• ৯ পৌষ ১৪৩২, শনিবার ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

বিদেশ

বিদেশ

কাশ্মীরে আগুন ধরাল ছাত্ররাই! গুলির পর রাস্তায় ফুঁসছে Gen Z

পাক অধিকৃত কাশ্মীরে (POK) ফের দাউদাউ করে জ্বলছে জনরোষ। কদিন আগেই প্রশাসনের বিরুদ্ধে ভয়াবহ বিক্ষোভে উত্তাল হয়েছিল এই অশান্ত ভূখণ্ড। এবার সেই আগুন ছড়িয়েছে নতুন প্রজন্মের হাতে ক্লাসরুম থেকে রাস্তায় নেমেছে Gen Z। শুরুতে প্রতিবাদ ছিল কেবল শিক্ষাব্যবস্থা ও ফি বৃদ্ধির বিরুদ্ধে, কিন্তু দিন গড়াতেই সেই ক্ষোভ রূপ নিয়েছে শেহবাজ শরিফ সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র জনআন্দোলনে।মুজাফফরাবাদে একসময় যে মিছিলগুলো ছিল শান্তিপূর্ণ, তা এখন যেন রণক্ষেত্র। সূত্রের খবর, বিক্ষোভ চলাকালীন হঠাৎই এক বন্দুকধারী ছাত্রদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়। একজন গুরুতর আহত হন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা গিয়েছে পুলিশের উপস্থিতিতেই এক ব্যক্তি বিক্ষোভকারীদের দিকে গুলি চালাচ্ছে, আর মুহূর্তের মধ্যেই বিশৃঙ্খলা ছড়িয়ে পড়ছে চারপাশে।এই গুলির ঘটনাই বদলে দিয়েছে আন্দোলনের মোড়। ক্ষুব্ধ ছাত্ররা রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে, সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর করে, শেহবাজ শরিফ সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান তুলেছে। আমরা চুপ থাকব না এমন স্লোগানে মুখর মুজাফফরাবাদের আকাশ। দক্ষিণ এশিয়ার নেপাল ও বাংলাদেশে Gen Z তরুণদের মতোই এখানে যুব সম্প্রদায়ের তীব্র ক্ষোভ স্পষ্ট।সবকিছুর শুরু একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে। ক্রমাগত বাড়তে থাকা টিউশন ফি ও ন্যূনতম সুযোগ-সুবিধার অভাবে ক্ষোভ উগরে দেয় ছাত্ররা। প্রশাসন প্রথমে আন্দোলনকে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র বলে দেগে দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব রাজনৈতিক কার্যকলাপ নিষিদ্ধ করে দেয়। কিন্তু এই দমননীতি উলটে আগুনে ঘি ঢালে।এটাই প্রথম নয়। গত বছর, অর্থাৎ ২০২৪ সালের জানুয়ারিতেও একই ধরনের আন্দোলন হয়েছিল। তখনও ছাত্ররা অভিযোগ করেছিল প্রশাসন তিন-চার মাস অন্তর লাখ লাখ টাকা নিচ্ছে সেমিস্টার ফি নামে। পরে আন্দোলনে যোগ দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মচারীরাও, যাঁরা দাবি করেন, তাঁদের বহুদিনের বকেয়া বেতনও মেটানো হয়নি।এবারের আন্দোলনে যোগ দিয়েছে স্কুল স্তরের ছাত্ররাও। তাঁদের ক্ষোভ নতুন ই-মার্কিং বা ডিজিটাল মূল্যায়ন ব্যবস্থাকে কেন্দ্র করে। অক্টোবরের ৩০ তারিখে ঘোষিত ইন্টারমিডিয়েট ফার্স্ট ইয়ার পরীক্ষার ফল প্রকাশের পরেই রাগে ফুঁসে ওঠে গোটা অঞ্চল। ছমাস দেরিতে প্রকাশিত ফলাফলে ছাত্রছাত্রীরা দেখে কেউ অপ্রত্যাশিতভাবে ফেল করেছে, আবার কেউ পাস করেছে এমন বিষয়ে যার পরীক্ষাতেই বসেনি!সরকার এখনও মুখ খোলেনি। তবে মিরপুর শিক্ষা বোর্ড জানিয়েছে, তারা ই-মার্কিং প্রক্রিয়ার উপর একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। কিন্তু তাতে শান্ত হয়নি ছাত্ররা। তাঁদের দাবি, পুনর্মূল্যায়নের ফি সম্পূর্ণ মাফ করতে হবে। কারণ বর্তমানে প্রতিটি বিষয়ের রিচেকিং ফি ১,৫০০ টাকা। অর্থাৎ সাতটি বিষয়ে পুনর্মূল্যায়ন চাইলে একজন ছাত্রকে গুনতে হবে ১০,৫০০ টাকা যা মধ্যবিত্ত পরিবারের পক্ষে অসম্ভব।পাক অধিকৃত কাশ্মীরের এই ছাত্র আন্দোলন এখন গোটা অঞ্চলে বিক্ষোভের প্রতীক হয়ে উঠেছে। মুজাফফরাবাদ থেকে মিরপুর পর্যন্ত শোনা যাচ্ছে একই স্লোগান আমাদের ভবিষ্যৎ ফেরত দাও!। প্রশাসনের কড়া দমননীতি, পুলিশি হুমকি, এমনকি গুলি কিছুই থামাতে পারছে না তরুণদের রাগ।

নভেম্বর ০৬, ২০২৫
বিদেশ

ফরাসি উপকূলে ভয়াবহ হামলা, আল্লাহ-এর নাম নিয়ে জনতার ওপর চালিয়ে দিল গাড়ি

ফের রক্তে ভেসে গেল ফ্রান্সের রাস্তা। বুধবার সকালে আটলান্টিক উপকূলে ওলেরন (Olron) শহরের শান্ত সকাল মুহূর্তে পরিণত হয় রণক্ষেত্রে। পথচারীদের ভিড়ের মধ্যে হঠাৎই বেপরোয়া গতিতে ঢুকে পড়ে একটি গাড়ি। মুহূর্তের মধ্যেই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন বহু মানুষ। প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা অনুযায়ী, গাড়িচালককে থামানোর চেষ্টা করা হলেও, তিনি ক্রমাগত চিৎকার করছিলেন আল্লাহু আকবর!এই ভয়ঙ্কর ঘটনায় এখন পর্যন্ত অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গিয়েছে। রক্তাক্ত অবস্থায় আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।পুলিশ সূত্রে খবর, ৩৫ বছরের ওই চালক ওলেরনেরই বাসিন্দা। তাঁর নাম এখনো প্রকাশ করা হয়নি, তবে প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে তিনি লা কোটিনিয়ে (La Cotinire) নামের এক ছোট মৎস্যগ্রামের বাসিন্দা। ঘটনাস্থলেই তাঁকে গ্রেপ্তার করে স্থানীয় পুলিশ। তাঁকে গ্রেপ্তারের সময়ও তিনি ধর্মীয় স্লোগান দিচ্ছিলেন বলে জানিয়েছে প্রত্যক্ষদর্শীরা।ঘটনাস্থলে দ্রুত পৌঁছায় বিপুল পুলিশবাহিনী। উলটে যাওয়া গাড়ির ভেতর থেকে ধৃতকে উদ্ধার করার সময়ও তাঁকে ক্রমাগত চিৎকার করতে শোনা যায়। পুলিশ জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে এটি ইচ্ছাকৃত হামলা বলেই মনে হচ্ছে। তবে তাঁর সঙ্গে কোনও জঙ্গি সংগঠনের যোগ রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।ফরাসি প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, অভিযুক্তের অতীতে অপরাধমূলক রেকর্ড রয়েছে। মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালানো এবং মাদক সংক্রান্ত একাধিক অপরাধের জন্য আগে দুবার গ্রেপ্তার করা হয়েছিল তাকে। ফলে এটি নিছক দুর্ঘটনা, নাকি ধর্মীয় উন্মাদনায় প্ররোচিত পরিকল্পিত হামলা সেই প্রশ্নে এখন ফুঁসছে ফ্রান্স।ওলেরন ফ্রান্সের পশ্চিম উপকূলে অবস্থিত একটি ছোট দ্বীপ, যা সাধারণত পর্যটকদের প্রিয় গন্তব্য। সেই শান্ত শহরে সকালবেলায় এমন নৃশংস হামলায় চমকে গিয়েছে স্থানীয় বাসিন্দারা। ঘটনাস্থল ঘিরে কড়া নিরাপত্তা জারি করেছে পুলিশ। ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইতিমধ্যেই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

নভেম্বর ০৬, ২০২৫
বিদেশ

“পৃথিবী ১৫০ বার ধ্বংস করতে পারি”—ট্রাম্পের বিস্ফোরক হুমকি!

আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারও বিস্ফোরক মন্তব্য করে বিতর্কের কেন্দ্রে। মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগেও নোবেল শান্তি পুরস্কারের দাবিতে নিজেকে শান্তির দূত হিসেবে প্রচার করছিলেন তিনি। দাবি করেছিলেন, তাঁর নেতৃত্বে আমেরিকা নাকি আটটি যুদ্ধ থামিয়েছে। কিন্তু নোবেল না পেতেই সুর বদলএবার তিনি ঘোষণা করলেন, আমেরিকার কাছে রয়েছে এত পারমাণবিক অস্ত্র আছে, যা দিয়ে পৃথিবী ১৫০ বার উড়িয়ে দেওয়া সম্ভব।ট্রাম্প বলেন, আমেরিকা যদি পারমাণবিক পরীক্ষা বন্ধ রাখে আর প্রতিদ্বন্দ্বী দেশগুলি যদি পরীক্ষা চালিয়ে যায়, তা হলে ক্ষতি শুধুই আমেরিকার। তাই ৩৩ বছর পর আবার পারমাণবিক বিস্ফোরণ পরীক্ষা চালু করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, রাশিয়া, চীন, উত্তর কোরিয়া এবং পাকিস্তান গোপনে পারমাণবিক পরীক্ষা করছে। আমেরিকা একা ভদ্র থাকলে চলবে না।নোবেল হাতছাড়া হওয়ার পর থেকেই ট্রাম্পের এই কড়া ভাষা নজর কাড়ছে। তিনি বলেছেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে নিরস্ত্রীকরণ নিয়ে আলোচনা করেছেন। তবুও তিনি স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, শত্রুপক্ষ যখন আরও শক্তি বাড়াচ্ছে, তখন আমেরিকা পিছিয়ে থাকবে না। তাঁর দাবি, আমেরিকার হাতে বিশ্বের সবচেয়ে বড় পারমাণবিক ভান্ডার। রাশিয়ার অনেক আছে, চীনও দ্রুত বাড়াচ্ছে। আমরাও প্রস্তুত।তবে এখানেই শেষ নয়। সম্প্রতি ভারতপাকিস্তান সীমান্ত উত্তেজনা থামাতে ভূমিকা নেওয়ার দাবি করেছিলেন ট্রাম্প। বলেছিলেন, তিনি যুদ্ধ থামাতে চান, নিরীহ মানুষ বাঁচাতে চান। অথচ এখনই তাঁর নতুন বার্তাশান্তি নয়, শক্তিই আসল।

নভেম্বর ০৩, ২০২৫
বিদেশ

চলন্ত ট্রেনে রক্তঝড়! যাত্রীদের উপর ছুরি হামলা, আতঙ্কে থমকাল ট্রেন

লন্ডনগামী একটি ট্রেনের ভিতর শনিবার রাতে তৈরি হল আতঙ্কের আবহ। হঠাৎই কয়েকজন যাত্রীর উপর ধারালো ছুরি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে দুষ্কৃতীরা। মুহূর্তেই চিৎকার, রক্ত, দৌড়ঝাঁপসব মিলিয়ে ট্রেনের কামরাটি পরিণত হয় বিভীষিকার দৃশ্যে। বাঁচার জন্য যাত্রীরা ছুটতে ছুটতে শৌচাগারে লুকিয়ে পড়েন। কেউ কেউ পা পিছলে পড়ে আহত হন। কামরার মেঝে রক্তে ভরে যায়।ঘটনাটি ঘটেছে কেমব্রিজের কাছে। রাত ৭টা ৩৯ মিনিট নাগাদ পুলিশ ফোন পায় ট্রেনে ছুরি নিয়ে হামলার খবর। খবর পেয়েই সশস্ত্র বাহিনী পৌঁছে যায় নিকটবর্তী স্টেশন হান্টিংডনে। এরপর ট্রেনটিকে মাঝপথেই থামানো হয়। স্টেশনে দাঁড়াতেই দৌড়ে ওঠে বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী। আতঙ্কগ্রস্ত যাত্রীদের নিরাপদে বার করে নিয়ে আসা হয়। অনেকে তখনও লুকিয়ে ছিলেন ট্রেনের বাথরুমে। পুলিশ তাঁদের একে একে উদ্ধার করে।প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, এক নয়, একাধিক ব্যক্তি হাতে লম্বা ছুরি নিয়ে যাত্রীদের উপর হামলা চালায়। তাঁদের কথায়, আক্রমণকারী চলতে চলতে দৌড়ে এগিয়ে আসছিল, আর চারদিকে ছড়িয়ে ছিল রক্ত। আতঙ্কে সবাই পালাতে শুরু করে। ট্রেন থামতেই একজন হামলাকারী বড় ছুরি হাতে নেমে আসার চেষ্টা করে, কিন্তু পুলিশ সঙ্গে সঙ্গেই তাঁকে কাবু করে ফেলে।এ ঘটনায় ইতিমধ্যেই দুই সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আহতদের নিয়ে যাওয়া হয়েছে নিকটবর্তী হাসপাতালে। যদিও ব্রিটিশ পুলিশ এখনও পর্যন্ত আহতের আনুষ্ঠানিক সংখ্যা জানাতে পারেনি, সূত্রের দাবিকমপক্ষে দশজন ছুরিকাহত।হঠাৎ এই হামলার উদ্দেশ্য এখনও পরিষ্কার নয়। সন্ত্রাস দমন বিভাগও তদন্তে নেমেছে। পুরো দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও শক্ত করা হয়েছে। ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টার্মার। তিনি বলেছেন, নিরীহ মানুষকে টার্গেট করে এমন হামলা বরদাস্ত করা হবে না।সাধারণ যাত্রার একটি রাত যে এমন রক্তাক্ত দুঃস্বপ্নে পরিণত হবে, তা ভাবেননি কেউই। ব্রিটেনে এখন একটাই প্রশ্নট্রেনে এই হামলার পিছনে কারা, এবং কেন?

নভেম্বর ০২, ২০২৫
বিদেশ

গাজা শান্তি সম্মেলনে ভারতের প্রতিনিধি কীর্তি বর্ধন সিং

মিশরের শর্ম-এল-শেখে সোমবার অনুষ্ঠিত হতে চলেছে গাজা শান্তি সম্মেলন। সেখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিশেষ দূত হিসেবে ভারতকে প্রতিনিধিত্ব করবেন কেন্দ্রীয় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কীর্তি বর্ধন সিং।সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ এল-সিসি শেষ মুহূর্তে প্রধানমন্ত্রী মোদিকে আমন্ত্রণ জানান। তবে মোদি নিজে অংশ না নিয়ে প্রতিনিধিত্বের দায়িত্ব দিয়েছেন প্রতিমন্ত্রীকে।এই সম্মেলনে অংশ নেবেন আরও বেশ কয়েকজন বিশ্বনেতা জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মের্জ, ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমমানুয়েল মাক্রোঁ, স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদরো স্যাঞ্চেজ এবং জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।কূটনৈতিক মহল মনে করছে, গাজা উপত্যকার সংঘাত পরিস্থিতি নিয়ে এই বৈঠকে আন্তর্জাতিক পরিসরে শান্তি প্রক্রিয়া এগিয়ে নেওয়ার রূপরেখা তৈরি হতে পারে। উল্লেখ্য গাজায় আপাতত যুদ্ধবিরতি চলছে।

অক্টোবর ১২, ২০২৫
বিদেশ

নেপালে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনে কি অনিশ্চয়তা বাড়ছে? কে পাচ্ছেন দায়িত্ব?

কে পি শর্মা ওলি সরকারের পতনের পর নেপালে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন নিয়ে অনিশ্চয়তা বৃহস্পতিবার আরও তীব্র হয়ে ওঠে। জেনারেল জেডের প্রতিবাদী দলগুলি ক্ষমতার অস্থায়ী নিয়ন্ত্রণ কে নেবে তা নিয়ে বিভক্ত হয়ে পড়ে এবং রাষ্ট্রপতি রাম চন্দ্র পৌডেল জোর দিয়ে বলেন, বর্তমান অচলাবস্থার যে কোনও সমাধান বিদ্যমান সংবিধানের অধীনেই খুঁজে বের করতে হবে।রাষ্ট্রপতির এই অবস্থান নেপালের সেনাপ্রধান জেনারেল অশোক রাজ সিগডেলের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দ্রুত দায়িত্ব গ্রহণের প্রচেষ্টাকে জটিল করে তোলে। একদিন আগে, জেনারেল সিগডেল প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি সুশীলা কার্কিকে অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান নির্বাহী হিসেবে পদত্যাগ করতে বলেছিলেন, অনেক বোঝাপড়া এবং জেনারেল জেডের কিছু গোষ্ঠীর আনুষ্ঠানিক বিবৃতির পর তিনি এই প্রস্তাব গ্রহণ করেন।নেপালের বর্তমান সংবিধান কোনও প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি বা সুপ্রিম কোর্টের বিচারককে রাষ্ট্রপতি বা প্রধানমন্ত্রী হতে বা অবসর গ্রহণের পরে অন্য কোনও রাজনৈতিক বা সাংবিধানিক পদে অধিষ্ঠিত হতে দেয় না। কার্কি ২০১৭ সালের জুনে অবসর গ্রহণ করেন। রাষ্ট্রপতি পৌডেল বলেন যে বিদ্যমান সংবিধানের অধীনে অচলাবস্থা থেকে বেরিয়ে আসার উপায় সম্ভব এবং এটি আরও এগিয়ে নেওয়া উচিত।তাঁর এই দাবিকে অত্যন্ত মেরুকৃত পরিবেশে বিদ্যমান রাজনৈতিক ব্যবস্থা এবং সংবিধান রক্ষার পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। কমপক্ষে চারটি প্রধান দল - সিপিএন (মাওবাদী কেন্দ্র), নেপালি কংগ্রেস, সিপিএন (ইউএমএল) এবং মাদেশ-কেন্দ্রিক গোষ্ঠী - তার আহ্বানকে সমর্থন করেছে।পৌডেলের এই বক্তব্য জেনারেল সিগডেলের একাধিক জেনারেল জেড গ্রুপ এবং অন্যান্য নেতাদের আলোচনার টেবিলে আনার প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে। যেখানে কোনও বিদ্যমান রাজনৈতিক দলের নেতার নেতৃত্বে নয় এমন একটি সরকার গঠনের সুবিধার্থে, প্রধান রাজনৈতিক দলগুলির নেতারা এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন।রাষ্ট্রপতির এই পদক্ষেপ সফল হলে, বিষয়টি সংসদে ফিরে আসবে যেখানে নেপালি কংগ্রেস এবং সিপিএন (ইউএমএল)-এর জোট - দুই দিন আগে অলি প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ না করা পর্যন্ত ক্ষমতাসীন জোট - সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে। এটি অলি বা তার মনোনীত প্রার্থীর ফিরে আসার সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয় কারণ তিনি এখনও সংসদীয় দলের নেতা হিসেবে পদত্যাগ করেননি।সংবিধান এবং সংসদ রক্ষার এই পদক্ষেপ জেনারেল জেড গ্রুপিংয়ের মধ্যে বিভ্রান্তি এবং বিভক্তির মধ্যে এসেছে - এর কোনও আনুষ্ঠানিক কাঠামো বা কমান্ডের শৃঙ্খল নেই এবং একাধিক গ্রুপ বিভিন্ন এজেন্ডা নিয়ে এগোচ্ছে।বিদ্যমান সংবিধান রক্ষার জন্য ঐক্যের লক্ষণ দেখানো সত্ত্বেও, প্রধান রাজনৈতিক দলের নেতারা ২০ জন বিক্ষোভকারীর হত্যা এবং সরকারি সম্পত্তি ধ্বংসের জন্য দোষারোপের খেলা শুরু করেছেন। অলি এই সহিংসতার জন্য সমাজবিরোধী এবং অপরাধীদের দায়ী করেছেন। তাঁর দাবি, জেনারেল জেড গ্রুপগুলিতে অনুপ্রবেশ করেছিল। কিন্তু মাওবাদী প্রধান পুষ্প কমল দহল প্রচণ্ড সরাসরি সিপিএন (ইউএমএল) এবং নেপালি কংগ্রেসের ক্ষমতাসীন জোটের উপর দোষ চাপিয়েছেন। ১৪ মাস আগে যখন আমি দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে শুরু করি, তখন তারা একসাথে আমার সরকারকে উৎখাত করে, তিনি বলেন।

সেপ্টেম্বর ১২, ২০২৫
বিদেশ

প্রধানমন্ত্রীসহ একাধিক মন্ত্রীর পদত্যাগ, মন্ত্রীদের বাড়িতে আগুন, জ্বলছে প্রতিবেশি নেপাল

দুর্নীতিবিরোধী বিক্ষোভ টানা দ্বিতীয় দিনের মতো সহিংস হয়ে ওঠার পর মঙ্গলবার নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি পদত্যাগ করেছেন। কাঠমান্ডু পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অভূতপূর্ব, গুরুতর পরিস্থিতি এবং নিরাপত্তাজনিত উদ্বেগের কথা উল্লেখ করে কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সমস্ত ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। টিআইএ-র জেনারেল ম্যানেজার হংসরাজ পান্ডে জানিয়েছেন, কোটেশ্বরের কাছে ধোঁয়ার কুণ্ডলীর কারণে দুপুর ১২:৪৫ মিনিটে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীসহ সিনিয়র মন্ত্রীরা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন এমন গুজবের মধ্যে টিআইএও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।দ্য কাঠমান্ডু পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার রাজধানী কাঠমান্ডুতে পরিস্থিতি আবারও উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে ওঠার পর প্রধানমন্ত্রী সর্বদলীয় বৈঠক ডেকেছেন। বিক্ষোভকারীরা ললিতপুরের সানেপা পাড়ায় নেপালি কংগ্রেস পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। এপির প্রতিবেদন অনুসারে, বিক্ষোভকারীরা বালকোটে প্রধানমন্ত্রী ওলি, রাষ্ট্রপতি রাম চন্দ্র পৌদেল এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রমেশ লেখকের বাসভবনেও আগুন ধরিয়ে দেয়। নেপাল সরকার দেশে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করার একদিন পরই নতুন করে এই বিক্ষোভের ঢেউ শুরু হয়েছে। জেনারেল-জেডের নেতৃত্বে নিষেধাজ্ঞা এবং সরকারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিক্ষোভের ফলে কমপক্ষে ১৯ জন নিহত এবং ৪০০ জনেরও বেশি আহত হওয়ার ঘটনা ঘটে।

সেপ্টেম্বর ০৯, ২০২৫
বিদেশ

নেপালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিষিদ্ধকরণে উত্তাল কাঠমান্ডু

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিষিদ্ধকরণের সিদ্ধান্তে উত্তাল নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু। সোমবার হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে এদিন ব্যাপক বিক্ষোভ দেখায়। ঘটনায় অন্তত ২০ জন নিহত এবং আড়াইশোরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন।সরকারি নির্দেশে ফেসবুক, এক্স (টুইটার) এবং ইউটিউব-সহ একাধিক জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম বন্ধ করে দেওয়া হয়। কারণ এগুলি রাষ্ট্রীয় নিয়মে নিবন্ধিত হয়নি। সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধেই বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।বিক্ষোভকারীরা নিউ বানেশ্বর এলাকায় ব্যারিকেড ভেঙে সংসদ ভবন ঘেরাও করে। পুলিশের সঙ্গে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। দাঙ্গা পুলিশকে পিছু হটতে বাধ্য করা হয়। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে টিয়ার গ্যাস ও জলকামান ব্যবহার করে নিরাপত্তা বাহিনী। এতে একজন নিহত এবং অন্তত ৮০ জন আহত হন, যাদের মধ্যে দুই সাংবাদিকও রয়েছেন। তবে সার্বিকভাবে হতাহতের সংখ্যা আরও বেড়ে ২০ জন নিহত ও প্রায় ২৫০ জন আহত হয়েছেন বলে সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে।সোমবার রাতের পর পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলেও প্রশাসনের আশঙ্কা, মঙ্গলবার ফের বিক্ষোভ হতে পারে। সেনা ও নিরাপত্তা বাহিনীকে গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় মোতায়েন রাখা হয়েছে।এদিকে প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলির নেতৃত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই ঘটনার তদন্তে একটি কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে প্রধানমন্ত্রী স্পষ্ট জানিয়েছেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের উপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হবে না। তার দাবি, সরকারের সিদ্ধান্তে মন্ত্রীদের প্রকাশ্যে সমর্থন জানাতে হবে।এই অবস্থানে ক্ষুব্ধ হয়ে জোটসঙ্গী নেপালি কংগ্রেসের মন্ত্রীরা বৈঠক থেকে ওয়াক আউট করেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে জরুরি বৈঠকের ডাক দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। রাজনৈতিক মহলের মতে, এই ঘটনার জেরে জোট সরকারের ভেতরকার টানাপোড়েন আরও প্রকট হয়ে উঠেছে।

সেপ্টেম্বর ০৮, ২০২৫
বিদেশ

ইউক্রেনে বিধ্বংসী হামলা রাশিয়ার! ভয়াবহ আগুনে জ্বলে খাক জেলেনস্কির অফিস, পরপর মৃত্যু

রাশিয়ার নতুন আক্রমণের পর ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের একটি প্রশাসনিক ভবনে ভয়াবহ আগুন লেগেছে বলে জানিয়েছেন কিয়েভ সামরিক প্রশাসনের প্রধান টিমার তাকাচেঙ্কো। আগুন লাগার পর পেচেরস্কি জেলার ওই ভবন থেকে ঘন ধোঁয়া বের হতে দেখা যায়, যা ইউক্রেনীয় সরকারের কেন্দ্রীয় ভবনের কাছাকাছি অবস্থিত।ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রী ইউলিয়া সভিরিডেনকো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানিয়েছেন, এই প্রথমবার রুশ হামলায় কোনো সরকারি ভবনের ছাদ ও উপরের তলা ক্ষতিগ্রস্ত হলো। কিয়েভে এই আক্রমণে তিনজন নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে একটি শিশু রয়েছে। আহত হয়েছেন অন্তত ১৮ জন, এবং সরকারি ভবন ছাড়াও একাধিক স্থাপনায় আগুন ছড়িয়ে পড়ে।কিয়েভের মেয়র ভিতালি ক্লিটসকো জানান, প্রথমে ড্রোন হামলা এবং পরবর্তীতে ক্ষেপণাস্ত্র আঘাতের ফলে ভবনে আগুন ধরে যায়। জরুরি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, আক্রান্ত একটি আবাসিক ভবনের চারটির মধ্যে দুটি তলায় আগুন ছড়িয়ে পড়ে। সভিয়াতোশিনস্কি জেলায় নয়তলা একটি ভবনের কয়েকটি অংশ ধসে পড়েছে। এছাড়া, ধ্বংসাবশেষ পড়ে ১৬ তলা ও দুটি নয়তলা ভবনে আগুন লাগে। তাকাচেঙ্কোর মতে, রাশিয়া ইচ্ছাকৃতভাবেই বেসামরিক স্থাপনা লক্ষ্যবস্তু করেছে।অন্যদিকে, ইউক্রেনের মধ্যাঞ্চলীয় শহর ক্রেমেনচুকে একাধিক বিস্ফোরণে কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায় বলে জানিয়েছেন মেয়র ভিতালি মালেটস্কি। একই অঞ্চলের ক্রিভি রিহ শহরে রুশ হামলায় পরিবহন ব্যবস্থা ও অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হলেও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সামরিক প্রশাসনের প্রধান ওলেকজান্ডার ভিলকুল।

সেপ্টেম্বর ০৭, ২০২৫
বিদেশ

আফগানিস্তানে ভয়াবহ ভূমিকম্প, বহু মানুষের মৃত্যুর আশঙ্কা, ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি! ভূকম্পন ভারতেও

আফগানিস্তানের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে পাকিস্তান সীমান্তের কাছে রবিবার গভীর রাতে ৬.০ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। আমেরিকার ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (USGS) এ তথ্য জানিয়েছে।ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল আফগানিস্তানের বাসাউল (Bāsawul) শহরের প্রায় ২২ মাইল উত্তর দিকে এবং এর গভীরতা ছিল ৬.২ মাইল। স্থানীয় সময় রাত ১১টা ৪৭ মিনিটে এটি অনুভূত হয়।নানগারহার জনস্বাস্থ্য বিভাগের মুখপাত্র নাকিবুল্লাহ রহিমি জানান, ভূমিকম্পে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। তাদের স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়েছে।প্রায় ২০ মিনিট পর একই প্রদেশে আরও একটি ভূমিকম্প আঘাত হানে। এর মাত্রা ছিল ৪.৫ এবং গভীরতা ছিল ১০ কিলোমিটার।আমেরিকার ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থার প্রকাশিত মানচিত্রে ভূমিকম্পের অবস্থান দেখানো হয়েছে।আফগানিস্তান ইউরেশীয় ও ভারতীয় টেকটোনিক প্লেটের সংযোগস্থলে অবস্থিত হওয়ায় দেশটি প্রায়ই ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর আফগানিস্তানে ৬.৩ মাত্রার আরেকটি ভয়াবহ ভূমিকম্প আঘাত হানে। এতে তালেবান সরকারের হিসাব অনুযায়ী অন্তত ৪,০০০ মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। তবে রাষ্ট্রসঙ্ঘের হিসাবে মৃত্যু হয়েছিল প্রায় ১,৫০০ জনের। এটি সাম্প্রতিক ইতিহাসে আফগানিস্তানের অন্যতম ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ ছিল।ইউনিসেফ জানিয়েছিল, নিহতদের মধ্যে ৯০ শতাংশের বেশি নারী ও শিশু।এর আগে ২০২২ সালের জুন মাসে আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলে ৫.৯ মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছিল, যাতে এক হাজারের বেশি মানুষ নিহত এবং দেড় হাজারের বেশি আহত হয়।

সেপ্টেম্বর ০১, ২০২৫
বিদেশ

কলকাতায় হাসিনার কার্যালয়? তোলপাড় ফেলা অভিযোগে হুলস্থূল

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূস সম্প্রতি অভিযোগ করেন যে, শেখ হাসিনার দল আওয়ামী লীগ দিল্লি ও কলকাতায় অফিস খুলেছে। তিনি দাবি করেছিলেন, এই অফিসগুলি অবিলম্বে বন্ধ করা না হলে ভারতবাংলাদেশ সম্পর্কের অবনতি ঘটতে পারে। ইউনূস সরকার এই অফিস খোলাকে বাংলাদেশ বিরোধী কার্যকলাপ হিসেবে উল্লেখ করে কড়া পদক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছিলেন।তবে ভারতের বিদেশ মন্ত্রক বুধবার এই অভিযোগ সম্পূর্ণভাবে খারিজ করে দিয়েছে। মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল জানান, ভারত সরকার ভারতীয় আইনের পরিপন্থী কোনও কার্যকলাপ সম্পর্কে অবগত নয়। তিনি বলেন, ভারতে আওয়ামী লীগের সদস্যদের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ বিরোধী কার্যকলাপ বা আইন লঙ্ঘনের কোনো তথ্য সরকারকে পাওয়া যায়নি। ভারত তার ভূখণ্ড থেকে কোনও বিদেশি রাজনৈতিক কার্যকলাপ অনুমোদন করে না।একই সঙ্গে ভারত বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের অভিযোগকেও ভিত্তিহীন বলে প্রত্যাখ্যান করেছে। মুখপাত্রের বক্তব্য, ভারত আশা করে বাংলাদেশ যত দ্রুত সম্ভব অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করবে, যাতে সেখানকার জনগণের মতামত প্রতিফলিত হয়।এর আগে ইউনূস সরকার আওয়ামী লীগকে বাংলাদেশে নিষিদ্ধ করার ঘোষণা দেয় এবং ভারতের বিরুদ্ধে সম্পর্ক নষ্ট করার অভিযোগ তুলেছিল। এছাড়াও তাঁর বিরুদ্ধে জনগণকে উসকানি দেওয়ার অভিযোগও উঠেছিল। কিন্তু ভারত স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে যে, তারা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে কোনও ভূমিকা নিচ্ছে না, বরং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান হওয়া উচিত।

আগস্ট ২১, ২০২৫
বিদেশ

এয়ার ইন্ডিয়ার বার্মিংহাম-দিল্লি বিমানে বোমা হামলার আশঙ্কা, রিয়াধে জরুরি অবতরণ

বোমা হামলার আশঙ্কায় দিল্লিগামী এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান রিয়াধে অবতরণ করল। সিএনএন-নিউজ১৮ জানিয়েছে, বার্মিংহাম থেকে দিল্লিগামী এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইট AI-114, বোমা হামলার আশঙ্কায় রিয়াধে অবতরণ করেছে। ফ্লাইটটি বার্মিংহাম থেকে রাত ৮:২৬ মিনিটে ছেড়ে দিল্লি যাচ্ছিল।বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার বিমানটি রিয়াধের কিং খালিদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেছে। বিমানে থাকা সকল যাত্রীকে বিমান থেকে নামিয়ে হোটেলে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।এর আগে ১৬ জুন, হায়দ্রাবাদগামী লুফথানসার একটি বিমান হঠাৎ করে ইউ-টার্ন নেয় এবং উড়ানের মাঝখানে বোমা হামলার হুমকি পেয়ে ফ্রাঙ্কফুর্টে ফিরে আসে। উড়ানের প্রায় দুই ঘন্টা পরে বিমানটি ফিরে আসে।হায়দ্রাবাদ বিমানবন্দরের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন যে সন্ধ্যা ৬:০১ মিনিটে ইমেলের মাধ্যমে হুমকি আসেয। সেই সময় বিমানটি বুলগেরিয়ার আকাশসীমার উপর দিয়ে যাচ্ছিল।

জুন ২২, ২০২৫
বিদেশ

ইতিহাস গড়লেন ডোনা! কেমব্রিজে প্রথম ভারতীয় শাস্ত্রীয় নৃত্যের কর্মশালা সৌরভ জায়ার

কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের জেসাস কলেজের ঐতিহাসিক প্রাঙ্গণ আজ ভারতীয় শাস্ত্রীয় নৃত্যের চিরকালীন ছন্দে মুখরিত হলো, যেখানে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ওড়িশি নৃত্যশিল্পী প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক সৌরভ জায়া ডোনা গাঙ্গুলি পরিচালনা করলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম শাস্ত্রীয় নৃত্য কর্মশালা।কেমব্রিজের সাংস্কৃতিক ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় রচিত হলো এই কর্মশালার মাধ্যমে, যেখানে ছাত্রছাত্রী, অধ্যাপক ও শিল্পপ্রেমীরা ওড়িশি নৃত্যভারতের আটটি স্বীকৃত শাস্ত্রীয় নৃত্যধারার অন্যতমসম্পর্কে একটি গভীর ও বাস্তবধর্মী অভিজ্ঞতা অর্জন করেন। অংশগ্রহণকারীরা শিখলেন এই শিল্পরূপের মূল ভঙ্গিমা, অভিব্যক্তি এবং এর দার্শনিক ভিত্তি, যা এর আধ্যাত্মিক মূল এবং দুই হাজার বছরের ঐতিহ্যের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত।এই কর্মশালায় বিভিন্ন পটভূমি থেকে আগত অংশগ্রহণকারীরা অংশ নেন, যাঁদের অনেকেই প্রথমবারের মতো ভারতীয় শাস্ত্রীয় নৃত্য প্রত্যক্ষ করেন। সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য ও অন্তর্ভুক্তির উপর জোর দিয়ে এই অনুষ্ঠানটি এমন সকলকে স্বাগত জানায়, যাঁদের নৃত্যে পূর্বে কোনো অভিজ্ঞতা ছিল না।এই উপলক্ষে শ্রীমতি ডোনা গাঙ্গুলি বলেন, কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে ওড়িশির উত্তরাধিকার ভাগ করে নিতে পারা আমার জন্য এক গৌরবের ও আবেগঘন অভিজ্ঞতা। এই নৃত্য কেবল ভঙ্গিমা নয়এটি এক ধ্যান, ভক্তি ও গল্প বলা। আমি খুবই আনন্দিত এমন উৎসাহী অংশগ্রহণ ও ভারতীয় সংস্কৃতির প্রতি আগ্রহ দেখে। এটি কেবল একটি পরিবেশনা নয়, এটি এক ধরনের সাংস্কৃতিক সংযোগ যা শিল্পের মাধ্যমে তৈরি হয়।এই উদ্যোগ আন্তর্জাতিক পরিসরে ভারতীয় শাস্ত্রীয় ঐতিহ্যের প্রতি ক্রমবর্ধমান আগ্রহকে তুলে ধরে এবং কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য ও বৈশ্বিক সম্পৃক্ততার প্রতিশ্রুতিকে প্রতিফলিত করে। আয়োজকরা আশা প্রকাশ করেছেন, এটি কেবল শুরুভবিষ্যতে আরও এরকম অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ভারতীয় পারফর্মিং আর্টস নিয়ে আরও গভীর অনুসন্ধান চালানো সম্ভব হবে।কর্মশালাটি বিপুল সাড়া পায়; অংশগ্রহণকারীরা ডোনা গাঙ্গুলির উষ্ণতাপূর্ণ ও অনুপ্রেরণামূলক শিক্ষা এবং নৃত্যের সৌন্দর্যের প্রতি অকুণ্ঠ প্রশংসা জানান। ভবিষ্যতের জন্য আরও সহযোগিতা ও ভারতীয় সংস্কৃতির উপর ভিত্তি করে সম্প্রসারিত কর্মসূচির পরিকল্পনাও ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে।ডোনা গাঙ্গুলি খ্যাতনামা ওড়িশি নৃত্যশিল্পী ও দীক্ষা মঞ্জরি একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা, প্রখ্যাত গুরু পন্ডিত কেলুচরণ মহাপাত্রের শিষ্যা এবং ভারত ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সাংস্কৃতিক উৎসবে তাঁর নৃত্য পরিবেশনের জন্য প্রসিদ্ধ। ডোনা জানান তাঁর লক্ষ্য ওড়িশি নৃত্যের সৌন্দর্য ও দার্শনিক ভিত্তি আগামী প্রজন্মের কাছে বিশ্বব্যাপী পৌঁছে দেওয়া।

জুন ১৫, ২০২৫
বিদেশ

সিন্ধু প্রদেশে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের হাতে নিহত শীর্ষ লস্কর সন্ত্রাসী সাইফুল্লাহ খালিদ

পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশে অজ্ঞাত বন্দুকধারীদের হাতে নিহত হয়েছে লস্কর-ই-তৈয়বা (LeT) এর শীর্ষ সন্ত্রাসী রাজাউল্লাহ নিজামানি, যিনি আবু সাইফুল্লাহ খালিদ নামেও পরিচিত। রবিবার বিকেলে সিন্ধুর বাদিন জেলার মাতলি শহরে নিজের বাসার কাছেই একদল অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি গুলি করে হত্যা করেছে তাকে। হত্যাকারীদের পরিচয় এখনও অজানা। সাইফুল্লাহ খালিদ ভারতের তিনটি বড় সন্ত্রাসী হামলার মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন:১। ২০০১ সালে উত্তরপ্রদেশের রামপুরে সিআরপিএফ ক্যাম্পে হামলা,২। ২০০৫ সালে বেঙ্গালুরুর ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স (IISc) এ হামলা,৩। ২০০৬ সালে নাগপুরে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (RSS) সদর দপ্তরে আত্মঘাতী হামলার চেষ্টা।নেপালে ভিনোদ কুমার নামে ভুয়া পরিচয়ে তিনি দীর্ঘদিন লস্করের নেপাল মডিউলের নেতৃত্ব দেন, যেখানে তিনি অর্থায়ন, নিয়োগ ও লজিস্টিক সহায়তার দায়িত্বে ছিলেন। সেখানে তিনি স্থানীয় এক নারী নাগমা বানুকে বিয়ে করেন। ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলি তার কার্যক্রম শনাক্ত করার পর তিনি পাকিস্তানে ফিরে যান এবং সিন্ধুর বাদিন জেলায় বসবাস শুরু করেন। সেখানে তিনি লস্কর ও জামাত-উদ-দাওয়ার হয়ে নিয়োগ ও অর্থ সংগ্রহের কাজ চালিয়ে যাচ্ছিলেন।তার মৃত্যু ভারতের সাম্প্রতিক অপারেশন সিন্দুর এর পর ঘটেছে, যেখানে ভারতীয় সেনাবাহিনী পাকিস্তান ও পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীরে সন্ত্রাসী ঘাঁটিগুলিতে হামলা চালিয়ে ১০০-রও বেশি সন্ত্রাসীকে হত্যা করে। সাইফুল্লাহ খালিদের মৃত্যু লস্কর-ই-তৈয়বার জন্য একটি বড় ধাক্কা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে, কারণ তিনি সংগঠনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ পরিকল্পনা ও সমন্বয়ের দায়িত্ব পালন করতেন।

মে ১৮, ২০২৫
বিদেশ

এ এক অনবদ্য শ্রদ্ধার্ঘ! জাকির হোসেনের সমাধিস্থলে উত্তরসূরি হিন্দোল

২০২৪-র ডিসেম্বরের ১৫তে ৭৩ বছর বয়সে প্রবাদ প্রতিম তবলিয়া ওস্তাদ জাকির হুসেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকোর একটি হাসপাতালে পরলোক গমন করেন। তাঁর দেহ আমেরিকার ৩০১, টেনেসি ভ্যালি রোড, মিল ভ্যালি তে ফার্নউড কবরস্থানে সমাধিস্থ করা হয়। অসংখ্য গুণগ্রাহী ছাড়াও পৃথিবীর সমস্ত স্তরের সঙ্গীত শিল্পীরা শোকসন্তপ্ত হয়ে পরেন। ওস্তাদ জাকির হুসেন ১৯৫১ র ৯ই মার্চ ভারতের বোম্বেতে (বর্তমান মুম্বই) জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা ছিলেন প্রবাদ প্রতিম তবলা বাদক ওস্তাদ আল্লা রাখা। মাত্র তিন বছর বয়স থেকে জাকির হোসেন তাঁর পিতার কাছে তবলা বাজানোর তালিম নেওয়া শুরু করেন।ভারতবর্ষ থেকে কয়েক হাজার যোজন দূরে এই মহামানবের সমাধিস্থল দর্শনের সৌভাগ্য খুব কম জনেরই হয়েছে। বৃহস্পতিবার ৮ মে প্রথিতযশা তবলিয়া পণ্ডিত হিন্দোল মজুমদার তাঁর সমাধিস্থলে শ্রদ্ধার্ঘ জ্ঞ্যাপন করতে যান। তিনি তাঁর সামাজিক মাধ্যমে একটি পোস্ট করেন তাতে দেখা যাচ্ছে হিন্দোল মজুমদার জাকির হোসেনের সমাধির সামনে দাঁড়িয়ে তবলার বোল উচ্চাড়ন করে তাঁকে শ্রদ্ধার্ঘ দিচ্ছেন। এই অভুতপূর্ব দৃশ্য দেখে অনেকেই আবেগ প্রবন হয়ে পরেন। প্রসঙ্গত, জাকির হোসেনের পিতা ওস্তাদ আল্লা রাখা এক সাক্ষাতকারে জানিয়েছিলেন, জাকিরের জন্মের পর তাঁদের প্রথা মত পিতার সন্তানের কানে আজানের বানি শোনানোর পরিবর্তে আল্লা রাখা জাকিরের কানে তিনতালের বোল শুনিয়েছিলেন। হিন্দোলের এই শ্রদ্ধার্ঘ অনেককেই সেই নাস্টালজিয়ার কথা স্মরণ করিয়ে দিলো।তিনি তাঁর সামাজিক মাধ্যমে লেখেন, আজ আমি ওস্তাদ জাকির হোসেন জির সমাধিতে শ্রদ্ধা জানাতে পেরেছি, কখনও ভাবিনি কিংবদন্তিকে এইভাবে দেখব, এখনও বিশ্বাস হচ্ছে না যে সঙ্গীতের জগৎ তাকে ছাড়া থাকবে - তাঁর আত্মা চির শান্তিতে বাস করুক-ওম শান্তি। হিন্দোল মজুমদার কে জাকিরজির সমাধিস্থলে নিয়ে আসার জন্য প্রতিভাবান সরোদ বাদক সৌরদীপ ভট্টাচার্যকে বিশেষ ধন্যবাদ জানান।পণ্ডিত হিন্দোল মজুমদার জনতার কথাকে জানান, জাকির জি আমাদের মতো তবলিয়াদের কাছে একজন পথিকৃৎ বা মশিয়াহ। তাঁকে এবং পন্ডিত স্বপন চৌধুরী জি মত তবলিয়া কে সামনে রেখেই আমাদের বেড়ে ওঠা। তিনি জানান জাকির জি ছিলেন আমার খলিফা। আমার গুরু প্রয়াত পন্ডিত শঙ্খ চট্টোপাধ্যায় ছিলেন ওস্তাদ আল্লা রাখার শিষ্য। তিনি আরও জানান তবলা কে যে উচ্চতায় জাকির জি নিয়ে গেছেন সেটা অনুধাবন করার মত সময় এখনো আসেনি। হিন্দোল মজুমদার আরও জানান, জাকির জি ও পণ্ডিত স্বপন চৌধুরী কে দেখেই তাঁদের সমসাময়িক তবলা শিল্পীরা ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের প্রচার ও প্রসারে আমেরিকা ও ইউরোপে এসে নারা বাঁধেন। সেই পরম্পরা আজও চলছে। আমরা তাঁদের দেখানো পথই অনুসরন করে চলেছি।তিনি জানান, জাকির জি বছরের বেশীরভাগ সময়ই পরিবারের সাথে আমেরিকাতে কাটাতেন, ২-৪ মাস ভারতে এসে বিভিন্ন কনসার্টে অংশগ্রহণ করতেন। আরও জানান, জাকির জির সাথে বহুবার সাক্ষাত হয়েছে। তাঁর মত গুরু, অগ্রজ, উদারমনা মানুষ বিরল। হিন্দোল মজুমদার বলেন, জাকির জির রসিকতা বোধ ও ছিলো অসাধরণ। তিনি আরও জানান জানান, জাকির জির মৃত্যুর কয়েক মাস আগেই আমার গুরু পন্ডিত শঙ্খ চট্টোপাধ্যায় প্রয়াত হন। পরপর দুটি ধাক্কা সামলানো খুব-ই কঠিন ছিলো আমার কাছে। অনেকদিন ধরেই জাকির জির সামাধি স্থল দর্শন করার ইচ্ছা ছিল, সেই সুযোগ পেলাম। তাঁকে তবলার বোল ছাড়া কি দিয়েই বা শ্রদ্ধা জানাতে পারি? তাই সমাধিস্থলের পাশে দাঁড়িয়ে ওনার পিতা ওস্তাদ আল্লা রাখা জির কম্পোজিসন করা রুপক তালের ওপর একটি বোল পাঠ করি।পণ্ডিত হিন্দোল মজুমদার জাকির হোসেনের সামাধিস্থল ঘুরে এসে কিছুটা ব্যথিত-ও। তিনি জনতার কথা কে জানান, তাঁর মত মানুষের সমাধি এতটা মলিন, এটা মেনে নেওয়া খুব কষ্টকর। তিনি জানান, আমার স্থির বিশ্বাস তাঁর অগণিত গুনাগ্রাহী এই দৃশ্য দেখে ভীষণভাবে মর্মাহত হবেন। তিনি আরও বলেন, আমার বিশ্বাস এই সমাধি তাঁর জন্মস্থান ভারতে হলে সেটাই আজ একটা দর্শনীয় স্থানে পরিণত হত। তবে তিনি জানিয়েছেন জাকির জির পরিবারের সাথে কথা বলে জাকির প্রেমী মানুষজনকে নিয়ে কিছু একটা ব্যবস্থা করার চেষ্টা করবেন। অন্তত একটা সাইনেজ ও যেন লাগানো যায়, যাতে কেউ শ্রদ্ধা জানাতে এসে জায়গাটাকে সঠিকভাবে সনাক্ত করতে পারেন।

মে ০৯, ২০২৫
বিদেশ

বাংলাদেশে জামিন হল না ইসকনের সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের, বাড়ছে উদ্বেগ

গ্রেফতার চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের জামিন না মঞ্জুর করল চট্টগ্রাম আদালত। অর্থাৎ ইসকনের সন্ন্যাসীকে জেলবন্দি থাকতে হবে। তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা ঝুলছে। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অপূর্ব ভট্টাচার্যের নেতত্বের ১১ জন আইনজীবী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের হয়ে আদালতে দাঁড়িয়েছিলেন। তাঁরা আদালতে সওয়াল জবাবে অংশ নেন। আমরা খুব আশায় ছিলাম। আমার কিছু বলার নেই। সারা বিশ্বের নজর ছিল। একজন সন্ন্যাসীকে এভাবে ৪২ দিন জেলে রেখে দিয়েছে। আমরা আশায় ছিলাম জামিন পেয়ে যাবেন। দেখতে হবে কেন জামিন দিল না। এর আগে চট্টগ্রাম আদালতে বাংলাদেশের একপক্ষ আইনজীবীরা সরাসরি হুমকি দিয়েছিলেন চিন্ময়কৃষ্ণের হয়ে যাঁরা আদালতে দাঁড়াবেন তাঁদের মারধর করা হবে। এর আগের শুনানিতে আদালতে চিন্ময়কৃষ্ণের হয়ে কেউ সওয়াল জবাবে অংশ নেননি। সরকারি পক্ষের আইনজীবীরা বলেন, শান্তিপূর্ণ ভাবে শুনানি হয়েছে। রাষ্ট্রদ্রোহিতার সাজা যাবজ্জীবন। তবে হাইকোর্টে যাওয়ার পথ রয়েছে।

জানুয়ারি ০২, ২০২৫
বিদেশ

বিকল্প বাজার দেখতে তৎপর বাংলাদেশ! তবে এখনও ভারতীয় পন্যেই নির্ভরশীল ইউনুস সরকার

বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর লাগাতার নির্যাতনের অভিযোগে তোলপাড় সারা বিশ্ব। উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আমেরিকা থেকে গ্রেট ব্রিটেন। এদিকে ভারতের পন্য বয়কট নিয়ে লাগাতার প্রচার চলছে বাংলাদেশে। এখন তো বিএনপি নেতৃত্ব সরাসরি সাংবাদিক বৈঠক করে ভারতীয় দ্রব্য়সামগ্রী বয়কটের ডাক দিয়েছে। তবে এখনও ভারতে থেকে সীমান্ত পার হয়ে স্বাভাবিক ভাবেই পন্যবাহী ট্রাক প্রবেশ করছে বাংলাদেশে। তা এখনও বন্ধ করতে উদ্যোগ নেয়নি বাংলাদেশের ইউনুস সরকার। এদিকে পেঁয়াজ ও আলুর বিকল্প বাজার খুঁজতে শুরু করেছে বাংলাদেশ। কালের কন্ঠে পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পেঁয়াজ ও আলুর বাজার স্থিতিশীল করতে ভারতের বিকল্প বাজার থেকে আমদানি এবং বাজার মনিটরিংয়ের জোর দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। আজ বৃহস্পতিবার পেঁয়াজ ও আলুর স্থানীয় বাজার স্থিতিশীল করা নিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে অংশীজনদের নিয়ে সভায় তারা এই তাগিদ দেন।এ ছাড়া আলুর শুল্ক মেয়াদ নভেম্বর থেকে বাড়িয়ে আরো দুই মাসের জন্য বাড়ানোর সুশারিশ করেছে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন। বাণিজ্যসচিব মোহা. সেলিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে এতে ব্যবসায়ী নেতারা উপস্থিত ছিলেন। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।সভা সূত্রে জানা গেছে, আগামী ১৫ ডিসেম্বরের পর আলুর বাজারে বড় ধরনের সংকট তৈরি হতে পারে। যদিও দাম বেশি হলেও নতুন আলু ডিসেম্বরের শেষ দিক থেকে বাজারে আসবে। এই সময় সংকট মোকাবেলায় দ্রুত পদক্ষেপ নিতে জানিয়েছে তারা। এ ছাড়া পেঁয়াজের ও আলু সঠিক তথ্য না থাকায় বাজার স্থিতিশীল করা যাচ্ছে। এ জন্য কৃষি বিপণন অধিদপ্তরকে সঠিক তথ্য নিশ্চিত করার তাগিদ দিয়েছেন তারা। পেঁয়াজ সংরক্ষণের জন্য সরকারের হিমাগার করার জন্য পাইলট প্রকল্প নিতে পারে। যেখানে কম সুদে ঋণ, জমি দিতে পারে উদ্যোক্তাদের।এদিকে ট্যারিফ কমিশনের ওই সভায় একটি পর্যবেক্ষণ ও দিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, পেঁয়াজ ও আলুর অন্যতম উৎস ভারত। ভারতের বাজারের পণ্য দুটির দাম বাড়ায় স্থানীয় বাজারেও এর প্রভাব পড়ছে।২০২৩-২৪ অর্থবছরে আলু আমদানি করা হয়েছে এক লাখ ৫৫ হাজার ৫৬৮ টন। আর ২০২৪-২৫ অর্থবছরে গত ৫ মাসে (১ জুলাই - ৩০ নভেম্বর) আমদানি করা হয়েছে ৫৬ হাজার ৭৬৩ টন। ভারত থেকে এসব আলু এসেছে।২০২৩-২৪ অর্থবছরে পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে ৯ লাখ ৫৩ হাজার ২৭০ টন। আর ২০২৪-২৫ অর্থবছরে পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে ৩ লাখ ৩৯ হাজার ১৫২ টন। ভারত, পাকিস্তান, তুরস্ক, মিশর, চীন ও মিয়ানমার থেকে এসব পেঁয়াজ এসেছে।বাংলাদেশের সংবাদপত্রে এমন প্রতিবেদন প্রকাশ করা হলেও বিশেষজ্ঞদের মতে, বাংলাদেশে মুখেই ভারতীয় পন্য বয়কটের কথ বলা হচ্ছে। কোনওরকম ভারতীয় পন্যবাহী ট্রাক ভারত থেকে আসা বন্ধ করেনি। শেখ হাসিনা গদি ছাড়ার পরও একই ভাবে আলু, পেঁয়াজ, মাছসহ একাধিক পন্য ভারত থেকেই নিচ্ছে বাংলাদেশ। তাতেই বাংলাদেশের বাজারদর কিছুটা হলেও স্থিতিশীল রয়েছে। পন্য বয়কটের অযথা রাজনীতি করছে বাংলাদেশ। বেনোপোল সীমান্তে প্রতিদিন শয়ে শয়ে ভারতীয় কম্বল কিনছে বাংলাদেশীরা।

ডিসেম্বর ০৫, ২০২৪
বিদেশ

সংঘাতের পথে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক? ঢাকায় তলবে সাক্ষাৎ ভারতীয় হাইকমিশনের

তবে কি সংঘাতের পথ বেছে নিল ইউনুসের বাংলাদেশ সরকার? ঢাকায় ভারতীয় হাই কমিশনার প্রণয় ভার্মাকে তলব করেছে বাংলাদেশ সরকারে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সরকারি সূত্রের খবর, মঙ্গলবার বিকেল চারটের কিছু আগে প্রণয় ভার্মা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে গেছেন। বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব রিয়াজ হামিদুল্লাহর সঙ্গে দেখা করেছেন প্রণয় ভার্মা। জানা যাচ্ছে, আগরতলায় বাংলাদেশ দূতাবাসের উপর হামলার ঘটনার প্রতিবাদ জানাতে তলব করা হয় ভারতের হাই কমিশনারকে। কূটনৈতিক মহল এই সিদ্ধান্তকে বাংলাদেশের তরফে সংঘাতের বার্তা বলে অনেকে মনে করছে। আগরতলার ঘটনায় ভারত সরকার দুঃখ প্রকাশ ও নিন্দা করার পাশাপাশি কর্তব্যরত পুলিশকে বরখাস্ত করেছে। তারপরও হাই কমিশনারকে তলব দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের পরিপন্থী বলে মনে করছেন কূটনৈতিক মহল। এর ফলে দুইদেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক আরও তলানিতে ঠেকতে পারে মনে করছে অভিজ্ঞ মহল।বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর লাগাতার আক্রমণের অভিযোগ উঠছে। এদিকে আজ ইউনুস সরকারের হাতে গ্রেফতার চিন্ময়কৃষ্ম দাসের হয়ে কোনও আইনজীবী আদালতে দাঁড়াননি। এর আগে তাঁর হয়ে সওয়াল করা আইনজীবীর বাড়িতে হামলা চালিয়েছে দুষ্কৃতীরা। প্রায় এক মাস পিছিয়ে গিয়েছে তাঁর শুনানি। তাঁর প্রাণ নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছে ইসকন।

ডিসেম্বর ০৩, ২০২৪
বিদেশ

জমাটি বিতর্কের পর ওপারের পদ্মার ইলিশ এবারও পুজোয়! পরিমাণই বা কত?

শেষমেশ নানা টানাপোড়েনের পর ওপারের পদ্মার রূপালী শস্য এপারে আসতে চলেছে। ইলিশ ভারতে রপ্তানি করবে কিনা তা নিয়ে নয়া স্বাধীন বাংলাদেশ-এ বিতর্ক অভ্যাহত। তারই মধ্যে এই ইলিশ পাঠানোর খবর। ইলিশ মানেই যেন এক আলাদা রসনা ত্প্তি! ইলিশের পাতুরি, ইলিশ ভাপা, ইলিশ জাফরানি, মেথি ইলিশ, রসুন নারকেল ইলিশ, ইলিশ হরিয়ালি, ইলিশ বিরিয়ানি, ইলিশ ভর্তা, ইলিশ কোর্মা, ইলিশের টক কি নেই রসনার তালিকায়! দুর্গাপুজোয় রসনাতৃপ্তিতে বাঙ্গালির পাতে ইলিশ চাইই- চাই। তবে এবার বাংলার মাছের বাজার মাত করেছে দক্ষিণ ২৪ পরগণা ও পূর্ব মেদিনীপুরের স্বাদের ইলিশ। এবার দুর্গাপুজোয় পাতে পরতে চলেছে পদ্মার ইলিশ।গত ৫ বছর টানা দুর্গাপুজো উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ থেকে এপার বাংলায় ইলিশ মাছ আমদানি হয়েছে। কিন্তু এবার বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি একেবারে ভিন্ন। শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়েছে। নোবেল জয়ী মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে চলছে বাংলাদেশে তদারকি সরকার। দুর্গা পুজোর মুখে বাঙ্গালির পাতে আদৌ পদ্মার ইলিশ পড়বে কিনা তা নিয়ে যথেষ্ট সংশয় ছিলই। তবে শেষ মুহূর্তে বাংলাদেশের তরফে ৩ হাজার মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানির সবুজ সংকেত দওয়া হয়েছে।এই আমদানিতে স্বভাবতই খুশির হাওয়া এপার বাংলায়। দুর্গাপুজোয় বাংলাদেশ সরকারের কাছে ইলিশ রফতানি করার জন্য আবেদন জানিয়েছিল ফিস ইমপোর্টার অ্যাসোসিয়েশন। সেই আবেদনে সাড়া দিয়েই বাংলাদেশে সরকারের তরফে জানানো হয়েছে ইলিশ রফতানির একাধিক আবেদন পেয়ে সরকারের তরফে তিন হাজার মেট্রিক টন ইলিশ রফতানি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ সরকার।অ্যাসোসিয়েশনের তরফে বাংলাদেশ সরকারের কাছে আবেদন জানিয়ে বলে হয়েছিল, ১৯৯৬ সাল থেকে বাংলাদেশ ইলিশ রফতানি করছে এপার বাংলায়। পেট্রাপোল সীমান্ত থেকে প্রতি বছর গড়ে ৫০০০ মেট্রিক টন ইলিশ আমদানি করা হত। দুর্ভাগ্যবশত ২০১২ সালের জুলাই মাসে হঠাৎ করেই বাংলাদেশ সরকার ইলিশ রফতানি নিষিদ্ধ করে। তারপর আমরা নিষেধাজ্ঞা শিথিল করার জন্য তাদের কাছে চিঠি দিয়েছি কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। তবে গত ৫ বছর ধরে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ থেকে শুরু করে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ পর্যন্ত ইলিশ আমদানি করা হয়।অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সৈয়দ আনোয়ার মকসুদ বলেন, এর আগে বাংলাদেশ সরকার দুর্গাপুজোর সময় ইলিশ মাছ রফতানির অনুমতি দিয়েছে। বিগত ৫ বছর ধরে ইলিশ আসছে এখানে। পশ্চিমবঙ্গ, আসাম এবং ত্রিপুরার মাছ ব্যবসায়ীদের কাছে বাংলাদেশের ইলিশের প্রচুর চাহিদা। মানুষও এই সময় ইলিশের জন্য অপেক্ষা করে থাকে। দুর্গাপুজোর সময় ইলিশ মাছ রফতানির অনুমতি দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছি।অ্যাসোসিয়শনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ২০১৯ সালে ইলিশ এসেছে ৫০০ মেট্রিক টন। তার পরের বছর ২০২০ সালে ইলিশ আমদানি করা হয়েছে ১৮৫০ মেট্রিক টন। ২০২১ সালে ২৬০০ টনের অনুমোদন থাকলেও আমদানি হয়েছে ১২০০ মেট্রিক টন। তার পরের দুবছর ২০২২ ও ২০২৩ সালে আমাদানিকৃত ইলিশের পরিমাণ ছিল ১৩০০ মেট্রিক টন। যদিও এবার সেই সকল পরিসংখ্যানকে টপকে গিয়ে ৩ হাজার মেট্রিক টন ইলিশ রফতানিতে সবুজ সংকেত দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশের তরফে।

সেপ্টেম্বর ২১, ২০২৪
বিদেশ

কোচবিহার সীমান্তের ওপারে হাজার হাজার সংখ্যালঘু বাংলাদেশি হিন্দুর মুখে জয়শ্রীরাম ধ্বনি, আশ্রয় চাইছেন ভারতে

অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পরও নিরাপত্তা নিয়ে বেজয় দুশ্চিন্তায় রয়েছেন ওই দেশের সংখ্যালঘুরা। কোচবিহারে ভারত বাংলাদেশ সীমান্তের ওপারে দাঁড়িয়ে তাঁরা এদেশে আশ্রয় চাইছেন। শীতলকুচির পাঠানতুলি গ্রামে কাঁটাতারের ওপারে শয়ে শয়ে বাংলাদেশিরা ভির করেছেন। শরণার্থীদের মতো তাঁদের অবস্থা। তাঁরা সেখানে দাঁড়িয়ে জয় শ্রীরাম স্লোগান তুলছেন। পাশাপাশি গদিচ্যুত প্রধানমন্ত্রী হাসিনা এবং ভারতের জয়ধ্বনিও শোনা গেল তাঁদের গলায়। সীমান্তের জলাশয়ের মাঝে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দুদের দাবি, আমরা ভারতের আশ্রয় চাই।এপারে কোচবিহারের (Cooch Behar) শীতলকুচির পাঠানতুলি গ্রাম, ওপারে লালমণিরহাট। মাঝে জলাশয় বরাবর কাঁটাতার। শুক্রবার সেই জলে নেমেই এপারে আসার জন্য হুড়োহুড়ি পড়ে গেল বাংলাদেশের (Bangladesh) সীমান্তবর্তী গ্রামগুলির সংখ্যালঘু বাসিন্দাদের। জিরো পয়েন্টে বসে তাঁরা হাসিনা ও আওয়ামি লিগের পক্ষে স্লোগান তুললেন। হিন্দুদের গলায় শোনা গেল জয় শ্রীরাম ধ্বনি। জলাশয় পেরিয়ে পাঠানতুলি গ্রামের ওপারে দাঁড়িয়ে তাঁদের বক্তব্য, আমাদের নিরাপত্তা নেই, ভারতের আশ্রয় চাই। বুধবার জলপাইগুড়ির সীমান্ত এলাকা বেরুবাড়িতে একইভাবে জড়ো হয়েছিলেন বহু বাংলাদেশি। সেখানে কাঁটাতার না থাকায় বিএসএফ-বিজিবি একযোগে কাজ করে তাঁদের নিজেদের এলাকায় ফেরত পাঠায়। শুক্রবার দেখা গেল, আরও বেশি সংখ্যক শরণার্থী ভারতের আশ্রয় ভিক্ষা করছেন। বিএসএফ (BSF) সূত্রে খবর, বাংলাদেশের লালমণিরহাট জেলার গাইবান্দা, পশ্চিম গোতামারি, পূর্ব গোতামারি, ডাকুয়াটারি এলাকার বাসিন্দা তাঁরা। এই সবকটিই সীমান্তবর্তী গ্রাম। বৃহস্পতিবার রাতেই অশান্ত বাংলাদেশের হাল ধরতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়েছে। তার প্রধান উপদেষ্টা নোবেলজয়ী ডঃ মহম্মদ ইউনুস। তাঁর আশ্বাসল আদৌ কোনও কাজ হয়েছে কওনা প্রশ্ন আছে। লুটপাট, মারধরের ঘটনার খবর সামনে আসছে।।তাতেই তাঁরা আতঙ্কিত হয়ে এবার ভারতের আশ্রয় চাইছেন।

আগস্ট ০৯, ২০২৪
  • ‹
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • ...
  • 14
  • 15
  • ›

ট্রেন্ডিং

দেশ

দীপু দাস খুনের পর অমৃত মণ্ডল, বাংলাদেশের জটিল পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগে ভারত

ফের অশান্ত হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ওসমান হাদির মৃত্যুকে ঘিরে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে পদ্মাপারের দেশে। এই পরিস্থিতিতে আবারও আক্রান্ত হচ্ছেন সংখ্যালঘুরা। একের পর এক হিন্দু যুবককে খুনের ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে বিভিন্ন এলাকায়। বাংলাদেশের এই পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত। ইউনূস প্রশাসনকে কড়া বার্তা দিয়ে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কথা বলেছে ভারতের বিদেশ মন্ত্রক।২০২৪ সালের অগস্ট মাসে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পর থেকেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল বাংলাদেশ। পরে মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হলেও পরিস্থিতির বিশেষ উন্নতি হয়নি। সেই সময়েও হিন্দু-সহ বিভিন্ন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর হামলার অভিযোগ উঠেছিল। তখনই ভারত বাংলাদেশ সরকারকে সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা নিয়ে সতর্ক করেছিল।এবার ওসমান হাদির মৃত্যুর পর ফের নতুন করে হিংসা ছড়িয়েছে। ময়মনসিংহে দীপু দাস নামে এক হিন্দু যুবককে মারধরের পর জীবন্ত পুড়িয়ে মারার অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনার প্রতিবাদে ভারতে বিভিন্ন জায়গায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন সাধারণ মানুষ। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই রাজবাড়ি জেলায় অমৃত মণ্ডল ওরফে সম্রাট নামে আরও এক যুবককে পিটিয়ে খুন করা হয়। গ্রামবাসীদের একাংশের অভিযোগ, ওই যুবক তোলাবাজি ও সন্ত্রাস চালাত। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, সেই ক্ষোভ থেকেই তাঁর উপর হামলা চালানো হয়।বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর চলতে থাকা হিংসা নিয়েই বৃহস্পতিবার সরব হয় নয়াদিল্লি। ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, হিন্দু যুবক দীপু দাসের হত্যার তীব্র নিন্দা করছে ভারত। তিনি জানান, বাংলাদেশে হিন্দু, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ-সহ সংখ্যালঘুদের উপর একের পর এক হিংসার ঘটনা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এই সমস্ত ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনা হবে বলে ভারত আশা করছে।বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র আরও জানান, বাংলাদেশের পরিস্থিতির উপর কড়া নজর রাখছে ভারত। অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর থেকে এখনও পর্যন্ত সংখ্যালঘুদের উপর প্রায় ২ হাজার ৯০০টির বেশি হিংসার ঘটনা ঘটেছে বলেও দাবি করেন তিনি। আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশে সাধারণ নির্বাচন রয়েছে। সেই নির্বাচন যেন অবাধ ও স্বচ্ছভাবে অনুষ্ঠিত হয়, সে বিষয়েও গুরুত্বারোপ করেছে ভারত।

ডিসেম্বর ২৬, ২০২৫
কলকাতা

৪৬ মৃত্যুর দায় কার? নির্বাচন কমিশনকে দুষে বিজেপির পাল্টা আক্রমণ

এসআইআর-এর শুনানি শুরুর ঠিক আগেই ফের নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে সরব হল তৃণমূল কংগ্রেস। শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্যের অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, এসআইআর পর্বে রাজ্যে যে ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে, তার দায় সম্পূর্ণভাবে মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের উপর বর্তায়। তৃণমূলের দাবি, এসআইআর নিয়ে তৈরি হওয়া আতঙ্কই এই মৃত্যুগুলির কারণ।তৃণমূল যখন নির্বাচন কমিশনকে কাঠগড়ায় তুলছে, তখন পাল্টা আক্রমণে নামল বিজেপি। বিজেপি নেতা তাপস রায় তৃণমূলের অভিযোগকে যুক্তিহীন বলে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, কোনও পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর অনেক সময় পড়ুয়ারা আত্মহত্যা করে। তাই বলে কি পরীক্ষা নেওয়া বা ফল প্রকাশ বন্ধ করে দেওয়া উচিত? তাঁর বক্তব্য, কোনও মৃত্যু যদি আকস্মিক বা অন্য কোনও কারণে হয়, তা অবশ্যই দুঃখজনক। কিন্তু তার দায় কোনও প্রক্রিয়ার উপর চাপানো যায় না।তাপস রায় আরও বলেন, পরীক্ষায় আশানুরূপ ফল না হলে অনেক ছাত্রছাত্রী চরম সিদ্ধান্ত নেয়। তাই বলে কি পরীক্ষা নেওয়াই বন্ধ করে দেওয়া হবে? তাঁর দাবি, একই যুক্তি এসআইআর-এর ক্ষেত্রেও খাটে।উল্লেখ্য, এসআইআর পর্বে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে একের পর এক মৃত্যুর খবর সামনে এসেছে। সেই সব ক্ষেত্রে মৃতদের পরিবার এবং শাসকদলের তরফে দাবি করা হয়েছে, এসআইআর সংক্রান্ত নোটিস ও আতঙ্কের জেরেই অসুস্থ হয়ে মৃত্যু বা আত্মঘাতী হয়েছেন তাঁরা।শনিবার থেকেই শুরু হচ্ছে এসআইআর-এর শুনানি। তার ঠিক আগের দিনই মুর্শিদাবাদ থেকে আসে আরও এক মৃত্যুর খবর। পরিবারের দাবি, বাবার পদবির সঙ্গে ছেলের পদবি না মেলায় এসআইআর-এর নোটিস এসেছিল। সেই বিষয়টি নিয়ে মানসিক চাপে পড়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় ওই যুবকের। একই রকমভাবে বীরভূমের সাঁইথিয়াতেও এক ভোটারের মৃত্যুর খবর সামনে এসেছে।এই সমস্ত মৃত্যুর জন্য বরাবরই নির্বাচন কমিশনকে দায়ী করে আসছে তৃণমূল কংগ্রেস। শুনানি পর্ব শুরু হওয়ার আগে ফের সেই ইস্যুকেই সামনে আনল শাসকদল। তার প্রেক্ষিতেই বিজেপির তরফে এই পাল্টা যুক্তি তুলে ধরলেন তাপস রায়।

ডিসেম্বর ২৬, ২০২৫
রাজ্য

এসআইআর শুনানির আগে বড় মোড়, মতুয়াদের ভোটাধিকার নিয়ে স্পষ্ট কমিশন

রাত পোহালেই শুরু হচ্ছে এসআইআর-এর শুনানি। তার ঠিক আগের দিন মতুয়াদের জন্য বড় সিদ্ধান্ত নিল নির্বাচন কমিশন। কমিশন স্পষ্ট জানিয়ে দিল, নাগরিকত্বের প্রমাণ হিসেবে সিএএ সার্টিফিকেট গ্রাহ্য করা হবে। ফলে মতুয়া সম্প্রদায়ের বহু মানুষের দীর্ঘদিনের ধন্দ কাটল।নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, যাঁদের নাম খসড়া ভোটার তালিকায় নেই, তাঁরা নতুন করে ফর্ম ৬ পূরণ করে আবেদন করতে পারবেন। পরে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ হলে তাঁদের নাম নথিভুক্ত করা হবে। এই ক্ষেত্রেও সিএএ নাগরিকত্বের সার্টিফিকেট লিঙ্ক ডকুমেন্ট হিসেবে দেখানো যাবে।এতদিন প্রশ্ন ছিল, মতুয়ারা কি নো ম্যাপিং ভোটারের আওতায় পড়বেন? আর পড়লে ২০০২ সালের কোন নথি তাঁরা দেখাবেন? কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, যেহেতু সিএএ নাগরিকত্বের সার্টিফিকেটে প্রয়োজনীয় সমস্ত তথ্য থাকে, তাই ম্যাপিংয়ের ক্ষেত্রে ওই সার্টিফিকেটই লিঙ্ক হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। অর্থাৎ অনলাইনে ফর্ম পূরণের সময় এবার থেকে এই সার্টিফিকেটও গ্রহণযোগ্য হবে।তবে এই সিদ্ধান্ত ঘিরে রাজনৈতিক তরজাও শুরু হয়েছে। তৃণমূল সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর বলেন, নির্বাচন কমিশন বলছে সার্টিফিকেট গ্রাহ্য হবে, কিন্তু আধার কার্ডকে কেন মানা হচ্ছে না, তা নিয়েই প্রশ্ন রয়েছে।অন্যদিকে বিজেপি নেতা জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ইতিমধ্যেই প্রায় ৭০ হাজার মানুষ সিএএ-তে আবেদন করে নাগরিকত্বের সার্টিফিকেট পেয়েছেন। তাঁদের ভোটার তালিকায় নাম থাকবেই। তাঁর দাবি, বাংলাদেশি হিন্দু শরণার্থীদের পাশে বিজেপিই রয়েছে।উল্লেখ্য, চলতি মাসের শুরুতেই সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছিল, নাগরিকত্ব নিশ্চিত হওয়ার পরেই ভোটাধিকার পাওয়া যাবে। শুধু আবেদন করলেই ভোটার তালিকায় নাম ওঠানো যাবে না। প্রধান বিচারপতি সূর্য কান্ত ও বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর বেঞ্চ জানায়, আগে নাগরিক হতে হবে, তার পরেই ভোট দেওয়ার অধিকার মিলবে।এই নির্দেশের পর থেকেই মতুয়াদের মধ্যে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছিল। কারণ অনেকেই সিএএ-তে আবেদন করেছেন এবং তাঁদের মোবাইলে নাগরিকত্বের সার্টিফিকেট সংক্রান্ত মেসেজও এসেছে। কিন্তু সেই সার্টিফিকেট শুনানিতে আদৌ গ্রহণযোগ্য হবে কি না, তা নিয়ে সংশয় ছিল। বিশেষ করে মতুয়াদের প্রায় ৯০ শতাংশই শুনানির নোটিস পাওয়ায় উদ্বেগ আরও বেড়েছিল।এই পরিস্থিতিতে সম্প্রতি বাংলা সফর শেষে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মতুয়াদের উদ্দেশে বার্তা দেন। তিনি বলেন, প্রত্যেক মতুয়া ও নমঃশূদ্র পরিবারের পাশে কেন্দ্রীয় সরকার রয়েছে। মর্যাদার সঙ্গে ভারতে থাকার অধিকার তাঁদের আছে এবং বিজেপি ক্ষমতায় এলে তাঁদের জন্য আরও কাজ করা হবে।এই সব কিছুর মধ্যেই শুনানির ঠিক আগে নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্তকে মতুয়াদের জন্য বড় স্বস্তি বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। তবে কমিশন স্পষ্ট করেছে, সিএএ সার্টিফিকেট তখনই গ্রহণযোগ্য হবে, যখন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি নতুন করে ফর্ম ৬ পূরণ করে আবেদন করবেন।

ডিসেম্বর ২৬, ২০২৫
কলকাতা

“এখন যুদ্ধের সময়”—এসআইআর আবহে বিজেপির বিরুদ্ধে তৃণমূলকে চাঙ্গা করলেন অভিষেক

এসআইআর-এর শুনানি শুরুর আগেই তৃণমূলের অন্দরে কার্যত নির্বাচনী সুর বেঁধে দিলেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার দলের নেতৃত্বের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে তিনি স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিলেন, এখন পরিস্থিতি যুদ্ধের মতো। বৈঠকে তিনি বারবার যুদ্ধ শব্দটি ব্যবহার করেন এবং বিপক্ষ হিসেবে বিজেপিকেই চিহ্নিত করেন।অভিষেক বলেন, আগে মানুষ ঠিক করত কে সরকার গড়বে, আর এখন সরকার ঠিক করতে চাইছে কারা ভোট দেবেন। তাঁর বক্তব্যে স্পষ্ট ছিল বিজেপির বিরুদ্ধে আক্রমণের সুর। কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, মাথা নত করলে কেবল মায়ের কাছেই নত করব, আর কারও কাছে নয়।২০২৬ সালের বিধানসভা ভোট আর খুব দূরে নয়। এসআইআর ঘিরে তৈরি হওয়া আবহেই কার্যত ভোটের দামামা বেজে গিয়েছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। সেই প্রেক্ষিতেই ২০২১ সালের নির্বাচনের মডেলকেই সামনে আনতে চাইছেন অভিষেক। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ঠাসা কর্মসূচি, একেবারে বুথ স্তরে গিয়ে মানুষের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগএই কৌশলের উপর জোর দিতে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জানুয়ারি মাসের ১ তারিখ থেকেই শুরু হচ্ছে তৃণমূলের উন্নয়নের সংলাপ কর্মসূচি। প্রায় ৮০ হাজার বুথে ঘুরে ঘুরে রাজ্য সরকারের উন্নয়নের খতিয়ান তুলে ধরবেন দলের কর্মীরা। বুথ স্তরে জনসংযোগ বাড়ানোর পাশাপাশি কর্মকর্তাদের বাড়িতে গিয়ে কথাবার্তা বলার মতো কর্মসূচির কথাও উঠে এসেছে বৈঠকে।একদিকে যখন এই কর্মসূচি চলবে, অন্যদিকে সমান্তরালভাবে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় সভা করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দলকে চাঙ্গা রাখতে এবং ভোটের লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত করতেই এই দ্বিমুখী কৌশল বলে মনে করছে তৃণমূল নেতৃত্ব।বৈঠকে অভিষেক আরও বলেন, দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিরোধীরা হারছে এবং বিজেপি জিতছে। এই পরিস্থিতিতে এক মুহূর্তও শিথিলতা দেখালে বিপক্ষ সুযোগ নেবে। তাঁর স্পষ্ট বার্তা, এখন বিশ্রামের সময় নয়, এখন লড়াইয়ের সময়। ছাব্বিশের নির্বাচনের আগে দলের কর্মীদের মনোবল বাড়াতেই এই কঠোর বার্তা দিয়েছেন তিনি।

ডিসেম্বর ২৬, ২০২৫
কলকাতা

বাংলাদেশ ইস্যুতে বিক্ষোভ, পুলিশের দাবি খারিজ করে জামিন দিল আদালত

বাংলাদেশে দীপু হত্যার প্রতিবাদের আঁচ ছড়িয়ে পড়েছিল কলকাতাতেও। উত্তপ্ত হয়ে ওঠে শহর। সেই ঘটনার জেরে গ্রেফতার হওয়া ১২ জন বিক্ষোভকারীকে শুক্রবার শর্তসাপেক্ষে জামিন দিল আলিপুর আদালত। তিন হাজার টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে তাঁদের জামিন মঞ্জুর করা হয়েছে।এই ঘটনায় মোট ১৯ জনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। এর মধ্যে সাত জন আগেই জামিন পেয়েছিলেন। শুক্রবার বাকি ১২ জনের জামিন মঞ্জুর হওয়ায় এই মামলায় ধৃত সকলেই আপাতত মুক্তি পেলেন।মঙ্গলবার বেকবাগানে বাংলাদেশের ডেপুটি হাই কমিশনের অফিসের সামনে তীব্র বিক্ষোভ হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। অভিযোগ ওঠে, বিক্ষোভকারীরা পুলিশের দিকে কুশপুতুল পুড়িয়ে ছুড়ে মারেন। এই ঘটনায় আট জন পুলিশকর্মী আহত হন। হাই কমিশনের বাইরে গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটে বলে পুলিশের অভিযোগ।এই ঘটনার পর মোট ১৯ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বুধবার ধৃতদের আলিপুর আদালতে তোলা হয়। সেদিন আদালত ১২ জন পুরুষ অভিযুক্তকে দুদিনের জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেয়। শুক্রবার ফের তাঁদের আদালতে পেশ করা হয়।এদিন আদালতে পুলিশ ১২ জন অভিযুক্তের ১২ দিনের পুলিশি হেফাজত চায়। পুলিশের দাবি ছিল, ধৃতদের সঙ্গে কোনও আন্তর্জাতিক যোগ রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। সরকারি আইনজীবী জানান, তদন্তে ইতিমধ্যেই ১১ জন সাক্ষীর বয়ান সংগ্রহ করা হয়েছে। পুলিশের উপর হামলার প্রমাণ হিসেবে ইনজুরি রিপোর্টও জমা দেওয়া হয়েছে।সরকারি আইনজীবীর বক্তব্য, বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশ্য খতিয়ে দেখা জরুরি। তাঁর দাবি, একই সংগঠন ফের বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে। এতে আবার অশান্তি ছড়ালে আন্তর্জাতিক সম্পর্কের উপর প্রভাব পড়তে পারে। পুলিশকে এমনভাবে মারধর করা হয়েছে যে, হাসপাতালে থেকে ছাড়া পেলেও চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, তাঁরা এখনই কাজে যোগ দিতে পারবেন না।তিনি আরও জানান, হাই কমিশনের বাইরে গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে এবং কুশপুতুল পুড়িয়ে পুলিশের দিকে ছুড়ে মারা হয়েছে। সেদিন একই ঘটনা হাই কমিশনের ভিতরেও ঘটতে পারত বলেও আদালতে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়। এমনকি শুক্রবারও একই সংগঠন ফের কর্মসূচিতে নেমেছে বলে দাবি করে পুলিশ।অন্যদিকে অভিযুক্তদের আইনজীবী আদালতে বলেন, খুনের চেষ্টার ধারা যুক্ত করা হলেও তার স্বপক্ষে কোনও নির্দিষ্ট তথ্যপ্রমাণ নেই। তিনি প্রশ্ন তোলেন, দুদিনের তদন্তে খুনের চেষ্টার কোনও প্রমাণ আদৌ পুলিশ পেয়েছে কি না।সব পক্ষের বক্তব্য শোনার পর আদালত ১২ জন অভিযুক্তকে শর্তসাপেক্ষে জামিন মঞ্জুর করে।

ডিসেম্বর ২৬, ২০২৫
রাজ্য

বাংলাদেশে হিন্দু খুনের প্রতিবাদে কড়া সিদ্ধান্ত, হোটেলে ‘নো এন্ট্রি’ বাংলাদেশিদের

বাংলাদেশে অশান্ত পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। দেশজুড়ে নৈরাজ্যের আবহে সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর একের পর এক হামলার অভিযোগ উঠছে। দীপু চন্দ্র দাসের হত্যার পর এবার অমৃত মণ্ডল নামে আরও এক হিন্দু যুবককে খুন করা হয়েছে বলে খবর। প্রতিবেশী দেশের এই ঘটনায় আগেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল ভারত সরকার। এবার সেই ঘটনার প্রতিবাদে সরব হল সাধারণ মানুষও।বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর নির্যাতনের প্রতিবাদে কড়া সিদ্ধান্ত নিলেন মালদহ ও শিলিগুড়ির হোটেল ব্যবসায়ীরা। তাঁদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এবার থেকে বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য নো এন্ট্রি বোর্ড ঝুলবে হোটেলগুলিতে। দেশের স্বার্থেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন হোটেল মালিকেরা।হোটেল ব্যবসায়ীদের সংগঠন সূত্রে জানা গিয়েছে, আগেও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল যে বাংলাদেশি নাগরিকদের হোটেলে ঘর দেওয়া হবে না। তবে মানবিকতার কারণে যাঁরা মেডিক্যাল ভিসায় চিকিৎসার জন্য ভারতে আসছিলেন, তাঁদের ক্ষেত্রে কিছুটা ছাড় দেওয়া হচ্ছিল। এবার সেই ছাড়ও তুলে নেওয়া হল। মেডিক্যাল ভিসা বা স্টুডেন্ট ভিসায় আসা বাংলাদেশিদেরও আর হোটেলে জায়গা দেওয়া হবে না।হোটেল মালিক সংগঠনগুলির দাবি, বাংলাদেশে যেভাবে সংখ্যালঘুদের উপর নির্মম অত্যাচার চলছে এবং কিছু মহল থেকে শিলিগুড়ি করিডর ও সেভেন সিস্টার্স নিয়ে হুমকির মতো মন্তব্য করা হচ্ছে, তা কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। সেই কারণেই আর কোনও ছাড় দেওয়া হবে না বলে জানানো হয়েছে। শিলিগুড়ির একাধিক হোটেলে ইতিমধ্যেই বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।এই বিষয়ে হোটেল মালিক সংগঠনের এক প্রতিনিধি বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশের পরিস্থিতি অত্যন্ত উদ্বেগজনক। সেখানে যা ঘটছে এবং যে ধরনের মন্তব্য সামনে আসছে, তার প্রতিবাদ হিসেবেই এই সিদ্ধান্ত। সংগঠনের অধীনে থাকা ১৮২টি হোটেল ছাড়াও আরও ৩০ থেকে ৪০টি হোটেল একই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।উল্লেখ্য, গত বছরও বাংলাদেশে অশান্ত পরিস্থিতি তৈরি হলে এবং হিন্দুদের উপর হামলার অভিযোগ ওঠার পর কলকাতা ও শিলিগুড়ি-সহ একাধিক জায়গায় বাংলাদেশি নাগরিকদের হোটেলে ঘর না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। এবার ফের সেই একই পথে হাঁটলেন হোটেল ব্যবসায়ীরা।

ডিসেম্বর ২৬, ২০২৫
কলকাতা

ভোটার তালিকা যাচাইয়ে বড় পদক্ষেপ, সকাল ১১টা থেকে কলকাতায় শুনানি

রাত পোহালেই শুরু হতে চলেছে এসআইআর-এর দ্বিতীয় ধাপ। শনিবার সকাল ১১টা থেকে কলকাতায় শুরু হবে শুনানি। নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ধাপে প্রায় ৩২ লক্ষ ভোটারকে ডাকা হতে পারে। প্রথম পর্যায়ে মূলত যাঁদের নাম ভোটার তালিকায় নো ম্যাপিং হিসেবে চিহ্নিত, তাঁদের কাছেই নোটিস পাঠানো হয়েছে।শুনানির সময় ভোটারদের কাছে প্রয়োজনীয় নথিপত্র চাওয়া হবে। জমা দেওয়া নথি দেখে সন্তুষ্ট না হলে সেগুলি আরও ভালো করে খতিয়ে দেখবেন আধিকারিকরা। প্রতিটি বিধানসভা এলাকায় আটটি করে জায়গায় শুনানির ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। একাধিক স্কুল ও সরকারি অফিসে এই শুনানি হবে।শুনানির দায়িত্বে থাকবেন ইআরও এবং এইআরও পদমর্যাদার আধিকারিকরা। একটি ভেন্যুতে এক দিনে সর্বাধিক ১৫০ জন ভোটারের শুনানি নেওয়া হবে। কলকাতায় বেলতলা গার্লস স্কুল, আলিপুর মাল্টিপারপাস গার্লস স্কুলে শুনানি হবে। এছাড়াও লেডি ব্রেবোর্ন কলেজ, লরেটো ডে স্কুল, মর্ডান হাইস্কুল ফর গার্লস, মৌলনা আজাদ মেমোরিয়াল গার্লস হাইস্কুল, ভবানিপুর গার্লস হাইস্কুল এবং হরিমোহন ঘোষ কলেজে শুনানির ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। কলকাতার পাশাপাশি বিভিন্ন জেলাতেও একইভাবে শুনানি চলবে। তবে কোনও পৌরসভা বা পঞ্চায়েত অফিসে শুনানির ব্যবস্থা রাখা হয়নি।শুনানিতে হাজির হওয়ার সময় ভোটাররা কেন্দ্র বা রাজ্য সরকারের দেওয়া পরিচয়পত্র সঙ্গে রাখতে পারবেন। রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার দেওয়া পরিচয়পত্রও গ্রহণযোগ্য। এছাড়া পেনশন পেমেন্ট কার্ড, ১৯৮৭ সালের আগে ইস্যু হওয়া পরিচয়পত্র বা শংসাপত্র, জন্মের সার্টিফিকেট, ভারতের পাসপোর্ট, মাধ্যমিক স্তরের সার্টিফিকেট, স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাগত নথি, রাজ্যের দেওয়া স্থায়ী বাসিন্দার শংসাপত্র, জাতিগত শংসাপত্রও দেখানো যেতে পারে। যেখানে এনআরসি চালু হয়েছে, সেখানকার শংসাপত্রও গ্রহণ করা হবে। পাশাপাশি রাজ্য বা স্থানীয় প্রশাসনের তৈরি ফ্যামিলি রেজিস্টার, সরকারি জমির নথি বা বাড়ির দলিলও দেখানো যেতে পারে।নির্দিষ্ট দিনে কোনও ভোটার যদি শুনানিতে হাজির হতে না পারেন, সে ক্ষেত্রে চিন্তার কারণ নেই। কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, উপযুক্ত এবং বিশ্বাসযোগ্য কারণ দেখাতে পারলে অতিরিক্ত সময় দেওয়া হবে।

ডিসেম্বর ২৬, ২০২৫
কলকাতা

নতুন বছরের আগে চমক! গেরুয়া শিবির ছেড়ে মমতার দলে পার্নো মিত্র

নতুন বছর আসার আগেই রাজনৈতিক জীবনে বড় সিদ্ধান্ত নিলেন টলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী পার্নো মিত্র। শুক্রবার বিজেপি ছেড়ে আনুষ্ঠানিকভাবে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিলেন তিনি। কলকাতার তৃণমূল ভবনে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের উপস্থিতিতে ঘাসফুল শিবিরে নাম লেখান অভিনেত্রী।দল বদলের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে পার্নো জানান, এই দিনটি তাঁর কাছে খুবই বিশেষ। তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার বড়দিন ছিল, আর শুক্রবার তাঁর কাছে আরও বড় দিনের মতো। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তিনি নতুন পথচলা শুরু করছেন। সেই পথেই তিনি এগোতে চান দিদি ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে।পার্নো স্পষ্ট করে জানান, ছয় বছর আগে তিনি বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন অনেক আশা নিয়ে। কিন্তু সময়ের সঙ্গে বুঝেছেন, যেভাবে তিনি ভেবেছিলেন সেভাবে বিষয়গুলি এগোয়নি। তাই নিজের ভুল শুধরে নেওয়ার জন্যই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানান অভিনেত্রী। তাঁর কথায়, মানুষ ভুল করতেই পারে, কিন্তু সেই ভুল সংশোধন করাটাই আসল।২০১৯ সালের জুলাই মাসে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন পার্নো মিত্র। বরাহনগর কেন্দ্র থেকে বিজেপির প্রার্থী হিসেবে তিনি বিধানসভা নির্বাচনে লড়েছিলেন। সেই সময় তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী ছিলেন তাপস রায়। তবে সময়ের সঙ্গে রাজনৈতিক সমীকরণ বদলেছে। বর্তমানে বরাহনগর কেন্দ্রের বিধায়ক তৃণমূল কংগ্রেসের সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়।দলবদলের আগে থেকেই বিজেপি নিয়ে পার্নোর অসন্তোষের কথা শোনা যাচ্ছিল ঘনিষ্ঠ মহলে। শেষ পর্যন্ত সেই অসন্তোষই যে সিদ্ধান্তে রূপ নিল, তা এদিন তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদানের মধ্য দিয়ে স্পষ্ট হয়ে গেল। রাজনৈতিক মহলের মতে, অভিনেত্রীর এই পদক্ষেপ আগামী দিনে রাজ্য রাজনীতিতে নতুন আলোচনা তৈরি করবে।

ডিসেম্বর ২৬, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal