• ৩ আষাঢ় ১৪৩২, শুক্রবার ২০ জুন ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Men

রাজ্য

ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত্যু অজ্ঞাত পরিচয় মহিলার

রেলগেটের কাছে চলন্ত ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত্যু হল এক মহিলার। শনিবার দুপুরে এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়া-বর্ধমান মেইন শাখায় পূর্ব বর্ধমানের মেমারির দেবীপুর স্টেশন সংলগ্ন রেল গেটে। দুর্ঘটনার জেরে মহিলার দেহ কার্যত ছিন্ন বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তা নিয়ে দেবীপুর রেলগেট পারপারকারী মানুষজনের মধ্যে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে রেল পুলিশ দুর্ঘটনাস্থলে তদন্তে যায়।মহিলার নাম পরিচয় এখনও উদ্ধার হয়নি।মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানোর পাশাপাশি রেল পুলিশ মহিলার পরিচয় জানার চেষ্টা চালাচ্ছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের জানিয়েছেন, বর্ধমান হাওড়া ডাউন লাইনে ট্রেনে কাটা পড়ে মহিলা। তাঁর দেহ এতটাই ক্ষতবিক্ষত হয়ে যায় যে দেবীপুরের বাসিন্দাদের কেউ তাকে চিনতে পারেনি।

জানুয়ারি ২৯, ২০২২
দেশ

তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বাকে চাকরি নয়! স্টেট ব্যাংকের নির্দেশে চরমে বিতর্ক, অবশেষে সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার

সর্বত্রই যখন মহিলা ক্ষমতায়নে উদ্যোগী সরকার। এই পরিস্থিতিতে দেশের সর্ববৃহৎ রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাংকের নির্দেশে তৈরি হয়েছে নয়া বিতর্ক। স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার নয়া নির্দেশে বলা হয়েছে তিন মাসের বেশি অন্তঃসত্ত্বা মহিলারা চাকরির ক্ষেত্রে সাময়িকভাবে অনুপযুক্ত। সন্তানের জন্ম দেওয়ার চার মাস পরই চাকরিতে যোগ দিতে পারবেন একজন মহিলা। আর এই নয়া নির্দেশ ঘিরে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া এই নোটিস প্রকাশ করার পর তীব্র বিরোধিতা করেছেন অনেকে। ব্যাংক কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামণের কাছেও আর্জি জানিয়েছেন অনেকে, যাতে অবিলম্বে এই নির্দেশ প্রত্যাহার করা হয়।Press release relating to news items about required fitness standards for recruitment in Bank. Revised instructions about recruitment of Pregnant Women candidates stands withdrawn.@DFS_India pic.twitter.com/QXqn3XSzKF State Bank of India (@TheOfficialSBI) January 29, 2022চরম বিতর্কের মুখে মহিলাদের নিয়োগ সংক্রান্ত নির্দেশিকা প্রত্যাহার করল স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া। শনিবার সকালে থেকেই অন্তঃসত্ত্বা মহিলাদের নিয়োগ সংক্রান্ত নির্দেশিকা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়। নির্দেশিকা প্রত্যাহারের দাবি ওঠে বিভিন্ন মহল থেকে। এরপরই তা প্রত্যাহার করে নিল এসবিআই। টুইট করে প্রত্যাহারের কথা জানানো হয়েছে ব্যাংকের তরফে। তবে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের দাবি, আদতে তাঁদের নির্দেশের অপব্যাখ্যা হয়েছে। স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া যে সর্বদা মহিলাদের ক্ষমতায়নে জোর দিয়েছে, সে কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। স্টেট ব্যাঙ্ক জানিয়েছে, বর্তমানে দেশ জুড়ে তাঁদের মোট কর্মীর ২৫ শতাংশই মহিলা। মহিলাদের সুরক্ষার কথা ভেবে পুরনো নিয়মে পরিবর্তন করা হয়েছিল বলে দাবি স্টেট ব্যাঙ্কের।সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হয়েছেন বিভিন্ন ক্ষেত্রের মানুষ। অবিলম্বে ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে এই নির্দেশ প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন অনেকেই। ইতিমধ্যে দিল্লির মহিলা কমিশনের তরফ থেকে নোটিস দেওয়া হয়েছে এসবিআই-কে। ওই নির্দেশকে বৈষম্যমূলক ও অনৈতিক বলে উল্লেখ করা হয়েছে।সম্প্রতি মহিলাদের নিয়োগ সংক্রান্ত নয়া নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া। সেখানে তিন মাসের বেশি অন্তঃসত্ত্বা, এমন মহিলাদের টেম্পোরারিলি আনফিট অর্থাৎ সাময়িকভাবে কাজের অনুপযুক্ত বলে দাবি করা হয়েছে। নির্দেশে উল্লেখ করা হয়েছে সন্তানের জন্ম দেওয়ার চার মাস পর একজন মহিলা সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের চাকরিতে যোগ দিতে পারবেন। নতুন যাঁরা স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়ায় আবেদন করবেন, তাঁদের ক্ষেত্রে এই নিয়ম প্রযোজ্য হবে।

জানুয়ারি ২৯, ২০২২
রাজ্য

প্রতিরক্ষা চুক্তিতে ইজরায়েলের কাছ থেকে পেগাসাস কিনেছে ভারত দাবি নিউইয়র্ক টাইমসের

মোবাইল ফোন আড়ি পাতার স্পাই সফটওয়্যার পেগাসাস নিয়ে নতুন বিতর্কের সূত্রপাত। আমেরিকার প্রথম সারির ট্যাবলয়েড নিউইয়র্ক টাইমসের পেগাসাস সম্পর্কিত প্রতিবেদনটি আলোড়ন ফেলে দিয়েছে ভারতের রাজনৈতিক মহলে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুদ্ধ সমরাস্ত্র অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র ছাড়াও ভারত সরকার ২০১৭-তে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ইসরায়েল থেকে এক বড় অঙ্কের চুক্তিতে পেগাসাস কিনেছিল। এবং প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে সেই চুক্তিটি প্রায় ২ বিলিয়ন ডলারে নিষ্পত্তি হয়েছিল।নিউইয়র্ক টাইমস শুক্রবার গুপ্তচর সস্টওয়্যার পেগাসাস নিয়ে একটি বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সেই প্রতিবেদনে তাঁরা আরও দাবি করেছে যে, ফেডারেল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনও (FBI) এই স্পাইওয়্যারটি সস্টওয়্যার কিনেছে এবং সেটা নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা করছে।প্রতিবেদনটিতে সবিস্তারে ব্যাখ্যা করা হয়েছে কীভাবে বিশ্বব্যাপী স্পাইওয়্যার ব্যবহার করা হয়েছে। এতে বলা হয়, ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাথে চুক্তির বিনিময়ে তাঁরা পেগাসাসের লাইসেন্স পোল্যান্ড, হাঙ্গেরি ও ভারত ছাড়াও অন্যান্য দেশকেও বিক্রি করেছে। এতে ২০১৭ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ইজরাইল সফরের কথা উল্লেখ করে বলা হয়েছে। সেখানে উভয় দেশ ২ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র ও গুপ্তচর সফটওয়্যার প্যাকেজ ক্রয় করার চুক্তিতে সম্মত হয়েছে। এতে পেগাসাস এবং মিসাইল সিস্টেমও রয়েছে। জুলাই ২০১৭তে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ইজরায়েলের ঐতিহাসিক সফরের কথা এখানে বিশেষ ভাবে উল্লেখ করা হয়। নরেন্দ্র মোদি-ই ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী হিসাবে ইজরাইল সফর করেন। নিউইয়র্ক টাইমস বলেছে যে, সফরটি যখন হয়েছিল তখন ভারত একটি নির্দিষ্ট নীতি তৈরি করেছিল যা প্যালেস্তাইন বা ইজরায়েলের প্রতি প্রতিশ্রুতির কথা বলা হচ্ছিল। ইজরাইলের সাথে ভারত ঠান্ডা সম্পর্ক রেখে চলছিল।নিউইয়র্ক টাইমস তার প্রতিবেদনে আরও লিখেছে, মোদির সফর, যদিও উল্লেখযোগ্যভাবে সৌহার্দ্যপূর্ণ, তিনি এবং প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ইজরায়েলের একটি সমুদ্র সৈকতে ছিলেন। তাদের মধ্যে সম্পর্ক উষ্ণ বলে মনে হয়েছিল। কিন্তু এই উষ্ণতার পেছনে কিছু কারণ ছিল। তাদের দুই দেশ প্রায় ২ বিলিয়ন ডলার মূল্যের গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্র এবং গুপ্তচর সরঞ্জামের একটি প্যাকেজ বিক্রি করতে সম্মত হয়েছিল। এই চুক্তির মূল ফোকাস ছিল পেগাসাস এবং একটি মিসাইল সিস্টেম।প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, সফরের মাত্র কয়েক মাস পরে, জুন ২০১৯-এ তৎকালীন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু ভারতে একটি সরকারি সফর করেন, ভারত প্যালেস্তানিদের মানবাধিকারের অনুমতি দেওয়ার জন্য জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কাউন্সিলে ইজরায়েকে সমর্থনে করে ভোট দেয়।যদিও সরকারিভাবে এখনও পর্যন্ত ভারত সরকার স্বীকার করেনি যে তারা ইজরায়েলর থেকে পেগাসাস সফ্টওয়্যার কিনেছে বা ইজরায়েল সরকারও একইভাবে স্বীকার করেননি যে তারা এই গুপ্তচরবৃত্তির ব্যবস্থা ভারতের কাছে বিক্রি করেছে। ২০১৯ লোকসভা ভোট অতিক্রান্ত হবার পর থেকেই এই বিশেষ গুপ্তচর বৃত্তির সফ্টওয়্যার নিয়ে পার্লামেন্টে দুই কক্ষে-ই ঝড় চলেছে। পশ্চিবঙ্গের মুখমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যে এর বিরেদ্ধে কমিশনও গঠন করেন। বিশেষজ্ঞ সুত্রে জানা যায়, পেগাসাস একটি অত্যন্ত বিপজ্জনক স্পাই সফটওয়্যার। এটি তৈরি করেছে ইসরায়েলি কোম্পানি এনএসও গ্রুপ (NSO)। তাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট (https://www.nsogroup.com/) অনুসারে, এটি শুধুমাত্র কোনও সরকারের কাছেই বিক্রি করা হয়। এটি খরচ সাধরণের ক্রয়ের উর্ধে।এর আগে কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রক পেগাসাসের গুপ্তচরবৃত্তির রিপোর্ট স্পষ্টভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে। ১৮ জুলাই লোকসভায় এক প্রশ্নের উত্তরে তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী বলেছিলেন যে নজরদারির ক্ষেত্রে ভারত এমন প্রোটোকল তৈরি করেছে যা অত্যন্ত শক্তিশালী এবং সময়ের সাথে সাথে এর উত্তর পাওয়া যাবে। তিনি পেগাসাস সফ্টওয়্যারের মাধ্যমে ভারতীয়দের গুপ্তচরবৃত্তির দাবি স্পষ্টভাবে প্রত্যাখ্যান করেছেন। তিনি বলেন, আমি বিশেষভাবে উল্লেখ করতে চাই, যে এনএসও গ্রুপ-ও (স্পাইওয়্যার প্রস্তুতকারক) বলেছে যে পেগাসাস ব্যবহার করা দেশের তালিকাটি ঠিক নয়। তালিকায় যাদের নাম দেখা যাচ্ছে, সব দেশ-ই আমাদের গ্রাহক নয়। এনএসও জানিয়েছে তাদের বেশিরভাগ গ্রাহক-ই পশ্চিমা-দেশ। এটা স্পষ্ট যে এনএসও-ও ভারতকে পেগাসাস বিক্রির ব্যাপারটা স্পষ্টভাবে এড়িয়ে যাচ্ছে।বিজেপি বিরোধি রাজনৈতিক দলগুলি বারংবার পেগাসাসের মাধ্যমে সরকারের বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ করে চলেছে। এই নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে একাধিক পিটিশন দাখিল করা হয়েছে। ২৭ অক্টোবর ২০২১ সুপ্রিম কোর্ট অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি আরভি রভেন্দ্রনের নেতৃত্বে দুই বিশেষজ্ঞ নিয়ে একটি স্বাধীন কমিটি গঠন করে, এবং তারাই এই বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছে।

জানুয়ারি ২৯, ২০২২
দেশ

রেলে নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগে রাজ্যজুড়ে বনধের ডাক, অবরুদ্ধ একাধিক হাইওয়ে! সকাল থেকেই রণক্ষেত্র বিহার

রেলে নিয়োগের পরীক্ষায় বেনিয়ম ও জালিয়াতির অভিযোগে সপ্তাহের শুরু থেকেই উত্তপ্ত গোটা বিহার। আজ রাজ্যজুড়ে বনধের ডাক দিয়েছে ছাত্র সংগঠন। সেই বনধ ঘিরে সকাল থেকেই উত্তপ্ত বিহার। বনধ সমর্থকরা সকাল থেকেই বিভিন্ন রাস্তা, হাইওয়ে অবরোধ করেছে। একাধিক জায়গায় টায়ার পুড়িয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শনের খবর পাওয়া গিয়েছে।Bihar: Protesters block roads in Patna in support of bandh called by various political parties over alleged discrepancies in RRB NTPC results pic.twitter.com/BKXMH3Kaxl ANI (@ANI) January 28, 2022চলতি সপ্তাহের শুরু থেকেই রেলে নিয়োগের পরীক্ষায় বেনিয়মের অভিযোগে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে পরীক্ষার্থীরা। রেলওয়ে নিয়োগ বোর্ডের ২০২১ সালের নন-টেকনিক্যাল পপুলার ক্যাটেগরির পরীক্ষার এখনও ফল প্রকাশ না হওয়ায় তারা বিক্ষোভ দেখানো শুরু করে। তবে বিক্ষোভ ভয়ঙ্কর আকার নেয় সাধারণতন্ত্র দিবসের দিন। গয়ায় দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্রেনে ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে লাঠিচার্জও করে পুলিশ।বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে পুলিশ এফআইআর দায়ের করতেই অল ইন্ডিয়া স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন-সহ একাধিক ছাত্র সংগঠনের তরফে আজ বিহারজুড়ে বনধের ডাক দেওয়া হয়। এদিন সকাল থেকেই থমথমে পরিস্থিতি চোখে পড়ে রাজ্যজুড়ে। একাধিক সড়ক ও হাইওয়ে বন্ধ করে বিক্ষোভ দেখায় ছাত্র ও পরীক্ষার্থীরা। জোর করে বন্ধ করে দেওয়া হয় বিভিন্ন দোকান। টায়ার ও রেলমন্ত্রীর কুশপুতুল জ্বালিয়েও রাস্তা আটকে দেয় অবরোধকারীরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে রাজ্যজুড়েই কড়া পুলিশি পাহারা মোতায়েন করা হয়েছে। ছাত্র সংগঠনগুলির দাবি, তদন্তকারী কমিটি গঠন করে রেলের নিয়োগ উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচন না হওয়া অবধি পিছিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে কেন্দ্র।রাজ্যজুড়ে হিংসা, বিশৃঙ্খলার ঘটনার খবর পেয়ে মঙ্গলবারই রেলওয়ে বোর্ডের তরফে আপাতত নন-টেকনিক্যাল পপুলার বিভাগ ও লেভেল-১ পরীক্ষা স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়। একইসঙ্গে পরীক্ষার্থীদের যাবতীয় বক্তব্য শোনার জন্য একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে। দুই পক্ষের বয়ান শোনার পর ওই কমিটি রেল মন্ত্রকের কাছে রিপোর্ট জমা দেবে। অন্যদিকে, রেল মন্ত্রকের তরফে অপর একটি নির্দেশিকা জারি করে জানানো হয়েছে, যে সমস্ত চাকরিপ্রার্থীরা ভাঙচুর ও বেআইনি কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত, তারা রেলের চাকরি পাবেন না।

জানুয়ারি ২৮, ২০২২
সম্পাদকীয়

'মেরা দেশ মহান হ্যায়'...... প্রজাতান্ত্রিক দেশ কতটা এগিয়েছে

প্রজাতন্ত্র দিবস, স্বাধীনতা দিবস, দেশ প্রেমিক দিবস কত কিছু ঘটা করে পালন করা হয়। ফাইভ জি-র যুগে এসবের প্রচার বেড়েছে। সোশাল মিডিয়া ছয়লাপ হচ্ছে দেশপ্রেমের বাণীতে। নানা বাণী আওড়াচ্ছেন দেশ নেতারা। কিন্তু ভিন গ্রহে যান পাঠাক বা শয়ে শয়ে উপগ্রহ প্রেরণ করুক আদৌ দেশ কতটা এগিয়েছে সেই প্রশ্ন সবার আগে। মানুষের অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, স্বাস্থ্যের সুব্যবস্থা কী আজও দেশ করতে পেরেছে? এটাই মূল প্রশ্ন। অযথা ভাষনবাজি বন্ধ হওয়া দরকার। দেশের পতাকা বহণ করার জন্য যে শক্তি অর্জন করা দরকার তা আজ কজনের মধ্যে রয়েছে, সেই প্রশ্ন নিয়েই বড় বিতর্ক। মেরা দেশ মহান হ্যায়......ফ্রি-তে রেশন, সরকারি অনুদান তারপরেও দেশের কোটি কোটি মানুষ ক্ষুদার্থ। কোনও পরিসংখ্যান ঘাঁটার দরকার নেই, এলাকায় এলাকায় ঘুরলেই এই দৃশ্য পরিলক্ষিত হবে। কত মানুষ আজও খালি আকাশের নীচে বাস করে বা ফুটোফাটা ঘরে বাস করে তা-ও বলার দরকার নেই। গরিব-গুর্বো মানুষগুলিই এর জ্বলন্ত উদাহরণ। গরিবী হটাও-এর দাবি করে নির্বাচনে লড়েছিলেন ইন্দিরা গান্ধী, দেশের মানুষ আজ কী দেখতে পাচ্ছেন? দেশ বা রাজ্যের শাসকদলগুলি কর্মসংস্থানের প্রতিশ্রুতি দিয়ে নির্বাচনে লড়াই করেছিল। বাস্তব কী কথা বলছে তা বোধহয় মনে করালেই যথেষ্ট। তাহলে অন্নের সংস্থান কোথা থেকে হবে। রেশনের চাল-ডাল সেদ্ধ করার বাকি যোগান কোথা থেকে আসবে, কাঁচা চিবিয়ে খেলেই হল আর কী! যে লোকগুলি পতাকা উত্তোলন করে বড় বড় ভাষণ দিচ্ছে তাঁর পাশের বাড়ির লোকটা বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়ছে, অর্থের অভাবে পড়াশুনা করতে পারছে না, অতিকষ্টে পড়াশুনা করেও কাজ জুটছে না। এটাই আজ সব থেকে বড় বাস্তব। জোর গলায় বলছে, মেরা দেশ মহান হ্যায়.......মানুষ যেমন এখন ভয়ঙ্কর আত্মকেন্দ্রীক তেমনই রাজনীতির একটা বড় অংশ পকেট ভরতেই ব্যস্ত। অভিজ্ঞ লোকেরা তো বলেই ফেলছে সব থেকে বড় ব্যবসা এখন রাজনীতি। যাঁরা ভোটে দাঁড়ায় তাঁদের পেশা লেখা রয়েছে হয় সমাজসেবা অথবা রাজনীতি। কেউ কী বলতে পারেন এভাবে কার কতা টাকা রোজগার হতে পারে? তাঁদের স্ত্রীদের কাছে আরও অর্থ এবং সম্পদ রয়েছে। আজ একজন কাউন্সিলরের অর্থ ও সম্পত্তির পরিমান শুনে প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ীরাও ভিমরি খাচ্ছেন। যদিও এটা কিন্তু একদিনে হয়নি। শ্রেণি সংগ্রাম করতে গিয়েও কেউ কেউ ক্রোড়পতি হয়েছেন বামআমলে। কোনও পিছিয়ে পড়া পরিবারের গরু-ছাগল বাদ দিয়ে সকলেই চাকরি জুটিয়ে নিয়েছেন। খোঁজ করলে এসবও মিলবে। পুরসভা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার দৌড় দেখলে বোঝা মুশকিল হয় না কেন আকর্ষণ ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের একটা টিকিট পেতে। পেশাগত ভাবে সফল হলে তিনিও সমাজের কথা ভুলে যান। নিজ পরিবার ছাড়া কারও স্বার্থ নিয়ে তাঁরাও ভাবিত নয়। অথছ সমাজ না থাকলে,সাধারণ মানুষের যোগান দেওয়া অর্থে পড়াশুনা না করলে তিনি পেশাদার হতে পারতেন না।একজন সাধারণ মানুষ হিসাবে কেউ হাসপাতালে যাক, একজন মানুষ কোনও সরকারি দফতরে গিয়ে দেখুক। কী অসাধারণ ব্যবস্থাপনা! অসহায় পরিস্থিতি কাকে বলে তা টের পেতে বাধ্য। অনলাইনে জন্ম-মৃত্যুর সার্টিফিকেট নিয়ে নেতা-মিডিয়া হইহুল্লোর জুড়ে দেয়। এদিকে ঘাটালের এক কিশোর বাবার মৃত্যুর সার্টিফিকটে নিতে গিয়ে মহানগরের রাস্তা যখন কান্নায় ভেজায় তখন তাঁর খোঁজ কে রাখে? এসবের কোনও সমাধান আছে কি প্রশ্ন সেটাই। ১০ কোটি লোকের একটা ঘটনা কোনও মিডিয়া তুলে ধরলে সেটা কখনও সার্বিক হয় না। প্রচারের ঢক্কা নিনাদেই দেশ আজ শিখরে পৌঁছিয়েছে। অদূর ভবিষ্যতে স্বাভাবিক সমাজ ব্যবস্থার কোনও লক্ষণ চোখে পড়ছে না। মেরা দেশ মহান হ্যায়......প্রজাতন্ত্র দিবস পালনের সঙ্গে প্রজাদের হিতের কথা ভাবা দরকার। গরিবী হটানোর স্লোগান না দিয়ে গরিবের জন্য কাজ করা দরকার। ভাষণ না দিয়ে গরিবী দূর করার প্রকল্প নিয়ে তা বাস্তবায়িত করতে হবে। কেন্দ্র বা রাজ্য সরকার স্বাস্থ্য সহ হাজারো কার্ড না করে চিকিৎসার উপযোগী ব্যবস্থাপনা তৈরি করুক। সব থেকে বড় বিষয় এক সময় বামেদের দাবি ছিল অর্থনৈতিক ভিত্তিতে সংরক্ষনের, তারাও এখন ওইসব দাবি নিয়ে পথে নামে না। এখন জাত-পাত তস্য জাত-পাতের ভিত্তিতে সংরক্ষণ চলছে রাজ্য তথা দেশে। কেন অর্থনীতিতে পিছিয়ে পড়াদের জন্য রাষ্ট্র ভাববে না। মানুষের জন্যই রাষ্ট্র, মানুষ মানুষের জন্য, একথা যতদিন বাস্তবায়িত না হবে ততদিন টুইট বার্তা বা পতাকা তুলে দেশের কোনও উন্নয়ন হবে না। যে উন্নয়ন ঘটেছে তা নিয়ে লাফালাফি করার কিছু নেই। বিশ্বের বহু দেশ নানা ক্ষেত্রেই ভারতের থেকে এগিয়ে গিয়েছে। তবুও মেরা দেশ মহান হ্যায়.......

জানুয়ারি ২৬, ২০২২
রাজ্য

ভারতীয় সেনায় বাঙালি রেজিমেন্টের দাবিতে প্রধানমন্ত্রী, প্রতিরক্ষামন্ত্রী এবং রাজ্যের মুখ্যসচিবকে চিঠি বাংলা পক্ষর

ভারতীয় সেনায় বাঙালি রেজিমেন্টের দাবিতে প্রধানমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রীকে চিঠি দিল বাংলা পক্ষ। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে যাতে এই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দেওয়া হয় সেই আবেদন জানিয়ে রাজ্যের মুখ্যসচিবকেও চিঠি দিয়েছে বাংলা পক্ষ। নেতাজি সুভাষ চন্দ্রের জন্মজয়ন্তীতে ফের এই দাবি তুলেছে বাংলা পক্ষ। দীর্ঘ দিন ধরেই এই দাবি করে আসছে বাঙালির জন্য লড়াই করা এই সংগঠন।গতকাল ট্যুইটার ক্যাম্পেনও করেছিল বাংলা পক্ষ।হ্যাসট্যাগ ছিলঃ#Bengali_Regiment_in_Indian_Armyবাংলা পক্ষর দাবি, ভারতীয় সেনায় বাঙালি রেজিমেন্ট চাই। ভারতীয় সেনাবাহিনীতে চাকরির পরীক্ষা বাংলা ভাষায় দেওয়ার সুযোগ চাই। বাংলার সরকার দিল্লির যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকারের কাছে এই দাবি জানাক।সংগঠনের দাবি, এই ঘোষণা হলে তবেই বীর সুভাষ চন্দ্র বসু ও অসংখ্য বাঙালি বিপ্লবীদের প্রকৃত শ্রদ্ধা জ্ঞাপন হবে। এদিন রাজ্য জুড়ে মহাসমারোহে বীর সুভাষের ১২৫ তম জন্মজয়ন্তী পালন করে বাংলা পক্ষ। নানা জেলায় ট্যাবলো বেরিয়েছে এবং শোভাযাত্রা হয়েছে।

জানুয়ারি ২৩, ২০২২
রাজ্য

'নেতাজী কি ওদের চাকর বাকর নাকি? নরেদ্র মোদির মূর্তি কোথাও থাকলে তলা থেকে চেঁচে বাইরে ফেলে দেব,' হুঙ্কার তৃণমূল বিধায়কের

এবার অমর জওয়ান জ্যোতি ও নেতাজি ইস্যুতে বিতর্ক বাড়লেন তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র। দিল্লির ইন্ডিয়া গেটে থাকা অমর জওয়ান জ্যোতি সরিয়ে দিয়ে সেই জায়গায় নেতাজীর মূর্তি বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র ।হঠাৎ করে ৫০ বছর বাদ ইন্ডিয়া গেট থেকে অমর জওয়ান জ্যোতি সরিয়ে দেওয়া নিয়ে দেশ জুড়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। রবিবার গোটা দেশের পাশাপাশি এই রাজ্যেও ঘটা করে পালিত হবে দেশবরেণ্য দেশনায়ক নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্ম দিবস। তাঁর প্রাক্কালে শনিবার অমর জওয়ান জ্যোতি সরানো নিয়ে বিতর্ক আরও উস্কে দিলেন রাজ্যের তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র। একই সঙ্গে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য তিনি দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেও তীব্র ভাষায় আক্রমণ করলেন। আমন্ত্রিত অতিথি হিসাবে এদিন পূর্ব বর্ধমানের রায়না বিধানসভার উচালন কৃষি-শিল্প হস্তশিল্প ও সাংস্কৃতিক মেলার উদ্বোধন উনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন মদন মিত্র। গান গেয়ে অনুষ্ঠান মাতিয়ে দেবার পর সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে মদন মিত্র বলেন ,নেতাজী ভিখারি নাকি? আজ বলবে এখানে নেতাজীর মূর্তি বসাও কাল বলবে ওখানে বসাও।ওই অমর জ্যোতির জওয়ানদের উদ্দেশ্যেই লতা মাঙ্গেস্কর গাইলেন ,ও মেরি বতন কি লোগো - জরা আঁখোমে ভরলো পানি। হঠাৎ করে এখন বলছে, অমর জ্যোতি বন্ধ করিয়ে দিয়ে ওখানে নেতাজীকে বসিয়ে দাও।কেন্দ্রের এমন সিদ্ধান্তকে কটাক্ষ করে এরপর মদন মিত্র বলেন , নেতাজী কি ওদের চাকর বাকর নাকি? আমরাও ঠিক করেছি নরেদ্র মোদীর মূর্তি কোথাও থাকলে ওটাকে তলা থেকে চেঁচে বাইরে ফেলে ওর জায়গায় অন্য মূর্তি বসিয়ে দেব।মদন মিত্রর এমন বক্তব্য রাজনৈতিক মহলে শোরগোল ফেলে দিয়েছে। উচালনের মেলায় এদিন মদন মিত্র ছাড়াও রাজ্যের কৃষি উপদেষ্টা প্রদীপ মজুমদার, তৃণমূল যুব কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি তথা অভিনেত্রী সায়নী ঘোষ, আরামবাগের সাংসদ অপরূপা পোদ্দার , রায়নার বিধায়ক শম্পা ধারা সহ অন্য নেতারা উপস্থিত থাকেন। তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্রর এমন বক্তব্য প্রসঙ্গে বিজেপির জেলা নেতা কল্লোল নন্দন বলেন, কার মূর্তি চেঁচে উপরে দেওয়ার কথা মদন মিত্র বলছেন সেটা ওনার বোঝা উচিৎ। উনি দেশের প্রধানমন্ত্রী ।তবে মদন মিত্র সন্মন্ধে যত কম কথা বলা যায় ততই ভালো বলে কল্লোল বাবু মন্তব্য করেন।

জানুয়ারি ২২, ২০২২
রাজ্য

করোনাকালে পড়ুযাদের মানসিক চাপ কমাতে রাজ্যের বিশেষ উদ্যোগ

করোনাকালে স্কুল বন্ধ থাকার কারণে নানাভাবে সমস্যায় পড়া ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে পৌঁছতে রাজ্য সরকার বিশেষ উদ্যোগ নিচ্ছে।স্কুল পড়ুয়াদের মধ্যে তৈরি হওয়া মানসিক চাপ ও অনিশ্চয়তাকে নিরাময় করতে রাজ্যের শিক্ষা দপ্তর বিশেষ ওয়েবিনার সিরিজের আয়োজন করার কথা ঘোষণা করেছে। ছাত্র-শিক্ষক-অভিভাবকদের সামিল করে উজ্জীবন চর্চা নামে বিশেষ ওয়েবিনারে বিশেষজ্ঞরা নির্বাচিত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন। রবিবার আয়োজিত হবে প্রথম ওয়েবিনারটি। কোভিডকালে শিক্ষার্থী মন নামক এই ওয়েবিনারের আলোচকমণ্ডলীতে থাকবেন বিশিষ্ট মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ডঃ রিমা মুখার্জি, ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট ও থেরাপিস্ট শ্রীমতী পায়েল ঘোষ, ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট ও স্পেশ্যাল এডুকেটর শ্রীমতী পৌষালী দাস।অনুষ্ঠানটির সঞ্চালনা করবেন সাখাওয়াত মেমোরিয়াল গভর্নমেন্ট বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা শ্রীমতী পাপিয়া নাগ। শিক্ষক শিক্ষিকা-সহ একাদশ শ্রেণির পড়ুয়া ও তাদের অভিভাবকরা এই ওয়েবিনারে অংশগ্রহণ করতে পারবেন।দুপুর ১২টা থেকে ১টার মধ্যে ছাত্রছাত্রী ও তাঁদের অভিভাবকরা এই ওয়েবিনারে অংশ নিতে পারবে। অন্যদিকে, দুপুর ১.৩০ থেকে ২.৩০-এর মধ্যে শিক্ষক-শিক্ষিকারা এই ওয়েবিনারে অংশ নিতে পারবেন।তৃতীয়বারের জন্য সারা দেশ জুড়ে মারণ থাবা বসিয়েছে করোনা ভাইরাস। এহেন পরিস্থিতিতে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে রাজ্যের স্কুল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলি। ফের একবার অনলাইন ক্লাসেই ফিরে গিয়েছে পড়ুয়ারা। করোনার সময় স্কুলের ক্লাসরুম থেকে বঞ্চিত হওয়া পড়ুয়া ও তাঁদের অভিভাবকদের জন্য একগুচ্ছ ওয়েবিনার নিয়ে হাজির হল পশ্চিমবঙ্গ স্কুল শিক্ষা দপ্তর।

জানুয়ারি ২২, ২০২২
খেলার দুনিয়া

গুরুতর অসুস্থ সুভাষ ভৌমিক, চিকিৎসার জন্য জরুরি বৈঠক, এগিয়ে এলো তিন প্রধান

গুরুতর অসুস্থ ভারতীয় দলের প্রাক্তন ফুটবলার তথা স্বনামধন্য কোচ সুভাষ ভৌমিক। তাঁর শারিরীক অবস্থা এমন পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছিল, বেশ কিছুদিন আগে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। এই অবস্থায় সুভাষ ভৌমিকের চিকিৎসার জন্য এগিয়ে এল রাজ্য সরকার। সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে আইএফএসহ কলকাতার তিন প্রধান। শুক্রবার এক বৈঠকে সুভাষ ভৌমিকের চিকিৎসা সংক্রান্ত যাবতীয় রূপরেখা তৈরি হয়েছে।দীর্ঘদিন ধরেই সুগার ও কিডনির অসুখে ভুগছেন সুভাষ ভৌমিক। নিয়মিত ডায়ালিসিস করাতে হত। প্রতিদিন বাড়ি থেকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ডায়ালিসিস করা কঠিন হয়ে পড়েছিল। তার ওপর ফুসফুসে সংক্রমণ ধরা পড়ায় সমস্যা আরও বেড়ে যায়। তাই কয়েকদিন আগে একবালপুরের এক নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয় সুভাষ ভৌমিককে। তাঁর আরও ভাল চিকিৎসার জন্য শুক্রবার নব মহাকরণে ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের দপ্তরে একটি জরুরি বৈঠক ডাকা হয়েছিল। বৈঠকে ভাস্কর গাঙ্গুলি, মনোরঞ্জন ভট্টাচার্য, বিকাশ পাঁজি, বিদেশ বসু, মানস ভট্টাচার্যর মতো প্রাক্তন ফুটবলাররা ছাড়াও হাজির ছিলেন আইএফএ এবং কলকাতার তিন প্রধানের কর্তারা। ইস্টবেঙ্গলের পক্ষ থেকে ছিলেন দেবব্রত সরকার, মোহনবাগানের দেবাশিস দত্ত, মহমেডানের কামারুদ্দিন। আইএফএর পক্ষ থেকে হাজির ছিলেন সভাপতি অজিত ব্যানার্জি। এছাড়া সুভাষ ভৌমিকের ছেলে অর্জুন ভৌমিক ছাড়াও বৈঠকে ডাকা হয়েছিল মেডিকা সুপার স্পেশালিটি হাতপাতালের ডিরেক্টরসহ মেডিকেল টিমকে।সুভাষ ভৌমিকবৈঠকে ঠিক হয়েছে সুভাষ ভৌমিকের উন্নত চিকিৎসার জন্য মেডিকা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হবে তাঁকে। সুভাষ ভৌমিকের কিডনি প্রতিস্থাপনের বিষয়টিও খতিতে দেখছে মেডিকার মেডিকেল টিম। স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের মাধ্যমেই হবে তাঁর চিকিৎসা। তবে কিডনি প্রতিস্থাপনের বিষয়টা যথেষ্ট খরচ সাপেক্ষ। তাই বৈঠকে ঠিক হয়েছে বাড়তি অর্থর জন্য কলকাতার তিন প্রধানসহ আইএফএ সুভাষ ভৌমিকের পাশে দাঁড়াবে। ব্যক্তিগতভাবে ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসও পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। ইতিমধ্যেই তিনি প্রায় ৪০ হাজার টাকার ঔষুধ সুভাষ ভৌমিকের চিকিৎসার জন্য কিনে দিয়েছেন।

জানুয়ারি ২১, ২০২২
কলকাতা

শুভেন্দু-কাণ্ডে রাজ্যের হলফনামা চাইল হাইকোর্ট

নেতাইয়ের শহিদ স্মরণ কর্মসূচিতে শুভেন্দু অধিকারীকে যোগ দিতে পুলিশি বাধা এবং কাঁথিতে তাঁর বাড়ির সামনে সিসিটিভি ক্যামেরা বসিয়ে নজরদারির অভিযোগ সংক্রান্ত মামলায় রাজ্যের হলফনামা চাইল কলকাতা হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার বিচারপতি রাজশেখর মান্থার নির্দেশ, আগামী দুসপ্তাহের মধ্যে এ বিষয়ে হলফনামা দিয়ে বক্তব্য জানাতে হবে রাজ্যকে।হাইকোর্টে দায়ের করা মামলায় শুভেন্দুর অভিযোগ ছিল, তাঁর কাঁথির বাড়ির সামনে রাত ২টো পর্যন্ত উচ্চস্বরে মাইক বাজানো হচ্ছে। পাশাপাশি তাঁর উপর নজরদারির জন্য বাড়ির দরজা, জানালা লক্ষ্য করে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে বলেও অভিযোগ জানান তিনি। এমনকী, নিরাপত্তাজনিত দিক থেকে তাঁর বাড়ি স্পর্শকাতর এলাকা হলেও সেখানে রাজ্যের শাসকদলের কর্মী সমর্থকেরা যখন-তখন মিছিল-সমাবেশ করছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।প্রসঙ্গত, ২০২০-র ডিসেম্বরে বিজেপি-তে যোগ দেওয়ার কয়েক সপ্তাহ পরে ২০২১-এর জানুয়ারিতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার দাবিতেও কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন শুভেন্দু। রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা নির্বাচিত হওয়ার পরে গত জুন মাসে হাইকোর্টে তিনি অভিযোগ করেন, রাজ্য সরকার তাঁকে একজন পূর্ণমন্ত্রীর সমতুল নিরাপত্তা দেয়নি। সাংবিধানিক বিধি অনুযায়ী যা তাঁর প্রাপ্য। এখনও তাঁকে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তার উপর নির্ভর করতে হচ্ছে। অভিযোগ প্রসঙ্গে, বিচারপতি মান্থা বৃহস্পতিবার জানান নিরাপত্তার স্বার্থে কোথায় সিসিটিভি ক্যামেরা বসবে তা শুভেন্দুর সুরক্ষার দায়িত্বপ্রাপ্ত সিআরপিএফ বাহিনী এবং রাজ্য পুলিশ আলোচনার ভিত্তিতে স্থির করতে পারে।

জানুয়ারি ২০, ২০২২
রাজ্য

সেচ দফতরের জমি দখলের অভিযোগ তৃণমূলের উপপ্রধানের বিরুদ্ধে

তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত পঞ্চায়েতের উপপ্রধানের মদতে ঘটেছে সেচ দফতরের সরকারি জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে। এমনই অভিযোগ এনে সোচ্চার হলেন পঞ্চায়েতেরই দুই সদস্যর। ঘটনাটি ঘটেছে বর্ধমানের বৈকুন্ঠপুর ২ নম্বর পঞ্চায়েতের গোপালনগর এলাকায়। পঞ্চায়েত সদস্যা মিতা দাসের অভিযোগ, গোপালনগর এলাকার সেচ দপ্তরের জায়গা পঞ্চায়েতের উপপ্রধানের মদতে স্থানীয় তৃণমূল নেতা মহম্মদ হোসেন রাতারাতি বাঁশ দিয়ে ঘিরে ফেলেছেন। শাসকদলের তকমা লাগিয়ে অর্থের লোভে অবৈধভাবে কাগজপত্র তৈরী করে এই সরকারি জায়গাটি বিক্রি করে দেওয়ার চক্রান্ত করছে তারা। এই বিষয়ে বৈকুন্ঠপুর-২ পঞ্চায়েতের সদস্য মিতা দাস ও আরেক সদস্য হেমন্ত খাঁ প্রতিবাদ জানিয়েছেন। এই বিষয়ে দুই সদস্য বর্ধমান সেচ দপ্তর ও বৈকুন্ঠপুর পঞ্চায়েতে অভিযোগ জানিয়েছেন। তাঁদের দাবী, প্রশাসন সরকারি জায়গাটি অসাধু প্রমোটারদের হাত থেকে পুনরুদ্ধার করুক। সেই সঙ্গে এই জায়গায় শিশুদের জন্য পার্ক বা স্বচ্ছ জল প্রকল্পের মতো পরিকল্পনা গ্রহন করুক যাতে গ্রামবাসীরা উপকৃত হয়। ঘটনার খবর পেয়ে এদিন ঘটনাস্থলে যায় বর্ধমান থানার পুলিশ। পঞ্চায়েত সদস্য হেমন্ত খাঁ পুলিশ কে বলেন, উপপ্রধানের মদতেই এলাকায় নানা অনৈতিক কাজ হচ্ছে । বৈকন্ঠপুর ২ গ্রাম পঞ্চায়েত মাঝেমধ্যেই গোষ্ঠী কোন্দলের কারণে খবরের শিরোনামে আসে। এই পঞ্চায়েতের প্রধান আসনটি তপশিলি মহিলা সংরক্ষিত। গোষ্ঠীকোন্দলের জেরে পদত্যাগ করেছেন আগের প্রধান। বর্তমানে উপপ্রধানই সমস্ত কার্যভার সামলাচ্ছেন। যদিও দলের উর্ধতন কর্তৃপক্ষ গোষ্ঠী কোন্দলের কথা অস্বীকার করেন। বর্তমানে সমস্ত দ্বায়িত্ব সামলানো উপপ্রধান গোপাল বিশ্বাস তার বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। পঞ্চায়েত সদস্যরা তাঁর নামে কেন অভিযোগ করছেন এবিষয়ে তিনি কিছু বলতে চাননি। পাশাপাশি ওই সদস্যদের জমি দখল সংক্রান্ত অভিযোগ পেয়েছেন এবং ঘটনার তদন্ত হবে বলে জানান তিনি। যার বিরুদ্ধে মূল অভিযোগ সেই স্থানীয় তৃণমূল নেতা মহঃ হোসেন টেলিফোনে জানিয়েছেন, এই ঘটনার সঙ্গে তিনি যুক্ত নন। এই বিষয়ে জেলা পরিষদের সভাধিপতি শম্পা ধারা বলেন, খোঁজ নিয়ে দেখছি। তবে বেআইনী কিছু করা যাবে না।

জানুয়ারি ১৮, ২০২২
রাজ্য

"নেতাজি" সুভাষচন্দ্র বসু-র ট্যাবলো বাতিল করলো কেন্দ্র সরকার, প্রতিবাদে মুখর 'বাংলা পক্ষ'

একদিকে যখন বিজেপি শাসিত কেন্দ্রীয় সরকার ঘোষণা করছে এই বছর ২৩ জানুয়ারি থেকেই সাধারণতন্ত্র দিবস পালন শুরু হবে, সরকার আরও জানিয়েছে, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মবার্ষিকীকে মর্যাদা দিতেই তাঁরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এছাড়া ২০১৯ এ নেতাজির জন্মবার্ষিকীকে পরাক্রম দিবস হিসেবে পালন করার কথা ঘোষণা করেছিল মোদি সরকার, এবং এই উপলক্ষে কলকাতার ভিক্টোরিয়া মেমরিয়াল হলে এক মনোজ্ঞ অনুষ্টানের আয়োজন করে। সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।অদ্ভুত ভাবে সেই সরকারই ২৬ শে জানুয়ারী-র সাধারণতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজ উপলক্ষে বীর সুভাষ ও আজাদ-হিন্দ-ফৌজ-কে কেন্দ্র করে তৈরি বাংলার ট্যাবলো বাতিল করেছে। একই সরকারের এই দ্বিমুখী আচরণে অবাক সাধারন মানুষ থেকে শুরু করে বিদ্বজন।এই আচরণের তীব্র বিরোধিতা করে বাংলা পক্ষ। বেশ কিছুদিন ধরেই বাংলা ও বাঙালি বিদ্বেষি কোনও ঘটনার প্রতিবাদে মুখর হয়ে উঠেছে এই বাংলা প্রেমী সংগঠন। তাঁরা তাদের টুইটার হ্যাণ্ডেল থেকে প্রতিবাদের ঝড় তুলেছে। জনতার কথার প্রতিনিধি কে বাংলা পক্ষ জানিয়েছে, বাঙালির শত্রু বিজেপি শাসিত দিল্লির কেন্দ্র সরকার। বিজেপি ও হিন্দি সাম্রাজ্যবাদী কেন্দ্র সরকারের সর্বদাই বাংলা ও বাঙালি বিরোধী চরিত্র দেখি আমরা।আরও পড়ুনঃ নেতাজির জীবন নিয়ে লাইট অ্যান্ড সাউন্ড শো ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল হলেবাংলা পক্ষ-এর তরফ থেকে আরও জানানো হয়েছে, যখন বাঙালি বীর সন্তানরা ভারতের স্বাধীনতার জন্য প্রাণ দিচ্ছে তখন আরএসএস ব্রিটিশের দালালি করতো। ইতিহাসক্রমেই বিজেপি ও আরএসএস (RSS) সুভাষ বিরোধী। এবার সাধারণতন্ত্র দিবসে সুভাষের নামাঙ্কিত বাংলার ট্যাবলো বাতিল হওয়ায় দিল্লির সুভাষ বিরোধিতা আরও প্রকট ভাবে প্রকাশিত হল। এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বাঙালি বিরোধী বিজেপি ও কেন্দ্র সরকারকে ধিক্কার জানিয়ে ট্যুইটার প্রচার শুরু করেছে বাংলা পক্ষ। যদিও এবিষয়ে আরএসএসের কোনও মন্তব্য মেলেনি।বাংলা পক্ষর শীর্ষ পরিষদ সদস্য কৌশিক মাইতি জানিয়েছেন, বাঙালিদের তাঁরা আহ্বান জানাচ্ছেন #AntiNetajiBJP হ্যাসট্যাগ ব্যবহার করে ট্যুইটারে ঝড় তোলার জন্য। এছাড়াও আরও একটি হ্যাসট্যাগ #BengalNetajibannedinDelhi তাঁরা ব্যবহার করছেন এই প্রচারে। হাজার হাজার ট্যুইটের মাধ্যমে সুভাষচন্দ্রের অমর্যাদার প্রতিবাদে গর্জে ওঠার আবেদন তাঁরা রাখছেন সমগ্র ভারতীয়দের কাছে। তাঁরা জানিয়েছেন সুভাষচন্দ্র শুধু বাঙালির গর্ব নয় সমগ্র ভারতবর্ষের অলঙ্কার।কৌশিক মাইতি আরও জানিয়েছেন, তাঁরা বাংলা পক্ষ এই ট্যুইটার প্রচারে আরও কয়েকটি দাবি রেখেছে সেগুলি হলঃ১. সুভাষ চন্দ্র বসু সম্পর্কিত সমস্ত ফাইল প্রকাশ করতে হবে।২. ভারতীয় সেনায় বাঙালি রেজিমেন্ট চাই।৩. ভারতীয় সেনাবাহিনীর পরীক্ষা বাংলা ভাষায় দেওয়ার সুযোগ চাই।

জানুয়ারি ১৬, ২০২২
কলকাতা

ফের কলকাতায় বাড়ল মাইক্রো কনটেনমেন্টের সংখ্যা

করোনা সংক্রমণ বাড়তেই ফের চিন্তার ভাঁজ। কলকাতায় ক্রমেই বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। এই পরিস্থিতিতে ফের কলকাতায় বাড়ল মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোনের সংখ্যা। এ বার, ২৯ থেকে একধাক্কায় ৪৪ টি মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন নতুন করে ঘোষণা করল কলকাতা পুরসভা। প্রায় সপ্তাহখানেক আগেই কনটেনমেন্ট জোনের সংখ্যা কমানো হয়েছিল। ফের বাড়িয়ে দেওয়া হল মাইক্রোকনটেনমেন্ট জোন।সূত্রের খবর, নবান্নের চিন্তা কোনও বস্তি এলাকা নয়। বরং, নবান্নের চিন্তার কারণ বড় বড় আবাসনগুলি। কারণ সেখানে অনেক ক্ষেত্রেই গিয়ে দেখা গিয়েছে, স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না আবাসিকরা।নতুন মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোনের তালিকায় রয়েছে একাধিক বরো। ৪ নম্বর বরোয় ৪ টি, ৭ নম্বর বরোতে ৪ টি, ৯ নম্বর বরোতে ২ টি, ১০ নম্বর বরোতে ১০ টি, ১২ নম্বর বরোয় ১১ টি, ১৪ নম্বর বরোয় ৩ টি, ১৬ নম্বর বরোতে ৫ টি, ৮ নম্বর বরোতে ১ টি এবং ৩ নম্বর বরোতে ৪ টি স্থান মাইক্রো কনটেনমেন্ট জ়োন বলে চিহ্নিত হয়েছে। সেই তালিকার মধ্যে রয়েছে, একাধিক বহুতল আবাসনও।স্বাস্থ্য অধিকর্তারা বলছেন, আবাসনগুলিতেই সবচেয়ে বেশি করোনা সংক্রমণ হচ্ছে। এই মুহূর্তে আবাসনগুলিই উৎকন্ঠার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে প্রশাসনের। এরই মধ্যে নবান্নে একটি রিপোর্ট জমা পড়েছে। আবাসনগুলিতে সংক্রমণ কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায়, তা খতিয়ে দেখছে প্রশাসন। নিউটাউনের আবাসনগুলির ক্ষেত্রে ফোরাম ও কমিটিগুলিকে নিয়ে একটি বৈঠক করার কথা ভাবা হচ্ছে। করোনার স্বাস্থ্যবিধি যাতে তাঁরা মেনে চলেন, সে ব্যাপারে সতর্ক করা হবে তাঁদের।

জানুয়ারি ১৫, ২০২২
রাজ্য

কোভিড পরীক্ষা নিয়ে নয়া নির্দেশিকা জারি রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের

কোভিড পরীক্ষা নিয়ে এবার নয়া নির্দেশিকা জারি করল রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর। পাশাপাশি, কখন, কাদের নিভৃতবাস বা হাসপাতালে পাঠানো প্রয়োজন সে বিষয়েও বার্তা রয়েছে ওই নির্দেশিকায়।চলতি সপ্তাহেই ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর)-এর পরামর্শে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক কোভিড পরীক্ষা সংক্রান্ত একটি নির্দেশিকা জারি করেছিল। তারই সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে রাজ্যের এই নির্দেশিকা। এতে জানানো হয়েছে, করোনার উপসর্গ রয়েছে এমন সকলেরই পরীক্ষা করানো জরুরি।৬০ বছরের বেশি বয়সি এবং ঝুঁকিপূর্ণ রোগে আক্রান্তেরা যদি কোভিড রোগীর সংস্পর্শে এলে তাঁদের উপসর্গ না থাকলেও পরীক্ষা করানো প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে ডায়াবেটিস, ক্যানসার, হাইপারটেনশন, ফুসফুস-লিভার-কিডনির সমস্যা, স্থূলত্ব জনিত সমস্যাকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। নিভৃতবাস সংক্রান্ত নির্দেশিকা মেনে যাঁরা বাইরে বেরোবেন তাঁদের আর পরীক্ষার প্রয়োজন নেই বলে জানিয়েছে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর।করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের বিপজ্জনক লক্ষণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে টানা ৭ দিনের বেশি জ্বর, শ্বাসকষ্ট, প্রচণ্ড কাশি, ঠোঁট নীল হয়ে যাওয়া, বুকে ব্যথা বা ধড়ফড় করা আচ্ছন্নভাব বা অস্থিরতার মতো উপসর্গ। এর সঙ্গে সিস্টোলিক রক্তচাপ ১০০-র কম, অক্সিজেনের মাত্রা ৯৪ শতাংশের কম শ্বাসপ্রশ্বাসের হার মিনিটে ২৪-এর বেশির মতো সমস্যা থাকলে রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করানোর কথা বলা হয়েছে নির্দেশিকায়।উপসর্গহীন এবং মৃদু উপসর্গ রয়েছে এমন করোনা রোগীদের বাড়িতে নিভৃতবাসে থাকার কথা বলা হয়েছে ওই নির্দেশিকায়। মৃদু উপসর্গের তালিকায় রয়েছে, শুকনো কাশি, নাক বন্ধ হওয়া, গলা ব্যথা, জ্বর, ডায়ারিয়া, দুর্বলতা, স্বাদ-গন্ধ হারানো। সিস্টোলিক রক্তচাপ ১০০-র সামান্য বেশি কিংবা শ্বাসপ্রশ্বাসের হার মিনিটে ২৪-এর কম হলেও তা পড়বে মৃদু উপসর্গের তালিকায়। কোমর্বিডিটি আছে এমন ব্যক্তিদের বিশেষভাবে বাড়িতে নিভৃতবাস পর্বে সতর্ক থাকার কথাও বলা হয়েছে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের নতুন নির্দেশিকায়।

জানুয়ারি ১৪, ২০২২
রাজ্য

পুরভোট বন্ধ নিয়ে সরাসরি রায় নয় হাইকোর্টের, নির্বাচন পিছানোর সিদ্ধান্ত বর্তাল কমিশনের ওপর

টানা তিন দিন করোনা সংক্রমণ বেড়েছে রাজ্যে। অ্যাক্টিভ করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। এরইমধ্যে ব্যক্তিগত মন্তব্যে ভোট এখন বন্ধ রাখা উচিত বলেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপি পুরনির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার দাবি করে আসছে। আদালতে ভোট পিছিয়ে দেওয়া নিয়ে মামলা চলছে। সেই মামলায় এদিন কলকাতা হাইকোর্ট রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে করোনা আবহে পুরভোট ৪-৬ সপ্তাহ পিছিয়ে দেওয়া যায় কিনা সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে নির্দেশ দিয়েছে। এই সিদ্ধান্ত আগামি ৪৮ ঘন্টার মধ্যে জানাতে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।আরও পড়ুনঃ বেসরকারি বাসপরিবহণ শিল্পে তীব্র সংকট, সরকারি সাহায্য জরুরিবাংলায় গড়ে ২০ হাজারের বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। তৃতীয় ঢেউ নাজেহাল পরিস্থিতি রাজ্যের। ২২ জানুয়ারি বিধাননগর, আসানসোল, চন্দননগর ও শিলিগুড়িতে পুরভোট চার কেন্দ্রেই করোনা বিধি মেনে প্রচারের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। প্রচারে করোনা বিধি না মানা নিয়ে প্রতিদিনই নানা অভিযোগ উঠছে প্রার্থীদের বিরুদ্ধে। এক্ষেত্রে ডান-বাম কোনও প্রার্থী বাদ যাচ্ছে না। পুলিশ অতি তৎপর বলেও বিরোধীরা অভিযোগ তুলছে। এই পরিস্থিতিতে পুরভোট পিছিয়ে দেওয়া যায় কিনা তা জানাতে কমিশনকে নির্দেশ দিল হাইকোর্টয়।আরও পড়ুনঃ কুয়াশার মধ্যেই চলছে উদ্ধারকাজ, ময়নাগুড়ি পৌঁছলেন রেলমন্ত্রী, জন বার্লাআদালতের বক্তব্য, করোনা আবহে পুরভোট কি ৪-৬ সপ্তাহ পিছিয়ে যায় কি? ভোট পিছনোর ক্ষমতা রয়েছে নির্বাচন কমিশনের। এই সিদ্ধান্ত কমিশনকে নিতে হবে। সিদ্ধান্ত জানাতে আদালত ৪৮ ঘন্টা সময় দিয়েছে কমিশনকে। আদালতের পর্যবেক্ষণ, নির্বাচন নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় দুটি বিষয় চিন্তা করতে হবে কমিশনকে। এই অবস্থায় ভোট হলে কি মানুষের স্বার্থ রক্ষিত হবে? তাছাড়া আদৌ অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন পরিচালনা করা এই পরিস্থিতিতে সম্ভব? রাজনৈতিক দল থেকে বিভিন্ন মহল পুরভোট পিছনোর দাবি জানিয়ে আসছে। সরাসরি ভোট বন্ধ করার রায় না দিলেও এবার হাইকোর্ট তাতে সায় দিল। শুধু সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়িত্ব বর্তেছে নির্বাচন কমিশনের ওপর।

জানুয়ারি ১৪, ২০২২
রাজ্য

বেসরকারি বাসপরিবহণ শিল্পে তীব্র সংকট, সরকারি সাহায্য জরুরি

গণপরিবহণ ব্যবস্থার অন্যতম শরিক বেসরকারি বাস। এই শিল্পে লক্ষ লক্ষ মানুষের রুটি-রুজি। বাসের মালিক, শ্রমিক থেকে অনুসারী শিল্প ও ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত বহু মানুষ। আজ এই শিল্পের সঙ্গে মানুষগুলোর সংসার ভেসে যাচ্ছে। বাসমালিকদের অনেকেরই আজ আর রাস্তায় গাড়ি নামানোর মতো কোমরে জোর নেই। আর্থিক অনটনে ভগ্নদশা বেসরকারি বাস পরিবহণের। যার ফল ভোগ করতে হচ্ছে সাধারণ যাত্রীসাধারণকেও।আরও পড়ুনঃ কুয়াশার মধ্যেই চলছে উদ্ধারকাজ, ময়নাগুড়ি পৌঁছলেন রেলমন্ত্রী, জন বার্লা২০২০ করোনা আবহে লকডাউনের শুরু থেকেই বাস পরিবহণের দৈন্যদশার সূত্রপাত। বাসগুলো দীর্ঘ দিন বসে গিয়ে তার কলকব্জা নষ্ট হতে থাকে। পেটের টান পড়ে মালিক ও শ্রমিকদের। তার ওপর ডিজেলের দাম বেড়েই চলেছে। বাসের টায়ার থেকে যন্ত্রপাতির মূল্যবৃদ্ধি ঘটছে সমানতালে। রয়েছে বিমা, ট্যাক্স, ফাইন। তাছাড়া রাজ্য সরকারের কাছে একাধিকবার দাবি করেও বাড়েনি বাসভাড়া। কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে দাবি করে মেলেনি আর্থিক প্যাকেজ। এই শিল্প আজ প্রায় শেষলগ্নে পৌঁছে গিয়েছে। হুঁশ ফেরেনি কোনও সরকারের। রাজ্য সরকার সামান্য টাকা ট্যাক্স ছাড় দিলেও তাতে যে চিড়ে ভিজবে না তা বলছেন বাসমালিকদের একটা বড় অংশ।আরও পড়ুনঃ রাজ্যে ফের বাড়ল করোনা সংক্রমণ, বৃদ্ধি পেল পজিটিভিটি রেটওবেকারী দূরীকরণ নিয়ে রাজনৈতিক নেতাদের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়িত হয় না তার হাজারো প্রমান রয়েছে। ক্ষমতায় এলে কেউ আর কথা রাখে না। যে শিল্প বাস্তবে ধুঁকছে সেই শিল্পকে আর্থিক সাহায্য় করলে লক্ষ লক্ষ মানুষ দুমুঠো খেয়ে বেঁচে থাকতে পারবে তা রক্ষা করার দায় কেউ নিচ্ছে না। লক্ষ লক্ষ চাকরি দেওয়ার ভাষণ না দিয়ে বাসপরিবহণ শিল্পে নজর দিলে লক্ষ লক্ষ মানুষ ফের বেকার হয়ে পড়বে না। এই বিষয় একটা সাধারণ মানুষ বুঝলে সরকার বাহুদুর বুঝবে না তা আবার হয় নাকি।আরও পড়ুনঃ ডায়মন্ডহারবার মডেল নিয়ে তৃণমূল যুবনেতার ফেসবুক পোস্ট ঘিরে জল্পনা তুঙ্গেইএমআই দিতে না পারার জন্য প্রায় প্রতিদিনই বাস টেনে নিয়ে যাচ্ছে ব্যাংকগুলো। বাসের দখল নিলেও এতে যেমন ব্যাংকের আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে তেমনই বাসমালিক নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছে। বাসের মালিকসহ শ্রমিকরা পথে বসে যাচ্ছে। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের বেসরকারি বাসপরিবহণ টিকিয়ে রাখার জন্য কার্যকরী পদক্ষেপ করা উচিত। মালিক-শ্রমিকরা তো এই দেশের নাগরিক। তাঁদেরও বেঁচে থাকার অধিকার রয়েছে। দুই সরকারই যদি সদর্থক উদ্যোগ নেয় তাহলে এই শিল্প রক্ষা পাবে। রক্ষা পাবে লক্ষ লক্ষ পরিবার। কৃষকদের জন্য দুই সরকার অনুদান দিচ্ছে। সেটা ভাল উদ্যোগ। বাসপরিবহণকে রক্ষা করার জন্য নতুন পরিকল্পনা নিলে দুই সরকারই মানুষের আশীর্বাদ পাবে। সরকার মানুষের সরকার হবে, জনগণের সরকার বলে বিবেচিত হবে।

জানুয়ারি ১৪, ২০২২
কলকাতা

উৎকণ্ঠা বাড়াচ্ছে অভিজাত আবাসনগুলিই, স্বাস্থ্য দপ্তরের রিপোর্ট পেশ নবান্নে

শহরের বড় আবাসনগুলিতেই বেশি করোনা সংক্রমণ বাড়ছে। এ নিয়ে একটি রিপোর্টও জমা পড়েছে নবান্নে। রিপোর্টে দেখা গিয়েছে আরবানা, স্বর্ণমণি, শালবনি, এবং নিউটাউনের একাধিক আবাসনেও করোনা সংক্রমণের প্রকোপ বেশি। এই সব আবাসনে করোনা সংক্রমণ কীভাবে ঠেকানো যায়, তা নিয়ে চিন্তাভাবনা শুরু করেছে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর ও নবান্নের কর্তাব্যক্তিরা। সূত্রের খবর, এই মুহূর্তের নবান্নের চিন্তার কারণ কোনও বস্তি এলাকা নয়, বড় বড় আবাসনও। কারণ সেখানে অনেক ক্ষেত্রেই গিয়ে দেখা গিয়েছে, স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না আবাসিকরা। অরক্ষিত মুখের ভিড় সর্বত্র। কলকাতা পুরসভা ও নিউটাউনের ক্ষেত্রে হাউজিং ডিপার্টমেন্টে স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে সংক্রমণ ঠেকানোর পরিকল্পনা দেওয়া হয়েছে।স্বাস্থ্য অধিকর্তারা বলছেন, আবাসনগুলিতেই সবচেয়ে বেশি করোনা সংক্রমণ হচ্ছে। এই মুহূর্তে আবাসনগুলিই উৎকন্ঠার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে প্রশাসনের। এরই মধ্যে নবান্নে একটি রিপোর্ট জমা পড়েছে। আবাসনগুলিতে সংক্রমণ কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায়, তা খতিয়ে দেখছে প্রশাসন। নিউটাউনের আবাসনগুলির ক্ষেত্রে ফোরাম ও কমিটিগুলিকে নিয়ে একটি বৈঠক করার কথা ভাবা হচ্ছে। করোনার স্বাস্থ্যবিধি যাতে তাঁরা মেনে চলেন, সে ব্যাপারে সতর্ক করা হবে তাঁদের।কমিটিগুলিকে আরও কঠোর হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ঝুপড়ি অঞ্চল ঘিঞ্জি, উল্টোদিকে আবাসনগুলো অনেকটাই খোলামেলা। তা সত্ত্বেও কেন আবাসনগুলিতে হু হু করে ছড়াচ্ছে সংক্রমণ? অভিজাত আবাসনগুলিতে করোনা ছড়ানোর অন্যতম কারণ, বর্ষবরণের উৎসব-পার্টি-হুল্লোড়, আর লিফটের বহুল ব্যবহার।

জানুয়ারি ১২, ২০২২
রাজ্য

Lock Down: অড-ইভেন পদ্ধতিতে বর্ধমান শহরের বাজার বন্ধ থাকবে, ঘোষনা মাইক্রো কনটেইনমেন্ট জোনের

কোভিড নিয়ন্ত্রণে নয়া পদক্ষেপ ঘোষণা করল বর্ধমান পৌরসভা। এবার থেকে একদিন অন্তর দোকানপাট খোলা ও বন্ধ থাকবে। পাশাপাশি বর্ধমানে তিন-টে মাইক্রো কনটেইনমেন্ট জোন ঘোষণা করেছে পুরসভা। শুক্রবার বর্ধমান আরটিসি হলে এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বৈঠকে পুলিশ, প্রশাসন, পুরসভা ও বর্ধমান শহরের বাজার কমিটির কর্তারা হাজির ছিলেন।আরও পড়ুনঃ করোনার বাড়বাড়ন্তে বন্ধ হল কালীঘাটের গর্ভগৃহে প্রবেশবৈঠকের এদিনই বাজার-হাট বন্ধ ও খোলা নিয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। অড ও ইভেন (বাম দিক ও ডান দিক) পদ্ধতিতে বর্ধমানের দোকান বন্ধ থাকবে। একদিন বামদিকের সমস্ত দোকান বন্ধ থাকবে। সেদিন বিররীত দিকের দোকানপাট খোলা থাকবে। বিজ্ঞপ্তি অনুসারে শহরে উল্লাস থেকে নবাবহাট পর্যন্ত জিটি রোডের বামদিকের দোকান বন্ধ থাকবে সোম, বুধ ও শুক্রবার। অন্যদিকে উল্লাস থেকে নবাবহাট পর্যন্ত ডানদিকের দোকান বন্ধ থাকবে মঙ্গল, বৃহস্পতি ও শনিবার। এমন ভাবেই বিজয়তোরণ (কার্জনগেট) থেকে উত্তরফটক পর্যন্ত বিসি রোডের বামদিকের সমস্ত দোকান বন্ধ থাকবে সোম, বুধ ও শুক্রবার। তেমনই বিজয়তোরণ (কার্জনগেট) থেকে উত্তরফটক পর্যন্ত বিসি রোডের ডানদিকের দোকানগুলি বন্ধ থাকবে মঙ্গল, বৃহস্পতি ও শনিবার। আরবি ঘোষ রোড ও বিবি ঘোষ রোডেও একইভাবে দোকান বন্ধ থাকবে। অন্যদিকে কোর্ট কম্পাউন্ড চত্বরে মঙ্গল, বৃহস্পতি ও শনিবার দোকান বন্ধ রাখতে হবে।আরও পড়ুনঃ সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে আজই ভার্চুয়াল বৈঠকে করতে পারেন মোদিসুপার মার্কেটের ভিতরের দোকানও অড ও ইভেন ভিত্তিতে বন্ধ থাকবে। শহরের শাক-সব্জি, মাছ ও মাংসের দোকান ১০ জানুয়ারি বন্ধ থাকবে। পরবর্তী ১০ জানুয়ারির বৈঠকে এইসব বাজারের বিষয়ে আলোচনা হবে। পাশাপাশি মিষ্টির দোকান কখন খোলা বা বন্ধ থাকবে তা নিয়েও আলোচনা হবে। এদিকে শহরে মাইক্রো কনটেইনমেন্ট জোন হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে ভাঙাকুঠি, বড়লীনপুর সেন্ট জেভিয়ার্স রোড ও বাবুরবাগ এলাকা।

জানুয়ারি ০৭, ২০২২
কলকাতা

Safe Home: কলকাতা কাবু কোভিডে, ফের খুলছে সেফ হোম

কলকাতা ফের কাবু কোভিডে। ক্রমেই জাল ছড়াচ্ছে ওমিক্রন। পরিসংখ্যান বলছে, একধাক্কায় প্রায় ৩ হাজার বৃদ্ধি। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে সংক্রমিত ৯ হাজার ৭৩। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু ১৬ জন করোনা রোগীর। কলকাতার সঙ্গে সংক্রমণে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে বীরভূম, দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া। দ্বিতীয় ডোজ নিয়েও করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন চিকিৎসক-নার্স-স্বাস্থ্যকর্মীরা।যেভাবে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে, তাতে ফের খোলা হচ্ছে সেফ হোমগুলি। তিনটি সেফ হোমের শয্যা সংখ্যা ৩৫০। কলকাতার তিনটি সেফ হোম। তার মধ্যে সবচেয়ে বড় হল বাইপাস সংলগ্ন সেফ হোম। এখানে রয়েছে ২০০ টি শয্যা। কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের দুই কর্তা ইতিমধ্যেই গোটা বিষয়টি পরিদর্শন করেছেন। বেডগুলির পরিকাঠামো, কাজের গুণগত মান, পরিচ্ছন্নতা-সব খতিয়ে দেখেছেন তাঁরা। পরিদর্শনে গিয়েছেন রাজ্য দপ্তরের এক জন হেলথ অফিসারও।আরও পড়ুনঃ দ্বিতীয়বার করোনায় আক্রান্ত শ্রীজাত আরেকটি সেফ হোম হয়েছে কসবার গীতাঞ্জলি স্টেডিয়ামে। এই সেফ হোমটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সংক্রমণ আবার বৃদ্ধি পাওয়ায়, তা খোলা হয়েছে। সেগুলিকে চালু করার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা পুর প্রশাসন। গীতাঞ্জলি স্টেডিয়ামে ১০০ টি শয্যা রয়েছে। ইতিমধ্যেই তা পরিস্কার করা হয়েছে। রাজ্য স্বাস্থ্যভবনের তরফে চিকিৎসক ও নার্সরা এই সেফ হোমের দায়িত্ব গ্রহণ করেছে। কলকাতার তৃতীয় সেফ হোমটি রয়েছে উত্তর কলকাতায়। সেখানে ৫০টি শয্যা রয়েছে।তবে চিকিৎসকরা বলছেন, ওমিক্রনের ক্ষেত্রে উপসর্গ অনেক হালকা। চিকিৎসক বলছেন, ভাগ্য ভালো আক্রান্তদের বেশিরভাগই ৫-৭ দিনের মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠছেন। হয়তো হোম আইসোলেশনের যে লম্বা ১৭ দিনের পিরিয়ড, সেটাকেও কমিয়ে আনা হবে। যদি সেটা কমিয়ে আনা হয়, তাহলে ওয়ার্ক টার্নওভার বা অর্থনীতির ক্ষেত্রে অনেকটা উপকারী হবে।

জানুয়ারি ০৫, ২০২২
কলকাতা

Containment Zone: কলকাতায় বাড়ছে কনটেনমেন্ট জোন

মহানগরীতে লাগামছাড়া করোনা সংক্রমণ। সংক্রমণে রাশ টানতে কলকাতায় মাইক্রো কনটেন্টমেন্ট জোনের ঘোষণা মেয়র ফিরহাদ হাকিমের। কলকাতার ১৪ ওয়ার্ডে ২৫ মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন। অধিকাংশ ফুলবাগান, মানিকতলা, ট্যাংরা এলাকায় । আবাসনে ৪-৫ জন পজিটিভ হলে মাইক্রো কনটেন্টমেন্ট জোন ঘোষণা করা হয়েছে। করোনা মোকাবিলায় ৩টি সেফ হোম চালু করল পুরসভা।কাঁকুরগাছির ৩১ নম্বর ওয়ার্ড মাইক্রো কনটেইনমেন্ট জোন ঘোষণা হয়েছে। এটি কলকাতা পুরসভার ৩ নম্বর বরোর অন্তর্গত। এই এলাকাটিকে মাইক্রো কনটেইনমেন্ট জোন ঘোষণা করা হয়েছে। তবে মঙ্গলবার সকালে ওই এলাকায় গিয়ে দেখা গিয়েছে, তখনও পর্যন্ত পুলিশের তরফে কোনও ব্যারিকেড করে দেওয়া হয়নি।তবে আরও একটি বিষয় দেখা গিয়েছে। মাইক্রো কনটেইনমেন্ট জোনের ভিতরেই রয়েছে একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার। মঙ্গলবার সকালেও সেটিকে খোলা দেখা গিয়েছে। যদিও সেটি খোলা থাকারই কথা। তবে সেখানে অনেককেই আসতে দেখা গিয়েছে, যেটা ভয়ের। পুরকর্মীরা এদিন সকালে এলাকা সাফাই করেছেন। তবে বাড়তি কোনও উদ্যোগ নেই। তবে বিভিন্ন আবাসনের গেটে নো মাস্ক নো এন্ট্রি বোর্ড টাঙানো আছে।কলকাতায় পরিস্থিতি সামাল দিতে আগেই কনটেইনমেন্ট জোন ঘোষণা করেছেন মেয়র। এবার ঘোষণা করলেন মাইক্রো কনটেইনমেন্ট জোন। রাশ টানতে কলকাতায় ২৫ টি মাইক্রো কনটেইনমেন্ট জোন ঘোষণা করা হয়েছে। এক্ষেত্রে একটি আবাসনের ৪-৫ জন সংক্রমিত হলেই, সেটি মাইক্রো কনটেইনমেন্ট জোন হিসাবে ঘোষণা করা হয়।

জানুয়ারি ০৪, ২০২২
  • ‹
  • 1
  • 2
  • ...
  • 9
  • 10
  • 11
  • 12
  • 13
  • 14
  • 15
  • ...
  • 23
  • 24
  • ›

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

দামোদরে বালি তুলতে গিয়ে বিরাট বিপত্তি, জলে ভাসছে ১৫টি লরি

দামোদরে বালি তোলায় কোনও লাগাম নেই। ডিভিসি থেকে জল ছাড়ার খবর থাকা সত্বেও বালি তোলার কাজ চলছিল। লরি নেমেছিল একেবারে নদের ভিতরে। জল ভরে টুইটুম্বুর হওয়ায় ভেসে গেল ১৫টি বালি বোঝাই লরি। পূর্ব বর্ধমানের গলসির গোহগ্রামের এই ঘটনায় বেশ চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পরে। পরে লরিগুলিকে উদ্ধারের তৎপরতা শুরু হয়।দুর্গাপুর ব্যারাজ থেকে জল ছাড়ার কথা ডিভিসি ও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আগাম ঘোষণা করা হয়েছিল। মাইথন ও পাঞ্চেত থেকে বুধবার জল ছাড়া হয় ৪০ হাজার কিউসেক। এরই মধ্যে নিম্ন দামোদর অববাহিকায় দুদিন ধরে টানা বৃষ্টি চলেছে। এই সব কারণে বৃহস্পতিবার সকালে হঠাৎ দামোদর নদে জলের পরিমাণ বেশ বেড়ে যায়। এতেই ঘটে যায় বিপত্তি। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ১৫টি বালি বোঝাই লরি দামোদর নদের জলে ভাসতে থাকে। তার উপর বৃহস্পতিবার বেলা বাড়তে নদের জল আরও হু হু করে বাড়তে শুরু হয়। বিপদ বুঝে লরিগুলি নদী থেকে তোলার জন্য তৎপরতা শুরু করে চালকরা । ওই সময়েই সামনে থাকা দুটি লরি বিকল হয়ে যাওয়ায় লরি গুলি নদ থেকে পাড়ে তোলা আর সম্ভব হয়নি। জেসিবি মেশিন ব্যবহার করেও কাজ হয়নি। জল কমা পর্যন্ত লরিগুলো তুলতে অপেক্ষা করতে হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

জুন ১৯, ২০২৫
রাজ্য

"কেশরী: চ্যাপ্টার ২" তে ক্ষুদিরাম বসু সহ বাঙালি স্বাধীনতা সংগ্রামীদের অপমান, প্রতিবাদে গর্জে উঠল বাংলা পক্ষ

সম্প্রতি কেশরী: চ্যাপ্টার ২ নামের এক বলিউডি হিন্দি সিনেমায় ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের সশস্ত্র সংগ্রামের উজ্জ্বল ইতিহাস তথা বীর বাঙালি স্বাধীনতা সংগ্রামীদের পরিচয় ও ভূমিকা বিকৃত করে এক মনগড়া মিথ্যা ইতিহাস তুলে ধরার অভিযোগ উঠেছে। সিনেমাটিতে দেখানো হয়েছে যে ক্ষুদিরাম সিং ও বারীন্দ্র কুমার নামক দুই বিপ্লবী বৃটিশ পুলিশকর্তা কিংসফোর্ডকে বোমা মেরে হত্যার চেষ্টা করে ও তাদের বোমা তৈরীর প্রশিক্ষণ দেয় কৃপাণ সিং! যার সাথে বাস্তবের কোন মিল নেই। প্রকৃত পক্ষে ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে বাঙালি বিপ্লবীদের সশস্ত্র সংগ্রামের ইতিহাসের এক যুগান্তকারী ঘটনা কিংসফোর্ড হত্যার প্রচেষ্টা ও পরবর্তীতে মানিকতলা বোমা মামলার ঘটনার কথা সম্পূর্ণ বিকৃত ভাবে এই সিনেমাটিতে দেখানো হয়েছে।সশস্ত্র সংগ্রামের লক্ষ্যে কলকাতার মানিকতলার যুগান্তর গুপ্ত সমিতিতেই অরবিন্দ ঘোষের নেতৃত্বে বোমা তৈরীর কর্মশালা গড়ে ওঠে, ইউরোপ থেকে বোমা তৈরী শিখে এসে এখানে বোমা তৈরী করে বিপ্লবীদের সরবরাহ করতেন হেমচন্দ্র কানুনগো, যিনি বলিউডের দৌলতে হয়েছেন কৃপাণ সিং। এই গুপ্ত সমিতির পক্ষেই ক্ষুদিরাম বসু ও প্রফুল্ল চাকী কিংসফোর্ডকে বোমা নিক্ষেপ করে হত্যার চেষ্টা করেন। মেদিনীপুরের বীর বাঙালি কিশোর ক্ষুদিরাম বসুর পদবী সিনেমায় হয়েছে সিং অন্যদিকে প্রফুল্ল চাকীর নামই মুছে গেছে, শোনা গেছে জনৈক বারিন্দর কুমারের নাম, যেকোন ইতিহাস সচেতন ব্যক্তিই বলতে পারবেন এই নাম আসলে মানিকতলা বোমা মামলার অন্যতম অভিযুক্ত ও পরবর্তীতে আন্দামানে দ্বীপান্তরিত বারীন্দ্র ঘোষের, যিনি সম্পর্কে অরবিন্দ ঘোষের ভাই। এই মানিকতলা বোমা মামলায় বিপ্লবীদের পক্ষে কোর্টে আইনি লড়াই করেন আরেক মহান বাঙালি স্বাধীনতা সংগ্রামী দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ। এই গৌরবজনক অধ্যায় সম্পূর্ণ ভাবে বিকৃত করা হয়েছে, যা বাঙালি জাতি তথা ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রতি চূড়ান্ত অবমাননা।এই বিকৃতির বিরুদ্ধে বাঙালির ক্ষোভের প্রকাশ দেখা যাচ্ছে সামাজিক মাধ্যমে। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী থেকে সংস্কৃতি জগতের নানান ব্যক্তিত্ব এই ইতিহাস তথা মহান স্বাধীনতা সংগ্রামীদের নাম বিকৃতির বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। ভারতীয় বাঙলির জাতীয় সংগঠন বাংলা পক্ষও সরব হয়েছে, আজ তারা পথে নেমে প্রতিবাদ করল কলকাতার বাংলা একাডেমী সংলগ্ন রানুছায়া মঞ্চে। এই প্রতিবাদ সভায় বাংলা পক্ষর সাংগঠনিক সম্পাদক কৌশিক মাইতি বলেন, কেশরী ২ সিমেমার মূখ্য অভিনেতা অক্ষয় কুমার, তিনি কাদের স্বার্থে বিকৃত ইতিহাস প্রচার করে সিনেমা তৈরি করেন এটা আমাদের সকলের জানা৷ বিজেপি ও বলিউডের উদ্দেশ্য বাঙালির গৌরবজনক বীরত্বের ইতিহাস মুছে দেওয়া। সেই উদ্দেশ্যেই বারবার এই ধরনের ঘটনা দেখা যাচ্ছে। বলিউড এর আগেও অভয় ২ সিরিজে বীর শহীদ ক্ষুদিরাম বসুকে ক্রিমিনাল, জঙ্গি হিসাবে দেখিয়েছিল। বাংলা পক্ষ তখন Zee5 কে লিগ্যাল নোটিশ দিয়েছিল এবং সল্টলেকে Zee5 এর অফিসে বিক্ষোভ করেছিল। পরবর্তীতে Zee5 ক্ষমা চেয়ে সেই অংশ বাদ দিতে বাধ্য হয়। শীর্ষ পরিষদ সদস্য অরিন্দম চট্টোপাধ্যায় বলেন যতক্ষণ না পর্যন্ত কেশরী ২ সিনেমার নির্মাতারা ক্ষমা না চায়, বাংলা পক্ষর লড়াই চলবে। ক্ষমা চেয়ে এই দৃশ্য বাদ দিতে হবে। বাঙালি বিদ্বেষীদের কিভাবে ক্ষমা চাওয়াতে হয় সেটা বাংলা পক্ষ ভালো ভাবে জানে।শীর্ষ পরিষদ সদস্য সৌম্যকান্তি ঘোড়ই বলেন, ক্ষুদিরাম বসুকে অপমান মানে বাঙালিকে অপমান। প্রফুল্ল চাকীকে অপমান মানে বাঙালিকে অপমান৷ বীর বিপ্লবী বারীন ঘোষদের অপমানের বিরুদ্ধে এই লড়াই চলবে। অক্ষয় কুমারকে ক্ষমা চাইতেই হবে।এছাড়াও আজকের প্রতিবাদ সভায় উপস্থিত ছিলেন কলকাতা জেলার সম্পাদক সৌম্য বেরা, দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা সম্পাদক কুশনাভ মন্ডল, শিল্পী পক্ষর অধিকর্তা প্রবাল চক্রবর্তী প্রমুখ। এর আগে বিধাননগর দক্ষিণ থানায় এই সিনেমা নিয়ে একই ইস্যুতে এফআইআর হয়েছে। এমনকী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পর্যন্ত ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন বাঙালি বীর বিপ্লবীদের ইতিহাস বিকৃতি করার জন্য।

জুন ১৯, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

লর্ডসের ঐতিহাসিক শতরানের আলোতেও সমুজ্জ্বল বোলার সৌরভের পারফরম্যান্স

লর্ডসে টেস্ট অভিষেক হয়েছিল সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ও রাহুল দ্রাবিড়ের। দিনটা ছিল ১৯৯৬ র ২০ জুন। এই টেস্টের কথা উঠলেই মহারাজকীয় শতরানের কথাই সবার আগে মনে আসে। যা এসেছিল ২২ জুন।তবে ২০ জুন বল হাতে কামাল দেখিয়েছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। ইংল্যান্ডের তৃতীয় ও চতুর্থ উইকেট পড়েছিল চার রানের ব্যবধানে। দলের ৯৮ রানের মাথায় সৌরভের প্রথম শিকার হন তিন নম্বরে নামা নাসের হুসেন। ১১০ বলে ৩৬ রান করে তিনি ফেরেন বিক্রম রাঠোরের হাতে ক্যাচ দিয়ে। ১০২ রানে ইংল্যান্ডের চতুর্থ উইকেট পড়ে। ৯ বলে ১ রান করে গ্রেম হিক সৌরভের বলেই জাভাগল শ্রীনাথের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। প্রথম ইনিংসে সৌরভের বোলিং ফিগার ছিল ১৫-২-৪৯-২। বেঙ্কটেশ প্রসাদ পাঁচটি, শ্রীনাথ তিনটি ও সৌরভ ২টি উইকেট পান। পরশ মামব্রে, অনিল কুম্বলে ও সচিন তেন্ডুলকর উইকেট পাননি। দ্বিতীয় ইনিংসে সৌরভ তুলে নিয়েছিলেন প্রথম ইনিংসে শতরানকারী জ্যাক রাসেলের উইকেট। দ্বিতীয় ইনিংসে মহারাজ ৩ ওভারে মাত্র ৫ রানের বিনিময়ে একটি উইকেট পেয়েছিলেন। ফলে লর্ডসের ঐতিহাসিক শতরানের আলোতেও সমুজ্জ্বল বোলার সৌরভের পারফরম্যান্স।

জুন ১৯, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

বৃষ্টির মোকাবিলায় ইডেন সেরা, মাঠ ভরানোর আহ্বান মনোজের

আজও বৃষ্টিতে ব্যাহত বেঙ্গল প্রো টি২০ লিগের খেলা। কয়েক দিন ধরেই কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি চলছে। যার জেরে বেঙ্গল প্রো টি২০ লিগের খেলাগুলি পরিত্যক্ত হচ্ছে। ইডেনে বৃষ্টি থামার পর খেলা শুরু হলেও ফের অবিরাম বর্ষণে ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়েছে। তবে গতকাল যা হলো তা অন্য কোথাও আর হতে পারতো না।সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের মস্তিষ্কপ্রসূত ভাবনাতেই ইডেনের গোটা মাঠ ঢেকে রাখার বন্দোবস্ত হয়েছে। উন্নতমানের কভার আনিয়ে। এমনকী ইডেনের মতো সল্টলেক যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস মাঠেও মাঠ ঢেকে রাখা হয় প্রধান কিউরেটর সুজন মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন অনবদ্য টিম যার ফলে বৃষ্টি থামার কিছুক্ষণের মধ্যেই মাঠ খেলার উপযুক্ত করে দিতে পারেন। ইডেনের এমন ব্যবস্থাপনা বিশ্বের বৃহত্তম ক্রিকেট স্টেডিয়াম আমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামেও নেই। সুনীল গাভাসকর-সহ অনেকেই তাই বলে থাকেন মাঠ ঢাকার ব্যবস্থাপনায় ইডেনকে অনুসরণ করতে। এই ব্যবস্থাপনার সুফল মিলল আরও একবার। গতকাল বৃষ্টি একটু ধরতেই রাতে ৯ ওভারের ম্যাচ হলো। হারবার ডায়মন্ডস ৪০ রানে হারাল লাক্স শ্যাম কলকাতা টাইগার্সকে। যে পরিমাণ বৃষ্টি হচ্ছে শহরে তাতে অন্য কোথাও এটা সম্ভব হতো না। হলো মাঠ ঢাকার ব্যবস্থা ছিল বলেই। হারবার ডায়মন্ডস অধিনায়ক তথা রাজ্যের ক্রীড়া ও যুবকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী মনোজ তিওয়ারি অনুরোধ করেছেন সকলকে কাজ সেরে মাঠে এসে তরুণ ক্রিকেটারদের উৎসাহিত করার জন্য। এই লিগে বিনামূল্যে খেলা দেখা যায়। এমনকী হারবার ডায়মন্ডসের সমর্থকদের জল, ইলেক্টোরাল, কেক দেওয়ার কথাও মনোজ বলেছেন। তার কারণ ক্রিকেটারদের উৎসাহিত করতে সমর্থকদের উপস্থিতি দরকার। গ্যালারির সিংহভাগ ফাঁকা থাকছে। যে লিগের সম্প্রচার স্টার স্পোর্টসে চলছে সেখানে এমন ফাঁকা গ্যালারি মোটেই ভালো বিজ্ঞাপন নয়।

জুন ১৯, ২০২৫
দেশ

ওরঙ্গাবাদের এই হৃদয়স্পর্শী কাহিনী আপনার মন ছুঁয়ে যাবেই

মহারাষ্ট্রের ঔরঙ্গাবাদের সম্ভাজি নগরে ঘটনা এখন সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল। ওই হৃদয়স্পর্শী ঘটনা নাড়া দিয়েছে পুরো সমাজকে। সেখানে এক গয়নার দোকানে গিয়েছিলেন অতি সাধারণ এক দম্পতি। স্ত্রীকে কিছু উপহার দেওয়াই ছিল স্বামীর উদ্দেশ্য। গয়নার শোরুমের ম্যানেজার তাদের সঙ্গে গল্প জুড়ে দেন। হাসিঠাট্টার মাঝে কথা বলতে বলতে জেনে নেন তাঁদের জীবনকাহিনী। এবার এল জিনিস কেনার পালা। হাতের ঝোলা ব্যাগ থেকে বেরোল একটা ৫০০ টাকার নোট। একে একে ১০, ২০ টাকার নোট। সবশেষে একটা ছোটখাট বোঁচকা। তাতে ভর্তি খুচরো পয়সা।শোরুমের ম্যানেজার গোটা বিষয়টা বুঝতে পেরে তাঁদের একটি হার উপহার দেন। সঙ্গে একজোড়া কানের দুলও। এরপর বৃদ্ধের কাছে সরল আবদার জানান, নিজে হাতে স্ত্রীর হাতে সেটা তুলে দিতে হবে। উপহার তো দিলেন ম্যানেজার, কিন্তু এত বড় দোকানে এসে কোনও টাকা না দিয়ে চলে যাবেন, এতেও যেন সম্মানে বাধে বৃদ্ধের। সমাজের খেটে খাওয়া মানুষের কাছে আত্মসম্মানই বড় কথা। প্রাণ যাক, সম্মান নিয়ে বাঁচাটাই বড় কথা। তাই সবচেয়ে বড় নোটটি তুলে দিতে চেয়েছিলেন ম্যানেজারের হাতে। কিন্তু তাতে ম্যানেজারের উত্তর, আপনার আশীর্বাদের হাত থাকলেই হবে। পান্ডুরঙ্গ (কর্নাটক, মহারাষ্ট্রের পূজিত দেবতা) আছেন, কিছুর অভাব হবে না কোনওদিন। কিন্তু বৃদ্ধ নাছোড়বান্দা, টাকা তিনি দেবেনই। উপায় নেই বুঝে অবশেষে দুটো ১০ টাকার নোট নেন ম্যানেজার।স্বামীর চোখে জল, ধুতির খুঁট দিয়ে মুছে ফেললেন। তা দেখে স্ত্রীও আটকাতে পারলেন না নিজেকে। ভিডিওতেই স্পষ্ট, এমন এক মূল্যবান উপহার পেয়ে বিশ্বাস হচ্ছে না ওই দম্পতির। কিন্তু যেকজন ভিডিওটি দেখেছেন, তাঁরা সবাই বুঝেছেন এই চোখের জল, অবিশ্বাস শুধু মূল্যবান এক উপহারের জন্য নয়, জীবনের অন্যতম এই দিনটি মনের মণিকোঠায় সাজিয়ে রাখছেন দম্পতি।

জুন ১৯, ২০২৫
দেশ

আহমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনা: শিশুদের শনাক্ত করতে বড় সমস্যা, এখনও হস্তান্তর ১৫৯ দেহ

সুরাটের নানাবাওয়া পরিবার ৩৬ বছর বয়সী আকিল এবং ৩১ বছর বয়সী স্ত্রী হান্না ভোরাজির নামাজ-এ-জানাজা (জানাজা) সম্পন্ন হয়। বুধবার ভোরে ফোন করে জানায় যে বোয়িং ড্রিমলাইনার দুর্ঘটনায় তাদের সাথে মারা যাওয়া তাদের মেয়ে সারার মৃতদেহ শনাক্ত করা হয়েছে। আত্মীয়স্বজনরা চার বছর বয়সী মেয়ের দেহাবশেষ দাবি করতে আহমেদাবাদে ছুটে যান। যাতে তাকে তার বাবা-মায়ের পাশে দাফন করা যায়।আহমেদাবাদ-লন্ডন AI-171 বিমান দুর্ঘটনার প্রায় এক সপ্তাহ পর, সারার সন্ধানে দেখা যাচ্ছে যে পুড়ে যাওয়া দেহাবশেষের মধ্যে নাবালকদের শনাক্ত করা কতটা কঠিন। বুধবার পর্যন্ত, ডিএনএ ম্যাচিং এবং শনাক্তকরণের পরে ১৫৯টি মৃতদেহ আত্মীয়দের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। সারা ছাড়াও, এই মৃতদেহগুলির মধ্যে কেবল একজন নাবালিকা ছিল ফাতিমা শেঠওয়ালা, যার বয়স ১৮ মাস।বিমান সংস্থার তালিকা অনুসারে, AI-171-এ ১২ বছরের কম বয়সী ১৩টি শিশু ছিল, যার মধ্যে তিনজন এখনও ২ বছর পূর্ণ করেনি। আরও বেশ কয়েকজনের বয়স ১১ থেকে ১৮ বছরের মধ্যে।এই ধরনের দুর্যোগে অপ্রাপ্তবয়স্কদের শনাক্ত করার জন্য ডিএনএ প্রযুক্তি ব্যবহারে অসুবিধা ব্যাখ্যা করে গুজরাটের সরকারি ডেন্টাল কলেজের ফরেনসিক দন্ত বিশেষজ্ঞ ডঃ জয়শঙ্কর পিল্লাই বলেন, শিশুদের শরীরের ভর কম থাকে এবং তাই টিস্যুর ক্ষতি হয় এবং লম্বা হাড় তাপের সংস্পর্শে আসে। তবে দাঁত বেশি শক্তিশালী হওয়ায় তাপ সহ্য করতে পারে।তবে অপ্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে এটিও জটিল। শিশুদের যে কোনও দাঁত থেকে ডিএনএ বের করা যেতে পারে, কিন্তু আগুন লাগার সময় সামনের দাঁত ব্যবহার করা যায় না কারণ তাপ তাদের নষ্ট করে দেয়। তাই আমরা মোলার থেকে ডিএনএ নিই। ছয় বছরের কম বয়সী শিশুদের ক্ষেত্রে, আমরা স্থায়ী মোলার পেতে পারি না... তাদের বেশিরভাগই দুধের দাঁত থাকে, এবং কখনও কখনও সেগুলিও নষ্ট হয়ে যায়। কারণ খিলানটি খুব ছোট। তাই আমরা চোয়ালে একটি ছেদ তৈরি করি এবং ভিতরে স্থায়ী মোলার তৈরি করার চেষ্টা করি, পিল্লাই বলেন, যার বিভাগের সাথে ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগ দাঁতের ডিএনএ বের করতে এবং ক্ষতিগ্রস্তদের দাঁতের চার্ট তৈরি করতে সাহায্য করার জন্য যোগাযোগ করেছিল।একজন ফরেনসিক কর্মকর্তা বলেছেন যে দুর্ঘটনার পরে যে আগুন লেগেছিল তা খুব অল্প সময়ের মধ্যে ১৬০০ ডিগ্রি ফারেনহাইটের বেশি তাপমাত্রায় পৌঁছেছিল। সুতরাং, কিছু ব্যক্তির জন্য কেবলমাত্র আংশিক ডিএনএ প্রোফাইল পাওয়া যায়, যাদের আমরা সন্দেহ করি যে তারা নাবালক, কর্মকর্তা বলেন, আরও বলেন যে আত্মীয়দের সাথে নিঃসন্দেহে নির্ভুলতার সাথে মেলানো কঠিন।আকিলের বাবা আবদুল্লাহ স্মরণ করিয়ে দেন যে তিনজন ৬ জুন, ঈদুল আযহার একদিন আগে, এক আকস্মিক পরিদর্শনে এসেছিলেন। এটা একটা ছোট ভ্রমণ ছিল। আমরা জানতাম না যে এটাই তাদের শেষ হবে, কাঁদতে কাঁদতে আবদুল্লাহ বলেন, যিনি বিমানে পরিবারকে নামিয়ে দিতে আহমেদাবাদ গিয়েছিলেন।ভদোদরায়, আসিফ শেঠওয়ালা তার নাতনি ফাতিমার জন্য শোক প্রকাশ করেছেন। যার দেহাবশেষ বুধবার শনাক্ত করা হয়েছে, যখন তার মা সাদিকার মৃতদেহ এখনও পাওয়া যায়নি। আসিফ বলেন, ফাতিমা তার লন্ডন-ভিত্তিক ছেলের একমাত্র সন্তান। সাদিকা এবং ফাতিমা আমার ছোট ছেলের বিয়েতে বেড়াতে এসেছিলেন। তারা প্রায় ২০ দিন ধরে এখানে ছিলেন এবং তাদের ফেরার টিকিট অনেক আগেই বুক করা হয়েছিল।ডিএনএ সরবরাহ করার পাশাপাশি, দাঁতের দেহাবশেষ একজন ব্যক্তির আনুমানিক বয়স নির্ধারণেও সাহায্য করে। যা শনাক্তকরণের জন্য প্রয়োজনীয় সূত্র প্রদান করে। আহমেদাবাদ দুর্ঘটনায় এটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় প্রাপ্তবয়স্কদের জন্যও, বিস্ফোরণ এবং আগুনের ফলে উদ্ধার করা বেশিরভাগ ডিএনএ নষ্ট হয়ে গিয়েছিল।ডঃ পিল্লাই বলেন, ফরেনসিক ওডন্টোলজি বিভাগ এক থেকে ছয় বছর বয়সী বেশ কয়েকজন প্রাপ্তবয়স্ক যাত্রীর দাঁতের ডিএনএ সংগ্রহ করেছে অথবা ডেন্টাল চার্টিং করেছে এবং অন্তত কিছু ভুক্তভোগীর বয়স মূল্যায়ন করেছে। এরপর এই বয়সের যাত্রীদের জন্য ফ্লাইট ম্যানিফেস্টের সাথে তুলনা করা হয়েছে। কিছু শিশুর ক্ষেত্রে, আমরা দ্বিতীয় মোলার বিকশিত হতে দেখেছি, যা স্পষ্ট করে দিয়েছিল যে তারা তিন থেকে ছয় বছর বয়সী। এটি অনুসন্ধানকে সংকুচিত করতে সাহায্য করেছে। তারপর তাদের ডিএনএ নমুনা তাদের আত্মীয়দের সাথে মেলানো যেতে পারে।যারা খবরের জন্য অপেক্ষা করছেন তাদের মধ্যে রয়েছে ভদোদরার ভাহোরা পরিবার। তারা দুর্ঘটনায় তিন সদস্যকে হারিয়েছে। সোমবার ইয়াসমিনের মৃতদেহ হস্তান্তর করা হলেও, পারভেজ এবং তার ৪ বছর বয়সী মেয়ে জুভেরিয়ার দেহাবশেষ এখনও পাওয়া যায়নি। প্রাক্তন আইপিএস অফিসার এবং ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ, ডঃ কেশব কুমার বলেছেন, পরিবারগুলির আশা হারানো উচিত নয়। বিমান দুর্ঘটনাটি প্রায় বোমা বিস্ফোরণের মতো ছিল। যেখানে ৫৪,০০০ লিটার বিমান জ্বালানি এক ঘন্টারও বেশি সময় ধরে জ্বলছিল। উৎপন্ন তাপের পরিমাণ শরীরের জন্য ক্ষতিকর। আমরা ভাগ্যবান হব যদি ভালো নমুনা পাওয়া যায়। কিন্তু যদি একটি দাঁতও পাওয়া যায়, তাহলে ডিএনএ পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। ফরেনসিক পরীক্ষা খড়ের গাদায় সূঁচ পাওয়ার মতো। কিন্তু একজন তদন্তকারী হিসেবে, আমি বলতে পারি যে ম্যাচ পাওয়ার সম্ভাবনা ১০০%। ডিএনএ হাজার হাজার বছর টিকে থাকতে পারে এবং প্রয়োজনে ধ্বংসাবশেষে ডিএনএর আরও চিহ্ন থাকবে। গুজরাট পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেছেন যে তারা দুর্ঘটনাস্থল থেকে একাধিক নমুনা সংগ্রহ নিশ্চিত করেছেন।

জুন ১৯, ২০২৫
রাজ্য

১০০ দিনের কাজ নিয়ে হাইকোর্টে বড় ধাক্কা কেন্দ্রীয় সরকারকে

গতকালই ওবিসি মামলায় হাইকোর্টে জোরদার ধাক্কা খেয়েছে রাজ্য সরকার। এবার ১০০ দিনের কাজ নিয়ে বড় ধাক্কা খেল কেন্দ্রীয় সরকার। বুধবার নজিরবিহীন একটি নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। পশ্চিমবঙ্গে ফের ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প চালু করতে হবে, এই মর্মে কেন্দ্রীয় সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। আগামী ১ আগস্ট থেকেই এই প্রকল্প চালু করতে নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চ।উল্লেখ্য, বাংলায় ১০০ দিনের কাজের টাকা বহুদিন ধরে আটকে রেখেছে কেন্দ্র, এই অভিযোগ করে আসছে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ রাজ্য সরকারের একাধিক মন্ত্রী এই ব্যাপারে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বারবার সমালোচনায় সরব হয়েছেন। কেন্দ্রীয় সরকারের দাবি, পশ্চিমবঙ্গে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে লাগামহীন দুর্নীতি হয়েছে। এই দুর্নীতির তদন্তে কেন্দ্র বেশ কয়েকটি দলও বাংলার জেলায় জেলায় পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।কেন্দ্রের অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল অশোক চক্রবর্তী আদালতে জানিয়েছিলেন, ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে পশ্চিমবঙ্গে মোট ৫ কোটি ৩৭ লক্ষ টাকা বন্টনের ক্ষেত্রে গরমিল ধরা পড়েছে।। তার মধ্যে ২ কোটিরও বেশি টাকা পুনরুদ্ধার করা গিয়েছে। হুগলি, মালদা, বর্ধমান, দার্জিলিংয়ের মতো জেলাগুলিতে ১০০ দিনের কাজের টাকা বন্টনের ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ পেয়েছে কেন্দ্রের প্রতিনিধি দল। ১০০দিনের কাজের প্রকল্পে টাকা বন্টনের ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গে বেনজির দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ কেন্দ্রের।রাজ্যে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প আটকে থাকা নিয়ে মামলার শুনানি বুধবার ছিল কলকাতা হাইকোর্টে। এদিন উভয় পক্ষের সওয়াল-জবাব শুনেছেন প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। এরপর প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছেন যে শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গের জন্যই বিশেষ কোনও বেঁধে দিতে পারে কেন্দ্র। এই রায়ের পর সোচ্চার হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছেন, ১০০ দিনের পুরনো বকেয়া টাকা ফেরত দিতে হবে।

জুন ১৮, ২০২৫
রাজ্য

তোলা না দেওয়ায় গাছে বেঁধে কাপড় ব্যবসায়ীকে মারধর

পাঁচ লক্ষ টাকা তোলা না দেওয়ায় গাছে বেঁধে এক কাপড় ব্যবসায়ীকে মারধর এবং সালিশি করে গ্রাম ছাড়া করার অভিযোগ উঠলো স্থানীয় একদল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে কালিয়াচক থানার ফতেখানি এলাকায়। এই ঘটনায় আক্রান্ত ব্যবসায়ীর পরিবার কালিয়াচক থানার দ্বারস্থ হলেও চারদিন পরে পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ। অবশেষে বুধবার ওই ব্যবসায়ী দম্পতি সমস্ত ঘটনার বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ জানালেন পুলিশ সুপারের কাছে। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পুরো বিষয়টি নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মালদার পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব। এদিকে কালিয়াচকের ওই ব্যবসায়ীর ওপর আক্রমণ এবং পাঁচ লক্ষ টাকা তোলাবাজির ঘটনায় রীতিমতো অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন জেলার সর্ববৃহৎ ব্যবসায়ীদের সংগঠন মালদা মার্চেন্ট চেম্বার অফ কমার্সের কর্মকর্তারা। সংশ্লিষ্ট সংগঠনের সভাপতি জয়ন্ত কুন্ডু জানিয়েছেন, এই ধরনের ঘটনার আমরা তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। বারবার যদি ব্যবসায়ীদের ওপর দুষ্কৃতীদের হামলা নেমে আসে, তাহলে আমরা যাব কোথায়। অবিলম্বে পুলিশ সুপার যাতে অপরাধীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করে, সেই আবেদন জানাচ্ছি। এদিকে পুলিশকে অভিযোগে কালিয়াচক থানার ফতেখানি এলাকার পোশাক ব্যবসায়ী মহম্মদ রহিম বিশ্বাস জানিয়েছেন, পুরনো একটি মামলার ঘটনায় গত শনিবার এলাকার এক কুখ্যাত দুষ্কৃতী জহরুল খান এবং তার দলবল তাকে বাড়ির সামনে থেকে তুলে নিয়ে যায়। তাদের একটি ডেরায় তাঁকে গাছে বেঁধে ব্যাপক মারধর করা হয়। এরপর পাঁচ লক্ষ টাকার তোলা চাওয়া হয়। সেই টাকা না দেওয়ায় আশেপাশের আরও কিছু সাগরেদদের জুটিয়ে সালিশি ডাকা হয়। সেই সালিশির মাধ্যমে তাদের পরিবারকে গ্রাম ছাড়া করার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। আর এই ঘটনার পর থেকেই গত চারদিন ধরেই ওই ব্যবসায়ী পরিবার নিজের বাড়ি ছেড়ে অন্য এক আত্মীয়ের বাড়িতে আত্মগোপন হয়ে রয়েছেন। এমনকি ফতেখানি স্ট্যান্ডের কাছে ওই ব্যবসায়ী তার নিজের পোশাকে শোরুম খুলতে পারছেন না।

জুন ১৮, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal