• ৩ আষাঢ় ১৪৩২, বৃহস্পতি ১৯ জুন ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Purba Bardhaman

রাজ্য

পুলিসি তৎপরতায় বোমা ও আগ্নেআস্ত্র উদ্ধার অব্যহত পূর্ব বর্ধমানে

মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পর থেকে পূর্ব বর্ধমান জেলায় অব্যাহত রয়েছে বোমা,গুলি ও আগ্নেআস্ত্র উদ্ধারের ঘটনা। সোমবারের পর মঙ্গলবারও জার ভর্তি বোমা বোমা উদ্ধার হল জেলার গলসি ও রায়না থানা এলাকায়। একই দিনে আগ্নেআস্ত্র ও কার্তুজ সহ এক দুস্কৃতিকে গ্রেপ্তার করেছে খণ্ডঘোষ থানার পুলিশ। অস্ত্রসস্ত্র ও বোমা উদ্ধার অভিযান জারি থাকবে বলে জেলার পুলিশ কর্তারা জানিয়ে দিয়েছেন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার রাতে গলসি ১ ব্লকের করকডাল ও শিড়রাই গ্রামের পশ্চিম পাড়া থেকে উদ্ধার হয়েছে জার ভর্তি বেশ কিছু বোমা । তার পর থেকে পুলিশ ওই দুই জায়গা ঘিরে রেখে বোম ডিসপোজাল স্কোয়াডে খবর দেয়। মঙ্গলবার বোম ডিসপোজাল স্কোয়াড দুই জায়গা থেকে বোমা গুলি উদ্ধার করে নির্জন জায়গায় নিয়েগিয়ে নিস্কৃয় করে। কারা এলাকায় বোমা জড়ো করেছিল তার তদন্ত গলসি থানার পুলিশ শুরু করেছে। রায়না থানার পুলিশও এদিন হিজলনা অঞ্চলের ফুলবাড়ি এলাকার একটি ঝোপ থেকে জারে ভর্তি বোমা উদ্ধার করেছে। পুলিশের দাবি কয়েকদিন ধরে পুলিশ হিজলনা অঞ্চলে রুটমার্চ করে। তাতেই ভীত হয়ে কোন দুস্কৃতি দলের কেউ রাতের অন্ধকারে জার ভর্তি বোমা ঝোপে লুকিয়ে রেখে পালিয়ে থাকতে পারে। এরই পাশাপাশি খণ্ডঘোষ থানার পুলিশ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বীচখাঁড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে শ্রীমন্ত ঘাঁটি নামে এক দুস্কৃতিকে ধরে। পুলিশের দাবী তল্লাশীতে ধৃতের কাছথেকে একটি আগ্নেআস্ত্র ও একটি কার্তুজ উদ্ধার হয়েছে। তদন্তের প্রয়োজনে পুলিশ ধৃতকে এদিনই বর্ধমান আদালতে পেশ করে নিজেদের হেপাজতে নিয়েছে।

মার্চ ২৯, ২০২২
রাজ্য

রান্নার গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে মাথায় উনান আর কাঁধে জ্বালানি কাঠ নিয়ে তৃণমূলের অভিনব প্রতিবাদ

দরিদ্র পরিবারের মহিলাদের মুখে হাসি ফুটবে বলে জানিয়ে কেন্দ্রের সরকার ঘটাকরে চালু করেছিল উজ্জ্বলা গ্যাস যোজনা। সেই এলপিজি গ্যাসের সিলিণ্ডার প্রতি দাম এখন ১০০০ টাকা ছুঁয়েছে। আর তার কারণেই গ্রাম গঞ্জের দরিদ্র পরিবারের মহিলারা এখন এলপিজি গ্যাস ছেড়ে ফের অপরিস্কার জ্বালানি ব্যবহারেই ফিরে এসেছে। কেন্দ্রের মোদী সরকারের এই ব্যর্থতা জনসমক্ষে তুলে ধরতে হাতে উনান ও কাঁধে জ্বালানি কাঠ নিয়ে তৃণমূলের মিছিলে হাঁটলেন মহিলারা। কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরোধীতায় মঙ্গলবার এমন অভিনব প্রতিবাদ মিছিলের আয়োজন করে পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস। বিজেপি নেতৃত্ব যদিও তৃণমূলের এমন মিছিলের আয়োজনকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি। তাঁদের বক্তব্য, এমন মিছিল থেকেই পরিস্কার হয়ে যাচ্ছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প বাস্তবে গৃহিণীদের দুর্গতি ঘোচাতে পারে নি।দলীয় ঘোষণা অনুযায়ী এদিন পেট্রোল, ডিজেল, রান্নার গ্যাস ও ওষুধের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে রাজ্য জুড়ে পথে নামে তৃণমূল যুব কংগ্রেসের কর্মীরা। প্রতিবাদ থেকে পিছিয়ে থাকেনি জামালপুর ব্লক তৃণমূল যুব কংগ্রেসের নেতা ও কর্মীরাও। জামালপুর ব্লক তৃণমূল যুব যুব কংগ্রেসের সভাপতি ভূতনাথ মালিকের নেতৃত্বে এদিন জামালপুর পুলমাথা এলাকা থেকে শুরু হয় প্রতিবাদ মিছিল। প্রায় দেড় কিমি পথ পরিক্রমা করে প্রতিবাদ মিছিল শেষ হয় হরেকৃষ্ণ কোঙার সেতুর কাছে। মিছিলে জামালপুরের বিধায়ক তথা পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি অলোক মাঝি, ব্লক তৃণমূল সভাপতি মেহেমুদ খাঁন সহ অন্য নেতারা অংশ নেন।প্রতিবাদ মিছিলের একেবারে প্রথম সারিতে থাকেন তৃণমূল সমর্থক গৃহস্থ পরিবারের মহিলারা। তাঁদের অনেকে মাথায় উনান ও কাঁধে জ্বালানি কাঠের বোঝা নিয়ে মিছিলে হাঁটেন। রাজনৈতিক দলের মিছিলে উনান ও জ্বালানি কাঠের বোঝা নিয়ে হাঁটার কারণ প্রসঙ্গে রুপা দাস ও সন্ধ্যারাণী ল্যাঙ্কা বলেন, আমরা দরিদ্র শ্রমজীবী পরিবারের বধূ। উনানে কাঠ কুটো দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে আগে পরিবারে রান্নাবান্না হত।মোদী সরকারের কথায় বিশ্বাস করে এলপিজি গ্যাসের কানেকশান নিয়েছিলেন। তার পর করোনা অতিমারির প্রভাবের জন্য দীর্ঘ সময় ধরে লকডাউন জারি থাকে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও আমাদের মত দরিদ্র পরিবার গুলির সদস্যদের আর্থিক রোজগার বাড়ে নি। বরং কমেছে। কিন্তু এসবের কোনকিছুরই খোঁজ খবর না রেখে এলপিজি গ্যাসের সিলিণ্ডার প্রতি দাম এখন প্রায় ১০০০ টাকার মত করে দিয়েছে। এত দামে গ্যাস সিলিণ্ডার কিনে আর বাড়িতে রান্নাবান্না করা সম্ভব হচ্ছে না। তাই খালি গ্যাস সিলিণ্ডার ও ওভেন বাড়ির চৌকির নিচে রেখে দিয়ে এখন ফের আগের মতই কাঠের উনানে রান্না করছেন। তাই মোদী সরকারের এমন কীর্তি জনসমক্ষে তুলে ধরতেই এদিন মাথায় উনান ও কাঁধে জ্বালানি কাঠ নিয়ে হেঁঠেছেন বলে রুপা দাস ও সন্ধ্যারাণী ল্যাঙ্কা মন্তব্য করেন।বিধায়ক অলোক মাঝি বলেন, ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে যাঁরা বিজেপিকে ভোট দিয়েছিলেন তাঁরা এখন হাড়ে হাড়ে বুঝতে পারছেন কি ভুল তাঁরা করেছেন। এদিনের প্রতিবাদ মিছিলে সেই ভুলেরই প্রকাশ ধরা পড়েছে সাধারণ গৃহস্থ পরিবারের মহিলাদের মাথায় উনান ও কাঁধে জ্বালনি কাঠ নিয়ে হাঁটায় মধ্য দিয়ে। ব্লক তৃণমূল যুব সভাপতি ভূতনাথ মালিক জানান, শুধু রান্নার গ্যাসের দাম বাড়ানোই নয়। পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন শেষ হতেই কেন্দ্রের মোদী সরকার পেট্রোল, ডিজেল এমনকি জীবনদায়ী ওষুদের দামও বহুগুন বাড়িয়ে দিয়েছেন। এর বিজেপি নেতারা সবার বিকাশের বুলি আওড়ে রাজ্যের তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধাচরণ করে যাচ্ছে। এর প্রতিবাদে স্বরুপ এখন গ্রামের মহিলারা উনান ও জ্বালানি কাঠ নিয়ে পথে নামছে। আগামী দিনে এই মহিলারাই ভোটের বাক্সে বিজেপিকে যোগ্য জবাব দিয়ে দেবে।

মার্চ ২৯, ২০২২
রাজ্য

রবিবার গভীর রাতে পূর্ব বর্ধমানের জঙ্গলে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড

জঙ্গলে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলো পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের আদুরিয়ায়। আগুনে ঝলসে গেল হেক্টরের পর হেক্টর বনভূমি। তবে বন্যপ্রাণ সুরক্ষিত রয়েছে বলেই দাবি বনবিভাগের। রবিবার গভীররাতে আউশগ্রামের অমরপুর অঞ্চলের আদুরিয়া বনবিভাগের অর্ন্তরগত হেদোগড়ে ও ফাঁড়ি জঙ্গলে দাউদাউ করে আগুন জ্বলতে দেখেন বনকর্মীরা। সারারাত ধরে চলে আগুন নেভানোর প্রক্রিয়া। শেষমেষ একপ্রকার সোমবার সকালের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। অন্যদিকে আদুরিয়া জঙ্গলের পাশেই বিষ্ণুপুর মৌজার কাঁকসার বনভূমিতে একইভাবে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।মঙ্গলবার সকালে দমকলের একটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে গিয়ে সেখানে আগুন নিয়ন্ত্রণ করে। বনবিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে, কতটা বনভূমি অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে গিয়েছে এদিন সকাল থেকে তার পরিমাপ জাচাই করা হয়। তাছাড়া বন্যপ্রাণের কোন ক্ষতি হয়েছে কিনা সেদিকেও তীক্ষ্ণ নজর ছিল। উপস্থিত ছিলেন পূর্ব বর্ধমানের অতিরিক্ত বনাধিকারিক সোমনাথ চৌধুরী, পানাগড়ের রেঞ্জার সুভাষ পাল সহ অনান্যরা।তবে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বন দপ্তরের গাফিলতির অভিযোগ তুলেছে স্থানীয় একটি সংস্থা। তাদের তরফে প্রশাসনের বিভিন্ন মহলে এনিয়ে অভিযোগ জানানো হয়েছে বলেই দাবি সংগঠনের। যদিও কোনরকম গাফিলতি করা হয়নি বলেই জানিয়েছেন বর্ধমানের বনাধিকারিক নিশা গোস্বামী। তিনি জানান, বনভূমিকে রক্ষা করতে সবসময় নজর রাখা হয়। মাঝেমধ্যেই চালানো হয় জোরদার প্রচার। কিন্তু তারপরেও এমন অগ্নিকাণ্ড দুর্ভাগ্যজনক।

মার্চ ২৯, ২০২২
রাজ্য

বর্ধমান উন্নয়ন সংস্থার ভাইস চেয়ারম্যান পদে আইনুল হক

বর্ধমান উন্নয়ন সংস্থার ভাইস চেয়ারম্যান হিসাবে নিযুক্ত হলেন আইনুল হক। এদিন বর্ধমান উন্নয়ন সংস্থার দফতরে চেয়ারপার্সন কাকলি তা গুপ্ত আইনুল হকের হাতে পুষ্পস্তবক তুলে দিয়ে স্বাগত জানান। এর আগে বর্ধমান পুরসভার প্রশাসনিক পদে ছিলেন তিনি। তার আগে ছিলেন বর্ধমান পুরসভার চেয়ারম্যানও।বর্ধমান দক্ষিণের প্রাক্তন বিধায়ক তথা প্রাক্তন মন্ত্রী রবীরঞ্জন চট্টোপাধ্যায় প্রয়াত হওয়ার পর বর্ধমান উন্নয়ন সংস্থা তথা বিডিএ-র চেয়ারম্যান পদটি ফাকা ছিল। পরে কাকলি গুপ্তাকে চেয়ারম্যান করা হয়। এবার আইনুল হককে ভাইস চেয়ারম্য়ান করা হল। বর্ধমানবাসী মনে করছে, চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানের উদ্যোগে বর্ধমানে এবার প্রকৃত উন্নয়ন হবে।

মার্চ ২৯, ২০২২
বিনোদুনিয়া

পূর্ব বর্ধমানে মহা সমারোহে পালিত হল বিশ্ব নাট্যদিবস

২৭শে মার্চ রবিবার বিশ্ব নাট্যদিবস। এই উপলক্ষে পূর্ব-বর্ধমান জেলার ভাতাড়ের প্রচেষ্টা নাট্যসংস্থা ও নটরাজ মিউজিক কলেজের পক্ষ থেকে যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে তা প্রশংসনীয়। নাটক জীবন ও সমাজের দর্পণ। নাটকের মাধ্যমে সমাজকে জাগ্রত করা যায় তা আমরা ব্রিটিশ শাসিত ভারতের সময় থেকেই দেখে এসেছি। এখন এই সময়কালে ছোট থেকে বড়ো সকলে যখন মোবাইলে আকৃষ্ট তখন ভাতাড়ের মত একটা ছোট্ট জায়গায় অনেক অসুবিধা অনেক রকম সমস্যা থাকা সত্ত্বেও প্রচেষ্টা যে নিজের চেষ্টা জারি রেখেছে তা অতুলনীয়। আজ সন্ধ্যায় প্রচেষ্টার পক্ষ থেকে তিনটি নাটকের অংশ অভিনীত হয়েছে -- নিরূপ মিত্রের পাওনা গন্ডা; মনোজ মিত্রের-- টাপুর টুপুর আর চন্দন সেনের অনুবীক্ষণ। শুধুমাত্র নাটক মঞ্চস্থ করা নয় একটা ছোট আলোচনা সভার আয়োজন ও করা হয় নাটকের শেষে। যেখানে আমন্ত্রিত অতিথিরা এবং দর্শক নিজেদের মতামত জানাতে পেরেছেন। এই উদ্যোগ যেমন নাট্য শিল্পকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করবে। তার সঙ্গে আগামী প্রজন্মকে নাটক বিষয় আগ্রহী করে তুলবে। আর শহরের বড়ো বড়ো মঞ্চ থেকে দূরে থাকা নাট্য পিপাসু দের পিপাসা মেটাবে। এই সংস্থার সভাপতি শ্রী প্রসেনজিৎ ব্যানার্জী মহাশয় ও সম্পাদক শ্রী ধীমান ভট্টাচার্য মহাশয়ের ঐকান্তিক চেষ্টা ও পরিশ্রম এগিয়ে নিয়ে চলেছে এই অঞ্চলের নাট্য চর্চাকে। আগামী দিনে ওনাদের আগামী প্রজন্ম নাট্য শিল্প জানবে ও নাট্যচর্চা শিখবে এই আশা রাখি।

মার্চ ২৭, ২০২২
রাজ্য

দ্বিতীয় 'বগটুই' হতে যাওয়ার আগে রুখে দিল কাটোয়া থানার পুলিশ- অস্ত্রসস্ত্র সহ গ্রেপ্তার ৩ দুস্কৃতি

বিরোধী পক্ষের হাত থেকে খাসজমির দখল ছিনিয়ে নেওয়ার জন্য বিপুল অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে অপেক্ষা করছিল দুস্কৃতি দল। তাঁদের পরিকল্পনা ছিল শনিবার গভীর রাতে পূর্ব বর্ধমানের শ্রীবাটি গ্রামে গিয়ে বিরোধী পক্ষের উপর হামলা চালানো। আর তেমনটা হলে হয়তো দ্বিতীয় বগটুই এর মত ঘটনা ঘটে যেতে পারতো। কিন্তু তা আর হতে দেয়নি কাটোয়া থানার পুলিশ। রাতেই অভিযান চালিয়ে কাটোয়া থানার পুলিশ অস্ত্রসস্ত্র সহ তিন দুস্কৃতিকে ধরে ফেলে। দুই দুস্কৃতি পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও দুস্কৃতি দলের সমস্ত পরিকল্পনা ভেস্তে দিতে পেরে আপাত স্বস্তিতে কাটোয়া থানার পুলিশ।পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম জামীর আলি মণ্ডল, বজরুল শেখ ওরফে কালো শেখ এবং সইদুল শেখ ওরফে ফুটো। ধৃতদের সকলের বাড়ি শ্রীবাটি গ্রামেই। পুলিশের দাবী ধৃতদের মজুত করা ৪ টি রাইফেল, ২৪ রাউন্ড রাইফেলের গুলি, একটি পিস্তল ও ২ রাউন্ড পিস্তলের গুলি এবং ১৬ টি সকেট বোমা উদ্ধার হয়েছে। দুস্কৃতিদের এত বিপুল অস্ত্র ভান্ডার দেখে চোখ কার্যত কপালে উঠে যায় পুলিশ কর্তাদের। সুনির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ তিন ধৃতকেই রবিবার পেশ করে কাটোয়া মহকুমা আদালতে। আরও আগ্নেআস্ত্র উদ্ধার ও পলাতক দুস্কূতিদের নাগাল পেতে তদন্তকারী অফিসার এদিন ধৃতদের ১২ দিন নিজেদের হেপাজতে নেওয়ার জন্য আদালতে আবেদন জানান। বিচারক সেই আবেদন মঞ্জুর করেছেন। হেপাজতে নেওয়া দুস্কৃতিদের জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে অস্ত্রসস্ত্রের উৎসের সন্ধান চালাচ্ছে।এছাড়াও দুস্কৃতিরা আর কোথাও অস্ত্র মজুত করে রেখেছে কিনা সেই বিষয়েও পুলিশ খোঁজ খবর নিচ্ছে ।উদ্ধার হওয়া শকেট বোমা নিস্কৃয় করার জন্য কাটোয়া থানার পুলিশ বোম ডিসপোজাল স্কোয়াডে খবর দিয়েছে।কাটোয়া থানার এক পুলিশ অফিসার জানান গ্রেপ্তারের পর ধৃতদের জিজ্ঞাবাদ চালানো হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, শ্রীবাটি গ্রামের একটি খাস জমি নিয়ে বজরুল শেখ এর সঙ্গে ওই গ্রামেরই অন্য আর একটি গোষ্ঠীর মধ্যে বেশ কিছুদিন ধরে বিবাদ চলছে। বিবাদের কোন নিস্পত্তি হয় নি। তার কারণে বজরুল শেখ তাঁর বিরোধী পক্ষের উপরে প্রাণঘাতী হামলা চালানোর পরিকল্পনা চুড়ান্থ করে ফেলে। পরিকল্পনা মাফিক হামলার আগে বোমা, বন্দুক সহ অন্য আরো অস্ত্রসস্ত্র আগে থেকেই জোগাড় করে রাখা হয়েছিল। শনিবার রাতে বিরোধী পক্ষের উপর হামলার চালানোর চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত বজরুল নিয়ে ফেলেছিল। শনিবার গভীর রাতে তাঁরা গ্রামের এক জায়গায় অস্ত্রসস্ত্র হামলা চালানোর জন্য অপেক্ষা করছিল বজরুল শেখ ও তাঁর দলবল। কাটোয়া থানার পুলিশ গোপন সূত্রে সেই খবর পেয়ে গিয়ে অভিযান চালানোয় সব পরিকল্পনা ভেস্তে যায় বলে ধৃত দুস্কৃতিরা জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ কে জানিয়েছে।

মার্চ ২৭, ২০২২
রাজ্য

গোয়ালঘরের পাশে বোমা ফেটে আহত এক, আতঙ্ক বর্ধমানে

বাড়ির কাজ করার সময় গোয়াল ঘরের পাশে পরে থাকা বোমা ফেটে আহত হল এক ব্যক্তি। বর্ধমান শহরের বাহির সর্বমঙ্গলা পাড়ার ঘটনা। আহত ব্যক্তির নাম অসীম বিশ্বাস। রবিবার সকালে অসীম বাবু তার বাড়ির বাইরে থাকা গোয়াল ঘর ও গোয়াল ঘর সংলগ্ন এলাকা পরিস্কার করছিলেন। সেই সময় হঠাৎই বোমা ফাটে। বোমার আঘাতে আহত হন অসীম বাবু। তড়িঘড়ি তাঁকে চিকিৎসার জন্য বর্ধমান হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আতঙ্কের পরিবেশ শৃষ্টি হয়েছে এলাকায়। ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছেছে বর্ধমান থানার পুলিশ। পুরো জায়গাটিকে ঘিরে রাখা হয়েছে। আশেপাশে আরও বোমা রয়েছে কিনা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এসে পৌঁছেছে ডি আই বি বোম স্কায়াডের সদস্যরাও। স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, যে জায়গায় বোমা ফেটেছে সেই জায়গায় ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা বিকালে খেলা করতে যেত। এই ঘটনা যদি বিকালে ঘটতো তা হলে প্রাণহানী হতে পারতো বলে আশঙ্কা স্থানীয়দের। তাদের দাবি, এলাকায় পুলিশি টহলদারি বাড়াতে হবে। উল্লেখ্য, বছর খানেক আগে ঘটনাস্থল থেকে ১০০ মিটারের মধ্যে রসিকপুর এলাকায় বোমা ফেটে এক শিশুর মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছিল।বর্ধমানের রসিকপুরে বিস্ফোরণে মৃত্যু হয় এক শিশু। বোম বিস্ফোরণে এক শিশুর মৃত্যু হয়, জখম হয় আর এক শিশু। এই ঘটনায় গোটা এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়। তারপর একটা বছর কেটে গেছে। অপরাধীরা ধরা পড়েনি।

মার্চ ২৭, ২০২২
রাজ্য

ওয়াকফ সম্পত্তি বিক্রীতে বাধা হয়ে দাঁড়ানোই, বাড়িতে বোমা মজুতের অভিযোগে গ্রেপ্তার চাষি-গ্রেপ্তারি নিয়ে ধোঁয়াসা

ওয়াকফ সম্পত্তিতে থাবা বসাতে চাওয়া প্রোমোটারদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সরব হওয়া চাষির বাড়ির ছাদ থেকে উদ্ধার হল বোমা। রহস্যজনক সেই বোমা উদ্ধারের ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ গ্রেপ্তার করলো ওই বাড়ির মালিক তথা চাষি ফিরোজউদ্দিন মল্লিককে। বর্ধমান থানার কৃষ্ণপুর পশ্চিমপাড়ার এই ঘটনা এলাকাবাসী মহলে তুমুল চাঞ্চল্য ফেলে দিয়েছে। বোম ডিসপোজাল স্কোয়াড উদ্ধার হওয়া বোমা গুলি এদিন বিকালে নিস্কৃয় করে। যদিও এলাকাবাসী ও ফিরোজউদ্দিনের পরিবার সদস্যরা দাবী করছেন, ওয়াকফ সম্পত্তি বিক্রী আটকানোর জন্যই প্রমোটার ও জমি দালালরা চক্রান্ত করেই এই ঘটনা ঘটিয়েছে। ঘটনার নিন্দায় সরব হয়েছেন এলাকাবাসী।বর্ধমানের কেষ্টপুর গ্রামের এক প্রান্তে বাড়ি পেশায় চাষি ফিরোজউদ্দিন মল্লিকের। স্ত্রী ও ছেলেকে নিয়ে তিনি ওই বাড়িতেই থাকেন। ফিরোজউদ্দিনের ছেলে ইব্রাহিম মল্লিক এদিন বলেন,শুক্রবার অনেকটা রাতে তাঁদের বাড়িতে পুলিশ আসে। পুলিশ তাঁদের ঘুম থেকে তোলে। ঈব্রাহিম জানায় কি কারণে গভীর রাতে পুলিশ তাঁদের বাড়িতে তা সে জানতে চায়। তখন পুলিশের একজন তাঁকে চড় মেরে বলে, তাঁদের বাড়িতে বোমা রাখা আছে। ফিরোজউদ্দিনের স্ত্রী সাকিলা বানু অভিযোগে বলেন,মধ্য রাতে তাঁদের বাড়িতে পুলিশ ঢুকে হুমকি দেয়। বাড়িতে থাকা অন্য মহিলাদেরও পুলিশ ধমকায়। সাকিলা বিবি দাবী করেন, তাঁদের পরিবার চাষবাস করে জীবিকা নির্বাহ করে। পরিবারের কেউ রাজনীতিও করে না। চক্রান্ত করে কেউ ব্যাগে ৪টি বোমা ভরে নিয়ে এসে তাঁদের বাড়ির বাথরুমের ছাদে রেখে দিয়ে গিয়ে পুলিশকে ফোন করেছে। তাঁরা নির্দোশ বলে জানান সাকিলা বিবি।পুলিশ যদিও ফিরোজউদ্দিণের পরিবাবার সদস্যদের এইসব বক্তব্যকে কোন গুরুত্ব দেয় নি। বর্ধমান থানার সাব-ইন্সপেক্টর সঞ্জয় মণ্ডলের অভিযোগের ভিত্তিতে বাড়িতে বোমা মজুত রাখার অভিযোগে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করে পুলিশ ফিরোজউদ্দিন মল্লিককে গ্রেপ্তার করে। পুলিশ দাবি করেছে, ধৃত ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরে বোমার কারবারে সঙ্গে জড়িত। তাঁর সঙ্গে আরও কয়েকজন এই কারবারে জড়িত রয়েছে। এদিনই ধৃত ফিরোজউদ্দিন কে পেশ করা হয় বর্ধমান আদালতে। আরও বোমা উদ্ধার ও ঘটনায় জড়িত বাকিদের হদিশ পেতে তদন্তকারী অফিসার এদিন ধৃতকে ৫ দিন পুলিশি হেপাজতে নেবার জন্য আদালতে আবেদন জানায়। ধৃতের আইনজীবী অবশ্য মিথ্য মামলায় ফাঁসানোর হয়েছে বলে জানিয়ে পুলিশি হেপাজতের বিরোধীতা করেন। দুই পক্ষের সওয়াল শুনে সিজেএম ধৃতকে ৪ দিন পুলিশি হেপাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।এই ঘটনা কার্যতই হতবাক করে দিয়েছে এলাকাবাসীকে। তাঁরা দাবী করেছেন, ফিরোজউদ্দিনের পরিবারটি সাতেপাঁচে থাকে না। প্রতিবেশী সোনেহারা বিবি ও সালমা বেগম বলেন, এই ঘটনার নিয়ে আমরা শুধু আতঙ্কিতই নই, বিস্মিতও হয়েছি। কারণ, ফিরোজউদ্দিনের পরিবার চাষবাস নিয়েই থাকে। এরকম কিছুতে ওদের জড়িত থাকাটা কোন ভাবেই বিশ্বাসযোগ্য নয়। এলাকাসূত্রে এও জানা গিয়েছে ,একটি ওয়াকফ সম্পত্তি প্রমোটারদের বিক্রিতে বাঁধা দিয়েছিলেন ফিরোজউদ্দিন ও তাঁর পরিবার সদস্যরা। এলাকাবাসীর ধারণা, তার কারণেই প্রোমোটার ও জমির দালালরা ফিরোজ উদ্দিনের পরিবারকে ফাঁসাতে এমন ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারে। প্রকৃত অপরাধীদের খুঁজে বার করার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

মার্চ ২৭, ২০২২
রাজ্য

চরম অমানবিক, নাবালিকা মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার বাবা

বাবার যৌন অত্যাচারের জেরে অন্তঃসত্বা হয়ে পড়লো নাবালিকা মেয়ে। এমনটা জেনে হয়তো অনেকেই হতবাক হবেন। কিন্তু বাস্তবেই হতবাক করে দেওয়ার মত এমন ঘটনা ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের কালনায়। দিনের পর দিন ধর্ষণ করে নিজের নাবালিকা মেয়েকে অন্তঃসত্বা করে দেওয়ার অভিযোগে কুলাঙ্গার বাবাকে গ্রেপ্তার করেছে কালনা থানার পুলিশ। সুননির্দিষ্ট ধরায় মামলা রুজু করে পুলিশ শনিবার ধৃতকে পেশ করে কালনা মহকুমা আদালতে। নির্যাতিতা নাবালিকাকেও এদিন মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। বিচারক ধৃত অভিযুক্তকে জেল হেফাজত ও তার মেয়েকে হোমে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। নাবালিকার বাবার দৃষ্টান্তমূলক সাজার দাবী করেছেন এলাকাবাসী। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কালনায় বাড়ি বছর পনোরো বয়সী নাবালিকার। কালনা থানার পুলিশের কাছে সে অভিযোগে জানিয়েছে, তাঁর বাবা গত দু-বছর ধরে তাঁকে ধর্ষণ করেছে। তাঁর মা বাইরে কাজে চলে গেলেই তাঁর বাবা তাঁকে জোর করে ধর্ষণ করতো। তাঁর বাবা শুধু তাঁকে ধর্ষণ করেই খান্ত থাকেনি। হুমকি দিয়েছিল, তার কু-কীর্তির কথা কাউকে জানালে সে তাঁকে প্রাণে মেরে দেবে। সেই হুমকিতে ভীত হয়ে এতদিন কাউকে কিছু জানাতে পারেনি বলে নাবালিকা পুলিশকে জানায়। নাবালিকা পুলিশকে এও জানায়, দিনের পর দিন নিজের বাবার যৌন আত্যাচারের শিকার হতে হওয়ায় সম্প্রতি তাঁর শারীরিক অবস্থা খারাপ হয়। ডাক্তারের কাছে গিয়ে নাবালিকা জানতে পারে সে অন্তঃসত্বা হয়ে পড়েছে। এরপরেই নাবালিকা কালনা থানার পুলিশের দ্বারস্থ হয়। সে পুলিশের কাছে নিজের বাবার অভিযোগ দায়ের করে। তার ভিত্তিতে ধর্ষনের মামলা রুজু করে তদন্তে নেমে পুলিশ নাবালিকার বাবাকে গ্রেপ্তার করে। এই ঘটনা স্থানীয় বাসিন্দা মহলেও তোলপাড় ফেলে দিয়েছে।

মার্চ ২৬, ২০২২
রাজ্য

মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর রহস্যজনক মৃত্যু, অভিযোগের আঙুল উঠলো বন্ধুর দিকে

বিয়ে বাড়িতে গিয়ে রহস্যজনক ভাবে মৃত্যু হল এক মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর। যা নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বর্ধমানে। মৃত ছাত্রের নাম শেখ জিৎ (১৬)। বর্ধমানের সড়াইটিকর মন্সিপাড়ার এই ছাত্র এবছর বর্ধমান হাই মাদ্রাসা থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছে।শনিবার সকালে এলাকার একটি গাছে ঝুলন্ত অবস্তায় তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার হয়। যদিও হাঁটু ভাঁজ করা অবস্তায় ছাত্রের পা মাটিতে ঠেঁকেছিল। খবর পেয়ে বর্ধমান থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে ছাত্রের মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। ছাত্র জিৎ আত্নহত্যা করেছে বলে মানতে চাননি তাঁর পরিবার। জিৎকে খুন করে দেহ ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে তাঁর পরিবার। ছাত্রেয় মৃত্যুর প্রকৃত কারণ কি তার তদন্ত পুলিশ শুরু করেছে।পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ছাত্র শেখ জিৎ শুক্রবার তাঁদের পাড়ারই একটি বিয়ে বাড়িতে যায়।সেখানে সবার সঙ্গে সে নাচ-গান করে। বন্ধু শেখ শরিফের বাড়িতে রাতে ঘুমাতে যচ্ছে বলে বলে জিৎ তাঁর বাড়ির লোকজনকে জানায়। জিতের বাবা শেখ আল্লারাখা এদিন পুলিশকে অভিযোগে জানান, তাঁর ছেলে শুক্রবার পাড়ার একটি বিয়ে বাড়িতে যাবার সময় বলে যায় বাড়িতে আনন্দ করবো। রাতে বাড়িতে ফিরবো না। বন্ধু শেখ শরিফের বাড়িতে ঘুমাবো বলেও সে জানিয়ে যায়। এরপরই এদিন সকালে বাড়ির অদূরেএকটি গাছে ঝুলে থাকা অবস্থায় ছেলের দেহ উদ্ধার হয়৷ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাঁরা দেখেন ছেলের দেহ গাছে ঝুললেও হাঁটু ভাঁজ করা অবস্তায় তাঁর পা মাটিতে ঠেকে আছে।শেখ আল্লারাখা বলেন, পুলিশ ঘটনা বিষয়ে শরিফকে জিজ্ঞাসা করলে সে জানায় রাত বারোটার সময় সে জিৎকে ঘর থেকে বার করে দিয়েছে। ঘর থেকে বের করে দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে শরিফ জানায়, তাঁর ঘুম পেলেই জিৎ উঠে পালিয়ে যাচ্ছিল। তাই সে জিৎকে ঘর থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে। এই ঘটনার কথা জিতের বাড়িতে জানালে যদি বকাবকি করে তাই কাউকে কিছু জানায় নি বলে শরিফ বলে। ছেলের বন্ধুর এমন বক্তব্য রহস্যজনক ঠেকায় শেখ আল্লারাখা পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন, তাঁর ছেলেকে খুন করে দেহ ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। ঘটনার যথোপযুক্ত তদন্ত করে দোষীদের শাস্তির দাবি করেছেন তিনি।তদন্তে নেমে পুলিশ ছাত্রের মৃতদেহের ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে। জানা গিয়েছে, ময়নাতদন্তের রিপোর্টের ভিত্তিতেই পুলিশ পরবর্তী পদক্ষেপ নির্ধারণ করবে।

মার্চ ২৬, ২০২২
রাজ্য

বর্ধমানের কেষ্টপুর থেকে উদ্ধার হওয়া বোমা রাখা নিয়ে প্রশ্ন অভিযুক্তের পরিবারের

পূর্ব বর্ধমানের কেষ্টপুর গ্রাম থেকে বোমা উদ্ধারে চাঞ্চল্য ছড়াল। এই ঘটনায় পুলিশ ফিরোজউদ্দিন মল্লিক নামে এক গ্রামবাসীকে আটক করেছে। তাঁর পুত্রকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। এদিকে এলাকাবাসীর দাবি, ওই পরিবারটি কারও সাতেপাঁচে থাকে না। পুত্র ইব্রাহিম মল্লিকের দাবি, বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশ এসে তাঁকে ঘুম থেকে তোলে। তাঁকে চড় মারা হয়। তারপর বলা হয় বাড়িতে বোম রাখা আছে। তাঁর মা সাকিলা বানুর দাবি, মধ্যরাতে পুলিশ এসে হুমকি দেয়। মেয়েদের ধমকায়। তাঁর দাবি, কেউ বোমা রেখেই পুলিশকে খবর দিয়েছে। তাঁরা এসবে জড়িত নন।এলাকার বাসিন্দা সোনেহারা বিবি, সালমা বেগমরা একদিকে আতঙ্কিত অন্যদিকে বিস্মিত। তাঁরা জানান, এই পরিবারটি চাষবাস নিয়ে থাকে। এরকম কিছুতে তাঁরা জড়িত থাকা কার্যত অসম্ভব। এলাকা সূত্রে জানা গিয়েছে, একটি ওয়াকফের সম্পত্তি বিক্রিতে বাঁধা দেন এই পরিবারের সদস্যরা। এলাকাবাসীর ধারণা, প্রোমোটাররা সেকারণেই এইরকম কারসাজি করে থাকতে পারে। পূর্ব বর্ধমানের পুলিশ সুপার কামনাশিষ সেন জানিয়েছেন, এটা নিয়ে একটি কেস করা হবে। এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। তদন্ত চলছে।

মার্চ ২৬, ২০২২
রাজ্য

মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পর সক্রিয় পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশ, উদ্ধার আগ্নেআস্ত্র ও গাঁজা, গ্রেপ্তার ১১ দুস্কৃতী

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বৃহস্পতিবার বেআইনি বোমা, গুলি ও আগ্নেআস্ত্র উদ্ধারের জন্য রাজ্য পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছিলেন। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ পেয়েই রাজ্য জুড়ে শুরু হয় পুলিশি অভিযান। অভিযান চালানো থেকে পিছিয়ে থাকেনি পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশও। জেলার বর্ধমান থানার পুলিশের অভিযানে আগ্নেআস্ত্র ও কার্তুজ সহ ধরা পড়েছে ভিন রাজ্যের দুই দুস্কৃতী। পুলিশ জানিয়েছে , ধৃতদের নাম সঞ্জয় কুমার ও ভোলা কুমার। ধৃতরা বিহারের ঔরাঙ্গাবাদ এলাকার বাসিন্দা। পুলিলের দাবী, ধৃতদের কাছ থেকে দুটি ইম্প্রোভাইস পাইপগান ও দুই রাউণ্ড কার্তুজ উদ্ধার হয়েছে। অস্ত্র আইনে মামলা রুজু করে পুলিশ শুক্রবার দুই ধৃতকে পেশ করে বর্ধমান আদালতে। তদন্তের প্রয়োজনে তদন্তকারী অফিসার ধৃতদের ১২ দিন পুলিশি হেপাজতে নিতে চেয়ে আদালতে আবেদন জানান। সিজেএম ধৃতদের ৮ দিন পুলিশি হেপাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। জেলা পুলিশের ডিএসপি অতনু ঘোষাল জানিয়েছেন, শুক্রবার ভোর রাতে বর্ধমান শহরের খাগড়াগড় এলাকায় দুই ব্যক্তিকে উদ্দেশ্যহীন ভাবে ঘোরাঘুরি করছিলেন। সন্দেহ হওয়ায় টহলদারি পুলিশ তাদের পথ আটক।তল্লাশীতে তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয় দুটি ইম্প্রোভাইস পাইপগান ও দুই রাউণ্ড কার্তুজ। অতনু ঘোষাল বলেন ,জেরায় ধৃতরা কবুল করেছে, তারা বিহারের নাচ-গানের অনুষ্ঠানে নর্তকী নিয়ে যাওয়ার কাজ করে। কিন্তু তারা অস্ত্র নিয়ে কেন বর্ধমান এসেছিল সেই বিষয়টি নিয়ে পরিস্কার কিছু জানায় নি। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান ধৃতরা মহিলা পাচারের সঙ্গে যুক্ত। ধৃতদের নিজেদের হেপাজতে নিয়ে বর্ধমান থানাপ পুলিশ সেই রহস্যেরই কিনারা করতে চাইছে। বর্ধমানে আগ্নেআস্ত্র সহ দুই দুস্কৃতি ধরা পড়ার পাশাশাপি প্রচুর গাঁজা সহ ৪ গাঁজা কারবারী ধরা পড়েছে জেলার মন্তেশ্বর থানার পুলিশের অভিযানে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম সৈফুদ্দিন শেখ, মিঠু শেখ, তৈয়ব আলি শেখ ও রাজা সিং।ধৃতদের মধ্যে প্রথম তিনজনের বাড়ি বর্ধমানের দেওয়ানদিঘী থানার নাড়াগোহালিয়া এলাকায়। চতুর্থ ধৃতের বাড়ি বিহার রাজ্যে।পুলিশের দাবী ধৃতদের কাছ থেকে ৪১ কেজির বেশী গাঁজা উদ্ধার হয়েছে। শুক্রবার ধৃতদের পেশ করা হয় বর্ধমানের মাদক আদালতে। বিচারক ধৃতদের মধ্যে সৈফুদ্দিন শেখ ও মিঠু শেখকে ৬ দিনের পুলিশি হেফাজত ও বাকিদের জেল হেপাজতে পাটানোর নির্দেশ দিয়েছেন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ,চলতি বছরের শেষ দিকে এসটিএফ ও জেলার পূর্বস্থলী থানার পুলিশ যৌথ ভাবে অভিযান চালিয়ে ট্রাকভর্তি গাঁজা সহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করে। এই মামলার তদন্ত চালিয়ে পুলিশ জানতে পারে মণিপুর থেকে গাঁজা ভর্তি ট্রাকটি পূর্বস্থলীতে এসেছিল।এই ঘটনার পর দুমাস কাটতে না কাটতে শুক্রবার ভোর রাতে মন্তেশ্বর থানার পুলিশের অভিযানে ফের গাঁজা সহ চারজন গ্রেফতার হওয়ার ঘটনা পুলিশ কর্তাদের ভাবিয়ে তুলেছে। ধৃতরা কোথা গাঁজা জোগাড় করে কোথায় নিয়ে যাচ্ছিল তা পুলিশ খতিয়ে দেখছে। কালনা মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সপ্তর্ষি ভট্টাচার্য জানিয়েছেন ,গাঁজা সহ চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই গাঁজা কারবারী চক্রের জাল কতদূর বিস্তৃত তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে ।একই ভাবে কাটোয়া থানার পুলিশও রাতভর অভিয়ান চালিয়ে অস্ত্রসহ ৫ দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম রাহুল শেখ,নওসাদ শেখ, হাসিবুল শেখ,বুলেট হাজরা ও মিঠুন শেখ। ধৃতদের মধ্যে প্রথম দুজনের বাড়ি কাটোয়া মহকুমার কেতুগ্রাম থানার মূলগ্রাম এলাকায়। হাসিবুল কাটোয়ার কেশিয়া মাঠপাড়া এলাকা বাসিন্দা। বাকি দুজনের বাড়ি কাটোয়ার কোশিগ্রাম ও গাঙ্গুলিডাঙ্গা এলাকায়৷ পুলিশের দাবি, পৃথক অভিযানে ধরাপড়া দুস্কৃতিদের কাছ থেকে চারটি দেশি পিস্তল ও কার্তুজ উদ্ধার হয়েছে। সুনির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ শুক্রবার ধৃতদের পেশ করে কাটোয়া মহকুমা আদালতে। বিচারক বুলেট হাজরাকে ৫ দিনের পুলিশি ও বাকি ধৃতদের জেল হেপাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।

মার্চ ২৫, ২০২২
রাজ্য

প্রতিবাদীকে পিটিয়ে খুনে দুই অভিযুক্তের পুলিশ হেপাজত

অসামাজিক কাজের প্রতিবাদ করা ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে গ্রেপ্তার হল দুই অভিযুক্ত। ধৃতরা হলেন প্রশান্ত মহলাদার ও সোমনাথ মাজি। প্রশান্তর বাড়ি কাটোয়ার আখড়া গ্রামে। পাশের গ্রাম জগদানন্দপুরের বাসিন্দা আপর ধৃত সোমনাথের। কাটোয়ার নলহাটি গ্রামের পণ্ডিতপাড়ার মিহির পণ্ডিত (৪৫) কে পিটিয়ে খুনের আভিযোগে পুলিশ প্রশান্ত ও সোমনাথকে বৃহস্পতিবার রাতে গ্রেফতার করে। খুনের ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ দুই ধৃতকে শুক্রবার কাটোয়া মহকুমা আদালতে পের করে নিজেদের হেপাজতে নেওয়ার আবেদন জানায়। বিচারক ধৃতদের চার দিন পুলিশি হেপাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মিহির পণ্ডিতের স্ত্রী তিনবছর আগে মারা গিয়েছেন। তাঁর ছেলে তন্ময় কর্মসূত্রে বাইরে থাকে। মেয়ে মৌসুমীর বিয়ে হয়ে গিয়েছে। মিহিরবাবুরা তিন ভাই। ছোট ভাই শিবু পণ্ডিত লিখিত অভিযোগে পুলিশকে জানিয়েছেন, রাধাগোবিন্দ জিউয়ের পুজো উপলক্ষে বুধবার রাতে জগদানন্দপুর গ্রামে যাত্রানুষ্ঠান ছিল। তাঁর দাদা মিহির পণ্ডিত গ্রামের কয়েকজনের সঙ্গে যাত্রা দেখতে গিয়েছিলেন। সেখানে আখড়া গ্রামের প্রশান্ত মহলাদার ও জগদানন্দপুর গ্রামের সোমনাথ মাজির সঙ্গে একপ্রস্থ ঝামেলা হয় মিহিরের। যাত্রা দেখে রাত প্রায় আড়াইটের পর মিহিরবাবু বাড়ি ফিরছিলেন । শিবু পণ্ডিত অভিযোগ করেছেন ,তাঁর দাদা মিহির পণ্ডিত যাত্রা দেখে যখন বাড়ি ফিরছিলেন তখন প্রশান্ত ও সোমনাথ নির্মম ভাবে পিটিয়ে তাঁকে হত্যা করে।মিহির পণ্ডিতকে হত্যার কারণ প্রসঙ্গে শিবু পণ্ডিত বলেন, তাঁদের প্রতিবেশী পরিবারের স্বামী পরিত্যক্তা এক মহিলার বাড়িতে রাতের অন্ধকারে যেতেন প্রশান্ত ও সোমনাথ। তাঁরা শিবু পণ্ডিতের বাড়ির উঠান দিয়ে ওই মহিলার বাড়িতে যাতায়াত করতো। শিবু বলেন, রাতের বেলায় বাইরের লোকজনের বাড়ির উঠান দিয়ে যাতায়াত করা মেনে নিতে না পেরে আমি ও আমার দাদা মিহির প্রতিবাদ করেছিলান। তার বদলা নিতেই রাতের অন্ধকারে মিহিরকে একা পেয়ে সোমনাথ ও প্রশান্ত পিটিয়ে হত্যা করেছে। এই ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ ঘটনাস্থলের সিসিটিভির ফুটেজে সংগ্রহ করেছে। তাতেই ধরাও পড়েছে প্রশান্ত ও সোমনাথ রড ও লাঠি দিয়ে নৃশংস ভাবে পিটিয়ে মারছে মিহিরকে। পুলিশের দাবি, জেরায় ধৃত দুজনই মিহির পণ্ডিতকে পিটিয়ে খুনের কথা কবুল করেছে।

মার্চ ২৫, ২০২২
রাজ্য

কাশ্মীর ভ্রমণ অসম্পূর্ণ, কফিনবন্দি দেহ ফিরছে বর্ধমানের দুই পর্যটকের

কাশ্মীরে বেড়াতে গিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে মৃত্যু হল পূর্ব বর্ধমান জেলার দুই পর্যটকের। বৃহস্পতিবার বিকেলে দুর্ঘটনাটি ঘটে কাশ্মীরের গান্ডেরবাল জেলার কঙ্গন থানার গণ্ডুতে শ্রীনগর-লে এক্সপ্রেসওয়ের উপরে। দুর্ঘটনায় পর্যটকবাহী বাসে থাকা আরও প্রায় ২৫ জন পর্যটক জখম হয়েছেন। মৃতরা হলেন পূর্ব বর্ধমানের খণ্ডঘোষের তোড়কোনা গ্রামের মালতি কুণ্ডু (৫৫) ও গলসির ইরকোনা গ্রামের স্মৃতিকা হাজরা (৫২)। কাশ্মীরের গান্ডেরবাল জেলার পুলিশ সুপার নিখিল বরকর সংবাদ মাধ্যম কে জানিয়েছেন, দুর্ঘটনাস্থলে দুজন মারা গিয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে কয়েকজনকে চিকিৎসার জন্য শ্রীনগরের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে ঘটনাস্থলেই দুজন মারা গিয়েছেন। খণ্ডঘোষ ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১৩ মার্চ খণ্ডঘোষের তোড়কোনা থেকে একটি টুরিস্ট বাস ছাড়ে। ওই বাসে চড়ে বর্ধমান শহর, খণ্ডঘোষ, গলসি, বাঁকুড়ার ইন্দাস, শাসপুর থানা এলাকার ৬৪ জন পর্যটক উত্তরভারত ও কাশ্মীরের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। অমৃতসর, হরিদ্বার, বেনারস হয়ে ৪ এপ্রিল পর্যটকদের বর্ধমানে ফেরার কথা ছিল। খণ্ডঘোষ থেকে রওনা হওয়ার পর বুদ্ধগয়া, এলাহবাদ, আগ্রা, বৃন্দাবন, কুরুক্ষেত্র হয়ে পর্যটকবাহী বাসটি মঙ্গলবার রাতে শ্রীনগরে পৌঁছায়। বুধবার শ্রীনগরে প্রকৃতিক দৃশ্য ঘুরে দেখার পর ফের বৃহস্পতিবারও পর্যটকরা দুটি ছোট বাসে চড়ে প্রাকৃতিক দৃশ্য ঘুরে দেখার জন্য রওনা হন। ওই সময়েই একটি পর্যটকবাহী বাস দুর্ঘটনার কবলে পড়ে বলে খণ্ডঘোষ পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি শ্যামল দত্ত জানিয়েছেন। শ্যামল বাবু বলেন, শুক্রবার সকালে দুর্ঘটনার খবর তোড়কোনা গ্রামে পৌছায়। এরপর খোঁজ নিয়ে তিনি জানতে পারেন, ওই বাসটি নিয়ন্ত্রন হারিয়ে উল্টে গিয়ে বেশ কয়েকফুট নিচে থাকা অন্য রাস্তায় আছড়ে পড়ে। তার জরেই বয়স্ক দুই পর্যটক প্রাণ খোয়ান বলে খবর পাওয়া গিয়েছে।তোড়কোনা থেকে ছাড়া পর্যটকবাহী বাসের গাইড, ছিলেন তোড়কোনা গ্রামেরই বাসিন্দা অসীম চক্রবর্তী ওরফে খোকন। তিনি দাবি করেছেন, পর্যটকরা শ্রীনগর থেকে সেখানকার স্থানীয় বাসে চড়ে সাইডসিন দেখতে বেরিয়েছিলেন। ওই বাসটি বৃহস্পতিবার দুর্ঘটনার কবলে পড়লে দুজন মারা যান। ওই থাকা বাকি পর্যটকরা জখম হয় তাঁদের সবাইকে ওইদিন সন্ধের মধ্যেই হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। জখমদের উদ্ধার ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করার পাশাপাশি মৃতদেহ নিয়ে বর্ধমানে ফিরে আসার ব্যাপারেও কাশ্মীরের পর্যটন বিভাগ সর্বতভাবে সাহায্য করছে। খণ্ডঘোষের বিধায়ক নবীনচন্দ্র বাগ জানান, ময়নাতদন্তের পর দ্রুত যাতে মৃতদেহ ফিরিয়ে আনা যায় তার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। শুক্রবার বিকেলে শ্রীনগরে মৃতদেহগুলির ময়নাতদন্ত হয়েছে। শনিবার সকালে বিমানে দেহগুলি কলকাতায় আনা হবে বলে মৃতদের পরিবারের সদস্যদের কথায় জানা গিয়েছে।

মার্চ ২৫, ২০২২
রাজ্য

মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী-কে অপহরণের অভিযোগে গ্রেপ্তার এক যুবক

অপহরণের ঘটনার তদন্তে নেমে দুদিনের মধ্যে অপহরণকারীর ডেরা থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষা দেওয়া ছাত্রীকে উদ্ধার করলো পুলিশ। পাশাপাশ পূর্ব বর্ধমানের রায়না থানার পুলিশ ছাত্রীকে অপহরণের ঘটনায় জড়িত যুবক রণি খান কেও গ্রেপ্তার করেছে। তাঁর বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার মধ্যমগ্রাম থানার পাটুলি শিবতলা এলাকায়। মেয়েকে উদ্ধার করে দেওয়ার জন্য ছাত্রীর পরিবার বুধবার রায়না থানায় গিয়ে পুলিশকে কৃতজ্ঞতা জানান। পুলিশ জানিয়েছে,১৬ বছর বয়সী অপহৃত ছাত্রীর বাড়ি রায়না থানার হিজলনা পঞ্চায়েত এলাকায়। সে এই বছর মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছে। ওই ছাত্রীকে অপহরণ করা হয়েছে বলে দাবী করে তাঁর বাবা গত রবিবার রাতে রায়না থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। ছাত্রীর বাবা পুলিশ কে জানান, মাসির বাড়ি যাবার জন্য তাঁর মেয়ে রবিবার সকাল ৮ টা নাগাদ বাড়ি থেকে বের হয়। তার পর থেকে তিনি তাঁর মেয়ের আর কোন খোঁজ পান না। বিভিন্ন আত্মীয় পরিজনের বাড়িতেও খোঁজ চালান। কিন্তু মেয়ের আর কোন হদিশ মেলে না। নাবালিকা মেয়েকে কেউ অপহরণ করেছে এমনটা ধরে নিয়ে এরপর তিনি ওইদিন রাতেই রায়না থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। ছাত্রীর বাবার অভিযোগ পেয়েই নড়ে চড়ে বসে রায়না থানার পুলিশ। দায়ের হওয়া অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু করে তদন্তে নামেন পুলিশ অফিসার সফিউর রহমান। বিভিন্ন সূত্র মাধ্যমে খোঁজ খবর চালিয়ে তিনি নিশ্চিৎ হয় ছাত্রী উত্তর ২৪ পরগনার মধ্যমগ্রাম থানা এলাকায় রয়েছে। এর পরেই নাবালিকা ছাত্রীকে উদ্ধারের জন্য মঙ্গলবার তিনি উত্তর ২৪ পরগনা মধ্যমগ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। মধ্যমগ্রাম থানার সহায়তা নিয়ে সফিউর রহমান সেখানকার পাটুলি শিবতলা এলাকা নিফাসী অপহরণকারী রণি খানের ডেরায় পৌছান। সেখান থেকে নাবালিকা ছাত্রীকে উদ্ধার করার পাশাপাশি পুলিশ রনি খানকেও ধরে ফেলে।জেরায় ছাত্রীকে অপহরণের কথা কবুল করার পরেই পুলিশ রনি খান কে গ্রেপ্তার করে। মঙ্গলবার রাতেই নাবালিকা ওই ছাত্রী ও ধৃত অপহরণকারীকে নিয়ে রায়না থানায় পৌছান তদন্তকারী অফিসার সফিউর রহমান। ছাত্রীর মেডিক্যাল পরীক্ষা করিয়ে গোপন জবানবন্দি পেশের জন্য এদিনই তাকে হাজির করানো হয় বর্ধমান আদালতে। পাশাপাশি সুনির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ ধৃত অপহরণকারীকেও এদিন আদালতে পেশ করে। ৭০০ টাকার বন্ডে ধৃতর জামিন মঞ্জুর করে বিচারক ১৪ জুলাই ফের তাঁকে আদালতে হাজির হবার নির্দেশ দিয়েছেন।

মার্চ ২৩, ২০২২
রাজ্য

নাকা চেকিংয়ে ব্যবসায়ীর গড়ি থেকে উদ্ধার আয় বহির্ভূত প্রায় ৬০ লক্ষ টাকা

আয়কর দফতরের নজর এড়াতে পারলেও পুলিশের নজর এড়াতে পারলেন না ব্যবসায়ী। মঙ্গলবার পূর্ব বর্ধমানের ভাতার পুলিশের নাকা চেকিংয়ে ধরা পড়া ব্যবসায়ীর গাড়ি থেকে উদ্ধার হল আয় বহির্ভূত প্রায় ৬০ লক্ষ টাকা। ওই বিপুল পরিমাণ টাকা পুলিশ বাজেয়াপ্ত করার পর খবর দেয় আয়কর বিভাগে। সরকারী নিয়ম মেনে পুলিশ এদিনই ওই টাকা আয়কর বিভাগের হাতে তুলে দেয়। ব্যবসায়ী ওই বিপুল পরিমাণ টাকা কোথা থেকে পেলেন ও কোথায় নিয়ে যাচ্ছিলেন সেই বিষয়ে পুলিশ ও আয়কর বিভাগ উভয়েই খোঁজ খবর নেওয়া শুরু করেছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ব্যবসায়ীর বাড়ি জেলার কাটোয়া মহকুমার কেতুগ্রামে। মঙ্গলবার সকালে তিনি তাঁর চারচাকা গাড়িতে চড়ে বাদশাহী রোড ধরে মঙ্গলকোটের নতুনহাটের দিক থেকে বর্ধমানের দিকে যাচ্ছিলেন। ওই সময়ে ভাতার থানার পুলিশ বাদশাহী রোডে আলিনগর চৌরাস্তার মোড়ের কাছে নাকাচেকিং চালাচ্ছিল। ভাতার থানার ওসি সৈকত মণ্ডল জানিয়েছেন, পুলিশ ব্যবসায়ীর গাড়িতে তল্লাসি চালানোর সময় গাড়ির ভিতরে দুটি বড় ব্যাগ দেখতে পায়। সন্দেহ হওয়ায় পুলিশ দুটি ব্যাগের চেন খুলতেই দেখতে পায় ব্যাগ গুলির ভিতরে ভরা রয়েছে। ৫০০ ও ২০০ টাকার বাণ্ডিলের ওই টাকা গুনে দেখা যায় দুটি ব্যাগে মোট ৫৯ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা ছিল। ও সি জানান, ওই টাকার উৎস সংক্রান্ত কোনও তথ্য ব্যবসায়ী দিতে না পারায় উদ্ধার হওয়া সমস্ত টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ওই টাকা এদিনই আয়কর বিভাগের হাতে তুলে দেয় ভাতার থানার পুলিশ।

মার্চ ২২, ২০২২
রাজ্য

বামেদের আইন অমান্য আন্দোলনে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে ধুন্ধুমার কান্ড বর্ধমান শহরে

পূর্ব বর্ধমান জেলা বামপন্থী গণসংগঠণের ডাকে আইন অমান্য ঘিরে প্রবল উত্তেজনা ছড়ালো বর্ধমান শহরে। মঙ্গলবার দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, বেকারত্ব সহ একাধিক দাবীতে আইন অমান্যর ডাক দেয় জেলার বামপন্থী গণসংগঠনসমূহ। বর্ধমান রেল স্টেশন থেকে মিছিল করে এসে কার্জনগেটে আইন অমান্য করে তারা। কার্জনগেটে পুলিশের একটি ব্যারিকেড ভেঙে দেয় তারা। দ্বিতীয় ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা হলে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের আটক করে। কর্মসূচিতে ছিলেন সিপিএম নেতা অমল হালদার, সৈয়দ হোসেন,তাপস সরকার সহ অন্যান্যরা বামপন্থী নেতৃত্বরা। অমল হালদার জানান, আমরা একটার পর এক ব্যারিকেড ভেঙে আমাদের আইন অমান্য আন্দোলন করলাম, কিন্তু আইন অমান্য যে করছি! আমাদের দেশে কি আদও আইন বলে কিছু আছে? আনিশ খান মারা গেলো, বর্ধমানে তুহিনা বলে এক ছাত্রী মারা গেলো। আরও অবাক ব্যাপার সেই ছাত্রীর আত্ম্যহত্যায় প্রোরচনা দেওয়া আসামী এসডিও-র কাছে শপথ বাক্য পড়ে এলেন। তিনি মনে করেন এই মুহূর্তে আমাদের দেশে আইনের শাসন বলে কিছু নেই।তিনি আরও বলেন, সোমবার রাতে রামপুরহাটে ঘটে যাওয়া মর্মান্তিক গণহত্যায় প্রায় ১০ জনকে পুড়িয়ে মারা হয়। একজন তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েতের উপ-প্রধান-র হত্যার বদলি ১০ টি তাজা প্রান চলে গেলো। তিনি জানান আজকের এই আইন অমান্য ২৮ ও ২৯ তারিখের ধর্মঘট কে সফল করার জন্য। ১২ দফা দাবী নিয়ে এই ২৮ ও ২৯ ফেব্রুয়ারি বামজোট এই সাধারণ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন। সাধারণ মানুষকে দেশের এই ভয়াবহ দুর্দিনে এগিয়ে এসে ধর্মঘটে সামিল হওয়ার আহ্বান জানান।অমল হালদার আক্ষেপের সুরে বলেন সারা দেশে একের পর এক রাষ্টায়ত্ত কল কারখানা বন্ধ হচ্ছে। হু হু করে বেকারত্বের সংখ্যা বাড়ছে। বিভিন্ন রাষ্টায়ত্ত কল কারখানা বেসরকারিকরন ও বিলগ্নিকরন হচ্ছে। মানুষ তাঁর ফসলের ন্যায্য মুল্য পাচ্ছে না। ক্ষেত মজুরদের কাজ বন্ধ সহ একাধিক দাবী তোলেন এই আইন অমান্য আন্দোলন থেকে।রামপুরহাট কান্ড নিয়ে বীরভূমের অবিসংবাদিত তৃণমূল নেতা অনুব্রত-র মন্তব্য নিয়ে সংবাদ মাধ্যমের প্রশ্নের উত্তরে বাম নেতা আমল হালদার জানান, অনুব্রত যা বলেছেন তা তিনি বিশ্বাস করেন না, কারন একটা বাড়িতে টিভি ফেটে আগুন লাগতে পারে, পর পর ১০-১২ টা বাড়িতে একসাথে টিভি ফেটে আগুন লেগে এত মানুষের মৃত্যু! তিনি আক্ষেপ করে বলেন এই পশ্চিমবঙ্গে বর্তমানে কোনও আইন নেই, গোটা পশ্চিমবঙ্গ তছনছ হয়ে গেছে।

মার্চ ২২, ২০২২
রাজ্য

তৃণমূল কাউন্সিলরকে গ্রেফতারের দাবিতে হাতে চুড়ি ও শাড়ি নিয়ে প্রতিবাদ যুব কংগ্রেসের

অভিযুক্ত কাউন্সিলরের লুকিয়ে শপথ নেওয়ার ঘটনায় হাতে চুড়ি ও শাড়ি নিয়ে অভিনব প্রতিবাদে শামিল হল যুব কংগ্রেস। বর্ধমান সদর উত্তর মহকুমাশাসকের অপসারণ ও অভিযুক্ত তৃণমূল কাউন্সিলের গ্রেফতারের দাবি জানান প্রতিবাদীরা। সোমবার যুব কংগ্রেসের কর্মীরা মিছিল করে পূর্ব বর্ধমান জেলাশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেয়। এরপর যুব কংগ্রেস কর্মীরা মহকুমাশাসকের অফিসের দিকে এগোলে পুলিশ তাদের আটকায়। রাস্তায় বসে পরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে যুব কংগ্রেস কর্মীরা। কিছুক্ষণ বিক্ষোভ চলার পর তারা আবার মহকুমাশাসকের অফিসের দিকে যাবার চেষ্টা করলে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয় আন্দোলনকারীদের। এই ঘটনায় পুলিশ ৬ জন যুব কংগ্রেস কর্মীকে আটক করেছে।তরুণী তুহিন খাতুনকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে বর্ধমান পুরসভার নব নির্বাচিত কাউনসিলর বসির আহমেদ ওরফে বাদশার বিরুদ্ধে। পুলিশ তাকে এখনও গ্রেপ্তার করেনি। অথচ গত ১৭ মার্চ বর্ধমান সদর উত্তর মহকুমাশাসকের দপ্তরে গিয়ে শপথ নিলেন মূল অভিযুক্ত কাউন্সিলর। শনিবার এই খবর চাউড় হতেই ব্যাপক আলোড়ন পড়ে যায় বর্ধমান শহরে।উল্লেখ্য, গত ২ মার্চ পুরসভার ফলাফল ঘোষণার দিন বর্ধমান শহরের ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাবুরবাগ এলাকায় কলেজ ছাত্রী তুহিনা খাতুনের বাড়িতে হামলা, শ্লীলতাহানি ও মারধরের অভিযোগ ওঠে এলাকার নব নির্বাচিত কাউন্সিলর বাদশা ও তাঁর অনুগামীদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনার পরই বাড়ি থেকে তুহিনার দেহ উদ্ধার করে বর্ধমান থানার পুলিশ।পরিবারের পক্ষ থেকে বর্ধমান থানায় আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ করা হয় বসির আহমেদ সহ বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে। দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবীতে বিক্ষোভ দেখায় বাম ছাত্র,যুব ও মহিলা সংগঠন। পাশাপাশি বিক্ষোভ আন্দোলনে নামে কংগ্রেসও। খোদ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ও সাংসদ অধীর চৌধুরী পরিবারের সঙ্গে দেখা করে পাশে থাকার আশ্বাস দেন। পরিবারের অভিযোগের পরিপেক্ষিতে পুলিশ এখনও পর্যন্ত ৪ জন মহিলা ও ১জন পুরুষকে গ্রেপ্তার করলেও বসির আহমেদ এখনও গ্রেপ্তার হন নি।এদিকে এই আবহের মাঝেই গত ১৬ মার্চ বর্ধমান পুরসভার নবনির্বাচিত ৩৩ জন তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলার শপথ নেন বর্ধমান সদর মহকুমা শাসক তীর্থঙ্কর বিশ্বাসের কাছে। শপথ গ্রহন অনুষ্ঠানে হাজির হননি বসিরউদ্দিন আহমেদ ওরফে বাদশা। কিন্তু তারপরেই ১৭ মার্চ দ্বিতীয়ার্ধে তিনি মহকুমাশাসকের চেম্বারে গিয়ে শপথ নেন। শপথ নেবার খবর চাউড় হতেই শুরু হয় বিতর্ক।

মার্চ ২১, ২০২২
রাজ্য

পূর্ব বর্ধমানের এই গ্রামে দোল উৎসবে মেলে ১,০০০ টাকা দরে এক পিস রসগোল্লা

এক পিস রসগোল্লা এক হাজার টাকা! এটা কোন আজগুবি গল্পকথা নয়। পাঁচ শতাধিক বছরের প্রাচীন দোল উৎসবের মেলার সেরা আকর্ষণ হাজার টাকা পিসের পেল্লাই সাইজের রসগোল্লা। পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলী ১ ব্লকের দোগাছিয়ার দোল উৎসবের এমনই মস্ত সাইজের মিষ্টি তৈরি হয়। দোল উৎসব উপলক্ষ্যে আগত অতিথিদের এমন বিশালাকার মিষ্টি দিয়ে আপ্যায়ন করাটাই দোগাছিয়া গ্রামের রেওয়াজ। তাই দোল উৎসব উপলক্ষ্যে দোগাছিয়া গ্রামের মেলায় যাঁরা মিষ্টির দোকান খুলে বসেন তাঁরা সবাই তৈরি করেন পেল্লাই সাইজের হরেক রকমের মিষ্টি। নজর কাড়া এমন মিষ্টি স্বচক্ষে একবার দেখার জন্যেও অনেকে মেলায় ভিড় জমান।দোগাছিয়া গ্রামের দোল উৎসবের মাহাত্ম্য নিয়ে এলাকায় নানা লোককথা প্রচলিত রয়েছে। গ্রামের বাসিন্দা নিখিলেশ রায়চৌধুরি ও দেবপ্রসাদ রায়চৌধুরি জানান, প্রায় সাড়ে পাচশো বছর আগের ঘটনা।বাংলায় তখন রাজত্ত্ব চালাতেন জমিদাররা। সেই সময় কালে দোগাছিয়া গ্রামে চারদিনের দোল উৎসবের সূচনা হয়।দোলে গ্রামের চৌধুরিপাড়ার মূল মন্দিরে হয় কৃষ্ণচন্দ্র, গুপীনাথ ও মদনমোহন মূর্তির পুজোপাঠ। মূল মন্দির থেকে কিছুটা দূরে থাকা দোলমন্দিরে চতুর্দোলা করে তিন দেবতার মূর্তি নিয়ে গিয়ে পুজো করা হয়। নিখিলেশ রায়চৌধুরি জানান, তাঁদেরই বংশের পূর্বপুরুষ শ্রীধর কর জমিদারী আমলে মন্দিরগুলি তৈরি করেন। পরবর্তীকালে নবাব আমলে তাঁদের পরিবার রায়চৌধুরি উপাধি লাভ করে। চৌধুরী পরিবারের সদস্যদের কথায় জানা গিয়েছে, দোল উৎসব উপলক্ষ্যে গ্রামে হরিনাম সংকীর্তন সহ বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠান হয়, মেলাও বসে।দোগাছিয়া গ্রামে দোল উৎসবের মেলায় এদিন গিয়ে দেখা যায় মেলার মূল আকর্ষন মিষ্টি। দু-এক কেজি ওজনের মিষ্টি নয়। ১০০০ টাকা পিস দরের ৮ কেজি ওজনের রসগোল্লা মেলায় বিক্রির জন্য তৈরি করেছেন বিক্রেতারা। বড় বড় গামলায় সেইসব বিশালাকার মিষ্টি সাজিয়ে রাখেন বিক্রেতারা। এত বড় বড় মিষ্টি মেলায় আগত মিষ্টান্ন ব্যবসায়ীরা তৈরি করেন মূলত এলাকার রীতি রেওয়াজকে মান্যতা দিয়েই। স্থানীয় বাসিন্দা সুধাকর ঘোষ ও কৃপেশ বিশ্বাস বলেন, জমিদারি আমল থেকেই দোল উৎসবে আমাদের গ্রামে আগত অতিথীদের মিষ্টি দিয়ে আপ্যায়ন করা হত। সেই রেওয়াজ এখনও চালু রয়েছে। আর তার কারণেই দোল উৎসব উপলক্ষে গ্রামে বসা মেলার সবথেকে বেশি প্রাধান্য পায় মিষ্টি।মেলায় মিষ্টির দোকান খুলে বসা ব্যবসায়ী তপন বিদ, প্রভাত ঘোষ জানান, দোগাছিয়া গ্রামের দোল উৎসবের মেলায় মিষ্টিই মূল আকর্ষন। তাই তাঁরা নজরকাড়া নানা মিষ্টি তৈরি করেন। এই বছর করেছেন ১০০০ টাকা পিস দরের ৮ কেজি ওজনের রসগোল্লা।এছাড়াও ৫০০, ৪০০, ২০০ টাকা পিস দামের মিষ্টিও মেলায় বিক্রীর জন্য তৈরি করেছেন। মিষ্টি কিনতে জেলা ছাড়িয়ে ভিন জেলার ক্রেতারাও মেলায় আসছেন। প্রবাত ঘোষ বলেন, , মেলায় বিক্রি-বাটাও খারাপ হচ্ছে না। দাম যাই হোক, খরিদ্দাররা সব ধরণের মিষ্টি কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। মেলার স্টলে বসেও দল বেঁধে হাজার টাকা দামের রসগোল্লা খাচ্ছেন।

মার্চ ২০, ২০২২
রাজ্য

জামালপুরে দোল খেলতে যাওয়ার সময় আক্রান্ত রাজ্য বিজেপি নেতা

শ্বশুর বাড়ির দোল উৎসব অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাবার পথে দুস্কৃতি হামলার শিকার হলেন রাজ্য বিজেপি নেতা কল্যাণ চৌবে। শুক্রবার বিকাল পৌনে চারটে নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর থানার মসাগ্রাম রেল গেট এলাকায়। ঘটনা বিষয়ে এদিন সন্ধ্যায় জামালপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন কল্যান চৌবে। তাঁর অভিযোগের তীর যদিও তৃণমূলের দিকেই। তবে তৃণমূল নেতৃত্ব বিজেপি নেতার আনা অভিযোগ ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত বলে দাবি করেছেন।বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, কলকাতার উল্টোডাঙ্গা নিবাসী কল্যাণ চৌবে দলের উত্তর কলকাতার সভাপতি। একই সঙ্গে তিনি রাজ্য বিজেপিরও সদস্য। জামালপুর থানায় দায়ের করা অভিযোগে কল্যান চৌবে জানিয়েছেন, শ্বশুর বাড়ির দোল উৎসব অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এদিন তিনি জামালপুরের রাজারামপুর গ্রামে যাচ্ছিলেন। সামনের গাড়িতে তিনি ও তাঁর নিরাপত্তারক্ষীরা ছিলেন। পিছনের গাড়িতে ছিলেন তাঁর স্ত্রী ও নাবালিকা কন্যা। বিকাল পৌনে চারটে নাগাদ তাঁরা মেমারি তারকেশ্বর রোডে মসাগ্রাম লেবেল ক্রসিং এর কাছে পৌছান। কলাণবাবু দাবি করেছেন, তাঁর গাড়ির সামনে বিজেপির একটি পতাকা লাগানো ছিল। এছাড়াও ড্যাসবোর্ডে রাখা ছিল উত্তরীয় ও ব্যাচ। এইসব দেখেই মসাগ্রাম রেল গেট এলাকায় থাকা দুস্কৃতি দল তাঁকে প্রাণে মেরে দেবার উদ্দেশ্যে আচমকাই তাঁর গাড়ির উপর চড়াও হয়। কল্যাণবাবু দাবি করেছেন, তাঁর নিরাপত্তা রক্ষীরা কোনক্রমে তাঁকে ও তাঁর পরিবার সদস্যদের রক্ষা করেন। হামলায় তাঁদের দুটি গাড়ির ক্ষতি হয়েছে বলেও পুলিশকে জানিয়েছেন কল্যাণ চৌবে। থানায় অভিযোগ দায়ের করার পর ফের স্বপরিবার রাজারামপুর গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা দেন বিজেপি নেতা। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বিজেপির নেতার আনা এই অভিযোগ কতটা সত্য তা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন জেলা তৃণমূলের মুখপত্র প্রসেনজিৎ দাস। পাল্টা অভিযোগে তিনি বলেন, ওই বিজেপি নেতার বিরোধী গোষ্ঠীর লোকজনই হয়তো এইসব ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারে। পুলিশের তদন্তেই সব পরিস্কার হয়ে যাবে।

মার্চ ১৯, ২০২২
  • ‹
  • 1
  • 2
  • ...
  • 14
  • 15
  • 16
  • 17
  • 18
  • 19
  • 20
  • ...
  • 32
  • 33
  • ›

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

১০০ দিনের কাজ নিয়ে হাইকোর্টে বড় ধাক্কা কেন্দ্রীয় সরকারকে

গতকালই ওবিসি মামলায় হাইকোর্টে জোরদার ধাক্কা খেয়েছে রাজ্য সরকার। এবার ১০০ দিনের কাজ নিয়ে বড় ধাক্কা খেল কেন্দ্রীয় সরকার। বুধবার নজিরবিহীন একটি নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। পশ্চিমবঙ্গে ফের ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প চালু করতে হবে, এই মর্মে কেন্দ্রীয় সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। আগামী ১ আগস্ট থেকেই এই প্রকল্প চালু করতে নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চ।উল্লেখ্য, বাংলায় ১০০ দিনের কাজের টাকা বহুদিন ধরে আটকে রেখেছে কেন্দ্র, এই অভিযোগ করে আসছে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ রাজ্য সরকারের একাধিক মন্ত্রী এই ব্যাপারে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বারবার সমালোচনায় সরব হয়েছেন। কেন্দ্রীয় সরকারের দাবি, পশ্চিমবঙ্গে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে লাগামহীন দুর্নীতি হয়েছে। এই দুর্নীতির তদন্তে কেন্দ্র বেশ কয়েকটি দলও বাংলার জেলায় জেলায় পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।কেন্দ্রের অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল অশোক চক্রবর্তী আদালতে জানিয়েছিলেন, ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে পশ্চিমবঙ্গে মোট ৫ কোটি ৩৭ লক্ষ টাকা বন্টনের ক্ষেত্রে গরমিল ধরা পড়েছে।। তার মধ্যে ২ কোটিরও বেশি টাকা পুনরুদ্ধার করা গিয়েছে। হুগলি, মালদা, বর্ধমান, দার্জিলিংয়ের মতো জেলাগুলিতে ১০০ দিনের কাজের টাকা বন্টনের ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ পেয়েছে কেন্দ্রের প্রতিনিধি দল। ১০০দিনের কাজের প্রকল্পে টাকা বন্টনের ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গে বেনজির দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ কেন্দ্রের।রাজ্যে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প আটকে থাকা নিয়ে মামলার শুনানি বুধবার ছিল কলকাতা হাইকোর্টে। এদিন উভয় পক্ষের সওয়াল-জবাব শুনেছেন প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। এরপর প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছেন যে শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গের জন্যই বিশেষ কোনও বেঁধে দিতে পারে কেন্দ্র। এই রায়ের পর সোচ্চার হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছেন, ১০০ দিনের পুরনো বকেয়া টাকা ফেরত দিতে হবে।

জুন ১৮, ২০২৫
রাজ্য

তোলা না দেওয়ায় গাছে বেঁধে কাপড় ব্যবসায়ীকে মারধর

পাঁচ লক্ষ টাকা তোলা না দেওয়ায় গাছে বেঁধে এক কাপড় ব্যবসায়ীকে মারধর এবং সালিশি করে গ্রাম ছাড়া করার অভিযোগ উঠলো স্থানীয় একদল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে কালিয়াচক থানার ফতেখানি এলাকায়। এই ঘটনায় আক্রান্ত ব্যবসায়ীর পরিবার কালিয়াচক থানার দ্বারস্থ হলেও চারদিন পরে পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ। অবশেষে বুধবার ওই ব্যবসায়ী দম্পতি সমস্ত ঘটনার বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ জানালেন পুলিশ সুপারের কাছে। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পুরো বিষয়টি নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মালদার পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব। এদিকে কালিয়াচকের ওই ব্যবসায়ীর ওপর আক্রমণ এবং পাঁচ লক্ষ টাকা তোলাবাজির ঘটনায় রীতিমতো অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন জেলার সর্ববৃহৎ ব্যবসায়ীদের সংগঠন মালদা মার্চেন্ট চেম্বার অফ কমার্সের কর্মকর্তারা। সংশ্লিষ্ট সংগঠনের সভাপতি জয়ন্ত কুন্ডু জানিয়েছেন, এই ধরনের ঘটনার আমরা তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। বারবার যদি ব্যবসায়ীদের ওপর দুষ্কৃতীদের হামলা নেমে আসে, তাহলে আমরা যাব কোথায়। অবিলম্বে পুলিশ সুপার যাতে অপরাধীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করে, সেই আবেদন জানাচ্ছি। এদিকে পুলিশকে অভিযোগে কালিয়াচক থানার ফতেখানি এলাকার পোশাক ব্যবসায়ী মহম্মদ রহিম বিশ্বাস জানিয়েছেন, পুরনো একটি মামলার ঘটনায় গত শনিবার এলাকার এক কুখ্যাত দুষ্কৃতী জহরুল খান এবং তার দলবল তাকে বাড়ির সামনে থেকে তুলে নিয়ে যায়। তাদের একটি ডেরায় তাঁকে গাছে বেঁধে ব্যাপক মারধর করা হয়। এরপর পাঁচ লক্ষ টাকার তোলা চাওয়া হয়। সেই টাকা না দেওয়ায় আশেপাশের আরও কিছু সাগরেদদের জুটিয়ে সালিশি ডাকা হয়। সেই সালিশির মাধ্যমে তাদের পরিবারকে গ্রাম ছাড়া করার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। আর এই ঘটনার পর থেকেই গত চারদিন ধরেই ওই ব্যবসায়ী পরিবার নিজের বাড়ি ছেড়ে অন্য এক আত্মীয়ের বাড়িতে আত্মগোপন হয়ে রয়েছেন। এমনকি ফতেখানি স্ট্যান্ডের কাছে ওই ব্যবসায়ী তার নিজের পোশাকে শোরুম খুলতে পারছেন না।

জুন ১৮, ২০২৫
রাজ্য

বাংলা দিবস পালন নিয়ে বিজেপিকে কড়া তোপ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের

বাংলা দিবস পালন নিয়ে ফের বিজেপি ও তৃণমূলের মধ্যে বাগযুদ্ধ শুরু হয়ে গেল। আগামী ২০ জুন বাংলা দিবস পালন করা হবে বলে উত্তরপ্রদেশের বিশেষ সচিব পশ্চিমবঙ্গের সংস্কৃতি দফতরকে একটি চিঠি দিয়েছে। আলাদা করে বাংলা দিবস পালনের দিন নির্ধারণ নিয়ে এবার প্রশ্ন তুললেন খোদ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই ইস্যুতে BJP-র কড়া জবাব দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।বুধবার সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ২০ জুন প্রতিটি রাজ্যের রাজভবনে বাংলা দিবস পালন করা হবে বলে ঠিক করা হয়েছে। এই তারিখ কীভাবে ঠিক করা হল? দেশ স্বাধীন হয়েছে ১৫ আগস্ট। বাংলার প্রতিষ্ঠা দিবস আপনারা ঠিক করে দেবেন? বিজেপি ইচ্ছা মতো চাপিয়ে দেবে? এটা বাংলাকে চরম অসম্মান বলে আমরা মনে করছি। বাংলা দিবস বাংলার সরকার পালন করবে। সেটা ১ বৈশাখ।এদিন কেন্দ্রকে নিশানা করে মুখ্যমন্ত্রীর আরও তোপ, সব বুলডোজ করছে, দেশে জুমলা সরকার চলছে। পেহেলগাঁওয়ের পর সবাই বিশেষ অধিবেশন ডাকার কথা বলেছে। বিরোধীরা সবাই অধিবেশন ডাকার কথা বলেছিল। কেন বিশেষ অধিবেশন ডাকা হবে না?একশো দিনের কাজের টাকা চার বছর ধরে বন্ধ করেছে। আবাস যোজনার টাকা দিচ্ছে না। রাজ্য সরকার নিজে সেই টাকা খরচ করে উন্নয়ন বজায় রেখেছে।

জুন ১৮, ২০২৫
রাজ্য

ভাগীরথী সেতুতে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা, লরির চাকায় পিষ্ঠ হয়ে মৃত্যু রোগীর

মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর ভাগীরথী সেতুর উপর ঘটল মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। বুধবার দুপুরে চলন্ত লরির চাকায় পিষ্ট হয়ে মৃত্যু হল এক বৃদ্ধের। মৃতের নাম হরেন মণ্ডল (৬৩)। তিনি ঝাড়খণ্ডের পাকুর জেলার বাসিন্দা বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।জানা গিয়েছে, বুধবার সকালেই অসুস্থতা জনিত কারণে হরেন মণ্ডলকে জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাঁর সঙ্গে ছিলেন পুত্রবধূ। দুপুরে বৌমা ফুলতলা বাজারে ফল কিনতে গেলে অনেকক্ষণ কেটে গেলেও তিনি না ফেরায়, চিন্তায় পড়ে বৃদ্ধ খুঁজতে বের হন। খুঁজতে খুঁজতে উঠে পড়েন ভাগীরথী সেতুর উপর। সেই সময় এক চলন্ত লরির সামনে পড়ে যান তিনি। অসাবধানতাবশত লরির চাকায় পিষ্ট হন হরেন মণ্ডল। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।ঘটনাস্থলে পৌঁছায় রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ ও রঘুনাথগঞ্জ সদর ট্রাফিক গার্ড। কিছু সময়ের জন্য সেতুর উপর যান চলাচল ব্যাহত হয়। পরে পুলিশ ব্যবস্থা নিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ। দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ কী, লরি চালকের গাফিলতি ছিল কিনাতা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।এই দুর্ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকাজুড়ে। হাসপাতালে ভর্তি রোগীর এমন মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে পরিবার ও হাসপাতাল চত্বরে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পরেও কি ভাবে রাজ্য সড়কে পৌছালো ঐ রুগী তা নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছে একলাবাসীর মধ্যে।

জুন ১৮, ২০২৫
রাজ্য

রায়নার বিধায়কের কন্যার নামকরণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী

রায়নার বিধায়ক শম্পা ধারার শিশু কন্যার নামকরণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার বিধানসভাতেই বিধায়ক শম্পা ধারা কন্যা সন্তান নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সামনে হাজির হন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিধায়ক শম্পা ধারার শিশু কন্যার নাম রাখেন ঐশী। আশাপূরণ হওয়ায় শম্পা ধারা বেজায় খুশি। মেয়ের অন্নপ্রাসন অনুষ্ঠানের দিনও নির্দিষ্ট করে ফেলেছেন বিধায়ক। সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হওয়ার জন্য শম্পা ধারা এদিন মুখ্যমন্ত্রী সহ সকল বিধায়ককে নিমন্ত্রণও করেন।শম্পা ধারার কন্যার এখন বয়স মাত্র সাড়ে চার মাস। বাংলার অগ্নিকন্যা তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অন্তত তাঁর কন্যার নামকরণ করে আশীর্বাদ করুন, এমনটাই স্বপ্ন ছিল রায়নার তৃণমূল বিধায়কের। সেই স্বপ্ন পূরণের লক্ষে নিজের শিশু কন্যাকে সঙ্গে নিয়ে সোমবার দুপুরে বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর ঘরের সামনে পৌছে যান পূর্ব বর্ধমানের বিধায়ক। মুখ্যমন্ত্রী ঘর থেকে বের হতেই বিধায়ক শম্পা তাঁর কন্যার নামকরণ করার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করেন। নিজের দলের বিধায়কের সেই অনুরোধ ফেরাননি মুখ্যমন্ত্রী।শম্পা ধাড়া জানান, চলতি বছরের ২৩ জানুয়ারি তাঁর কন্যা সন্তানের জন্ম হয়েছে। শম্পা ধারার কথা অনুযায়ী নাম করণ করে দেওয়ার পর তাঁর মেয়ের মাথায় হাত দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আশীর্বাদ করেছেন। এটাই তো তাদের কাছে অনেক বড় পাওয়া। এর জন্য তিনি গর্বিত বোধ করছেন।তাঁর খুব আনন্দও হচ্ছে।

জুন ১৭, ২০২৫
বিনোদুনিয়া

কেশরী চ্যাপ্টার টু, ইতিহাস বিকৃত করার ভয়ঙ্কর অভিযোগ

ইতিহাসের একটি পরিচিত অধ্যায় ইংরেজ শাসনের সময় বিখ্যাত স্বাধীনতা সংগ্রামী ও বিপ্লবী ক্ষুদিরাম বোস ও প্রফুল্ল চাকী কুখ্যাত ইংরেজ জাজকে বধ করার চেষ্টা করেছিল। এর ভিত্তিতে ক্ষুদিরাম বোসের ফাঁসি হয়েছিল এবং প্রফুল্ল চাকীও পুলিশের হাতে যাতে ধরা না পড়ে তার জন্য নিজের প্রাণ নিজের হাতে নিয়েছিল। বিধাননগর দক্ষিণ থানাতে অভিযোগ এসেছে যে একটি সিনেমা ইদানিংকালে লাইভ স্ট্রিমিং হচ্ছে সিনেমাটির নাম হচ্ছে কেশরী চ্যাপ্টার টু। সেই সিনেমাটি জিও হটস্টারে দেখানো হচ্ছে লাইভ স্ট্রিমিং এর মাধ্যমে সেখানে একটা দৃশ্যে দেখানো হয়েছে যে ক্ষুদিরাম বোসের নামকে ক্ষুদিরাম সিং বলা হয়েছে এবং প্রফুল্ল চাকির সেখানে কোন উল্লেখ নেই।বিখ্যাত স্বাধীনতা সংগ্রামী অরবিন্দ ঘোষের ছোট ভাই বিরেন্দ্র কুমার ঘোষ তিনি ও বিপ্লবী ছিলেন উনার নামটাকে বারিন্দ্রা কুমার বলে বলা হচ্ছে। শুধুমাত্র ঐতিহাসিক তথ্যগুলোকে বিকৃত করা হয়নি, বরঞ্চ স্বাধীনতা সংগ্রামী যারা আছেন তাদের নামটাকে বিকৃত করে তাদের গরিমাটাকে কিছুটা হলেও ম্লান করার চেষ্টা হয়েছে এবং করা হয়েছে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে একটা কেস করা হয়েছে। এটাও দেখানো হয়েছে খুদিরাম বোস এবং বারিন্দ্র ঘোষ ওনারা অমৃতসরের ছাত্র ছিলেন। এই পরিপ্রেক্ষিতে অভিযোগটা করা হয়েছে। আর সেই অভিযোগের ভিত্তিতে বিধান নগর দক্ষিণ থানাতে একটি কেস রুজ করা হয়েছে এবং তদন্ত শুরু হয়েছে।

জুন ১৭, ২০২৫
কলকাতা

ভূয়ো কল সেন্টারের পর্দা ফাঁস, বাগুইআটিতে গ্রেফতার ৬

গোপন সূত্রে প্রাপ্ত সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে বাগুইহাটি থানা অধীনস্ত সৃষ্টি অ্যাপার্টমেন্টে অভিযান চালায় বিধাননগর পুলিশের একটি দল এবং পর্দা ফাঁস করে একটি ভুয়ো কল সেন্টারের। অভিযুক্তরা বিভিন্ন রাজ্যে সমাজের প্রান্তিক শ্রেণীর মানুষদের সঙ্গে যোগাযোগ করত এবং কম সুদে ঋণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাদের কস্টার্জিত অর্থ হাতিয়ে নিতো।স্বতঃপ্রণোদিত অভিযোগের ভিত্তিতে বাগুইআটি থানায় কেস নাম্বার ৩৮২/২০২৫ মামলা রুজু হয়। এই অভিযানে মোট ছয় জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং উদ্ধার হয়েছে বহু বৈদ্যুতিন সরঞ্জাম, ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন ইত্যাদি। এই মামলার তদন্ত চলছে। ধৃতদের আজ আদালতে পেশ করা হলে তাদের প্রত্যেকের সাত দিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন মঞ্জুর হয়। মামলার তদন্ত চলছে।

জুন ১৭, ২০২৫
রাজ্য

তৃণমূলের দলীয় বৈঠকে মমতাবালাকে কটুক্তির অভিযোগ, উপপ্রধানকে গ্রেফতারের দাবি

দলীয় বৈঠক তৃণমূল উপপ্রধানের গালাগাল ও কটুক্তির শিকার তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ মমতা ঠাকুর। অভিযুক্তকে গ্রেফতারের দাবিতে থানায় অভিযোগ দায়ের করলেন তৃণমূল কর্মী। সরব হলেন মতুয়া ভক্তরা। পার্থ ভৌমিকের সম্পর্কে কিছু কথা বলার জন্যে কর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছে, আর কিছু নয় বলে দাবি তৃণমূল জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ দাসের।একুশে জুলাই এর প্রস্তুতি সভা ছিল সোমবার উত্তর ২৪ পরগনার গোবরডাঙ্গায়। অভিযোগ, সেখানে বক্তব্য রাখার সময় গোপালনগর চৌবেরিয়া ১ নাম্বার গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সুনীল সরকার মমতা ঠাকুরকে উদ্দেশ্য করে গালিগালাজ করেন। এমনকি বৈঠক শেষে মমতা ঠাকুর বাইরে বের হলে তাঁকে উদ্দেশ্য করে সুনীলসহ আরও কয়েকজন কটুক্তি করে এবং অশ্লীল অঙ্গিভঙ্গি করে, এমনকি তাঁকে হুমকিও দেওয়া হয়। এবং ছোট জাত বলে আক্রমণ করা হয়। এই মর্মে সোমবার রাতে সব্যসাচী ভট্ট নামে এক তৃণমূল কর্মী গাইঘাটা থানায় এফ আই আর দায়ের করেন। অভিযোগ করার সময় সব্যসাচীর সঙ্গে ছিলেন মতুয়া ভক্তরা ও গোসাইরা। অভিযুক্তর গ্রেফতারের দাবি করেন তারা। তারা বলেন, মাকে গালাগালি দেওয়া মানে আমাদের মতুয়া সমাজকে গালি দেওয়া। এটা আমরা কোনওভাবেই মেনে নেব না। ২৪ ঘন্টার মধ্যে যদি অভিযুক্তকে গ্রেফতার না করা হয় তাহলে তীব্র প্রতিবাদ হবে।এই বিষয়ে অভিযুক্ত চৌবেড়িয়া এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সুনীল সরকার জানিয়েছেন, মমতা ঠাকুর বক্তব্য রাখতে গিয়ে নানা কথার মধ্যে দিয়ে জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস ও পার্থ ভৌমিককে আক্রমণ করছিল। আমি শুধু প্রতিবাদ করে বলেছি আপনাদের ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বের বৈঠকে এটা আলোচনা করবেন। আমি যদি উনাকে গালাগাল করে থাকি সেটা প্রমাণ করুক। আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। যদিও বনগাঁ জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস জানিয়েছেন, গতকাল একুশে জুলাইয়ের প্রস্তুতি সভায় চেয়ারম্যান পার্থ ভৌমিক সম্পর্কে কিছু কথা বলাতে কর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছে আর কিছু নয়। তৃণমূলের সভায় মমতা ঠাকুরকে উদ্দেশ্য করে গালাগাল ও জাত তুলে কটুক্তি নিয়ে কটাক্ষ করা প্রসঙ্গে শান্তনু ঠাকুর বলেন, ওদের নেত্রী হরিচাঁদ গুরুচাঁদ নিয়ে যা বলেছেন তাতে ছোট নেতা কি বলবে। মমতা ঠাকুর হারিকাঠে গলা দিয়েছে, কি হবে বুঝতে পারছে না। ওর লজ্জা ঘৃণা ভয় কিছু নেই। এই বিষয়ে মমতা ঠাকুরবালার কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

জুন ১৭, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal