• ২৫ আশ্বিন ১৪৩২, মঙ্গলবার ১৪ অক্টোবর ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Corona

দেশ

এবার ৪৫ বছরের ঊর্ধ্বে সবাই পাবে করোনার টিকা

গত বছরের এই সময় দেশজুড়ে করোনার সংক্রমণ রুখতে জারি হয়েছিল লকডাউন। তা সত্ত্বেও মারণ এই ভাইরাসে প্রাণ হারান প্রচুর মানুষ। তবে চলতি বছরের শুরুতেই দেশে ব্যবহারের জন্য ছাড়পত্র পেয়েছে করোনার দুটি প্রতিষেধক কোভিশিল্ড এবং কোভ্যাক্সিন। ইতিমধ্যে প্রথম সারির করোনাযোদ্ধাদের টিকা দেওয়া হয়েছে। টিকা নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি-সহ আরও অনেকে। এরপর ঘোষণা করা হয়, ৪৫ বছরের ঊর্ধ্বে যাঁদের কো-মর্বিডিটি রয়েছে তাঁদের করোনার টিকা দেওয়া হবে। কিন্তু এবার এই বয়সের ঊর্ধ্বে দেশের সমস্ত মানুষকেই ভ্যাকসিন দেওয়ার কথা ঘোষণা করল কেন্দ্র।একটি সাংবাদিক সম্মেলনে এই ঘোষণার পাশাপাশি, সবাইকে ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য নাম নথিভুক্ত করার কথাও বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জাভরেকর। তাঁর কথায়, আমাদের কাছে পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন রয়েছে। যাঁরা উপযুক্ত তাঁদের প্রত্যেকের উচিত টিকাকরণের জন্য নিজেদের নাম নথিভুক্ত করা। কারণ ভ্যাকসিনই করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করবে। তাই ৪৫ বছরের ঊর্ধ্বে প্রত্যেককে আমি ভ্যাকসিন নেওয়ার অনুরোধ জানাব। এদিকে, সম্প্রতি পঞ্জাবে পাওয়া গিয়েছে করোনার নয়া স্ট্রেনের হদিশ। যা কিনা ব্রিটেনে দেখা দিয়েছিল। সাংবাদিক সম্মেলনে এই প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে জাভরেকর বলেন, ভাইরাসের একাধিক স্ট্রেন সামনে এসেছে। আরও কেস সামনে আসবে। বিভিন্ন রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যাও বাড়ছে। তবে কেন্দ্র প্রত্যেক রাজ্যের সঙ্গেই এই বিষয়ে আলোচনা করেছে। তাই এ ব্যাপারে তিনি দেশবাসীকে আশ্বস্ত করেছেন।

মার্চ ২৩, ২০২১
দেশ

দেশে একদিনে করোনার কবলে প্রায় ৪১ হাজার

করোনার দ্বিতীয় ঢেউ গোটা দেশকে জেরবার করে দিচ্ছে। গত কয়েকদিন ধরেই দেশে দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যাটা ৪০ হাজারের উপরে ঘোরাফেরা করছে। ব্যতিক্রম হল না মঙ্গলবারও। এদিন আরও একবার একদিনে আক্রান্ত হলেন প্রায় ৪১ হাজারের কাছাকাছি। মহারাষ্ট্রের পাশাপাশি উদ্বেগ বাড়াচ্ছে ভোটমুখী রাজ্য কেরল, তামিলনাড়ু এবং পুদুচেরি। এরাজ্যেও বাড়ছে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা। তবে হঠাত করোনার এই বাড়বাড়ন্তের নেপথ্যে সবচেয়ে বড় কারণ মহারাষ্ট্রের মহামারি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতা। উদ্ধব ঠাকরের রাজ্য শুরু থেকেই করোনার হটস্পট ছিল। দেশের অধিকাংশ রাজ্যে কোভিড নিয়ন্ত্রণে ছিল, তখনও মারণ ভাইরাসকে বাগে আনতে পারেনি মহারাষ্ট্র। এখন আবার নতুন করে এই মহারাষ্ট্রই উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। স্রেফ গত ২৪ ঘণ্টায় মুম্বইয়ে আক্রান্তের সংখ্যা ২৪ হাজারের বেশি।বৃহস্পতিবার সকালে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া পরিসংখ্যান বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৪০ হাজার ৭১৫ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। যা আগের দিনের থেকে কয়েক হাজার কম হলেও সার্বিকভাবে উদ্বেগজনক। ফলে দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ১৬ লক্ষ ৮৬ হাজার ৭৯৬ জন। স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, আপাতত মোট মৃতের সংখ্যা ১ লক্ষ ৬০ হাজার ১৬৬ জন। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ১৯৯ জনের। এই সংখ্যাটা আগের দিনের থেকে সামান্য কম।গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনামুক্ত হয়েছেন মাত্র ২৯ হাজার ৭৮৫ জন। যা দৈনিক আক্রান্তের থেকে অনেকটা কম। ফলে দেশের মোট অ্যাকটিভ কেস একধাক্কায় বেড়ে দাঁড়াল ৩ লক্ষ ৪৫ হাজার ৩৭৭ জন। গত বেশ কয়েকদিন সংখ্যাটা নিয়মিত হারে বাড়ছে। দেশে এখনও পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন, ১ কোটি ১১ লক্ষ ৮১ হাজার ২৫৩ জন। এখনও পর্যন্ত মোট টিকা পেয়েছেন ৪ কোটি ৮৪ লক্ষ ৯৪ হাজার ৫৯৪ জন।

মার্চ ২৩, ২০২১
দেশ

চিন্তা বাড়াচ্ছে করোনা, ২৪ ঘণ্টায় দেশে আক্রান্ত ৪৩ হাজার

ঠিক এক বছর আগে করোনা কাঁটায় ত্রস্ত হয়ে পড়েছিল গোটা দেশ। আর দেশজুড়ে কোভিড টিকাকরণ শুরু হওয়ার পরও যে হঠাৎ করে এভাবে সংক্রমণ ছড়াবে, তা হয়তো অনেকেই ভাবতে পারেননি। দেশজুড়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। ঊর্ধ্বমুখী অ্যাকটিভ কেসে উদ্বগ্নি বিশেষজ্ঞরাও। ইতিমধ্যেই নতুন করে লকডাউনের পথে হেঁটেছে বিভিন্ন শহর। সংক্রমণ ঠেকাতে ফের লকডাউনের পথে হাঁটতে হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন কলকাতার স্বাস্থ্যবিদরাও।রবিবার সকালে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৪৩ হাজার ৮৪৬ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। যা গত চার মাসে সর্বোচ্চ দৈনিক সংক্রমণ। ফলে দেশে মোট করোনা সংক্রমিতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ১৫ লক্ষ ৯৯ হাজার ১৩০। একদিনে মারণ ভাইরাস প্রাণ কেড়েছে ১৯৭ জনের। দেশে করোনায় মৃত্যু হয়েছে মোট ১ লক্ষ ৫৯ হাজার ৭৫৫ জনের। এই সংখ্যাটাও আগের দিনের তুলনায় অনেকটাই বেশি। যা রীতিমতো চিন্তার। একইসঙ্গে দুশ্চিন্তা বাড়াচ্ছে দেশের বাড়তে থাকা অ্যাকটিভ কেস। বর্তমানে ৩ লক্ষ ৯ হাজার ৮৭ জন করোনা রোগের চিকিৎসাধীন।

মার্চ ২১, ২০২১
দেশ

ভারতে একদিনে নতুন করে করোনা আক্রান্ত প্রায় ৪০ হাজার

ঋতু বদলের সময়ে দেশে ফের মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে করোনা সংক্রমণ। নতুন করে চিন্তা বাড়াচ্ছে দৈনিক পরিসংখ্যান। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সাম্প্রতিকতম পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে করোনা ভাইরাসে নতুন করে সংক্রমিত ৩৯ হাজার ৭২৬ জন। মৃত্যু হয়েছে ১৫৪ জনের। বৃহস্পতিবার এই সংখ্যাটা ছিল ৩৫ হাজার ৮৭১। তুলনায় অনেক কম সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা। পরিসংখ্যান বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাকে হারিয়ে সুস্থ হয়ে ফিরেছেন ২০ হাজার ৬৫৪ জন। বাড়ছে অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যাও। এই মুহূর্তে দেশে অ্যাকটিভ কোভিড রোগী ২ লক্ষ ৭১ হাজার ২৮২ জন।মহারাষ্ট্র-সহ একাধিক রাজ্যে হু হু করে বেড়ে চলা কোভিড সংক্রমণেই নয়া বিপদ সংকেত। দেশে সপ্তাহখানেকের কোভিড গ্রাফ দেখে চিন্তিত খোদ কেন্দ্রও। প্রধানমন্ত্রী মোদি নিজে এ নিয়ে বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করে সতর্কবার্তা দিয়েছেন। তাঁর মতে, এখনও যথেষ্ট সাবধানতা অবলম্বন প্রয়োজন। নইলে করোনার দ্বিতীয় ধাক্কা ফের পরিস্থিতি বিপজ্জনক করে তুলতে পারে। সংক্রমিত এলাকাগুলোকে চিহ্নিত করে সেখানে নাইট কার্ফু, লকডাউন জারি করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চলছে। অন্যদিকে, জোড়া ভ্যাকসিন দিয়ে গণটিকাকরণের মাধ্যমে করোনা যুদ্ধে দেশ আরও এগিয়ে চলেছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ইতিমধ্যে ৩ কোটি ৯৩ লক্ষ ৩৯ হাজার ৮১৭ জনের টিকাকরণ সম্পূর্ণ। করোনা ভাইরাস থাবা বসিয়েছিল দেশের ১ কোট ১৫ লক্ষ ১৪ হাজার ৩১১ জনের শরীরে। তাকে কাবু করে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১ কোটি ১০ লক্ষ ৮৩ হাজার ৬৭৯ জন। সবমিলিয়ে এই মুহূর্তে ভারতের করোনা পরিস্থিতি যেমন, তাতে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা অবলম্বনে সামান্য ঢিলেমিও ভয়াবহ হতে পারে। এমনই আশঙ্কা স্বাস্থ্যমহলের।

মার্চ ১৯, ২০২১
রাজ্য

একদিনে রাজ্যে করোনা আক্রান্ত তিনশোরও বেশি

নির্বাচনী আবহে প্রতিদিনই মিটিং-মিছিল জনসভায় ভিড় জমাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। আর তার মধ্যেই উদ্বেগ বাড়িয়ে রোজ বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। বেশ কয়েক সপ্তাহ পর বুধবার নতুন করে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়াল ৩০০-র গণ্ডি। কমল সুস্থতার হারও।এদিন স্বাস্থ্যদপ্তরের দেওয়া বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার কবলে পড়েছেন ৩০৩ জন। যা গতকালের তুলনায় অনেকটাই বেশি। যার মধ্যে শহর কলকাতায় একদিকে আক্রান্ত ৯৬ জন। প্রত্যাশিতভাবেই দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা। একদিনে সেখানে ৭৪ জনের শরীরে মারণ ভাইরাসের হদিশ মিলেছে। ফলে রাজ্যে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা হল ৫ লক্ষ ৭৯ হাজার ১৫৬ জন। চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে ঊর্ধ্বমুখী অ্যাকটিভ কেসও। বর্তমানে করোনায় চিকিৎসাধীন ৩ হাজার ১৮৮। মারণ ভাইরাস এখনও কেড়ে চলেছে মানুষের প্রাণ। গত ২৪ ঘণ্টায় বাংলায় করোনার বলি ১। মৃত উত্তর ২৪ পরগনার। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে কোভিড-১৯-এ প্রাণ হারিয়েছেন ১০ হাজার ২৯৮ জন। একদিনে কলকাতায় কোভিডে কারও প্রাণ না গেলেও চলতি মাসে বাড়তে থাকা সংক্রমণ সত্যিই নতুন করে দুশ্চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়াচ্ছে।তবে করোনা ভাইরাসের সঙ্গে লড়াইয়ে ভরসা জোগাচ্ছেন কোভিডজয়ীরাই। গত ২৪ ঘণ্টাতেই যেমন সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২৭২ জন। এ নিয়ে বাংলায় মোট ৫ লক্ষ ৬৫ হাজার ৬৭০ জন করোনাজয়ী। তবে সুস্থতার হার সামান্য কমেছে। বর্তমানে ৯৭.৬৭ শতাংশ মানুষ সুস্থ।দেশজুড়ে বাড়তে থাকা করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে বুধবারই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দেশে দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার আগেই সতর্ক হওয়ার বার্তা দেন তিনি। প্রশ্ন তোলেন টেস্টিং কমে যাওয়ার হার নিয়েও। গোটা দেশে টিকাকরণ শুরু হওয়ার পর থেকে তুলনামূলকভাবে এ রাজ্যেও কমেছে টেস্টিংও। স্বাস্থ্য দপ্তরের পরিসংখ্যান বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা টেস্ট হয়েছে ১৭ হাজার ৮৯১ জনের। এখনও পর্যন্ত মোট ৮৮ লক্ষ ৭৫ হাজার ২৭৭টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে রাজ্যে। সংক্রমণ ঠেকাতে এখনও মাস্ক পরা কিংবা স্যানিটাইজার ব্যবহারের মতো অভ্যাসগুলো চালু রাখারই পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

মার্চ ১৭, ২০২১
বিদেশ

সিরাম ইনস্টিটিউট ব্রিটিশ সরকার থেকে ১০ কোটি ভ্যাকসিন এর বরাত পেল

ব্রিটিশ সরকার সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ার (এসআইআই) নির্মিত ১ কোটি অ্যাস্ট্রাজেনেকা কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন ডোজ গ্রহণ করবে। ব্রিটিশ সরকারের এক মুখপাত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে, ব্রিটিশ সরকার অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিড-১৯ মোট ভ্যাকসিনের ১০ কোটি ডোজ অর্ডার করেছে, যার মধ্যে ১ কোটি ডোজ ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট থেকে আসবে।বিশ্বের সর্ববৃহৎ ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক সংস্থা সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া, অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির আবিষ্কৃত করোনা-১৯ অতিমারির প্রতিষেধক কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন স্বল্প ও মধ্য আয়ের দেশগুলির জন্য অ্যাস্ট্রাজেনেকার সাথে যৌথ ভাবে উৎপাদন করছে।সমগ্র পৃথিবীর স্বল্প-মধ্যম আয়ের বহু দেশ বাংলাদেশ থেকে শুরু করে ব্রাজিল সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ার (এসআইআই)-এর কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন কোভিশিল্ডের উপর নির্ভরশীল। এছাড়াও সিরাম ইনস্টিটিউট বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সহায়তায় COVAX প্রোগ্রামের জন্যও ভ্যাকসিন সরবরাহ করবে।ব্রিটেনই প্রথম দেশ যেখানে ২০১৯ ডিসেম্বরে কোভিড-১৯ টিকা দেওয়ার অভিযান শুরু হয়েছিল, ব্রিটেনে ফাইজার(Pfizer) এবং বায়োএনটেক(BioNTech) তৈরি কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হয়। সরকারী তথ্য অনুসারে, প্রায় ২০.৫ কোটি জনসাধারন ইতিমধ্যেই কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ পেয়ে গেছেন। সেখানকার জনসাধরনের আস্থা অর্জন করতে ব্রিটিশ সরকার সক্ষম।জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়

মার্চ ০৪, ২০২১
রাজ্য

করোনার টিকাকরণ হলেই লাগু হবে সিএএ : অমিত শাহ

রাজ্যের মতুয়া সম্প্রদায়ের বহু মানুষ বহুদিন একটি প্রশ্নের উত্তরের অপেক্ষায় ছিলেন। অবশেষে বৃহস্পতিবার ঠাকুরনগরের জনসভা থেকে সেই প্রশ্নের উত্তর দিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। শুধু জবাব দিলেন না, একেবারে সদর্পে ঘোষণা করে দিলেন, দেশজুড়ে টিকাকরণ প্রক্রিয়া মিটলে এবং করোনা থেকে মুক্তি পেলেই দেশজুড়ে বিতর্কিত ওই আইনটি কার্যকর করবে কেন্দ্র।বাংলার নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু সিএএ। বাংলার প্রায় ৩০ টি আসনে গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর মতুয়া ভোট। ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাশ করানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েই মতুয়াদের সমর্থন পেয়েছিল গেরুয়া শিবির। কিন্তু গত ১৩ মাসে এই আইন কার্যকর না হওয়ায় মতুয়াদের মধ্যেও চাপা অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছিল। যা আঁচ করতে পেরেই বৃহস্পতিবার ঠাকুরনগর থেকে এই আইন কার্যকর করার সম্ভাব্য দিনক্ষণ ঘোষণা করে দিলেন শাহ। সেই সঙ্গে, আইন কার্যকরে এত দেরি হওয়ার কারণও ব্যাখ্যা করলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।ঠাকুরনগরের সভায় অমিত শাহ বলেন, বিভাজনের সময় কংগ্রেস নেতারা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, যে সব হিন্দু শরণার্থী আসবেন, তাঁদের আমরা ভারতের নাগরিকত্ব দেব, সম্মান দেব। কিন্তু ৭০ বছরে সেই প্রতিশ্রুতি পুরণ করেনি। ২০১৮ সালে আমরা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম, মোদি সরকার ক্ষমতায় এলেই সিএএ চালু করব। ২০২০ সালেই আমরা সেই প্রতিশ্রুতি পালন করেছি। নাগরিকত্ব আইন সংশোধন করেছি। কিন্তু এরপর করোনা এসে গেল। আইন চালু করতে দেরি হয়ে গেল। মমতা দিদি প্রচার করা শুরু করলেন, এঁরা নাগরিকত্ব দেবে না। এমনিই প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। আর করতে চাইলেও আমি করতে দেব না। কিন্তু মমতা দিদি এটা বিজেপির সরকার। যা বলে সেটা করে দেখায়। আমি আজ এই সভা থেকে ঘোষণা করে দিচ্ছি, যখনই করোনার টিকাকরণ শেষ হবে। যখনই আমরা করোনা থেকে মুক্তি পাব, তখনই আপনাদের নাগরিকত্ব দেওয়া শুরু হবে। শাহ অভিযোগ করেন, রাজ্যের সংখ্যালঘুদের সিএএ নিয়ে বিভ্রান্ত করছে বিরোধীরা। আরও পড়ুন: রাসমেলা ময়দান থেকে মমতাকে খোঁচা অমিত শাহর

ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২১
স্বাস্থ্য

ফেব্রুয়ারির শুরুতে এক ধাক্কায় অনেকটাই কমেছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা

ফেব্রুয়ারি মাসের শুরু থেকেই রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা হুহু করে কমছে। রাজ্যে গত পাঁচ দিনে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৯৮৩। রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য দপ্তরের বুলেটিন অনুযায়ী এখনও পর্যন্ত করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৮১,০৪,৩৩৯ জনের। রাজ্যে মোট করোনা পরীক্ষা কেন্দ্রের সংখ্যা ১০৩। এবছর জানুয়ারির প্রথম দিকে রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল গড়ে এক হাজারের উপরে। ফেব্রুয়ারি মাসে প্রথম দিন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১৭৯। গত ২৪ ঘন্টায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৯৪। অর্থাৎ সরকারি বুলেটিন অনুযায়ী ক্রমশ কমছে করোনা সংক্রমণ।গত ২৪ ঘণ্টায় কলকাতায় করোনা আক্রান্ত হয়েছে ৪৯ জন। উত্তর ২৪ পরগনায় ৪৮। হুগলিতে ১২, নদিয়াতে ১৬, পশ্চিম বর্ধমান ও দার্জিলিংয়ে ১১ জন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। অন্যান্য জেলায় কম-বেশি করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। ২৪ ঘণ্টায় ঝাড়গ্রাম জেলায় কেউ করোনা আক্রান্ত হয়নি। ঝাড়গ্রামে মোট করোনা আক্রান্ত ৩০৪১ জন। সব জেলার থেকে কম। আজ ওই জেলায় কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা শূন্য। অন্যদিকে রাজ্যে মোট করোনা আক্রান্ত হয়েছে ৫,৭১,২৮৫ জন। সর্বোচ্চ আক্রান্ত হয়েছে কলকাতায়। আক্রান্তের সংখ্যা ১,২৮,১৩৮। উত্তর ২৪ পরগনায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১,২২,০৭৮। হাওড়ায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩৫,৫৬৮। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ১০,২০৩ জনের।

ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০২১
রাজ্য

ফেব্রুয়ারিতে সাধারণের জন্য খুলছে বেলুড়মঠ

আগামী ১০ই ফেব্রুয়ারী থেকে ফের সাধারণের জন্য বেলুড়মঠের দ্বার খোলা হচ্ছে। গতবছর মঠ খুলে আবার বন্ধ করে দিতে হয়েছিল। সোমবার বেলুড়মঠের তরফে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে মঠ খোলার কথা জানানো হয়। সোমবার সাংবাদিকদের এই কথা জানান বেলুড়মঠের সাধারণ সম্পাদক স্বামী সুবিরানন্দ মহারাজ।উল্লেখ্য, করোনা আবহে লকডাউনের জেরে ২৫ মার্চ থেকে বন্ধ ছিল বেলুড়মঠ। টানা ৮২ দিন মঠ বন্ধ থাকার পর ১৫ জুন আবার জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছিল। ওই সময় একাধিক করোনা বিধি মেনে গেটে প্রবেশ করানোর ব্যবস্থা করা হয়েছিল। মঠে ঢোকার সময় সামাজিক দুরত্ব মানা, হাত স্যানেটাইজ করে মঠে ঢোকা, সব করোনাবিধিই মানতে হত ভক্ত থেকে দর্শনার্থী সকলকেই। এর প্রায় দেড় মাস পর ২ আগস্ট থেকে ফের বন্ধ করে দেওয়া হয় বেলুড় মঠ। দুর্গাপূজা, স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিন পালনসহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিশেষ অনুষ্ঠান সামাজিক মাধ্যমে সরাসরি দেখেছে আপামর ভক্ত ও দর্শনার্থীরা।দীর্ঘ দিন বন্ধ থাকার পর আগামী ১০ই ফেব্রুয়ারী থেকে আবার বেলুড়মঠের দরজা ভক্ত ও দর্শনার্থীদের জন্যে খুলতে চলেছে। সকালে সাড়ে ৮টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত ও বিকেলে সাড়ে ৩টে থেকে বিকেল সোয়া ৫টা পর্যন্ত ভক্ত ও দর্শনার্থীদের জন্যে খোলা থাকবে বেলুড়মঠ। মঠের মন্দিরে প্রবেশ করলেও কোনও মন্দিরেই বসতে পারবেন না ভক্তরা। তবে মিউজিয়াম ও নরনারায়ণ সেবা এখনই চালু করা হচ্ছে না। সন্ধ্যা আরতিও এখন দেখতে পারবেন না ভক্ত ও দর্শনার্থীরা।

জানুয়ারি ২৫, ২০২১
স্বাস্থ্য

বর্ধমানে দুই তৃণমূল বিধায়কের করোনা টীকাকরণ নিয়ে রাজ্যজুড়ে বিতর্ক

করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে বিতর্কে পূর্ব বর্ধমান জেলার দুজন তৃণমূল বিধায়ক ও একজন প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক। শনিবার সারা দেশের সঙ্গে রাজ্যে প্রথম সারির করোনা যোদ্ধাদের ভ্যাকসিন বা টিকাকরণ প্রক্রিয়ার কাজ শুরু হয়। এদিন ভাতার স্টেট জেনারেল হাসপাতালে করোনা ভ্যাকসিন নেন স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক সুভাষ মন্ডল ও প্রাক্তন বিধায়ক বনমালী হাজরা। এছাড়াও কাটোয়াতে করোনার টিকা নিয়েছেন তৃণমূল বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়। তৃণমূল জনপ্রতিনিধিদের করোনা ভ্যাকসিন নেওয়াকে কেন্দ্র করে বিতর্ক তুঙ্গে উঠেছে। বিজেপি অভিযোগ করেছে রোগী কল্যান সমিতির নাম করে এভাবে টীকা নেওয়া ঠিক হয়নি। প্রথম সারির যোদ্ধাদের আগে টিকাকরণ করার কথা। অন্যদিকে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরাও জনপ্রতিনিধিদের টিকাকরণ নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ প্রকাশ করেছেন।তৃণমূল জনপ্রতিনিধিদের করোনা ভ্যাকসিন নেওয়া প্রসঙ্গে বঙ্গ বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, এখনই যাঁদের করোনা ভ্যাকসিন নেওয়া উচিত হয়নি তাঁরা ভ্যাকসিন নিচ্ছেন। আম্ফান এর মতোন এক্ষেত্রেও তালিকায় গন্ডগোল রয়েছে। এদিকে পূর্ব বর্ধমানের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রনব রায় জানিয়েছেন, এই বিধায়করা রোগী কল্যাণ সমিতির সদস্য। তাঁরা সরাসরি স্বাস্থ্য ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত। তাই তাঁদের টিকাকরণ করা হয়েছে। বর্ধমান জেলা তৃণমূল এর মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাসের বক্তব্য, টীকা নিয়ে কোন স্বজনপোষণ করা হয়নি। বিজেপি সব ক্ষেত্রেই অভিযোগ করে। এই বিধায়করা করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন। এঁরা রোগী কল্যাণ সমিতির সঙ্গে যুক্ত।রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের কর্তাদের একাংশ জনপ্রতিনিধিদের টীকাকরণ নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছেন। তাঁদের বক্তব্য, সর্বপ্রথমে প্রথম সারির করোনা যোদ্ধাদের টীকাকরণ করতে হবে। এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল রাজ্যজুড়ে। টিকাকরণের সফটওয়্যারে একটা সমস্যা হয়েছে। তাই নির্দেশ ছিল জরুরি ভিত্তিতে তালিকা অনুযায়ী টীকা দিতে হবে। এটা ঠিক কাজ হয়নি বলেই তাঁরা মনে করেন।

জানুয়ারি ১৬, ২০২১
রাজ্য

আজই রাজ্যে আসছে কোভিড ভ্যাকসিন

অবশেষে রাজ্যে আসছে করোনা ভ্যাকসিন। মঙ্গলবার পুনের সিরাম ইন্সটিটিউট থেকে এই ভ্যাকসিন পৌঁছে গেছে সেখানকার বিমানবন্দরে। সেখান থেকে বিশেষ বিমানে কোভিশিল্ড চলে আসবে দমদম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। তারপর সেই ভ্যাকসিন পৌঁছে যাবে বাগবাজারের স্বাস্থ্য দপ্তরের স্টোর-এ। ভ্যাকসিনগুলো পর্যায়ক্রমে জেলাতে পৌঁছে দেওয়া হবে।সোমবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। ভ্যাকসিন সংক্রান্ত সেই বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন প্রথম পর্যায়ের ভ্যাকসিনের কোন খরচ রাজ্যগুলিতে দিতে হবে না। সেই খরচ বহন করবে কেন্দ্রীয় সরকার। জানা গেছে, পুনের সিরাম ইনস্টিটিউট থেকে ১১ লক্ষ ডোজ ভ্যাকসিন আসছে রাজ্যে। প্রথম পর্যায়ে সামনের সারিতে লড়াই করা কোভিড যোদ্ধাদের ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন স্বাস্থ্যকর্মী, পুলিশসহ অন্যান্য কর্মীরা। সোমবারের বৈঠকে পরিবহন দপ্তরের কর্মীদের এই পর্যায়ের ভ্যাকসিন দেওয়ার জন্য সামিল করতে আহ্বান জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভ্যাকসিন আসার খবরে অবশেষে কিছুটা হলেও স্বস্তিতে রাজ্যবাসী। কত তাড়াতাড়ি মানুষ স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যেতে পারে সেটাই এখন দেখার।SpiceJet is proud to begin transporting Indias first consignment of #COVID19vaccine today. Pictured here is the first consignment of #Covishield arriving from Pune to Delhi on SpiceJet flight 8937. We are committed towards timely commencement of this historic vaccination drive. pic.twitter.com/BdSOA8hCVb SpiceJet (@flyspicejet) January 12, 2021

জানুয়ারি ১২, ২০২১
স্বাস্থ্য

নতুন বছরে বাংলায় হুহু করে কমছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা, স্বস্তি স্বাস্থ্য দফতরের

নতুন বছরে হুহু করে কমছে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা নতুন বছরের প্রথম দিন ১ জানুয়ারি করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১,১৫৩। তারপরে টানা সাত দিন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা এক হাজারের নিচে রয়েছে। এই রাজ্যে শুক্রবার সরকারি বুলেটিন অনুযায়ী আক্রান্তের সংখ্যা ৯২৬। সেক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে কোভিড টেস্ট করা হয়েছিল ৩৬ হাজার ১৩৫ জনের। সব থেকে উল্লেখযোগ্য বিষয় ৪ জানুয়ারি আক্রান্তের সংখ্যা হয়েছিল মাত্র ৫৯৭। সেদিন অবশ্য টেস্ট করা হয়েছিল ২৫,২৫৬ জনের।বিগত ১০ দিনের রিপোর্ট পর্যবেক্ষণ করে দেখা যাচ্ছে শেষ সাত দিন রাজ্যে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা ছিল এক হাজারের নিচে। তার আগের তিন দিন ৩০ ও ৩১ ডিসেম্বর ও ১ জানুয়ারি আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১ হাজারের উপরে।একবার আক্রান্তের সংখ্যার তালিকা দেখে নেওয়া যাক। কোন দিন কতজন আক্রান্ত হয়েছেন।৩০ ডিসেম্বর ১,১৭৮৩১ ডিসেম্বর ১,১৭০১ জানুয়ারি ১,১৫৩২ জানুয়ারি ৮৬৩৩ জানুয়ারি ৮৯৬৪ জানুয়ারি ৫৯৭৫ জানুয়ারি ৮১২৬ জানুয়ারি ৮৬৮৭ জানুয়ারি ৯২১৮ জানুয়ারি ৯২৬এই রিপোর্ট অনুযায়ী এটা পরিস্কার জানুয়ারির প্রথম দিকে বাংলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা অনেকটাই কমে গিয়েছে। কিন্তু ফের কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। তবে ওই কয়েকদিন টেস্টের সংখ্যাও অনেক কম ছিল। করেনা রিপোর্টে স্বস্তি বেড়েছে রাজ্যাে।রাজ্যে মোট আক্রান্তের সংখ্যা এই মুহূর্তে ৫৬০০৩৫ জন। কলকাতায় এখন পর্যন্ত আক্রান্তের শীর্ষে রয়েছে। এখানে আক্রান্তের সংখ্যা ১২৫১০৪, উত্তর ২৪ পরগনা রয়েছে তার পরেই। ওই জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা ১১৮৮১৮, পাশের জেলা দক্ষিন ২৪ পরগনা, সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা ৩৬,৪৫৬। হাওড়ায় আক্রান্তের সংখ্যা ৩৫০৩২। এখানে উল্লেখযোগ্য বিষয় করোনা সংক্রমণের প্রথমদিকে হাওড়ায় প্রবলভাবে প্রাদুর্ভাব দেখা যায়।রাজ্যের ৬টি পরীক্ষা কেন্দ্রে টেস্টের পরিসংখ্যানঃনর্থ বেঙ্গল মেডিকেল কলেজ ২,৭৬,৩৫৯এসএসকেএম ২,৪১,৫৩৪আরজিকর মেডিকেল কলেজে ২,০৪,৫৪৪বর্ধমান মেডিকেল কলেজ ১,৪৮,,৯৫নাইসেড ১,৫৪,৫৯৬মালদা মেডিকেল কলেজ ১,৮৪,৩৪৫রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য দপ্তরের রিপোর্ট অনুযায়ী আক্রান্তের সংখ্যা অনেক কম রয়েছে গত কয়েক দিনে। করোনা আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে ৯,৯২৩ জনের।

জানুয়ারি ০৯, ২০২১
রাজ্য

আগামী সপ্তাহে রাজ্যে আসছে করোনা ভ্যাকসিন, তৎপর স্বাস্থ্য দফতর

পশ্চিমবঙ্গবাসীর কাছে সুখবর। আগামী সপ্তাহেই রাজ্যে আসতে চলেছে করোনার ভ্যাকসিন। ইতিমধ্যে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের আধিকারিকরা বৈঠকও সেরে ফেলেছেন। প্রতিটি মেডিকেল কলেজকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। ভ্যাকসিন প্রক্রিয়া ঠিকঠাকভাবে চালু রাখার জন্য নোডাল অফিসার নিয়োগ করতে চলেছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর।ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক চিঠি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরকে। সূত্রের খবর, আগামী সপ্তাহে করোনার টিকা এরাজ্যে এসে পৌঁছাবে। সেই টিকা পাঠিয়ে দেওয়া হবে মেডিক্যাল কলেজগুলোতে। টীকাকরণ প্রক্রিয়া সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন করতে তৎপর রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। তবে এরাজ্যে কত ভ্যাকসিন আসছে তা বিস্তারিত জানা যায়নি।এরই মধ্যে জরুরি ভিত্তিতে টিকাকরণের জন্য কোভ্যাকসিন ও কোভিশিল্ডকে ছাড়পত্র দিয়েছে ভারতের ড্রাগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ডিসিজিআই। তারপরই জানুয়ারিতে টিকাকরণ শুরুর কথা জানিয়েছে কেন্দ্র। টিকাকরণ সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন করতে আগামী ৮ জানুয়ারি দেশজুড়ে হবে টিকাকরণের মহড়া। টীকাকরণ নিয়ে সতর্ক রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর।

জানুয়ারি ০৬, ২০২১
রাজ্য

আতঙ্ক বিদেশে, করোনায় সুস্থতার হার বেড়েছে বাংলায়

ব্রিটেনে নতুন করে করোনা নিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। যদিও ভারতে সেই আশঙ্কা নেই বলেই জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। এদিকে বাংলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা গত ২৪ ঘণ্টায় সামান্য বেড়েছে। রাজ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড ১৯-এ আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৬৫৩ জন। একই সঙ্গে বেড়েছে দৈনিক সুস্থতার হার। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন অনুযায়ী বাংলায় করোনা অ্যাক্টিভ কেসের মোট সংখ্যা ১৬ হাজার ২৪৮। দৈনিক অ্যাক্টিভ কমেছে ৬৫৫। সরকারি রিপোর্ট দেখা যাচ্ছে বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরেই রাজ্যে বাড়ছে সুস্থতার হার। এরাজ্যে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ লক্ষ ৩৯ হাজার ৯৯৬। অ্যাক্টিভ কেসের মোট সংখ্যা ১৬ হাজার ২৪৮। দৈনিক অ্যাক্টিভ কেস কমল ৬৫৫। একই সঙ্গে সুস্থতার হার বৃদ্ধি পাওয়ায় স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। রাজ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা-মুক্ত হয়েছেন ২,২৭০ জন। মোট সুস্থ হয়েছেন ৫ লক্ষ ১৪ হাজার ৩০৯ জন। সুস্থতার হার এখন ৯৫.২৪ শতাংশ। ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে আরও ৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। দৈনিক মৃত্যুহারের সংখ্যাও কমেছে রাজ্যে। কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা কমলেও অ্যাক্টিভ কেসের নিরিখে এখনও শীর্ষে কলকাতা। কলকাতায় মোট কোভিড ১৯ অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা ৩৮৬০। এরপরই রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা (২৯৭৪), হুগলি (৮১১), দক্ষিণ ২৪ পরগনা (৯৩৩), হাওড়া (৭৯৮)।

ডিসেম্বর ২৩, ২০২০
স্বাস্থ্য

শীতে বাংলায় কমছে করোনার দাপট, স্বস্তি

কনকনে ঠান্ডায় উল্লেখযোগ্য ভাবে কমেছে করোনার ভয়াবহ দাপট। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিনে দেখা যাচ্ছে দৈনিক করোনা সংক্রমণের বেশ খানিকটা হ্রাস পেয়েছে। বিগত ২৪ ঘণ্টায় বাংলায় কোভিড ১৯ আক্রান্তের সংখ্যা ১ হাজার ৫১৫ জন। গতকাল এই সংখ্যা ছিল ১,৯৭৮। এক ধাক্কায় কমেছে প্রায় পাঁচশো।সোমবার পর্যন্ত এরাজ্যে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ লক্ষ ৩৮ হাজার ৩৪৩। দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা কমে যাওয়ায় স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন অনুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় এরাজ্যে করোনা-মুক্ত হয়েছেন ২ হাজার ৩৪২ জন। মোট সুস্থ হয়েছেন ৫ লক্ষ ১২ হাজার ৩৯ জন। বাংলায় সুস্থতার হার ৯৫.১১ । আক্রান্তের সংখ্যা কমলেও সেই হারে মৃত্যুহার কমেনি। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় রাজ্যে আরও ৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে। তুলনামূলকভাবে আক্রান্তের হারের তুলনায় করোনা আক্রান্ত হয়ে বাংলায় মৃতের সংখ্যা বেশি। অ্যাক্টিভ কেসে অন্য জেলাগুলিকে পিছনে ফেলে শীর্ষে রয়েছে কলকাতা। মহানগরে মোট কোভিড ১৯ অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা ৪০০৯। যথারীতি কলকাতার পরেই রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা (৩১৩৩)। এছাড়া দক্ষিণ ২৪ পরগনা (১০০৭), হুগলি (৮৭৪), হাওড়া (৮৬২), পূর্ব মেদিনীপুর (৭৪৪),পশ্চিম মেদিনীপুর (৬৫১),নদিয়া (৭৩৬)।

ডিসেম্বর ২২, ২০২০
দেশ

করোনায় আক্রান্ত জেপি নাড্ডা

এবার করোনায় আক্রান্ত হলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। রবিবার এক টুইট বার্তায় নিজেই এই কথা জানিয়েছেন নাড্ডা। রবিবার এক টুইট বার্তায় বিজেপি সভাপতি জানিয়েছেন, করোনা সংক্রমণের কিছু উপসর্গ দেখা দেওয়ায় আমি করোনা পরীক্ষা করাই। রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। আমার শরীর ঠিক আছে। চিকিৎসকদের পরামর্শে আমি আইসোলেশনে আছি। যারা আমার সংস্পর্শে এসেছেন গত কয়েকদিনে, তাঁদের অনুরোধ নিজেদের আইসোলেট করুন এবং স্বাস্থ্য পরীক্ষা করান। আরও পড়ুন ঃ কৃষি আইন চাষিদের উন্নয়ন করবে , সওয়াল মোদির এর আগে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন বিজেপির একাধিক শীর্ষ নেতৃত্ব। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রী নীতিন গড়করি, মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান তাঁদের মধ্যে অন্যতম। দিন কয়েক আগেই রাজ্য সফরে এসে, একাধিক দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছিলেন জেপি নাড্ডা। করেছিলেন সাংবাদিক সম্মেলনও। রাজ্যে দলের শীর্ষনেতাদের সঙ্গে করেছিলেন বৈঠকেও। তাঁর করোনা পজিটিভ হওয়ার এই খবরে স্বাভাবিক ভাবেই আতঙ্ক ছড়িয়েছে বঙ্গ বিজেপিতেও।

ডিসেম্বর ১৩, ২০২০
দেশ

করোনার টিকাকরণের অনুমতি চাইল সেরাম ইনস্টিটিউট

ভারতে করোনার টিকাকরণের অনুমতি চাইল সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও ব্রিটেনের সংস্থা অ্যাস্ট্রোজেনেকার সঙ্গে যৌথভাবে করোনার ভ্যাকসিন তৈরি করছে সেরাম। সেই ভ্যাকসিনে এবার জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের জন্য ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়ার কাছে অনুমতি চাইল এই সংস্থা। জানা গিয়েছে, সেরাম ইনস্টিটিউট ড্রাগ কন্ট্রোলারকে এক আবেদন জানিয়েছে, করোনার টিকা কোভিশিল্ড অত্যন্ত নিরাপদ ও সুরক্ষিত। মানুষের উপর এই ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা যেতে পারে। এই ভ্যাকসিন ব্যবহার করলে ভাল ফল মিলবে। ইতিমধ্যেই সংস্থা তৃতীয় পর্বে কোভিশিল্ডের যে পরীক্ষা চালিয়েছে তার ফল অত্যন্ত সন্তোষজনক। সে কারণেই জরুরিভিত্তিতে টিকাকরণের অনুমতি চাইছে সংস্থা। উল্লেখ্য, ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিকেল রিসার্চের সঙ্গে যৌথভাবে কোভিশিল্ডের তৃতীয় পর্বের পরীক্ষা চলছে। আরও পড়ুন ঃ টিকাকরণ নিয়ে ভোলবদলের অভিযোগে কেন্দ্রকে তোপ রাহুলের সেরামের সিইও আদর পুনাওয়ালা দুদিন আগেই জানিয়েছেন, তাঁদের সংস্থার তৈরি টিকা কোভিশিল্ড বয়স্কদের শরীরে খুব ভাল কাজ দিচ্ছে। একইসঙ্গে তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, ২০২১-এর মাঝামাঝি সময়ে তাঁরা টিকার ১০ কোটি ডোজ তৈরি করবেন। তাঁদের তৈরি ভ্যাকসিন সংরক্ষণ করাও খুব সহজ। ২ থেকে ৮ ডিগ্রি তাপমাত্রায় এই ভ্যাকসিন সংরক্ষণ করা যাবে।

ডিসেম্বর ০৭, ২০২০
দেশ

টিকাকরণ নিয়ে ভোলবদলের অভিযোগে কেন্দ্রকে তোপ রাহুলের

এবার করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে কেন্দ্রকে আক্রমণ শানালেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধী। বৃহস্পতিবার সকালে টুইটারে একটি পোস্ট করেন রাহুল। সেখানে তিনি করোনার ভ্যাকসিন নিয়ে মোদি সরকারের অবস্থান জানতে চান। টুইটারে কেন্দ্র সরকারের তিনটি মন্তব্য তুলে ধরেছেন রাহুল। প্রথমে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য- সকলে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন পাবেন। দ্বিতীয়, বিহারে বিজেপির দাবি- ক্ষমতায় এলে বিহারে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন বিতরণ করা হবে। তৃতীয়, সরকারের বর্তমান দাবি- কখনই বলিনি সবাই ভ্যাকসিন পাবে। শেষে কংগ্রেস নেতার খোঁচা, প্রধানমন্ত্রীর কথার গুরুত্ব কোথায়? আরও পড়ুন ঃ কৃষকদের সম্মান ও মর্যাদা দেওয়ার জন্য কেন্দ্রকে অনুরোধ অধীরের সম্প্রতি, স্বাস্থ্যমন্ত্রক বলেছে ৩০ কোটি মানুষ করোনার টিকা দেওয়া হবে। সংক্রমণের শৃঙ্খল ভাঙতেই এই পদক্ষেপ করা হবে। সকল দেশবাসীর টিকার প্রয়োজন নেই। এরপরই ফের কেন্দ্রীয় সরকারকে নিশানা করেছে বিরোধীরা। সবমিলিয়ে ভ্যাকসিন ভারতে বাজারে আসার আগেই চরমে উঠেছে রাজনৈতিক বিতর্ক।

ডিসেম্বর ০৩, ২০২০
কলকাতা

করোনায় আক্রান্ত কংগ্রেস নেতা আব্দুল মান্নান

করোনায় আক্রান্ত হলেন বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা আব্দুল মান্নান। তিনি রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতাও। মঙ্গলবার রাতে তাঁর কোভিড রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। হাই সুগার-সহ একাধিক কো-মর্বিডিটি থাকায় বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতাকে ভরতি করা হয়েছে এক বেসরকারি হাসপাতালে। তবে তাঁর শারীরিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। আরও পড়ুনঃ অগ্নিমিত্রা পলের মন্তব্যের কড়া নিন্দা পার্থর জানা গিয়েছে, সম্প্রতি দার্জিলিংয়ে গিয়েছিলেন চাঁপদানির এই বিধায়ক। সেখান থেকে ফিরেই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। তাঁর ফুসফুসে সংক্রমণ হয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর। আপাতত তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল। বিরোধী দলনেতার এই অসুস্থতার খবরে উদ্বিগ্ন বিধান ভবন। দ্রুত সুস্থতা কামনায় শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সহকর্মী, অনুরাগীরা।

নভেম্বর ২৫, ২০২০
রাজ্য

করোনা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে জিএসটি বাবদ বকেয়া দাবি মমতার

অতিমারীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে টিকাকরণ কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার জন্য পশ্চিমবঙ্গও প্রস্তুত আছে। টিকাকরণের জন্য রাজ্যে প্রশিক্ষিত দক্ষ ব্যক্তি ও পরিকাঠামো প্রস্তুত। যত দ্রুত ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে, কেন্দ্র ও অন্যান্য সহযোগী সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় রেখে তত তাড়াতাড়িই কাজ শুরু করে দেবে বাংলা। যাতে সবাই দ্রুত ভ্যাকসিন পায়, তা নিশ্চিত করা হবে। মঙ্গলবার করোনা পরিস্থিতি নিয়ে ভার্চুয়াল বৈঠকে মোদীকে একথা বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, সারা দেশে করোনার টিকার দিকে তাকিয়ে আছে। একইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, দুর্গাপুজো, কালীপুজো, ছট প্রভৃতি উৎসব ও লোকাল ট্রেন পরিষেবা চালু হওয়া সত্ত্বেও রাজ্যে করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আছে। রাজ্যে সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার কমেছে। সুস্থতার হার বেড়েছে। বাংলা একটি সংবেদনশীল রাজ্য, বাংলাদেশ-ভুটানের সীমান্ত এই রাজ্যে রয়েছে। দেশগুলি থেকে রোগীরাও বাংলায় চিকিৎসার জন্য আসে। ফলে বাংলাদেশে করোনা রোগীর পরিমাণ বাড়লে তা এ রাজ্যেও প্রভাব ফেলে। অন্যদিকে বিহার, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশার রোগীরাও এ রাজ্যে চিকিৎসার জন্য আসে। তা সত্ত্বেও অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় বাংলায় মৃত্যুর হার কম। অন্যান্য বছরে রাজ্যে এর চেয়ে বেশি মানুষ ডেঙ্গু, কিডনির রোগ বা হৃদরোগে মারা যেতেন। সে তুলনাতেও রাজ্যে এখনও পর্যন্ত মৃত্যুর হার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আরও পড়ুন ঃ রবীন্দ্রনাথ ঘোষের সঙ্গে বৈঠকের পরও একই অবস্থানে মিহির গোস্বামী এর আগেও বার বার কেন্দ্রের বিরুদ্ধে জিএসটি বকেয়া নিয়ে অভিযোগ করেছেন মমতা। তবে এবার সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর সামনে ভার্চুয়াল বৈঠকে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, জিএসটি বাবদ রাজ্য কেন্দ্রের কাছ ৮ হাজার ৫০০ কোটি টাকা পায়। সেই টাকা কেন্দ্র দিচ্ছে না। এদিকে বিভিন্ন খাতে রাজ্যের খরচ বেড়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই কোভিড পরিস্থিতি মোকাবিলায় রাজ্য ৪০০০ কোটি টাকা খরচ করে ফেলেছে। সেখানে কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যকে দিয়েছে মাত্র ১৯৩ কোটি টাকা।

নভেম্বর ২৪, ২০২০
  • ‹
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
  • 6
  • 7
  • 8
  • 9
  • 10
  • ›

ট্রেন্ডিং

দেশ

বিহার বিধানসভা ভোটে বিজেপি ও আরজেডি কটা আসনে লড়ছে? শরিকরা কতগুলি আসন পেল?

রবিবার এনডিএ আগামী মাসে বিহার বিধানসভা নির্বাচনের জন্য আসন ভাগাভাগিতে সম্মত হয়েছে। বিজেপি এবং জনতা দল (ইউনাইটেড) ১০১টি করে আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে সম্মত হয়েছে। জেডি(ইউ) জাতীয় কার্যকরী সভাপতি সঞ্জয় ঝা এবং বিজেপির নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা ধর্মেন্দ্র প্রধানের দ্বারা নিশ্চিত করা এই চুক্তি অনুসারে, চিরাগ পাসওয়ানের নেতৃত্বাধীন লোক জনশক্তি পার্টি (রাম বিকাশ) ২৯টি আসন পাবে, যেখানে জিতন রাম মাঝির হিন্দুস্তানি আওয়াম মোর্চা (ধর্মনিরপেক্ষ) এবং উপেন্দ্র কুশওয়াহার জাতীয় লোক মোর্চা (আরএলএম) ছয়টি করে আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে।১৯৯৬ সালে জোট গঠনের পর এই প্রথমবারের মতো বিজেপি এবং জেডি(ইউ) বিধানসভা নির্বাচনে সমান সংখ্যক আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। ২০২০ সালে, জেডি(ইউ) ১২২টি আসনে এবং বিজেপি ১২১টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল, জেডি(ইউ) তাদের ভাগ থেকে এইচএএম(এস)-কে সাতটি আসন দিয়েছিল এবং বিজেপি তাদের ভাগ থেকে ১১টি আসন মুকেশ সাহানির বিকাশশীল ইনসান পার্টি (ভিআইপি)-কে বরাদ্দ করেছিল।এই চুক্তির ফলে কয়েক সপ্তাহ ধরে জোটের মধ্যে আলোচনার অবসান ঘটে, যেখানে এলজেপি (আরভি) এবং এইচএএম(এস) আক্রমণাত্মকভাবে আরও বেশি আসনের জন্য চাপ দিয়েছিল। পাসওয়ানের দল প্রথমে ৪০টি এবং পরে ৩৫টি আসনের জন্য চাপ দিলেও, মাজি ১৫টি আসন দাবি করেছিলেন বলে জানা গিয়েছে।এনডিএ সূত্র জানিয়েছে, যে জোট প্রথমে এলজেপি (আরভি)-কে ২০-২৫টি আসনের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে চেয়েছিল, কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাদের নির্বাচনী প্রভাবের কারণে তা মেনে নেওয়া হয়েছিল। দিল্লিতে বিজেপির কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিটির (সিইসি) এক বৈঠকের পর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এই বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং দিল্লি ও বিহারের শীর্ষ বিজেপি নেতৃত্ব হাজির ছিলেন।আলোচনায় এলজেপি (আরভি) এর দাবি একটি বড় বাধা ছিল। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে দলটির শক্তিশালী পারফরম্যান্স, যখন তারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা পাঁচটি আসনেই জয়লাভ করে এবং মোট ভোটের ৬% এরও বেশি ভোট অর্জন করে, তাদের দর কষাকষির ক্ষমতা দেয়। তবে বিজেপির সূত্র জানিয়েছে, যে দলটি রাজনৈতিক স্থায়িত্বের কারণে নয়, বরং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বের কারণে এই আসনগুলি জিতেছে।২০২০ সালে, বিভক্ত হওয়ার এক বছর আগে, এলজেপি বিহারের ২৪৩টি বিধানসভা আসনের মধ্যে ১৩৫টিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল, যার ফলে এনডিএকে চরম মূল্য দিতে হয়েছিল। ৬৪টি আসনে, যেখানে দল তৃতীয় বা তার কম স্থানে ছিল, সেখানে জয়ের ব্যবধানের চেয়ে বেশি ভোট পেয়েছিল। এই আসনগুলির মধ্যে, এটি সরাসরি ২৭টি আসনে জেডি(ইউ)কে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে, যেখানে এটি দ্বিতীয় স্থানে ছিল।এলজেপি (আরভি) এখনও তার প্রাপ্যের চেয়ে বেশি আসন পেয়েছে। আমরা প্রথমে দলের জন্য ২০টির বেশি আসনের পক্ষে ছিলাম না। পরে তা ২৩ এবং পরে ২৬-এ সংশোধন করা হয় কারণ চিরাগ ক্রমাগত চাপ প্রয়োগ করছিলেন। জোটকে শক্তিশালী ও ঐক্যবদ্ধ রাখার স্বার্থে, আমরা ২৯-এ সম্মত হয়েছি, বিহারের একজন প্রবীণ বিজেপি নেতা বলেন।আরেকজন বিজেপি নেতা বলেন, চিরাগ পাসোয়ান ছিলেন কঠোর দর কষাকষিকারী। যেহেতু তিনি কেন্দ্রে একজন গুরুত্বপূর্ণ মিত্র, তাই আমাদের তার দাবি মেনে নিতে হয়েছিল। এলজেপি ৪০টি আসন দিয়ে শুরু করে, পরে ৩৫টিতে নামিয়ে আনা হয় এবং অবশেষে ২৯টি আসন নিয়ে মীমাংসা করে। প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানের পর মাঝি ছয়টি আসন নিয়ে রাজি হন। ভবিষ্যতে তিনি একটি এমএলসি পদ দাবি করবেন বলে জানা গেছে।

অক্টোবর ১৩, ২০২৫
রাজ্য

বর্ধমান স্টেশনে ট্রেন ঢুকতেই হুড়োহুড়ি — পদপিষ্টে অন্তত ১২ জন আহত

রবিবার ছুটির সন্ধ্যায় বর্ধমান (Bardhaman) রেল স্টেশনে হুড়োহুড়িতে পদপিষ্টের ঘটনা ঘটে। বহু যাত্রী একযোগে ট্রেন ধরার চেষ্টায় মুখ্য সিঁড়ি ও ওভারব্রিজ এলাকায় ঠাসাঠাসিতে পদপিষ্ট হয়ে পড়েন। এই ঘটনায় অন্তত ১২ জন আহত হয়েছেন বলে প্রাথমিক খবর পাওয়া গেছে। আহতদের দ্রুত উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে (Burdwan Medical College Hospital) ভর্তি করা হয়েছে। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, অধিকাংশের অবস্থা আপাতত স্থিতিশীল। ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া সূত্র অনুযায়ী, একসঙ্গে ৩৪টি ট্রেন ৪, ৫ ও ৬ নম্বর প্ল্যাটফর্মে ছিল। যাত্রীরা ট্রেনে ওঠা ও নামার জন্য সিঁড়ি ও ওভারব্রিজ এলাকায় একসাথে ওটানামা করতে থাকেন, তখন ভিড় গিজ গিজ করছিল। সিঁড়িতে অতিরিক্ত চাপ ও ধাক্কাধাক্কির ফলে কয়েকজন পড়ে যান। এতেই আঘাত পান। প্রত্যক্ষদর্শীরা অভিযোগ করেছেন, বেশ কিছু দিন ধরে ওভারব্রিজ একাধিক অংশ কাজ করছে না বা সংস্কার হচ্ছে, ফলে যাত্রীদের মূল সিঁড়িগুলো ব্যবহার করতে হয়। রেলের উদ্ধার দল ও রেলে নিয়োজিত স্টাফ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের উদ্ধারে মনোনিবেশ করে। রেল প্রশাসনের তরফে বলা হয়েছে, অতিরিক্ত নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়ন করা হবে এবং ভবিষ্যতে এমন দুর্ঘটনা এড়াতে পরিকল্পিত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অক্টোবর ১২, ২০২৫
বিদেশ

গাজা শান্তি সম্মেলনে ভারতের প্রতিনিধি কীর্তি বর্ধন সিং

মিশরের শর্ম-এল-শেখে সোমবার অনুষ্ঠিত হতে চলেছে গাজা শান্তি সম্মেলন। সেখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিশেষ দূত হিসেবে ভারতকে প্রতিনিধিত্ব করবেন কেন্দ্রীয় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কীর্তি বর্ধন সিং।সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ এল-সিসি শেষ মুহূর্তে প্রধানমন্ত্রী মোদিকে আমন্ত্রণ জানান। তবে মোদি নিজে অংশ না নিয়ে প্রতিনিধিত্বের দায়িত্ব দিয়েছেন প্রতিমন্ত্রীকে।এই সম্মেলনে অংশ নেবেন আরও বেশ কয়েকজন বিশ্বনেতা জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মের্জ, ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমমানুয়েল মাক্রোঁ, স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদরো স্যাঞ্চেজ এবং জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।কূটনৈতিক মহল মনে করছে, গাজা উপত্যকার সংঘাত পরিস্থিতি নিয়ে এই বৈঠকে আন্তর্জাতিক পরিসরে শান্তি প্রক্রিয়া এগিয়ে নেওয়ার রূপরেখা তৈরি হতে পারে। উল্লেখ্য গাজায় আপাতত যুদ্ধবিরতি চলছে।

অক্টোবর ১২, ২০২৫
রাজ্য

দুর্গাপুরে ডাক্তারি ছাত্রীর ‘গণধর্ষণ’, তিন অভিযুক্ত গ্রেফতার — সহপাঠীর ভূমিকাও প্রশ্নের মুখে

দুর্গাপুরে কলেজ ছাত্রীকে অপহরণ করে গণধর্ষণের অভিযোগে তীব্র চাঞ্চল্য। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গ্রেফতার করা হয়েছে তিন অভিযুক্তকে। তাঁদের রবিবার দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক ১০ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন।ঘটনাস্থল কলেজ ক্যাম্পাস থেকে মাত্র ৭০০ মিটার দূরে, ঘন ঝোপঝাড়ে ঘেরা এলাকায়। পুলিশ জানায়, সেখানে দীর্ঘদিন ধরেই বসে নেশার ঠেকমদ ও গাঁজা বিক্রির আড্ডা। শনিবার রাতে ওই ঠেকেই ছিলেন তিন অভিযুক্ত। তখনই তাঁরা কলেজের ডাক্তারি ছাত্রী এবং তাঁর এক সহপাঠীকে রাস্তায় হাঁটতে দেখে প্রথমে তরুণীকে উত্ত্যক্ত করতে শুরু করেন। এর পর তাঁকে জোর করে টেনে নিয়ে গিয়ে জঙ্গলে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ।পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনাকালীন তরুণীর মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয় অভিযুক্তরা। পরে তদন্তে ধৃতদের কাছ থেকেই তরুণীর ফোন উদ্ধার হয়েছে। পুলিশ দাবি করেছে, তিন জনের বিরুদ্ধেই প্রত্যক্ষ প্রমাণ মিলেছে। তদন্তকারীদের একটি সূত্র জানিয়েছে, সহপাঠীকে পালিয়ে যেতে দেখে তরুণী কলেজের বন্ধুদের ফোন করেছিলেন। পরে তাঁর বন্ধুরাই ওই সহপাঠীকে ঘটনাস্থলে ফের যেতে বলেন। এই সময়েই নির্যাতিতাকে ধর্ষণ করা হয় বলে প্রাথমিক তদন্তে ধারণা পুলিশের।ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরেই পুলিশ ওই সহপাঠীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। তাঁর বয়ানেই পুরো ঘটনার প্রাথমিক তথ্য মিলেছে বলে সূত্রের খবর। তরুণীর সঙ্গে কথা বলেছেন ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট রঞ্জনা রায়।কলেজ কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, রাত ৭টা ৫৮ মিনিটে সহপাঠীর সঙ্গে ক্যাম্পাস থেকে বেরিয়েছিলেন তরুণী। ৮টা ৪২ মিনিটে সহপাঠী একা ফিরে আসেন, গেটের কাছে কিছুক্ষণ ঘোরাঘুরি করে ফের বাইরে যান। পরে রাত ৯টা ২৯ মিনিটে দুজন একসঙ্গে কলেজে ফেরেন। ৯টা ৩১ মিনিটে তরুণী নিজের হস্টেলে ফিরে যান।অভিযোগ, তরুণীর বাবার দাবি অনুযায়ী, তাঁর মেয়েকে বাইরে নিয়ে গিয়েছিলেন সেই সহপাঠীই, এবং ধৃত তিন জন ওই ছাত্রেরই বন্ধু। তাঁর কথায়, রাত ১০টার দিকে ওর বন্ধু ফোন করে জানায়, আমার মেয়েকে ধর্ষণ করা হয়েছে। ওর এক বন্ধু ওকে খেতে নিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু যখন দু-তিন জন মেয়েকে ঘিরে ধরে, তখন ওর বন্ধুটি পালিয়ে যায়।এখনও পর্যন্ত তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে পুলিশ মনে করছে, ঘটনায় আরও কয়েক জন যুক্ত থাকতে পারে। তাঁদের খোঁজে চলছে তল্লাশি অভিযান

অক্টোবর ১২, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

১৪ বছর পর কলকাতায় মেসি! “মাঠ কাঁপাবে” ডিসেম্বরে?

কলকাতার ফুটবলপ্রেমীদের জন্য এক বিশাল সুখবর! ফুটবল কিংবদন্তি লিওনেল মেসি (Lionel Messi) তাঁর বহু প্রতীক্ষিত GOAT Tour of India 2025-এর জন্য এ বছরের ডিসেম্বর মাসে কলকাতা ময়দান মাতাতে আসছেন। ১৪ বছর পর বিশ্বকাপজয়ী এই মহাতারকার ভারতে ফেরা নিঃসন্দেহে এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত হতে চলেছে।আগামী ডিসেম্বরে আর্জেন্টাইন মহাতারকা লিওনেল মেসি তাঁর ভারত সফরের সূচনা করবেন কলকাতাতেই। আয়োজকদের ঘোষণা অনুযায়ী, তিনি ১২ই ডিসেম্বর রাতে মহানগরে পৌঁছাবেন এবং ১৩ই ডিসেম্বর কলকাতায় বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নেবেন।কলকাতার আইকনিক সল্টলেক স্টেডিয়ামে (যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন) মূল অনুষ্ঠানগুলি হবে, যেখানে ২০১১ সালে মেসি আর্জেন্টিনার হয়ে ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে একটি আন্তর্জাতিক প্রীতি ফুটবল ম্যাচে খেলেছিলেন।GOAT কনসার্ট এবং GOAT কাপ, ১৩ই ডিসেম্বর এই দুটি প্রধান ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হবে। GOAT কাপ হবে একটি সেলিব্রেটর সেভেন-এ-সাইড (seven-a-side) সফট-টাচ ফুটবল ম্যাচ। বেশ কয়েকজন ভারতীয় কিংবদন্তির উপস্থিতির সম্ভবনা ওই খেলায়, সুত্রের খবর, এই বিশেষ ম্যাচে মেসির সঙ্গে মাঠে নামতে পারেন ভারতীয় ক্রীড়া জগতের তারকারা, যেমন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, বাইচুং ভুটিয়া এবং লিয়েন্ডার পেজ প্রমুখ।ম্যচের শেষে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে মেসিকে বিশেষ সংবর্ধনা দেওয়া হতে পারে। এছাড়াও এই সফরের অঙ্গ হিসাবে কলকাতা শহরে মেসির একটি মূর্তি উন্মোচন-র আয়োজন চলছে।এই সফরে নানাবিধ অনুষ্ঠানের মধ্যে, ফুড অ্যান্ড টি ফেস্টিভ্যালঅনুষ্ঠিত হবে। কলকাতায় তাঁর প্রিয় পানীয় আর্জেন্তিনীয় ভেষজ চা মাটে-এর সঙ্গে আসামের চায়ের ফিউশন করে একটি বিশেষ খাদ্য ও চা উৎসবের আয়োজন করা হবে।কলকাতা ছাড়াও মেসি ভারতে আরও কয়েকটি শহর সফর করবেন, সেকারনে তাঁর নিরাপত্তা ব্যবস্থাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কলকাতার পর মেসি আরও চারটি-শহরে সফর করবেন। যেগুলি হল আহমেদাবাদ, মুম্বাই এবং নয়া দিল্লী। ১৫ই ডিসেম্বর তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করে তাঁর ভারত সফর শেষ করবেন। এই সফরের ইভেন্টগুলোর টিকিটের মূল্য ৩,৫০০ টাকা থেকে শুরু হতে পারে বলে জানা গেছে।মেসির প্রতিক্রিয়াদীর্ঘ ১৪ বছর পর ভারতে আসা নিয়ে মেসি উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন। একটি সরকারি বিবৃতিতে তিনি বলেন, এই সফর করতে পারা আমার জন্য খুবই সম্মানের। ভারত খুব স্পেশাল একটি দেশ, এবং ১৪ বছর আগে আমার সেখানে কাটানো মুহূর্তগুলোর খুব ভালো স্মৃতি আছে এখানকার ভক্তরা ছিল অসাধারণ। ভারত ফুটবল প্রেমী দেশ (passionate football nation), এবং আমি ফুটবলের প্রতি আমার ভালোবাসা নতুন প্রজন্মের ভক্তদের সাথে ভাগ করে নেওয়ার জন্য মুখিয়ে আছি।২০২৫ এর ডিসেম্বর মাসে ফুটবল কিংবদন্তির আগমন শুধু কলকাতার নয়, গোটা ভারতের ক্রীড়াপ্রেমীদের কাছে এক বিশাল উৎসবের বার্তা নিয়ে আসছে।

অক্টোবর ০৭, ২০২৫
রাজ্য

সাংসদের ওপর হামলায় রাজ্যকে নিয়ে বড় প্রশ্ন মোদির, কড়া জবাব মমতার

বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু ও বিধায়ক শঙ্কর ঘোষের ওপর হামলা নিয়ে রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তার পাল্টা কড়া জবাব দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি সোশ্যাল মিডিয়া লিখেছেন, এটা খুবই দুর্ভাগ্যের এবং গভীর উদ্বেগের বিষয় যে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী একটি প্রাকৃতিক বিপর্যয় নিয়ে রাজনীতি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, কোনো উপযুক্ত অনুসন্ধানের জন্য অপেক্ষা না করেই তা-ও আবার যখন উত্তরবঙ্গের মানুষ ভয়াবহ বন্যা ও ধসের সঙ্গে যুঝছেন।যখন সমগ্র স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশ ত্রাণ ও উদ্ধারের কাজে ব্যস্ত হয়ে আছে, তখন বিজেপি নেতারা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় গিয়েছিলেন বিপুল সংখ্যক গাড়ির কনভয় নিয়ে, কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা নিয়ে এবং স্থানীয় পুলিশ ও প্রশাসনকে কোনো খবর না দিয়ে। রাজ্য প্রশাসন, স্থানীয় পুলিশ বা তৃণমূল কংগ্রেসকে কীভাবে এই ঘটনার জন্য দায়ী করা যাবে?এখানেই থামেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রশ্ন তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী পদের গরিমা নিয়েও। প্রশ্ন তুলেছেন মোদির নৈতিকতা নিয়েও। তাছাড়া কোনও প্রমান ছাড়াই প্রধানমন্ত্রী তৃণমূল কংগ্রেসকে দায়ী করেছে বলে দাবি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি লিখেছেন, প্রধানমন্ত্রী তৃণমূল কংগ্রেস এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ওপর দোষারোপ করেছেন কিছুমাত্র প্রমাণ ছাড়া, আইনানুগ কোনো তদন্ত ছাড়া এবং কোনো প্রশাসনিক রিপোর্ট ছাড়া। এটা শুধু রাজনৈতিক নিম্নতা স্পর্শ করল না, যে সাংবিধানিক নৈতিকতা তুলে ধরতে প্রধানমন্ত্রী শপথ নিয়েছেন, সেই নৈতিকতারও লঙ্ঘন হল। যে কোনো গণতন্ত্রে আইন তার নিজস্ব পথ নেয় এবং কোনো ঘটনার দায় নির্ধারিত হয় যথাযথ প্রক্রিয়ায় -কোনো রাজনৈতিক বেদীর উচ্চতা থেকে করা একটি ট্যুইটের মাধ্যমে নয়।উত্তরবঙ্গ কাল যাবো, আজ কার্নিভাল !!!কার্নিভাল নাকি বাংলার ঐতিহ্য ! তা দশমীর চার দিন পর সরকারি অনুদান আর প্রশাসনিক চোখ রাঙানির জেরে প্রতিমা নিরঞ্জন আটকে রেখে, মিছিল করিয়ে ঘাটে যাওয়া কবে থেকে বাংলার ঐতিহ্য হয়ে গেলো?আর মুখ্যমন্ত্রী চটজলদি উত্তরবঙ্গ যেতে আগ্রহী নন কেন, pic.twitter.com/mD0TeqWIaz Suvendu Adhikari (@SuvenduWB) October 5, 2025মমতা বলেছেন, সংশ্লিষ্ট ঘটনা ঘটেছিল একটি কেন্দ্রে, যেখানে মানুষ নিজেরাই বিজেপির একজন বিধায়ককে নির্বাচন করেছেন। তথাপি এই ঘটনায় তৃণমূল কংগ্রেসের তথাকথিত শক্তিমত্তা দেখায় প্রধানমন্ত্রী দ্বিচারিতা অনুভব করলেন না। এই ধরনের অসার এবং অতি-সরলীকৃত সাধারণীকরণ শুধু অপরিণতই নয়, তা দেশের সর্বোচ্চ পদের সঙ্গে মানানসইও নয়।

অক্টোবর ০৭, ২০২৫
রাজ্য

বিজেপি সাংসদ ও বিধায়কের ওপর হামলা, নিন্দা নরেন্দ্র মোদীর, ফোন রাজনাথ সিংয়ের

বন্যা ও ভমি ধ্বসে বিপর্যস্ত উত্তরবঙ্গ। এরই মধ্যে নাগরাকাটায় বন্যা পরিস্থিতি দেখতে গিয়েছিলেন মালদা উত্তরের সাংসদ খগেন মুর্মু ও শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। তাঁদের ওপর তৃণমূল কংগ্রেস প্রাণঘাতী হমলা করেছে বলে অভিযোগ। মাথা ফেটে রক্তাক্ত হয়েছেন খগেন মুর্মু। আঘাত পেয়েছেন শঙ্কর ঘোষ। যদিও তৃণমূল অভিযোগ অস্বীকার করেছে। এবার এই ঘটনায় সোশ্যাল মিডিয়ায় মুখ খুললে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। জখম সাংসদের সঙ্গে কথা বলেছেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং।প্রধানমন্ত্রী পশ্চিমবঙ্গের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। আক্রমণের তীব্র নিন্দা করেছেন। নরেন্দ্র মোদী এক্স হ্যান্ডেলে বলেছেন, যেভাবে আমাদের দলের সহকর্মীরাযাদের মধ্যে একজন বর্তমান সাংসদ ও বিধায়কও রয়েছেনপশ্চিমবঙ্গে বন্যা ও ভূমিধসে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সেবা করতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন, তা অত্যন্ত নিন্দনীয়। এটি তৃণমূল কংগ্রেসের অসংবেদনশীলতা এবং রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলার করুণ রূপের স্পষ্ট প্রতিফলন।যেভাবে আমাদের দলের সহকর্মীরাযাদের মধ্যে একজন বর্তমান সাংসদ ও বিধায়কও রয়েছেনপশ্চিমবঙ্গে বন্যা ও ভূমিধসে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সেবা করতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন, তা অত্যন্ত নিন্দনীয়। এটি তৃণমূল কংগ্রেসের অসংবেদনশীলতা এবং রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলার করুণ রূপের স্পষ্ট প্রতিফলন।আমার Narendra Modi (@narendramodi) October 6, 2025আমার একান্ত কামনা পশ্চিমবঙ্গ সরকার ও তৃণমূল কংগ্রেস এই কঠিন পরিস্থিতিতে হিংসায় লিপ্ত না হয়ে মানুষের সাহায্যে আরও মনোযোগী হোক। আমি বিজেপি কার্যকর্তাদের আহ্বান জানাই, তারা যেন জনগণের পাশে থেকে চলতি উদ্ধার কাজে সহায়তা করে যান।এদিকে নাগরাকাটায় বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শনে গিয়ে সাংসদ খগেন মুর্মু ও বিধায়ক শঙ্কর ঘোষের ওপর হামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংজি। রাজ্য বিজেপি সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য এক্স হ্যান্ডেলে বলেছেন, তিনি টেলিফোনে আমার সঙ্গে কথা বলে ঘটনার বিস্তারিত জানতে চান এবং স্পষ্ট বার্তা দেন রাজনীতিতে হিংসার কোনো স্থান নেই। পশ্চিমবঙ্গের মানুষ এই অন্যায় ও অত্যাচার কখনো মেনে নেবে না। সবাই মিলে এই হিংসার রাজনীতি প্রতিহত করতে হবে। বাংলার মানুষ গণতন্ত্রের শক্তিতে বিশ্বাস রাখে।

অক্টোবর ০৭, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal