• ২ পৌষ ১৪৩২, শনিবার ২০ ডিসেম্বর ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Research

রাজনীতি

জ্যোতি বসু সেন্টার ফর সোশ্যাল স্টাডিজ এন্ড রিসার্চের উদ্বোধনে কারাট, হাজির বাংলাদেশের সঙ্গীত শিল্পী

নিউটাউনে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুর স্মরণে নির্মীয়মান জ্যোতি বসু সেন্টার ফর সোশ্যাল স্টাডিজ এন্ড রিসার্চ এর প্রথম পর্যায়ে ভবনের আজ উদ্বোধন হয়েছে। উদ্বোধন করেন সিপিআইএম এর পলিটব্যুরো ও কেন্দ্রীয় কমিটির কো-অর্ডিনেটর প্রকাশ কারাট। উপস্থিত ছিলেন বামফ্রণ্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু, সিপিআইএম-এর রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম, কেন্দ্রীয় কমিটি ও পলিটবুরো সদস্যরা, বিশিষ্ট সংগীত শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা প্রমুখ। রকাশ কারাট বলেন,জ্যোতি বসু দেশের কমিউনিস্ট আন্দলনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিলেন। বর্তমানে দেশে যেখানে উগ্র হিন্দুত্ব ও সাম্প্রদায়িকতা ছড়ানোর চেষ্টা হচ্ছে সেখানে এই প্রতিষ্ঠান তথ্য সমৃ ধ গবেষণার মাধ্যমে সমাজের প্রকৃত আর্থ সামাজিক ও রাজনৈতিক চিত্র তুলে ধরবে। সিপিআইএম এর রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেন, কেন্দ্র ও রাজ্য কোনো সরকারই কোনওবিষয়ে সঠিক তথ্য প্রকাশ করছে না। সেই কারণে গবেষণার প্রয়োজন। বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে স্বাধীন ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে দেশকে আরো সুদৃঢ় করতে এই প্রতিষ্ঠানের বড় ভূমিকা থাকবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। দো তোলা ভবনের নিচতলায় জ্যোতি বসুর সাথে সম্পর্কিত বিভিন্ন নথি নিয়ে গ্যালারি ও দোতলায় একটি লাইব্রেরি করা হয়েছে।

জানুয়ারি ১৭, ২০২৫
প্রযুক্তি

আদিত্য এল-১ অভিযানের মূল কারিগরকে জানুন, আজ সুর্যাভিযানে যাবে 'আদিত্য'

রবির কিরণে হাসি ছড়াইয়া দিব রে পরান ঢালিশিখর হইতে শিখরে ছুটিব,ভূধর হইতে ভূধরে লুটিব।শনিতে রবির অভিযান। মহাকাশ গবেষণায় চন্দ্রযান-৩ এর মহা সাফল্যের রেশ কাটতে না কাটতেই, এবার ইসরোর নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি আর এক যানআদিত্য ছুটবে সৌর্য পর্যবেক্ষণে। আদিত্য এল ১ আজ ২রা সেপ্টেম্বর সতীশ ধাওয়ান মহাকাশ কেন্দ্র থেকে উৎক্ষেপণ হবে। এই অভিযান স্বমন্ধে জানাতে গিয়ে ইসরো জানিয়েছে, এটির মূল লক্ষ্য হল মহাবিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী শক্তির উৎস সম্পর্কে আরও গভীর জ্ঞান অর্জন করা যাতে সূর্যের জটিল প্রক্রিয়াগুলির উপর খুব ঘনিষ্ঠ অধ্যয়নের মাধ্যমে আলোকপাত করা যায়।এই অভিযান কে আদিত্য এল ১ বলা হচ্ছে কেন? এর মানে কী?আদিত্য নামটি এক অর্থে সূর্যকে বোঝানো হয়। আদিত্য বা আদিতেয় বলতে অদিতির সন্তানকে বোঝায়। সাধারণত, আদিত্যগণ সংখ্যায় বারো। এদের একত্রে দ্বাদশ আদিত্য বলা হয়। এরা হলেন অর্যমা, পূষা, ত্বষ্টা, সবিত্র, ভগ, ধাত্রী, মিত্র, বিষ্ণু, বরুণ, মিত্র, অংশ, বিবস্বান বা সূর্য। অনেক পণ্ডিতের মতে, দ্বাদশ আদিত্য বলতে বারোটি মাসকে বুঝানো হয়। ঋকবেদে এর উল্লেখ আছে। আদিত্য নামকরণ করা হয়েছে হিন্দু দেবতানুসারে এবং L1 মানে সূর্য-পৃথিবী সিস্টেমের Lagrange পয়েন্ট ১।আদিত্য L1 এর উদ্দেশ্য কি?মিশনের মূল লক্ষ্য হল সূর্য, সুর্যের করোনা ও এর বাইরের স্তর এবং এর চারপাশের ঘটনা নিয়ে গবেষণা করা। প্রকল্পটি হিন্দু সূর্য দেবতা আদিত্য র নামে নামকরণ করা হয়েছে। সূর্যের কার্যকলাপ এবং মহাকাশ আবহাওয়া এবং পৃথিবীর বাস্তুতন্ত্রের উপর এর প্রভাব সম্পর্কে গঠনমূলক বৈজ্ঞানিক তথ্য এবং অন্তর্দৃষ্টি সংগ্রহ করতে এই অভযান।আদিত্য এল ১-এর যন্ত্রের বিন্যাস গবেষকদের সূর্যের পৃষ্ঠ এবং করোনাকে অভূতপূর্ব গভীরতায় বিভিন্ন আলোক তরঙ্গদৈর্ঘ্যে সূর্যকে দেখে পরীক্ষা করতে সক্ষম হবে। মিশনের প্রাথমিক উদ্দেশ্য হল চৌম্বক ক্ষেত্রের গতিশীলতা, সৌর শিখা এবং পৃথিবীর জলবায়ু এবং মহাকাশের আবহাওয়াকে প্রভাবিত করে এমন অন্যান্য সৌর প্রক্রিয়া সম্পর্কে আরও জানা।PSLV-C57/Aditya-L1 Mission:The 23-hour 40-minute countdown leading to the launch at 11:50 Hrs. IST on September 2, 2023, has commended today at 12:10 Hrs.The launch can be watched LIVEon ISRO Website https://t.co/osrHMk7MZLFacebook https://t.co/zugXQAYy1yYouTube ISRO (@isro) September 1, 2023আদিত্য এল ১ মিশনের প্রধান বিজ্ঞানী কে?আদিত্য এল ১ মিশনের প্রধান বিজ্ঞানী হিসাবে ইউ আর রাও স্যাটেলাইট সেন্টার (ইউআরএসসি) বিশিষ্ট সৌর বিজ্ঞানী ডাঃ শঙ্কর সুব্রমণিয়ান কে. দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তিনি বেঙ্গালুরুর ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ অ্যাস্ট্রোফিজিক্সে ব্যাঙ্গালোর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদার্থবিদ্যায় পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। তাঁর বৈজ্ঞানিক গবেষণার মূল দিকগুলি হল, ইন্সট্রুমেন্টেশন, অপটিক্স এবং সৌর চৌম্বক ক্ষেত্র। ইসরোর অ্যাস্ট্রোসাট, চন্দ্রযান-১ ও চন্দ্রযান-২ এ ও তাঁর যথেষ্ট অবদান ছিলো।বর্তমানে তিনি ইউআরএসসির স্পেস অ্যাস্ট্রোনমি গ্রুপের (এসএজি) দায়িত্বে রয়েছেন। চন্দ্রযান-৩ প্রোপালশন মডিউলের উপরে আদিত্য-এল 1, এক্সপোস্যাট এবং বিজ্ঞানের পেলোডের আসন্ন মিশনের জন্য, SAG বৈজ্ঞানিক পেলোড তৈরি করার কাজ করছে। উপরন্তু, তিনি আদিত্য-এল ১ এর এক্স-রে পেলোডগুলির মধ্যে জন্য প্রধান গবেষক হিসাবে কাজ করছেন। আদিত্য-এল ১ সায়েন্স ওয়ার্কিং গ্রুপ, যার মধ্যে অনেক ভারতীয় প্রতিষ্ঠানের বিশেষজ্ঞরা রয়েছে, এর নেতৃত্বে রয়েছেন ড. শঙ্করসুব্রামনিয়ান কে।

