• ৩ আষাঢ় ১৪৩২, শুক্রবার ২০ জুন ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Injured

কলকাতা

বালিতে চলন্ত বাসে গুলি, নিরাপদে যাত্রীরা

অফিস টাইমে বাসে গুলি চালানোর অভিযোগ। মঙ্গলবার সকালে এই ঘটনা ঘটেছে বালিঘাট স্টেশনের কাছে। যদিও গুলিই চলেছে কি না তা নিশ্চিত নয়। এদিন সকালে নিশ্চিন্দার রাজচন্দ্রপুর থেকে এসি-২৩এ রূটের একটি বৈদ্যুতিক বাস করুণাময়ীর দিকে যাত্রা শুরু করে পৌনে ৯টা নাগাদ। বালিঘাট স্টেশনের কাছে হঠাৎই বিকট শব্দে চমকে ওঠেন বাসের যাত্রীরা। বাসটিও ব্রেক কষে দাঁড়িয়ে যায়। প্রথমে বাসের টায়ার বার্স্ট করেছে ভাবেন যাত্রীরা। তারপরেই নজরে পড়ে বাসের সামনের দিকের মেঝেতে ও দুই পাশের সিটে বসা যাত্রীদের গায়ে ও বাসের ভেতরে পড়ে রয়েছে জানলার ভাঙা ফাইবার কাচের টুকরো। আর দুদিকের জানলাতেই তৈরি হয়েছে বড় গর্ত। দেখেই বোঝা যাচ্ছে কাচ এফোঁড়-ওফোঁড় করে ভারি কিছু একটা বেরিয়ে গিয়েছে। হঠাৎই ঘটে যাওয়া এই ঘটনায় যাত্রীদের মধ্যে একজন বলে ওঠেন বাসে গুলি চলেছে। কেউ বাস লক্ষ্য করে গুলি চালিয়ে পালিয়ে গিয়েছে। কিন্তু কে এই কাজ করলো কেউ বুঝে উঠতে পারেননি। গুলির কথা শুনেই যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। হুড়োহুড়ি করে অনেকেই বাস থেকে নেমে যেতে চান। কিন্তু তাঁদের নেমে যেতে বারন করেন ওই সরকারি বাসের চালক । গুলি চালনার ঘটনা আশঙ্কা করে ওই যাত্রীবোঝাই বাস নিয়ে তিনি সোজা চলে যান বালি থানায়। পুলিশ প্রথমেই বাসটিকে শিবপুর পুলিশ লাইনে পাঠিয়ে দেয় ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্যে। হাওড়া সিটি পুলিশের এক কর্তা বলেন, গুলি অথবা পাথর কি ছোঁড়া হয়েছিল তা স্পষ্ট নয়। ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের খবর দেওয়া হয়েছে। আমরাও স্থানীয় স্তরে খোঁজ খবর চালাচ্ছি। এই ঘটনায় বাসটির চালকের দিকে থাকা অর্থাৎ ডান দিকের আপৎকালীন প্রস্থানের জানলার কাচের উপর দিকে একটি মাঝারি গর্ত তৈরি হয়েছে। ওই জানলার কোনাকুনি বাসের দরজার দিকে অর্থাৎ বাঁ দিকের জানলার কাচের নিচের দিকে আরেকটি ছোট গর্ত তৈরি হয়েছে। যা দেখে বোঝা যাচ্ছে যা কিছুই ছোঁড়া হোক না কেন, তা ডানদিকের জানলা ফুঁড়ে ঢুকে বাঁ দিকের জানলা ফুঁড়ে বেরিয়ে গিয়েছে। তবে পাথরে এমন হওয়ার সম্ভবনা কম বলেই মনে করছে পুলিশ। কারণ পাথরে কাচ ভাঙার পরে তা বাসের ভিতরে পড়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু এদিন বাসের ভিতরে তেমন কিছুই পড়ে থাকতে দেখা যায়নি। বাসের চালকের আসনের পিছনে বসা এক যাত্রী গৌতম পাল বলেন, আমি চালকের পিছনে বসেছিলাম। বালিঘাটে লালবাড়ির সামনে যেতেই দেখি মাথার উপরের কাঁচ সশব্দে ভেঙে গেল। ফুটো হয়ে গেল কাঁচটা। উল্টোদিকের জানলার কাঁচও ফুটো হয়ে গেল। কী যেন একটা ছোড়া হল। মনে হল গুলি। খুব ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম।ওই বাসের কন্ডাক্টর শুভেন্দু শিকদার বলেন, অন্যান্য দিন লালবাড়ি কাটআউট স্টপেজে থামলেও এ দিন যাত্রী না থাকায় বাস দাঁড়ায়নি। ওই স্টপেজ থেকে কয়েক পা এগোনোর পরেই ঘটে ঘটনাটি। প্রায় ৪০টি সিটেই এ দিন যাত্রীরা বসে থাকায় তাঁরা প্রাণে বেঁচে যান। রাস্তার ঠিক যে জায়গায় ঘটনাটি ঘটেছে তার পাশে একটি ঝোপ রয়েছে। এদিন সেটি ঘিরে রাখে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, দূরে ও কিছুটা উপর থেকে স্বয়ংক্রিয় আগ্নেয়াস্ত্র থেকে গুলি চালানো হতে পারে। কিন্তু ওই বাসের উপর কে হামলা করবে তা স্পষ্ট নয় পুলিশের কাছে। এদিন পুলিশ বাসের যাত্রীদের থানায় নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদও করে। বাসের ভিতরে থাকা কোনও যাত্রীর সঙ্গে শত্রুতার জেরে কেউ এ কাজ করেছে কি না তা জানার চেষ্টা করা হয়। কারণ যেখানে ঘটনাটি ঘটে সেখানেই বালিঘাট রেল স্টেশন। সেখান থেকেও কেউ পাথর ছুঁড়েছে কি না তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। পুলিশের অনুমান, রেল লাইনের উপর থেকেই ২০০ মিটার দূরে থাকা বাসে গুলি চালানো বা কিছু ছোঁড়া হতে পারে। ঘটনার খবর পেয়েই বালির লালবাড়ির কাছে ছুটে যান হাওড়া সিটি পুলিশের এসিপি অমিত কুমার সহ পুলিশের পদস্থ কর্তারা। তাঁরা ফিতে দিয়ে এলাকা ঘিরে ফেলেন। স্থানীয় মানুষজনকে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়। তবে অস্বাভাবিক কোনও শব্দ শোনেননি বা কাউকে দেখনি বলেই জানান স্থানীয়রা।

এপ্রিল ১৩, ২০২১
রাজ্য

শিবপুরে তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষ, পরিস্থিতি সামাল দিতে এলাকায় র‍্যাফ

পুলিশি নিষ্ক্রীয়তার অভিযোগে থানা ঘেরাও তৃণমূলের।শিবপুরে ভোট পরবর্তী সংঘাত তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে। বাঁকড়ার পরে এবারে শিবপুরের চ্যাটার্জিহাট থানা এলাকায় বিজেপি ও তৃণমূলের সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয় ওলাবিবিতলার ভ্যানিশকালি এলাকা। সোমবার রাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শিবপুরের অনন্তদেব মুখার্জি লেনে নামে র্যা ফ। অনন্তদেব মুখোপাধ্যায় লেনের ভ্যানিস কালি অগ্রনী সংঘের মাঠের কাছে তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে মারামারি হয়। সোমবার রাতে এই সংঘর্ষের পর মঙ্গলবার তৃণমূল চ্যাটার্জিহাট থানা ঘেরাও করে। চ্যাটার্জিহাট থানার ওসির অপসারণের দাবিতে থানা ঘেরাও করে তারা। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের অভিযোগ, সংঘর্ষের সময় বার বার পুলিশকে ফোন করলেও রাতে ঘটনাস্থলে কোনও পুলিশ পাঠানো হয়নি। বিজেপির তরফেও জেলা নেতৃত্ব থানায় গিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে। তাঁদের অভিযোগ, ভোট শেষ হতেই চ্যাটার্জিহাট থানা এলাকায় বিজেপি কর্মীদের বাড়ি বাড়ি ঢুকে মারধর করেছে তৃণমূল। যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূলের দাবী বিজেপির মহিলা বাহিনী তৃণমূলের মহিলাদের উপর সোমবার রাতে লাঠি ও রড নিয়ে চড়াও হয়। এতে তৃণমূলের দুই মহিলা গুরুতর আহত হন। যদিও বিজেপি এই আক্রমণের কথা অস্বীকার করেছে। বিজেপির পাল্টা দাবি, তৃণমূলের এই অভিযোগ ভিত্তিহীন। গুরুতর আহত তৃণমূলের এক মহিলা কর্মী মুনমুন চক্রবর্তী বলেন, আমি অফিস থেকে ফিরছিলাম। হঠাৎ ৩০ থেকে ৪০ জন মহিলা আমাকে পিছন থেকে এসে মারধর শুরু করে দিল। মাথায় ইঁট দিয়ে মারলো। তার পর রাস্তায় ফেলে পিঠে লাঠি, টিউবলাইট দিয়ে বেধড়ক মারধর করলো। আক্রমণকারীরা সব বহিরাগত। ওরা প্রত্যেকেই বিজেপির আশ্রিত। এলাকার বাসিন্দারাই আমাকে ওদের হাত থেকে রক্ষা করে। গুরুতর আহত অবস্থায় ওই মহিলাকে হাওড়া জেলা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। এই বিষয়ে হাওড়া জেলা সদর তৃণমূল চেয়ারম্যান অরূপ রায় বলেন, বিজেপি আশ্রিত মহিলা দুষ্কৃতীরা লাঠি, টিউবলাইট নিয়ে চ্যাটার্জিহাটের অনন্তদেব মুখার্জি লেনে বাড়ি বাড়ি ঢুকে ৬৫ থেকে ৭০ বছরের বৃদ্ধবৃদ্ধাদের মারধর করেছে। বেধড়ক মারধর করা হয়েছে তৃণমূলের মহিলা কর্মীদের। স্থানীয় এক বিজেপি নেতার এলাকায় মদের দোকান রয়েছে। ওই নেতাই প্রচুর কালো টাকা ছড়িয়ে বাইরে থেকে মহিলা দুষ্কৃতী নিয়ে এসে এলাকার বাসিন্দাদের মারধর করেছে। ভোটের পর এই প্রসঙ্গে দক্ষিণ হাওড়া বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী রন্তিদেব সেনগুপ্ত বলেন, হাওড়ায় শনিবার ভোট মিটতেই সব জায়গায় তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা আমাদের বিজেপি কর্মীদের উপর আক্রমণ করছে। সোমবার রাতে চ্যাটার্জিহাটেও একই ঘটনা ঘটেছে। হাওড়া জেলা হাসপাতালে প্রচুর বিজেপি কর্মী আহত হয়ে ভর্তি আছেন। এভাবে তৃণমূল আমাদের কর্মীদের মারতে থাকলে আমরা আর হাত গুটিয়ে বসে থাকবো না। আমরাও এবার পাল্টা মারবো। শনিবার ভোট মেটার পরেই রবিবার রাতে বাঁকড়ায় সংঘাতে জড়ায় তৃণমূল ও বিজেপি। সেই সংঘাতের রেশ মিটতে না মিটতেই সোমবার রাতে চ্যাটার্জিহাটে আবার যুযুধান দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের পরে পরিস্থিতি সামাল দিতে নামাতে হয় র্যা ফ। হাওড়ায় ঘটা একের পর এক ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনায় উদ্বিগ্ন রাজনৈতিক মহল।

এপ্রিল ১৩, ২০২১
দেশ

ছত্তিশগড়ে মাওবাদীদের গুলির লড়াইয়ে মৃত ৫ জওয়ান

মাওবাদীদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে মৃত্যু হল অন্তত ৫ নিরাপত্তা কর্মীর। আহত হয়েছেন আরও ২০ জন। শনিবার ছত্তিশগড়ের বিজাপুরে মাওবাদীদের সঙ্গে ব্যাপক গুলির লড়াই হয় যৌথ বাহিনীর। মাওবাদীদেরও কয়েক জনের হতাহতের খবর পাওয়া গিয়েছে। সেই সঙ্গে তাদেরও বেশ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলেও দাবি করা হয়েছে পুলিশের তরফে। শেষ পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্তও গুলির লড়াই চলেছে।শনিবার বিজাপুরের তারেম এলাকার জঙ্গলে মাওবাদীদের লুকিয়ে থাকার খবর পায় পুলিশ। তার পর নিরাপত্তা কর্মীদের একাধিক বাহিনী যৌথ অভিযানে নামে। তাতে ছিল কোবরা (কমান্ডো ব্যাটালিয়ান ফর রেজলিউট অ্যাকশন), ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ড (ডিআরজি) এবং স্পেশ্যা ল টাস্ক ফোর্সের (এসটিএফ) জওয়ানরা। জঙ্গলের মধ্যে সেখানে বিজাপুর এবং সুকমার মাঝে একটি একটি গ্রামে মাওবাদীরা লুকিয়ে রয়েছে বলে জানতে পারেন অভিযানে নামা জওয়ানরা। এলাকায় পৌঁছতেই মাওবাদীরা নিরাপত্তা কর্মীদের দিকে গুলি চালাতে শুরু করেন। তাতেই মৃত্যু হয় ৫ জওয়ানের। আহত হয়েছেন বিভিন্ন বাহিনীর আরও ২০ জওয়ান। গুলির লড়াইয়ের কথা স্বীকার করেছেন ছত্তিশগড়ের ডিরেক্টর জেনারেল অফ পুলিশ ডিএম অবস্তি। ছত্তিশগড় পুলিশের এক উচ্চপদস্থ অফিসার অশোক জুনেজা জানান, ৫ জওয়ান কর্তব্যরত অবস্থায় মাওবাদীদের গুলিতে মৃত্যুবরণ করেছেন। যৌথ বাহিনীর জওয়ানদের ছোঁড়া পালটা গুলিতে মাওবাদীদেরও কয়েক জন মারা গিয়েছে বলে জানিয়ছে তিনি। পুলিশের তরফে মাওবাদীদের মৃত্যুর সংখ্যা জানানো না হলেও সূত্রের খবরে জানা গিয়েছে, অন্তত ২ জন মাওবাদী মারা গিয়েছে। আহত আরও কয়েকজন।

এপ্রিল ০৩, ২০২১
রাজ্য

বাসন্তীতে শুটআউট, গুলিবিদ্ধ তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য

ভোটের মরশুমে এবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীতে গুলিবিদ্ধ তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য। ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে এলাকা। হামলার নেপথ্যে বিজেপি, দাবি তৃণমূলের। অভিযোগ উড়িয়েছে গেরুয়া শিবির। কী হয়েছিল রবিবার রাতে, তা জানতে তদন্তু শুরু করেছে পুলিশ।জানা গিয়েছে, ওই পঞ্চায়েত সদস্যের নাম অনুপ হালদার। অন্যান্য দিনের মতোই গতকাল সন্ধেয় দলের কাজে বেরিয়েছিলেন তিনি। প্রায় এগারোটা নাগাদ বাইকে বাড়ি ফিরছিলেন। অভিযোগ, তিনি আমঝাড়া এলাকায় পৌঁছতেই কয়েকজন দুষ্কৃতী তাঁর পথ আটকায়। সেইসময়ই তাঁকে গুলি করা হয় বলে অভিযোগ। অনুপবাবুর সঙ্গেই বাইকে ছিলেন তাঁর ভাই। দাদাকে বাঁচাতে গেলে তাঁকে এলোপাথারি কোপায় দুষ্কৃতীরা। তাঁদের আর্তনাদ পেয়ে স্থানীয়রা ছুটে আসতেই পালায় অভিযুক্তরা। তড়িঘড়ি রক্তাক্ত অবস্থায় অনুপকে ক্যানিং হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে সেখানেই চিকিৎসা চলছে তাঁর। ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্বাভাবিকভাবেই উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বাসন্তী থানার পুলিশ। তৃণমূলের অভিযোগ, এই হামলার নেপথ্যে রয়েছে বিজেপি। এবিষয়ে তৃণমূল দলের প্রার্থী শ্যামল মণ্ডল বলেন, বিজেপির দুষ্কৃতিরাই এই ঘটনা ঘটিয়েছে। আমাদের কর্মীরা যখন বুথে মিটিং করে ফিরছিলেন তখনই তাঁদের উপর আক্রমণ করা হয়।নিজেদের বিরুদ্ধ ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি। এ বিষয়ে বিজেপির বাসন্তীর প্রার্থী রমেশ মাঝি বলেন, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফলেই এই ঘটনা। এর সঙ্গে বিজেপির কোন সম্পর্ক নেই। উল্লেখ্য, ভোটযুদ্ধ শুরু হয়ে গিয়েছে রাজ্যে। আগামী বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণ হবে বঙ্গে। এই পরিস্থিতিতেও কার্যত প্রতিদিনই বাংলার প্রতিটি জেলা থেকে অশান্তির খবর প্রকাশ্যে আসছে। কোথাও আক্রান্ত হচ্ছে তৃণমূল। কোথাও আবার হামলা চলছে বিরোধীদের উপর। সব মিলিয়ে উত্তপ্ত রাজ্য-রাজনীতি।

মার্চ ২৯, ২০২১
রাজ্য

নিজের গড়েই আক্রান্ত সৌমেন্দু অধিকারী, ভাঙা হল গাড়ি, আহত চালক

নিজেদের গড়ে আক্রান্ত অধিকারী পরিবারের ছোট ছেলে সৌমেন্দু। অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত প্রায় ৩০ জন দুষ্কৃতী ব্যাপক ভাঙচুর চালায় তাঁর গাড়িতে। মারধর করা হয় সৌমেন্দু অধিকারীর গাড়ির চালককেও। অভিযুক্তদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন বিজেপি নেতা সৌমেন্দু। প্রথম দফার ভোটগ্রহণ শুরুর কিছুক্ষণ পর থেকেই রাজ্যের একাধিক বুথ থেকে অশান্তির খবর প্রকাশ্যে আসে। হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। শালবনিতে আক্রান্ত হন বামপ্রার্থী। এসবের মাঝে পূর্ব মেদিনীপুরের সাবাজপুট এলাকায় আক্রান্ত হন সৌমেন্দু অধিকারী। প্রার্থীর নির্বাচনী এজেন্ট হওয়ায় এদিন সকালে একাধিক বুথে গিয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখছিলেন তিনি। জানা গিয়েছে, একটি বুথে ঢোকার সময় সাবাজপুট এলাকায় তাঁর পথ আটকায় একদল দুষ্কৃতী। ব্যাপক ভাঙচুর করা হয় তাঁর গাড়িতে। মারধর করা হয় তাঁর গাড়ির চালক গোপাল সিংকে। চোখের পাশে চোট লাগে তাঁর।সৌমেন্দু জানিয়েছেন, তৃণমূলের ব্লক সভাপতি রামগোবিন্দ দাসের নেতৃত্বে বুথ জ্যাম করার খবর পেয়ে সাবাজপুট গিয়েছিলেন তিনি। সেই সময়ই তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা পরিকল্পনামাফিক হামলা চালিয়েছে তাঁর গাড়িতে। কাঁথি থানার আইসিকে দালাল বলে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, কাঁথি থানার আইসি সকাল থেকে বুথে বুথে গিয়ে ভোট করানোর চেষ্টা করছেন। আসলে তৃণমূল বুঝে গিয়েছে ওদের হার নিশ্চিত। তাই এসব করছে। তিনি জানিয়েছেন, অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা না পর্যন্ত তিনি ঘটনাস্থল ছেড়ে যাবেন না।

মার্চ ২৭, ২০২১
রাজ্য

ভোটের মুখে বর্ধমানে বিষ্ফোরণে মৃত শিশু, রিপোর্ট তলব নির্বাচন কমিশনের

বর্ধমানের রসিকপুরে বোমা বিস্ফোরণ। বোমার আঘাতে আহত হয় দুই শিশু। জানা গেছে, বর্ধমান শহরের রসিকপুরে বোমাকে বল ভেবে খেলতে গিয়ে সেগুলি ফেটে যায়। এর ফলে শেখ আব্রাহাম ও শেখ আফরোজ নামে দুই শিশু আহত হয়। দুজনের বয়স বছর পাঁচ। তাদের বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা শেখ আফরোজকে মৃত বলে ঘোষণা করে। ঘটনাস্থলে এসে পৌছায় বর্ধমান থানার পুলিশ। ঘটনাস্থল ঘিরে রাখা হয়েছে। তদন্ত শুরু করেছে বর্ধমান থানায় পুলিশ।পুরো ঘটনার রিপোর্ট চাইল নির্বাচন কমিশন। ঘটনার খোঁজ নিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। ভোটের আগে এই ঘটনা আতঙ্ক সৃষ্টি করবে বলে দাবি করেছে বিজেপি। ভোটের মুখে এই ঘটনা আতঙ্ক ছড়িয়েছে বর্ধমান শহরে। ঘটনাস্থলে গিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার।বিজেপি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়র দাবি, তৃণমূলের অফিসগুলো বোমা তৈরির কারখানা। খেলা হবে বলে আসছে তৃণমূল কংগ্রেস। এটাই তার উদাহরণ। সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, এটা দুর্ভাগ্যজনক, নিন্দনীয় ঘটনা। খেলা হবে, ভয়ঙ্কর খেলা হবে। এসব বলা হচ্ছে। এদিকে শিশুর প্রাণ চলে যাচ্ছে। বুদ্ধিজীবীরা কোথায়। মুখ খুলুন। তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়ের বক্তব্য, বিষয়টা দুঃখজনক, মর্মান্তিক। সমাজবিরোধীরাও বোমা তৈরি করে। এই ঘটনা নিয়ে রাজনীতি না করে তদন্ত করে দোষীদের শাস্তি দিতে হবে।বিধানসভা নির্বাচনের মুখে কোথা থেকে এল এই বোমা? এই নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। মৃত নিষ্পাপ শিশুর দায় কে নেবে?

মার্চ ২২, ২০২১
কলকাতা

আলিপুর চিড়িয়াখানায় সিংহের খাঁচায় ঢুকে জখম ব্যক্তি

মর্মান্তিক ঘটনা ঘটল শুক্রবার কলকাতার আলিপুর চিড়িয়াখানায়। আচমকাই সিংহের খাঁচায় ঢুকে পড়েন এক ব্যক্তি। আর এরপরই সিংহের আঁচড়ে রক্তাক্ত হন তিনি। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে আপাতত এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সেখানেই তাঁর চিকিৎসা চলছে। তবে ওই ব্যক্তির পরিচয় এখনও জানা যায়নি। আর এই ঘটনা রীতিমতো উস্কে দিয়েছে সেই শিবার স্মৃতি। যেখানে শিবা নামের রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের গলায় মালা পরাতে গিয়ে বেঘোরে প্রাণ হারিয়েছিলেন এক যুবক।প্রত্যক্ষদর্শী এবং নিরাপত্তা আধিকারিকদের মতে, এদিন আর পাঁচজন সাধারণ দর্শকের মতোই ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন ওই ব্যক্তি। কিন্তু কেউ কিছু বোঝার আগেই আচমকা ঢুকে পড়েন সিংহের খাঁচায়। প্রথমে গাছে উঠে সামনের পাঁচিল টপকান। তারপর উঁচু ফেন্সটি টপকে ভিতরে ঢুকে পড়েন। এরপর সামনের ছোট নালা পেরিয়ে সিংহের এনক্লোজারে ঢুকে পড়েন। সেসময় একটি সিংহ ছাড়া ছিল। সেই পশুরাজই ওই ব্যক্তিকে আক্রমণ করে। এরপর ছোট আরেকটি ঘরে ওই ব্যক্তিকে টেনে নিয়ে যাওয়ার সময় নিরাপত্তাকর্মী এবং সিংহের দায়িত্বে থাকা কর্মীদের বিষয়টি নজরে আসে। তাঁরাই ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করেন। দেখা যায়, সিংহের থাবা এবং আঁচড়ে ক্ষতবিক্ষত ওই ব্যক্তির সারা শরীর। এরপরই তাঁকে তড়িঘড়ি এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই আপাতত চিকিৎসাধীন তিনি। জানা গিয়েছে, গুরুতরভাবে আহত হয়েছেন ওই ব্যক্তি। এদিকে, এই ঘটনা আরও একবার আলিপুর চিড়িয়াখানার নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে।

মার্চ ১৯, ২০২১
কলকাতা

শ্বাসকষ্ট, বাঁ-পায়ের গোড়ালিতে চোট, ২-৩ দিন পর্যবেক্ষণে থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শারীরিক অবস্থা নিয়ে উদ্বেগ পুরোপুরি কাটছে না। নন্দীগ্রামে আঘাত পাওয়ার পর গতকাল রাত থেকেই এসএসকেএমের উডবার্ন বিভাগে ভর্তি মুখ্যমন্ত্রী। হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে, মমতার বাঁ-পায়ের গোড়ালি ও পায়ের পাতার হাড়ে চিড় ধরেছে। ওই পায়ের পেশিতেও চোট লেগেছে। মুখ্যমন্ত্রীর বাঁ পা ফুলে রয়েছে। গতকাল রাতে এমআরআইয়ের পর পায়ে টেম্পোরারি প্লাস্টার করা হয়েছে। শুরু হয়েছে অ্যান্টিবায়োটিক। পায়ের ফোলা ভাব কমলে আজ প্লাস্টার করা হতে পারে। আঘাত লেগেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডান কাঁধ ও কনুইয়ে। চোট রয়েছে ঘাড়েও।গতকাল রাতে এসএসকেএমে আনার পর প্রাথমিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর মুখ্যমন্ত্রীকে ব্যথা কমানোর ওষুধ দেওয়া হয়েছে। শুরু হয়েছে অ্যান্টিবায়োটিক। এমআরআইয়ের জন্য রাতেই অ্যাম্বুল্যান্সে করে বাঙ্গুর নিউরো সায়েন্সে নিয়ে যেতে হয় মমতাকে। সেখান থেকে গভীর রাতে তিনি ফেরেন এসএসকেএমের উডবার্ন ওয়ার্ডে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, ইসিজি রিপোর্ট সন্তোষজনক হলেও, বুকে ব্যথা এবং শ্বাসকষ্টের কথা চিকিৎসকদের জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। বুকে ব্যথার কারণ আঘাতজনিত কারণে নাকি অন্য কারণে জানতে সিটি স্ক্যান করা হবে মমতার। এছাড়া, আজ আবার করা হবে ইসিজি। করা হতে পারে ইকোকার্ডিওগ্রামও।হাসপাতাল সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রীর রক্তের একাধিক রুটিন পরীক্ষা করা হবে। তাঁকে ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন চিকিৎসকেরা। আজ আবার মেডিক্যাল বোর্ডের চিকিৎসকরা তাঁকে পরীক্ষা করবেন। মুখ্যমন্ত্রীর চিকিৎসার জন্য ৯ সদস্যের দল গঠিত হয়েছে। এসএসকেএমের অধ্যক্ষ মণিময় বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও তিন বিভাগীয় প্রধান ও আরও পাঁচ বিশেষজ্ঞ রয়েছেন মেডিক্যাল বোর্ডে। রাখা হয়েছে অর্থোপেডিক, নিউরো মেডিসিন, নিউরো সার্জারি, কার্ডিওলজি, জেনারেল সার্জারি, এন্ডোক্রিনোলজি, জেনারেল মেডিসিন এবং অ্যানাস্থেশিয়া বিভাগের বিশেষজ্ঞদের। আজ দিনভর মুখ্যমন্ত্রীর স্বাস্থ্যের দিকে নজর রাখবেন চিকিৎসকরা। করা হবে আরও বেশ কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা। তারপর পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করা হবে।

মার্চ ১১, ২০২১
কলকাতা

গ্রিন করিডোর করে এসএসকেএম-এ আনা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীকে, কীভাবে এগোচ্ছে ঘটনাক্রম? জানুন

রাত ৮.৫০: নন্দীগ্রাম থেকে কলকাতায় পৌঁছলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাত ৮.৫৫: অ্যাম্বুল্যান্স থেকে স্ট্রেচারে করে উডবার্ন ওয়ার্ডে নিয়ে যাওয়া হল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।রাত ৯.০০: চোট কতটা গুরুতর, দেখতে পায়ের এক্স-রে করছেন চিকিৎসকরা। রাত ৯.০৫: হাসপাতালের বাইরে মুখ্যমন্ত্রীর আরোগ্য কামনায় জড়ো হয়েছে বহু মানুষ।রাত ৯.০৭: হাসপাতালে এলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। হাসপাতালের বাইরে তৃণমূল সমর্থকরা স্লোগান দিচ্ছেন।রাত ৯.১৭: হাসপাতালের বাইরে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ। রাত ৯.১৮: বর্ধমান, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, মেদিনীপুরের নানা জায়গায় বিক্ষোভ চলছে। রাত ৯.২০: হাসপাতালে রয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, অরূপ রায়, সাধন পাণ্ডেরা। রাত ৯.২৫: নন্দীগ্রামে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের প্রতিবাদে মুর্শিদাবাদের নিউ ফরাক্কা ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে তৃনমুল প্রার্থী মনিরুল ইসলামের নেতৃত্বে অবরোধ করে বিক্ষোভ।রাত ৯.২৭: এটা চক্রান্ত করে করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীকে মুখটা খুলতে দিন আমরা ভয়ঙ্কর আন্দোলনে নামব ওরা তখন বুঝতে পারবে। নির্বাচন কমিশন এর জন্য দায়ী। এটা বিজেপির চক্রান্ত। বাংলার মেয়েকে মারবে বাংলার মানুষ তা মেনে নেবে না। ভয়ঙ্কর আন্দোলন হবে। হুংকার অনুব্রত মণ্ডলের।রাত ৯.৩৩: মমতা চাইলে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা দেওয়া হবে। জানাল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।রাত ৯.৩৪: রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সিইও আরিজ আফতাবকে ফোন সুদীপ জৈনের। মমতার চোট প্রসঙ্গে জানতে চেয়েছে কমিশন। রাত ৯.৩৫: সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ অবরোধ করে বিক্ষোভ তৃণমূল সমর্থকদের। রাত ৯.৪৪: প্রবল যন্ত্রণা উপশম করতে অ্যানাস্থেশিয়া করা হল মুখ্যমন্ত্রীর। তাঁর শারীরিক অবস্থা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। রাত ৯.৪৯: রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের কনভয় লক্ষ্য করে জুতো ছোঁড়া হয় বলে অভিযোগ বিজেপির। জগদীপ ধনখড়ের গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ, স্লোগান।রাত ৯.৫০: চেতলায় রাস্তা অবরোধ। রাত ৯.৫৫: পুলিশ ঘিরে ধরে রাজ্যপালের কনভয় বের করল হাসপাতাল চত্বর থেকে।রাত ৯.৫৭: বৃহস্পতিবার রাজ্যজুড়ে তৃণমূলের অবস্থান বিক্ষোভ, প্রতিবাদ মিছিল। গোটা ঘটনার কথা লিখিত আকারে নির্বাচন কমিশনে জমা করবে তৃণমূল নেতা-কর্মীরা। রাত ১০.০০: উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় বিক্ষোভ।রাত ১০.০৪: মুখ্যমন্ত্রীর কাঁধে-কোমরে-মাথায় আঘাত লেগেছে মুখ্যমন্ত্রীর। রাতে হাসপাতালে থাকতে হতে পারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।রাত ১০.২৪: সিটি স্ক্যান করার ভাবনা। হতে পারে এমআরআই-ও। নিয়ে যাওয়া হয়েছে বাঙুরে। জানালেন চিকিৎসকরা।

মার্চ ১০, ২০২১
কলকাতা

নন্দীগ্রামে ‘চক্রান্তের শিকার’ মুখ্যমন্ত্রী, কটাক্ষ বিরোধীদের

নন্দীগ্রামে গিয়ে প্রচারে গিয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর মাথায়, কোমড়ে, পায়ে চোট লেগেছে। পুরো ঘটনায় ষড়যন্ত্রের অভিযোগ করা হয়েছে। যদিও তৃণমূল নেত্রীর সেই অভিযোগ মানতে নারাজ বিরোধীরা। পাল্টা বলছেন, সমবেদনা পাওয়ার জন্য নাটক করছেন মমতা। আহত হওয়া নেহাতই রাজনৈতিক ভণ্ডামি। তবে বিজেপি নেতারা, এই ঘটনার সিবিআই তদন্ত চেয়েছেন। মনোনয়ন পেশের পর নন্দীগ্রামে একের পর এক মন্দিরে যাচ্ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। আমজনতার সঙ্গে মিশে জনসংযোগও সারছিলেন তিনি। স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে সাধারণ মানুষের মধ্যে মিশে গিয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী। আচমকাই ধাক্কাধাক্কিতে পায়ে গুরুতর চোট পান মমতা। এই ঘটনার পিছনে ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে সরব তৃণমূল নেতৃত্ব। তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষের অভিযোগ, এটা চক্রান্ত। বিরোধীদের পায়ের তলায় মাটি সরে যাচ্ছে বলে মুখ্যমন্ত্রীর উপর আঘাত হানা হল। চরম নিন্দনীয় ঘটনা। মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য সরাসরি অভিযোগ করেছেন বিজেপির বিরুদ্ধে। তাঁর কথায়, বিজেপি এই ঘটনা ঘটিয়েছে। প্রচারের প্রথমদিনই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুঝিয়ে দিয়েছিলেন নন্দীগ্রামের মানুষ তাঁর সঙ্গেই রয়েছেন। তার পরই এই হামলা হল। তবে তৃণমূল নেতা-নেত্রীরা যতই বলুন, সে কথায় কান দিতে নারাজ বিরোধীরা। বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষের কথায়, উনি তো মুখ্যমন্ত্রী। জেড প্লাস ক্যাটেগরির নিরাপত্তা পান। রাজ্যে আইন -শৃঙ্খলা তো তাঁর হাতেই। তিনি যদি এরকমভাবে আক্রান্ত হন, তাহলে রাজ্যবাসীর কী অবস্থা হবে? এর পরই বিজেপির রাজ্য সভাপতি সিবিআই তদন্তের দাবি জানান। তাঁর কথায়, যাই হোক না কেন, তদন্তে করে দেখা হোক। মুখ্যমন্ত্রীর ষড়যন্ত্রের অভিযোগ খতিয়ে দেখুক নির্বাচন কমিশনও। বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয় জানান, এই ঘটনায় রাজনীতি হওয়া উচিৎ নয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর কোনও রাজনৈতিক দলের হামলা করার হিম্মত আছে কি না, তা জানা নেই। তবে উনি নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছেন। সিবিআই তদন্ত হোক, দোষীদের শাস্তি পাওয়া উচিৎ। ওঁর দ্রুত সুস্থতা কামনা করি। অর্জুন সিংও এই ঘটনাকে নাটক বলে আখ্যা দিয়েছেন। ভিন্ন সুর শোনা গিয়েছে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরীর গলাতে। তাঁর কথায়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগাগোড়া এমন নাটক করেন। এটা সমবেদনা পেতে রাজনৈতিক ভণ্ডামি। এদিকে নন্দীগ্রামে মমতার প্রতিদ্বন্দ্বী সিপিএম প্রার্থী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সবসময় নাটক করেন। এটা তাঁর আরও একটা নাটকই। একই কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারীর প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি।

মার্চ ১০, ২০২১
খেলার দুনিয়া

ভয়াবহ দুর্ঘটনা, ভাগ্যের জোরে বাঁচলেন টাইগার উডস

ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে কিংবদন্তি গল্ফার টইগার উডস। লস অ্যাঞ্জেলসের রোলিং হিলস এস্টেট এবং র্যা ঞ্চো পালোসা ভার্দাসের সীমান্তবর্তী এলাকায় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে টাইগারের গাড়ি। শরীরের একাধিক জায়গায় মারাত্মক আঘাত পান কিংবদন্তি গল্ফার। তাঁর পায়ের চোট রীতিমতো গুরুতর বলে জানা গিয়েছে। আপাতত হাসপাতালে ভর্তি তিনি। তাঁর শরীরে একাধিক অস্ত্রোপচার হয়েছে। তবে আপাতত তিনি বিপন্মুক্ত।লস অ্যাঞ্জেলেস পুলিশের উদ্ধৃতি অনুযায়ী, মঙ্গলবার রাতে উডসের গাড়ি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। সেসময় ঘটনাস্থলে অন্য কোনও গাড়ি ছিল না। কিংবদন্তি গল্ফার নিজেই গাড়ির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার ধারের একটি গাছে ধাক্কা মারেন। ধাক্কা খাওয়ার পর রাস্তার ঢাল ধরে গাড়িতে গড়িয়ে পড়ে। বেশ কয়েকবার গাড়িটি ডিগবাজিও খায়। গড়াগড়ি খাওয়ায় উডসের গাড়ি ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। রীতিমতো দুমড়ে-মুচড়ে গিয়েছে। তবে, সৌভাগ্যক্রমে প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন উডস। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় উদ্ধারকারী দল। সেই সময় জ্ঞান ছিল উডসের। কথাও বলতে পারছিলেন। দমকল কর্মীরাই তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান। তাঁরা জানিয়েছেন, দুর্ঘটনার সময় সিটবেল্ট বেঁধেছিলেন উডস। সম্ভবত সেকারণেই প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন তিনি।

ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২১
কলকাতা

নাকতলা উদয়ন সঙ্ঘে দুষ্কৃতী তাণ্ডব, আহত ২

নাকতলা উদয়ন সঙ্ঘে দুষ্কৃতী তাণ্ডব ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়াল। ক্লাবটি রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ক্লাব হিসেবে পরিচিত। শনিবার রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ বাইকে চড়ে এসে ২০-২৫ জন দুষ্কৃতী ক্লাবের একতলার ২টি ঘরে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। ওই সময় দুষ্কৃতীদের বাধা দেওয়ায় আহত হন ২ ক্লাব সদস্য। ক্লাবের সদস্যরা জানিয়েছেন, সন্ধেবেলা ক্লাবের সামনে বাইক নিয়ে রেস করছিল কয়েকজন যুবক। ওই সময় এক ক্লাব সদস্যের বাইকে ধাক্কা মারে এক বাইক আরোহী। এরপর যুবকদের সঙ্গে ওই ব্যক্তির বচসা শুরু হয়। সেই সময় আশপাশের মানুষের মধ্যস্থতায় তখনকার মতো ঝামেলা মিটে যায়। অভিযোগ, বচসার ইতি হলেও সেইসময় হুমকি দিয়ে যায় ওই যুবকরা। আরও পড়ুন ঃ কৃষকদের আন্দোলনকে নৈতিক সমর্থন তৃণমূলের অভিযোগ, রাতে তারাই দলবল নিয়ে এসে ভাঙচুর চালায়। স্থানীয়দের দাবি, আচমকাই ২০-২৫ জন দুষ্কৃতী বাইকে চড়ে নাকতলা উদয়ন সংঘ ক্লাবের সামনে পৌঁছয়। প্রত্যেকর হাতে ছিল বাঁশ, ইঁট। কিছু বুঝে ওঠার আগেই ক্লাবের একতলার ২টি ঘরে তারা ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। তবে হামলাকারীদের পরিচয় এখনও জানা যায়নি। মোবাইল ফোনে তোলা ছবির সূত্র ধরে দুষ্কৃতীদের তল্লাশি অভিযানে নেমেছে নেতাজি নগর থানার পুলিশ।

ডিসেম্বর ০৬, ২০২০
রাজ্য

আসানসোলের বারাবনিতে তৃণমূল- বিজেপি সংঘর্ষ , আহত ২

বিজেপির আর নয় অন্যায়কর্মসূচিতে গুলি ও বোমাবাজির জেরে উত্তপ্ত হয়ে উঠল আসানসোলের বারাবনি। এই ঘটনায় দুজন পায়ে গুলি লেগে আহত হয়েছেন। আহত বিজেপি কর্মীদের নাম স্বপন বাউড়ি ও সাধন রাউত। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, শনিবার সকালে মিছিল বের করেছিল বিজেপি। বারাবনির জামগ্রাম থেকে কাপিস্টা পর্যন্ত বিজেপির মিছিল যাওয়ার কথা ছিল। তার জন্য সকাল থেকে কর্মী, সমর্থকরা জমায়েত হয়েছিলেন জামাগ্রামে। কিন্তু মিছিল শুরুর আগেই তাদের উপর হামলার ঘটনা ঘটে। অভিযোগ, সেই মিছিলকে লক্ষ্য করে বোমা ও গুলি চালিয়েছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃ্তীরা। বোমাবাজিতে কয়েকজন আহত হয়েছেন। মোটরবাইকও পুড়িয়ে দেওয়া হয়। আরও পড়ুনঃ বর্ধমান শহরে দাদার অনুগামী পোস্টার, চাঞ্চল্য অন্যদিকে, বারাবনি তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, জামগ্রাম এলাকায় দুয়ারে সরকার কর্মসূচিতে শিবির করেছিলেন দলীয় কর্মীরা। ব্লক তৃণমূল সভাপতি অসিত সিংয়ের দাবি, তৃণমূল কর্মীদের উপর হামলা চালিয়েছে বিজেপি। তারাই ঝাড়খণ্ড থেকে দুষ্কৃতীদের জড়ো করে বোমা-গুলি চালিয়েছে। আর যেসব গাড়ি পুড়েছে, তা তৃণমূল সমর্থকদেরই। সংঘর্ষের খবর পেয়ে বারাবনি থানার পুলিশ সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। বন্ধ করে দেওয়া হয় বিজেপির মিছিল। ঘটনাস্থল থেকে পুলিস বেশ কিছু তাজা বোমা উদ্ধার করেছে পুলিশ। যে মোটরবাইকে আগুন লাগানো হয় বলে অভিযোগ, সেই আগুন নিভিয়েছে পুলিশ। এলাকার পরিস্থিতি আপাতত নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

ডিসেম্বর ০৫, ২০২০
রাজ্য

ধূলাগড়ে গরুবোঝাই লরি উল্টে দুর্ঘটনা, মৃত ১, জখম বহু

গরুবোঝাই লরি উল্টে দুর্ঘটনা ঘটল হাওড়ার ধূলাগড়ে। মঙ্গলবার দুপুর প্রায় ১২টা নাগাদ এই দুর্ঘটনা ঘটেছে হাওড়ার সাঁকরাইল থানা এলাকার সন্ধিপুরে। দুর্ঘটনার জেরে মৃত্যু হয়েছে একজনের। তাঁর পরিচয় এখনও পাওয়া যায়নি। আহত হয়েছেন ১৯ জন। যার মধ্যে ৯ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়। তাঁদের ভর্তি করা হয়েছে হাওড়ার বিভিন্ন হাসপাতালে। দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় বেশ কয়েকটি গরুও। আরও পড়ুন ঃ কেন্দ্রের নতুন আইনে বেড়ে গিয়েছে কালোবাজারিঃ মমতা জানা গেছে, সামনের চাকা ফেটে উল্টে যায় লরিটি। ট্রাকে ভর্তি করে গরু নিয়ে যাওয়ার সময় টায়ার ফেটে দুর্ঘটনাটি ঘটে। দুর্ঘটনার পর জাতীয় সড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ সন্ধিপুরে একটি গরু ভর্তি লরি চাকা ফেটে ডিভাইডারে উঠে উলটে যায়। উল্টে যাওয়া গাড়িটি সরিয়ে দেয় পুলিশ। তবে এটি গরু পাচারের ঘটনা কিনা তা খতিয়ে দেখেছে পুলিশ। এই দুর্ঘটনায় আহত হন ট্রাকের এক যাত্রী আবদুল কাদের বিশ্বাস। তিনি বলেন, তাঁরা গরু নিয়ে ৬ নং জাতীয় সড়ক দিয়ে দিয়ে আসছিল। তাঁরা পূর্ব মেদিনীপুরের নরঘাট থেকে বেলাঘাটা যাচ্ছিলেন। দুপুর নাগাদ সন্ধিপুরের কাছে হটাৎই গাড়ির সামনের চাকা ফেটে গার্ডওয়ালের ওপর উঠে যায়। এরপর সঙ্গে সঙ্গে গাড়িটি উলটে যায়। গরুগুলি পাচার হচ্ছিল কিনা তা ক্ষতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

নভেম্বর ২৪, ২০২০
বিদেশ

আমেরিকায় ফের বন্দুকবাজের হামলা , জখম ৮

আমেরিকায় ফের বন্দুকবাজের হামলা। ঘটনাটি ঘটেছে , উইসকনসিনয়ের একটি শপিং মলে। এই হামলায় অন্তত ৮ জন জখম হয়েছেন। হামলা্কারীকে এখনও খুঁজে পাওয়া যায়নি। সে গুলি ছুড়ে পালিয়ে গেছে বলে জানা গিয়েছে। আরও পড়ুন ঃ একটানা ৭ দিন ঘুমিয়ে থাকতে পারেন বাংলাদেশের মানিকগঞ্জের যুবক পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে , ওয়াওয়াটোসার পুলিশ প্রধান ব্যারি ওয়েবার জানিয়েছেন যে, কী উদ্দেশে কারা এই হামলা চালিয়েছে , তা জানা যায়নি। দুপুর নাগাদ মলের একটি ডিপার্টমেন্টাল স্টোরের বাইরে হামলা চালিয়েছে বন্দুকবাজ। কয়েক রাউন্ড গুলি চালিয়েই চম্পট দেয় সে। এই ঘটনায় এক কিশোর সহ আটজন জখম হয়েছেন। প্রাণহানির কোনও খবর নেই। তাদের দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ব্যারির কথায় প্রাথমিত তদন্তে জানা গিয়েছে বন্দুকবাজ একজন শেতাঙ্গ। ২০-৩০ বছরের মধ্যেই তার বয়স। তার পরিচয় জানতেই পুলিশ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। দ্রুত অপরাধী ধরা পড়বে।ফের নোটিস না দেওয়া পর্যন্ত এই মলটি বন্ধই থাকবে। মেফেয়ার মল কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতি জানিয়েছেন, আমাদের অতিথিরা আজ হিংসার মুখোমুখি হয়েছেন, যা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যের। তবে এই হামলা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত না এর নেপথ্যে রয়েছে সন্ত্রাসবাদী কোনও সংগঠন তা স্পষ্ট নয়। গোটা ঘটনার উপর থেকে পর্দা সরাতে তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ।

নভেম্বর ২১, ২০২০
রাজ্য

দুর্গাপুর প্রজেক্ট লিমিটেডে বিস্ফোরণ , মৃত ১

দুর্গাপুর প্রজেক্ট লিমিটেডে বিস্ফোরণের জেরে একজনের মৃত্যু হল। মৃতের নাম ওমপ্রকাশ চৌহান। তিনি একজন ঠিকাকর্মী। এই বিস্ফোরণের ঘটনায় আরও একজন আহত হয়েছেন। আহত কর্মীর নাম বাম রুইদাস। তিনি ডিপিএলের নিরাপত্তারক্ষী। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গিয়েছে। আরও পড়ুন ঃ রাষ্ট্রদ্রোহীদের হাত ধরে পাহাড়ে উঠতে চাইছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ঃ দিলীপ তাকে ভরতি করা হয়েছে বেসরকারি হাসপাতালে। জানা গিয়েছে , মঙ্গলবার সকাল ১১ টা ১০ মিনিট নাগাদ বিস্ফোরণের শব্দে কেঁপে ওঠে ডিপিএলের ৭ নম্বর কনস্ট্রাকশন গেট এলাকা। ঘটনাস্থলে আসে কোকওভেন থানার পুলিশ। তারা মৃতদেহ উদ্ধার করে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। কিন্তু কীভাবে এই বিস্ফোরণ হল , তার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

নভেম্বর ০৩, ২০২০
বিদেশ

অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় সন্ত্রাসবাদী হামলা , নিহত ৭

অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় চলল এলোপাথাড়ি গুলি। মুম্বই হামলার কায়দায় একাধিক জায়গায় হামলা চালানো হয়। এর জেরে কমপক্ষে ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত প্রায় ১৫ জন। ঘটনাটি ঘটেছে , সোমবার রাতে সেন্ট্রাল ভিয়েনায়। পুলিশ জানিয়েছে, গুলিবিদ্ধদের মধ্যে এক পুলিশ অফিসারও রয়েছেন। পুলিশের গুলিতে খতম হয়েছে এক হামলাকারী। আরও পড়ুন ঃ পাকিস্তানের মাদ্রাসায় কোরানের ক্লাস চলাকালীন বিস্ফোরণ, মৃত ৭ অস্ট্রিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কার্ল নেহামার জানিয়েছেন, আমরা ধরে নিতে পারি বেশ কয়েকজন অপরাধী রয়েছে। দুর্ভাগ্যক্রমে বেশ কয়েকজন সাধারণ মানুষ আহত হয়েছেন, অনেকে মারাও গিয়েছেন। এই আক্রমণকে জঙ্গিহানা বলে আখ্যায়িত করেন তিনি।অস্ট্রিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কার্ল নেহামার জানিয়েছেন, আমরা ধরে নিতে পারি বেশ কয়েকজন অপরাধী রয়েছে। দুর্ভাগ্যক্রমে বেশ কয়েকজন সাধারণ মানুষ আহত হয়েছেন, অনেকে মারাও গিয়েছেন। এই আক্রমণকে জঙ্গিহানা বলে আখ্যায়িত করেন তিনি।

নভেম্বর ০৩, ২০২০
দেশ

মুম্বইয়ের মলে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড , আহত ২

মুম্বইয়ের একটি মলে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটল। বৃহস্পতিবার রাতে ওই অভিজাত শপিং মলে আগুন লাগে। এই শপিং মলটি মুম্বইয়ের নাগপাড়া এলাকায় অবস্থিত। জানা গিয়েছে , সে সময় মলে প্রায় ৫০০ লোক ছিলেন। ঠিক সময়ে তাঁদের বার করে নিয়ে আসায় কোনও হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। সকালেও সেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি। এদিকে আগুন নেভানোর কাজ করতে গিয়ে দুজন দমকলকর্মী আহত হয়েছেন । দমকলকর্মীরা জানিয়েছেন, মলের তিনতলায় একটি মোবাইলের দোকানে শর্ট সার্কিটের ফলে আগুন লাগে, তা ছড়িয়ে পড়ে গোটা তলায়। চিকিৎসার জন্য তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আরও পড়ুনঃ ক্ষমতায় এলে বিনামূল্যে করোনা ভ্যাকসিন , বিহারের ইস্তেহারে প্রতিশ্রুতি বিজেপির স্থানীয় সূত্রে খবর, সিটি সেন্টার মলে প্রথম আগুন দেখা গিয়েছিল বৃহস্পতিবার রাত ৯টা নাগাদ। ওই সময় মলের একটি দোকানে আগুন লাগে। তারপর তা মলের দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলে ছড়িয়ে পড়ে। ভেন্টিলেশনের ব্যবস্থা না থাকায় ফলে ধোঁয়ায় ভরে যায় গোটা মল। ফলে দমকলকর্মীরা মলের কাচ ভেঙে ধোঁয়া বাইরে আনেন। ততক্ষণে আগুন বিধ্বংসী আকার নেয়। দমকলের বিশাল বাহিনী এসে আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ চালাচ্ছে। এপর্যন্ত দমকলের ২৪টি ইঞ্জিন, ১৬টি জাম্বো ট্যাঙ্ক নিয়ে প্রায় ২৫০ জন দমকলকর্মী আগুন নেভানোর কাজ করছেন।

অক্টোবর ২৩, ২০২০
রাজ্য

স্টাফ স্পেশাল ট্রেনে ওঠায় যাত্রী-পুলিশ সংঘর্ষ , আহত ২

সাতসকালে স্টাফ স্পেশাল ট্রেনে ওঠাকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল সোনারপুর রেল স্টেশন। রেলযাত্রীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে আহত হয়েছেন দুজন রেলযাত্রী। এরপর রেলযাত্রীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছোড়েন। পাল্টা পুলিশও লাঠিচার্জ করেছে রেলযাত্রীদের উপর। সোনারপুর জিআরপি, রেল সুরক্ষা বাহিনী এবং সোনারপুর থানার পুলিশ উত্তপ্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। ঘটনার প্রেক্ষিতে বেশ কয়েকটি স্টাফ স্পেশাল লোকাল বাতিল করে রেল কর্তৃপক্ষ। যদিও কিছুক্ষণ পরে স্পেশাল ট্রেন যথারীতি চলতে শুরু করে।পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এদিন সকাল ৭ টা নাগাদ শিয়ালদহগামী বারুইপুর লোকালে সোনারপুর স্টেশন থেকে যাত্রীরা উঠতে চাইলে রেল সুরক্ষা বাহিনী তাদের বাধা দেয়। তাতেই উত্তেজনা ছড়ায়। মহিলা রেল যাত্রীরা রেললাইনে বসে অবরোধ শুরু করে। পুরুষ যাত্রীদের সঙ্গে রেল সুরক্ষা বাহিনী এবং জিআরপির খণ্ডযুদ্ধ বেঁধে যায়। পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছুড়তে থাকে রেলযাত্রীরা। ক্ষতিগ্রস্ত হয় ট্রেনের কামরা। এরপরেই রেল পুলিশ এবং রেল সুরক্ষা বাহিনী যৌথ লাঠিচার্জ শুরু করে। আহত হন এক বৃদ্ধ এবং এক যুবক। ঘটনায় বৃদ্ধের মাথা ফেটে যায়। যুবকের হাতে চোট লাগে। তাদের দুজনকেই সুভাষগ্রাম হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে।

অক্টোবর ০৮, ২০২০
দেশ

ফের উত্তরপ্রদেশ, নাবালিকার ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার

এক নবালিকার ক্ষত বিক্ষত দেহ উদ্ধার হল একটি ক্ষেতের মধ্যে।গত ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে নিখোঁজ ছিল ওই নাবালিকা।ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের কানউর জেলার দেহাত গ্রামে।পুলিশ ওই নাবালিকার দুই আত্মীয়কে গ্রেফতার করেছে।নাবালিকার পরিবারের অভিযোগ খুন করার আগে ধর্ষণ করা হয়েছিল ওই নাবালিকাকে। পুলিশ জানিয়েছে, তাঁরা দেহের বিভিন্ন অংশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।জানা গিয়েছে, পুলিশের একটি বিশাল বাহিনী অনুর্বর মাঠের কিনারায় একটি ঝোপের দিকে মেয়েটির দেহের নানান অংশ ছড়ানো ছিটানো দেখতে পান।দৃশ্য দেখে কান্নায় ভেঙে পড়ে পরিবার।কানপুর দেহাত পুলিশ সুপার কে কে চৌধুরী বলেন, নাবালিকার বাবা জানিয়েছেন তাদের জমির বিরোধ ছিল এবং দুজন লোক আগেই ওই নাবালিকাকে খুন করবে বলে হুমকি দিয়েছিল।

অক্টোবর ০৪, ২০২০
  • ‹
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • ›

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

দামোদরে বালি তুলতে গিয়ে বিরাট বিপত্তি, জলে ভাসছে ১৫টি লরি

দামোদরে বালি তোলায় কোনও লাগাম নেই। ডিভিসি থেকে জল ছাড়ার খবর থাকা সত্বেও বালি তোলার কাজ চলছিল। লরি নেমেছিল একেবারে নদের ভিতরে। জল ভরে টুইটুম্বুর হওয়ায় ভেসে গেল ১৫টি বালি বোঝাই লরি। পূর্ব বর্ধমানের গলসির গোহগ্রামের এই ঘটনায় বেশ চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পরে। পরে লরিগুলিকে উদ্ধারের তৎপরতা শুরু হয়।দুর্গাপুর ব্যারাজ থেকে জল ছাড়ার কথা ডিভিসি ও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আগাম ঘোষণা করা হয়েছিল। মাইথন ও পাঞ্চেত থেকে বুধবার জল ছাড়া হয় ৪০ হাজার কিউসেক। এরই মধ্যে নিম্ন দামোদর অববাহিকায় দুদিন ধরে টানা বৃষ্টি চলেছে। এই সব কারণে বৃহস্পতিবার সকালে হঠাৎ দামোদর নদে জলের পরিমাণ বেশ বেড়ে যায়। এতেই ঘটে যায় বিপত্তি। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ১৫টি বালি বোঝাই লরি দামোদর নদের জলে ভাসতে থাকে। তার উপর বৃহস্পতিবার বেলা বাড়তে নদের জল আরও হু হু করে বাড়তে শুরু হয়। বিপদ বুঝে লরিগুলি নদী থেকে তোলার জন্য তৎপরতা শুরু করে চালকরা । ওই সময়েই সামনে থাকা দুটি লরি বিকল হয়ে যাওয়ায় লরি গুলি নদ থেকে পাড়ে তোলা আর সম্ভব হয়নি। জেসিবি মেশিন ব্যবহার করেও কাজ হয়নি। জল কমা পর্যন্ত লরিগুলো তুলতে অপেক্ষা করতে হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

জুন ১৯, ২০২৫
রাজ্য

"কেশরী: চ্যাপ্টার ২" তে ক্ষুদিরাম বসু সহ বাঙালি স্বাধীনতা সংগ্রামীদের অপমান, প্রতিবাদে গর্জে উঠল বাংলা পক্ষ

সম্প্রতি কেশরী: চ্যাপ্টার ২ নামের এক বলিউডি হিন্দি সিনেমায় ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের সশস্ত্র সংগ্রামের উজ্জ্বল ইতিহাস তথা বীর বাঙালি স্বাধীনতা সংগ্রামীদের পরিচয় ও ভূমিকা বিকৃত করে এক মনগড়া মিথ্যা ইতিহাস তুলে ধরার অভিযোগ উঠেছে। সিনেমাটিতে দেখানো হয়েছে যে ক্ষুদিরাম সিং ও বারীন্দ্র কুমার নামক দুই বিপ্লবী বৃটিশ পুলিশকর্তা কিংসফোর্ডকে বোমা মেরে হত্যার চেষ্টা করে ও তাদের বোমা তৈরীর প্রশিক্ষণ দেয় কৃপাণ সিং! যার সাথে বাস্তবের কোন মিল নেই। প্রকৃত পক্ষে ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে বাঙালি বিপ্লবীদের সশস্ত্র সংগ্রামের ইতিহাসের এক যুগান্তকারী ঘটনা কিংসফোর্ড হত্যার প্রচেষ্টা ও পরবর্তীতে মানিকতলা বোমা মামলার ঘটনার কথা সম্পূর্ণ বিকৃত ভাবে এই সিনেমাটিতে দেখানো হয়েছে।সশস্ত্র সংগ্রামের লক্ষ্যে কলকাতার মানিকতলার যুগান্তর গুপ্ত সমিতিতেই অরবিন্দ ঘোষের নেতৃত্বে বোমা তৈরীর কর্মশালা গড়ে ওঠে, ইউরোপ থেকে বোমা তৈরী শিখে এসে এখানে বোমা তৈরী করে বিপ্লবীদের সরবরাহ করতেন হেমচন্দ্র কানুনগো, যিনি বলিউডের দৌলতে হয়েছেন কৃপাণ সিং। এই গুপ্ত সমিতির পক্ষেই ক্ষুদিরাম বসু ও প্রফুল্ল চাকী কিংসফোর্ডকে বোমা নিক্ষেপ করে হত্যার চেষ্টা করেন। মেদিনীপুরের বীর বাঙালি কিশোর ক্ষুদিরাম বসুর পদবী সিনেমায় হয়েছে সিং অন্যদিকে প্রফুল্ল চাকীর নামই মুছে গেছে, শোনা গেছে জনৈক বারিন্দর কুমারের নাম, যেকোন ইতিহাস সচেতন ব্যক্তিই বলতে পারবেন এই নাম আসলে মানিকতলা বোমা মামলার অন্যতম অভিযুক্ত ও পরবর্তীতে আন্দামানে দ্বীপান্তরিত বারীন্দ্র ঘোষের, যিনি সম্পর্কে অরবিন্দ ঘোষের ভাই। এই মানিকতলা বোমা মামলায় বিপ্লবীদের পক্ষে কোর্টে আইনি লড়াই করেন আরেক মহান বাঙালি স্বাধীনতা সংগ্রামী দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ। এই গৌরবজনক অধ্যায় সম্পূর্ণ ভাবে বিকৃত করা হয়েছে, যা বাঙালি জাতি তথা ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রতি চূড়ান্ত অবমাননা।এই বিকৃতির বিরুদ্ধে বাঙালির ক্ষোভের প্রকাশ দেখা যাচ্ছে সামাজিক মাধ্যমে। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী থেকে সংস্কৃতি জগতের নানান ব্যক্তিত্ব এই ইতিহাস তথা মহান স্বাধীনতা সংগ্রামীদের নাম বিকৃতির বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। ভারতীয় বাঙলির জাতীয় সংগঠন বাংলা পক্ষও সরব হয়েছে, আজ তারা পথে নেমে প্রতিবাদ করল কলকাতার বাংলা একাডেমী সংলগ্ন রানুছায়া মঞ্চে। এই প্রতিবাদ সভায় বাংলা পক্ষর সাংগঠনিক সম্পাদক কৌশিক মাইতি বলেন, কেশরী ২ সিমেমার মূখ্য অভিনেতা অক্ষয় কুমার, তিনি কাদের স্বার্থে বিকৃত ইতিহাস প্রচার করে সিনেমা তৈরি করেন এটা আমাদের সকলের জানা৷ বিজেপি ও বলিউডের উদ্দেশ্য বাঙালির গৌরবজনক বীরত্বের ইতিহাস মুছে দেওয়া। সেই উদ্দেশ্যেই বারবার এই ধরনের ঘটনা দেখা যাচ্ছে। বলিউড এর আগেও অভয় ২ সিরিজে বীর শহীদ ক্ষুদিরাম বসুকে ক্রিমিনাল, জঙ্গি হিসাবে দেখিয়েছিল। বাংলা পক্ষ তখন Zee5 কে লিগ্যাল নোটিশ দিয়েছিল এবং সল্টলেকে Zee5 এর অফিসে বিক্ষোভ করেছিল। পরবর্তীতে Zee5 ক্ষমা চেয়ে সেই অংশ বাদ দিতে বাধ্য হয়। শীর্ষ পরিষদ সদস্য অরিন্দম চট্টোপাধ্যায় বলেন যতক্ষণ না পর্যন্ত কেশরী ২ সিনেমার নির্মাতারা ক্ষমা না চায়, বাংলা পক্ষর লড়াই চলবে। ক্ষমা চেয়ে এই দৃশ্য বাদ দিতে হবে। বাঙালি বিদ্বেষীদের কিভাবে ক্ষমা চাওয়াতে হয় সেটা বাংলা পক্ষ ভালো ভাবে জানে।শীর্ষ পরিষদ সদস্য সৌম্যকান্তি ঘোড়ই বলেন, ক্ষুদিরাম বসুকে অপমান মানে বাঙালিকে অপমান। প্রফুল্ল চাকীকে অপমান মানে বাঙালিকে অপমান৷ বীর বিপ্লবী বারীন ঘোষদের অপমানের বিরুদ্ধে এই লড়াই চলবে। অক্ষয় কুমারকে ক্ষমা চাইতেই হবে।এছাড়াও আজকের প্রতিবাদ সভায় উপস্থিত ছিলেন কলকাতা জেলার সম্পাদক সৌম্য বেরা, দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা সম্পাদক কুশনাভ মন্ডল, শিল্পী পক্ষর অধিকর্তা প্রবাল চক্রবর্তী প্রমুখ। এর আগে বিধাননগর দক্ষিণ থানায় এই সিনেমা নিয়ে একই ইস্যুতে এফআইআর হয়েছে। এমনকী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পর্যন্ত ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন বাঙালি বীর বিপ্লবীদের ইতিহাস বিকৃতি করার জন্য।

জুন ১৯, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

লর্ডসের ঐতিহাসিক শতরানের আলোতেও সমুজ্জ্বল বোলার সৌরভের পারফরম্যান্স

লর্ডসে টেস্ট অভিষেক হয়েছিল সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ও রাহুল দ্রাবিড়ের। দিনটা ছিল ১৯৯৬ র ২০ জুন। এই টেস্টের কথা উঠলেই মহারাজকীয় শতরানের কথাই সবার আগে মনে আসে। যা এসেছিল ২২ জুন।তবে ২০ জুন বল হাতে কামাল দেখিয়েছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। ইংল্যান্ডের তৃতীয় ও চতুর্থ উইকেট পড়েছিল চার রানের ব্যবধানে। দলের ৯৮ রানের মাথায় সৌরভের প্রথম শিকার হন তিন নম্বরে নামা নাসের হুসেন। ১১০ বলে ৩৬ রান করে তিনি ফেরেন বিক্রম রাঠোরের হাতে ক্যাচ দিয়ে। ১০২ রানে ইংল্যান্ডের চতুর্থ উইকেট পড়ে। ৯ বলে ১ রান করে গ্রেম হিক সৌরভের বলেই জাভাগল শ্রীনাথের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। প্রথম ইনিংসে সৌরভের বোলিং ফিগার ছিল ১৫-২-৪৯-২। বেঙ্কটেশ প্রসাদ পাঁচটি, শ্রীনাথ তিনটি ও সৌরভ ২টি উইকেট পান। পরশ মামব্রে, অনিল কুম্বলে ও সচিন তেন্ডুলকর উইকেট পাননি। দ্বিতীয় ইনিংসে সৌরভ তুলে নিয়েছিলেন প্রথম ইনিংসে শতরানকারী জ্যাক রাসেলের উইকেট। দ্বিতীয় ইনিংসে মহারাজ ৩ ওভারে মাত্র ৫ রানের বিনিময়ে একটি উইকেট পেয়েছিলেন। ফলে লর্ডসের ঐতিহাসিক শতরানের আলোতেও সমুজ্জ্বল বোলার সৌরভের পারফরম্যান্স।

জুন ১৯, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

বৃষ্টির মোকাবিলায় ইডেন সেরা, মাঠ ভরানোর আহ্বান মনোজের

আজও বৃষ্টিতে ব্যাহত বেঙ্গল প্রো টি২০ লিগের খেলা। কয়েক দিন ধরেই কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি চলছে। যার জেরে বেঙ্গল প্রো টি২০ লিগের খেলাগুলি পরিত্যক্ত হচ্ছে। ইডেনে বৃষ্টি থামার পর খেলা শুরু হলেও ফের অবিরাম বর্ষণে ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়েছে। তবে গতকাল যা হলো তা অন্য কোথাও আর হতে পারতো না।সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের মস্তিষ্কপ্রসূত ভাবনাতেই ইডেনের গোটা মাঠ ঢেকে রাখার বন্দোবস্ত হয়েছে। উন্নতমানের কভার আনিয়ে। এমনকী ইডেনের মতো সল্টলেক যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস মাঠেও মাঠ ঢেকে রাখা হয় প্রধান কিউরেটর সুজন মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন অনবদ্য টিম যার ফলে বৃষ্টি থামার কিছুক্ষণের মধ্যেই মাঠ খেলার উপযুক্ত করে দিতে পারেন। ইডেনের এমন ব্যবস্থাপনা বিশ্বের বৃহত্তম ক্রিকেট স্টেডিয়াম আমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামেও নেই। সুনীল গাভাসকর-সহ অনেকেই তাই বলে থাকেন মাঠ ঢাকার ব্যবস্থাপনায় ইডেনকে অনুসরণ করতে। এই ব্যবস্থাপনার সুফল মিলল আরও একবার। গতকাল বৃষ্টি একটু ধরতেই রাতে ৯ ওভারের ম্যাচ হলো। হারবার ডায়মন্ডস ৪০ রানে হারাল লাক্স শ্যাম কলকাতা টাইগার্সকে। যে পরিমাণ বৃষ্টি হচ্ছে শহরে তাতে অন্য কোথাও এটা সম্ভব হতো না। হলো মাঠ ঢাকার ব্যবস্থা ছিল বলেই। হারবার ডায়মন্ডস অধিনায়ক তথা রাজ্যের ক্রীড়া ও যুবকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী মনোজ তিওয়ারি অনুরোধ করেছেন সকলকে কাজ সেরে মাঠে এসে তরুণ ক্রিকেটারদের উৎসাহিত করার জন্য। এই লিগে বিনামূল্যে খেলা দেখা যায়। এমনকী হারবার ডায়মন্ডসের সমর্থকদের জল, ইলেক্টোরাল, কেক দেওয়ার কথাও মনোজ বলেছেন। তার কারণ ক্রিকেটারদের উৎসাহিত করতে সমর্থকদের উপস্থিতি দরকার। গ্যালারির সিংহভাগ ফাঁকা থাকছে। যে লিগের সম্প্রচার স্টার স্পোর্টসে চলছে সেখানে এমন ফাঁকা গ্যালারি মোটেই ভালো বিজ্ঞাপন নয়।

জুন ১৯, ২০২৫
দেশ

ওরঙ্গাবাদের এই হৃদয়স্পর্শী কাহিনী আপনার মন ছুঁয়ে যাবেই

মহারাষ্ট্রের ঔরঙ্গাবাদের সম্ভাজি নগরে ঘটনা এখন সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল। ওই হৃদয়স্পর্শী ঘটনা নাড়া দিয়েছে পুরো সমাজকে। সেখানে এক গয়নার দোকানে গিয়েছিলেন অতি সাধারণ এক দম্পতি। স্ত্রীকে কিছু উপহার দেওয়াই ছিল স্বামীর উদ্দেশ্য। গয়নার শোরুমের ম্যানেজার তাদের সঙ্গে গল্প জুড়ে দেন। হাসিঠাট্টার মাঝে কথা বলতে বলতে জেনে নেন তাঁদের জীবনকাহিনী। এবার এল জিনিস কেনার পালা। হাতের ঝোলা ব্যাগ থেকে বেরোল একটা ৫০০ টাকার নোট। একে একে ১০, ২০ টাকার নোট। সবশেষে একটা ছোটখাট বোঁচকা। তাতে ভর্তি খুচরো পয়সা।শোরুমের ম্যানেজার গোটা বিষয়টা বুঝতে পেরে তাঁদের একটি হার উপহার দেন। সঙ্গে একজোড়া কানের দুলও। এরপর বৃদ্ধের কাছে সরল আবদার জানান, নিজে হাতে স্ত্রীর হাতে সেটা তুলে দিতে হবে। উপহার তো দিলেন ম্যানেজার, কিন্তু এত বড় দোকানে এসে কোনও টাকা না দিয়ে চলে যাবেন, এতেও যেন সম্মানে বাধে বৃদ্ধের। সমাজের খেটে খাওয়া মানুষের কাছে আত্মসম্মানই বড় কথা। প্রাণ যাক, সম্মান নিয়ে বাঁচাটাই বড় কথা। তাই সবচেয়ে বড় নোটটি তুলে দিতে চেয়েছিলেন ম্যানেজারের হাতে। কিন্তু তাতে ম্যানেজারের উত্তর, আপনার আশীর্বাদের হাত থাকলেই হবে। পান্ডুরঙ্গ (কর্নাটক, মহারাষ্ট্রের পূজিত দেবতা) আছেন, কিছুর অভাব হবে না কোনওদিন। কিন্তু বৃদ্ধ নাছোড়বান্দা, টাকা তিনি দেবেনই। উপায় নেই বুঝে অবশেষে দুটো ১০ টাকার নোট নেন ম্যানেজার।স্বামীর চোখে জল, ধুতির খুঁট দিয়ে মুছে ফেললেন। তা দেখে স্ত্রীও আটকাতে পারলেন না নিজেকে। ভিডিওতেই স্পষ্ট, এমন এক মূল্যবান উপহার পেয়ে বিশ্বাস হচ্ছে না ওই দম্পতির। কিন্তু যেকজন ভিডিওটি দেখেছেন, তাঁরা সবাই বুঝেছেন এই চোখের জল, অবিশ্বাস শুধু মূল্যবান এক উপহারের জন্য নয়, জীবনের অন্যতম এই দিনটি মনের মণিকোঠায় সাজিয়ে রাখছেন দম্পতি।

জুন ১৯, ২০২৫
দেশ

আহমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনা: শিশুদের শনাক্ত করতে বড় সমস্যা, এখনও হস্তান্তর ১৫৯ দেহ

সুরাটের নানাবাওয়া পরিবার ৩৬ বছর বয়সী আকিল এবং ৩১ বছর বয়সী স্ত্রী হান্না ভোরাজির নামাজ-এ-জানাজা (জানাজা) সম্পন্ন হয়। বুধবার ভোরে ফোন করে জানায় যে বোয়িং ড্রিমলাইনার দুর্ঘটনায় তাদের সাথে মারা যাওয়া তাদের মেয়ে সারার মৃতদেহ শনাক্ত করা হয়েছে। আত্মীয়স্বজনরা চার বছর বয়সী মেয়ের দেহাবশেষ দাবি করতে আহমেদাবাদে ছুটে যান। যাতে তাকে তার বাবা-মায়ের পাশে দাফন করা যায়।আহমেদাবাদ-লন্ডন AI-171 বিমান দুর্ঘটনার প্রায় এক সপ্তাহ পর, সারার সন্ধানে দেখা যাচ্ছে যে পুড়ে যাওয়া দেহাবশেষের মধ্যে নাবালকদের শনাক্ত করা কতটা কঠিন। বুধবার পর্যন্ত, ডিএনএ ম্যাচিং এবং শনাক্তকরণের পরে ১৫৯টি মৃতদেহ আত্মীয়দের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। সারা ছাড়াও, এই মৃতদেহগুলির মধ্যে কেবল একজন নাবালিকা ছিল ফাতিমা শেঠওয়ালা, যার বয়স ১৮ মাস।বিমান সংস্থার তালিকা অনুসারে, AI-171-এ ১২ বছরের কম বয়সী ১৩টি শিশু ছিল, যার মধ্যে তিনজন এখনও ২ বছর পূর্ণ করেনি। আরও বেশ কয়েকজনের বয়স ১১ থেকে ১৮ বছরের মধ্যে।এই ধরনের দুর্যোগে অপ্রাপ্তবয়স্কদের শনাক্ত করার জন্য ডিএনএ প্রযুক্তি ব্যবহারে অসুবিধা ব্যাখ্যা করে গুজরাটের সরকারি ডেন্টাল কলেজের ফরেনসিক দন্ত বিশেষজ্ঞ ডঃ জয়শঙ্কর পিল্লাই বলেন, শিশুদের শরীরের ভর কম থাকে এবং তাই টিস্যুর ক্ষতি হয় এবং লম্বা হাড় তাপের সংস্পর্শে আসে। তবে দাঁত বেশি শক্তিশালী হওয়ায় তাপ সহ্য করতে পারে।তবে অপ্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে এটিও জটিল। শিশুদের যে কোনও দাঁত থেকে ডিএনএ বের করা যেতে পারে, কিন্তু আগুন লাগার সময় সামনের দাঁত ব্যবহার করা যায় না কারণ তাপ তাদের নষ্ট করে দেয়। তাই আমরা মোলার থেকে ডিএনএ নিই। ছয় বছরের কম বয়সী শিশুদের ক্ষেত্রে, আমরা স্থায়ী মোলার পেতে পারি না... তাদের বেশিরভাগই দুধের দাঁত থাকে, এবং কখনও কখনও সেগুলিও নষ্ট হয়ে যায়। কারণ খিলানটি খুব ছোট। তাই আমরা চোয়ালে একটি ছেদ তৈরি করি এবং ভিতরে স্থায়ী মোলার তৈরি করার চেষ্টা করি, পিল্লাই বলেন, যার বিভাগের সাথে ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগ দাঁতের ডিএনএ বের করতে এবং ক্ষতিগ্রস্তদের দাঁতের চার্ট তৈরি করতে সাহায্য করার জন্য যোগাযোগ করেছিল।একজন ফরেনসিক কর্মকর্তা বলেছেন যে দুর্ঘটনার পরে যে আগুন লেগেছিল তা খুব অল্প সময়ের মধ্যে ১৬০০ ডিগ্রি ফারেনহাইটের বেশি তাপমাত্রায় পৌঁছেছিল। সুতরাং, কিছু ব্যক্তির জন্য কেবলমাত্র আংশিক ডিএনএ প্রোফাইল পাওয়া যায়, যাদের আমরা সন্দেহ করি যে তারা নাবালক, কর্মকর্তা বলেন, আরও বলেন যে আত্মীয়দের সাথে নিঃসন্দেহে নির্ভুলতার সাথে মেলানো কঠিন।আকিলের বাবা আবদুল্লাহ স্মরণ করিয়ে দেন যে তিনজন ৬ জুন, ঈদুল আযহার একদিন আগে, এক আকস্মিক পরিদর্শনে এসেছিলেন। এটা একটা ছোট ভ্রমণ ছিল। আমরা জানতাম না যে এটাই তাদের শেষ হবে, কাঁদতে কাঁদতে আবদুল্লাহ বলেন, যিনি বিমানে পরিবারকে নামিয়ে দিতে আহমেদাবাদ গিয়েছিলেন।ভদোদরায়, আসিফ শেঠওয়ালা তার নাতনি ফাতিমার জন্য শোক প্রকাশ করেছেন। যার দেহাবশেষ বুধবার শনাক্ত করা হয়েছে, যখন তার মা সাদিকার মৃতদেহ এখনও পাওয়া যায়নি। আসিফ বলেন, ফাতিমা তার লন্ডন-ভিত্তিক ছেলের একমাত্র সন্তান। সাদিকা এবং ফাতিমা আমার ছোট ছেলের বিয়েতে বেড়াতে এসেছিলেন। তারা প্রায় ২০ দিন ধরে এখানে ছিলেন এবং তাদের ফেরার টিকিট অনেক আগেই বুক করা হয়েছিল।ডিএনএ সরবরাহ করার পাশাপাশি, দাঁতের দেহাবশেষ একজন ব্যক্তির আনুমানিক বয়স নির্ধারণেও সাহায্য করে। যা শনাক্তকরণের জন্য প্রয়োজনীয় সূত্র প্রদান করে। আহমেদাবাদ দুর্ঘটনায় এটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় প্রাপ্তবয়স্কদের জন্যও, বিস্ফোরণ এবং আগুনের ফলে উদ্ধার করা বেশিরভাগ ডিএনএ নষ্ট হয়ে গিয়েছিল।ডঃ পিল্লাই বলেন, ফরেনসিক ওডন্টোলজি বিভাগ এক থেকে ছয় বছর বয়সী বেশ কয়েকজন প্রাপ্তবয়স্ক যাত্রীর দাঁতের ডিএনএ সংগ্রহ করেছে অথবা ডেন্টাল চার্টিং করেছে এবং অন্তত কিছু ভুক্তভোগীর বয়স মূল্যায়ন করেছে। এরপর এই বয়সের যাত্রীদের জন্য ফ্লাইট ম্যানিফেস্টের সাথে তুলনা করা হয়েছে। কিছু শিশুর ক্ষেত্রে, আমরা দ্বিতীয় মোলার বিকশিত হতে দেখেছি, যা স্পষ্ট করে দিয়েছিল যে তারা তিন থেকে ছয় বছর বয়সী। এটি অনুসন্ধানকে সংকুচিত করতে সাহায্য করেছে। তারপর তাদের ডিএনএ নমুনা তাদের আত্মীয়দের সাথে মেলানো যেতে পারে।যারা খবরের জন্য অপেক্ষা করছেন তাদের মধ্যে রয়েছে ভদোদরার ভাহোরা পরিবার। তারা দুর্ঘটনায় তিন সদস্যকে হারিয়েছে। সোমবার ইয়াসমিনের মৃতদেহ হস্তান্তর করা হলেও, পারভেজ এবং তার ৪ বছর বয়সী মেয়ে জুভেরিয়ার দেহাবশেষ এখনও পাওয়া যায়নি। প্রাক্তন আইপিএস অফিসার এবং ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ, ডঃ কেশব কুমার বলেছেন, পরিবারগুলির আশা হারানো উচিত নয়। বিমান দুর্ঘটনাটি প্রায় বোমা বিস্ফোরণের মতো ছিল। যেখানে ৫৪,০০০ লিটার বিমান জ্বালানি এক ঘন্টারও বেশি সময় ধরে জ্বলছিল। উৎপন্ন তাপের পরিমাণ শরীরের জন্য ক্ষতিকর। আমরা ভাগ্যবান হব যদি ভালো নমুনা পাওয়া যায়। কিন্তু যদি একটি দাঁতও পাওয়া যায়, তাহলে ডিএনএ পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। ফরেনসিক পরীক্ষা খড়ের গাদায় সূঁচ পাওয়ার মতো। কিন্তু একজন তদন্তকারী হিসেবে, আমি বলতে পারি যে ম্যাচ পাওয়ার সম্ভাবনা ১০০%। ডিএনএ হাজার হাজার বছর টিকে থাকতে পারে এবং প্রয়োজনে ধ্বংসাবশেষে ডিএনএর আরও চিহ্ন থাকবে। গুজরাট পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেছেন যে তারা দুর্ঘটনাস্থল থেকে একাধিক নমুনা সংগ্রহ নিশ্চিত করেছেন।

জুন ১৯, ২০২৫
রাজ্য

১০০ দিনের কাজ নিয়ে হাইকোর্টে বড় ধাক্কা কেন্দ্রীয় সরকারকে

গতকালই ওবিসি মামলায় হাইকোর্টে জোরদার ধাক্কা খেয়েছে রাজ্য সরকার। এবার ১০০ দিনের কাজ নিয়ে বড় ধাক্কা খেল কেন্দ্রীয় সরকার। বুধবার নজিরবিহীন একটি নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। পশ্চিমবঙ্গে ফের ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প চালু করতে হবে, এই মর্মে কেন্দ্রীয় সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। আগামী ১ আগস্ট থেকেই এই প্রকল্প চালু করতে নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চ।উল্লেখ্য, বাংলায় ১০০ দিনের কাজের টাকা বহুদিন ধরে আটকে রেখেছে কেন্দ্র, এই অভিযোগ করে আসছে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ রাজ্য সরকারের একাধিক মন্ত্রী এই ব্যাপারে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বারবার সমালোচনায় সরব হয়েছেন। কেন্দ্রীয় সরকারের দাবি, পশ্চিমবঙ্গে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে লাগামহীন দুর্নীতি হয়েছে। এই দুর্নীতির তদন্তে কেন্দ্র বেশ কয়েকটি দলও বাংলার জেলায় জেলায় পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।কেন্দ্রের অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল অশোক চক্রবর্তী আদালতে জানিয়েছিলেন, ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে পশ্চিমবঙ্গে মোট ৫ কোটি ৩৭ লক্ষ টাকা বন্টনের ক্ষেত্রে গরমিল ধরা পড়েছে।। তার মধ্যে ২ কোটিরও বেশি টাকা পুনরুদ্ধার করা গিয়েছে। হুগলি, মালদা, বর্ধমান, দার্জিলিংয়ের মতো জেলাগুলিতে ১০০ দিনের কাজের টাকা বন্টনের ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ পেয়েছে কেন্দ্রের প্রতিনিধি দল। ১০০দিনের কাজের প্রকল্পে টাকা বন্টনের ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গে বেনজির দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ কেন্দ্রের।রাজ্যে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প আটকে থাকা নিয়ে মামলার শুনানি বুধবার ছিল কলকাতা হাইকোর্টে। এদিন উভয় পক্ষের সওয়াল-জবাব শুনেছেন প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। এরপর প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছেন যে শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গের জন্যই বিশেষ কোনও বেঁধে দিতে পারে কেন্দ্র। এই রায়ের পর সোচ্চার হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছেন, ১০০ দিনের পুরনো বকেয়া টাকা ফেরত দিতে হবে।

জুন ১৮, ২০২৫
রাজ্য

তোলা না দেওয়ায় গাছে বেঁধে কাপড় ব্যবসায়ীকে মারধর

পাঁচ লক্ষ টাকা তোলা না দেওয়ায় গাছে বেঁধে এক কাপড় ব্যবসায়ীকে মারধর এবং সালিশি করে গ্রাম ছাড়া করার অভিযোগ উঠলো স্থানীয় একদল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে কালিয়াচক থানার ফতেখানি এলাকায়। এই ঘটনায় আক্রান্ত ব্যবসায়ীর পরিবার কালিয়াচক থানার দ্বারস্থ হলেও চারদিন পরে পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ। অবশেষে বুধবার ওই ব্যবসায়ী দম্পতি সমস্ত ঘটনার বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ জানালেন পুলিশ সুপারের কাছে। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পুরো বিষয়টি নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মালদার পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব। এদিকে কালিয়াচকের ওই ব্যবসায়ীর ওপর আক্রমণ এবং পাঁচ লক্ষ টাকা তোলাবাজির ঘটনায় রীতিমতো অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন জেলার সর্ববৃহৎ ব্যবসায়ীদের সংগঠন মালদা মার্চেন্ট চেম্বার অফ কমার্সের কর্মকর্তারা। সংশ্লিষ্ট সংগঠনের সভাপতি জয়ন্ত কুন্ডু জানিয়েছেন, এই ধরনের ঘটনার আমরা তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। বারবার যদি ব্যবসায়ীদের ওপর দুষ্কৃতীদের হামলা নেমে আসে, তাহলে আমরা যাব কোথায়। অবিলম্বে পুলিশ সুপার যাতে অপরাধীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করে, সেই আবেদন জানাচ্ছি। এদিকে পুলিশকে অভিযোগে কালিয়াচক থানার ফতেখানি এলাকার পোশাক ব্যবসায়ী মহম্মদ রহিম বিশ্বাস জানিয়েছেন, পুরনো একটি মামলার ঘটনায় গত শনিবার এলাকার এক কুখ্যাত দুষ্কৃতী জহরুল খান এবং তার দলবল তাকে বাড়ির সামনে থেকে তুলে নিয়ে যায়। তাদের একটি ডেরায় তাঁকে গাছে বেঁধে ব্যাপক মারধর করা হয়। এরপর পাঁচ লক্ষ টাকার তোলা চাওয়া হয়। সেই টাকা না দেওয়ায় আশেপাশের আরও কিছু সাগরেদদের জুটিয়ে সালিশি ডাকা হয়। সেই সালিশির মাধ্যমে তাদের পরিবারকে গ্রাম ছাড়া করার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। আর এই ঘটনার পর থেকেই গত চারদিন ধরেই ওই ব্যবসায়ী পরিবার নিজের বাড়ি ছেড়ে অন্য এক আত্মীয়ের বাড়িতে আত্মগোপন হয়ে রয়েছেন। এমনকি ফতেখানি স্ট্যান্ডের কাছে ওই ব্যবসায়ী তার নিজের পোশাকে শোরুম খুলতে পারছেন না।

জুন ১৮, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal