SIR আতঙ্কে ফাঁকা নিউটাউন ও গুলশান কলোনি? বিস্ময়কর পরিসংখ্যান সামনে
শুভেন্দু অধিকারীর দাবিতেই কি মিলছে বাস্তবের প্রতিফলন? নিউটাউন ও গুলশান কলোনিতে শুরু হয়েছে অদ্ভুত নড়াচড়া। SIR চালু হতেই যেন হাওয়া হয়ে যাচ্ছেন বহু মানুষ। প্রশাসনের খাতায় উঠেছে চমকপ্রদ তথ্যগুলশান কলোনির বাসিন্দাদের ৮৫ শতাংশই নাকি বহিরাগত! ভোটার তালিকায় যাঁদের নামই নেই।কলকাতা পুরসভার ১০৮ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত গুলশান কলোনিজনসংখ্যা প্রায় ২ লক্ষ। যা এক বিধানসভা কেন্দ্রের জনসংখ্যার প্রায় সমান। কিন্তু ভোটার সংখ্যা মেরেকেটে মাত্র ২০ হাজার! অর্থাৎ পুরো এলাকার ৯০ শতাংশ মানুষ এই ওয়ার্ডের ভোটার নন। তাঁরা বহু বছর ধরে এখানে বসবাস করলেও স্থায়ী ভোটার তালিকায় নাম নেই। প্রশ্ন উঠছেএরা কারা?SIR-এর পঞ্চম দিনে গুলশান কলোনিতে ভোটার তালিকা হালনাগাদে গিয়ে রীতিমতো বিপাকে পড়েছেন BLO-রা। কার্যত গোলকধাঁধা হয়ে উঠেছে গোটা এলাকা। এক একটি ভবন ৫ থেকে ৬ তলা, প্রতিটি ফ্লোরে অন্তত ৫-৬টি ফ্ল্যাট। অথচ এক বুথে গড়ে ১৬০০ ভোটার! একাধিক ফ্ল্যাটে ঘুরেও ভোটার খুঁজে পাচ্ছেন না কর্মকর্তারা।BLO ওয়াসিম আক্রম জানান, এক তলা থেকে চারতলা ঘুরে একজনের নাম পেলাম, বাকিরা কেউই স্থানীয় নন। কেউ বলছেন বিহার, কেউ রিপন স্ট্রিটের বাসিন্দা। কিন্তু ভোটার কার্ড নেই।তৃণমূলের স্থানীয় প্রতিনিধি মহম্মদ মিনাজও জানিয়েছেন, অনেকেই অন্য এলাকার ভোটার। ঠিকানা বদল করেননি। ফলে গুলশান কলোনিতে ভোটার সংখ্যা এতটাই কম।SIR চালু হওয়ার পর থেকেই শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেছিলেন, নিউটাউন ও গুলশান কলোনি ফাঁকা হচ্ছে, কারণ বেআইনি ভাবে থাকা বহিরাগতরা পালাচ্ছেন। প্রশাসনের সর্বশেষ তথ্য যেন সেই দাবিকেই আরও উসকে দিল।স্থানীয়দের একাংশের দাবি, বহু বছর ধরে এই এলাকায় ভাড়া থাকেন বিভিন্ন রাজ্য থেকে আসা শ্রমিক, ব্যবসায়ী বা অস্থায়ী কর্মীরা। ভোটার তালিকায় নাম না থাকলেও তাঁরা বছরের পর বছর এখানে বসবাস করছেন। এখন SIR-এর কারণে ভয় পেয়েছেন অনেকে।যদিও শাসক দলের তরফে এখনও কোনও আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া মেলেনি। তবে রাজনৈতিক মহলে জোর জল্পনাএসআইআর ঘিরে বিরোধীর বক্তব্য কতটা রাজনৈতিক, আর কতটা বাস্তব, তা নিয়েই এখন তর্কের কেন্দ্রবিন্দু গুলশান কলোনি।