সেপ্টেম্বর ০২, ২০২৩
কলকাতা

Airport: ক্যালিফোর্নিয়াম নয়, সাধারণ পাথর!

কলকাতা বিমানবন্দর চত্বরে উদ্ধার হওয়া তেজস্ত্রিয় মৌল ক্যালিফোর্নিয়াম নয়, সাধারণ পাথর। প্রাথমিক রিপোর্টে ভাবা অ্যাটমিক রিসার্চ সেন্টার জানিয়ে দিল, ওই চারটি পাথর ক্যালিফোর্নিয়াম বা ইরিডিয়াম নয়, বরং সাধারণ পাথর। মানুষকে বোকা বানিয়ে অর্থ উপার্জনের জন্য ওই চারটি পাথর অভিযুক্তরা সঙ্গে রেখেছিল বলে জানা গিয়েছে।গত বুধবারই কলকাতা বিমানবন্দর চত্বরের সামনে থেকে চারটি উজ্জ্বল পাথরের মতো মৌল উদ্ধার করে সিআইডি। সন্দেহ, সেগুলি শক্তিশালী ক্যালিফোর্নিয়াম। যার এক গ্রামের দাম ১৭ কোটি টাকা। পরমাণু বোমা তৈরির উপকরণ হিসেবে ব্যবহার করা হয় ক্যালিফোর্নিয়াম বা ইরিডিয়াম। আশঙ্কা করা হয়েছিল, এয়ারপোর্টের কাছে যে পরিমাণ ক্যালিফোর্নিয়াম পাওয়া গিয়েছে, তার আনুমানিক দাম ৪ হাজার ২৫৮ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা। এরপরই ওই চারটি পাথর পাঠানো হয়েছিল ভাবা অ্যাটমিক রিসার্চ সেন্টারে। ক্যালিফোর্নিয়াম স্টোন আশঙ্কায় বুধবার গ্রেপ্তার হয়েছিল ২ জন। ধৃতদের মধ্যে একজন সিঙ্গুরের বাসিন্দা আর অপরজনের বাড়ি হুগলির পোলবা থানার পাউনান গ্রামে।

আগস্ট ৩০, ২০২১
রাজ্য

Rice-Research: আন্তর্জাতিক ধান গবেষণায় নতুন শিখর ছুঁতে চলেছেন বর্ধমানের আকাশ

আন্তজার্তিক ধান গবেষণায় বড় সুযোগ পেয়ে বিদেশে পাড়ি দিতে চলেছেন পূর্ব বর্ধমানের আকাশ দত্ত। ইন্টারন্যাশনাল রাইস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণার সুযোগ পেয়েছেন আকাশ। এশিয়া মহাদেশে এই ধান গবেষণার জন্য মধ্যে মাত্র ২ জন সুযোগ পেয়েছেন। আকাশ যার মধ্যে অন্যতম।আরও পড়ুনঃ করোনায় প্রাণ গিয়েছে ২,৯০৩ জন রেলকর্মীরওডিশার শিক্ষা ও অনুসন্ধান কলেজ থেকে এগ্রিকালচার নিয়ে স্নাতক করার সময়ই স্বপ্ন বোনা শুরু। এরপর নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন থেকে স্নাতকোত্তর করার পরই বিভিন্ন জায়গায় গবেষণার জন্য আবেদন জানাতে শুরু করেছিলেন। অবশেষে সুযোগ আসে। ১০০ শতাংশ স্কলারশিপ নিয়ে আমেরিকার ইউনিভার্সিটি অফ ইলিওনিস, আর্বানা শ্যাম্পেইনে গবেষণার সুযোগ আসে। জনতার কথা-র সঙ্গে আলাপচারিতায় আকাশ জানান, মূলত উন্নতমানের ধান উৎপাদনের ক্ষেত্রে জেনেটিক্স প্রযুক্তি নিয়ে গবেষণা করবেন তিনি। ক্রমশ পরিবর্তনশীল জলবায়ুর সঙ্গে খাপ খাওয়াতে ও খরাপ্রবণ এলাকায় যাতে কম জলে, কম সময়ের মধ্যে ধান গাছের জেনেটিক্স ম্যানিপুলেশন ঘটিয়ে ভালো ফলন করা যায়, তাই তাঁর এই স্বর্ণ ধান গবেষণার বিষয়।মূলত, পশ্চিমবঙ্গে উৎপাদন হয় এমন ধান নিয়েই গবেষণা করতে চান বর্ধমানের তরুণ। এছাড়াও, পঞ্জাব, অন্ধ্রপ্রদেশের মতো জায়গাতে এই ধরনের ধানেরই মূলত চাষ হয়ে থাকে বলে জানান আকাশ। ফলে তাঁর এই গবেষণায় শুধু রাজ্য নয়, উপকৃত হতে চলেছে সারা দেশও।আরও পড়ুনঃ শিক্ষকদের মমতার উপহার উৎসশ্রী আসলে কী? জানুনআন্তজার্তিক ক্ষেত্রে আকাশের এমন সাফল্যে স্বাভাবিকভাবেই উচ্ছ্বসীত তাঁর পরিবারের সদস্য, পাড়া প্রতিবেশী ও বন্ধুবান্ধবেরাও। আপাতত বিদেশযাত্রার তোড়জোড় চলছে বর্ধমানের বাড়িতে। গত জুন মাসে গবেষণার সুযোগ পাওয়ার খবর পাওয়ার পর থেকেই বাড়িতে উৎসবের পরিবেশ।অগস্ট মাসেই সম্ভবত আকাশের স্বপ্নের উড়ান শুরু হতে চলেছে বলেও জানিয়েছেন পূর্ব বর্ধমানের গর্ব।

জুলাই ২৫, ২০২১
শিক্ষা

গৌড়বঙ্গের মুকুটে নতুন পালক, খুলে গেল মহাকাশ গবেষণা ও কর্পোরেট ফার্মিং-এর দরজা

মহাকাশ গবেষণার দরজা খুলে গেল এবার গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের সামনে। মালদার ভূমিপুত্র তথা মহাকাশ বিজ্ঞানী সন্দীপ চক্রবর্তীর হাত ধরেই এই ঐতিহাসিক সুযোগ আসতে চলেছে গৌড়বঙ্গে। সম্প্রতি সন্দীপ বাবুর মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ' ইন্ডিয়ান সেন্টার ফর স্পেস ফিজিক্স'-এর সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়। আর তাতেই আশার আলো দেখছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও পড়ুয়ারা। একইসঙ্গে হায়দ্রাবাদের 'আর আর এনিম্যাল হেল্থকেয়ার' সংস্থার সঙ্গে কর্পোরেট ফার্মিং প্রোগ্রাম বিষয়েও একটি মউ স্বাক্ষর করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরবিদ্যা বিভাগ। এর ফলে অ্যানিম্যাল হাজবেন্ড্রির গবেষণার পাশাপাশি আর্থ সামাজিক উন্নয়ন সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে। বিতর্ককে পিছনে ফেলে ক্রমেই উৎকর্ষতার দিকে এগিয়ে চলেছে গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়। সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই অধ্যাপক বিশ্বের সেরা বিজ্ঞানীদের তালিকায় নাম তুলেছিলেন। এবার বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের সামনে খুলে গেল মহাকাশ গবেষণার সুবর্ণ সুযোগ। সম্প্রতি 'ইন্ডিয়ান সেন্টার ফর স্পেস ফিজিক্স' নামে এক মহাকাশ গবেষণা সংস্থার সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধার সিদ্ধান্ত নিয়েছে গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর মালদার ভূমিপুত্র তথা জ্যোতির্বিজ্ঞানী সন্দীপ চক্রবর্তী প্রতিষ্ঠিত ওই সংস্থার সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় গাঁটছড়া বাঁধার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর ফলে এখানকার পড়ুয়ারা মহাকাশ গবেষণার সুযোগ পাবেন বলে জানা গেছে। যারা উপযুক্ত পরিকাঠামোর অভাবে গৌড়বঙ্গ অথবা উত্তরবঙ্গের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে তেমনভাবে মহাকাশ গবেষণার সুযোগ পাচ্ছিলেন না, তারাও এখন উপকৃত হবেন। এমনকি সন্দীপ বাবুর 'সেন্টার ফর স্পেস ফিজিক্স' থেকে গবেষণা করে পিএইচডি ডিগ্রী অর্জন করতে পারবেন পড়ুয়ারা। এর ফলে একদিকে যেমন বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চশিক্ষার উৎকর্ষতা বাড়বে তেমনই সেন্টার ফর স্পেস ফিজিক্সের পরিকাঠামো ব্যবহার করে গবেষণার সুযোগ পাবেন ছাত্র-ছাত্রীরা। প্রসঙ্গত বিজ্ঞানী সন্দীপ চক্রবর্তীর জন্ম ও বেড়ে ওঠা মালদা জেলাতেই। এমনকি তাকে গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সমাবর্তন উৎসবে সাম্মানিক 'ডক্টর অফ সায়েন্স' উপাধি দেওয়া হয়। মহাকাশ গবেষণার জন্য সন্দীপ চক্রবর্তীকে আমেরিকার স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটির সাম্প্রতিক সমীক্ষায় ভারতবর্ষের সেরা বিজ্ঞানীর শিরোপা দেওয়া হয়েছে। তার 'সেন্টার ফর স্পেস ফিজিক্স' সংস্থাটি ইতিমধ্যেই মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে যথেষ্ট সাড়া ফেলে দিয়েছে। পূর্ব ভারতের সবচেয়ে উন্নত মানের টেলিস্কোপ রয়েছে ওই সংস্থার কাছে। এমনকি মহাকাশ গবেষণার জন্য বিশাল আকারের বেলুন ও যন্ত্রপাতি সংস্থার অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় চল্লিশ কিলোমিটার উচ্চতায় ভেসে থাকা সেই বেলুন থেকেই সম্প্রতি বৃহস্পতি ও শণি গ্রহের নৈকট্য লেন্সবন্দী করেছে সেন্টার ফর স্পেস ফিজিক্স। এমনকি কৃত্রিম উপগ্রহ তৈরির প্রশিক্ষণও দিয়ে থাকে ওই সংস্থা। স্বভাবতই এমন সংস্থার সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধতে পেরে উচ্ছ্বসিত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য তথা পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান প্রফেসর চঞ্চল চৌধুরী জানান," সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক্সিকিউটিভ কাউন্সিল সন্দীপবাবু সেন্টার ফর স্পেস ফিজিক্স প্রতিষ্ঠানকে সহযোগী সংস্থা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর ফলে দুটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বিভিন্ন ভাবনার আদান-প্রদান, প্রশিক্ষণ এবং গবেষণার দরজা খুলে যাবে। গৌড়বঙ্গের পড়ুয়ারাও মহাকাশ গবেষণার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে তাদের অবদান রাখতে পারবেন। এমনকি গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় বা সেন্টার ফর স্পেস ফিজিক্স থেকে গবেষণা করলে পিএইচডি ডিগ্রি এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাওয়ার সুযোগ থাকছে।" এ প্রসঙ্গে গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার বিপ্লব গিরি বলেন," সন্দীপবাবু সংস্থার সঙ্গে কাজ করতে পারাটা সৌভাগ্যের ব্যাপার। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি তার একটা নাড়ির টান রয়েছে। তিনি মালদার ভূমিপুত্র। তাই গৌড়বঙ্গ তথা উত্তরবঙ্গের জন্য তিনি কিছু করতে চেয়েছিলেন। তিনি যখন মহাকাশ গবেষণার প্রস্তাব আমাদের দেন, তখন আমরা তাতে সম্মত জানাতে দেরি করিনি। এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে। এরফলে এস্ট্রোফিজিক্স নিয়ে গবেষণার নতুন দিক উন্মোচিত হবে।" অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধতে পারে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন বিজ্ঞানী সন্দীপ চক্রবর্তী। তিনি জানান," গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে কাজ করার জন্য আমার সংস্থার তরফ থেকে একটি প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। সে প্রস্তাবে তারা রাজি হয়েছেন। এর ফলে আখেরে গৌড়বঙ্গ ও উত্তরবঙ্গের পড়ুয়াদের সামনে মহাকাশ গবেষণার সুযোগ তৈরি হবে। আমাদের প্রতিষ্ঠান থেকে ইতিমধ্যেই এখানকার ৪৫ জন ছাত্র-ছাত্রী গবেষণায় সফলতা পেয়েছেন। গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার ফলে এখানকার পড়ুয়ারা আমার সংস্থায় গবেষণা করার সুযোগ পাবেন। গবেষণার পর পিএইচডি ডিগ্রি দেবে গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়। এর ফলে যে সমস্ত প্রতিভা বিকশিত হওয়ার সুযোগ পেত না, তাদেরও প্রতিভার বিচ্ছুরণ ঘটবে বলে আশা করি।" একদিকে যখন মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে নতুন দিগন্ত খুলতে চলেছে তখন অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরবিদ্যা বিভাগের সঙ্গে মউ স্বাক্ষর করলো হায়দ্রাবাদের প্রাণী সম্পদ বিকাশ সংস্থা 'আর আর এনিমেল হেলথ কেয়ার'। উন্নত মানের প্রাণীজ খাদ্য উৎপাদনের জন্য কর্পোরেট ফার্মিং অর্থাৎ ভক্ষ প্রাণীর উন্নত পরিপালন ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিষয়ে গবেষণা ও কাজকর্ম করে থাকে সংস্থাটি। বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরবিদ্যা বিভাগের সঙ্গে ওই সংস্থা গাঁটছড়া বাঁধায় এবার এখানকার পড়ুয়ারাও কর্পোরেট ফার্মিং প্রোগ্রাম বিষয়ে যেমন তালিম পাবেন যেমন তেমনিই তাদের সামনে খুলে যাবে গবেষণার রাস্তাও। গরু, ছাগল,ভেড়া,হাঁস, মুরগি, মাছ সমেত পোলট্রি ফার্মিং বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে আসছে ওই সংস্থা। সাধারণ মানুষের কাছে দূষণমুক্ত উন্নত মানের প্রাণীজ খাদ্য পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে গবেষণা ও উৎপাদনের কাজ করে ওই সংস্থা। এর আগেও বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরবিদ্যা বিভাগের পড়ুয়াদের নিয়ে এই সংক্রান্ত গবেষণার কাজ করেছে সংস্থাটি। শারীরবিদ্যা বিভাগ সূত্রে খবর, যারা পোলট্রি তথা অ্যানিম্যাল হাজবেন্ড্রির সঙ্গে যুক্ত তারা যাতে নিজেরাই উন্নত মানের প্রজাতির প্রাণীর ব্রিডিং করতে পারেন সেজন্য সিমেন এক্সটেন্ডার মেশিন তৈরির চেষ্টা যৌথ ভাবে করা হবে। ওই মেশিন তৈরি হলে উন্নত মানের পুরুষ পশু বা পাখির বীর্য সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করে তার সফল প্রয়োগ বাস্তবায়িত হবে বলে জানা গেছে। শারীরবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক তথা ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার বিপ্লব গিরি জানান," যে সমস্ত প্রাণীর মাংস, দুধ, ডিম আমাদের খাদ্য তালিকায় রয়েছে তাদের বিজ্ঞানসম্মতভাবে প্রতিপালন করা এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করা করার বিষয়ে পড়ুয়ারা গবেষণার সুযোগ পাবেন। আমরা গবেষণার মাধ্যমে যদি উন্নততর কিছু আবিষ্কার করতে পারি তবে তার বাণিজ্যিক প্রয়োগের মাধ্যমে লাভবান হতে পারেন পশু পালক ও পোলট্রি ফার্মাররা। আর্থ সামাজিক ক্ষেত্রে আমূল সংস্কার আনা সম্ভব হবে এর মাধ্যমে। নিঃসন্দেহে এটি বড় প্রাপ্তি।" এ প্রসঙ্গে 'আর আর এনিমেল হেলথ কেয়ার' এর রিসার্চ এন্ড ডেভেলপমেন্ট উইংয়ের প্রধান লাবণ্যময় কোলে জানান," গৃহপালিত প্রাণীর উন্নত প্রতিপালন ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিধি সম্পর্কে পড়ুয়ারা যেমন জানতে পারবেন তেমনি এখানে গবেষণার মাধ্যমে উচ্চ প্রজননক্ষম গৃহপালিত প্রাণী ও তার উৎপাদনের বিষয়টিও সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে যাবে। এর ফলে গ্রামের পশুপালকরাও উপকৃত হবেন।" নানা ইস্যুকে কেন্দ্র করে যখন গৌড়বঙ্গে অচলাবস্থা তৈরীর চক্রান্ত চলছে বলে বারবার অভিযোগ উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে এমন দু'টি বিজ্ঞান গবেষণা সংস্থার গাঁটছড়া বাঁধার ঘটনা নিঃসন্দেহে আশার আলো দেখাচ্ছে শিক্ষাপ্রেমীদের।

ডিসেম্বর ২৮, ২০২০
টুকিটাকি

নিরামিষ খেলে বাড়ে স্ট্রোকের সম্ভাবনা , দাবি গবেষণায়

এখনকার দিনে অনেক মানুষই আমিষ ছেড়ে নিরামিষ খাবার খাচ্ছেন। শরীর-স্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করে অনেকে মাছ -মাংস খাওয়া ছেড়ে দিয়েছেন। কিন্তু সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে, নিরামিষ খেলে স্ট্রোকের সম্ভাবনা বাড়ে। এই গবেষণাটি করেছে অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি। এই গবেষণা বলছে, নিরামিষ খাবার খেলে হার্টের অসুখের সম্ভাবনা কমতে পারে, কিন্তু বেড়ে যায় স্ট্রোকের সম্ভাবনা। প্রায় ৪৮৮১৮ মানুষের উপর পরীক্ষা করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। আরও পড়ুনঃ অ্যাসিডিটি সহ বিভিন্ন প্রকার রোগের যম শসা এই রিপোর্ট অনুযায়ী, নিরামিশাষীদের হার্টের অসুখ হওয়ার সম্ভাবনা ২২ শতাংশ কম। কিন্তু তাঁদেরই আবার স্ট্রোক হওয়ার সম্ভাবনা অন্যদের চেয়ে ২০ শতাংশ বেশি। হ্যামরেজিক স্ট্রোক যাতে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয় এদেঁর বেশি হতে পারে। জরুরি ভিটামিন থেকে বঞ্চিত হন নিরামিশাষীরা। আর সেই কারণে স্ট্রোক হতে পারে। তবে এই প্রসঙ্গে আরও গবেষণার প্রয়োজন আছে বলেই মনে করা হচ্ছে।

অক্টোবর ২৭, ২০২০

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

যুবভারতী কাণ্ডে নতুন মোড়, শতদ্রু দত্তের রিষড়ার বাড়িতে হানা বিধাননগর পুলিশের

যুবভারতী কাণ্ডের পর থেকেই রিষড়ার একটি ঝাঁ চকচকে তিনতলা বাড়ি ঘিরে কৌতূহল বেড়েছে। শুক্রবার সকালে সেই বাড়িতেই হাজির হল বিধাননগর পুলিশ। যুবভারতী স্টেডিয়ামে মেসির অনুষ্ঠান ঘিরে হওয়া বিশৃঙ্খলার ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া উদ্যোক্তা শতদ্রু দত্তের এই বাড়িতে এদিন তল্লাশি চালান তদন্তকারীরা। তবে ঠিক কী কারণে এই তল্লাশি, তা নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি পুলিশ আধিকারিকরা।গত ১৩ ডিসেম্বর যুবভারতী স্টেডিয়ামে লিওনেল মেসির অনুষ্ঠান আয়োজনের দায়িত্বে ছিলেন শতদ্রু দত্ত। ওই দিন স্টেডিয়ামে ব্যাপক বিশৃঙ্খলা ছড়ায়। সেই ঘটনার পরই আয়োজক সংস্থার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে এবং পুলিশ শতদ্রুকে গ্রেফতার করে। বর্তমানে তিনি পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন। ঠিক সেই সময়ই শুক্রবার সকালে তাঁর রিষড়ার বাড়িতে পৌঁছে যায় বিধাননগর পুলিশের একটি দল।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দক্ষিণ বিধাননগর থানার পাঁচজন আধিকারিক, তাঁদের মধ্যে মহিলা পুলিশকর্মীও ছিলেন, এদিন সকালে রিষড়ায় যান। প্রথমে তাঁরা রিষড়া থানায় হাজির হন। পরে স্থানীয় থানার পুলিশের সহযোগিতায় বাঙুর পার্ক এলাকায় শতদ্রু দত্তের বাড়িতে যান তদন্তকারীরা। সেই সময় বাড়িতে শুধুমাত্র এক পরিচারিকা ছিলেন। তাঁর সঙ্গেও কথা বলেন পুলিশ আধিকারিকরা।এরপর তিনতলা বাড়ির প্রতিটি ঘরে তল্লাশি চালানো হয়। সূত্রের খবর, ওই বাড়িতে একটি ব্যক্তিগত ফুটবল মাঠ এবং একটি সুইমিং পুল রয়েছে। সেগুলিও ঘুরে দেখেন তদন্তকারীরা। তবে তল্লাশির পর বাড়ি থেকে কোনও কিছু বাজেয়াপ্ত করা হয়নি বলেই জানা গিয়েছে। বাড়ি থেকে বেরোনোর সময় এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, বিষয়টি তদন্তাধীন, তাই এখনই কিছু বলা সম্ভব নয়।এদিকে তদন্তকারীদের একাংশের অনুমান, মেসির অনুষ্ঠানে বিপুল পরিমাণ কালো টাকা ব্যবহার হয়ে থাকতে পারে। যুবভারতী কাণ্ডে পুলিশের তরফে ইতিমধ্যেই দুটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। সেই এফআইআরের ভিত্তিতে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট ইসিআইআর দায়ের করে আর্থিক লেনদেনের উৎস খতিয়ে দেখতে পারে বলে তদন্তকারী সূত্রে খবর।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫
দেশ

সংবাদমাধ্যমে আগুন, ভারত-বিরোধী স্লোগান—ঢাকা পরিস্থিতিতে কড়া নজর দিল্লির

ওসমান হাদির মৃত্যুর পর ফের তপ্ত হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। বৃহস্পতিবার রাত থেকেই ঢাকাসহ একাধিক শহরে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। প্রথম সারির সংবাদমাধ্যমের অফিসে আগুন লাগানো হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ হয়েছে এবং কট্টরপন্থীদের একাংশ প্রকাশ্যে ভারত-বিরোধী মন্তব্য করছে। পরিস্থিতি কোন দিকে গড়ায়, তা নিয়ে কড়া নজর রাখছে ভারত।সূত্রের খবর, ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনায় যেখানে ভারতীয় হাইকমিশনের অফিস রয়েছে, সেখানে কর্মরত ভারতীয় আধিকারিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দিকে বিশেষ নজর দিচ্ছে নয়া দিল্লি। সাম্প্রতিক পরিস্থিতির জেরে একাধিক জায়গায় ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্র ইতিমধ্যেই বন্ধ রাখা হয়েছে। পরিস্থিতি আরও খারাপ হলে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে বলেও ইঙ্গিত মিলেছে।বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনের সামনে কট্টরপন্থীদের বিক্ষোভ চলে। কয়েকটি ক্ষেত্রে সেই বিক্ষোভ আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে বলে অভিযোগ। রাত সাড়ে দশটা নাগাদ চট্টগ্রামে ভারতীয় ডেপুটি হাইকমিশনারের বাসভবন ঘিরে ধরার ডাক দেওয়া হয়েছে বলে খবর আসে। বিভিন্ন দিক থেকে অফিস ঘেরাওয়ের আহ্বান জানানো হয়। এই পরিস্থিতিতে গোটা ঘটনার উপর নজর রাখছে ভারত সরকার। সূত্রের খবর, নিরাপত্তার কারণে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনায় আজও ভিসা কেন্দ্র বন্ধ থাকতে পারে।উল্লেখ্য, এর আগেও বাংলাদেশের এক রাজনৈতিক মিছিলে ভারতের সেভেন সিস্টার্সকে আলাদা করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন এনসিপি নেতা হাসনাত। সেই মন্তব্যের পরই দিল্লি কড়া অবস্থান নেয়। বাংলাদেশের হাইকমিশনার মহম্মদ রিয়াজ হামিদুল্লাহকে তলব করে স্পষ্ট জানানো হয়, এই ধরনের উস্কানিমূলক মন্তব্য ভারত কোনওভাবেই বরদাস্ত করবে না। কিন্তু সাম্প্রতিক ঘটনার পর স্পষ্ট, সেই বার্তা এখনও পুরোপুরি কার্যকর হয়নি বলেই মনে করছে কূটনৈতিক মহল।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫
বিদেশ

কে এই ওসমান হাদি? যাঁর মৃত্যুতে গোটা বাংলাদেশে আগুন জ্বলছে

কয়েক মাস আগেও যাঁকে প্রায় কেউ চিনতেন না, অল্প সময়ের মধ্যেই তিনি ঘরে ঘরে পরিচিত মুখ হয়ে উঠেছিলেন। রাজনীতিতে আচমকা উত্থান, আবার সেই কাহিনি পূর্ণতা পাওয়ার আগেই থেমে গেল। শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুতে অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশ। দেশজুড়ে ছড়িয়েছে উত্তেজনা, বহু জায়গায় আগুন ও বিক্ষোভ। যাঁকে ঘিরে এত আলোচনা, আন্দোলন ও বিতর্ক, সেই ওসমান হাদি আসলে কে ছিলেন?অত্যন্ত সাধারণ পরিবার থেকে উঠে এসেছিলেন ওসমান হাদি। শেখ হাসিনার দল আওয়ামী লিগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে যে আন্দোলন শুরু হয়েছিল, তার অন্যতম মুখ ছিলেন তিনি। সেই আন্দোলনের মাধ্যমেই জাতীয় রাজনীতিতে পরিচিতি পান হাদি। বিতর্কিত গ্রেটার বাংলাদেশ-এর মানচিত্র তৈরির সঙ্গেও তাঁর নাম জড়ায়, যেখানে ভারতের সেভেন সিস্টার্স-সহ একাধিক অঞ্চলকে বাংলাদেশের অংশ হিসেবে দেখানো হয়েছিল।১৯৯৩ সালের ৩০ জুন বরিশালে জন্ম ওসমান হাদির। ছয় ভাইবোনের মধ্যে তিনি ছিলেন সবার ছোট। ঢাকার রামপুরা এলাকায় থাকতেন। পেশায় শিক্ষক ছিলেন হাদি। জুলাই আন্দোলনের সময় তিনি সক্রিয়ভাবে স্থানীয় সাংগঠনিক কাজে যুক্ত হন। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই রামপুরা এলাকার সমন্বয়ক হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পান এবং পরিচিত মুখ হয়ে ওঠেন।শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর আওয়ামী লিগ নিষিদ্ধ করার দাবিতে যারা সরব হন, তাঁদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন হাদি। সেই সময়েই গড়ে ওঠে ইনকিলাব মঞ্চ। এই মঞ্চের লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং ন্যায়বিচারের দাবি। ইনকিলাব মঞ্চের তরফে জুলাই অভ্যুত্থানের স্মৃতি সংরক্ষণ, অভিযুক্তদের বিচার, আহত ও নিহতদের স্বীকৃতি এবং জুলাই চার্টার ঘোষণার দাবি তোলেন হাদি। এর ফলে রাজনৈতিক আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসেন তিনি।ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায়ও হাদির নাম জড়ায়। বিষয়টি নিয়ে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়। ইনকিলাব মঞ্চের ব্যানারে হাদি বারবার আওয়ামী লিগের বিরুদ্ধে দমন-পীড়ন ও হত্যার অভিযোগ তুলে দলটিকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানান। দাবি মানা না হলে সচিবালয় ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারিও দিয়েছিলেন তিনি।সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদি জানিয়েছিলেন, তাঁকে ফোন ও মেসেজ করে খুনের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। তবুও তিনি পিছিয়ে যাননি। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়াইয়ের ঘোষণা দেন। চা-সিঙ্গারা আড্ডার মাধ্যমে প্রচারও শুরু করেছিলেন। ঠিক সেই সময়ই ঘটে যায় মর্মান্তিক ঘটনা।গত ১২ ডিসেম্বর জুম্মার নামাজের পর ঢাকার বিজয়নগরের বক্স কালভার্ট এলাকা দিয়ে ফেরার সময় তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। গুলি মাথা ভেদ করে বেরিয়ে যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে প্রথমে ঢাকার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে একটি বেসরকারি হাসপাতালে এবং সেখান থেকে সিঙ্গাপুরে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সব চেষ্টা ব্যর্থ করে শুক্রবার, ১৮ ডিসেম্বর রাতে সিঙ্গাপুরে মৃত্যু হয় ওসমান হাদির। আজ তাঁর দেহ বাংলাদেশে আনা হবে।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫
রাজ্য

নিষিদ্ধপল্লীতে ভোটার উধাও! খসড়া তালিকায় বাদ ২০ শতাংশ নাম

নিজস্ব সংবাদদাতা: খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ হতেই চমকে দেওয়ার মতো তথ্য সামনে এল আসানসোলে। উদ্বেগ ছড়িয়েছে রাজনৈতিক মহলেও। এসআইআর বা স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশনের প্রাথমিক পর্ব শেষে দেখা যাচ্ছে, কুলটি বিধানসভার নিয়ামতপুর সংলগ্ন নিষিদ্ধপল্লী এলাকার চারটি বুথে মোট ভোটারের প্রায় ২০ শতাংশ নাম তালিকা থেকে বাদ পড়েছে। পাশাপাশি আরও প্রায় ২০ শতাংশ ভোটারের সঙ্গে পুরনো তালিকার কোনও ম্যাপিং করা যায়নি বলে নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর।এসআইআর শুরু হওয়ার সময় এই চারটি বুথে মোট ভোটার ছিলেন ৩ হাজার ৬২৭ জন। খসড়া তালিকা প্রকাশের পর দেখা যাচ্ছে, ৭৪২ জনের নাম বাদ গিয়েছে। বাদ পড়া ভোটারদের মধ্যে ১৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে, ৬৯ জন অন্যত্র চলে গিয়েছেন। সবচেয়ে বেশি সংখ্যক, অর্থাৎ ৫৩৪ জন ভোটারের কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। জানা গিয়েছে, তাঁরা এনুমারেশন ফর্ম তুললেও তা আর জমা দেননি। পাশাপাশি ২০০২ সালের ভোটার তালিকার সঙ্গে মিলিয়ে দেখা সম্ভব হয়নি এমন ভোটারের সংখ্যা ৬৮৪ জন।এই তথ্য সামনে আসতেই বিরোধীরা সরব হয়েছেন। তাঁদের অভিযোগ, বছরের পর বছর এই ভূতুড়ে ভোটারদের ব্যবহার করে এসেছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। নিষিদ্ধপল্লী এলাকায় বাংলাদেশি নাগরিকদের নাম ভোটার তালিকায় ঢোকানো হয়েছিল বলেও অভিযোগ তুলেছে বিরোধীরা।তবে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। দলের দাবি, এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী বুথ লেভেল অফিসার বা বিএলও-রা। তৃণমূলের জেলা সহ-সভাপতি বাচ্চু রায় বলেন, নিষিদ্ধপল্লীর অনেক যৌনকর্মী নিজের পরিচয় ও ঠিকানা গোপন রেখে সেখানে কাজ করতে আসেন। এসআইআর চলাকালীন তাঁরা ভয় পেয়ে এলাকা ছেড়ে চলে গিয়েছেন বা ফর্ম তুললেও জমা দেননি। তাঁর দাবি, এখানে কোনও বাংলাদেশি যোগ নেই।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫
রাজ্য

আপাতত স্বস্তি যোগ্য শিক্ষকদের, চাকরির মেয়াদ বৃদ্ধি সুপ্রিম কোর্টের

অবশেষে কিছুটা স্বস্তির। সৌজন্যে সুপ্রিম কোর্ট। যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকাদের চাকরির মেয়াদ বাড়ানোর নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। আগামী ৩১ ডিসেম্বর নয়, ২০২৬ সালের ৩১ অগস্ট পর্যন্ত চাকরিতে বহাল থাকবেন যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকারা। এই সময়সীমার মধ্যেই নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে রাজ্য সরকারকে। এমনই স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত।নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য অতিরিক্ত সময় চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল স্কুল সার্ভিস কমিশন (SSC)। রাজ্যের তরফে ২০২৬ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় বাড়ানোর আবেদন জানানো হলেও আদালত সেই আবেদন আংশিক মঞ্জুর করে প্রায় আট মাসের অতিরিক্ত সময় দেয়। আদালত জানিয়ে দেয়, আগামী ৩১ অগস্টের মধ্যেই নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে।শীর্ষ আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, এই সময়কালে যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকারা নিয়মিত বেতন পাবেন এবং পড়ানোর কাজও চালিয়ে যেতে পারবেন। তবে আদালত স্পষ্ট করেছে, এই সুবিধা শুধুমাত্র শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি কর্মীদের ক্ষেত্রে এই নির্দেশ কার্যকর হবে না।আজকের এই রায়ে বড় স্বস্তি পেল রাজ্য সরকারও। কারণ ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে শিক্ষা ব্যবস্থা সচল রাখা এবং বিদ্যালয়গুলিতে শিক্ষক সংকট এড়ানো রাজ্যের পক্ষে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত আগের যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকাদের পরিষেবা ও বেতন বহাল থাকবে।উল্লেখ্য, চলতি বছরের ৩ এপ্রিল ২৬ হাজার চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেওয়ার সময় সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে নতুন করে পরীক্ষা নিয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে রাজ্যের শিক্ষা দপ্তরকে। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এই জটিল প্রক্রিয়া শেষ করা কার্যত অসম্ভব হয়ে পড়ায় রাজ্য সরকার সময় বাড়ানোর আবেদন জানায়।আদালতে রাজ্যের তরফে জানানো হয়, নবম-দশম এবং একাদশ-দ্বাদশ স্তরের শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী নিয়োগের সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া শেষ করতে আরও কয়েক মাস সময় প্রয়োজন। পাশাপাশি যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকাদের চাকরির মেয়াদ বাড়ানোর আর্জিও জানানো হয়। সেই আবেদনের ভিত্তিতেই এই গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫
রাজ্য

চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগে দেওচা–পাঁচামিতে পাথর উত্তোলনের বরাত বাতিল, নতুন দরপত্রে বিতর্ক

চুক্তির শর্ত লঙ্ঘনের অভিযোগে দেওচাপাঁচামি কয়লাখনি প্রকল্প এলাকায় পাথর উত্তোলনের কাজের বরাত বাতিল করল রাজ্য সরকার। প্রাথমিক পর্যায়ে ১২ একর জমিতে পাথর উত্তোলনের দায়িত্বে থাকা মেসার্স পাচামি ব্যাসল্ট মাইনিং প্রাইভেট লিমিটেডের সঙ্গে চুক্তি বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রাজ্যের দাবি, সংস্থাটি চুক্তির একাধিক গুরুত্বপূর্ণ শর্ত মানেনি বলেই এই পদক্ষেপ।রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, প্রকল্পের দ্বিতীয় ধাপে ৩১৪ একর জমিতে পাথর উত্তোলনের জন্য নতুন করে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। তবে এই সিদ্ধান্ত ঘিরে শুরু হয়েছে তীব্র রাজনৈতিক বিতর্ক। বিরোধী দল বিজেপির অভিযোগ, দেওচাপাঁচামি কয়লাখনি প্রকল্প নিয়ে রাজ্য সরকার আসলে ধোঁয়াশা তৈরি করছে। বৃহস্পতিবার সিউড়িতে বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, গত ১৫ বছরে রাজ্য সরকার একটি বড় শিল্প প্রকল্পও বাস্তবে রূপ দিতে পারেনি। অথচ দেওচাপাঁচামিকে দেশের বৃহত্তম কয়লাখনি বলে প্রচার করা হচ্ছে। তাঁর দাবি, আসন্ন শিল্প সম্মেলনের আগে বরাত বাতিল ও নতুন দরপত্র ডেকে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে।বিজেপি নেতার আরও অভিযোগ, নতুন দরপত্রে কোথাও কয়লাখনি স্থাপনের উল্লেখ নেই। বরং আগামী ১৫ বছরের জন্য শুধুমাত্র পাথর উত্তোলনের কথাই বলা হয়েছে। তাঁর বক্তব্য, এর থেকেই স্পষ্ট যে আপাতত কয়লা উত্তোলনের কোনও পরিকল্পনাই রাজ্যের নেই। যদিও গত অক্টোবর মাসে আন্তর্জাতিক স্তরে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছিল, এখনও পর্যন্ত কোনও সংস্থা আগ্রহ দেখায়নি বলেও দাবি করেন তিনি।জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়ের বক্তব্য, কেন্দ্রের অনুমোদন ছাড়া এই প্রকল্প বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। অথচ এখনও পর্যন্ত কোনও পূর্ণাঙ্গ নকশা বা প্রস্তাব কেন্দ্রের কাছে জমা পড়েনি। পাশাপাশি আদিবাসীদের জমি নেওয়া হলেও উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ বা স্থায়ী কর্মসংস্থানের প্রতিশ্রুতি পূরণ হয়নি বলেও অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। এই পরিস্থিতিকে রাজ্য সরকারের শিল্পনীতির ব্যর্থতার প্রতিফলন বলে দাবি করছে বিরোধীরা।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫
কলকাতা

মেসি-কাণ্ডে মানহানির অভিযোগ, লালবাজারে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের এফআইআর

লিওনেল মেসিকে ঘিরে কলকাতার সাম্প্রতিক বিতর্কে এবার আইনি মোড়। প্রকাশ্যে মানহানিকর মন্তব্যের অভিযোগ তুলে কলকাতা পুলিশের সদর দফতর লালবাজারে এফআইআর দায়ের করলেন প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। অভিযোগের আঙুল উঠেছে কলকাতার আর্জেন্টিনা ফ্যান ক্লাবের প্রধান তথা মেসি-ভক্ত উত্তম সাহার দিকে।সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের আইনজীবীর তরফে জানানো হয়েছে, যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে মেসিকে ঘিরে যে বিতর্কিত ঘটনার সূত্রপাত, তা নিয়ে সংবাদমাধ্যমে সৌরভের ভূমিকা সম্পর্কে একাধিক ভুল ও বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো হয়েছে। এই মন্তব্যগুলিকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও মানহানিকর বলেই দাবি করা হয়েছে অভিযোগে।সৌরভের পক্ষ থেকে স্পষ্ট করে জানানো হয়েছে, সংশ্লিষ্ট অনুষ্ঠানে তিনি শুধুমাত্র একজন আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবেই উপস্থিত ছিলেন। ইভেন্টের আয়োজন বা পরিচালনার সঙ্গে তাঁর কোনও রকম সাংগঠনিক যোগ ছিল না। অনুষ্ঠানের মূল আয়োজক ছিলেন শতদ্রু দত্ত। একই অনুষ্ঠানে অভিনেতা শাহরুখ খান-সহ অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিরাও উপস্থিত ছিলেন বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, উত্তম সাহা প্রকাশ্যে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে চিটিংবাজ বলে কটাক্ষ করেন, যা প্রাক্তন অধিনায়কের সামাজিক সম্মান ও দীর্ঘদিনের ভাবমূর্তিকে গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। এই কারণেই মানহানির নোটিস পাঠানোর পাশাপাশি লালবাজারে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।উল্লেখ্য, মেসিকে দেখার আশায় যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে হাজার হাজার দর্শক মোটা অঙ্কের টিকিট কেটেও শেষ পর্যন্ত হতাশ হন। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজ্য রাজনীতিতেও তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় এবং তদন্ত কমিটি গঠিত হয়। ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস পদত্যাগ করেন। পুলিশ কর্তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে। একজন ডিসিপি সাসপেন্ড হয়েছে। এই আবহেই দেওয়া উত্তম সাহার মন্তব্যকে ঘিরে এবার আইনি পথে হাঁটলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫
রাজনীতি

একেই হুমায়ুন কবীরে অস্থির! এবার দুর্নীতির অভিযোগ জেলা পরিষদের সদস্যপদে ইস্তফা দাপুটে তৃণমূলনেত্রীর

২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে মুর্শিদাবাদে তৃণমূল কংগ্রেসের অন্দরে বড়সড় রাজনৈতিক বিস্ফোরণ। দলের হেভিওয়েট নেত্রী ও জেলা পরিষদের প্রাক্তন সহকারী সভাধিপতি শাহনাজ বেগম জেলা পরিষদের সদস্য পদ থেকে ইস্তফা দিলেন। শুধু পদত্যাগই নয়, দুর্নীতির অভিযোগ তুলে প্রকাশ্যে নিজের দলের পরিচালিত জেলা পরিষদ বোর্ডকে কাঠগড়ায় তুলেছেন তিনি।১৭ ডিসেম্বর বিভাগীয় কমিশনারের কাছে ইস্তফাপত্র পাঠান শাহনাজ বেগম। তার প্রতিলিপি জমা পড়েছে জেলা শাসকের কাছেও। তবে প্রশাসনিক চিঠির থেকেও বেশি আলোড়ন তৈরি করেছে তাঁর ফেসবুক পোস্ট। সেখানে তিনি স্পষ্ট ভাষায় লেখেন, চোর জেলা পরিষদের একজন অংশীদার হয়ে থাকা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। এই এক লাইনের মন্তব্যেই জেলা তৃণমূল রাজনীতিতে তীব্র অস্বস্তি ছড়িয়েছে।শাহনাজ বেগম দাবি করেছেন, তিনি কখনও অন্যায়ের সঙ্গে আপস করেননি এবং ভবিষ্যতেও করবেন না। দীর্ঘদিন ধরে জমে থাকা ক্ষোভই যে এবার প্রকাশ্যে এসেছে, তা তাঁর বক্তব্যেই স্পষ্ট। রাজনৈতিক মহলের মতে, নির্বাচনের মুখে দাঁড়িয়ে দলের অন্দরে এমন প্রকাশ্য বিদ্রোহ তৃণমূলের জন্য বড় ধাক্কা।মুর্শিদাবাদ জেলা রাজনীতিতে শাহনাজ বেগম অত্যন্ত প্রভাবশালী নাম। একসময় কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটি ভেঙে জেলা পরিষদে তৃণমূলের ক্ষমতা প্রতিষ্ঠার নেপথ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল তাঁর। ২০১৩ সাল থেকে সোমপাড়া, রামপাড়া ও রামনগর বাছড়া এলাকা থেকে টানা তিনবার নির্বাচিত হন তিনি। কর্মাধ্যক্ষ থেকে সহকারী সভাধিপতি, একাধিক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সামলেছেন শাহনাজ।যদিও আপাতত অন্য কোনও দলে যোগ দেওয়ার ইঙ্গিত দেননি তিনি। তবে পদ ছাড়লেও এলাকার মানুষের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন। এই বিস্ফোরক ইস্তফা মুর্শিদাবাদের রাজনীতিতে কী প্রভাব ফেলে, এখন সেটাই দেখার।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal