• ৩ আষাঢ় ১৪৩২, বৃহস্পতি ১৯ জুন ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Bjp

রাজ্য

বিরোধীদের দাবি ১০হাজার বুথে পুনর্নির্বাচন, পাত্তা না দিয়ে প্রায় ৭০০ বুথে সোমবার ভোট

বিরোধীদের দাবি পুরোপুরি না-মানলেও কয়েকটি বুথে ফের নির্বাচনের কথা ঘোষণা করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। সোমবারই পুনর্নির্বাচন করানো হচ্ছে। নিরাপত্তায় থাকছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ৩৬টি বুথে পুনর্নির্বাচন হবে। তবে, বিরোধীদের দাবি, শনিবারের ভোটে যে হারে ছাপ্পা, রিগিং ও সন্ত্রাস হয়েছে। যা হয়েছে, সেটা আসলে প্রহসন। তাতে অত কম বুথে পুনর্নির্বাচন করে কোনও লাভ নেই। অন্তত ১০ হাজার বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে কমিশনকে পুনরায় স্বচ্ছ নির্বাচন করাতে হবে। যদিও শ্যাম রাখি না-কূল, এই পরিস্থিতিতে পড়া রাজ্য নির্বাচন কমিশন সেই দাবি মানতে নারাজ।শনিবার রাজ্যে একদিনের পঞ্চায়েত ভোটে ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। অবাধে ভোট লুঠ, ব্যালট বাক্স নষ্ট, বুথ দখল, হিংসা, গুলিচালনা, বোমাবাজি তথা এককথায় অরাজকতার অভিযোগ উঠেছে ভোট ঘিরে। তারপরই বিরোধীরা দাবি, সমস্ত বুথে লাগানো সিসিটিভির ফুটেজ ও ভিডিওগ্রাফির ফুটেজ খতিয়ে দেখতে হবে। সেইমতো যেসব বুথে অরাজকতা হয়েছে, সেখানে পুনরায় নির্বাচন করাতে হবে। সেই দাবি বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছিল কমিশন। গুটি কয়েক বুথে পুনরায় ভোট ঘোষণায় ক্ষুব্ধ বিরোধীরা।তার পাশাপাশি, ভোটের দিন সকাল পর্যন্ত রাজ্যে এসে পৌঁছেছিল ৬৪৯ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। তারপর শনিবার সন্ধ্যা এবং রবিবার সকালে আরও কয়েক কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী রাজ্যে এসে পৌঁছয়। সেই সব বাহিনীকে পুনর্নির্বাচনের কাজে লাগানো হবে বলেই কমিশন জানিয়েছে। একইসঙ্গে, রবিবার রাজ্য নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, এবারের পঞ্চায়েত ভোটে রাজ্যে ভোট পড়েছে ৮০.৭১ শতাংশ।বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, কেন্দ্রীয় ভাবে আমরা ৭ হাজার বুথে পুনরায় ভোট চেয়েছিলাম। সেটা জেলাস্তরে সব মিলিয়ে ছিল ১০ হাজার। কিন্তু ৬০০-এর বেশি বুথে পুনর্নির্বাচন হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সুকান্ত মজুমদার।

জুলাই ০৯, ২০২৩
রাজনীতি

ভোটের দিনেও দলবদল। তৃণমূল যোগদান বিজেপি প্রার্থীর

ভোটের দিনেও দলবদল। তৃণমূল যোগদান করলেন বীরভূমের রামপুরহাট ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির ১৯ নম্বর আসনের বিজেপি প্রার্থী কালি চরণ হেমরম ওরফে কালিয়া। পঞ্চায়েত সমিতির ওই আসনে বিজেপি প্রার্থী কালিচরণের হাতে তৃণমূলের পতাকা তুলে দেন বনহাট অঞ্চলের বিদায়ী প্রধান জহিরুল ইসলাম। কালিচরণ বলেন, মমতা বন্দোপাধ্যায়ের উন্নয়নে সামিল হতেই আমি নির্বাচনী প্রক্রিয়া থেকে সরে দাঁড়ালাম। ওই আসনে তৃণমূল প্রার্থী রয়েছেন মঙ্গল মুর্মু। ওই আসনে বিজেপি তৃণমূল ছাড়া অন্য কোন দলের প্রার্থী নেই।

জুলাই ০৮, ২০২৩
রাজ্য

চোখের সামনে 'ভোটলুঠ', নিরাপত্তার অভাব, আর কখনও ভোটের কাজে নয়, শপথ প্রিসাডিংয়ের

ভোট গ্রহণের প্রথম তিক্ত অভিজ্ঞতায় মহিলা পরিচালিত বুথের ভোট কর্মীরা তিতিবিরক্ত। চাকরি না থাকলেও আর কখনও ভোটের কাজে অংশগ্রহণ করতে চান না তাঁরা। এদিন ঘটনার পর থেকে তাদের চোখেমুখে আতঙ্কের ছাপ। ভয়ে হাউ হাউ করে কেঁদে ফেললেন প্রিজাইডিং অফিসার অঙ্গনা শেঠ।বীরভূমের ময়ূরেশ্বর ২ নম্বর ব্লকের ময়ূরেশ্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের রাজচন্দ্রপুর গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বুথ এবার মহিলা পরিচালিত ছিল। সেখানে পাঁচজন মহিলা ভোট কর্মী ছিলেন। তাঁদের নিরাপত্তার জন্য ছিল একজন জুনিয়ার কনস্টেবল এবং একজন সিভিক ভলন্টিয়ার। ভোট কর্মীরা জানান, বেলা ১১ টা পর্যন্ত ভোট শান্তিপূর্ণভাবেই চলছিল। তখন প্রায় ২০০ ভোট হয়ে গিয়েছিল। তারপরেই একদল দুষ্কৃতী মুখে কাপড় বেঁধে লাঠি হাতে ভিতরে ঢুকে ব্যালট পেপার কেড়ে নিয়ে স্ট্যাম্প মেরে বক্সে ঢোকাতে শুরু করে। এরকম কিছুক্ষণ চলার পর আরও কিছু দুষ্কৃতী ভিতরে ঢুকে ব্যালট বাক্স কেড়ে নিয়ে পালিয়ে যায়। বুথের ভিতর তাণ্ডব চালায়।অঙ্গনা শেঠ বলেন, আমাদের মহিলা পরিচালিত বুথ হলেও ছিল না পর্যাপ্ত নিরাপত্তা। একপ্রকার আমাদের মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়া হয়েছিল। দুষ্কৃতীরা আমাদেরও মারতে উদ্যত হয়। জুনিয়ার কনস্টেবল এবং সিভিক দুজনেই নিজেদের প্রাণ বাঁচাতে ব্যস্ত ছিল। বাইরে তখন ধুন্দুমার চলছে। দাউ দাউ করে জ্বলছে দুটি মোটর বাইক।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, বহিরাগত দুষ্কৃতীরা এখানে মোটরবাইক নিয়ে ভোট লুঠ করতে এসেছিল। এলাকার শান্তিপ্রিয় মানুষই তাদের মোটরবাইক জ্বালিয়ে দিয়েছে।ঘটনার পর থেকে মহিলা ভোট কর্মীদের চোখেমুখে স্পষ্ট ছিল আতঙ্কের চাপ।। সংবাদমাধ্যমের সামনে তাঁরা কান্নায় ভেঙে পরেন। পুলিশকে খবর দেওয়ার পরও দীর্ঘক্ষণ পুলিশের দেখা মেলেনি। ফলে চাকরি চলে গেলেও তাঁরা যে ভোট প্রক্রিয়ায় ভবিষ্যতে কখনও অংশগ্রহণ করবেন না সেটা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন।

জুলাই ০৮, ২০২৩
রাজনীতি

ব্যালট বক্স বাইকে করে সোজা থানায় নিয়ে গেল তৃণমূল কর্মীরা

ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনে মালদার চাঁচল মহকুমায় তৃণমূল এবং বিরোধীদল বিজেপি ও কংগ্রেস, সিপিএমের মধ্যে বিভিন্ন জায়গায় সংঘর্ষের ঘটনার একাধিক অভিযোগ উঠেছে। এমন পরিস্থিতির মধ্যে অনেক বুথ থেকে নিরাপত্তার অভাব বোধ করে সরে গিয়েছেন অফিসার থেকে ভোট কর্মীরা। কিন্তু মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকারের যে ব্যালট বাক্স তা লুঠ হতে দেননি চাঁচল থানার খরবা গ্রাম পঞ্চায়েতের গোপালপুর ও দুর্গাপুর গ্রামের বাসিন্দা ও তৃণমূল কর্মীরা। শনিবার সংশ্লিষ্ট গ্রামের ১৯৬ বুথের ভোটদান পর্ব দুপুরের মধ্যে শেষ হয়ে যায়। আর তারপরেই সেখানে শাসক-বিরোধী গোলমালের জেরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গোটা এলাকা। জানা গিয়েছে, এই পরিস্থিতিতে ব্যালট বাক্স যাতে লুঠ না হয়, তারজন্য স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরাই সেই ভোট সম্পন্ন হওয়া ব্যালট বাক্স বাইকে করে সটাং থানায় নিয়ে এনে জমা দিলেন কর্তব্যরত চাঁচল থানার পুলিশ অফিসারদের কাছে।স্থানীয় তৃণমূলের একাংশ কর্মীদের বক্তব্য, খরবা গ্রাম পঞ্চায়েতের গোপালপুর দুর্গাপুর গ্রামের ১৯৬ নম্বর বুথের ভোটদান পর্ব দুপুরের মধ্যেই শেষ হয়ে যায়। তারপরে সেখানে গোলমাল শুরু করে কংগ্রেস, সিপিএমের জোট আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। তাদের সঙ্গে এই গোলমালে সামিল হয় বিজেপির স্থানীয় কর্মীরা বলেও অভিযোগ। নিরাপত্তার অভাব বোধ করে ভোট কর্মীরা বুথ থেকে সরে পড়েন । সেই পরিস্থিতিতে কর্তব্যরত পুলিশকর্মীরা গোলমাল থামানোর চেষ্টা করে। তখনই ফাঁকা হয়ে যায় ওই নির্বাচন কেন্দ্রটি। সেই সময় ব্যালট বাক্স লুঠের চেষ্টা চালিয়েছিল হামলাকারীরা। তখনই তিনটি ব্যালট বাক্স উদ্ধার করে চাঁচল থানায় নিয়ে এনে জমা দেওয়া হয়েছে।জেলা কংগ্রেসের সহ-সভাপতি ইশাখান চৌধুরী। তিনি বলেন, এসব তৃণমূলের বানানো গল্প। ওরাই ওই বুথ থেকে ব্যালট লুঠ করে ছাপ্পা দেওয়ার পর পুলিশের কাছে জমা দিয়েছে।

জুলাই ০৮, ২০২৩
রাজ্য

নির্বাচন কমিশনের গেটে পরপর লাথি শুভেন্দু অধিকারীর, সিসিটিভি এবং ভিডিওগ্রাফি দেখার দাবি

নির্বাচন কমিশনের কাজকর্ম নিয়ে একাধিকবার ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। কমিশনের নানা সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতে গিয়েছেন। আজ ভোট চলাকালীন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহাকে ফোনে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী কমিশনের দরজায় তালা ঝুলিয়ে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। পূর্ব ঘোষণা মতো শনিবার ভোটগ্রহণ শেষ হলে সন্ধ্যা ৬টার পর রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দফতরে পৌঁছন শুভেন্দু অধিকারী। তাঁকে দেখে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কর্মীরা দরজায় তালা লাগিয়ে দেন। তাই দেখে বেজায় চটে যান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তিনি কমিশনের গেটে পরপর লাথি মারতে থাকেন।কমিশনারের কর্মীকে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, আমাকে দেখে তালা দিলেন কেন? আপনাদের মাইনে কি মমতা ব্যানার্জি দেয়? কয়লা (অভিষেক ব্যানার্জি) দেয়? দরজা খুলুন। এখন তিনটে লাথি মেরেছি। আরও মারব। অসভ্য কোথাকার! একথা বলার পাশাপাশি, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা দরজা খোলার জন্য অপেক্ষাও করেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন শিশির বাজোরিয়া-সহ অন্যান্য বিজেপি নেতৃত্ব। কিন্তু, রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কর্মীরা শুভেন্দু অধিকারীর জন্য গেটের দরজা খোলেননি।এরপর শুভেন্দু অধিকারী সদলবলে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের বাইরে বেরিয়ে আসেন। তিনি এরপর রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দরজার বাইরে প্রতীকী বিক্ষোভের অঙ্গ হিসেবে তালা ঝুলিয়ে দেন। এরপর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, আমরা দাবি করেছি, কাল দুপুরের মধ্যে সিসিটিভি এবং ভিডিওগ্রাফি দেখতে হবে। যেসব বুথে ছাপ্পা হয়েছে, সেগুলো চিহ্নিত করতে হবে। দরকার হলে ভোটের ফল ঘোষণার দিন পিছিয়ে দিতে হবে। ছাপ্পা হওয়া বুথগুলোয় নতুন করে ভোটগ্রহণ করাতে হবে। অবশ্যই কেন্দ্রীয় বাহিনীকে রেখে।এদিন বিজেপি কর্মীরাও এর আগে পৃথকভাবে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দফতরে বিক্ষোভ দেখান। পাশাপাশি, বিক্ষোভ দেখান রাজ্য বামফ্রন্টের শীর্ষ নেতৃত্বও। বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু বলেন, রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় সুষ্ঠুভাবে ভোট হয়নি। নির্বাচন কমিশনের গাফিলতির জন্যই সেটা হয়নি।

জুলাই ০৮, ২০২৩
রাজনীতি

বিজেপি কর্মী খুন বীরভূমের মহম্মদবাজারে, অভিযোগের তির তৃণমূলের বিরুদ্ধে

বিজেপির বুথ সহ সভাপতিকে গুলি করে খুনের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।মৃত বিজেপির বুথ সভাপতির নাম দিলীপ মাহারা (৪৮)। বাড়ি বীরভূমের মহম্মদবাজার ব্লকের হিংলো অঞ্চলের সারেন্ডা গ্রামে। বৃহস্পতিবার সকালে গ্রামের কুলু পুকুরের কাছে চন্দ্রপুর গ্রাম যাওয়ার রাস্তার ধারে তাঁর রক্তাক্ত মৃতদেহ পরে থাকতে দেখতে পাওয়া যায়। তাঁর স্ত্রী ছবি হিংলো গ্রাম পঞ্চায়েতের ৩ নম্বর আসনে নির্দল প্রার্থী হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তবে ওই আসনে সিপিএম, তৃণমূলের পাশাপাশি বিজেপি প্রার্থী হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন চন্দ্রপুর গ্রামের সারদা সাহা। বিজেপির দাবি কৌশলগত কারণে তারা ছবিকে নির্দল প্রার্থী করেছে।এদিকে ঘটনার পর থেকে চন্দ্রপুর-সারেন্ডা রাস্তার উপর মৃতদেহ রেখে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করে বিজেপি। অবস্থান বিক্ষোভে সামিল হন বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়, বীরভূম জেলা সাংগঠনিক সভাপতি ধ্রুব সাহা সহ দলের জেলা নেতারা। দাবি ওঠে, পুলিশ কুকুর এনে ঘটনার তদন্ত করতে হবে। বিজেপির দাবি মেনে বিকেলের দিকে পুলিশ কুকুর এলে অবস্থান বিক্ষোভ উঠে যায়। ধ্রুব সাহা বলেন, খুব কাছ থেকে মাথার পিছনে গুলি করা হয়েছে দিলীপ মাহারাকে। গুলির খোল পাওয়া গিয়েছে। তৃণমূলের কালী বন্দ্যোপাধ্যায়, বিশ্বজিৎ মুখোপাধ্যায়রা এরকম ঘটনা ঘটিয়ে ভয়ের বাতাবরণ সৃষ্টি করে পাঁচ বছরের জন্য চুরির লাইসেন্স পেতে চাইছে। পুলিশের পক্ষপাতিত্ব করছে। তাই এই খুনের ঘটনা ঘটল। আমরা মহম্মদবাজার থানার ওসিকে ক্লোজ করার জন্য সাত দিন আগে পুলিশ সুপারকে লিখিতভাবে জানিয়েছি। জেলা রিটার্নিং অফিসার তথা জেলাশাসককে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। আমরা প্রশাসনকে বলেছিলাম এই ওসি থানায় থাকলে নিরপেক্ষ ভোট হবে না। তাই আমরা ঘটনার সিবিআই তদন্ত চাইছি। আমরা দাবি করছি ওসির বিরুদ্ধেও সিবিআই তদন্ত করতে হবে।ছবি মাহারা বলেন, বুধবার বিকেলে ঘর থেকে বেরিয়ে আর ফেরেনি। এদিন সকালে মৃত্যুর খবর পাই। তৃণমূলের কালী বন্দ্যোপাধ্যায় স্বামীকে খুন করেছে। একই বক্তব্য তাঁর ছেলে উৎপল মাহারার। তিনি বলেন, মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর থেকেই তৃণমূলের কালী বন্দ্যোপাধ্যায় হুমকি দিতে শুরু করে। মনোয়ন তুলে নেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করছিল। কিন্তু মনোনয়ন প্রত্যাহার না করায় বাবাকে হারাতে হল। আমরা ঘটনার সিবিআই তদন্ত চাইছি।সারেন্ডা গ্রামের বিজেপি প্রার্থী পরিতোষ পাল বলেন, মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার পর থেকে তৃণমূলের কালী বন্দ্যোপাধ্যায় বাড়ি বাড়ি হুমকি দিয়ে আসছিল। সেই কারণে আমরা সব আসনে দুজন করে প্রার্থী দিয়েছিলাম। একজন তুলে নিলে আরেকজন থেকে যাবে এই ভেবে। সেই ভেবেই ছবিকে প্রার্থীকে করা হয়েছিল। কিন্তু ভয়ে গা ঢাকা দেওয়ায় মনোনয়ন তোলার সময় আসতে পারেননি। তবে ওই পরিবার আমাদের বিজেপির সক্রিয় কর্মী। আমরা পুলিশকে জানিয়েছিলাম। কিন্তু পুলিশ কোনরকম সাহায্য করেনি। এমনকি এদিন সকালে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে গুলির খোল চুপচাপ নিয়ে গিয়েছে। গ্রামবাসীদের চাপে পরে ফের একই জায়গায় রাখতে বাধ্য হয়।এদিকে বিজেপির দাবি মেনে পুলিশ কুকুর এসে ঘটনাস্থলের পর সোজা চলে যায় পুকুর ঘাটে। সেখান থেকে দিলীপের বাড়ি হয়ে পৌঁছে যায় প্রতিবেশী প্রদীপ মাহারার বাড়িতে। পুলিশ প্রদীপ মাহারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে।তৃণমূলের জেলা মুখপাত্র মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, ওই ঘটনার সঙ্গে আমাদের কেউ যুক্ত নয়। ওটা বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জন্য হয়েছে। জেলা পুলিস সুপার রাজ নারায়ণ মুখোপাধ্যায় বলেন, তদন্ত চলছে। পরিবারের অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে।

জুলাই ০৬, ২০২৩
রাজনীতি

কুণাল-শুভেন্দু নন্দীগ্রামে মুখোমুখি, তৃণমূলের সভা থেকে চোর চোর স্লোগান

শনিবার রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন। ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বৃহস্পতিবার ছিল শেষদিনের প্রচার। ডান-বাম সব দলই প্রার্থীদের প্রচারে শেষ ল্যাপে ব্যস্ত। তার মধ্যেই নিজের গড় নন্দীগ্রামে অস্বস্তিকর পরিস্থিতির মধ্যে পড়লেন শুভেন্দু অধিকারী। চোর-চোর স্লোগান শুনতে হল তাঁকে। কনভয় যাওয়ার সময় নন্দীগ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে। তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কুণাল ঘোষের উসকানিতে এই কাণ্ড ঘটেছে বলে বিজেপির দাবি।নন্দীগ্রামে এদিন তৃণমূলের প্রচারসভা চলছিল। স্থানীয় নেতৃত্বের সঙ্গে দলের প্রচারে ছিলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। প্রচারসভা চলাকালীন শুভেন্দু অধিকারীর কনভয় যাওয়ার সময় শুভেন্দুকে উদ্দেশ্য করে ওঠে চোর চোর স্লোগান। চোর চোর চোরটা, শিশিরবাবুর ছেলেটা বলে কটাক্ষ করা হয়। তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের উপস্থিতিতেই ওঠে চোর চোর স্লোগান। তিনিই কার্যত সভা বন্ধ করে ইশারায় স্লোগান দিতে নির্দেশ দেন।চোর চোর স্লোগান শুনে গাড়ির ভিতর থেকে মাথা বের করে বিরক্তি দেখান শুভেন্দু। বিরোধী দলনেতা মেজাজ হারান, আঙুল তুলে শাসিয়ে বলেন, অ্যারেস্ট করাব সবকটাকে। তা সত্ত্বেও চলে চোর-চোর স্লোগান। শুভেন্দুর সুরক্ষার দায়িত্বে থাকা কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা যাঁরা ভিডিও করছিলেন তাঁদের সরিয়ে দেন। কনভয় চলে যাওয়া পর্যন্ত চলছিল স্লোগান।

জুলাই ০৬, ২০২৩
রাজনীতি

বিজেপি থাকলে দেশ জলাঞ্জলিতে যাবে, অভিষেক

বিজেপি ভাইরাস। তৃণমূল কংগ্রেস ভাইরাসের ভ্যাকসিন। বিজেপি দলের প্রধানমন্ত্রী বড় ঢপ মারছে আর সেই দলেরই এই রাজ্যের বিরোধী নেতা সুকান্ত ও শুভেন্দু ছোট ঢপ মারছে। এই বিজেপিকে কেন্দ্র থেকে উৎখাত করতে না পারলে বাংলা সহ গোটা দেশের ভবিষ্যৎ জলাঞ্জলি দিতে হবে। পঞ্চায়েত নির্বাচন উপলক্ষে বুধবার পূর্ব বর্ধমানের কালনা বৈদ্যপুরে অনুষ্ঠিত জনসভা থেকে এই ভাষাতেই কেন্দ্রের সরকার ও বিজেপিকে তুলো ধনা করলেন তৃণমূলের সেকেন্ড হ্যান্ড কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি রাজ্যের পাওনা আদায়ের জন্য এদিনের সভাবঞ্চ থেকেই অভিষেক দিল্লি চলো এই ডাকও দিলেন।কালনায় পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচারে এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বাম ও কংগ্রেসকে ধর্তব্যের মধ্যেই রাখেননি। তবে তাঁর নিশানায় আগা গোড়াই ছিল কেন্দ্রের সরকার ও বিজেপি। অভিষেক বলেন, প্রায় দুআড়াই বছর ধরে প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সহ এই রাজ্যের বিজেপি নেতারা মিলে বাংলার পাওনা ন্যায্য টাকা আটকে রেখে দিয়েছে। পূর্ব বর্ধমান জেলায় ১৭ লক্ষ ৮২ হাজার জন মানুষের একশ দিনের কাজের টাকা ওরা আটকে রেখেছে।৮ জুলাই পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন এর জবাব বাংলার মানুষকে দিতে হবে। সমস্ত গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি এবং জেলা পরিষদ আসনে জয়ী করতে হবে তৃণমূলের প্রার্থীদের। ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনে বাংলার মানুষ তৃণমূলকে জিতিয়েছিল বলেই লক্ষীর ভান্ডার, কন্যাশ্রী ও রূপসী প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন বলে অঅভিষেক সভায় উপস্থিত সবাইকে স্নরণ করিয়ে দেন।

জুলাই ০৬, ২০২৩
রাজনীতি

পঞ্চায়েত ভোটে এবার নয়া ইস্যু 'ছাতা ধর' রাজনীতি

ছাতা এবার রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচনের রাজনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। রবিবার তৃণমূলের মুখপাত্র কুনাল ঘোষ একটি ছবি টুইট করে বলেন যে, দুর্গাপুর পশ্চিমের বিধায়ক লক্ষণ ঘড়ুইয়ের মাথায় ছাতা ধরে রয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। দুদিন আগে অন্ডালের একটি নির্বাচনী সভায় উপস্থিত ছিলেন দুর্গাপুর পশ্চিমের বিধায়ক লক্ষণ ঘড়ুই। সেখানে দেখা যায় যে বিধায়কের নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছেন যে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান, তিনি ছাতা ধরে রয়েছেন বিধায়কের মাথায়। প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগে কাঁকসায় তৃণমূলের একটি সভায় শ্রমিক নেতা প্রভাত চট্টোপাধ্যায়ের মাথায় পুলিশের ছাতা ধরার টুইট করেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এবার পাল্টা টুইট কুনালের। এই প্রসঙ্গে বিধায়ক লক্ষন ঘড়ূইয়ের পাল্টা কটাক্ষ, ওর কথায় কি উত্তর দেব, সাড়ে তিন বছরের জেল খাটা আসামী। পাশাপাশি তিনি বলেন আমি বিধায়ক, আমাকে রক্ষা করার দায়িত্ব আমার নিরাপত্তা রক্ষীর। কিন্তু কে প্রভাত চ্যাটার্জী? প্রশ্ন তোলেন তিনি

জুলাই ০৩, ২০২৩
রাজ্য

'তিহারে বসে বাপ-বেটি বেদের মেয়ে জোসনার গান গাইছে, একই দশা হবে পিসি-ভাইপোর'- সুকান্ত

আপনাদের এখানকার বড় নেতা এখন দিল্লির তিহার জেলে বসে বেদের মেয়ে জোসনা সিনেমার গান গাইছেন জেলখানায় সম্বল, থালা বাটি কম্বল। এখন আবার বাপ বেটি পাশাপাশি বসে গাইছেন। অপেক্ষা করুন কয়েক মাস। পিসি আর ভাইপো একইভাবে সঙ্গে ওই গান করবেন। রবিবার বিকেলে বীরভূমের ময়ূরেশ্বর ২ নম্বর ব্লকের ষাটপলসা মোরে জনসভায় এভাবেই তৃণমূলকে আক্রমণ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।এদিন সুকান্ত মজুমদার বলেন, আপনারা তৃণমূলের চোখে চোখ রেখে লড়াই করে যান। আমার কাছে খবর আছে আপনারা যখন দলীয় পতাকা বাঁধতে যাচ্ছিলেন তখন এই থানার ওসি বলেছিলেন গুলি চালিয়ে দেব। আমি চ্যালেঞ্জ করে যাচ্ছি একজন কার্যকর্তার গায়ে গুলি চালান, হাইকোর্টে গিয়ে আপনার উর্দি খুলে দিতে না পারলে আমার নাম সুকান্ত মজুমদার নয়। স্থানীয় তৃণমূল নেতা জটিল মণ্ডলকে আক্রমণ করে বলেন, বালি পাচারের টাকা খাবেন। একটা অংশ পুলিশকে দেবেন আর আমাদের লোকেদের ধমকাবেন চমকাবেন এটা চলতে দেওয়া যাবে না। এখন বলছি শুধরে যান। মনে রাখবেন আপনাদের বড় বড় আইপিএসদের সিবিআই, ইডি ধরে নিয়ে যাচ্ছেন। আপনি তো থানার ওসি। আপনাকে তুলে নিয়ে যেতে দুমিনিট সময় লাগবে না।অনুব্রত মণ্ডলকে কটাক্ষ করে সুকান্ত মজুমদার বলেন, আগে শুনতে পেতেন খেলা হবে। কিন্তু এখন শুনতে পান? আগে ওরা কথায় কথায় দিল্লি যেত। এখন দিল্লি যেতে বললে তারা বলে দিল্লি যাব না। আরও বড় বড় চোর রয়েছে। উপর তোলার চোরদের আমরা টাইট করব। নিছু তলার চোরদের আপনারা শায়েস্তা করুণ। আপনাদের বড় নেতা চরাম চরাম, পাঁচন, নকুলদানার দাওয়াই দিতেন। এখন শোনা যাচ্ছে বেদের মেয়ে জোসনার গান গাইছে। জেলখানা সম্বল, থানা বাটি কম্বল। আমরা দিল্লি গেলে শুনি। আর কয়েকটা মাস অপেক্ষা করুণ পিসি আর ভাইপো পাশাপাশি একই সঙ্গে বসে একই গান গাইবেন।নগর উন্নয়ন মন্ত্রী শনিবার বলেছিলেন ২৪ সালে আমারই সরকার গড়ব। সেই মন্তব্যকে কটাক্ষ করে সুকান্ত বলেন, ২৪ সালে যদি তৃণমূল সরকার গড়ে তাহলে হাতিও জামা প্যান্ট পরে ঘুরবে। আর পারলে আমার বিরুদ্ধে সিবিআই লাগান। তবে বলে রাখি ভোটের দিন কাউকে বুথ লুঠ করতে দেবেন না। তাঁর জন্য ঝাণ্ডার সঙ্গে মোটা মোটা ডাণ্ডা রাখন। কেউ বুথ লুঠ করতে এলে শায়েস্তা করুণ। পুলিশ ধরে নিয়ে গেলে এক মাসের মধ্যে আপনার বাড়িতে পৌঁছে দেব।

জুলাই ০২, ২০২৩
রাজ্য

এখন বিজেপির সবচেয়ে বড় এজেন্ট অধীর চৌধুরী, তোপ অভিষেকের

মালদায় পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচারে গিয়ে অধীর চৌধুরীর বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিষেক বলেন, বিজেপির সবচেয়ে বড় এজেন্ট অধীর চৌধুরি । কাজেই বাংলায় কংগ্রেস সম্পর্কে যত কম বলা যায় ততই ভালো। বাংলায় অধীর চৌধুরী শুভেন্দুর সুরে কথা বলে।পঞ্চায়েত নির্বাচনের মুখে বিরোধী দল বিজেপি, কংগ্রেস সিপিএমের সেটিং তত্ত্ব নিয়ে সোচ্চার হলেন সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার দুপুরে সুজাপুর বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত হাতিমারি মাঠে নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য রাখেন অভিষেক ব্যানার্জি। তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন দলের রাজ্যসভার সাংসদ মৌসুম বেনজির নূর, জেলা সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সী, চেয়ারম্যান সমর মুখার্জি, রাজ্যের সেচ দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন, ইংরেজবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দু চৌধুরী। তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বলেন, আমরা মীরজাফর নযই, আমাদের মেরুদন্ড সোজা। সুতরাং ইডি-সিবিআই যতই আমাদের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দেওয়া হোক না কেন, তৃণমূলকে অপদস্ত করা যাবে না। পঞ্চায়েত নির্বাচনের মুখে বিজেপি, কংগ্রেস, সিপিএমের চরম বোঝাপড়া চলছে। এখনও পর্যন্ত ওরা কেউ কারোর বিরুদ্ধে নির্বাচন বিষয় নিয়ে এতটুকু অভিযোগ করেনি। সবাই দলনেত্রী মমতা বন্দযোপাধ্যায়কে আক্রমণ করছে। কিন্তু তাতে কোনও লাভ নেই। যে উন্নয়ন সাধারন মানুষের জন্য মুখ্যমন্ত্রী করেছেন, তাতে মানুষকে ভুল বোঝানো যাবে না। তাই আবারও বলি আপনারা কানে শুনে নয়, চোখে দেখে ভোট দিন।বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে আক্রমণ শানিয়ে অভিষেক বলেন, আপনারা তো টিভির পর্দায় দেখেছেন টাকার বান্ডিল হাতে কে নিচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন দুর্নীতিগ্রস্তদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে। যেখানে পরিষ্কার হয়ে গেল শুভেন্দু অধিকারী টাকা নিচ্ছে। সবাই দেখেছে টিভিতে। তাহলে প্রধানমন্ত্রী তাদের দলের ওই নেতার বিরুদ্ধে কেন কোনও ব্যবস্থা নিলেন না। আসলে প্রধানমন্ত্রী মুখে বড় বড় কথা বলেন। ৯ বছরের রাজত্বে কেন্দ্রের মোদি সরকার সাধারণ মানুষের জন্য কোন সুবিধাটুকু করে দিতে পারিনি। এরাজ্যে শুধু উন্নয়ন করেছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, বাংলায় অধীর চৌধুরী শুভেন্দু ও মোদির সুরে কথা বলছে। এখন বিজেপির সবচেয়ে বড় এজেন্ট অধীর চৌধুরী। তাই ওদেরকে বিশ্বাস করা যায় না। অথচ পাটনায় দিদির পাশেই বসেছিলেন রাহুল গান্ধী। বলেছিলেন একজোট হয়ে লড়াই করার কথা। কিন্তু কোথায় কি। এখানে তো বিরোধীদের সবকিছুই হচ্ছে সেটিং-এর মাধ্যমে। কিছুদিন আগেই পাটনায় ১৬ দলের একজোট হয়ে বৈঠকের পর পায়ের তলা থেকে মাটি সরে গেছে বিজেপির। তাই ওরা এখন কেন্দ্রীয় এজেন্সি দিয়ে ভয় দেখানোর চেষ্টা করছে। তৃণমূলের মেরুদন্ড সোজা। কাউকে ভয় পায় না। মানুষের অধিকারের জন্য লড়াই চলবে।এদিন মালদার উন্নয়নের প্রসঙ্গে সাংসদ অভিষেক ব্যানার্জি বলেন, গত পাঁচ বছরে মালদার বিভিন্ন বিধানসভা কেন্দ্রে ২,৫০০ কোটি টাকা প্রকল্পে পিএইচইর কাজ হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন দপ্তরের সহযোগিতা নিয়ে মালদায় সাড়ে পাঁচ হাজার কোটি টাকার সার্বিক উন্নয়নমূলক কাজ হয়েছে। মালদা শুধু নয়, গোটা রাজ্যের উন্নয়নের দায়িত্ব তৃণমূলের সরকারের।কেন্দ্রের মোদি সরকারের বকেয়া নিয়েও সুর চড়িয়েছেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক ব্যানার্জি। তিনি বলেন , গত দুই বছর ধরে ১০০ দিন প্রকল্পের টাকা আটকে রেখেছে কেন্দ্রের মোদি সরকার। আবাস যোজনা টাকাও বন্ধ করে দিয়েছে। এভাবে গরিব মানুষের পেটে ভাত মারাটা উচিত নয়। গরিবের অধিকার ফিরিয়ে পাওয়ার লক্ষ্য নিয়েই দিল্লিতে অবস্থান করার কথা জানিয়েছেন সাংসদ অভিষেক ব্যানার্জি। তিনি বলেন, পঞ্চায়েত নির্বাচন মিটে গেলে দশ লক্ষ লোক নিয়ে দিল্লিতে জমায়েত এবং অবস্থান করব। দেখি ওরা কিভাবে এরাজ্যের গরিবের অধিকার আটকে রাখতে পারে।এদিন পঞ্চায়েত প্রার্থী প্রসঙ্গে সাংসদ অভিষেক ব্যানার্জি বলেন, আমি গত দুইমাস নবজোয়ার কর্মসূচির মাধ্যমে রাস্তায় সময় কাটিয়েছি। মানুষের জনমত সংগ্রহ করেছি। সাধারণ মানুষ তৃণমূলের ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের প্রার্থী যাদের চেয়েছিলেন তাদেরই করা হয়েছে। তাই আবারও বলি, ওরা যতই বলুক না কেন, বিরোধীদের ফাঁদে পা দিবেন না। তৃণমূল সরকারের হাত শক্ত করুন। উন্নয়নের ধারা বজায় থাকবে। কোনও মানুষ উন্নয়নের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবেন না।

জুলাই ০২, ২০২৩
রাজ্য

বিডিওদের একাংশের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুললেন দিলীপ ঘোষ

রোজই পঞ্চায়েত ভোট শিরোনামে কোচবিহারের নাম উঠে আসে। নবজোয়ার যাত্রার সূত্রপাত হয়েছে এই জেলা থেকে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচার শুরু করেছেন কো। খুন-খারাবির ঘটনাও ঘটছে। বৃহস্পতিবার এই প্রসঙ্গে বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, আগেও বলেছি সিতাই, শীতলকুচি আর দিনহাটা হল উপদ্রুত এলাকা। আমাদের লোকসভায় মানুষ জিতিয়েছে। বিধানসভার দুটো আসন জিতেছি। পরে উপ-নির্বাচনে কি হয়েছে আপনারা দেখেছেন। বাইরে থেকে লোক এনে ওখানে ওরা এসব কাজ করে। বিএসএফ ওখানেই গুলি চালিয়েছিল। জনজোয়ার ওরা ওখান থেকেই শুরু করেছে। মুখ্যমন্ত্রী ওখান থেকেই প্রচার শুরু করেছেন। রাজনীতিতে খুব গুরুত্বপূর্ণ কোচবিহার। কিন্তু ওখানকার মানুষ উন্নয়নের কোনও স্বাদ পান না। যদি স্বাদ পেয়ে থাকেন, তাহলে বলব, হাইওয়ে তৈরি হয়েছে। মোদী করেছেন। বন্দে ভারত চালু হয়েছে সেটাও মোদী করেছেন। কেন্দ্র সুবিধা করেছে। আর মমতা ব্যানার্জি মানুষের প্রাণ নিয়ে ছিনিমিনি খেলছেন।একাধিক জেলার বিডিওদের বিরুদ্ধেই মূলত অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে চলেছে কমিশন। ভাঙড়, মিনাখার বিডিওদের শোকজ করা হতে পারে বলেও শোনা যাচ্ছে। দিলীপ ঘোষ বলেন, বিডিওরাই গণ্ডগোলের মাথা। বিডিও অফিস ঘুঘুর বাসা। পঞ্চায়েত ভোট ওখান থেকেই পরিচালনা হচ্ছে। মনোনয়ন দিয়েও বাতিল করা ওখান থেকেই হচ্ছে। তৃণমূলকে অনৈতিক ভাবে সুবিধা দেওয়া। বাধ্য হয়ে বা ভালো সাজার জন্য বিডিওরা এইসব কাজ করছেন। অত্যন্ত নিন্দনীয়। ১০০ দিনের কাজের টাকা বিডিও অফিস থেকেই লুঠ হচ্ছে। বিডিও অফিস গুলো এখন দুর্নীতির আখড়া।সায়নী ঘোষের নামে ইডি সমন পাঠিয়েছি। বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি বলেন, তৃণমূল যুব আছে কোথায়? সায়নী নেত্রী হতে গেছিল। উনি আজ কোথায়? পুরনো বা নতুন মামলা দিয়ে বিজেপি প্রার্থীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। বিনা কারণে বাড়িতে পুলিশের গাড়ি পাঠিয়ে বলা হচ্ছে থানায় আসুন। চমকানো হচ্ছে। সরাসরি বলা হচ্ছে মনোনয়ন প্রত্যাহার করুন। তৃণমূল কংগ্রেসের জোর নেই নির্বাচন করার। পুলিশ ও সরকারি কর্মীদের কাজে লাগিয়ে ভোটে জেতার চেষ্টা চলছে। আমার মনে হয়, সেই দিন চলে গেছে। দাবি দিলীপ ঘোষের।

জুন ২৯, ২০২৩
রাজনীতি

৩ মাসের মধ্যে পতন হবে মমতা সরকারের, হুঙ্কার শুভেন্দুর

তিন মাসের মধ্যে মমতা সরকারের পতন হবে বলে দাবি করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। পাশাপাশি আগামী লোকসভায় এরাজ্যে বিজেপি কত আসন পাবে সেই ঘোষণাও করেছেন শুভেন্দু। বিজেপির কেন্দ্রীয় শীর্ষ নেতা অমিত শাহর লক্ষ্যকে ছাপিয়ে গেলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক।গত এপ্রিলে বীরভূমের শিউড়িতে সভা থেকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ আগামী লোকসভার জন্য বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্বকে জয়ী আসনের টার্গেট বেঁধে দেন। তাঁর দাবি ছিল, লোকসভায় বাংলা থেকে বিজেপিকে ৩৫টি আসন দিন, দেখবেন ২০২৬-এর আগেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার পড়ে গিয়েছে।মঙ্গলবার জলপাইগুড়ির ক্রান্তির সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, পঞ্চায়েত নির্বাচন হল সেমি ফাইনাল। ফাইনাল হবে চব্বিশে। আর সেখানে দেশ থেকে বিজেপির বিদায়ঘণ্টা বাজবে। বিজেপির আয়ু আর ছমাস।বুধবার পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুরের পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচারসভা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি উত্থাপন করেন। সেই প্রসঙ্গেই খানিকটা চ্যালেঞ্জের সুরে বলেন উনি বলেছেন, পঞ্চায়েত সেমিফাইনাল। আমি বলছি সেমিফাইনাল নয়। পঞ্চায়েত হল কোয়ার্টার ফাইনাল। সেমিফাইনাল হবে চব্বিশে। উনিশে ১৮টি আসন পেয়েছিল বিজেপি। এবার ৩৬টি পাব। তারপর তিন মাসের মধ্যে বাংলায় সরকার পড়ে যাবে। অর্থাৎ শাহ যা লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিয়েছিলেন এ রাজ্য থেকে লোকসভা ভোটে তার থেকেও বেশি আসন জিততে মরিয়া বিরোধী দলনেতা।তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, শুভেন্দু একটা বদ্ধ উন্মাদ। মাঝেমাঝেই একটা করে তারিখ বলে, সংখ্যা বলে, তারপর আবার চুপসে যায়। বিজেপির বাকি লোকেরাও ওঁর কথা বিশ্বাস করে না।

জুন ২৮, ২০২৩
রাজনীতি

দিল্লিতে দোস্তি, বাংলায় কুস্তি! মমতার বক্তব্যে জোট নিয়ে কিসের ইঙ্গিত?

জাতীয়স্তরে বিজেপি বিরোধী মহাজোট গড়তে উদ্যোগ নিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মোদী সরকারকে উৎখাত করতে রাহুল, মমতা, নিতীশ, লালুপ্রসাদ, স্ট্যালিনরা বৈঠক করেন পাটনায়। ফের আগামী জুলাইতে বিরোধী দলগুলো বৈঠক করবে সিমলাতে। সর্বভারতীয় স্তরে যতই বিজেপি বিরোধী জোটের ঐক্য গড়ার উদ্যোগ হোক না কেন বাংলায় যে কংগ্রেস, সিপিএমকে তৃণমূল এক ছটাও জায়গা ছাড়তে নারাজ তা স্পষ্ট বুঝিয়ে দিলেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচারমঞ্চকে বেছে নিলেন আগামী লোকসভা ভোটের ক্ষেত্র প্রস্তুতির কাজে। সোমবার কোচবিহারের জনসভায় মুখ্যমন্ত্রীর ভাষণে এল বিজেপি বিরোধী মহাজোটের প্রসঙ্গ। বাংলায় মহাজোটের সমীকরণ নিয়েও প্রসঙ্গ এল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, পঞ্চায়েত নির্বাচনের পরে, আগামী লোকসভায় বিজেপিকে আমরা পরাজিত করব এবং দেশে একটি উন্নয়নমুখী সরকার গড়ব। তবে, তাঁর চাঁচাছোলা বক্তব্য যে, দিল্লিতে আমাদের মহাজোট হবে। বাংলায় সিপিএম, কংগ্রেস এবং বিজেপি জোট করেছে। ওদের পরাজিত করুন। এখানে আমরা বিজেপির বিরুদ্ধে লড়ব। আমরা বিজেপি, সিপিএম এবং কংগ্রেসকে পরাজিত করব।শিক্ষক নিয়োগ থেকে আবাস কেলেঙ্কারি, তৃণমূল নেতা-নেত্রীদের বিরুদ্ধে ভুরি ভুরি অভিযোগ। পঞ্চায়েত ভোটে যা নিয়ে অস্বস্তিতে পড়তে পারে রাজ্যের শাসক শিবির। বিলক্ষণ জানেন দলনেত্রী। সমস্যা মোকাবিলায় তাই পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারে নেমেই দুর্নীতি দূরীকরণের ডাক দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার কোচবিহারের প্রচার সভায় তাঁর প্রতিশ্রুতি, আমাদের দল তৃণমূল স্তরে আর দুর্নীতি হতে দেবে না।এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এখন পর্যন্ত আমরা পঞ্চায়েতকে তেমন গুরুত্ব দেইনি। এখন দেখছেন জনগণের মতামত চাওয়া হয়েছে। দুই মাস আগে মতামত চাওয়া হয়েছিল। কাউকে টাকা দেবেন না। আমরা চুরি হতে দেব না। কেউ টাকা চাইলে তার ছবি তুলে আমাকে পাঠান। আমরা এখন থেকে পঞ্চায়েত নিয়ন্ত্রণ করব। কাউকে চুরি করতে দেবেন না। আমরা জনগণের পঞ্চায়েত চাই।প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে মমতার দাবি, একজন কোটি কোটি টাকা নিয়ে রাশিয়া-আমেরিকা যাচ্ছেন। কিন্তু কেন্দ্র বাংলার একশ দিনের প্রকল্পের টাকা আটকে রেখেছে। বারবার অনুরোধ করেও টাকা দিচ্ছে না। কেন্দ্র একশ দিনের কাজের জন্য সাত হাজার কোটি টাকা দেয়নি। পঞ্চায়েত নির্বাচনে জয়যুক্ত হওয়ার পরে তৃণমূল সেই অর্থ আদায় করবে।একুশের বিধানসভা ভোটে শীতলকুচিতে গুলি চলেছিল। এবার পঞ্চায়েত ভোটে বিএসএফের কাজে বড় আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, আমার কাছে তথ্য আছে যে কিছু বিএসএফ আধিকারিক সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন করছেন, ভোটারদের হুমকি দিচ্ছেন এবং ভোট না দিতে বলছেন। আমি জনগণকে আতঙ্কিত না হয়ে নির্ভয়ে নির্বাচনে অংশ নিতে বলছি। যদি বিএসএফ আপনাকে ভয় দেখায়, পুলিশকে খবর দিন। পুলিশ এফআইআর দায়ের করবে এবং আইন আইনের পথে চলবে।

জুন ২৬, ২০২৩
রাজ্য

অঞ্চল সভাপতির পদের দাম ১০ লক্ষ! টুইট সুকান্তর, কি বললেন তৃণমূল জেলা সভাপতি?

জনৈক তৃণমূল নেতাকে অঞ্চল সভাপতি করে দেওয়ার নামে ১০ লক্ষ টাকা দাবি। এমনই অভিযোগ উঠেছে খোদ তৃণমূল জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে। রবিবার বিকেলে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় তৃণমূলের বর্তমান জেলা সভাপতি মৃণাল সরকারের তিনটি ভিডিও ভাইরাল হয়। সেখানে জনৈক ব্যাক্তিকে অঞ্চল সভাপতি করে দেওয়ার নামে টাকা পয়সার কথা বলতে শোনা যায় মৃণালবাবুকে। এই বিষয় নিয়ে বিজেপি ও সিপিএম এর তরফে তৃনমুল জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা গিয়েছে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এই ভিডিও গুলি টুইট করেন। তবে বিষয়টি অস্বীকার করেছেন মৃণাল সরকার। মৃণাল সরকারের দাবি, এটা দীর্ঘদিন আগেকার একটা ঘটনা। তখন আমি ব্লক সভাপতি ছিলাম, তখন কেউ এটা তুলে থাকবেন। আমি ঘুমোচ্ছিলাম। তখনই কেউ একজন এসব বলে, প্রশ্ন করে ও টাকা দিতে চায়। আমি কোনও সায় দেয়নি। ড্যান্স বারের ভিডিওর সঙ্গে তার কোনও সম্পর্ক নেই বলে দাবি করেছেন মৃনাল সরকার। তিনি বলেন, খাওয়া-দাওয়ার ভিডিওটা অনেক পুরনো ও ব্যক্তিগত। তবে আমি মদ্যপান করছি এমন কোনও দৃশ্য ওই ভিডিওতে নেই। বিজেপির আইটি সেল ভোটের আগে বদনাম করার জন্যই এরকম ভিডিও ভাইরাল করছে। রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, এটা তৃণমূলের নতুন কিছু না। এই দলের টিকিট থেকে পদ সবই টাকার বিনিময়ে বিক্রি হয়। দক্ষিণ দিনাজপুর তৃণমূল জেলা সভাপতিও তাই টাকা চাইবেন, এতে কোনও আশ্চর্যের কিছু নেই। এটা তৃণমূলের ব্যবসা। টাকা দিয়েই পদ নেবেন, আবার সেই টাকা তুলবেন।

জুন ২৫, ২০২৩
রাজনীতি

মুকুল, শুভেন্দুকে ভাঙিয়েছে বিজেপি, অভিষেকের সরাসরি চ্যালেঞ্জ গেরুয়া শিবিরকে

মুকুল রায়, শুভেন্দু অধিকারী এখন বিজেপিতে। তাঁদের পুরনো দল তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায় দাবি করেছেন, তাঁকেও ভাঙাতে চেয়েছিল বিজেপি। কিন্তু তাঁকে এভাবে দমানো যাবে না বলেও স্পষ্ট ঘোষণা করেছেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ। অভিষেকের অভিযোগ, গেরুয়া শিবিরে নাম লেখালেই সাত খুন মাফ। দল বদলে যে নেতা বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন, তাঁরা ইডি-সিবিআইয়ের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছেন। কয়লা পাচার থেকে শিক্ষা ক্ষেত্রে নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলায় অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়কে তলব করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই-ইডি। কখনও দিল্লিতে কখনও নিজাম প্যালেস, সম্প্রতি ইডি তলব করেছিল সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে। পঞ্চায়েত ভোট চলাকালীন রবিবার ডায়মন্ড হারবারের ফলতার জনসভা থেকে বিজেপির বিরুদ্ধে একগুচ্ছ অভিযোগ আনেন অভিষেক।অভিষেক বলেন, রাজনৈতিক লড়াইয়ে পেরে না উঠে, ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করা হচ্ছে। ইডি-সিবিআইকে কাজে লাগিয়ে নিজেদের দলকে শ্রীবৃদ্ধি করছে বিজেপি। যেমনভাবে মুকুল রায়, হেমন্ত বিশ্বশর্মা, শুভেন্দু অধিকারীদের ভাঙিয়ে নিয়ে গিয়েছে, তেমনই চেষ্টা করছে হয় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভাঙাও, নইলে বসাও, নইলে জেলে ঢোকাও। কিন্তু এভাবে আমাকে দমানো যাবে না। তাঁর বক্তব্য, আমি যতদিন রাজনীতি করব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বেই করব। আমার গলা কেটে দিলেও জয় বাংলাই বেরবে। আর যেদিন রাজনীতি করব না, সেদিন নিষ্ক্রিয় হয়ে যাব। চব্বিশে প্রধানমন্ত্রী পাল্টানোর ডাক দিয়েছেন অভিষেক।

জুন ১৮, ২০২৩
রাজনীতি

পঞ্চায়েতে অশান্তি: অতর্কিতে চলল গুলি, চোপড়ায় প্রাণ ঝরল সিপিএম প্রার্থীর

পঞ্চায়েত নির্বাচনে মনোনয়ন পত্র জমার শেষ দিনেও অশান্তি চরমে। গুলিতে প্রাণ ঝরল। উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ায় গুলিতে মৃত্যু হয়েছে এক সিপিএম প্রার্থীর। বৃহস্পতিবার মিছিল করে মনোনয়নপত্র জমা দিতে যাচ্ছিলেন বাম ও কংগ্রেসের প্রার্থী ও কর্মীরা। জানা গিয়েছে, বিডিও অফিসে ঢোকার বেশ কিছুটা আগেই মিছিল লক্ষ্য করে গুলি চলে। গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বাম ও কংগ্রেসের বেশ কয়েকজন প্রার্থী ও কর্মী। তাঁদের মধ্যেই এক সিপিএম প্রার্থীর মৃত্যু হয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। তৃণমূলের বিরুদ্ধে গুলিচালনার অভিযোগ করেছেন বিরোধীরা। এই ঘটনা নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস এখনও কোনও মন্তব্য করেনি।গত কয়েক দিন ধরেই মনোনয়ন জমাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়েছে ভাঙড়, ক্যানিং। বোমার ফুলঝুড়ি দেখেছে রাজ্যবাসী। চোপড়াতেও আশঙ্কা ছিলই। এদিন পঞ্চায়েত ভোটের জন্য মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন। এদিন একসঙ্গে মিছিল করে চোপড়া বিডিও অফিসের দিকে যাচ্ছিলেন বাম ও কংগ্রেসের প্রার্থী এবং কর্মীরা। রাস্তা দিয়ে বেশ কিছুটা যাওয়ার পর বিডিও অফিসের বেশ কিছুটা আগে ঘটে যায় ভয়ঙ্কর কাণ্ড। অতর্কিতে ছুটে আসা গুলিতে মৃত্যু হয় একজনের, বেশ কয়েকজন জখম হয়েছেন। জানা গিয়েছে, বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি চলেছে। রক্তাক্ত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন কয়েকজন। চিৎকার-চেঁচামেচিতে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। গোটা এলাকায় আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়। ঘটনার সময় কোনও পুলিশ ছিল না। এই পরিস্থিতিতেও মনোনয়ন জমা দিতে বদ্ধপরিকর বাম-কংগ্রেস।

জুন ১৫, ২০২৩
রাজনীতি

কমিশনে গিয়ে শুভেন্দুর দাবি, ২০ হাজার আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তৃণমূলকে জিতিয়ে দেওয়াই লক্ষ্য

রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সামনে নিজে হাতে ব্যারিকেডের দড়ি খুললেন বিরোধী শুভেন্দু অধিকারী। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সামনে বেনজির দৃশ্য দেখা গেল। যেসব প্রার্থী মনোনয়ন জমা করতে পারেননি তাঁদের নিয়ে কমিশনের দফতরের সামনে হাজির হয়েছিলেন সুকান্ত মজুমদার। দলীয় কর্মীদের নিয়ে সেই সময় হাজির ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। এরপরই কলকাতায় কমিশন দফতরেরর সামনে তুলকালাম পরিস্থিতি তৈরি হয়। কমিশনের দফতরে বিজেপি নেতা-কর্মীরা যাতে ঢুকতে না পারে তার জন্য পুলিশ আগে থেকেই ব্যারিকেড করে রেখেছিল। প্রথমে সেই ব্যারিকেড নিজে হাতে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন শুভেন্দু অধিকারী। পরে ব্যারিকেডের দড়ি খুলে দেন নিজে হাতে।এরপর রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে মনোনয়নে বাধা দেওয়ার অভিযোগ নিয়ে কথা বলতে কমিশন দফতরে ঢোকেন কথা বলতে। কিছুক্ষণ পর বেরিয়ে এসে ক্ষোভ উগরে দেন বিরোধী দলনেতা। রাজ্যের নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহাকে তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পোষ্য বলে কটাক্ষ করেন। শুধু তাই নয়, কমিশন তৃণমূলকে সুবিধা করে দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেন। ১৪৪ ধারা থাকা সত্ত্বেও রোজ কীভাবে রক্ত ঝরছে? প্রশ্ন তোলেন শুভেন্দু।বিরোধী দলনেতার অভিযোগ, রাজ্যের শাসকদল, কমিশন এবং পুলিশ মিলে বিরোধীদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে মনোনয়ন জমা দিতে দিচ্ছে না। ২০ হাজর আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তৃণমূলকে জিতিয়ে দেওয়াই এদের লক্ষ্য।একটা সময় উত্তেজনা চরমে পৌঁছয়। কমিশনের দফতরের সামনেই জয় শ্রী রাম স্লোগান চলতে থাকে। রাজ্য পুলিশের উদ্দেশে হায় হায় ধ্বনি দেওয়া হয়। শুভেন্দুর দাবি, আদালত স্পর্শকাতর এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনী নামানোর নির্দেশ দিয়েছে। কিন্তু স্পর্শকাতর এলাকা বলে কিছু রয়েছে, তা মানতেই চাইছে না কমিশন। হাইকোর্ট অভিযোগ জমা নেওয়ার ব্যবস্থা করতে বললেও, কমিশনে তেমন কোনও ব্যবস্থা নেই।শুভেন্দুর দাবি, যাঁর মনোনয়ন জমা দিতে পারেননি, কমিশনের দফতরেই তাঁদের মনোনয়নপত্র জমা নিতে হবে। আশান্তি রুখতে ও মনোনয়নে অশান্তি থামাতে কমিশন পদক্ষেপ না করলে বৃহস্পতিবার থেকে কমিশন দফতরের সামনে হাজার হাজার মানুষের ভিড় জমবে বলে হুঁশিয়ারি দেন শুভেন্দু অধিকারী। এদিনও তাঁর মুখে নো ভোট টু মমতা সুর শোনা যায় নির্বাচন ল কমিশনের দফতরে। মমতাকে ভোট লুঠ না করতে দেওয়াই তাঁর চ্যালেঞ্জ বলে দাবি করেন তিনি।

জুন ১৪, ২০২৩
রাজনীতি

অভিষেকের ঠাকুরনগর সফর ঘিরে ধুন্ধুমার, ভোটের আগে ঠাকুরবাড়ি কেন: শান্তনু

চলল চোর চোর স্লোগান। গরু চোর, কয়লা চোর। বন্ধ রাখা হল মন্দিরের মূল ফটক। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঠাকুরনগরের সফর ঘিরে রবিবাসরীয় দুপুরে ধুন্ধুমার কাণ্ড। পাশের মন্দিরে পুজো দিতে হল তৃণমূলের যুবরাজকে। মতুয়া মহাসংঘের কর্মী-সমর্থকরা বিক্ষোভ, কালো পতাকাও দেখালেন তৃণমূলের কর্মীদের। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, বনগাঁর সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের উদ্দেশে কড়া চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন অভিষেক। তাঁর হুঙ্কার, আমি ৩ মাস অন্তর ঠাকুরবাড়িতে আসব, দম থাকলে আটকে দেখাক।তৃণমূল কংগ্রেসের নবজোয়ার যাত্রা এখন চলছে উত্তর ২৪ পরগনায়। এদিন হাবড়ার অনুষ্ঠানের আগে ঠাকুরবাড়িতে যাওয়ার কর্মসূচি ছিল অভিষেকের। কিন্তু অভিষেকের ঠাকুরবাড়ি প্রবেশ নিয়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে থাকে। শান্তনু ঠাকুর ও বিজেপি কর্মী সমর্থকরা ভিড় জমান। কেন অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায় ঠাকুরবাড়িতে রাজনীতি করতে আসছেন সেই প্রশ্ন তোলেন শান্তনু ঠাকুর। শান্তনুর কটাক্ষ, অভিষেক কে? কোন মন্ত্রী ও? বাংলার মন্ত্রী না কেন্দ্রের? এত সাজগোজ হচ্ছে, মন্ত্রী এলেও হয় না, প্রধানমন্ত্রী যখন এসেছিলেন, তখনও হয়নি। ও কে? সাধারণ সাংসদ। ওঁর লোকসভায় এসব হোক। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় না থাকলে, সাংসদ হিসেবে অভিষেক কে? সূর্যের আলোয় চাঁদ যেমন আলোকিত হয়, ও তাই হয়েছে। ব্যক্তিগত ভাবে ও যেমন সাংসদ, আমিও সাংসদ। ভোটের আগে ঠাকুরবাড়িতে এই মুহূর্তে কী আছে?অভিষেক শান্তনুকে নিশানা করে বলেন, উনি যে বাড়িতে থাকেন, সেখানকার জলের ব্যবস্থা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যে রাস্তা দিয়ে হেঁটে তৃণমূলকে চমকাচ্ছেন সেই রাস্তাও মুখ্যমন্ত্রীর করে দেওয়া। চাইলে ভিড় ভেঙে মন্দিরে ঢুকতে ৫ মিনিট লাগবে। ধর্মকে সামনে রেখে রাজনীতি করছেন শান্তনু ঠাকুর। মতুয়া-মাটিকে কালিমালিপ্ত করা হচ্ছে। আমার কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচি ছিল না, আমি পুজো দিতে এসেছিলাম। অভিষেকের বক্তব্য, মতুয়া মন্দির কারও পৈতৃক সম্পত্তি নয়। আগামী দিনে মানুষ এর জবাব দেবে।অভিযোগ উঠেছে, অভিষেকের আসার আগে জোর করে ঠাকুরনগরের মন্দিরের ফটক বন্ধ করে দেওয়া হয়। এমনকী ভেঙে ফেলা হয় অভিষেকের এই কর্মসূচি উপলক্ষ্যে তৈরি হওয়া তোরণ। একদিকে ভিতরে মতুয়া মহাসংঘের সংঘাধিপতি তথা কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। সঙ্গে তুমুল স্লোগান। অন্য়দিকে তখন বাইরে বিক্ষোভ চলতে থাকে তৃণমূল কর্মীদের। শান্তনু ঠাকুর জানিয়ে দেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় চলে গেলে ঠাকুরবাড়ি গোবরজলে শোধন করা হবে।

জুন ১১, ২০২৩
রাজ্য

বাংলায় পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণা, আদালতে যেতে পারে বিজেপি

পঞ্চায়েত ভোট কবে সেই তা জল্পনার অবসান হল। রাজ্যে ৮ জুলাই এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচন। শুক্রবার এই ঘোষণা করেছেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা। দার্জিলিং ও কালিম্পংয়ে দ্বিস্তরীয় পঞ্চায়েত ভোট হবে। বাকি ২২টি জেলায় হবে ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত ভোট।এবারও একদফাতেই রাজ্যে হবে পঞ্চায়েত ভোট। কমিশনের ঘোষণার পরই বৃহস্পতিবার থেকেই রাজ্যজুড়ে নির্বাচনী আদর্শ আচরণ বিধি চালু হয়ে গেল। শনিবার থেকেই শুরু হচ্ছে ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন জমার কাজ, যার শেষ দিন ১৫ জুন। ২০ জুন মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষদিন। রাজীব সিনহা জানিয়েছেন, ১১ জুলাই পঞ্চায়েত ভোটের গণনা হবে। ফল ঘোষণা ১৯ জুলাই।বিগত দুটি পঞ্চায়েত ভোটে ব্যাপক হিংসার উদাহরণ রয়েছে বাংলায়। প্রধান বিরোধী দল বিজেপি সহ অন্যান্য প্রায় সব তৃণমূল বিরোধী রাজনৈতিক দলই পঞ্চায়েত ভোট কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে করার দাবি তুলেছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে ভোটে সুরক্ষায় রাজ্য পুলিশ নাকি কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করাতে চাইছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন? জবাবে কমিশনার রাজীব সিনহা জানান, রাজ্য সরকারের সঙ্গে কথা বলে সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।বাংলার ২২টি জেলায় (যেসব জেলায় ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত ভোট হবে) রয়েছে মোট ৩৩১৭ গ্রাম পঞ্চায়েত। মোট পঞ্চায়েত আসন ৬৩ হাজার ২৮৩। গ্রাম পঞ্চায়েতে নির্বাচন কেন্দ্রের সংখ্যা ৫৮ হাজার ৫৯৪।ভোটের দিন ঘোষণার পরই কমিশনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কমিশনের ভোট ঘোষণার পদক্ষেপ একতরফা বলে অভিযোগ বিরোধী দলনেতার। তাঁর দাবি, রাজ্য নির্বাচন কমিশন নির্বাচনে আঞ্চলিক তৃণমূলের দলের ফ্রন্টাল অর্গানাইজেশন হিসেবে সক্রিয়ভাবে কাজ করবে। এভাবে তাড়াতাড়ি পঞ্চায়েত ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা করে দেওয়ার সমালোনা করেছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও। প্রয়োজনে আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।নির্বাচনের দিন ঘোষণার পরই এদিন দীর্ঘ টুইট পোস্টে সরব হয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। লিখেছেন, প্রথমবারের মতো, ব্লক, জেলা বা রাজ্য স্তরে একবারও সর্বদলীয় বৈঠক না করেই একতরফাভাবে পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘোষণা করা হয়েছে। এক দফার নির্বাচনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে কোনও আলোচনা হয়নি। নির্বাচনের সময় হিংসা ও তার দরুন কোনও হতাহত হলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা দায়ী থাকবেন, কারণ ভোটের ঘোষণায় তাড়াহুড়ো করা হয়েছে, যুক্তিসঙ্গত পরিকল্পনার অভাব রয়েছে এবং যথাযথ নিরাপত্তার বিবেচনা করা হয়নি।

জুন ০৯, ২০২৩
  • ‹
  • 1
  • 2
  • ...
  • 5
  • 6
  • 7
  • 8
  • 9
  • 10
  • 11
  • ...
  • 39
  • 40
  • ›

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

১০০ দিনের কাজ নিয়ে হাইকোর্টে বড় ধাক্কা কেন্দ্রীয় সরকারকে

গতকালই ওবিসি মামলায় হাইকোর্টে জোরদার ধাক্কা খেয়েছে রাজ্য সরকার। এবার ১০০ দিনের কাজ নিয়ে বড় ধাক্কা খেল কেন্দ্রীয় সরকার। বুধবার নজিরবিহীন একটি নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। পশ্চিমবঙ্গে ফের ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প চালু করতে হবে, এই মর্মে কেন্দ্রীয় সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। আগামী ১ আগস্ট থেকেই এই প্রকল্প চালু করতে নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চ।উল্লেখ্য, বাংলায় ১০০ দিনের কাজের টাকা বহুদিন ধরে আটকে রেখেছে কেন্দ্র, এই অভিযোগ করে আসছে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ রাজ্য সরকারের একাধিক মন্ত্রী এই ব্যাপারে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বারবার সমালোচনায় সরব হয়েছেন। কেন্দ্রীয় সরকারের দাবি, পশ্চিমবঙ্গে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে লাগামহীন দুর্নীতি হয়েছে। এই দুর্নীতির তদন্তে কেন্দ্র বেশ কয়েকটি দলও বাংলার জেলায় জেলায় পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।কেন্দ্রের অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল অশোক চক্রবর্তী আদালতে জানিয়েছিলেন, ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে পশ্চিমবঙ্গে মোট ৫ কোটি ৩৭ লক্ষ টাকা বন্টনের ক্ষেত্রে গরমিল ধরা পড়েছে।। তার মধ্যে ২ কোটিরও বেশি টাকা পুনরুদ্ধার করা গিয়েছে। হুগলি, মালদা, বর্ধমান, দার্জিলিংয়ের মতো জেলাগুলিতে ১০০ দিনের কাজের টাকা বন্টনের ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ পেয়েছে কেন্দ্রের প্রতিনিধি দল। ১০০দিনের কাজের প্রকল্পে টাকা বন্টনের ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গে বেনজির দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ কেন্দ্রের।রাজ্যে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প আটকে থাকা নিয়ে মামলার শুনানি বুধবার ছিল কলকাতা হাইকোর্টে। এদিন উভয় পক্ষের সওয়াল-জবাব শুনেছেন প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। এরপর প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছেন যে শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গের জন্যই বিশেষ কোনও বেঁধে দিতে পারে কেন্দ্র। এই রায়ের পর সোচ্চার হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছেন, ১০০ দিনের পুরনো বকেয়া টাকা ফেরত দিতে হবে।

জুন ১৮, ২০২৫
রাজ্য

তোলা না দেওয়ায় গাছে বেঁধে কাপড় ব্যবসায়ীকে মারধর

পাঁচ লক্ষ টাকা তোলা না দেওয়ায় গাছে বেঁধে এক কাপড় ব্যবসায়ীকে মারধর এবং সালিশি করে গ্রাম ছাড়া করার অভিযোগ উঠলো স্থানীয় একদল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে কালিয়াচক থানার ফতেখানি এলাকায়। এই ঘটনায় আক্রান্ত ব্যবসায়ীর পরিবার কালিয়াচক থানার দ্বারস্থ হলেও চারদিন পরে পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ। অবশেষে বুধবার ওই ব্যবসায়ী দম্পতি সমস্ত ঘটনার বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ জানালেন পুলিশ সুপারের কাছে। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পুরো বিষয়টি নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মালদার পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব। এদিকে কালিয়াচকের ওই ব্যবসায়ীর ওপর আক্রমণ এবং পাঁচ লক্ষ টাকা তোলাবাজির ঘটনায় রীতিমতো অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন জেলার সর্ববৃহৎ ব্যবসায়ীদের সংগঠন মালদা মার্চেন্ট চেম্বার অফ কমার্সের কর্মকর্তারা। সংশ্লিষ্ট সংগঠনের সভাপতি জয়ন্ত কুন্ডু জানিয়েছেন, এই ধরনের ঘটনার আমরা তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। বারবার যদি ব্যবসায়ীদের ওপর দুষ্কৃতীদের হামলা নেমে আসে, তাহলে আমরা যাব কোথায়। অবিলম্বে পুলিশ সুপার যাতে অপরাধীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করে, সেই আবেদন জানাচ্ছি। এদিকে পুলিশকে অভিযোগে কালিয়াচক থানার ফতেখানি এলাকার পোশাক ব্যবসায়ী মহম্মদ রহিম বিশ্বাস জানিয়েছেন, পুরনো একটি মামলার ঘটনায় গত শনিবার এলাকার এক কুখ্যাত দুষ্কৃতী জহরুল খান এবং তার দলবল তাকে বাড়ির সামনে থেকে তুলে নিয়ে যায়। তাদের একটি ডেরায় তাঁকে গাছে বেঁধে ব্যাপক মারধর করা হয়। এরপর পাঁচ লক্ষ টাকার তোলা চাওয়া হয়। সেই টাকা না দেওয়ায় আশেপাশের আরও কিছু সাগরেদদের জুটিয়ে সালিশি ডাকা হয়। সেই সালিশির মাধ্যমে তাদের পরিবারকে গ্রাম ছাড়া করার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। আর এই ঘটনার পর থেকেই গত চারদিন ধরেই ওই ব্যবসায়ী পরিবার নিজের বাড়ি ছেড়ে অন্য এক আত্মীয়ের বাড়িতে আত্মগোপন হয়ে রয়েছেন। এমনকি ফতেখানি স্ট্যান্ডের কাছে ওই ব্যবসায়ী তার নিজের পোশাকে শোরুম খুলতে পারছেন না।

জুন ১৮, ২০২৫
রাজ্য

বাংলা দিবস পালন নিয়ে বিজেপিকে কড়া তোপ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের

বাংলা দিবস পালন নিয়ে ফের বিজেপি ও তৃণমূলের মধ্যে বাগযুদ্ধ শুরু হয়ে গেল। আগামী ২০ জুন বাংলা দিবস পালন করা হবে বলে উত্তরপ্রদেশের বিশেষ সচিব পশ্চিমবঙ্গের সংস্কৃতি দফতরকে একটি চিঠি দিয়েছে। আলাদা করে বাংলা দিবস পালনের দিন নির্ধারণ নিয়ে এবার প্রশ্ন তুললেন খোদ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই ইস্যুতে BJP-র কড়া জবাব দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।বুধবার সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ২০ জুন প্রতিটি রাজ্যের রাজভবনে বাংলা দিবস পালন করা হবে বলে ঠিক করা হয়েছে। এই তারিখ কীভাবে ঠিক করা হল? দেশ স্বাধীন হয়েছে ১৫ আগস্ট। বাংলার প্রতিষ্ঠা দিবস আপনারা ঠিক করে দেবেন? বিজেপি ইচ্ছা মতো চাপিয়ে দেবে? এটা বাংলাকে চরম অসম্মান বলে আমরা মনে করছি। বাংলা দিবস বাংলার সরকার পালন করবে। সেটা ১ বৈশাখ।এদিন কেন্দ্রকে নিশানা করে মুখ্যমন্ত্রীর আরও তোপ, সব বুলডোজ করছে, দেশে জুমলা সরকার চলছে। পেহেলগাঁওয়ের পর সবাই বিশেষ অধিবেশন ডাকার কথা বলেছে। বিরোধীরা সবাই অধিবেশন ডাকার কথা বলেছিল। কেন বিশেষ অধিবেশন ডাকা হবে না?একশো দিনের কাজের টাকা চার বছর ধরে বন্ধ করেছে। আবাস যোজনার টাকা দিচ্ছে না। রাজ্য সরকার নিজে সেই টাকা খরচ করে উন্নয়ন বজায় রেখেছে।

জুন ১৮, ২০২৫
রাজ্য

ভাগীরথী সেতুতে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা, লরির চাকায় পিষ্ঠ হয়ে মৃত্যু রোগীর

মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর ভাগীরথী সেতুর উপর ঘটল মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। বুধবার দুপুরে চলন্ত লরির চাকায় পিষ্ট হয়ে মৃত্যু হল এক বৃদ্ধের। মৃতের নাম হরেন মণ্ডল (৬৩)। তিনি ঝাড়খণ্ডের পাকুর জেলার বাসিন্দা বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।জানা গিয়েছে, বুধবার সকালেই অসুস্থতা জনিত কারণে হরেন মণ্ডলকে জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাঁর সঙ্গে ছিলেন পুত্রবধূ। দুপুরে বৌমা ফুলতলা বাজারে ফল কিনতে গেলে অনেকক্ষণ কেটে গেলেও তিনি না ফেরায়, চিন্তায় পড়ে বৃদ্ধ খুঁজতে বের হন। খুঁজতে খুঁজতে উঠে পড়েন ভাগীরথী সেতুর উপর। সেই সময় এক চলন্ত লরির সামনে পড়ে যান তিনি। অসাবধানতাবশত লরির চাকায় পিষ্ট হন হরেন মণ্ডল। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।ঘটনাস্থলে পৌঁছায় রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ ও রঘুনাথগঞ্জ সদর ট্রাফিক গার্ড। কিছু সময়ের জন্য সেতুর উপর যান চলাচল ব্যাহত হয়। পরে পুলিশ ব্যবস্থা নিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ। দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ কী, লরি চালকের গাফিলতি ছিল কিনাতা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।এই দুর্ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকাজুড়ে। হাসপাতালে ভর্তি রোগীর এমন মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে পরিবার ও হাসপাতাল চত্বরে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পরেও কি ভাবে রাজ্য সড়কে পৌছালো ঐ রুগী তা নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছে একলাবাসীর মধ্যে।

জুন ১৮, ২০২৫
রাজ্য

রায়নার বিধায়কের কন্যার নামকরণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী

রায়নার বিধায়ক শম্পা ধারার শিশু কন্যার নামকরণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার বিধানসভাতেই বিধায়ক শম্পা ধারা কন্যা সন্তান নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সামনে হাজির হন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিধায়ক শম্পা ধারার শিশু কন্যার নাম রাখেন ঐশী। আশাপূরণ হওয়ায় শম্পা ধারা বেজায় খুশি। মেয়ের অন্নপ্রাসন অনুষ্ঠানের দিনও নির্দিষ্ট করে ফেলেছেন বিধায়ক। সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হওয়ার জন্য শম্পা ধারা এদিন মুখ্যমন্ত্রী সহ সকল বিধায়ককে নিমন্ত্রণও করেন।শম্পা ধারার কন্যার এখন বয়স মাত্র সাড়ে চার মাস। বাংলার অগ্নিকন্যা তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অন্তত তাঁর কন্যার নামকরণ করে আশীর্বাদ করুন, এমনটাই স্বপ্ন ছিল রায়নার তৃণমূল বিধায়কের। সেই স্বপ্ন পূরণের লক্ষে নিজের শিশু কন্যাকে সঙ্গে নিয়ে সোমবার দুপুরে বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর ঘরের সামনে পৌছে যান পূর্ব বর্ধমানের বিধায়ক। মুখ্যমন্ত্রী ঘর থেকে বের হতেই বিধায়ক শম্পা তাঁর কন্যার নামকরণ করার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করেন। নিজের দলের বিধায়কের সেই অনুরোধ ফেরাননি মুখ্যমন্ত্রী।শম্পা ধাড়া জানান, চলতি বছরের ২৩ জানুয়ারি তাঁর কন্যা সন্তানের জন্ম হয়েছে। শম্পা ধারার কথা অনুযায়ী নাম করণ করে দেওয়ার পর তাঁর মেয়ের মাথায় হাত দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আশীর্বাদ করেছেন। এটাই তো তাদের কাছে অনেক বড় পাওয়া। এর জন্য তিনি গর্বিত বোধ করছেন।তাঁর খুব আনন্দও হচ্ছে।

জুন ১৭, ২০২৫
বিনোদুনিয়া

কেশরী চ্যাপ্টার টু, ইতিহাস বিকৃত করার ভয়ঙ্কর অভিযোগ

ইতিহাসের একটি পরিচিত অধ্যায় ইংরেজ শাসনের সময় বিখ্যাত স্বাধীনতা সংগ্রামী ও বিপ্লবী ক্ষুদিরাম বোস ও প্রফুল্ল চাকী কুখ্যাত ইংরেজ জাজকে বধ করার চেষ্টা করেছিল। এর ভিত্তিতে ক্ষুদিরাম বোসের ফাঁসি হয়েছিল এবং প্রফুল্ল চাকীও পুলিশের হাতে যাতে ধরা না পড়ে তার জন্য নিজের প্রাণ নিজের হাতে নিয়েছিল। বিধাননগর দক্ষিণ থানাতে অভিযোগ এসেছে যে একটি সিনেমা ইদানিংকালে লাইভ স্ট্রিমিং হচ্ছে সিনেমাটির নাম হচ্ছে কেশরী চ্যাপ্টার টু। সেই সিনেমাটি জিও হটস্টারে দেখানো হচ্ছে লাইভ স্ট্রিমিং এর মাধ্যমে সেখানে একটা দৃশ্যে দেখানো হয়েছে যে ক্ষুদিরাম বোসের নামকে ক্ষুদিরাম সিং বলা হয়েছে এবং প্রফুল্ল চাকির সেখানে কোন উল্লেখ নেই।বিখ্যাত স্বাধীনতা সংগ্রামী অরবিন্দ ঘোষের ছোট ভাই বিরেন্দ্র কুমার ঘোষ তিনি ও বিপ্লবী ছিলেন উনার নামটাকে বারিন্দ্রা কুমার বলে বলা হচ্ছে। শুধুমাত্র ঐতিহাসিক তথ্যগুলোকে বিকৃত করা হয়নি, বরঞ্চ স্বাধীনতা সংগ্রামী যারা আছেন তাদের নামটাকে বিকৃত করে তাদের গরিমাটাকে কিছুটা হলেও ম্লান করার চেষ্টা হয়েছে এবং করা হয়েছে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে একটা কেস করা হয়েছে। এটাও দেখানো হয়েছে খুদিরাম বোস এবং বারিন্দ্র ঘোষ ওনারা অমৃতসরের ছাত্র ছিলেন। এই পরিপ্রেক্ষিতে অভিযোগটা করা হয়েছে। আর সেই অভিযোগের ভিত্তিতে বিধান নগর দক্ষিণ থানাতে একটি কেস রুজ করা হয়েছে এবং তদন্ত শুরু হয়েছে।

জুন ১৭, ২০২৫
কলকাতা

ভূয়ো কল সেন্টারের পর্দা ফাঁস, বাগুইআটিতে গ্রেফতার ৬

গোপন সূত্রে প্রাপ্ত সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে বাগুইহাটি থানা অধীনস্ত সৃষ্টি অ্যাপার্টমেন্টে অভিযান চালায় বিধাননগর পুলিশের একটি দল এবং পর্দা ফাঁস করে একটি ভুয়ো কল সেন্টারের। অভিযুক্তরা বিভিন্ন রাজ্যে সমাজের প্রান্তিক শ্রেণীর মানুষদের সঙ্গে যোগাযোগ করত এবং কম সুদে ঋণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাদের কস্টার্জিত অর্থ হাতিয়ে নিতো।স্বতঃপ্রণোদিত অভিযোগের ভিত্তিতে বাগুইআটি থানায় কেস নাম্বার ৩৮২/২০২৫ মামলা রুজু হয়। এই অভিযানে মোট ছয় জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং উদ্ধার হয়েছে বহু বৈদ্যুতিন সরঞ্জাম, ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন ইত্যাদি। এই মামলার তদন্ত চলছে। ধৃতদের আজ আদালতে পেশ করা হলে তাদের প্রত্যেকের সাত দিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন মঞ্জুর হয়। মামলার তদন্ত চলছে।

জুন ১৭, ২০২৫
রাজ্য

তৃণমূলের দলীয় বৈঠকে মমতাবালাকে কটুক্তির অভিযোগ, উপপ্রধানকে গ্রেফতারের দাবি

দলীয় বৈঠক তৃণমূল উপপ্রধানের গালাগাল ও কটুক্তির শিকার তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ মমতা ঠাকুর। অভিযুক্তকে গ্রেফতারের দাবিতে থানায় অভিযোগ দায়ের করলেন তৃণমূল কর্মী। সরব হলেন মতুয়া ভক্তরা। পার্থ ভৌমিকের সম্পর্কে কিছু কথা বলার জন্যে কর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছে, আর কিছু নয় বলে দাবি তৃণমূল জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ দাসের।একুশে জুলাই এর প্রস্তুতি সভা ছিল সোমবার উত্তর ২৪ পরগনার গোবরডাঙ্গায়। অভিযোগ, সেখানে বক্তব্য রাখার সময় গোপালনগর চৌবেরিয়া ১ নাম্বার গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সুনীল সরকার মমতা ঠাকুরকে উদ্দেশ্য করে গালিগালাজ করেন। এমনকি বৈঠক শেষে মমতা ঠাকুর বাইরে বের হলে তাঁকে উদ্দেশ্য করে সুনীলসহ আরও কয়েকজন কটুক্তি করে এবং অশ্লীল অঙ্গিভঙ্গি করে, এমনকি তাঁকে হুমকিও দেওয়া হয়। এবং ছোট জাত বলে আক্রমণ করা হয়। এই মর্মে সোমবার রাতে সব্যসাচী ভট্ট নামে এক তৃণমূল কর্মী গাইঘাটা থানায় এফ আই আর দায়ের করেন। অভিযোগ করার সময় সব্যসাচীর সঙ্গে ছিলেন মতুয়া ভক্তরা ও গোসাইরা। অভিযুক্তর গ্রেফতারের দাবি করেন তারা। তারা বলেন, মাকে গালাগালি দেওয়া মানে আমাদের মতুয়া সমাজকে গালি দেওয়া। এটা আমরা কোনওভাবেই মেনে নেব না। ২৪ ঘন্টার মধ্যে যদি অভিযুক্তকে গ্রেফতার না করা হয় তাহলে তীব্র প্রতিবাদ হবে।এই বিষয়ে অভিযুক্ত চৌবেড়িয়া এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সুনীল সরকার জানিয়েছেন, মমতা ঠাকুর বক্তব্য রাখতে গিয়ে নানা কথার মধ্যে দিয়ে জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস ও পার্থ ভৌমিককে আক্রমণ করছিল। আমি শুধু প্রতিবাদ করে বলেছি আপনাদের ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বের বৈঠকে এটা আলোচনা করবেন। আমি যদি উনাকে গালাগাল করে থাকি সেটা প্রমাণ করুক। আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। যদিও বনগাঁ জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস জানিয়েছেন, গতকাল একুশে জুলাইয়ের প্রস্তুতি সভায় চেয়ারম্যান পার্থ ভৌমিক সম্পর্কে কিছু কথা বলাতে কর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছে আর কিছু নয়। তৃণমূলের সভায় মমতা ঠাকুরকে উদ্দেশ্য করে গালাগাল ও জাত তুলে কটুক্তি নিয়ে কটাক্ষ করা প্রসঙ্গে শান্তনু ঠাকুর বলেন, ওদের নেত্রী হরিচাঁদ গুরুচাঁদ নিয়ে যা বলেছেন তাতে ছোট নেতা কি বলবে। মমতা ঠাকুর হারিকাঠে গলা দিয়েছে, কি হবে বুঝতে পারছে না। ওর লজ্জা ঘৃণা ভয় কিছু নেই। এই বিষয়ে মমতা ঠাকুরবালার কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

জুন ১৭, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal