• ১ পৌষ ১৪৩২, শনিবার ২০ ডিসেম্বর ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

West Bengal

রাজ্য

উত্তরবঙ্গে সরকারি কর্মীরা রাজনৈতিক দলের অনুগতঃ ধনকড়

রাজ্য সরকার কোনও আইন-শৃঙ্খলা মানছে না। সংবিধান মানছে না। শাসন চালাতে গেলে সংবিধান মানতে হবে, তা এখানে মানা হচ্ছে না । ফের আইন-শৃঙ্খলার পরিস্থিতি নিয়ে রাজ্যকে আক্রমণ করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। প্রসঙ্গত , শনিবার তিনি পৌঁছান শিলিগুড়িতে। রবিবার তিনি দার্জিলিঙের উদ্দেশে রওনা হবেন। তার আগে শিলিগুড়িতে এক সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করে তিনি আরও বলেন , কেন্দ্রের প্রকল্পের বিরোধিতা করছে রাজ্য । রাজ্য আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের সাহায্য নেয়নি । সংকটের সময় সাহায্য নেওয়া উচিত ছিল । করোনা পরিস্থিতি দেখে বোঝা যাচ্ছে যে , রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে । প্রকল্পের সাহায্য নিলে পরিস্থিতি আলাদা হত । প্রধানমন্ত্রী কিষান সম্মান নিধি প্রকল্প নিয়ে তিনি বলেন , কেন্দ্রীয় প্রকল্পের মাধ্যমে ১২ হাজার টাকা পেয়েছে কৃষকরা। দেশের সব জায়গায় সরাসরি কৃষকের অ্যাকাউন্টে টাকা চলে গেছে । পশ্চিমবঙ্গের কৃষকরা তা থেকে বঞ্চিত হয়েছে । আরও পড়ুন ঃ ট্রেন চালানোর আবেদন জানিয়ে রেলকে চিঠি মুখ্যসচিবের রাজ্যে নারী নির্যাতনের প্রসঙ্গ তুলে তাঁর অভিযোগ , রাজ্যে ধর্ষণ বেড়েছে । মেদিনীপুরে 33 শতাংশের বেশি ধর্ষণের অভিযোগ এসেছে । সরকারি রিপোর্ট তাই বলছে । সরকারী কর্মীদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। রাজ্যপাল বলেন , উত্তরবঙ্গে সরকারি কর্মীরা রাজনৈতিক দলের অনুগত । আমার কাছে রিপোর্ট এসেছে। রাজনৈতিক দলের হয়ে কাজ করবেন না । আপনাদের বয়স কম , আগুন নিয়ে খেলবেন না। আইন আপনাকে ছাড়বে না। পাশাপাশি তিনি জানান , রাজনীতিতে কে হারল , কে জিতল , সেটা আমি পাত্তা দিই না । যা করছি , সেটা আমার কাজ । উত্তরবঙ্গে সমস্যার সমাধানে চেষ্টা করব ।

নভেম্বর ০১, ২০২০
রাজ্য

ট্রেন চালানোর আবেদন জানিয়ে রেলকে চিঠি মুখ্যসচিবের

বিশেষ কয়েকজোড়া ট্রেন চালানোর আবেদন নিয়ে রেলকে চিঠি লিখলেন রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব এইচ কে দ্বিবেদী। রেলের সঙ্গে এ নিয়ে আলোচনার প্রস্তাব দিলেন তিনি। স্বরাষ্ট্র দপ্তরের তরফে টুইট করে খবরটি জানানো হয়েছে।সেখানে স্বরাষ্ট্রসচিব এইচ কে দ্বিবেদী লিখেছেন , এর আগে মেট্রো চলাচলও যথেষ্ট সতর্কতা ও দক্ষতার সঙ্গে চালু করতে সক্ষম হয়েছে রাজ্য। এবার রেলের সম্মতি মিললে সকাল ও সন্ধ্যেবেলায় বিশেষ কয়েকজোড়া ট্রেনও ভালভাবেই চলতে পারবে এ রাজ্যে। তাতে জনসাধারণেরও অনেক সুবিধা হবে। হাওড়ার ঘটনা নিয়ে তিনি চিঠিতে লিখেছেন , এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক যে শুধুমাত্র রেলকর্মীদের জন্য রাজ্যে বিশেষ ট্রেন চালানো হচ্ছে এবং তাতে সাধারণ মানুষের যাতায়াতের অধিকার নেই। স্পেশ্যাল ট্রেনে উঠতে চাওয়া যাত্রীদের প্রতি আরপিএফের আচরণ নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি। অন্যদিকে , শনিবার রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, রেল ও কেন্দ্রের এই ভূমিকা নিয়ে রাজ্য সরকার ক্ষুব্ধ ও ক্ষুন্ন। আলোচনার মাধ্যমে লোকাল ট্রেন চালানোর জন্য আমরা অনেক আগেই চিঠি দিয়েছিলাম রেলকে। কিন্তু রেল আমাদের কথা শোনেনি। মেট্রো পরিষেবা যেরকম চালু হয়েছে, আলোচনার মাধ্যমে সেভাবে লোকাল ট্রেন চালুর জন্য আমরা পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজারকে চিঠি দিয়েছি। পূর্ব রেল জানিয়েছে, সোম-মঙ্গলবারের মধ্যে তারা অফিসার পাঠিয়ে আমাদের সঙ্গে আলোচনায় বসবে। আরও পড়ুন ঃ বিজেপি-ভাইরাসের ভ্যাকসিন কী? আরামবাগে জানালেন শান্তনু প্রসঙ্গত , আনলক পর্বে রাজ্যে শুধুমাত্র রেলকর্মীদের জন্যই বিশেষ ট্রেন চালানো হচ্ছে। সেই স্পেশাল ট্রেনে উঠতে চাইছেন সাধারণ নিত্যযাত্রীরা। এনিয়ে রেল পুলিশের সঙ্গে যাত্রীদের প্রতিদিন বচসা লেগেই রয়েছে। শুক্রবারের পর শনিবারও যাত্রী বিক্ষোভে উত্তাল হয় হাওড়া স্টেশন চত্বর। রেলকর্মীদের জন্য বরাদ্দ ট্রেনে ওঠার দাবি নিয়ে শনিবার সন্ধ্যায় ট্যাক্সি স্ট্যান্ডে জড়ো হন যাত্রীরা। ক্যাব রোডের গেট দিয়ে ওই যাত্রীরা ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করতেই আরপিএফ বাধা দিলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। আরপিএফের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন যাত্রীরা।

নভেম্বর ০১, ২০২০
স্বাস্থ্য

আশা জাগিয়ে ফের রাজ্যে কমল দৈনিক করোনা সংক্রমণ

শুক্রবারও কিছুটা কমল দৈনিক সংক্রমণ। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৯৭৯ জন। এর ফলে আক্রান্তের সংখ্যা মোট বেড়ে দাঁড়াল ৩ লক্ষ ৬৯ হাজার ৬৭১ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৪ হাজার ১৫ জন। এনিয়ে বাংলায় মোট করোনা জয়ীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৩ লক্ষ ২৫ হাজার ৮৮৮ জন। রাজ্যে সুস্থতার হার ৮৮.১৬ শতাংশ। অন্যদিকে, গত ২৪ ঘন্টায় রাজ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন ৫৯ জন। এর ফলে রাজ্যে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৬ হাজার ৭৮৪ জন। আরও পড়ুন ঃ বাংলায় ফের দৈনিক করোনা সংক্রমণ চার হাজারের কাছাকাছি সংক্রমণের নিরিখে ফের শীর্ষে কলকাতা। একদিনে শহরে আক্রান্ত হয়েছেন ৮৮০ জন। কলকাতার পরেই রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা। সেখানে সংক্রমিত ৮৬৬ জন। গত ২৪ ঘন্টায় ৪৩ হাজার ৭৭৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। সবমিলিয়ে এখনও পর্যন্ত বাংলায় এখনও পর্যন্ত মোট কোভিড পরীক্ষা হয়েছে ৪৫ লক্ষ ১২ হাজার ২৭০ জনের।

অক্টোবর ৩১, ২০২০
রাজনীতি

‘পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির শাসন প্রতিষ্ঠা করতেই হবে’ : দিলীপ

বিজয়া দশমীতে দলের নেতা-কর্মীদের শুভেচ্ছা জানালেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ। দলের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে এক খোলা চিঠিতে তিনি লেখেন, মা আমাদের জন্য নিয়ে আসেন শুভশক্তি ও তাঁর আশীর্বাদ দিয়ে যান , যা আমাদের অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করার প্রেরণা যোগায়।বিজেপির রাজ্য সভাপতি হিসেবে সংঘাত ও সফলতার সুপরিচিত যাত্রাপথে বেশ কয়েকটা বছর কেটে গেল। আজ বিজয়া দশমীর পুণ্য দিনে আপনাদের উদ্দেশ্যে কিছু অব্যক্ত মনের কথা তুলে ধরা খুব প্রাসঙ্গিক মনে হল। বিগত কয়েক বছর যাবৎ আপনারাই আমার ভাই , বোন, বন্ধু , পরিবার। আমার আজও মনে আছে সেদিনের কথা, যেদিন কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব আমার কাঁধে রাজ্য সভাপতির গুরু দায়িত্ব অর্পণ করেন এবং আপনারা পরম আন্তরিকতার সাথে আমাকে সসম্মানে বরণ করে নিয়েছিলেন। আপ্লুত হয়েছিলাম সেদিন, প্রতিজ্ঞা করেছিলাম সাফল্য অর্জন করে আপনাদের সম্মানিত করব। ঠিক সেদিন থেকেই আমি নিষ্ঠা, একাগ্রতা ও আনুগত্যের সাথে দায়িত্ব নির্বাহ করার প্রতিনিয়ত চেষ্টা করে গিয়েছি। অতি প্রয়োজন ছাড়া একদন্ড অবসর নিইনি।আপনাদের মত আমিও আমার ব্যক্তিগত সুযোগ সুবিধার চেয়েও দলের প্রয়োজনীয়তা কে অগ্রাধিকার দেওয়ার চেষ্টা করেছি। আরও পড়ুনঃ হেরে গেলে তৃণমূলের অত্যাচার থেকে বাঁচতে অন্য রাজ্যে বাসস্থান খুঁজতে হবে , হুঁশিয়ারি অনুপমের দলীয় কর্মীদের সাথী সম্বোধন করে তিনি বলেন, একমাত্র আপনাদের ভালবাসা আর কর্তব্যনিষ্ঠার বলে বলীয়ান হয়ে, ঈশ্বরের আশীর্বাদকে সঙ্গী করে আজ আমরা আমাদের দলকে পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশের প্রধান রাজনৈতিক দলের মর্যাদায় অধিষ্ঠিত করতে পেরেছি। আজ যখন আমি পেছন ফিরে দেখি স্মৃতির সরণি বেয়ে একাধিক আনন্দঘন ঘটনা স্মৃতিপটে প্রতিফলিত হয়, যা কিনা সম্পূর্ণভাবেই আপনাদের আন্তরিকতা ও একাগ্রতার ফসল বলে আমি কায়মনোবাক্যে বিশ্বাস করি। ২০১৬ সালের নির্বাচনে ১০% জনগণের আশীর্বাদপুষ্ট আমাদের দল ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে ৪০% এর উপর মানুষের আশীর্বাদে ধন্য হয়েছে, যা আপনাদের হার না মানা জেদ তথা অধ্যাবসায়ের ফলেই সম্ভবপর হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ থেকে ১৮ জন সাংসদ কে জিতিয়ে আনা, আপনাদের ত্যাগ তিতিক্ষা দায়বদ্ধতার স্বপক্ষেই এক প্রামাণ্য দলিল। ২০১৪ সালে সারা দেশের মতো পশ্চিমবঙ্গও যখন মোদী ম্যানিয়ায় আক্রান্ত ছিল তখন আমরা মাত্র ২ টি লোকসভা আসন জয় করতে সমর্থ হয়েছিলাম, যেখানে শতকরা ভোটার হার ছিল মাত্র ১৭%। 2016 সালে আমার কৰ্মলগ্ন শুরু হয় রাজ্যের তিন প্রান্তের মাত্র তিনটি বিধায়ক দিয়ে । সেখানেই আমরা থেমে থাকিনি। আমাদের বিজয়রথ ক্রমাগত শাসকের দমন-পীড়ন নীতিকে উপেক্ষা করে , পুলিশি নির্যাতন , কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা , খুন - সন্ত্রাস সত্ত্বেও এগিয়ে চলেছে।একটা সময় ছিল যখন বুথ ভিত্তিক কার্যকর্তা খুঁজে পাওয়া দুষ্কর ছিল। আজ প্রায় সব বুথেই একাধিক কর্মী সক্রিয়, কোন কোন বুথে তো কর্মী সংখ্যা শতাধিক অতিক্রান্ত। পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি শাসন প্রতিষ্ঠা করতেই হবে, কারণ পশ্চিমবঙ্গের গণতন্ত্র আজ বিপন্ন , শাসকের ক্রমাগত বঞ্চনা-দূর্নীতি-অপশাসনে মানুষ অতিষ্ঠ।সোনার বাংলা গড়তে আমরা রাজ্যবাসীর কাছে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। রাজ্য সভাপতি হিসেবে আপনাদের কাছে আবেদন যে, বাংলার স্বার্থে, বাঙালীর স্বার্থে আবারও একবার নিজেদের উজাড় করে দিয়ে আমাদের প্রমাণ করে দিতে হবে যে সদিচ্ছা থাকলে যে কোন অসাধ্য সাধন আমাদের কাছে অতি ক্ষুদ্র বিষয়। আমাদের পারদর্শিতা আমরা বারবার প্রমাণ করেছি তা সে লোকসভা ভোটই হোক অথবা পঞ্চায়েত। লক্ষ্য এবার একুশের বিধানসভা, আমাদের সকলকে একজোট হয়ে লড়াই করে জয় ছিনিয়ে আনতেই হবে। সময় এসেছে যখন আমাদের এক সূত্রে গ্রথিত হয়ে সমবেত কণ্ঠে সঙ্কল্প গ্রহণ করে বলতে হবে যে করব মোরা লড়ব মোরা সোনার বাংলা গড়ব মোরা। এদিন তিনি অস্ত্র পুজো করেন। তিনি বলেন , অধর্মের ওপর ধর্মের বিজয়, অন্যায়ের উপর ন্যায়ের বিজয়, এটাই বিজয়াদশমীর আহ্বান। শস্ত্র হচ্ছে শক্তির প্রতীক, দেশ-ধর্ম-সমাজ রক্ষার জন্য শস্ত্রের প্রয়োজন, শস্ত্রই আমাদের রক্ষা করে।

অক্টোবর ২৬, ২০২০
উৎসব

অতিমারীর খারাপ প্রভাব থেকে সকলকে রক্ষা করুক আনন্দ উৎসব , টুইট রাজ্যপালের

সকলকে বিজয়া দশমীর শুভেচ্ছা ও শুভ কামনা জানিয়ে টুইট করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। ্তিনি টুইটে আরও লেখেন , এই মহাপর্ব মন্দের উপরে ভালোর জয় এবং অসত্যের উপরে সত্যের জয়কে চিহ্নিত করে। এই আনন্দ উৎসব অতিমারীর খারাপ প্রভাবের হাত থেকে সকলকে রক্ষা করুক। আরও পড়ুনঃ মহাষ্টমীতে ঢাকের তালে জমিয়ে নাচলেন নুসরত আমাদের সকলের জন্য নিয়ে আসুক শান্তি, সমৃদ্ধি, এবং সুখ। এর আগেও তিনি পুজো্র মধ্যে টুইট করে সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। প্রসঙ্গত, রবিবারের সকালেই তিথি অনুযায়ী বিজয়া দশমী পড়ে গিয়েছে। তারপরই তাঁর টুইটটি করেন রাজ্যপাল।

অক্টোবর ২৫, ২০২০
স্বাস্থ্য

সমস্ত রেকর্ড ভেঙে বাংলায় একদিনে করোনা আক্রান্ত ৪১৫৭

গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৪ হাজার ১৫৭ জন। এ নিয়ে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বাংলায় মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ লক্ষ ৩৭ হাজার ২৮৩। বাংলায় করোনায় অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা ৩৬ হাজার ৬৪। এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় বাংলায় করোনা-মুক্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৬০৮ জন। সবমিলিয়ে মোট সুস্থ হয়েছেন ২ লক্ষ ৯৪ হাজার ৯১১ জন। আরও পড়ুনঃ সংক্রমণে রেকর্ড ভেঙে একইদিনে আক্রান্ত ৪ হাজার ৬৯ রাজ্যে সুস্থতার হার ৮৭.৪৪ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে আরও ৬৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে রাজ্যে করোনায় মৃত বেড়ে হয়েছে ৬৩০৮। বৃহস্পতিবার ৪৪ হাজার ২৫২টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। সবমিলিয়ে এখনও পর্যন্ত বাংলায় মোট ৪১ লক্ষ ৬৬ হাজার ৪৯৫টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।

অক্টোবর ২৩, ২০২০
কলকাতা

ছাড়লেন এনডিএ , একুশে তৃণমূলের সঙ্গে জোট বেঁধে ভোট ময়দানে বিমল গুরুং

এনডিএ ছাড়ছেন তিনি। একুশের ভোটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তথা তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বেঁধে লড়বে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। হঠাৎ বুধবার কলকাতায় এক অভিজাত হোটেলে বসে সাংবাদিক বৈঠক করে এই মন্তব্য করেন গোর্খা নেতা বিমল গুরুং। তিনি বলেন, ১২ বছর ধরে লোকসভা ভোটে বিজেপি প্রার্থীকে সমর্থন করছি। কিন্তু আমরা কী পেয়েছি? প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ সকলেই আশ্বাস দিয়েছিলেন গোর্খাল্যান্ডের দাবির স্থায়ী সমাধানের ব্যাপারে। ভোট ইস্তেহারেও সে কথা লিখেছিলেন। কিন্তু গত ৬ বছরে কিছুই তো হয়নি। প্রধানমন্ত্রী বা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করলে শুধু বলেন, দেখছি, হবে। তুলনায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তো বরং ভাল। উনি আমাদের কথা শুনেছিলেন। তার পর কেন্দ্রের কাছে সুপারিশ পাঠিয়েছিলেন। সাংবাদিক বৈঠকে এর পরেই গুরুং বলেন, আমি কেন্দ্রে জাতীয় গণতান্ত্রিক জোট তথা এনডিএ-র শরিক। কিন্তু আজ এই মুহূর্ত থেকে এনডিএ ছাড়ছি। সেই সঙ্গে এই অঙ্গীকার করছি যে একুশের বিধানসভা ভোটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তথা তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে জোট গড়ে ভোট লড়ব। সেই সঙ্গে গোর্খাল্যাণ্ডের স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধানের চেষ্টা করব। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে গুরুং বলেন , এখনও তৃণমূলের কারও সঙ্গে আমার আলোচনা হয়নি। গুরুংয়ের সঙ্গে এদিন সাংবাদিক বৈঠকে রোশন গিরি উপস্থিত ছিলেন। গুরুং আরও বলেন, আমি রাজনৈতিক কর্মী। কোনও অন্যায় করিনি। এর পরেও যদিব পুলিশ আমাকে গ্রেফতার করে তা হলে জেলে যেতে রাজি। সেখানে বসেই কাজ করব। আরও পড়ুনঃ পুলিশের প্রশংসা করে টুইট রাজ্যপালের প্রসঙ্গত , এদিন বিকেল পৌনে পাঁচটা নাগাদ সল্টলেকের গোর্খা ভবনের সামনে হাজির হয় গো্র্খা জনমুক্তি মোর্চার পলাতক এই নেতার গাড়ি। তবে এদিন গোর্খা ভবনের গেট বিমলের জন্য খোলেনি। এক পুলিশকর্মী গোর্খা ভবনের গেট খোলার চেষ্টা করলেও সফল হননি। এসময় বিমলের কাছে জানতে চাওয়া হয়, তাঁকে তো পুলিশ খুঁজছে। তাহলে তিনি কিভাবে কলকাতায় এলেন? জবাবে এই গোর্খা নেতা বলেন, যা বলার তিনি গোর্খা ভবনের ভিতরে বলবেন। তবে শেষ পর্যন্ত গোর্খা ভবনের ভিতরে যেতে পারেননি তিনি। গেট না খোলায় শেষ পর্যন্ত গাড়ি ঘুরিয়ে অন্যদিকে চলে যান তিনি। দীর্ঘদিন ধরে পলাতক থাকার পর এদিন তিনি প্রকাশ্যে এলেন। শো্না যাচ্ছিল , পুজো্র সময় তিনি কলকাতায় আসতে পারেন। সেই জল্পনাকে সত্যি করে এদিন তিনি কলকাতায় এলেন। প্রসঙ্গত , পাহাড়ে অশান্তি ছড়ানো, সরকারি সম্পত্তি নষ্ট, সাব-ইনস্পেক্টর অমিতাভ মালিক খুনে অভিযুক্ত বিমল গুরুংয়ের বিরুদ্ধে পুলিশের খাতায় একাধিক অভিযোগ রয়েছে। ইউএপিএ আইনের ধারাও রুজু রয়েছে তাঁর নামে। এবছরের মার্চে দিল্লিতে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডার ছেলের বিয়ের আসরে দেখা গিয়েছিল গুরুং এবং গিরিকে। তখনই বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে গুরুংয়ের যোগসাজশের জল্পনা বাড়ে। কিছুদিন আগে গোর্খাল্যান্ড নিয়ে আলোচনার জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক মোর্চা, রাজ্য সরকারকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল। কয়েকদিন ধরেই শোনা যাচ্ছিল, নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে পারেন বিমল গুরুং ও রোশন গিরি। অবশেষে এদিন তিনি সামনে এলেন।

অক্টোবর ২১, ২০২০
কলকাতা

সামান্য ছাড় দিয়ে পুজো মামলায় আগের রায়ই বহাল হাইকোর্টের

পুজো উদ্যোক্তাদের রিভিউ পিটিশনের প্রেক্ষিতে আগের রায় পুনর্বিবেচনা করে সামান্য পরিবর্তন করেছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ। বুধবারে তাদের দেওয়া পরিবর্তিত রায়ে বলা হয়েছে, ঢাকিরা মণ্ডপের নো এন্ট্রি জোনের মধ্যে থাকতে পারবেন। তা ছাড়া বড় পুজোগুলোর মণ্ডপে কমিটির ৬০ জন সদস্যের তালিকা তৈরি করা যাবে। একসঙ্গে সর্বোচ্চ ৪৫ জন মণ্ডপে ঢুকতে পারবেন। আগে এই সংখ্যাটা ছিল ২৫। প্রতিদিন সকাল ৮টার মধ্যে মণ্ডপের সামনে টাঙাতে হবে এই তালিকা। মণ্ডপে প্রবেশ করা ব্যক্তিদের নাম রোজ বদল করা যাবে। বিচারপতিদের নির্দেশ অনুসারে, যে সব মণ্ডপের আয়তন ৩০০ স্কোয়ার মিটার বা তার বেশি সেগুলিকে বড় মণ্ডপ বলে বিবেচিত হবে। ছোট মণ্ডপের ক্ষেত্রে ১৫ জনের তালিকা তৈরি করতে হবে। একসঙ্গে ১০ জনের বেশি মণ্ডপে প্রবেশ করতে পারবে না। সেই তালিকাতেও প্রত্যেকদিন বদল ঘটানো যাবে। এই বদলগুলি ছাড়া পঞ্চমীতে দেওয়া রায়ে আগের নির্দেশই বহাল রেখেছে কলকাতা হাইকোর্ট। হাইকোর্ট এদিন স্পষ্ট করে দিয়েছে যে দশমীতে সিঁদুর খেলা যাবে না। দেওয়া যাবে না অষ্টমীতে অঞ্জলিও। আরও পড়ুনঃ পশ্চিমবঙ্গে এমবিবিএস পড়ার আসন বেড়ে ৪০০০ করোনা পরিস্থিতিতে গত সোমবার ঐতিহাসিক রায় দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। রায়ে বলা হয়েছিল , কোনও মণ্ডপেই দর্শনার্থীরা প্রবেশ করতে পারবেন না। প্রতিটি মণ্ডপের বাইরে নো এন্ট্রি বোর্ড ঝুলিয়ে রাখতে হবে। ছোট মণ্ডপ হলে তার ৫ মিটার এবং বড় মণ্ডপ হলে তার ১০ মিটারের মধ্যে কোনও দর্শনার্থী প্রবেশ করতে পারবে না। দূর থেকে দেখতে হবে। দর্শক শূন্য রেখে পুজো পরিচালনার ব্যবস্থা সুনিশ্চিত করবে পুলিশপ্রশাসনকে। হাইকোর্টের রায় মোতাবেক কাজ হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে রাজ্য পুলিশের ডিজি ও কমিশনারদের লক্ষ্মীপুজোর পর আদালতে রিপোর্ট জমার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। হাইকোর্টের এই রায়ের পরই পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়ে মঙ্গলবার আবেদন জানান পুজো উদ্যোক্তাদের সংগঠন ফোরাম ফর দুর্গোৎসব।

অক্টোবর ২১, ২০২০
রাজ্য

মুখ্যমন্ত্রী হাইকোর্টের রায় বলবৎ হতে দেবেন কিনা , সন্দেহ আছে : অধীর

হাইকোর্টের রায়কে কতটা বাস্তবায়িত করবেন মুখ্যমন্ত্রী ও তার পুলিশ প্রশাসন , তা নিয়ে আমার যথেষ্ট সন্দেহ আছে। বুধবার রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সমালোচনা করে নিজের ফেসবুক পেজে এমনই মন্তব্য করলেন কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী। তিনি আরও লেখেন, এই রায় বাস্তব রূপ তখনই পাবে যখন রাজ্যের আমলা পুলিশ এই আইনকে বলবৎ করার চেষ্টা করবে। মুখ্যমন্ত্রী হাইকোর্টের রায় রাজ্যে বলবৎ হতে দেবেন কিনা , তা নিয়ে সন্দেহ আছে। কারণ মানুষের জীবনের চেয়ে তার কাছে ভোটের অঙ্কটাই বড়। মুখ্যমন্ত্রীর সমালো্চনা করে আরও লেখেন , রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে মানুষের ভোটের অঙ্কটাই বড়। তাই মহামারীর সময়েও যে টাকা মানুষের স্বাস্থ্য পরিষেবায় খরচ হতে পারতো , সেই বিপুল টাকা আগামী বছরের ভোটপুজোর জন্য ক্লাবগুলোকে দিলেন, সরকারি খাত থেকে।চিকিৎসার খরচ চালাতে না পেরে , বেডের অভাবে, চিকিৎসার অভাবে যেখানে প্রতিদিন রাজ্যে মানুষ মরছে। তিনি আরও বলেন , রাজ্য সরকার আসন্ন দুর্গোৎসবে মানুষের ভিড়ে সংক্রমণ কিভাবে আটকাবে তার কোনো পথ বাতলাতে পারেনি। আরও পড়ুনঃ হিঙ্গলগঞ্জের বিজেপি কর্মী খুনের ঘটনায় তৃণমূল ও রাজ্য প্রশাসনকে তোপ দিলীপ, সায়ন্তনের রাজ্য সরকারের হাইকোর্ট কে বোঝানো উচিত ছিল পুজোয় ভিড়ে সংক্রমণ আটকাতে সরকার এই এই ব্যবস্থা নিয়েছে, কিন্তু সরকার তা বোঝাতে ব্যর্থ হয়েছে। উপরন্তু সরকার নিজেই স্বীকার করেছে করোনা গোষ্ঠী সংক্রমণ স্তরে চলে গেছে, এ অবস্থায় হাইকোর্ট এর কাছে এই বিপুল সংখ্যক মানুষের প্রাণ বাঁচাতে আর কোনো পথ ছিল না। তিনি পশ্চিমবঙ্গবাসীদের অনুরোধ করেন , মনে রাখতে হবে উৎসবের থেকে জীবন আগে। আজকের উৎসবের আনন্দ আগামীকাল করোনার বিভীষিকায় না পরিণত হয়।

অক্টোবর ২১, ২০২০
স্বাস্থ্য

রাজ্যে চার হাজারের গণ্ডি পেরল করোনা আক্রান্তের সংখ্যা

পুজোর চতুর্থীতেই চার হাজারের গণ্ডি পেরল দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৪ হাজার ২৯ জন। রাজ্যে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৩ লক্ষ ২৯ হাজার ৫৭ জন। রাজ্যে দৈনিক মৃতের সংখ্যা যদিও সামান্য কমেছে। একদিনে মৃত্যু হয়েছে ৬১ জনের। এখনও পর্যন্ত মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৬ হাজার ৮০ জন। রাজ্যের সুস্থতার হার ৮৭.৪৩ শতাংশ। একদিনে করোনা পরীক্ষা হয়েছে ৪৩ হাজার ৭৬২ জনের। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে মোট কোভিড টেস্ট হয়েছে ৪০ লক্ষ ৭৮ হাজার ৬৫১ জনের। তাঁদের মধ্যে ৮.০৭ শতাংশ ব্যক্তির রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে।

অক্টোবর ২১, ২০২০
কলকাতা

করোনাকে হারিয়ে বাড়ি ফিরলেন দিলীপ ঘোষ

করোনামুক্ত হয়ে বাড়ি ফিরলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ। মঙ্গলবার সকালেই হাসপাতাল থেকে তাঁকে ছুটি দেওয়া হয় । বিজেপি সাংসদ জানিয়েছেন, সম্পূর্ণ সুস্থ রয়েছেন তিনি। কোনওরকম সমস্যা নেই। আপাতত বাড়িতে থেকে বিশ্রাম নেবেন। তাতেই আরও সুস্থ হয়ে উঠবেন। এদিন চিকিৎসকদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন বিজেপি সাংসদ। তিনি আরও বলেন, আমি সেভাবে অসুস্থ হইনি। প্রথম দিকে সামান্য কাশি আর জ্বর ছিল। বাড়িতেই ছিলাম। পরে জ্বর বাড়তেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিই। হাসপাতালে ভরতি হই। রাজ্যবাসীকে সতর্ক ও সচেতন থাকার পরামর্শও দিয়েছেন তিনি। তার সঙ্গে ছিলেন বিজেপি নেতা রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়। আরও পড়ুনঃ বিভেদের রাজনীতি করে আসছে বিজেপিঃ ডেরেক প্রসঙ্গত , শুক্রবার রাতে বাড়িতে অসুস্থ হয়ে পড়েন রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ। জ্বর-কাশি ছিল তাঁর। রাতেই তাঁকে সল্টলেকের আমরি হাসপাতালে ভরতি করা হয়। এরপরই জানা যায়, মারণ করোনা আক্রান্ত হয়েছেন বিজেপি সভাপতি। শুরু হয় চিকিৎসা। ধীরে ধীরে উন্নতি হয় দিলীপ ঘোষের শারীরিক অবস্থার। এরপরই চিকিৎসকরা তাঁকে ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। সেই মতো মঙ্গলবার সকালে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরলেন তিনি।

অক্টোবর ২০, ২০২০
স্বাস্থ্য

পুজোর আগে উদ্বেগ বাড়িয়ে একইদিনে রাজ্যে রেকর্ড সংখ্যক করোনা আক্রান্ত

গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৯৯২ জন। এ নিয়ে সোমবার পর্যন্ত বাংলায় মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ লক্ষ ২৫ হাজার ২৮। বাংলায় করোনায় অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা ৩৪ হাজার ৫৮৪। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে আরও ৬৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে রাজ্যে করোনায় মৃত বেড়ে হয়েছে ৬১১৯। এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় বাংলায় করোনা-মুক্ত হয়েছেন ৩ হাজার ২৭২ জন। সবমিলিয়ে মোট সুস্থ হয়েছেন ২ লক্ষ ৮৪ হাজার ৩২৫ জন। রাজ্যে সুস্থতার হার ৮৭.৪৮ শতাংশ।

অক্টোবর ২০, ২০২০
কলকাতা

বাংলায় সব পুজো মণ্ডপ দর্শকশূন্য রাখতে হবে , রায় হাইকোর্টের

বাংলায় সব পুজো মণ্ডপ দর্শকশূন্য রাখতে হবে। প্রতিটি পুজো মণ্ডপ কন্টেইনমেন্ট জোন বলে গণ্য হবে। করোনা আবহে ঐতিহাসিক রায় দিল কলকাতা হাইকোর্ট। ছোট মণ্ডপ হলে তার ৫ মিটারের মধ্যে এবং বড় মণ্ডপ হলে তার ১০ মিটারের মধ্যে কোনও দর্শনার্থী প্রবেশ করতে পারবে না। রাজ্যের সব পুজো মণ্ডপকে কনটেইনমেন্ট জোন হিসাবে ঘোষণা করতে হবে। হাইকোর্টের বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ সোমবার এই রায় দিয়েছেন। নির্দেশ কতটা মানা হল পুজোর পর সেই রিপোর্ট রাজ্য পুলিশের ডিজিকে জমা দেওয়ার নির্দেশ হাইকোর্টের। উল্লেখ্য , এদিন সকালেই মামলার প্রথম পর্যায়ের শুনানির পর্যবেক্ষণে হাই কোর্ট জানিয়েছিল, পুজোর সঙ্গে বাঙালির আবেগ জড়িত। তাই মণ্ডপে দর্শনার্থীদের প্রবেশাধিকার থাকলে সেখানে জড়ো হবেনই উৎসবপ্রেমীরা। এছাড়া ইতিমধ্যে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত এবং প্রচারিত ছবি দেখেই ভিড় কতটা হতে পারে, সে সম্পর্কে সম্যক ধারণা করা যাচ্ছে। রাজ্য সরকারের তরফে পুজোয় ভিড় সামাল দেওয়ার জন্য ৩০ হাজার পুলিশের কথা বলা হয়েছে। তবে তা ভিড় সামাল দেওয়ার জন্য যথেষ্ট নয়। প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে আদালত আরও জানিয়েছিল, সেক্ষেত্রে পুজো মণ্ডপগুলিকে কনটেনমেন্ট জোন করে দেওয়া হোক। এছাড়াও মণ্ডপে দর্শনার্থীদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হোক। মণ্ডপগুলিতে শুধুমাত্র পুজো উদ্যোক্তাদের ঢোকার বন্দোবস্ত থাক। তবে সেক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের কাছে সংশ্লিষ্ট ক্লাব কর্তৃপক্ষকে তাঁদের সদস্যদের তালিকা জমা দিতে হবে। আরও পড়ুনঃ অমিত শাহ সম্পর্কে এ কি বললেন অভিষেক ! তারা পরিস্কারভাবে বলে দিয়েছেন, মণ্ডপের শেষ প্রান্ত থেকে ফিতে মেপে ওই বলয় তৈরি করতে হবে। কোনও বড় মণ্ডপের বাইরে কোনও গেট তৈরি হলে সেটাকেই মণ্ডপের শেষ প্রান্ত বলে বিবেচনা করতে হবে। হাইকোর্টের বিচারপতিরা আরও বলেছেন, আদালত যে রায় দিল তা বড় বড় করে লিখে প্রতিটি পুজো মণ্ডপের বাইরে ঝোলাতে হবে। এছাড়াও প্রতিটি মণ্ডপের বাইরে নো এন্ট্রি বোর্ড ঝুলিয়ে রাখতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। প্যান্ডেলের মধ্যে ২৫ জনের বেশি পুজো কমিটির লোক ঢুকতে পারবে না। সেই তালিকা রোজ বদল করা যাবে না। এই তালিকাও মণ্ডপের বাইরে ঝুলিয়ে রাখতে হবে। দর্শকশূন্য রেখে পুজো পরিচালনার ব্যবস্থা সুনিশ্চিত করবে পুলিশপ্রশাসনকে। প্রসঙ্গত, করোনা পরিস্থিতিতে পুজো হোক , কিন্তু উৎসব নয়। এই দাবি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা করেন বিদ্যুৎ দপ্তরের প্রাক্তন কর্মী অজয়কুমার দে। সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব এবং মুখ্যসচিবকে ভিড় নিয়ন্ত্রণের ব্লু প্রিন্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাই কোর্ট। তবে সোমবার রাজ্যের তরফে কোনও ব্লু প্রিন্ট জমা দেওয়া হয়নি। এই মামলার অন্যতম আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য রায় ঘোষণার পরে বলেছেন, যে হেতু বহু মানুষ কোথাও একসঙ্গে জড়ো হলে ভাইরাসের সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি, তাই আদালত এই রায় দিয়েছে। কারণ, যত কম সংখ্যক মানুষ পুজো দেখতে বেরোবে ততই সবার জন্য মঙ্গল। সন্দেহ নেই এই রায় ঐতিহাসিক।

অক্টোবর ১৯, ২০২০
কলকাতা

অমিত শাহ সম্পর্কে এ কি বললেন অভিষেক !

অমিত শাহের কাছে বাংলার বোমা কারখানা নিয়ে তথ্য আছে। কিন্তু পরিযায়ী শ্রমিকদের বিষয়ে কোনও তথ্য নেই। সো্মবার টুইট করে অমিত শাহের অভিযোগের বিরুদ্ধে এভাবেই তোপ দাগলেন তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আপনি বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করার কথা বলে সাধারণ মানুষকে হুমকি দিচ্ছেন। সামাজিক সম্প্রীতি বিঘ্নিত করার চেষ্টা করছেন। আরও পড়ুনঃ পটাশপুরের বিজেপি কর্মীর মৃত্যু নিয়ে ফের প্রশাসনের বিরুদ্ধ তোপ রাজ্যপালের প্রসঙ্গত , গত শনিবার একটি বেসরকারি বৈদ্যুতিন মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে অমিত শাহ বলেন, সঙ্গত কারণেই বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি তুলেছেন বিজেপি নেতারা। পশ্চিমবঙ্গের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। আমফানের ত্রাণের টাকা নিয়ে চরম দুর্নীতি হয়েছে। বাংলার জেলায়-জেলায় বোমা কারখানার হদিশ মিলছে। তাঁর এই মন্তব্যকে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে রাজ্য - রাজনীতি। এই মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করা হয় তৃণমূলের তরফ থেকে। আর এদিন এর প্রতিবাদে তোপ দাগলেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ। Ironic that Mr @AmitShah has found data on bomb factories but when it comes to data on migrants, his @BJP4India govt is clueless! How dare you threaten the people of Bengal with Presidents Rule to disturb our social harmony. Disgusting poll propaganda!#BengalRejectsTanaShah https://t.co/gZfSImveIA Abhishek Banerjee (@abhishekaitc) October 19, 2020

অক্টোবর ১৯, ২০২০
স্বাস্থ্য

রাজ্যে করোনা আক্রান্ত ৩,৯৮৩ জন

গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে করোনা আক্রান্ত প্রায় ৪০০০ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৩,৯৮৩ জন। ফলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা পেরিয়েছে তিন লক্ষ ২০ হাজারের গণ্ডি। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে মোট সংক্রমিত হয়েছেন ৩, ২১, ০৩৬ জন। যা এখনও পর্যন্ত সর্বোচ্চ। এদিন মৃত্যু হয়েছে ৬৪ জন সংক্রমিতের। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে করোনায় মৃতের সংখ্যা ৬, ০৫৬। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাকে পরাস্ত করে ঘরে ফিরেছেন রাজ্যের ৩,১১৩ জন। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে মোট করোনাজয়ীর সংখ্যা ২, ৮১, ০৫৩। স্বাস্থ্যদপ্তরের পরিসংখ্যান বলছে, একদিনে নমুনা পরীক্ষা হয়েেছে ৪৩, ৫২০ জনের। এখনও অবধি মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৩৯, ৯১, ২৭০ জনের।

অক্টোবর ১৯, ২০২০
কলকাতা

পটাশপুরের বিজেপি কর্মীর মৃত্যু নিয়ে ফের প্রশাসনের বিরুদ্ধ তোপ রাজ্যপালের

জেল হেফাজতে থাকাকালীন মদন কুমার ঘোড়ইয়ের মৃত্যু আরেকটি ভয়ংকর ঘটনা। ওই বিজেপি কর্মীকে অমানবিকভাবে অত্যাচার করা হয়েছে। সংবিধান মেনে রাজ্যে শাসকদল চলছে না। এমনই অভিযোগ করে রবিবার টুইট করে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সে দিকে নজর দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। আরও পড়ুনঃ বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসন নিয়ে এ কি বললেন অমিত শাহ ! এছাড়া রাজ্য পুলিশের ডিজি, রাজ্য পুলিশ, কলকাতা পুলিশকে ট্যাগ করে আরও একবার তাদের ভূমিকা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেন রাজ্যপাল । এদিন এ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠিও লেখেন তিনি।

অক্টোবর ১৮, ২০২০
কলকাতা

বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসন নিয়ে এ কি বললেন অমিত শাহ !

সঙ্গত কারণেই বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি তুলেছেন বিজেপি নেতারা। পশ্চিমবঙ্গের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। আমফানের ত্রাণের টাকা নিয়ে চরম দুর্নীতি হয়েছে। বাংলার জেলায়-জেলায় বোমা কারখানার হদিশ মিলছে। সর্বভারতীয় নিউজ চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এমনই মন্তব্য করেন। তবে তিনি বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসনের বিষয়ে বলতে গিয়ে বলেন, বিরোধী রাজনৈতিক দল দাবি করতেই পারে। কিন্তু, রাষ্ট্রপতি শাসন কোনও রাজনৈতিক দলের নেতার দাবি মেনে হয় না ৷ ভারতীয় সংবিধানে যে নিয়ম রয়েছে , সেই নিয়ম মেনেই একমাত্র রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা হয় ৷ কোথাও রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করতে গেলে আগে রাজ্যপালের রিপোর্ট দেখতে হবে ৷ সেখানকার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে হবে, তারপর রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হয়। তবে, বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসনের মত ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি রয়েছে। আরও পড়ুনঃ করোনা আক্রান্ত নির্মল মাজি তৃ্ণমূলের সমালো্চনা করে তিনি আরও বলেন, ভারতের আর কোনও রাজ্যে পশ্চিমবঙ্গের মতো পরিস্থিতি নেই। বাংলায় বিরোধীদের উপর অনবরত আক্রমণ চলছে। বিরোধীদের খুন করা হচ্ছে। মিথ্যা মামলায় তাঁদের ফাঁসানো হচ্ছে। আগামী বিধানসভা নির্বাচনে বাংলায় পালাবদল হবেই, প্রত্যয়ী অমিত শাহ। তিনি বলেন, নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে বাংলায় বদল আসবে। তৃণমূলকে বাংলা থেকে সরানোই প্রধান লক্ষ্য।

অক্টোবর ১৮, ২০২০
স্বাস্থ্য

করোনা সংক্রমণে রেকর্ড , রাজ্যে একইদিনে আক্রান্ত ৩,৮৬৫

গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে কোভিড আক্রান্ত হয়েছেন ৩,৮৬৫ জন।এখনও পর্যন্ত এটাই সর্বাধিক দৈনিক সংক্রমণ। ফলে রাজ্যে মোট সংক্রমিতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ লক্ষ ১৭ হাজার ৫৩ জন।পুজোর মুখে করোনা সংক্রমণের এই ঊর্ধ্বমুখী গ্রাফ নিঃসন্দেহে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৫৯৯২। আরও পড়ুনঃ করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হল ৩ হাজার ৭৭১ জন গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গিয়েছেন ৬১ জন। বর্তমানে সক্রিয় করোনা রোগী ৩৩,১২১ জন। তবে সুস্থতাও বাড়ছে। এখনও পর্যন্ত সুস্থ হয়েছে ২,৭৭ ,৯৪০ জন রোগী। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাজয়ীর সংখ্যা ৩১৮৩। রাজ্যে সুস্থতার হার ৮৭.৬৬ শতাংশ।

অক্টোবর ১৮, ২০২০
স্বাস্থ্য

করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হল ৩ হাজার ৭৭১ জন

শুক্রবার রাত পর্যন্ত করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৩ হাজার ৭৭১ জন। এই নিয়ে রাজ্যে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হল ৩ লক্ষ ১৩ হাজার ১৮৮ জন। মৃ্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৯৩১ জন। আরও পড়ুনঃ মণীশ শুক্লা হত্যাকাণ্ডে সিবিআই তদন্তের দাবিতে হাল্লাবোল মিছিল বিজেপি র গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৬১ জনের। তবে দৈনিক সুস্থতার হার গতকাল সামান্য কমলেও শুক্রবার সুস্থতার হার ছিল ৮৭.৭৩ শতাংশ। উৎসবের আগেই যদি এই পরিসংখ্যান তাহলে আগামী দুর্গাপুজোর পরে কী রূপ নিতে চলেছে সংক্রমণ, তা ভাবাচ্ছে রাজ্য প্রশাসনকে।

অক্টোবর ১৭, ২০২০
কলকাতা

সরকারের দেওয়া অনুদান বিনোদনের জন্য খরচ করতে পারবে না পুজো কমিটিগুলি : হাইকোর্ট

দুর্গাপুজো উপলক্ষে বিভিন্ন ক্লাব রাজ্য সরকারের কাছ থেকে যে ৫০ হাজার টাকা করে অনুদান পেয়েছে , বিনো্দনের জন্য সেই টাকা খরচ করতে পারবে না পুজো কমিটিগুলি। এছাড়াও পুজো্র কাজেও এই টাকা খরচ করা যাবে না বলে জানিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। তবে আদালত জানিয়েছে, এই টাকা থেকে ২৫ শতাংশ টাকা পুলিশের সঙ্গে জনগণের সম্পর্ক দৃঢ় করার জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে।বাকি ৭৫ শতাংশ টাকা মাস্ক ও স্যানিটাইজার কেনার জন্য খরচ করতে হবে। আরও পড়ুনঃ ফের রাজ্য সরকারের সমালোচনা ধনকড়ের এরপর বিল ও ভাউচার সমেত সব হিসেব পুজো কমিটিগুলি সরকারকে বুঝিয়ে দেবে। টাকা খরচের পূর্ণাঙ্গ হিসেব রাজ্য সরকারকে হলফনামা আকারে আদালতে জমা দিতে হবে। এদিন বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন, দল নির্বিশেষে আপনারা আমলাতন্ত্র ধ্বংস করেছেন। আমলাতন্ত্র মজবুত হলে এই অবস্থা হয় না।

অক্টোবর ১৬, ২০২০
  • ‹
  • 1
  • 2
  • ...
  • 10
  • 11
  • 12
  • 13
  • 14
  • 15
  • 16
  • 17
  • 18
  • 19
  • ›

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

যুবভারতী কাণ্ডে নতুন মোড়, শতদ্রু দত্তের রিষড়ার বাড়িতে হানা বিধাননগর পুলিশের

যুবভারতী কাণ্ডের পর থেকেই রিষড়ার একটি ঝাঁ চকচকে তিনতলা বাড়ি ঘিরে কৌতূহল বেড়েছে। শুক্রবার সকালে সেই বাড়িতেই হাজির হল বিধাননগর পুলিশ। যুবভারতী স্টেডিয়ামে মেসির অনুষ্ঠান ঘিরে হওয়া বিশৃঙ্খলার ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া উদ্যোক্তা শতদ্রু দত্তের এই বাড়িতে এদিন তল্লাশি চালান তদন্তকারীরা। তবে ঠিক কী কারণে এই তল্লাশি, তা নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি পুলিশ আধিকারিকরা।গত ১৩ ডিসেম্বর যুবভারতী স্টেডিয়ামে লিওনেল মেসির অনুষ্ঠান আয়োজনের দায়িত্বে ছিলেন শতদ্রু দত্ত। ওই দিন স্টেডিয়ামে ব্যাপক বিশৃঙ্খলা ছড়ায়। সেই ঘটনার পরই আয়োজক সংস্থার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে এবং পুলিশ শতদ্রুকে গ্রেফতার করে। বর্তমানে তিনি পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন। ঠিক সেই সময়ই শুক্রবার সকালে তাঁর রিষড়ার বাড়িতে পৌঁছে যায় বিধাননগর পুলিশের একটি দল।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দক্ষিণ বিধাননগর থানার পাঁচজন আধিকারিক, তাঁদের মধ্যে মহিলা পুলিশকর্মীও ছিলেন, এদিন সকালে রিষড়ায় যান। প্রথমে তাঁরা রিষড়া থানায় হাজির হন। পরে স্থানীয় থানার পুলিশের সহযোগিতায় বাঙুর পার্ক এলাকায় শতদ্রু দত্তের বাড়িতে যান তদন্তকারীরা। সেই সময় বাড়িতে শুধুমাত্র এক পরিচারিকা ছিলেন। তাঁর সঙ্গেও কথা বলেন পুলিশ আধিকারিকরা।এরপর তিনতলা বাড়ির প্রতিটি ঘরে তল্লাশি চালানো হয়। সূত্রের খবর, ওই বাড়িতে একটি ব্যক্তিগত ফুটবল মাঠ এবং একটি সুইমিং পুল রয়েছে। সেগুলিও ঘুরে দেখেন তদন্তকারীরা। তবে তল্লাশির পর বাড়ি থেকে কোনও কিছু বাজেয়াপ্ত করা হয়নি বলেই জানা গিয়েছে। বাড়ি থেকে বেরোনোর সময় এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, বিষয়টি তদন্তাধীন, তাই এখনই কিছু বলা সম্ভব নয়।এদিকে তদন্তকারীদের একাংশের অনুমান, মেসির অনুষ্ঠানে বিপুল পরিমাণ কালো টাকা ব্যবহার হয়ে থাকতে পারে। যুবভারতী কাণ্ডে পুলিশের তরফে ইতিমধ্যেই দুটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। সেই এফআইআরের ভিত্তিতে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট ইসিআইআর দায়ের করে আর্থিক লেনদেনের উৎস খতিয়ে দেখতে পারে বলে তদন্তকারী সূত্রে খবর।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫
দেশ

সংবাদমাধ্যমে আগুন, ভারত-বিরোধী স্লোগান—ঢাকা পরিস্থিতিতে কড়া নজর দিল্লির

ওসমান হাদির মৃত্যুর পর ফের তপ্ত হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। বৃহস্পতিবার রাত থেকেই ঢাকাসহ একাধিক শহরে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। প্রথম সারির সংবাদমাধ্যমের অফিসে আগুন লাগানো হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ হয়েছে এবং কট্টরপন্থীদের একাংশ প্রকাশ্যে ভারত-বিরোধী মন্তব্য করছে। পরিস্থিতি কোন দিকে গড়ায়, তা নিয়ে কড়া নজর রাখছে ভারত।সূত্রের খবর, ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনায় যেখানে ভারতীয় হাইকমিশনের অফিস রয়েছে, সেখানে কর্মরত ভারতীয় আধিকারিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দিকে বিশেষ নজর দিচ্ছে নয়া দিল্লি। সাম্প্রতিক পরিস্থিতির জেরে একাধিক জায়গায় ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্র ইতিমধ্যেই বন্ধ রাখা হয়েছে। পরিস্থিতি আরও খারাপ হলে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে বলেও ইঙ্গিত মিলেছে।বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনের সামনে কট্টরপন্থীদের বিক্ষোভ চলে। কয়েকটি ক্ষেত্রে সেই বিক্ষোভ আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে বলে অভিযোগ। রাত সাড়ে দশটা নাগাদ চট্টগ্রামে ভারতীয় ডেপুটি হাইকমিশনারের বাসভবন ঘিরে ধরার ডাক দেওয়া হয়েছে বলে খবর আসে। বিভিন্ন দিক থেকে অফিস ঘেরাওয়ের আহ্বান জানানো হয়। এই পরিস্থিতিতে গোটা ঘটনার উপর নজর রাখছে ভারত সরকার। সূত্রের খবর, নিরাপত্তার কারণে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনায় আজও ভিসা কেন্দ্র বন্ধ থাকতে পারে।উল্লেখ্য, এর আগেও বাংলাদেশের এক রাজনৈতিক মিছিলে ভারতের সেভেন সিস্টার্সকে আলাদা করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন এনসিপি নেতা হাসনাত। সেই মন্তব্যের পরই দিল্লি কড়া অবস্থান নেয়। বাংলাদেশের হাইকমিশনার মহম্মদ রিয়াজ হামিদুল্লাহকে তলব করে স্পষ্ট জানানো হয়, এই ধরনের উস্কানিমূলক মন্তব্য ভারত কোনওভাবেই বরদাস্ত করবে না। কিন্তু সাম্প্রতিক ঘটনার পর স্পষ্ট, সেই বার্তা এখনও পুরোপুরি কার্যকর হয়নি বলেই মনে করছে কূটনৈতিক মহল।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫
বিদেশ

কে এই ওসমান হাদি? যাঁর মৃত্যুতে গোটা বাংলাদেশে আগুন জ্বলছে

কয়েক মাস আগেও যাঁকে প্রায় কেউ চিনতেন না, অল্প সময়ের মধ্যেই তিনি ঘরে ঘরে পরিচিত মুখ হয়ে উঠেছিলেন। রাজনীতিতে আচমকা উত্থান, আবার সেই কাহিনি পূর্ণতা পাওয়ার আগেই থেমে গেল। শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুতে অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশ। দেশজুড়ে ছড়িয়েছে উত্তেজনা, বহু জায়গায় আগুন ও বিক্ষোভ। যাঁকে ঘিরে এত আলোচনা, আন্দোলন ও বিতর্ক, সেই ওসমান হাদি আসলে কে ছিলেন?অত্যন্ত সাধারণ পরিবার থেকে উঠে এসেছিলেন ওসমান হাদি। শেখ হাসিনার দল আওয়ামী লিগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে যে আন্দোলন শুরু হয়েছিল, তার অন্যতম মুখ ছিলেন তিনি। সেই আন্দোলনের মাধ্যমেই জাতীয় রাজনীতিতে পরিচিতি পান হাদি। বিতর্কিত গ্রেটার বাংলাদেশ-এর মানচিত্র তৈরির সঙ্গেও তাঁর নাম জড়ায়, যেখানে ভারতের সেভেন সিস্টার্স-সহ একাধিক অঞ্চলকে বাংলাদেশের অংশ হিসেবে দেখানো হয়েছিল।১৯৯৩ সালের ৩০ জুন বরিশালে জন্ম ওসমান হাদির। ছয় ভাইবোনের মধ্যে তিনি ছিলেন সবার ছোট। ঢাকার রামপুরা এলাকায় থাকতেন। পেশায় শিক্ষক ছিলেন হাদি। জুলাই আন্দোলনের সময় তিনি সক্রিয়ভাবে স্থানীয় সাংগঠনিক কাজে যুক্ত হন। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই রামপুরা এলাকার সমন্বয়ক হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পান এবং পরিচিত মুখ হয়ে ওঠেন।শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর আওয়ামী লিগ নিষিদ্ধ করার দাবিতে যারা সরব হন, তাঁদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন হাদি। সেই সময়েই গড়ে ওঠে ইনকিলাব মঞ্চ। এই মঞ্চের লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং ন্যায়বিচারের দাবি। ইনকিলাব মঞ্চের তরফে জুলাই অভ্যুত্থানের স্মৃতি সংরক্ষণ, অভিযুক্তদের বিচার, আহত ও নিহতদের স্বীকৃতি এবং জুলাই চার্টার ঘোষণার দাবি তোলেন হাদি। এর ফলে রাজনৈতিক আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসেন তিনি।ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায়ও হাদির নাম জড়ায়। বিষয়টি নিয়ে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়। ইনকিলাব মঞ্চের ব্যানারে হাদি বারবার আওয়ামী লিগের বিরুদ্ধে দমন-পীড়ন ও হত্যার অভিযোগ তুলে দলটিকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানান। দাবি মানা না হলে সচিবালয় ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারিও দিয়েছিলেন তিনি।সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদি জানিয়েছিলেন, তাঁকে ফোন ও মেসেজ করে খুনের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। তবুও তিনি পিছিয়ে যাননি। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়াইয়ের ঘোষণা দেন। চা-সিঙ্গারা আড্ডার মাধ্যমে প্রচারও শুরু করেছিলেন। ঠিক সেই সময়ই ঘটে যায় মর্মান্তিক ঘটনা।গত ১২ ডিসেম্বর জুম্মার নামাজের পর ঢাকার বিজয়নগরের বক্স কালভার্ট এলাকা দিয়ে ফেরার সময় তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। গুলি মাথা ভেদ করে বেরিয়ে যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে প্রথমে ঢাকার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে একটি বেসরকারি হাসপাতালে এবং সেখান থেকে সিঙ্গাপুরে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সব চেষ্টা ব্যর্থ করে শুক্রবার, ১৮ ডিসেম্বর রাতে সিঙ্গাপুরে মৃত্যু হয় ওসমান হাদির। আজ তাঁর দেহ বাংলাদেশে আনা হবে।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫
রাজ্য

নিষিদ্ধপল্লীতে ভোটার উধাও! খসড়া তালিকায় বাদ ২০ শতাংশ নাম

নিজস্ব সংবাদদাতা: খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ হতেই চমকে দেওয়ার মতো তথ্য সামনে এল আসানসোলে। উদ্বেগ ছড়িয়েছে রাজনৈতিক মহলেও। এসআইআর বা স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশনের প্রাথমিক পর্ব শেষে দেখা যাচ্ছে, কুলটি বিধানসভার নিয়ামতপুর সংলগ্ন নিষিদ্ধপল্লী এলাকার চারটি বুথে মোট ভোটারের প্রায় ২০ শতাংশ নাম তালিকা থেকে বাদ পড়েছে। পাশাপাশি আরও প্রায় ২০ শতাংশ ভোটারের সঙ্গে পুরনো তালিকার কোনও ম্যাপিং করা যায়নি বলে নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর।এসআইআর শুরু হওয়ার সময় এই চারটি বুথে মোট ভোটার ছিলেন ৩ হাজার ৬২৭ জন। খসড়া তালিকা প্রকাশের পর দেখা যাচ্ছে, ৭৪২ জনের নাম বাদ গিয়েছে। বাদ পড়া ভোটারদের মধ্যে ১৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে, ৬৯ জন অন্যত্র চলে গিয়েছেন। সবচেয়ে বেশি সংখ্যক, অর্থাৎ ৫৩৪ জন ভোটারের কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। জানা গিয়েছে, তাঁরা এনুমারেশন ফর্ম তুললেও তা আর জমা দেননি। পাশাপাশি ২০০২ সালের ভোটার তালিকার সঙ্গে মিলিয়ে দেখা সম্ভব হয়নি এমন ভোটারের সংখ্যা ৬৮৪ জন।এই তথ্য সামনে আসতেই বিরোধীরা সরব হয়েছেন। তাঁদের অভিযোগ, বছরের পর বছর এই ভূতুড়ে ভোটারদের ব্যবহার করে এসেছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। নিষিদ্ধপল্লী এলাকায় বাংলাদেশি নাগরিকদের নাম ভোটার তালিকায় ঢোকানো হয়েছিল বলেও অভিযোগ তুলেছে বিরোধীরা।তবে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। দলের দাবি, এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী বুথ লেভেল অফিসার বা বিএলও-রা। তৃণমূলের জেলা সহ-সভাপতি বাচ্চু রায় বলেন, নিষিদ্ধপল্লীর অনেক যৌনকর্মী নিজের পরিচয় ও ঠিকানা গোপন রেখে সেখানে কাজ করতে আসেন। এসআইআর চলাকালীন তাঁরা ভয় পেয়ে এলাকা ছেড়ে চলে গিয়েছেন বা ফর্ম তুললেও জমা দেননি। তাঁর দাবি, এখানে কোনও বাংলাদেশি যোগ নেই।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫
রাজ্য

আপাতত স্বস্তি যোগ্য শিক্ষকদের, চাকরির মেয়াদ বৃদ্ধি সুপ্রিম কোর্টের

অবশেষে কিছুটা স্বস্তির। সৌজন্যে সুপ্রিম কোর্ট। যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকাদের চাকরির মেয়াদ বাড়ানোর নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। আগামী ৩১ ডিসেম্বর নয়, ২০২৬ সালের ৩১ অগস্ট পর্যন্ত চাকরিতে বহাল থাকবেন যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকারা। এই সময়সীমার মধ্যেই নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে রাজ্য সরকারকে। এমনই স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত।নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য অতিরিক্ত সময় চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল স্কুল সার্ভিস কমিশন (SSC)। রাজ্যের তরফে ২০২৬ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় বাড়ানোর আবেদন জানানো হলেও আদালত সেই আবেদন আংশিক মঞ্জুর করে প্রায় আট মাসের অতিরিক্ত সময় দেয়। আদালত জানিয়ে দেয়, আগামী ৩১ অগস্টের মধ্যেই নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে।শীর্ষ আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, এই সময়কালে যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকারা নিয়মিত বেতন পাবেন এবং পড়ানোর কাজও চালিয়ে যেতে পারবেন। তবে আদালত স্পষ্ট করেছে, এই সুবিধা শুধুমাত্র শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি কর্মীদের ক্ষেত্রে এই নির্দেশ কার্যকর হবে না।আজকের এই রায়ে বড় স্বস্তি পেল রাজ্য সরকারও। কারণ ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে শিক্ষা ব্যবস্থা সচল রাখা এবং বিদ্যালয়গুলিতে শিক্ষক সংকট এড়ানো রাজ্যের পক্ষে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত আগের যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকাদের পরিষেবা ও বেতন বহাল থাকবে।উল্লেখ্য, চলতি বছরের ৩ এপ্রিল ২৬ হাজার চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেওয়ার সময় সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে নতুন করে পরীক্ষা নিয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে রাজ্যের শিক্ষা দপ্তরকে। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এই জটিল প্রক্রিয়া শেষ করা কার্যত অসম্ভব হয়ে পড়ায় রাজ্য সরকার সময় বাড়ানোর আবেদন জানায়।আদালতে রাজ্যের তরফে জানানো হয়, নবম-দশম এবং একাদশ-দ্বাদশ স্তরের শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী নিয়োগের সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া শেষ করতে আরও কয়েক মাস সময় প্রয়োজন। পাশাপাশি যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকাদের চাকরির মেয়াদ বাড়ানোর আর্জিও জানানো হয়। সেই আবেদনের ভিত্তিতেই এই গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫
রাজ্য

চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগে দেওচা–পাঁচামিতে পাথর উত্তোলনের বরাত বাতিল, নতুন দরপত্রে বিতর্ক

চুক্তির শর্ত লঙ্ঘনের অভিযোগে দেওচাপাঁচামি কয়লাখনি প্রকল্প এলাকায় পাথর উত্তোলনের কাজের বরাত বাতিল করল রাজ্য সরকার। প্রাথমিক পর্যায়ে ১২ একর জমিতে পাথর উত্তোলনের দায়িত্বে থাকা মেসার্স পাচামি ব্যাসল্ট মাইনিং প্রাইভেট লিমিটেডের সঙ্গে চুক্তি বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রাজ্যের দাবি, সংস্থাটি চুক্তির একাধিক গুরুত্বপূর্ণ শর্ত মানেনি বলেই এই পদক্ষেপ।রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, প্রকল্পের দ্বিতীয় ধাপে ৩১৪ একর জমিতে পাথর উত্তোলনের জন্য নতুন করে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। তবে এই সিদ্ধান্ত ঘিরে শুরু হয়েছে তীব্র রাজনৈতিক বিতর্ক। বিরোধী দল বিজেপির অভিযোগ, দেওচাপাঁচামি কয়লাখনি প্রকল্প নিয়ে রাজ্য সরকার আসলে ধোঁয়াশা তৈরি করছে। বৃহস্পতিবার সিউড়িতে বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, গত ১৫ বছরে রাজ্য সরকার একটি বড় শিল্প প্রকল্পও বাস্তবে রূপ দিতে পারেনি। অথচ দেওচাপাঁচামিকে দেশের বৃহত্তম কয়লাখনি বলে প্রচার করা হচ্ছে। তাঁর দাবি, আসন্ন শিল্প সম্মেলনের আগে বরাত বাতিল ও নতুন দরপত্র ডেকে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে।বিজেপি নেতার আরও অভিযোগ, নতুন দরপত্রে কোথাও কয়লাখনি স্থাপনের উল্লেখ নেই। বরং আগামী ১৫ বছরের জন্য শুধুমাত্র পাথর উত্তোলনের কথাই বলা হয়েছে। তাঁর বক্তব্য, এর থেকেই স্পষ্ট যে আপাতত কয়লা উত্তোলনের কোনও পরিকল্পনাই রাজ্যের নেই। যদিও গত অক্টোবর মাসে আন্তর্জাতিক স্তরে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছিল, এখনও পর্যন্ত কোনও সংস্থা আগ্রহ দেখায়নি বলেও দাবি করেন তিনি।জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়ের বক্তব্য, কেন্দ্রের অনুমোদন ছাড়া এই প্রকল্প বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। অথচ এখনও পর্যন্ত কোনও পূর্ণাঙ্গ নকশা বা প্রস্তাব কেন্দ্রের কাছে জমা পড়েনি। পাশাপাশি আদিবাসীদের জমি নেওয়া হলেও উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ বা স্থায়ী কর্মসংস্থানের প্রতিশ্রুতি পূরণ হয়নি বলেও অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। এই পরিস্থিতিকে রাজ্য সরকারের শিল্পনীতির ব্যর্থতার প্রতিফলন বলে দাবি করছে বিরোধীরা।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫
কলকাতা

মেসি-কাণ্ডে মানহানির অভিযোগ, লালবাজারে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের এফআইআর

লিওনেল মেসিকে ঘিরে কলকাতার সাম্প্রতিক বিতর্কে এবার আইনি মোড়। প্রকাশ্যে মানহানিকর মন্তব্যের অভিযোগ তুলে কলকাতা পুলিশের সদর দফতর লালবাজারে এফআইআর দায়ের করলেন প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। অভিযোগের আঙুল উঠেছে কলকাতার আর্জেন্টিনা ফ্যান ক্লাবের প্রধান তথা মেসি-ভক্ত উত্তম সাহার দিকে।সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের আইনজীবীর তরফে জানানো হয়েছে, যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে মেসিকে ঘিরে যে বিতর্কিত ঘটনার সূত্রপাত, তা নিয়ে সংবাদমাধ্যমে সৌরভের ভূমিকা সম্পর্কে একাধিক ভুল ও বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো হয়েছে। এই মন্তব্যগুলিকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও মানহানিকর বলেই দাবি করা হয়েছে অভিযোগে।সৌরভের পক্ষ থেকে স্পষ্ট করে জানানো হয়েছে, সংশ্লিষ্ট অনুষ্ঠানে তিনি শুধুমাত্র একজন আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবেই উপস্থিত ছিলেন। ইভেন্টের আয়োজন বা পরিচালনার সঙ্গে তাঁর কোনও রকম সাংগঠনিক যোগ ছিল না। অনুষ্ঠানের মূল আয়োজক ছিলেন শতদ্রু দত্ত। একই অনুষ্ঠানে অভিনেতা শাহরুখ খান-সহ অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিরাও উপস্থিত ছিলেন বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, উত্তম সাহা প্রকাশ্যে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে চিটিংবাজ বলে কটাক্ষ করেন, যা প্রাক্তন অধিনায়কের সামাজিক সম্মান ও দীর্ঘদিনের ভাবমূর্তিকে গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। এই কারণেই মানহানির নোটিস পাঠানোর পাশাপাশি লালবাজারে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।উল্লেখ্য, মেসিকে দেখার আশায় যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে হাজার হাজার দর্শক মোটা অঙ্কের টিকিট কেটেও শেষ পর্যন্ত হতাশ হন। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজ্য রাজনীতিতেও তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় এবং তদন্ত কমিটি গঠিত হয়। ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস পদত্যাগ করেন। পুলিশ কর্তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে। একজন ডিসিপি সাসপেন্ড হয়েছে। এই আবহেই দেওয়া উত্তম সাহার মন্তব্যকে ঘিরে এবার আইনি পথে হাঁটলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫
রাজনীতি

একেই হুমায়ুন কবীরে অস্থির! এবার দুর্নীতির অভিযোগ জেলা পরিষদের সদস্যপদে ইস্তফা দাপুটে তৃণমূলনেত্রীর

২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে মুর্শিদাবাদে তৃণমূল কংগ্রেসের অন্দরে বড়সড় রাজনৈতিক বিস্ফোরণ। দলের হেভিওয়েট নেত্রী ও জেলা পরিষদের প্রাক্তন সহকারী সভাধিপতি শাহনাজ বেগম জেলা পরিষদের সদস্য পদ থেকে ইস্তফা দিলেন। শুধু পদত্যাগই নয়, দুর্নীতির অভিযোগ তুলে প্রকাশ্যে নিজের দলের পরিচালিত জেলা পরিষদ বোর্ডকে কাঠগড়ায় তুলেছেন তিনি।১৭ ডিসেম্বর বিভাগীয় কমিশনারের কাছে ইস্তফাপত্র পাঠান শাহনাজ বেগম। তার প্রতিলিপি জমা পড়েছে জেলা শাসকের কাছেও। তবে প্রশাসনিক চিঠির থেকেও বেশি আলোড়ন তৈরি করেছে তাঁর ফেসবুক পোস্ট। সেখানে তিনি স্পষ্ট ভাষায় লেখেন, চোর জেলা পরিষদের একজন অংশীদার হয়ে থাকা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। এই এক লাইনের মন্তব্যেই জেলা তৃণমূল রাজনীতিতে তীব্র অস্বস্তি ছড়িয়েছে।শাহনাজ বেগম দাবি করেছেন, তিনি কখনও অন্যায়ের সঙ্গে আপস করেননি এবং ভবিষ্যতেও করবেন না। দীর্ঘদিন ধরে জমে থাকা ক্ষোভই যে এবার প্রকাশ্যে এসেছে, তা তাঁর বক্তব্যেই স্পষ্ট। রাজনৈতিক মহলের মতে, নির্বাচনের মুখে দাঁড়িয়ে দলের অন্দরে এমন প্রকাশ্য বিদ্রোহ তৃণমূলের জন্য বড় ধাক্কা।মুর্শিদাবাদ জেলা রাজনীতিতে শাহনাজ বেগম অত্যন্ত প্রভাবশালী নাম। একসময় কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটি ভেঙে জেলা পরিষদে তৃণমূলের ক্ষমতা প্রতিষ্ঠার নেপথ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল তাঁর। ২০১৩ সাল থেকে সোমপাড়া, রামপাড়া ও রামনগর বাছড়া এলাকা থেকে টানা তিনবার নির্বাচিত হন তিনি। কর্মাধ্যক্ষ থেকে সহকারী সভাধিপতি, একাধিক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সামলেছেন শাহনাজ।যদিও আপাতত অন্য কোনও দলে যোগ দেওয়ার ইঙ্গিত দেননি তিনি। তবে পদ ছাড়লেও এলাকার মানুষের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন। এই বিস্ফোরক ইস্তফা মুর্শিদাবাদের রাজনীতিতে কী প্রভাব ফেলে, এখন সেটাই দেখার।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal