-স্ত্রীর নামে বেআইনি টাকা বেরোচ্ছে। এত কিছুর পরেও বড় বড় কথা বলছে। চোরের মায়ের বড় গলা। এটা ঠিক মমতা-অভিষেক সব জানেন। অর্থাৎ, ভাগ উনি ওখানে পাঠিয়েছেন। বিজেপির এতে কী করার আছে? আদালতের নির্দেশে তদন্ত হচ্ছে। তদন্তে বিপুল পরিমাণ বেআইনি সম্পত্তি পাওয়া যাচ্ছে।অন্যদিকে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী সংবাদমাধ্যমে বলেন, উনি ঠিকই বলেছেন। সব মুখ্যমন্ত্রী জানেন। মুখ্যমন্ত্রীর জানার বাইরে তো কিছু ঘটেনি। ধান কেনা থেকে শুরু করে প্রতিটা ক্ষেত্রে লোপাট হয়েছে। সমস্ত লোপাটের অর্থের অংশ যদি কালীঘাট পায়, মুখ্যমন্ত্রী এতে খুশিই হন। দুর্নীতিগ্রস্ত অপরাধী যারা, তারা কেউ একা একা দুর্নীতি করেননি। মুখ্যমন্ত্রীর আনুকূল্যেই করেছেন। তাই একথা ঠিক, মুখ্যমন্ত্রী সবই জানেন।উল্লেখ্য, রেশন দুর্নীতি মামলায় ইডি গ্রেফতার করেছে রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরের হেফাজতেই রয়েছেন তিনি। আদালতের নির্দেশে তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে হচ্ছে আলিপুরের কমান্ড হাসপাতালে। শুক্রবার ইডির সিজিও কমপ্লেক্সের দফতর থেকে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানোর জন্য কমান্ড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। সেই সময়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এই মন্তব্য করেছেন বনমন্ত্রী।তৃণমূল সাসদ কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দোষটা কী আছে? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চিফ মিনিস্টার। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দোষ কী আছে? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিশ্বাস করে একজন একটা দায়িত্ব দিয়েছে। তার যদি পদস্খলন হয়ে থাকে, সে যদি বেইমানি কোথাও করে থাকে, তাহলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দোষটা কোথায়? অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দোষটা কোথায়? অন্যায় করেছেন জ্যোতিপ্রিয়। অভিষেকের নামটা আসছে কেন এসবের মধ্যে?

নভেম্বর ০৩, ২০২৩
রাজ্য

রুজিরার আবেদনে হাইকোর্টের নজিরবিহীন নির্দেশ, ক্ষমতা বেঁধে দেওয়া হল ইডি ও সংবাদমাধ্যমের

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী রুজিরার গোপনীয়তা খর্ব হচ্ছে। সংবিধান মেনে তাঁকে রক্ষাকবচ দেওয়া হোক। সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্টে এই মর্মে মামলা করেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী। মঙ্গলবার সেই মামলার শুনানিতে ইডি ও সংবাদমাধ্যমের ক্ষমতা বেঁধে দিয়ে বেনজির নির্দেশ দিলেন বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য।কী নির্দেশ হাইকোর্টের?রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আবেদনের ভিত্তিতে ইডি-কে বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্যের অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশ, এবার থেকে যেকোনও ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় এজেন্সির তল্লাশির সময় সার্চ অ্যান্ড সিজার-এর সময় লাইভ স্ট্রিমিং করা যাবে না। অভিযানের ব্যাপারে ইডি সংবাদমাধ্যমকে আগে থেকে কিছু জানাতে পারবে না। মিডিয়াকে সঙ্গে করে নিয়ে ইডি কোনও তল্লাশি অভিযান করতে পারবে না।সার্চ অ্যান্ড সিজার-এর সময় কোনও কিছু প্রকাশ্যে আনা যাবে না। সন্দেহভাজন বা অভিযুক্ত হোক অথবা সাক্ষী কারও ছবি সংবাদমাধ্যমে ব্যবহার করা যাবে না।সংবাদমাধ্যমের এক্তিয়ারও বেঁধে দিল হাইকোর্ট। বিচারপতি ভট্টাচার্যের নির্দেশ, চার্জশিট পেশ করার আগে মিডিয়া তদন্তের সঙ্গে যুক্ত কোনও ব্যক্তির ছবি প্রকাশ করতে পারবে না। কোনও ব্যক্তির বিরুদ্ধে যদি কোনও সংবাদমাধ্যমে মতামত প্রকাশ করা হয়, তবে তাতে প্রতিবেদকের নাম থাকবে। ২০২৪ সালের ১লা জানুয়ারিতে এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে। ততদিন এই নির্দেশই বহাল থাকবে।

অক্টোবর ১৮, ২০২৩
রাজ্য

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এবার ইডির তলব অভিষেকের আপ্ত সহায়ককে, আদালতে আবেদন

শিক্ষা ক্ষেত্রে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এবার ডাক পড়ল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আপ্ত সহায়ক সুমিত রায়ের। আগামী সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় সুমিতকে সল্টলের সিজিও কমপ্লেক্সে তলব করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। যদিও ইডির ওই নোটিসকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছেন অভিষেকের আপ্ত সহায়ক। দ্রুত শুনানির আবেদন জানানো হয়েছে বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে। তবে শুক্রবার মামলার শুনানি হয়নি। আগামী সোমবার বেলা ১২টায় এই মামলার শুনানি হবে। অবশ্য এদিন ইডির আইনজীবীকে বিচারপতি ঘোষ জানিয়েছেন, ওইদিনই সুমিতের আর্জির প্রেক্ষিতে শুনানি রয়েছে। তাই সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার পরিবর্তে তাঁকে দুপুর ১২টার পর সিজিও কমপ্লেক্সে ডাকা হোক।নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় উঠেছে লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের নাম। ওই সংস্থার সিইও খোদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর নাম ও বাবা রয়েছেন সংস্থার ডিরেক্টর পদে। তা নিজেই জানিয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। দুর্নীতি মামলায় ইতিমধ্যেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে অভিষেককে। মা লতা ও বাবা অমিত বন্দ্যোপাধ্যায়কেও ইডি তলব করেছে। কিন্তু নির্ধারিত দিনে তাঁরা হাজিরা এড়িয়েছেন। গত পরশু সিজিও-তে ইডি দফতরে হাজিরা দিয়েছিলেন অভিষেকপত্নী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়। এসবের মধ্যেই এবার ইডির গোয়েন্দাদের নজরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আপ্ত সহায়ক সুমিত রায়।ইতিমধ্যেই লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস ও তাঁর সম্বন্ধে ইডির চাওয়া সব নথি অভিষেক নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই আদালতে জমা করেছেন। ইডি নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডের সঙ্গে লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের যোগ দেখলেও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বার বার দাবি করেছেন, নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে তাঁর কোনও যোগ নেই। দুর্নীতির ১০ পয়সাও লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের অ্যাকাউন্টে ঢোকার প্রমাণ দেখানো যাবে না। লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের অ্যাকাউন্টে পুরনো লেনদেন কখনও কয়লা কেলেঙ্কারির সঙ্গে জুড়তে ইডি মরিয়া বলেও তোপ দেগেছেন ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল সাংসদ।

অক্টোবর ১৩, ২০২৩
রাজ্য

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় টানা সাড়ে ৮ ঘন্টা ইডির জেরা অভিষেক পত্নী রুজিরাকে

শিক্ষা ক্ষেত্রে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গতকাল, মঙ্গলবার রাতে নথি জমা দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ঠিক তার পরের দিন এই মামলায় সিজিও কমপ্লেক্সে ইডি দফতরে সাদা ইনোভাতে চেপে হাজির অভিষেক-পত্নী রুজিরা। এই নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গত সপ্তাহে ইডির সমন পেয়েছেন রুজিরা নারুলা বন্দ্যোপাধ্যায়।এদিন টানা সাড়ে ৮ ঘণ্টা ইডি জেরা করে অভিষেকের স্ত্রীকে। বুধবার সকাল ১১টা নাগাদ সিজিওতে ঢুকেছেন রুজিরা। বাইরে বেরিয়েছেন সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটে। এদিন তিনি সংবাদমাধ্যমকে এড়িয়ে সিজিওর গেটের সামনে থেকেই গাড়িতে উঠে বেরিয়ে যান। গাড়ির জানলার কাচ তুলে দেওয়ায় ভিতরটা অস্পষ্ট দেখা যাচ্ছিল।এদিন সকাল থেকে সিজিও কমপ্লেক্স ঘিরে ছিল কড়া নিরাপত্তা। পুলিশে পুলিশে ছয়লাপ। এমনকী চারিদিকে ব্যারিকেড দেওয়া হয়। এই প্রথম নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডি তলব করল রুজিরাকে। এর আগে অন্য মামলায় রুজিরাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল ইডি। নিয়োগ মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে কালীঘাটের কাকু ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে। তাঁকে জেরা করে লিপ্স অ্যান্ড বাউন্ডস মামলার হদিশ পেয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা। সেই সংস্থার সিইও তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক। পরে অভিষেককে তলব করে ইডি। তাঁকে ৯ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল ইডি। বেরিয়ে অভিষেক বলেছিলেন ৯ ঘণ্টা জেরার নিট ফল শূন্য। ২০২২ সালের জুন মাসে শিশুপুত্রকে কোলে নিয়ে ইডি দফতরে হাজির হয়েছিলেন রুজিরা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ঘটনার জন্য কেন্দ্রীয় এজেন্সির কড়া সমালোচনা করেছিলেন। কয়লা পাচার কাণ্ডে তাঁকে তলব করেছিল ইডি। পরে তাঁকে দিল্লিতেও তলব করা হয়। রুজিরা যদিও ইডির ডাকে দিল্লি যাননি। তার বদলে কলকাতার ইডির দফতরে যান তিনি। পরে কয়লা পাচার সংক্রান্ত মামলাতে রুজিরার বিদেশে যাওয়ার উপরেও নিষেধাজ্ঞা জারি করে কেন্দ্রীয় সংস্থা। তাঁর বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিসও জারি করা হয়েছিল। পরে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে সেই নোটিস তুলে নিতে হয়েছিল ইডিকে।

অক্টোবর ১১, ২০২৩
রাজ্য

রাজ্যপালের আশ্বাসে আপাতত ধরনায় ইতি তৃণমূলের, তবে হুঁশিয়ারিও দিয়ে রাখলেন অভিষেক

২০ মিনিট রাজ্যপাল-অভিষেক বৈঠক। তারপর তুলে নেওয়া হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের ধরনা। মমতার নির্দেশে ধরনা তুলে নেওয়া হয় বলে জানান অভিষেক ল। তবে ৩১ অক্টোবরের মধ্যে রাজ্যের বকেয়া টাকা না পেলে ফের পথে নামবে তৃণমূল। পাশাপাশি আইনি পথেও হাঁটবে দল, ঘোষণা করেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যেপাধ্যায়। এদিনই আবার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের উদ্দেশে তিনটি চোখা চোখা বাক্যবাণ ছুড়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। জোড়-ফুলের বিশ্বাস এতেই চাপে পড়বেন রাজ্যপাল।রাজভবনে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে তাঁর হাতে একটি স্মারকলিপি তুলে দিয়েছে তৃণমূল। সেখানে ১০০ দিনের কাজের বকেয়া টাকা নিয়ে উদ্ভূত সমস্যা এবং তাঁদের দাবি বিস্তারিত ভাবে জানানো হয়েছে। এই প্রতিনিধি দলে ৭ জন ভুক্তভোগীও ছিলেন। তৃণমূলের দাবি, বাংলার ২১ লক্ষের বেশি মানুষ ১০০ দিনের কাজ করেও তাঁদের হকের টাকা পাননি। সেই অর্থ কেন্দ্রের থেকে আদায়ে তদারকি করুক রাজ্যপাল। এই প্রসঙ্গে তিনটি প্রশ্ন রাজ্যপালের কাছে রেখেছে তৃণমূল।১) এটা কি ঠিক নয় যে, ২০২১-২২ অর্থবর্ষে ১০০ দিনের কাজে বাংলার ২১ লাখের বেশি মানুষ শ্রম ও সময়দান করেও তাঁদের হকের পারিশ্রমিক পাননি? দুবছর পরেও২) সব শর্ত ও নিয়ম মেনেই বাংলার এইসব বঞ্চিত মানুষগলো কাজ করেছেন। কেন তাহলে দুবছরের বেশি সময় ধরে তাঁদের প্রাপ্য আটকে রাখা হল? কেনইবা কেন্দ্রীয় সরকার এঁদের অস্বিত্ব অস্বীকার করছে?৩) ১০০ দিনের কাজ প্রকল্পের ২ নং শিডিউলের ২৯ নম্বর ধারায় সাফ বলা রয়েছে যে, শ্রমিকরা মাস্টার রোল শেষের ১৫দিনের মধ্যে পারিশ্রমিক পাবেন। অন্যথায় ১৬তম দিন থেকেই প্রত্যহ ০.০৫ শতাংশ হারে সুদ যুক্ত হবে। এই অনুসারে পারিশ্রমিক না পাওয়া মানুষগুলো শুধু তাঁদের বিগত ২ বছরের পারিশ্রমিকই নয়, সেই অর্থ সুদ সহ পাওয়ার অধিকারী। তাহলে কী কেন্দ্রীয় সরকার বাংলার এই গরিব মানুষগুলোকে তাঁদের ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত করছেন না?তৃণমূল সূত্রে খবর, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বকেয়া টাকা নিয়ে তিনি পদক্ষেপ করবেন বলে এদিনের বৈঠকে কথা দিয়েছেন রাজ্যপাল বোস। রাজ্যপালও বিবৃতিতে জানিয়েছেন, তিনি তৃণমূলের প্রতিনিধি দলকে এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ এবং কেন্দ্রীয় সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণের আশ্বাস দিয়েছেন।

অক্টোবর ০৯, ২০২৩
রাজ্য

নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ইডিকে নথি জমা দিতে হবে অভিষেককে, পেলেন না আদালতের রক্ষাকবচও

প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ৯ অক্টোবর ইডি দফতরে হাজিরা দিতে হচ্ছে না তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। কিন্তু, তাঁকে রক্ষাকবচও দিল না কলকাতা হাইকোর্টের ডিভেশন বেঞ্চ। ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, ইডির দাবি মত অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ১০ অক্টোবরের মধ্যেই সব নথি জমা করতে হবে। এর চেয়ে ১ ঘন্টাও বেশি সময় তাঁকে দিতে নারাজ কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। সেই জমা করা নথিতে সন্তুষ্ট না হলে ইডি ফের অভিষেককে তলব করতে পারবে। তবে ৪৮ ঘণ্টা আগে সমন পাঠাতে হবে ডায়মন্ড হারবারের সাংসদকে।ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, ৯ অক্টোবর ইডি দফতরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে হাজিরা দিতে হবে না। আগামী ১০ অক্টোবরের মধ্যে অভিষেককে সব নথি ইডির কাছে দিতে হবে। তিনি কোনও নথি জমা দিতে না পারলে ইডির সঙ্গে আলোচনা করতে হবে। কিন্তু আদালত আর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে এক ঘণ্টাও অতিরিক্ত সময় দেবে না। অভিষেকের জমা দেওয়া নথিতে সন্তুষ্ট না হলে তাঁকে হাজিরা দিতে বলতে পারে ইডি। এক্ষেত্রের সমন করার সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে উচ্চ আদালত। অভিষেককে সমন পাঠাতে হলে পুজোর আগে অর্থাৎ ১৯ অক্টোবরের আগে বা পুজোর পরে অর্থাৎ ২৬ অক্টোবরের পরে পাঠাতে হবে।তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ৩ অক্টোবর ডেকে পাঠিয়েছিল ইডি। পরে বিচারপতি অমৃতা সিনহার একক বেঞ্চের নির্দেশ ছিল ওইদিন তদন্ত প্রক্রিয়া যেন ব্যাহত না হয় তা ইডিকে দেখতে হবে। অভিষেক অবশ্য ওইদিন ইডির দফতরে যাননি। বদলে তিনি সিঙ্গল বেঞ্চের ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হন।অভিষেক আদালতকে জানিয়েছিলেন, একক বেঞ্চ ওই নির্দেশ দিতে পারে না। বুধবার অভিষেকের সেই আবেদনের শুনানি হয় ডিভিশন বেঞ্চে। ডিভিশন বেঞ্চ অবশ্য সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশে স্থগিতাদেশ দেয়নি। উল্টে একটি প্রস্তাব রাখে ইডির কাছে। যাতে বলা হয়, যা যা নথি চাওয়া হয়েছে অভিষেককে তা দিতে হবে। তাতে সন্তুষ্ট না হলে তদন্তের প্রয়োজনে অভিষেককে তলব করতে পারবে ইডি। ১২ অক্টোবর অভিষেক নথি দেবেন ইডিকে। সব নথি খতিয়ে দেখে পুজোর পরে নয় নতুন করে সমন পাঠাবে ইডি। পাশাপাশি, অভিষেককে তদন্তে সহযোগিতার কথা বলা হয়।বৃহস্পতিবার ইডির বক্তব্য শোনার পরই মামলাটির শুনানি শেষ হয় ডিভিশন বেঞ্চে। তবে রায়দান স্থগিত রয়েছে। এদিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তদন্ত প্রক্রিয়ায় অসন্তুষ্ট কলকাতা হাইকোর্ট। এবার সময়সীমা বেঁধে দিয়ে নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত শেষ করতে ইডি-কে নির্দেশ দিল ডিভিশন বেঞ্চ। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই এই তদন্ত শেষ করতে হবে হবে বলে দির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিচারপতির স্পষ্ট কথা, তদন্তের নামে গড়িমসি চলবে না।

অক্টোবর ০৬, ২০২৩
রাজ্য

অভিষেককে ইডির তলব, কি নির্দেশ হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের?

শিক্ষা ক্ষেত্রে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সহ বাবা-মা ও স্ত্রী রুজিরাকে তলব করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। এদিকে অভিষেকের জমা করা নথির তথ্যে সন্তুষ্ট না হলে তবেই তাঁকে ফের সমন পাঠানো হোক। বুধবার ইডিকে এই প্রস্তাব দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। তবে বিচারপতি অমৃতা সিনহার নির্দেশের উপরে কোনও স্থগিতাদেশ দেয়নি কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। অর্থাৎ বুধবার অভিষেকের আবেদনে সাড়া দেয়নি ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতি অমৃতা সিনহার নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করেই হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অভিষেক। তাঁর সঙ্গে সম্পর্কহীন তদন্তে কেন তাঁকে ডাকা হচ্ছে সেই প্রশ্ন তোলা হয়েছিল।অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আবেদন শোনার পর বিচারপতি সৌমেন সেনের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ জানতে চান, ইডি শেষ যে সমন পাঠিয়েছিল, তাতে যা জানতে চাওয়া হয়েছিল, তা ইডিকে দিয়ে দিলেই হয়ে যায়। সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশে আপত্তি কোথায়? উল্লেখ্য, নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে ধৃত সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালীঘাটের কাকুর বয়ানের ভিত্তিতে ইডির দাবি লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের কর্ণধার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর মা লতা বন্দ্যোপাধ্যায়, বাবা অমিত বন্দ্যোপাধ্যায়ও ওই সংস্থার ডিরেক্টর।বিচারপতির কথামত, লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি। এর সব তথ্য সামনে আসা উচিত। সিইও-র বিষয়ে যা জানতে চাওয়া হয়েছে তা-ও জনসমক্ষে আনা প্রয়োজন। এতে তো কোনও অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। ডিভিশন বেঞ্চের প্রশ্ন, একটা কোম্পানির বিরুদ্ধে তদন্তে ইডির অনেক ক্ষমতা রয়েছে। তারা ১৯ মাস ধরে কী করছে? কোনও আর্থিক লেনদেন হয়ে থাকলে তা পরিষ্কার হোক।সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের যুক্তি ছিল, বিচারপতি সিনহার নির্দেশে তাঁকে মামলায় যুক্ত না করেও প্রভাবিত করা যেতে পারে।। এটা কি করে সম্ভব? ডিভিশন বেঞ্চের যুক্তি, এটা কোর্টের নজিরদারিতে তদন্ত চলছে। মাথায় রাখবেন, এটা কোনও সরাসরি তদন্ত নয়। তাই সিঙ্গল বেঞ্চ এটা করতে পারে। তদন্তের প্রয়োজনে তদন্তকারী সংস্থার কাছে জবাব চাইতেই পারে সিঙ্গল বেঞ্চ। এত দিন ধরে তদন্ত চলার পরে কিছু পাওয়া যায়নি। সিঙ্গল বেঞ্চের বিচারপতি তো এ নিয়ে জানতে চাইতেই পারেন। কোর্টের নজরদারিতে তদন্ত চললে যদি তদন্তকারী সংস্থার রিপোর্টে আদালত সন্তুষ্ট না হয়, তবে আবার নির্দেশ দিতেই পারে।এরপরই অভিষেকের আইনজীবীকে ডিভিশন বেঞ্চের প্রস্তাব, তদন্তকারী সংস্থাকে সহযোগিতা করতে হবে। যে নথি চাওয়া হয়েছে তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই তথ্য দেওয়া উচিত। ১২ অক্টোবর ইডির দফতরে সব নথি জমা দেওয়া দরকার। আগামিকাল দুপুর ২টোয় ফের এই মামলার শুনানি রয়েছে।

অক্টোবর ০৪, ২০২৩
দেশ

দিল্লিতে অভিষেকদের কর্মসূচিতে ধুন্ধুমার, প্রতিবাদে আন্দোলনের ডাক বাংলায়

কৃষিভবনে রাজ্যের কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগ জানাতে গিয়ে দিল্লি পুলিশের হাতে আটক হলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। শুধু তাই নয় টেনেহিঁচড়ে, চ্যাংদোলা করে আটক করা হয় তৃণমূলের নেতানেত্রীদের। কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রীর কাছে অভিষেকের নেতৃত্বে অভিযোগ জানাতে গিয়েছিলেন তৃণমূল নেতারা। মন্ত্রী দেখা তো করেনইনি। উলটে, রাত ৯টার পর বিশালসংখ্যক পুলিশবাহিনী কৃষিভবনে প্রবেশ করে। পুলিশ তৃণমূল নেতাদের জানায়, অবিলম্বে কৃষিভবন খালি করে দিতে হবে। কৃষিভবন বন্ধ করা হবে। তৃণমূল নেতারা কৃষিভবন থেকে বের হতে না-চাওয়ায় তৃণমূলের প্রতিনিধিদের প্রথমে চ্যাংদোলা করে, জোর করে কৃষিভবন থেকে বের করে দিল্লি পুলিশ।এরপর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ তৃণমূল নেতাদের আটক করে বাসে চাপিয়ে পুলিশ লাইনে নিয়ে যায়। তিনটি বাসে চাপিয়ে তৃণমূলের প্রতিনিধিদের নিয়ে যাওয়া হয়। পর্যন্ত তৃণমূলের আটক সাংসদদের উৎসব সদন মুখার্জিনগর থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। থানার ভিতর থেকে গাড়ি ঘুরিয়ে এরপর তৃণমূলের প্রতিনিধিদের বাসে চাপিয়েই পুলিশ নিয়ে চলে যায় উৎসব সদন সশস্ত্র পুলিশের ক্যাম্পে। খবর পেয়ে রাতেই ক্যাম্পের বাইরে জড় হন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। রাত ১১টা নাগাদ তাঁদের পুলিশলাইন থেকে মুক্তি দেওয়া হয়।এর আগেই তৃণমূল নেতাদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল কৃষিমন্ত্রী গিরিরাজ সিং থাকবেন না। বদলে কৃষি ভবনে কেন্দ্রীয় পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতির কাছে মঙ্গলবার সন্ধে ৬টা নাগাদ বাংলার বঞ্চিত জব কার্ড হোল্ডারদের চিঠি পৌঁছে দেওয়ার কথা ছিল অভিষেক-সহ তৃণমূল নেতৃত্বের। সময় মতই মন্ত্রীর কার্যালয়ে পৌঁছেও গিয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গের শাসক দলের নেতারা। তারপর প্রায় ঘন্টা তিনেক অতিক্রান্ত হলেও তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে দেখা করেননি প্রতিমন্ত্রী সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতি। উলটে তৃণমূল নেতাদের জানিয়ে দেওয়া হয়, পাঁচ জন এলে দেখা করতেন মন্ত্রী। কিন্তু, ৪০ জন এসেছেন, তাই তিনি দেখা করবেন না। এই কথা জানার পর ক্ষোভে ফেটে পড়েন তৃণমূলের প্রতিনিধিরা।বঞ্চিতদের চিঠি নিজের কাঁধে চাপিয়ে নিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মন্ত্রী না দেখয় করায় তিনি কৃষি ভবনের মেঝেতেই বসে পড়েন। তাঁর দাবি, মন্ত্রী দেখা না-করা পর্যন্ত কৃষিভবন ছাড়বেন না। তাঁর দেখাদেখি কৃষিভবনের মেঝেতে বসে ধরনা শুরু করেন তৃণমূলের অন্যান্য প্রতিনিধিরাও। কৃষিভবনে ধরনা চলাকালীন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, ডেরেক ওব্রায়েন, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়রা অভিযোগ করেন, বিকেলে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী কৃষিভবনে এসেছিলেন। মন্ত্রী তাঁর সঙ্গে দেখা করেছেন। কিন্তু, বঞ্চিতদের প্রতিনিধি তৃণমূলের নেতাদের সঙ্গে মন্ত্রী দেখা করেননি। উলটে একেকবার একেকরকম কথা বলে তৃণমূলের প্রতিনিধিদের বিভ্রান্ত করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। রাত ৯টাতেও কৃষি ভবনে মন্ত্রীর অপেক্ষায় বসেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়রা।তার আগে রাত আটটার পর কেন্দ্রীয় পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতির দফতর থেকেই অপেক্ষমাণ তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড ভিডিও বার্তায় বলেন, দেখা করব বলেছিলেন। ওঁনার দেওয়া সময় মতই আমরা এসেছি। দুপুরে উনি শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে দেখা করেছেন। বাংলার টাকা আটকে রাখার চিঠি নিয়েছেন। আর আমাদের সময় দিয়েও এখন মন্ত্রী বলছেন আসবেন না।কেন্দ্রীয় পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রীর দফতরের তরফে জানানো হয়েছে যে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়রা বাংলার বকেয়া অর্থের দাবিতে ৪০ জনের প্রতিনিধি নিয়ে এসেছেন। সেই প্রতিনিধিদলে আছেন বাংলার তৃণমূল সাংসদ, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বহু মন্ত্রী এবং ১০০ দিনের কাজ করেও মজুরি থেকে বঞ্চিত বেশ কয়েকজন। এত লোকের সঙ্গে মন্ত্রীর দেখা করা সম্ভব নয়। সর্বাধিক তৃণমূলের পাঁচ জন প্রতিনিধি এলে দেখা করতেন প্রতিমন্ত্রী সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতি। এরপর তৃণমূলের প্রতিনিধিদলকে না-জানিয়েই কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী কৃষি ভবন থেকে বেরিয়ে যান বলে খবর পান তৃণমূল নেতৃত্ব।তৃণমূল নেতৃত্ব দিল্লিতে গ্রেফতার হয়েছে, সেই খবর ছড়িয়ে পড়ার পর দিল্লির রাজপথে নেমে পড়েন তৃণমূলের ছাত্র-যুবরা। পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জায়গাতেও শুরু হয় বিক্ষোভ। রাজ্য বিজেপির দফতরের বাইরেও বিক্ষোভ চলে। দিল্লিতে কৃষিভবনের বাইরেও তৃণমূল কর্মীদের একাংশ বিক্ষোভ দেখানো শুরু করেন। কিন্তু, কৃষিভবনের বাইরে বিপুলসংখ্যক পুলিশকর্মী মোতায়েন ছিল।

অক্টোবর ০৪, ২০২৩
দেশ

ইডির তদন্তে স্বস্তিতে ডিভিশন বেঞ্চে অভিষেক বন্দ্যেপাধ্যায়, হাইকোর্টে শুনানি আগামীকাল

কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ সর্বভারতীয় তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বিচারপতি অমৃতা সিনহার নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ তৃণমূল সাংসদ। এর আগে বিচারপতি সিনহা নির্দেশ দিয়েছিলেন, আজ ৩ অক্টোবরের তদন্ত ও অনুসন্ধান প্রক্রিয়া যাতে কোনওভাবে ব্যাহত না হয় তা নিশ্চিত করতে হবে ইডিকেই। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চে তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কম্যান্ড। আগামিকাল ডিভিশন বেঞ্চে অভিষেকের মামলার শুনানি হবে।উল্লেখ্য, নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে নেমে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সংস্থা লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসে তল্লাশি অভিযানে গিয়েছিল ইডি। সেখানে তল্লাশি চালিয়ে একগুচ্ছ নথি বাজেয়াপ্ত করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। তারই ভিত্তিতে অভিষেককে ডেকে পাঠিয়ে কলকাতার অফিসে এর আগে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি।ফের একবার আজ ৩ অক্টোবর ফের তাঁকে তলব করেছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। যদিও পরে নিজের এক্স হ্যান্ডেলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আজ ইডির তলবে যাবেন না বলে স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছিলেন।অভিষেকের সেই সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টের পরেই আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বিষয়টি আদালতের সামনে রেখেছিলেন। তারই ভিত্তিতে বিচারপতি অমৃতা সিনহা ইডিকে স্পষ্ট করে জানিয়েছিলেন, ৩ অক্টোবরের তদন্ত ও অনুসন্ধান প্রক্রিয়া যাতে কোনওভাবে ব্যাহত না হয় সেই বিষয়টি নিশ্চিত করবে হবে।যদিও এক্ষেত্রে সরাসরি কারও নাম নেননি বিচারপতি। বিচারপতি সিনহার সেই নির্দেশের বিরুদ্ধেই এবার হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

অক্টোবর ০৩, ২০২৩
রাজ্য

শিক্ষা নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ফের ইডির তলব অভিষেককে, সমন বাবা-মাকেও

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ফের অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তলব করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। আগামী ৩রা অক্টোবর সকাল সাড়ে ১০টায় সিজিও কমপ্লেক্সে ইডি দফতরে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদককে ডেকে পাঠানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার নিজেই এই তলবের বিষয়টি এক্সবার্তায় জানিয়েছেন ডায়মন্ড হারবারের বিধায়ক অভিষেকের সংস্থা লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের ডিরেক্টর হিসেবে রয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাবা অমিত ও মা লতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁদেরও তলব করেছে ইডি।সেপ্টেম্বরের শুরুতে বাংলাকে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে দিল্লিতে তৃণমূলের ধর্না কর্মসূচি রয়েছে। ৩রা অক্টোবর ওই ধর্না কর্মসূচির দ্বিতীয় দিন। ফলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দিল্লির পূর্ব ঘোষিত দলীয় কর্মসূচি ফেলে কলকাতায় ইডির জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হবেন কিনা সেটাই দেখার।এদিন এক্সবার্তায় অভিষেক লিখেছেন, এখন, আজ আবার তারা আমাকে তাদের সামনে হাজির হওয়ার জন্য আরেকটি সমন পাঠিয়েছে। যেদিন ৩রা অক্টোবর দিল্লিতে পশ্চিমবঙ্গের ন্যায্য পাওনা আদায়ের জন্য প্রতিবাদ আন্দোলন শুরু হবে। এটাই প্রমাণ করছে যে কারা সত্যিকারের ভীত, সন্ত্রস্ত এবং কারা ভয়ে কাঁপছেন।নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ফের অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তলব করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। আগামী ৩রা অক্টোবর সকাল সাড়ে ১০টায় সিজিও কমপ্লেক্সে ইডি দফতরে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদককে ডেকে পাঠানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার নিজেই এই তলবের বিষয়টি এক্সবার্তায়ন্ড হারবারের বিধায়ক।সেপ্টেম্বরের শুরুতে বাংলাকে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে দিল্লিতে তৃণমূলের ধর্না কর্মসূচি রয়েছে। ৩রা অক্টোবর ওই ধর্না কর্মসূচির দ্বিতীয় দিন। ফলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দিল্লির পূর্ব ঘোষিত দলীয় কর্মসূচি ফেলে কলকাতায় ইডির জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হবেন কিনা সেটাই দেখার।এদিন এক্সবার্তায় অভিষেক লিখেছেন, এখন, আজ আবার তারা আমাকে তাদের সামনে হাজির হওয়ার জন্য আরেকটি সমন পাঠিয়েছে। যেদিন ৩রা অক্টোবর দিল্লিতে পশ্চিমবঙ্গের ন্যায্য পাওনা আদায়ের জন্য প্রতিবাদ আন্দোলন শুরু হবে। এটাই প্রমাণ করছে যে কারা সত্যিকারের ভীত, সন্ত্রস্ত এবং কারা ভয়ে কাঁপছেন।এই প্রথম নয়, এর আগে গত ১৩ সেপ্টেম্বর তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদককে তলব করেছিল ইডি। সেদিন ছিল ইন্ডিয়া জোটের সমন্বয় কমিটির প্রথম বৈঠক। ওই কমিটির সদস্য অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু, দুর্নীতি মামলার তদন্তে কেন্দ্রীয় এজেন্সির ডাক পড়ায় সেদিন ওই বৈঠকে যোগ দেননি তৃণমূল সাংসদ। ইডির ডাকে সাড়া দিয়ে দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হয়েছিলেন।এদিনের এক্সবার্তাতেও সেই বিষয়টি জানিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন, এই মাসের শুরুতে, দিল্লিতে ইন্ডিয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ সমন্বয়কারী বৈঠকের দিনই ইডি আমাকে তলব করেছিল। আমি দায়িত্বশীল হওয়ায় সমনে সাড়া দিয়ে হাজির হয়েছিলাম।তৃণমূল সূত্রে খবর, ওইদিন ইডি-র তলবে অভিষেকের সাড়া দেওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ। কারণ, পূর্বঘোষণা মতই ২ ও ৩ অক্টোবর দিল্লিতে কেন্দ্র বিরোধী কর্মসূচি রয়েছে তৃণমূলের। অভিষেকের নেতৃত্বেই হবে সেই কর্মসূচি। সেই কর্মসূচিতে যোগ দেবেন কয়েক হাজার কর্মী। প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন। শুক্রবারই থেকেই দিল্লিমুখী জনতা কলকাতায় জড়ো হবেন। তাই ওই কর্মসূচি ছেড়ে অভিষেক কলকাতায় হাজিরা দিতে আসবেন না বলেই মনে করা হচ্ছে।এর আগে গত ১৯ মে বাঁকুড়ায় তৃণমূলের নবজোয়ার কর্মসূচি ফেলে কেন্দ্রীয় এজেন্সির তলবে সাড়া দিয়ে হাজিরা দিয়েছিলেন তৃণণূলের সেকেন্ডজ ইন কমান্ড। এরপর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পরপর দুবারই বিরোধীদের ইন্ডিয়া জোট বা তৃণমূলের কর্মসূচির দিনই অভিষেককে ডেকে পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এজেন্সি।কেন বেছে বেছে দল বা বিরোধী শিবিরের কর্মসূচির দিনই তলব? তা নিয়েই প্রশ্ন তুলছে তৃণমূল। দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের দাবি, কেন্দ্রের বিজেপি সরকার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভয় পাচ্ছেন। অভিষেক ভীতিতে ভুগছেন ওরা। তাই তাঁর গুরুত্বপূর্ণ সব কর্মসূচির দিনই কেন্দ্রীয় এজেন্সি মারফৎ তাঁকে হেনস্থা করা হচ্ছে।গত ১৩ সেপ্টেম্বর জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে অভিষেক বল্ছিলেন যে, এই দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের নির্যাস শুধু শূন্য নয়, মাইনাস টু। শুধু সময় নষ্ট। আমাকে আবার ডাকলে আবার আসবো। আবারও সেদিন বলব জিজ্ঞাসাবাদের ফল মাইনাস ফোর হবে।

সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২৩
  • ‹
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
  • 6
  • ›

ট্রেন্ডিং

দেশ

বিহার বিধানসভা ভোটে বিজেপি ও আরজেডি কটা আসনে লড়ছে? শরিকরা কতগুলি আসন পেল?

রবিবার এনডিএ আগামী মাসে বিহার বিধানসভা নির্বাচনের জন্য আসন ভাগাভাগিতে সম্মত হয়েছে। বিজেপি এবং জনতা দল (ইউনাইটেড) ১০১টি করে আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে সম্মত হয়েছে। জেডি(ইউ) জাতীয় কার্যকরী সভাপতি সঞ্জয় ঝা এবং বিজেপির নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা ধর্মেন্দ্র প্রধানের দ্বারা নিশ্চিত করা এই চুক্তি অনুসারে, চিরাগ পাসওয়ানের নেতৃত্বাধীন লোক জনশক্তি পার্টি (রাম বিকাশ) ২৯টি আসন পাবে, যেখানে জিতন রাম মাঝির হিন্দুস্তানি আওয়াম মোর্চা (ধর্মনিরপেক্ষ) এবং উপেন্দ্র কুশওয়াহার জাতীয় লোক মোর্চা (আরএলএম) ছয়টি করে আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে।১৯৯৬ সালে জোট গঠনের পর এই প্রথমবারের মতো বিজেপি এবং জেডি(ইউ) বিধানসভা নির্বাচনে সমান সংখ্যক আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। ২০২০ সালে, জেডি(ইউ) ১২২টি আসনে এবং বিজেপি ১২১টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল, জেডি(ইউ) তাদের ভাগ থেকে এইচএএম(এস)-কে সাতটি আসন দিয়েছিল এবং বিজেপি তাদের ভাগ থেকে ১১টি আসন মুকেশ সাহানির বিকাশশীল ইনসান পার্টি (ভিআইপি)-কে বরাদ্দ করেছিল।এই চুক্তির ফলে কয়েক সপ্তাহ ধরে জোটের মধ্যে আলোচনার অবসান ঘটে, যেখানে এলজেপি (আরভি) এবং এইচএএম(এস) আক্রমণাত্মকভাবে আরও বেশি আসনের জন্য চাপ দিয়েছিল। পাসওয়ানের দল প্রথমে ৪০টি এবং পরে ৩৫টি আসনের জন্য চাপ দিলেও, মাজি ১৫টি আসন দাবি করেছিলেন বলে জানা গিয়েছে।এনডিএ সূত্র জানিয়েছে, যে জোট প্রথমে এলজেপি (আরভি)-কে ২০-২৫টি আসনের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে চেয়েছিল, কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাদের নির্বাচনী প্রভাবের কারণে তা মেনে নেওয়া হয়েছিল। দিল্লিতে বিজেপির কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিটির (সিইসি) এক বৈঠকের পর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এই বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং দিল্লি ও বিহারের শীর্ষ বিজেপি নেতৃত্ব হাজির ছিলেন।আলোচনায় এলজেপি (আরভি) এর দাবি একটি বড় বাধা ছিল। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে দলটির শক্তিশালী পারফরম্যান্স, যখন তারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা পাঁচটি আসনেই জয়লাভ করে এবং মোট ভোটের ৬% এরও বেশি ভোট অর্জন করে, তাদের দর কষাকষির ক্ষমতা দেয়। তবে বিজেপির সূত্র জানিয়েছে, যে দলটি রাজনৈতিক স্থায়িত্বের কারণে নয়, বরং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বের কারণে এই আসনগুলি জিতেছে।২০২০ সালে, বিভক্ত হওয়ার এক বছর আগে, এলজেপি বিহারের ২৪৩টি বিধানসভা আসনের মধ্যে ১৩৫টিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল, যার ফলে এনডিএকে চরম মূল্য দিতে হয়েছিল। ৬৪টি আসনে, যেখানে দল তৃতীয় বা তার কম স্থানে ছিল, সেখানে জয়ের ব্যবধানের চেয়ে বেশি ভোট পেয়েছিল। এই আসনগুলির মধ্যে, এটি সরাসরি ২৭টি আসনে জেডি(ইউ)কে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে, যেখানে এটি দ্বিতীয় স্থানে ছিল।এলজেপি (আরভি) এখনও তার প্রাপ্যের চেয়ে বেশি আসন পেয়েছে। আমরা প্রথমে দলের জন্য ২০টির বেশি আসনের পক্ষে ছিলাম না। পরে তা ২৩ এবং পরে ২৬-এ সংশোধন করা হয় কারণ চিরাগ ক্রমাগত চাপ প্রয়োগ করছিলেন। জোটকে শক্তিশালী ও ঐক্যবদ্ধ রাখার স্বার্থে, আমরা ২৯-এ সম্মত হয়েছি, বিহারের একজন প্রবীণ বিজেপি নেতা বলেন।আরেকজন বিজেপি নেতা বলেন, চিরাগ পাসোয়ান ছিলেন কঠোর দর কষাকষিকারী। যেহেতু তিনি কেন্দ্রে একজন গুরুত্বপূর্ণ মিত্র, তাই আমাদের তার দাবি মেনে নিতে হয়েছিল। এলজেপি ৪০টি আসন দিয়ে শুরু করে, পরে ৩৫টিতে নামিয়ে আনা হয় এবং অবশেষে ২৯টি আসন নিয়ে মীমাংসা করে। প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানের পর মাঝি ছয়টি আসন নিয়ে রাজি হন। ভবিষ্যতে তিনি একটি এমএলসি পদ দাবি করবেন বলে জানা গেছে।

অক্টোবর ১৩, ২০২৫
রাজ্য

বর্ধমান স্টেশনে ট্রেন ঢুকতেই হুড়োহুড়ি — পদপিষ্টে অন্তত ১২ জন আহত

রবিবার ছুটির সন্ধ্যায় বর্ধমান (Bardhaman) রেল স্টেশনে হুড়োহুড়িতে পদপিষ্টের ঘটনা ঘটে। বহু যাত্রী একযোগে ট্রেন ধরার চেষ্টায় মুখ্য সিঁড়ি ও ওভারব্রিজ এলাকায় ঠাসাঠাসিতে পদপিষ্ট হয়ে পড়েন। এই ঘটনায় অন্তত ১২ জন আহত হয়েছেন বলে প্রাথমিক খবর পাওয়া গেছে। আহতদের দ্রুত উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে (Burdwan Medical College Hospital) ভর্তি করা হয়েছে। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, অধিকাংশের অবস্থা আপাতত স্থিতিশীল। ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া সূত্র অনুযায়ী, একসঙ্গে ৩৪টি ট্রেন ৪, ৫ ও ৬ নম্বর প্ল্যাটফর্মে ছিল। যাত্রীরা ট্রেনে ওঠা ও নামার জন্য সিঁড়ি ও ওভারব্রিজ এলাকায় একসাথে ওটানামা করতে থাকেন, তখন ভিড় গিজ গিজ করছিল। সিঁড়িতে অতিরিক্ত চাপ ও ধাক্কাধাক্কির ফলে কয়েকজন পড়ে যান। এতেই আঘাত পান। প্রত্যক্ষদর্শীরা অভিযোগ করেছেন, বেশ কিছু দিন ধরে ওভারব্রিজ একাধিক অংশ কাজ করছে না বা সংস্কার হচ্ছে, ফলে যাত্রীদের মূল সিঁড়িগুলো ব্যবহার করতে হয়। রেলের উদ্ধার দল ও রেলে নিয়োজিত স্টাফ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের উদ্ধারে মনোনিবেশ করে। রেল প্রশাসনের তরফে বলা হয়েছে, অতিরিক্ত নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়ন করা হবে এবং ভবিষ্যতে এমন দুর্ঘটনা এড়াতে পরিকল্পিত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অক্টোবর ১২, ২০২৫
বিদেশ

গাজা শান্তি সম্মেলনে ভারতের প্রতিনিধি কীর্তি বর্ধন সিং

মিশরের শর্ম-এল-শেখে সোমবার অনুষ্ঠিত হতে চলেছে গাজা শান্তি সম্মেলন। সেখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিশেষ দূত হিসেবে ভারতকে প্রতিনিধিত্ব করবেন কেন্দ্রীয় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কীর্তি বর্ধন সিং।সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ এল-সিসি শেষ মুহূর্তে প্রধানমন্ত্রী মোদিকে আমন্ত্রণ জানান। তবে মোদি নিজে অংশ না নিয়ে প্রতিনিধিত্বের দায়িত্ব দিয়েছেন প্রতিমন্ত্রীকে।এই সম্মেলনে অংশ নেবেন আরও বেশ কয়েকজন বিশ্বনেতা জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মের্জ, ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমমানুয়েল মাক্রোঁ, স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদরো স্যাঞ্চেজ এবং জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।কূটনৈতিক মহল মনে করছে, গাজা উপত্যকার সংঘাত পরিস্থিতি নিয়ে এই বৈঠকে আন্তর্জাতিক পরিসরে শান্তি প্রক্রিয়া এগিয়ে নেওয়ার রূপরেখা তৈরি হতে পারে। উল্লেখ্য গাজায় আপাতত যুদ্ধবিরতি চলছে।

অক্টোবর ১২, ২০২৫
রাজ্য

দুর্গাপুরে ডাক্তারি ছাত্রীর ‘গণধর্ষণ’, তিন অভিযুক্ত গ্রেফতার — সহপাঠীর ভূমিকাও প্রশ্নের মুখে

দুর্গাপুরে কলেজ ছাত্রীকে অপহরণ করে গণধর্ষণের অভিযোগে তীব্র চাঞ্চল্য। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গ্রেফতার করা হয়েছে তিন অভিযুক্তকে। তাঁদের রবিবার দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক ১০ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন।ঘটনাস্থল কলেজ ক্যাম্পাস থেকে মাত্র ৭০০ মিটার দূরে, ঘন ঝোপঝাড়ে ঘেরা এলাকায়। পুলিশ জানায়, সেখানে দীর্ঘদিন ধরেই বসে নেশার ঠেকমদ ও গাঁজা বিক্রির আড্ডা। শনিবার রাতে ওই ঠেকেই ছিলেন তিন অভিযুক্ত। তখনই তাঁরা কলেজের ডাক্তারি ছাত্রী এবং তাঁর এক সহপাঠীকে রাস্তায় হাঁটতে দেখে প্রথমে তরুণীকে উত্ত্যক্ত করতে শুরু করেন। এর পর তাঁকে জোর করে টেনে নিয়ে গিয়ে জঙ্গলে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ।পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনাকালীন তরুণীর মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয় অভিযুক্তরা। পরে তদন্তে ধৃতদের কাছ থেকেই তরুণীর ফোন উদ্ধার হয়েছে। পুলিশ দাবি করেছে, তিন জনের বিরুদ্ধেই প্রত্যক্ষ প্রমাণ মিলেছে। তদন্তকারীদের একটি সূত্র জানিয়েছে, সহপাঠীকে পালিয়ে যেতে দেখে তরুণী কলেজের বন্ধুদের ফোন করেছিলেন। পরে তাঁর বন্ধুরাই ওই সহপাঠীকে ঘটনাস্থলে ফের যেতে বলেন। এই সময়েই নির্যাতিতাকে ধর্ষণ করা হয় বলে প্রাথমিক তদন্তে ধারণা পুলিশের।ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরেই পুলিশ ওই সহপাঠীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। তাঁর বয়ানেই পুরো ঘটনার প্রাথমিক তথ্য মিলেছে বলে সূত্রের খবর। তরুণীর সঙ্গে কথা বলেছেন ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট রঞ্জনা রায়।কলেজ কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, রাত ৭টা ৫৮ মিনিটে সহপাঠীর সঙ্গে ক্যাম্পাস থেকে বেরিয়েছিলেন তরুণী। ৮টা ৪২ মিনিটে সহপাঠী একা ফিরে আসেন, গেটের কাছে কিছুক্ষণ ঘোরাঘুরি করে ফের বাইরে যান। পরে রাত ৯টা ২৯ মিনিটে দুজন একসঙ্গে কলেজে ফেরেন। ৯টা ৩১ মিনিটে তরুণী নিজের হস্টেলে ফিরে যান।অভিযোগ, তরুণীর বাবার দাবি অনুযায়ী, তাঁর মেয়েকে বাইরে নিয়ে গিয়েছিলেন সেই সহপাঠীই, এবং ধৃত তিন জন ওই ছাত্রেরই বন্ধু। তাঁর কথায়, রাত ১০টার দিকে ওর বন্ধু ফোন করে জানায়, আমার মেয়েকে ধর্ষণ করা হয়েছে। ওর এক বন্ধু ওকে খেতে নিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু যখন দু-তিন জন মেয়েকে ঘিরে ধরে, তখন ওর বন্ধুটি পালিয়ে যায়।এখনও পর্যন্ত তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে পুলিশ মনে করছে, ঘটনায় আরও কয়েক জন যুক্ত থাকতে পারে। তাঁদের খোঁজে চলছে তল্লাশি অভিযান

অক্টোবর ১২, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

১৪ বছর পর কলকাতায় মেসি! “মাঠ কাঁপাবে” ডিসেম্বরে?

কলকাতার ফুটবলপ্রেমীদের জন্য এক বিশাল সুখবর! ফুটবল কিংবদন্তি লিওনেল মেসি (Lionel Messi) তাঁর বহু প্রতীক্ষিত GOAT Tour of India 2025-এর জন্য এ বছরের ডিসেম্বর মাসে কলকাতা ময়দান মাতাতে আসছেন। ১৪ বছর পর বিশ্বকাপজয়ী এই মহাতারকার ভারতে ফেরা নিঃসন্দেহে এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত হতে চলেছে।আগামী ডিসেম্বরে আর্জেন্টাইন মহাতারকা লিওনেল মেসি তাঁর ভারত সফরের সূচনা করবেন কলকাতাতেই। আয়োজকদের ঘোষণা অনুযায়ী, তিনি ১২ই ডিসেম্বর রাতে মহানগরে পৌঁছাবেন এবং ১৩ই ডিসেম্বর কলকাতায় বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নেবেন।কলকাতার আইকনিক সল্টলেক স্টেডিয়ামে (যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন) মূল অনুষ্ঠানগুলি হবে, যেখানে ২০১১ সালে মেসি আর্জেন্টিনার হয়ে ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে একটি আন্তর্জাতিক প্রীতি ফুটবল ম্যাচে খেলেছিলেন।GOAT কনসার্ট এবং GOAT কাপ, ১৩ই ডিসেম্বর এই দুটি প্রধান ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হবে। GOAT কাপ হবে একটি সেলিব্রেটর সেভেন-এ-সাইড (seven-a-side) সফট-টাচ ফুটবল ম্যাচ। বেশ কয়েকজন ভারতীয় কিংবদন্তির উপস্থিতির সম্ভবনা ওই খেলায়, সুত্রের খবর, এই বিশেষ ম্যাচে মেসির সঙ্গে মাঠে নামতে পারেন ভারতীয় ক্রীড়া জগতের তারকারা, যেমন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, বাইচুং ভুটিয়া এবং লিয়েন্ডার পেজ প্রমুখ।ম্যচের শেষে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে মেসিকে বিশেষ সংবর্ধনা দেওয়া হতে পারে। এছাড়াও এই সফরের অঙ্গ হিসাবে কলকাতা শহরে মেসির একটি মূর্তি উন্মোচন-র আয়োজন চলছে।এই সফরে নানাবিধ অনুষ্ঠানের মধ্যে, ফুড অ্যান্ড টি ফেস্টিভ্যালঅনুষ্ঠিত হবে। কলকাতায় তাঁর প্রিয় পানীয় আর্জেন্তিনীয় ভেষজ চা মাটে-এর সঙ্গে আসামের চায়ের ফিউশন করে একটি বিশেষ খাদ্য ও চা উৎসবের আয়োজন করা হবে।কলকাতা ছাড়াও মেসি ভারতে আরও কয়েকটি শহর সফর করবেন, সেকারনে তাঁর নিরাপত্তা ব্যবস্থাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কলকাতার পর মেসি আরও চারটি-শহরে সফর করবেন। যেগুলি হল আহমেদাবাদ, মুম্বাই এবং নয়া দিল্লী। ১৫ই ডিসেম্বর তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করে তাঁর ভারত সফর শেষ করবেন। এই সফরের ইভেন্টগুলোর টিকিটের মূল্য ৩,৫০০ টাকা থেকে শুরু হতে পারে বলে জানা গেছে।মেসির প্রতিক্রিয়াদীর্ঘ ১৪ বছর পর ভারতে আসা নিয়ে মেসি উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন। একটি সরকারি বিবৃতিতে তিনি বলেন, এই সফর করতে পারা আমার জন্য খুবই সম্মানের। ভারত খুব স্পেশাল একটি দেশ, এবং ১৪ বছর আগে আমার সেখানে কাটানো মুহূর্তগুলোর খুব ভালো স্মৃতি আছে এখানকার ভক্তরা ছিল অসাধারণ। ভারত ফুটবল প্রেমী দেশ (passionate football nation), এবং আমি ফুটবলের প্রতি আমার ভালোবাসা নতুন প্রজন্মের ভক্তদের সাথে ভাগ করে নেওয়ার জন্য মুখিয়ে আছি।২০২৫ এর ডিসেম্বর মাসে ফুটবল কিংবদন্তির আগমন শুধু কলকাতার নয়, গোটা ভারতের ক্রীড়াপ্রেমীদের কাছে এক বিশাল উৎসবের বার্তা নিয়ে আসছে।

অক্টোবর ০৭, ২০২৫
রাজ্য

সাংসদের ওপর হামলায় রাজ্যকে নিয়ে বড় প্রশ্ন মোদির, কড়া জবাব মমতার

বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু ও বিধায়ক শঙ্কর ঘোষের ওপর হামলা নিয়ে রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তার পাল্টা কড়া জবাব দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি সোশ্যাল মিডিয়া লিখেছেন, এটা খুবই দুর্ভাগ্যের এবং গভীর উদ্বেগের বিষয় যে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী একটি প্রাকৃতিক বিপর্যয় নিয়ে রাজনীতি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, কোনো উপযুক্ত অনুসন্ধানের জন্য অপেক্ষা না করেই তা-ও আবার যখন উত্তরবঙ্গের মানুষ ভয়াবহ বন্যা ও ধসের সঙ্গে যুঝছেন।যখন সমগ্র স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশ ত্রাণ ও উদ্ধারের কাজে ব্যস্ত হয়ে আছে, তখন বিজেপি নেতারা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় গিয়েছিলেন বিপুল সংখ্যক গাড়ির কনভয় নিয়ে, কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা নিয়ে এবং স্থানীয় পুলিশ ও প্রশাসনকে কোনো খবর না দিয়ে। রাজ্য প্রশাসন, স্থানীয় পুলিশ বা তৃণমূল কংগ্রেসকে কীভাবে এই ঘটনার জন্য দায়ী করা যাবে?এখানেই থামেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রশ্ন তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী পদের গরিমা নিয়েও। প্রশ্ন তুলেছেন মোদির নৈতিকতা নিয়েও। তাছাড়া কোনও প্রমান ছাড়াই প্রধানমন্ত্রী তৃণমূল কংগ্রেসকে দায়ী করেছে বলে দাবি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি লিখেছেন, প্রধানমন্ত্রী তৃণমূল কংগ্রেস এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ওপর দোষারোপ করেছেন কিছুমাত্র প্রমাণ ছাড়া, আইনানুগ কোনো তদন্ত ছাড়া এবং কোনো প্রশাসনিক রিপোর্ট ছাড়া। এটা শুধু রাজনৈতিক নিম্নতা স্পর্শ করল না, যে সাংবিধানিক নৈতিকতা তুলে ধরতে প্রধানমন্ত্রী শপথ নিয়েছেন, সেই নৈতিকতারও লঙ্ঘন হল। যে কোনো গণতন্ত্রে আইন তার নিজস্ব পথ নেয় এবং কোনো ঘটনার দায় নির্ধারিত হয় যথাযথ প্রক্রিয়ায় -কোনো রাজনৈতিক বেদীর উচ্চতা থেকে করা একটি ট্যুইটের মাধ্যমে নয়।উত্তরবঙ্গ কাল যাবো, আজ কার্নিভাল !!!কার্নিভাল নাকি বাংলার ঐতিহ্য ! তা দশমীর চার দিন পর সরকারি অনুদান আর প্রশাসনিক চোখ রাঙানির জেরে প্রতিমা নিরঞ্জন আটকে রেখে, মিছিল করিয়ে ঘাটে যাওয়া কবে থেকে বাংলার ঐতিহ্য হয়ে গেলো?আর মুখ্যমন্ত্রী চটজলদি উত্তরবঙ্গ যেতে আগ্রহী নন কেন, pic.twitter.com/mD0TeqWIaz Suvendu Adhikari (@SuvenduWB) October 5, 2025মমতা বলেছেন, সংশ্লিষ্ট ঘটনা ঘটেছিল একটি কেন্দ্রে, যেখানে মানুষ নিজেরাই বিজেপির একজন বিধায়ককে নির্বাচন করেছেন। তথাপি এই ঘটনায় তৃণমূল কংগ্রেসের তথাকথিত শক্তিমত্তা দেখায় প্রধানমন্ত্রী দ্বিচারিতা অনুভব করলেন না। এই ধরনের অসার এবং অতি-সরলীকৃত সাধারণীকরণ শুধু অপরিণতই নয়, তা দেশের সর্বোচ্চ পদের সঙ্গে মানানসইও নয়।

অক্টোবর ০৭, ২০২৫
রাজ্য

বিজেপি সাংসদ ও বিধায়কের ওপর হামলা, নিন্দা নরেন্দ্র মোদীর, ফোন রাজনাথ সিংয়ের

বন্যা ও ভমি ধ্বসে বিপর্যস্ত উত্তরবঙ্গ। এরই মধ্যে নাগরাকাটায় বন্যা পরিস্থিতি দেখতে গিয়েছিলেন মালদা উত্তরের সাংসদ খগেন মুর্মু ও শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। তাঁদের ওপর তৃণমূল কংগ্রেস প্রাণঘাতী হমলা করেছে বলে অভিযোগ। মাথা ফেটে রক্তাক্ত হয়েছেন খগেন মুর্মু। আঘাত পেয়েছেন শঙ্কর ঘোষ। যদিও তৃণমূল অভিযোগ অস্বীকার করেছে। এবার এই ঘটনায় সোশ্যাল মিডিয়ায় মুখ খুললে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। জখম সাংসদের সঙ্গে কথা বলেছেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং।প্রধানমন্ত্রী পশ্চিমবঙ্গের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। আক্রমণের তীব্র নিন্দা করেছেন। নরেন্দ্র মোদী এক্স হ্যান্ডেলে বলেছেন, যেভাবে আমাদের দলের সহকর্মীরাযাদের মধ্যে একজন বর্তমান সাংসদ ও বিধায়কও রয়েছেনপশ্চিমবঙ্গে বন্যা ও ভূমিধসে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সেবা করতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন, তা অত্যন্ত নিন্দনীয়। এটি তৃণমূল কংগ্রেসের অসংবেদনশীলতা এবং রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলার করুণ রূপের স্পষ্ট প্রতিফলন।যেভাবে আমাদের দলের সহকর্মীরাযাদের মধ্যে একজন বর্তমান সাংসদ ও বিধায়কও রয়েছেনপশ্চিমবঙ্গে বন্যা ও ভূমিধসে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সেবা করতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন, তা অত্যন্ত নিন্দনীয়। এটি তৃণমূল কংগ্রেসের অসংবেদনশীলতা এবং রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলার করুণ রূপের স্পষ্ট প্রতিফলন।আমার Narendra Modi (@narendramodi) October 6, 2025আমার একান্ত কামনা পশ্চিমবঙ্গ সরকার ও তৃণমূল কংগ্রেস এই কঠিন পরিস্থিতিতে হিংসায় লিপ্ত না হয়ে মানুষের সাহায্যে আরও মনোযোগী হোক। আমি বিজেপি কার্যকর্তাদের আহ্বান জানাই, তারা যেন জনগণের পাশে থেকে চলতি উদ্ধার কাজে সহায়তা করে যান।এদিকে নাগরাকাটায় বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শনে গিয়ে সাংসদ খগেন মুর্মু ও বিধায়ক শঙ্কর ঘোষের ওপর হামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংজি। রাজ্য বিজেপি সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য এক্স হ্যান্ডেলে বলেছেন, তিনি টেলিফোনে আমার সঙ্গে কথা বলে ঘটনার বিস্তারিত জানতে চান এবং স্পষ্ট বার্তা দেন রাজনীতিতে হিংসার কোনো স্থান নেই। পশ্চিমবঙ্গের মানুষ এই অন্যায় ও অত্যাচার কখনো মেনে নেবে না। সবাই মিলে এই হিংসার রাজনীতি প্রতিহত করতে হবে। বাংলার মানুষ গণতন্ত্রের শক্তিতে বিশ্বাস রাখে।

অক্টোবর ০৭, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal