• ২৪ আশ্বিন ১৪৩২, সোমবার ১৩ অক্টোবর ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Bardhaman

রাজ্য

রেল পুলিশের তৎপরতায় বর্ধমান স্টেশন থেকে উদ্ধার ২২৭ টিয়া পাখি

রেল পুলিশের তৎপরতায় পাচারের আগেই বর্ধমান স্টেশন থেকে উদ্ধার হল দুই শতাধিক টিয়া পাখি। টিয়া পাখি পাচারের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে রেল পুলিশ একবাল খাঁন নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে। তার বাড়ি শহর বর্ধমানের আলুডাঙা এলাকায়। ধৃতকে সোমবার পেশ করা হয়েছে বর্ধমান আদালতে। রেল পুলিশ এদিন ২২৭টি টিয়া পাখি তুলে দিয়েছে বর্ধমান বন দফতরের হাতে। রেল পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, টিয়া পাখিগুলিকে ব্যাগ বন্দি করে ডাউন দানাপুর এক্সপ্রেসের জেনারেল কামরায় চাপিয়ে বর্ধমানে আনা হচ্ছিল। সোমবার সকালে ট্রেনটি বর্ধমান স্টেশনে দাঁড়াতেই রেল পুলিশ ট্রেনের কামরায় চেকিং চালায়। ওই সময়ে একটি কামরায় চটের ব্যাগে বন্দি অবস্থায় কিছু রয়েছে দেখে রেল পুলিশের সন্দেশ হয়। রেল পুলিশ ব্যাগ খুলে তল্লাশি চালাতেই উদ্ধার হয় ২২৭ টি টিয়া পাখি। টিয়া পাখি পাচারের অভিযোগে কামরা থেকেই রেল পুলিশ একবাল খাঁনকে গ্রেফতার করে। বর্ধমান রেঞ্জের বন আধিকারিক নিশা গোস্বামী জানিয়েছেন, আরপিএফ ২২৭ টি টিয়া পাখি উদ্ধার করেছে। টিয়া পাচারের অভিযোগে ধৃতকে এদিন আদালতে পেশ করা হয়েছে। আদালতে নির্দেশ পেলে উদ্ধার হওয়া টিয়া পাখিগুলি ছেড়ে দেওয়া হবে।

জানুয়ারি ২৪, ২০২২
রাজ্য

পূর্ব বর্ধমানে কৃষি ঋণ নিতে গিয়ে প্রতারিত চাষি পুলিশের দ্বারস্থ

ব্যাঙ্ক থেকে কৃষি ঋণ নিতে গিয়ে প্রতারিত হয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হলেন এক চাষি। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরে। প্রতারিত চাষি সুশান্ত সাহানা প্রতারণার ঘটনার সবিস্তার উল্লেখ করে জামালপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগ গ্রহণ করে পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। এই ঘটনা উদ্বেগ বাড়িয়েছে ব্যাঙ্ক ঋণ নিয়ে চাষ করা জামালপুরের কৃষক মহলের। চাষি সুশান্ত সাহানা জামালপুর থানার হরগোবিন্দপুর গ্রামের বাসিন্দা। লিখিত অভিযোগে পুলিশকে তিনি জানিয়েছেন, তিনি জামালপুরের শুড়েকালনা স্টেট ব্যাঙ্কের একজন গ্রাহক। প্রতি বছরের ন্যায় এবছরও আলু চাষের স্বার্থে কৃষি ঋণ পাওয়ার জন্য তিনি নভেম্বর মাসের প্রথম দিকে ব্যাঙ্কে আবেদন করেন। ব্যাঙ্ক ম্যানেজার বিভিন্ন কাগজপত্রে তাঁকে দিয়ে সই করিয়ে নেওয়ার পর কয়েকদিন বাদে লোনের টাকা তুলে নেওয়ার কথা বলেন। ৮৩ হাজার টাকা লোন স্যাংশন হয়েছে বলে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে তিনি জানতে পারেন। সেই মতো আবেদন করার কিছুদিন বাদে সুশান্ত বাবু লোনের টাকা ব্যাঙ্কে তুলতে যান। তখন ব্যাঙ্ক ম্যানেজার তাঁকে বলেন, লোনের টাকা আপনি তুলেনিয়ে গিয়েছেন। আবার কিসের লোন পাবেন।ব্যাঙ্ক ম্যানেজারের মুখ থেকে এমন কথা শুনে মাথায় হাত পড়ে যায় চাষি সুশান্ত সাহানার। ফের পরেরদিন ব্যাঙ্ক ম্যানেজারের কাছে গিয়ে তিনি বলেন, ব্যাঙ্ক লোনের টাকা তিনি তোলেননি। তথ্য ভালোভাবে যাচাই করে দেখার জন্য সুশান্ত বাবু ওইদিন ব্যাঙ্ক ম্যানেজারকে পুনরায় অনুরোধও করেন। কিন্তু ব্যাঙ্ক ম্যানেজার সন্ধ্যা পর্যন্ত তাঁকে বসিয়ে রেখে জানিয়ে দেন পরের সপ্তাহে এসে খোঁজ নিতে। অভিযোগ, ব্যাঙ্ক ম্যানেজার এই ভাবে সুশান্ত বাবুকে দুমাস ধরে ঘোরায়।সুশান্তবাবু জানিয়েছেন, এরপর ফের একদিন লোনের টাকা না পাওয়ার কথা জানাতে তিনি ব্যাঙ্ক ম্যানেজারের কাছে যান। তখন ব্যাঙ্ক ম্যানেজার পুলিশ দিয়ে ব্যবস্থা নেবেন বলে হুমকি দিয়ে তাঁকে ব্যাঙ্ক থেকে একপ্রকার তাড়িয়ে দেয়। সুশান্তবাবু দাবি করেন, ব্যাঙ্ক থেকে কৃষি ঋণ নিতে গিয়ে তিনি প্রতারণার শিকার হয়েছেন বুঝতে পরে রবিবার জামালপুর থানার পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন।এই বিষয়ে জামালপুর থানার এক পুলিশ কর্তা বলেন, অভিযোগ জমা পড়েছে। অভিযোগের তদন্ত শুরু হয়েছে। প্রকৃত কি ঘটনা ঘটেছে তা খতিয়ে দেখা হবে। স্টেট ব্যাঙ্ক শুড়েকালনা শাখার ম্যানেজার মৃত্যুঞ্জয় কুমারকে এদিন ফোন করা হলে তিনি যদিও নিশ্চিৎ ভাবে বলতে পারেননি সুশান্ত সহানা কেসিসি লোনের টাকা ব্যাঙ্ক থেকে তুলে নিয়েছেন, না তোলেননি। তবে তিনি বলেন , সুশান্তবাবু ব্যাঙ্কে এসেছিলেন। ওনাকে আমি সময় দিতে পারিনি। ব্যাঙ্কের সিসিটিভি টেকনিশিয়ান কোভিড পরিস্থিতির জন্য আসতে পারেনি বলে সিসিটিভি ফুটেজ এখনও দেখা হয়ে ওঠেনি। নথি সহ সমস্ত কিছু খতিয়ে দেখতে হবে। সঠিক কি হয়ে আছে তা খতিয়ে দেখে ওই গ্রাহককে ডেকে পাঠাবেন বলে ম্যানেজার জানিয়েছেন। ছবি প্রতারিত চাষি ও ব্যাঙ্ক ।

জানুয়ারি ২৩, ২০২২
রাজ্য

বর্ধমানে রাষ্ট্রায়াত্ত ব্যাঙ্কে ডাকাতির ২৪ ঘন্টা পরেও অধরা দুস্কৃতিরা

ব্যাঙ্ক ডাকাতির পর পেরিয়ে গিয়েছে ২৪ ঘন্টা। দুস্কৃতীদের বিষয়ে এখনও অথৈ জলে পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশ। শুক্রবার বর্ধমানের বৈদ্যনাথ ক্যাটরার বাজারের দ্বিতলে থাকা রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক শাখায় হানা দিয়ে ৩৩ লক্ষ টাকা লুট করে পালায় সশস্ত্র ডাকাত দল। ঘটনার পর দ্রুত সিট গঠন করে পুলিশ তদন্তে নামে। দুস্কৃতিদের নাগাল পেতে শুরু হয় জেলার বিভিন্ন সড়কপথে নাকা চেকিং। কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছুই হয় না। পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে বেমালুম গায়েব হয়ে যায় দুস্কৃতীরা।জেলা পুলিশ সুপার কামনাশীষ সেন শনিবার জানিয়েছেন, তদন্ত চলছে। ডাকাতির ঘটনায় পুলিশ এখনও পর্যন্ত কাউকে আটক বা গ্রেফতার করতে পারেনি । যদিও বর্ধমান থানার এক আধিকারিকের কথায় জানা গিয়েছে, ব্যাঙ্কে লুট টালিয়ে দুস্কৃতীরা পায়ে হেটে বিসিরোড হয়ে কার্জন গেটের দিকে যায়। তারপর তারা কোন দিকে গেছে বা কোন গাড়িতে করে গেছে তার কোন তথ্য এখনও পুলিশের কাছে নেই। তবে অনুমান করা হচ্ছে দুস্কৃতিরা বাইকে চেপে বর্ধমান থেকে পালিয়েছে।বিভিন্ন জায়গার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে দুস্কৃতিদের চিহ্নিত করার প্রচেষ্টা চলছে সিআইডিও ব্যাঙ্ক ডাকাতির ঘটনার তদন্ত শুরু করতে চলেছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। শুক্রবার দিনে দুপুরে বর্ধমানের প্রাণকেন্দ্রে থাকা ব্যাঙ্কে ঢুকে ৩৩ লক্ষ টাকা লুট করে নিয়ে পালায় হিন্দিভাষী সশস্ত্র ডাকাত দল। এর আগে ২০২০ সালের ১৭ জুলাই বর্ধমানের বিসিরোড এলাকায় থাকা স্বর্ণ ঋণদান সংস্থায় ডাকাতির ঘটনা ঘটায় হিন্দিভাষী দুস্কৃতীরা। তারও আগে ২০০৯ সালের জানুয়ারি মাসে বৈদ্যনাথ ক্যাটরায় একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক শাখা থেকে ৩৫ লক্ষ টাকা লুট হয়।অতি সম্প্রতি এসটিএফের অভিযানে হেরোইনের আন্তারাজ্য কারবারী ডেরার হদিশ উদ্ধার হয় বর্ধমানের বিবেকানন্দ কলেজ মোড় সংলগ্ন এলাকা থেকে। অপরাধের ঘটনা ঘটানোর জন্য কেন বারে বারে হিন্দি ভাষী দুস্কৃতিরা বর্ধমানকেই বেছে নিচ্ছে সেই প্রশ্নই এখন সবাইকে ভাবিয়ে তুলিয়েছে।পুলিশ কর্তারাও বিষয়টি নিয়ে কাঁটা ছেঁড়া চালিয়ে যাচ্ছেন। দুস্কৃতিদের সঙ্গে ভিন রাজ্যের যোগ রয়েছে কিনা সেই বিষয়টিও পুলিশ খতিয়ে দেখছে। বর্ধমানের বৈদ্যনাথ ক্যাটারার বাজারের দোতলায় থাকা ব্যাঙ্কে শুক্রবার পৌনে ১০টার আগেই ঢুকে পড়ে ৫-৬ জনের দুস্কৃতি দল। হিন্দিভাষী দুস্কৃতীদের মুখ ছিল ঢাকা। হাতে ছিল আগ্নেআস্ত্র। তাঁদের সঙ্গে ছিল স্কুল ব্যাগ। ব্যাঙ্কে যে কজন গ্রাহক ছিল তাদের মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে দুস্কৃতিরা আগ্নেআস্ত্র দেখিয়ে বসিয়ে রাখে। এরপর ব্যাঙ্কের অন্য আধিকারিকদের মারধোর করে ব্যাঙ্ক থেকে ৩৩ লক্ষ টাকা লুট করে নিয়ে দুস্কৃতিরা ব্যাঙ্ক থেকে বেরিয়ে পড়ে। ব্যাঙ্কের মূল গেটের দরজায় বাইরে থেকে তালাচাবি দিয়ে দুস্কৃতিরা কাউকে কিছু বুঝতে না দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে ব্যাঙ্কের সাইরেন বাজার পর এই দুস্কৃতি হানার বিষয়টি জানাজানি হয় । খবর পেয়ে জেলার পুলিশ সুপার কামনাশীষ সেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কল্যান সিংহরায় সহ জেলা পুলিশের অন্য কর্তারা ঘটনাস্থলে পৌছান ।দ্রুত সিট গঠন করে তদন্ত শুরু হলেও পুলিশ দুস্কৃতিদের টিকি এখনও পর্যন্ত ছুঁতে পারেনি।

জানুয়ারি ২২, ২০২২
রাজ্য

অবৈধ প্রণয়ের জেরে খুনের অভিযোগ তাঁত শ্রমিককে, আটক মালিকসহ তিন

এক তাঁত শ্রমিককে খুনের অভিযোগ উঠলো তাঁত মালিক ও তার পরিবার সদস্যদের বিরুদ্ধে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পূর্ব বর্ধমানের কালনার নান্দাই বেলতলা এলাকায়। মৃত ব্যক্তির নাম হরিহর আচার্য(৩৪)। নান্দাই এলাকাতেই তার বাড়ি। মৃতর পরিবারের দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ শনিবার তাঁত মালিক এবং তাঁর স্ত্রী ও কন্যাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ মনে করছে, তাঁত মালিকের স্ত্রীর সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়া নিয়ে বিবাদের জেরে যুবক খুন হয়ে থাকতে পারে। প্রকৃত কি ঘটনা ঘটেছে তা পুলিশ খতিয়ে দেখছে। মৃত যুবকের দাদা শ্যামসুন্দর আচার্য পুলিশকে অভিযোগে জানিয়েছেন, হরির আচার্য পেশায় ছিলেন তাঁত শ্রমিক। কয়েক বছর আগে তাঁর স্ত্রী তাকে ছেড়ে চলে গিয়েছে। তিনি স্থানীয় সঞ্জয় বিশ্বাসের বাড়িতে তাঁত বুনতে যেতেন। সেই সূত্রে হরিহরের সঙ্গে সঞ্জয়ের স্ত্রীর অবৈধ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। শুক্রবার রাতে হরিহর সঞ্জয়দের বাড়িতে যায়। অভিযোগ তখন তাঁকে ব্যাপক মারধর করা হয়। মরে যাওয়ার পর হরিহরের মৃতদেহ চুপিসারে তাঁদের বাড়িতে ফেলে দিয়ে সঞ্জয়রা পালিয়ে যায়। শনিবার সকালে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। শ্যামসুন্দরবাবু দাবি করেন, তাঁর ভাইয়ের শরীরে আঘাতের দাগ রয়েছে।তদন্তে নেমে পুলিশ অভিযুক্ত সঞ্জয়দের বাড়িতে গিয়ে তাদের উঠানে রক্তের দাগ দেখতে পায়। তারপরেই পুলিশ সঞ্জয় এবং তাঁর স্ত্রী ও কন্যাকে আটক করে কালনা থানায় নিয়ে যায়।

জানুয়ারি ২২, ২০২২
রাজ্য

বর্ধমানে রাইস মিলে গিয়ে বিক্ষোভে ফেটে পরলেন স্থানীয় মানুষজন

ফের গলসির ভদ্রেশ্বর মিলে গিয়ে ক্ষোভে ফেটে পরলেন গলসির পারাজ ও শিড়রাই অঞ্চলের চাষিরা। এদিন বেলা এগারোটা নাগাদ এলাকার বেশ কিছু চাষি ভদ্রেশ্বর কর্তৃপক্ষের কাছে ক্ষোভে ফেটে পরেন। কথা চলাকালীন সময় বিক্ষুব্ধ চাষিরা মিলের ভিতরে থাকা ধানের গাড়ি বের করে দেওয়ার চেষ্টা করে। অবশেষে বিকেলে সমাধানের আশ্বাসে পেয়ে বাড়ি ফিরে আসেন চাষিরা। চাষিদের দাবি, দীর্ঘদিন ধরে ওই মিলের পচা জল, ছাই ও গুড়ো ধুলো ভোগ করছেন তাঁরা। তাহলে তাদের ধান কেন নেবে না ওই মিল। তাঁদের বক্তব্য, মিলের উৎপাতে এলাকার ভুগর্ভস্থ জল সংকট দেখা দিয়েছে। যা তাঁরা সহ্য করছেন। মিলের ধুলো ও গুড়োতে তাঁদের চোখে পড়ছে তাও তাঁরা সহ্য করছে। তাহলে মিল কেন তাঁদের ধান সহায়ক মুল্যে কিনবে না। তবে মিল কতৃপক্ষের দাবী, ছাই, গুড়ো ও পচা জলের বিষয়ে চাষিরা সংস্লিষ্ট সরকারী দপ্তরে জানাক। সরকারে তাদের যেভাবে মিল চালাতে বলবে তারা সেই ভাবেই মিল চালাবেন। তাছাড়াও তারা সিপিসি র মাধ্যমে ধান কিনছেন। পারাজের চাষিদের ধান সরকার সহায়ক মুল্যে কিনে তাঁদের দিলে তাঁরা নিতে রাজি আছেন।এই বিষয়ে শিড়রাই গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান সেখ আব্দুস সামাদ জানান, গতবারের মতো এবার ধান নিচ্ছে না ওই মিল। তাদের অঞ্চলের অল্প কিছু চাষি ধান দিতে পেরেছে। এখনও বহু চাষী বাকি আছে।

জানুয়ারি ২২, ২০২২
রাজ্য

ব্যাংক ডাকাত ধরতে নাকা চেকিং, বর্ধমানে বাড়ছে অপরাধ মূলক কাজ

দিনে দুপুরে শহর বর্ধমানের প্রাণকেন্দ্রে থাকা ব্যাঙ্কে ঢুকে ৩৩ লক্ষ টাকা করে নিয়ে পালালো সশস্ত্র ডাকাত দল। দুঃসাহসিক এই ব্যাঙ্ক ডাকাতির ঘটনার কথা জানাজানি হতেই শুক্রবার বেলা থেকে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে শহর বর্ধমানে। খবর পেয়ে পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশ সুপার কামনাশিষ সেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কল্যান সিংহ রায় সহ বর্ধমান থানার পুলিশ কর্তারা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছান।পুলিশ কর্তাদের নির্দেশে দুস্কৃতীদের খোঁজে জেলার বিভিন্ন সড়কপথে শুরু হয় নাকা চেকিং। একই সঙ্গে ব্যাঙ্কসহ ঘটনাস্থল এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে দুস্কৃতীদের চিহ্নিতকরণের কাজ দীর্ঘ সময় ধরে চলে। যদিও দুস্কৃতীদের নাগাল পাওয়া না যাওয়ায় সিট গঠন করে শুরু হয়েছে ব্যাঙ্ক ডাকাতির ঘটনার তদন্ত। দুস্কৃতীরা কোথা থেকে এসেছে, কিভাবে এসেছে, কোন পথে পালালো সব প্রশ্নের উত্তর পুলিশের কাছে এখনও অধরাই রয়েছে।শহর বর্ধমানে ডাকাতির ঘটনা এই প্রথম ঘটলো এমনটা নয়। বছর দুই আগে ২০২০ সালের ১৭ জুলাই বর্ধমানের বি সি রোড এলাকায় থাকা স্বর্ণঋণ দানকারী সংস্থাতেও ঘটে ডাকাতির ঘটনা। কয়েকবছর আগে এই ব্যাংকের পাশেই আর একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক থেকে ৩৬ লক্ষ টাকা ডাকাতি হয়েছিল। ফের এদিন শহরের প্রাণকেন্দ্রে থাকা রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক শাখায় ঘটলো ডাকাতির ঘটনা। পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসনের হেড কোয়ার্টার শহর বর্ধমানকে কেন বারবার টার্গেট করছে দুস্কৃতীরা সেই বিষয়টি পুলিশ কর্তাদের বিশেষ ভাবে ভাবিয়ে তুলেছে।বর্ধমানের বৈদ্যনাথ ক্যাটারার বাজারের দোতলায় রয়েছে ব্যাঙ্কের শাখা অফিস। প্রত্যক্ষদর্শী ব্যাংকের এক আধকারিকের স্ত্রী দীপা কুমার জানান, তিনি তাঁর অসুস্থ স্বামীকে পৌনে ১০ টা নাগাদ ব্যাঙ্কে দিতে এসেছিলেন। ব্যাঙ্কে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গেই হিন্দিভাষী কয়েকজন যুবক ভদ্রভাবে তাঁকে ও তাঁর স্বামীকে বসতে বলে। তখন মনে করেছিলেন কোন শোকসভা ব্যাঙ্কে হচ্ছে। এরপরেই তাদের মোবাইল ফোন ওই যুবকরা নিয়ে নেয়। যুবকরা সংখ্যায় ৫-৬ জন ছিল।সবার হাতে আগ্নেআস্ত্র ছিল। যুবকদের মুখ ঢাকা ছিল। পিঠে ছিল স্কুল ব্যাগ। সবাইকে বসিয়ে রেখে যুবকরা ব্যাঙ্কের অন্য আধিকারিকের কাছে চাবি চাইছিল। কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই অপারেশন চালিয়ে সাড়ে ১০ টার মধ্যে দুস্কৃতীরা ব্যাঙ্ক ছেড়ে পালায়। যাওয়ার সময়ে ব্যাঙ্কের মূল গেটের দরজার বাইরে তালাচাবি দিয়ে দুস্কৃতীরা চলে যায়। ঘটনার সময়ে ব্যাঙ্কের ভিতরে থাকা অপর গ্রাহক অনিতা সরকার, সুষমা মল্লিক জানান, ব্যাঙ্ক চালু হতেই ৬ জনের একটি দুস্কৃতীদল ব্যাংকে ঢোকে। তাঁদের সকলের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র ছিল। মুখ ঢাকা ছিল কাপড় দিয়ে। তখন সবেমাত্র ব্যাঙ্কের শাখায় লেনদেন শুরু হয়েছে। সব মিলিয়ে হাতেগোনা ১০ - ১৫ জন গ্রাহক ব্যাংকের ভিতর। গ্রাহকদের সাবার মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে দুস্কৃতীরা ব্যাঙ্ক কর্মীদের মারধর করে লুটপাট চালানো শুরু করে দেয়। দ্রুত লুটপাট চালিয়েই দুস্কৃতিরা পালিয়ে যায়। দুস্কৃতীরা চলে যাওয়ার পরেই ব্যাঙ্কের অ্যালার্ম বেজে ওঠে। এরপরেই খবর পেয়ে জেলা পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্তারা ও বর্ধমান থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে ছূটো আসেন। ব্যাঙ্কের আধিকারিকদের পাশাপাশি ব্যাঙ্কের ভিতরে থাকা গ্রাহকদের সঙ্গেও কথা বলেন তদন্তে আসা পুলিশ আধিকারিকরা।ব্যাঙ্কের ম্যানেজার কুন্দন কিশোর দাবি করেছেন, ব্যাঙ্কের দুজন কর্মীকে মারধর করে দুস্কৃতিরা ব্যাঙ্ক থেকে ৩৩ লক্ষ টাকা লুট করে নিয়ে গিয়েছে। অপর ব্যাঙ্ক কর্মীদের বক্তব্য, আগ্নেআস্ত্র দেখিয়ে দুস্কৃতীরা ব্যাঙ্কের ভল্টের চাবি কড়ে নেয়। ভল্ট থেকে টাকা বের করে একটি ব্যাগে ভরে নিয়ে দুস্কৃতীরা হেঁটে ব্যাঙ্ক থেকে বেরিয়ে যায়। দুস্কৃতিরা ব্যাঙ্কের হার্ড ডিস্ক নিয়েও পালিয়ে গিয়েছে বলে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ দাবি করেছেন।পুলিশ সুপার কামনাশীষ সেন জানিয়েছেন, সিট গঠন করে তদন্ত শুরু হয়েছে। দুস্কৃতিদের নাগাল পেতে বিভিন্ন এলাকায় নাকা চেকিং চালানো হয়েছে। সি সি টিভি ফুটেজসহ বিভিন্ন দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দুস্কৃতীরা কোথাকার গ্যাং তা তদন্ত এগোলে জানা যাবে।এদিন যে ব্যাংকে ডাকাতি হয়েছে সেটা অত্যন্ত জনবহুল এলাকা। সেখান থেকে একেবারে কাছেই জেলা পুলিশ সুপার ও জেলাশাসকের অফিস। বর্ধমান থানাও অনতিদূরে। কিছু দিন আগে শহরের বিবেকানন্দ কলেজ মোড়ের কাছে গ্লাসফ্যাক্টরি থেকে দুজন হেরোইন কারবারিকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায় এসটিএফ (STF)। তাঁরা ওই এলাকায় বাড়ি কিনে বেআইনি মাদকের কারবার চালাতো বলে অভিযোগ। হেরোইন তৈরি করতো অভিযুক্তরা। ক্রমশ বর্ধমান শহরে আস্তানা গড়ছে অপরাধীরা, বাড়ছে অপরাধ মূলক কারবার।

জানুয়ারি ২১, ২০২২
রাজ্য

বর্ধমান উন্নয়ন সংস্থায় নেই স্থানীয় বিধায়ক, দায়িত্বে কাকলি

বর্ধমান উন্নয়ন সংস্থার (BDA) নতুন চেয়ারপার্সন ঘোষণা করলো রাজ্য পৌর ও নগরোন্নয়ন দফতর। শুক্রবার বিজ্ঞপ্তিতে একজন চেয়ারপার্সন ও ৯ জন সদস্যের নাম প্রকাশ করা হয়েছে। কিন্তু নতুন কমিটিতে সদস্য পর্যন্ত করা হয়নি বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক খোকন দাসকে। এই নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে জেলার রাজনৈতিক মহলে।এর আগে বর্ধমান উন্নয়ন সংস্থার চেয়ারম্যান ছিলেন প্রাক্তন বিধায়ক রবিবঞ্জন চট্টোপাধ্যায়। তাঁর মৃত্যুর পর পদটি দীর্ঘদিন ফাঁকা ছিল। বিডিএ-র দায়িত্ব দূরের কথা সদস্য়ও করা হয়নি বর্ধমানের বিধায়ক খোকন দাসকে। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী নতুন চেয়ারপার্সন হয়েছেন কাকলি তা গুপ্ত। ৯ জন সদস্যের মধ্যে রয়েছেন, পুর্ব-বর্ধমান জেলা পরিষদের সভাধিপতি, রাজ্য সরকারের অর্থ দফতরের প্রতিনিধি, পৌর ও নগরোন্নয়ন দফতরের প্রতিনিধি, পুর্ব-বর্ধমান জেলাশাসক, পুর্ব-বর্ধমান পুলিশসুপার, বর্ধমান পৌরসভার চেয়ারম্যান, বর্ধমান উত্তর বিধানসভার বিধায়ক নিশীথ মালিক, শুভব্রত মুখোপাধ্যায় ও বিডিএর চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার।প্রসঙ্গত কাকলি তা গুপ্ত দীর্ঘদিন তৃণমূল দলের সক্রিয় রাজনীতির সাথে যুক্ত। তিনি বর্ধমান-১ পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত-কর্মাধক্ষের দ্বায়িত্ব সামলেছেন। বর্তমানে তিনি বর্ধমান-১ পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য।

জানুয়ারি ২১, ২০২২
রাজ্য

বড়সড় ব্যাংক ডাকাতি বর্ধমানে, আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে লুঠ লক্ষ লক্ষ টাকা

বর্ধমানে ঘটে গেল বড়সড় ব্যাঙ্ক ডাকাতি। শুক্রবার সকালে ব্যাঙ্ক চালু হতেই ৬-৭ জনের একটি দুস্কৃতির দল ব্যাঙ্কে ঢোকে। তাদের প্রত্যকেরই হাতেই ছিল আগ্নেয়াস্ত্র। পিঠে ছিল স্কুল ব্যাগ। ডাকাতির ঘটনাটি ঘটে শহরের প্রাণ কেন্দ্র কার্জনগেটের পাশে বৈদ্যনাথ কাটরা-র ১ম তলে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের শাখায়। দুস্কৃতিদের মুখ ঢাকা ছিল কাপড় দিয়ে।তখন সবেমাত্র ব্যাঙ্কের শাখায় লেনদেন শুরু হয়েছে। হাতেগোনা ১০-১৫ জন গ্রাহক। দুস্কৃতীরা ব্যাঙ্কে ঢুকে গ্রাহকদের মোবাইল ফোন প্রথমে কেড়ে নেয়। তারপর ব্যাঙ্ক কর্মীদের মারধর করে লুটপাট চালায়। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই ডাকাতদলটি লুটপাট করে চম্পট দেয়। লুট করে পালানোর সময় ব্যাঙ্কের গেটে তালা দিয়ে যায় দুস্কৃতীরা, যাতে কেউ বেরিয়ে পুলিশে খবর না দিতে পারে। খবর পেয়েই ব্যাঙ্কে ছুটে যায় বর্ধমান সদর থানার পুলিশ। পৌঁছান জেলার পুলিশ সুপার কামনাশীষ সেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কল্যাণ সিংহ রায়।বর্ধমান শহরে ব্যাঙ্ক ডাকাতির ঘটনায় সিট গঠনের কথা জানানো হয় পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ সুপার কামনাশীষ সেন জানিয়েছেন, আনুমানিক ৩০ লক্ষ টাকা লুঠ করেছে দুস্কৃতীরা। ঘটনার পর জেলা জুড়ে নাকা চেকিং শুরু হয়েছে বলে জানান তিনি।

জানুয়ারি ২১, ২০২২
বিনোদুনিয়া

হাওড়া স্টেশনে রাত কাটানো থেকে নিজের বাড়ি, স্বপ্নপূরণ কাটোয়ার অভিনেত্রী মেয়ের

স্বপ্ন দেখতে আমরা সকলেই ভালোবাসি। স্বপ্নই আমাদের ভবিষ্যৎকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করে। জীবনে ভালো কিছু করার রসদ জোগায়। সাধারণ মানুষদের মতো অভিনেতা-অভিনেত্রীরাও জীবনে অনেক স্বপ্ন দেখেন। সেরকমই অভিনেত্রী মৌলী দত্ত কাটোয়া থেকে রঙিন স্বপ্ন নিয়ে কলকাতায় অভিনয় করতে আসেন। তার জন্য দিনের পর দিন হাওড়া স্টেশনের ওয়েটিং রুমে রাত কাটিয়েছেন হাসিমুখে শুধুমাত্র তাঁর স্বপ্নকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য।এরপর বেশ কয়েকবছর স্ট্রাগেল করার পর বর্তমানে অপরাজিতা অপু ধারাবাহিকে বর্ষার চরিত্রে অভিনয় করে দর্শকদের মন জয় করেছেন। এত ভালো অভিনয় করার পরেও তার একটা আক্ষেপ ছিল। কলকাতায় নিজের একটা বাড়ি হবে। অবশেষে তাঁর সেই স্বপ্নপূরণ হল। একসময় বালিশ দিয়ে ঘর বানাতে বানাতে নিজের বাড়ি হবে সেইসব চিন্তা মনে রামধনুর মতো স্বপ্নে রঙিনভাবে ছুঁয়ে যেত। কিন্তু এখন থেকে মৌলী নিজের বাড়িতেই আনন্দে ঘুমাতে পারবে। বালিশ দিয়ে ঘর বানানোর কথা ভাবতে হবে না।মৌলীর স্বপ্নপূরণমৌলী তার এই আনন্দ সোশ্যাল মিডিয়ায় সকলের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, স্বপ্নপূরণ ২০২২, গৃহপ্রবেশ ১৭/১/২২। বালিশ দিয়ে যখন থেকে ঘর বানাতাম তখন থেকেই ভাবতাম যে আমার একটা নিজের বাড়ি হবে আজ সেই স্বপ্নপূরণের দিন.. কর্মসূত্রে যখন কোলকাতায় আসি তখন কোলকাতা শহরে থাকার জায়গা ছিল না বলে বহুদিন হাওড়া স্টেশনের ওয়েটিং রুমে থেকেছি আজ আমার সেই কষ্টটা স্বার্থক . বাবা মা পাশে না থাকলে এই সবকিছু সম্ভবই হতনা .. আর যারা আমার পাশে ছিল তাদের অসংখ্য ধন্যবাদ যাদের পাশে পাইনি তাদেরও ধন্যবাদ কারণ তারা না থাকলে এইদিন দেখা হতোনা.সবার আর্শীবাদ কাম্যসত্যি তো স্বপ্ন তো এটাই হয়।একসময় যে হাওড়া স্টেশনের ওয়েটিং রুমে হাসিমুখে রাত কাটিয়েছে তার নিজের বাড়ি হয়েছে। আর সেই বাড়িতেই আরও বড় স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করার লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছে মৌলী। জনতার কথা টিমের পক্ষ থেকে মৌলীর জন্য রইল অনেক আশীর্বাদ।

জানুয়ারি ২১, ২০২২
রাজ্য

পুকুর থেকে উদ্ধার রক্তাক্ত যুবকের দেহ খুনের অভিযোগে গ্রেফতার বন্ধু, তুলকালাম দক্ষিণ বর্ধমান

বন্ধুকে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার হল এক যুবক। ধৃতের নাম উত্তম রায়। পূর্ব বর্ধমানের খণ্ডঘোষ থানার শাঁকারি গ্রামের দক্ষিণপাড়ায় তার বাড়ি। বন্ধু প্রসেনদীপ রায়কে খুনের অভিযোগে পুলিশ বুধবার গভীর রাতে বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করে। বৃহস্পতিবার ধৃতকে পেশ করা হয় বর্ধমান আদালতে। খুনের ঘটনা বিশদে জানতে এবং বাকি জড়িতদের হদিশ পেতে তদন্তকারী অফিসার ধৃতকে ৫ দিন নিজেদের হেফাজতে নিতে চেয়ে আদালতে আবেদন জানায়। সিজেএম ধৃতের ৪ দিনের পুলিশি হেফাজত মঞ্জুর করেছেন।পুলিশ জানিয়েছে, শাঁকারি গ্রামের যুবক প্রসেনদীপ রায়ের বাড়ি শাঁকারি গ্রামেই। গত ১৪ নভেম্বর সন্ধ্যায় সে বাড়ি থেকে বের হয়। গ্রামের ফুলশিরে পুকুরপাড়ে কয়েকজন বন্ধুর সাথে তাকে গল্পগুজব করতে দেখাযায়। তারপর রাতে প্রসেনদীপ বাড়ি না ফেরায় পরিবারের লোকজন বিভিন্ন জায়গায় তার খোঁজ শুরু করেন। পুকুরপাড়েও প্রসেনদীপের হদিশ পাওয়া যায় না। পরেরদিন দুপুরে ফুলশিংরে পুকুরে জাল ফেলে তল্লাশি চালানো হয়। তখনই উদ্ধার হয় প্রসেনদীপের দেহ। তাঁর কান ও নাক দিয়ে রক্ত বেরিয়েছিল। ঘাড়ে কালশিটে দাগ ছিল। পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তে পাঠায়। মৃতের পরিবারের দাবি, প্রসেনদীপকে খুন করা হয়েছে। এনিয়ে পরিবারের তরফে থানায় জানানো হয়। থানা ব্যবস্থা না নেওয়ায় মৃতের দাদা সন্দীপ রায় বর্ধমান সিজেএম আদালতে মামলা করেন। তাঁর অভিযোগ, প্রসেনদীপকে পরিকল্পিতভাবে খুন করে প্রমাণ লোপাটের জন্য দেহ পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়। এই ঘটনায় প্রসেনদীপের বন্ধুরাই জড়িত। সিজেএম খুন ও প্রমাণ লোপাটের ধারায় কেস রুজু করে তদন্তের জন্য খণ্ডঘোষ থানার ওসিকে নির্দেশ দেন। অভিযোগে সন্দীপ জানান, একই গ্রামের হওয়া সত্বেও প্রসেনদীপকে তাঁরা অভিযুক্তদের সঙ্গে মেলামেশা করতে নিষেধ করেন। ঘটনার কয়েকমাস আগে প্রসেনদীপের সঙ্গে তাদের ঝগড়া হয়। ঘটনার ৫-৬ দিন আগে থেকে বন্ধুদের সঙ্গে ফের মেলামেশা শুরু করেন তিনি। ঘটনার দিন রাতে উত্তম সহ কয়েকজনের সঙ্গে ফুলশিংরে পুকুর পাড়ে তাঁকে আড্ডা মারতে দেখা যায়। তাঁর বন্ধুরা মদ খাচ্ছিল। গ্রেপ্তারি এড়াতে উত্তম সহ ৫ অভিযুক্ত আগাম জামিনের আবেদন করে। সেই আবেদন খারিজ করে দেন জেলা জজ।

জানুয়ারি ২০, ২০২২
রাজ্য

প্লাস্টিক চাল সন্দেহে এবার হুলস্থুল বাঁধলো বর্ধমানের আইসিডিএস সেন্টারে

প্লাস্টিকের ডিমের মতোই এবার প্লাস্টিক চাল সন্দেহে বাঁধলো হুলস্থুল কাণ্ড। আইসিডিএস সেন্টারে প্লাস্টিক চাল পাঠানো হয়েছে এমন অভিযোগ এনে চালের গাড়ি পর্যন্ত আটকে রেখে বিক্ষোভে ফেটে পড়লো গ্রামবাসীরা। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে বর্ধমান ২ ব্লকের শক্তিগড় থানার আমড়া গ্রামে। খবর পেয়ে শক্তিগড় থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি সামাল দেয়। পরে যদিও জানা যায় আইসিডিস সেন্টারে পাঠানো যে চালকে গ্রামবাসীরা প্লাস্টিক চাল বলে ভাবছেন তা আসলে পুষ্টিগুন সম্বৃদ্ধ একধরনের চাল। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শক্তিগড় থানার আমড়া মসজিদতলা এলাকায় রয়েছে আইসিডিএস সেন্টার। বস্তায় ভরা চাল এদিন বেলায় গাড়িতে লোড হয়ে ওই আইসিডিএস সেন্টারে আসে। বস্তা থেকে চাল বের করে কয়েকজন হাতে নিয়ে দেখেন। চালের রং সাধারণ চালের মত না হয়ে সাদা হওয়ায় তারা হুলস্থুল বাধিয়ে দেন। আইসিডিএস সেন্টারে প্লাস্টিক চাল পাঠানো হয়েছে বলে এলাকায় রটে যায়। তার পরেই চালের গাড়ি আটকে গ্রামবাসীরা বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। এলাকার বাসিন্দা শেখ জুলফিকার ইসলাম জানান, আইসিডিএস সেন্টারে যে চাল পাঠানো হয়েছে তাতে আগুনে দিলেই সাথে সাথে পুড়ে যাচ্ছে না। সেই কারণেই ওই চাল প্লাস্টিক চাল বলে তাঁদের মধ্যে সন্দেহ তৈরি হয়।আইসিডিএস কেন্দ্রের কর্মী আলিয়া খাতুন বলেন, প্রত্যেকবার পরিস্কার চাল আমাদের সেন্টারে আসে। কিন্তু বৃহস্পতিবার সকালে চাল আসা মাত্র আমরা বস্তা খুলে দেখি সাদা রংয়ের একরকম চাল এসেছে। ওই চাল দেখা মাত্রই আমরা বিষয়টি স্থানীয় মানুষজনকে জানাই। সরকারি নির্দেশ না আসা পর্যন্ত ওই চাল সেন্টারে শিশুদের দেওয়া বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে আলিয়া খাতুন জানিয়েছেন। এলাকার পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য লব কুমার দাস জানান, খালি চোখে দেখে চালের গুণগত মান নির্ধারণ করা সম্ভব নয়। তবে গ্রামবাসীদের অভিযোগের সত্যতা যাচাই করে তবেই ওই চাল বিলি বন্টন করা হবে।বর্ধমান ২ নম্বর ব্লকের বিডিও সুবর্ণা মজুমদার জানিয়েছেন, আইসিডিএস সেন্টারে যে চাল পাঠানো হয়েছে তা নিয়ে কোনো সমস্যা নেই। ওই চাল আসলে পুষ্ঠিগুণ সমৃদ্ধ একধরণের ফর্টিফায়েড চাল। এই চাল সম্পর্কে সাধারণ মানুষের সচেতনার অভাব রয়েছে।সেই কারণেই এই ঘটনা ঘটেছে। বিষয় বিষয়টি নিয়ে ব্লক প্রশাসনের তরফে মানুষকে সচেতন করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।

জানুয়ারি ২০, ২০২২
রাজ্য

কাটোয়ায় গিয়ে গ্রামবাসীদের কাছে কার্যত ঘাড়ধাক্কা খেয়ে ফিরলেন সাংসদ

বিধানসভা ভোটের সময়ে বিজেপিতে ভিড়ে গিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিষোদগার করেছিলেন সাংসদ সুনীল মণ্ডল। ভোটে বিজেপির ভরাডুবির পরেই তৃণমূলেই আছি বলে দাবি করলেও সুনীল মণ্ডল তৃণমূল কর্মীদের মন ভোলাতে পারেননি। যার পরিণাম স্বরুপ বুধবার নিজের সংসদ এলাকা পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ায় গিয়ে কার্যত ঘাড় ধাক্কা খেলেন সুনিলবাবু।তাঁকে ঘিরে গোব্যাক শ্লোগান দেবার পাশাপাশি গ্রামবাসীরা সুনীল মণ্ডলকে চোর বলেও অভিহিত করেন। কাটোয়ায় আর না ঢোকার কথাও সাংসদকে হুমকিও দেন গ্রামবাসীরা। উত্তেজনা চরমে উঠতে থাকায় নিরাপত্তারক্ষীরা তড়িঘড়ি সাংসদকে নিয়ে গ্রাম ছাড়েন। বিক্ষোভে পড়া নিয়ে সুনীল মণ্ডল মুখে কুলুপ আঁটলেও এই ঘটনা শোরগোল ফেলে দিয়েছে রাজনৈতিক মহলে।প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, কাটোয়ায় মালঞ্চ থেকে দেয়াসিন যাওয়ার পথে পাকা সেতু তৈরির কাজ পাঁচ বছর ধরে ঝুলে রয়েছে। ঠিকাদার বদলে সম্প্রতি ফের নতুন করে কাজ শুরু হয়েছে। এদিন সেই সেতু তৈরির কাজ পরিদর্শনে গিয়ে সাংসদ সুনীল মণ্ডল গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন।মালঞ্চ এলাকার বাসিন্দারা অভিযোগ করেন, তৃণমূলের প্রতীকে সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন সুনীল মণ্ডল।সংসদ সদস্য তহবিল থেকে এই মালঞ্চ সেতু তৈরির জন্য ২০১৮ সালে ২ কোটি ২৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়৷ ব্রম্ভানী নদীর উপরে কয়েকটি পিলার তৈরির কাজ হয়েছে মাত্র। তারই মধ্যে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার কাজ অসমাপ্ত রেখেই কাজ ছেড়ে দেয়। এরপরে সেতু নির্মানের কাজ বন্ধ হয়ে যায়। পরে ফের অন্য ঠিকাদার কাজ শুরু করেছে। সেতু তৈরির কাজে যুক্ত লোকজনের ৫ বছর ধরে প্রায় ১৫ থেকে ২০ লক্ষ টাকা পাওনা রয়েছে। সাংসদ সুনীল মণ্ডল বার বার প্রতিশ্রুতি দিলেও সেই টাকা আজও মেলেনি। এছাড়াও বিধানসভা ভোটের সময়ে বিজেপিতে ভিড়ে গিয়ে কাটোয়ার তৃণমূল বিধায়ক সহ তৃণমূলের নেতাদের নানা হুমকি দিয়ে ছিলেন। এইসবেরই ক্ষোভ এদিন আছড়ে পড়েছে বর্ধমান পূর্বের সাংসদ সুনীল মণ্ডলের উপর।যদিও সনীল মণ্ডল বলেন, সেতু তৈরির কাজের ঠিকাদারের সঙ্গে গ্রামবাসীদের কি চুক্তি হয়েছিল তা আমার জানা নেই। আগের ঠিকাদার এখন আর কাজ করছে না। ওই ঠিকাদার বলছে এরা দু চার লক্ষ টাকা পাবে। অথচ গ্রামবাসীরা বলছে ২০ লক্ষ টাকা পাবে। গ্রামবাসীদের সঙ্গে ওই ঠিকাদারের গন্ডোগোল কি হয়েছে তা মিটিয়ে দেওয়ার কথা আমি জেলাশাসককে বলেছিলাম এরমধ্যে তো আর আমি নেই৷ পাশাপাশি সুনীল মণ্ডল এও বলেন, একটা ভুল বোঝাবুঝির জন্য আমি বিজেপি তে চলে গিয়েছিলাম। সেটা তো মিটে গিয়েছে। আমি এখন তৃণমূলের সঙ্গেই আছি। সেটা মমতা দিদিও জানেন।বিক্ষোভে অংশ নেওয়া গ্রামবাসী আশীষ কুমার মণ্ডল বলেন, সেতু তৈরির কাজে যুক্ত হয়ে গ্রামে অনেক শ্রমিক টাকা পাননি। সাংসদ সুনীল মণ্ডল আমাদের টাকা ফেরতের আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু আজও দেননি। আরেক বাসিন্দা তুফান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, চুক্তি অনুযায়ী তাঁরা ২০১৮ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট ৭ লক্ষ ৩০ হাজার টাকার মালপত্র সাপ্লাই করেছেন। কিন্তু আজও সেই টাকা পাইনি।এদিকে সাংসদ সুনীল মণ্ডলকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখানো প্রসঙ্গে কাটোয়ার বিধায়ক তথা পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূলের সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, বিক্ষোভের বিষয়ে আমার জানা নেই। কি নিয়ে বিক্ষোভ সেই বিষয়ে খোঁজ নেবেন। তবে কাজ করে কারুর টাকা পাওনা হয়ে থাকলে তা মেটানো উচিত।

জানুয়ারি ১৯, ২০২২
রাজ্য

বর্ধমানের হেরোইনের কারবারির ডেরায় ফের হানা এসটিএফের, উদ্ধার গোপন ডায়েরি

বর্ধমানের হেরোইনের কারবারির ডেরায় ফের বুধবার অভিযান চালালো এসটিএফ। গত ১০ জানুয়ারি স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের (এসটিএফ) অভিযান চালিয়ে শহর বর্ধমানের উপকন্ঠে পাল্লা- শ্রীরামপুর এলাকায় নিষিদ্ধ মাদক দ্রব্য হেরোইন তৈরির কারখানার হদিশ পায়। অভিযানে উদ্ধার হয় ১৩ কেজি হেরোইন ও হেরোইন তৈরির উপকরণ সহ ২০ লক্ষাধিক টাকা এভং টাকা গোনার মেশিন। হেরোইন তৈরিতে যুক্ত থাকার অভিযোগে ওই দিনই এসটিএফ আধিকারিকরা বাবর মণ্ডল ও তাঁর ছেলে রাহুল মণ্ডলকে গ্রেফতার করে। বর্ধমানের বাড়িতে বসে বাবর ও তাঁর ছেলে রাহুল হেরোইন কারবারের জাল দেশের যেখানে যেখানে ছড়িয়েছেন তার শিকড়ে পৌছতো চাইছেন এসটিএফ আধিকারিকরা। ধৃত দুজনকে হেফাজতে নিয়ে তারই উৎস সন্ধানে এদিন ফের বর্ধমানে অভিযানে চালান এফটিএফ আধিকারিক দল। একটি দল হানা দেয় বাবর মণ্ডলের গোপাল নগরের বাড়িতে। সেখানে বাবর মণ্ডলের স্ত্রী সাবিনা মণ্ডল ও ছোট ছেলে রাজ মণ্ডলকে নিয়ে এসটিএফ আধিকারিকরা বর্ধমানের বিবেকানন্দ কলেজ মোড় এহাকার বাড়িতে যায়। ঘন্টা খানেক ধরে বাবর মণ্ডলকে নিয়ে ওই বাড়িতে তল্লাশি চালায় এসটিএফ। তখনই বাড়িতে থেকে বহু মূল্যের বেশ কয়েকটি জায়গার দলিল উদ্ধার হয়। এছাড়াও একটি নীল রঙের ডাইরী উদ্ধার হয়েছে।এসটিএফ আধিকারিকদের দাবি, কোথায় কাদের কাদের হেরোইন সরবরাহ হত বর্ধমান থেকে তার তথ্য ওই ডাইরি থেকে পাওয়া গিয়েছে। পাশাপাশি বাড়িতে থাকা একটি বিলাসবহুল দামী চারচাকা গাড়িটিও এদিন এসটিএফ সিজ করে নিয়ে যায়। সঙ্গে বর্ধমান থানার পুলিশও থাকে । এসটিএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, হেরোইন কাণ্ডে এখনও পর্যন্ত মোট ৬ জন গ্রেফতার হয়েছে। তাঁদের মধ্যে উড়িষ্যা থেকে দুজন ও মনিপুর থেকে দুজনকে এসটিএফ গ্রেফতার করে।

জানুয়ারি ১৯, ২০২২
রাজ্য

সেচ দফতরের জমি দখলের অভিযোগ তৃণমূলের উপপ্রধানের বিরুদ্ধে

তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত পঞ্চায়েতের উপপ্রধানের মদতে ঘটেছে সেচ দফতরের সরকারি জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে। এমনই অভিযোগ এনে সোচ্চার হলেন পঞ্চায়েতেরই দুই সদস্যর। ঘটনাটি ঘটেছে বর্ধমানের বৈকুন্ঠপুর ২ নম্বর পঞ্চায়েতের গোপালনগর এলাকায়। পঞ্চায়েত সদস্যা মিতা দাসের অভিযোগ, গোপালনগর এলাকার সেচ দপ্তরের জায়গা পঞ্চায়েতের উপপ্রধানের মদতে স্থানীয় তৃণমূল নেতা মহম্মদ হোসেন রাতারাতি বাঁশ দিয়ে ঘিরে ফেলেছেন। শাসকদলের তকমা লাগিয়ে অর্থের লোভে অবৈধভাবে কাগজপত্র তৈরী করে এই সরকারি জায়গাটি বিক্রি করে দেওয়ার চক্রান্ত করছে তারা। এই বিষয়ে বৈকুন্ঠপুর-২ পঞ্চায়েতের সদস্য মিতা দাস ও আরেক সদস্য হেমন্ত খাঁ প্রতিবাদ জানিয়েছেন। এই বিষয়ে দুই সদস্য বর্ধমান সেচ দপ্তর ও বৈকুন্ঠপুর পঞ্চায়েতে অভিযোগ জানিয়েছেন। তাঁদের দাবী, প্রশাসন সরকারি জায়গাটি অসাধু প্রমোটারদের হাত থেকে পুনরুদ্ধার করুক। সেই সঙ্গে এই জায়গায় শিশুদের জন্য পার্ক বা স্বচ্ছ জল প্রকল্পের মতো পরিকল্পনা গ্রহন করুক যাতে গ্রামবাসীরা উপকৃত হয়। ঘটনার খবর পেয়ে এদিন ঘটনাস্থলে যায় বর্ধমান থানার পুলিশ। পঞ্চায়েত সদস্য হেমন্ত খাঁ পুলিশ কে বলেন, উপপ্রধানের মদতেই এলাকায় নানা অনৈতিক কাজ হচ্ছে । বৈকন্ঠপুর ২ গ্রাম পঞ্চায়েত মাঝেমধ্যেই গোষ্ঠী কোন্দলের কারণে খবরের শিরোনামে আসে। এই পঞ্চায়েতের প্রধান আসনটি তপশিলি মহিলা সংরক্ষিত। গোষ্ঠীকোন্দলের জেরে পদত্যাগ করেছেন আগের প্রধান। বর্তমানে উপপ্রধানই সমস্ত কার্যভার সামলাচ্ছেন। যদিও দলের উর্ধতন কর্তৃপক্ষ গোষ্ঠী কোন্দলের কথা অস্বীকার করেন। বর্তমানে সমস্ত দ্বায়িত্ব সামলানো উপপ্রধান গোপাল বিশ্বাস তার বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। পঞ্চায়েত সদস্যরা তাঁর নামে কেন অভিযোগ করছেন এবিষয়ে তিনি কিছু বলতে চাননি। পাশাপাশি ওই সদস্যদের জমি দখল সংক্রান্ত অভিযোগ পেয়েছেন এবং ঘটনার তদন্ত হবে বলে জানান তিনি। যার বিরুদ্ধে মূল অভিযোগ সেই স্থানীয় তৃণমূল নেতা মহঃ হোসেন টেলিফোনে জানিয়েছেন, এই ঘটনার সঙ্গে তিনি যুক্ত নন। এই বিষয়ে জেলা পরিষদের সভাধিপতি শম্পা ধারা বলেন, খোঁজ নিয়ে দেখছি। তবে বেআইনী কিছু করা যাবে না।

জানুয়ারি ১৮, ২০২২
রাজ্য

এলাকা দখল নিয়ে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে উত্তপ্ত বর্ধমান

এলাকা দখলকে কেন্দ্র করে ফের মারপিট সংঘর্ষে জড়ালো শাসক দলের দুই গোষ্ঠী। দলীয় কার্যালয়েও ভাঙচুর চালানো হয়। ঘটনায় একজন জখম হয়েছেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বর্ধমানের নবাবহাট এলাকা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি সামাল দেয়। বর্ধমান ১ নম্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি কাকলি গুপ্ত তা ও বেলকাশ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান জাহানারা খাতুনের অনুগামীদের মধ্যে দ্বন্দ্বের জেরে এই ঘটনা ঘটে বলে জানা গিয়েছে। প্রধানের অনুগামী তথা ঘটনায় আহত সেখ আজিমের অভিযোগ, সকালে ব্লক সভাপতি কাকলি গুপ্ত তায়ের অনুগামী দিলীপ ও ইসলামের নেতৃত্বে ১৫ জনের একটি দল লাঠি, বন্দুক ও তলোয়ার নিয়ে নবাবহাটের যুব তৃণমূল কংগ্রেস কার্যালয়ে আক্রমণ চালায়। ভাঙচুর চালানো হয় অফিসে। প্রতিবাদ করলে তাদের বেশ কয়েকজন কর্মীকে মারধর করা হয়। মূলত বাসস্ট্যাণ্ড এলাকার দখল নিতেই আক্রমণ চালানো হয়েছে বলে তার অভিযোগ।যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে ব্লক সভাপতি কাকলি গুপ্ত তা জানান, এটা নিতান্তই দুটি পাড়ার ঘটনা। এর সঙ্গে দলের কোনও যোগ নেয়। ইচ্ছাকৃতভাবেই দল ও তাঁর নাম জড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। দলীয় কার্যালয়ে ভাঙচুর যারা করেছেন তাদের চিহ্নিত করে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।বিজেপি বর্ধমান সদর সাংগঠনিক জেলার সম্পাদক মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্র জানান, তৃণমূলের তোলাবাজি নিয়ে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নতুন কিছু নয়। নবাবহাট বাসস্ট্যাণ্ডে তৃণমূলের নাম করে তোলা আদায় করা হয় সেই টাকার ভাগ নিয়েই এই দ্বন্দ্ব। যার ফলে এলাকার মানুষ ভিত সন্ত্রস্ত। যা কাম্য নয়। প্রশাসনের অবিলম্বে বিষয়টি দেখা দরকার। অন্যদিকে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা অস্বীকার করে পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস জানান, ঘটনার সঙ্গে দল কোনওভাবেই যুক্ত নয়।যে, বা যারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসন ব্যবস্থা নিক।

জানুয়ারি ১৮, ২০২২
রাজ্য

রাজ্যে পঞ্চায়েতের কাজ খতিয়ে দেখতে কেন্দ্রের বিশেষ প্রতিনিধি দল

একশো দিনের প্রকল্প এবং আবাস যোজনার কাজ সরেজমিনে দেখতে দিল্লি থেকে রাজ্যে এল কেন্দ্রীয় দল। ছদিন ধরে গত দুবছরে ১০০ দিনের প্রকল্পে কী-কী হয়েছে, আবাস যোজনার কাজ নিয়ম মেনে হয়েছে কি না, সরেজমিন পরিদর্শন করবে রাজ্যে আসা আটটি দল। পূর্ব বর্ধমান, দুই চব্বিশ পরগনা, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, কোচবিহার, উত্তর দিনাজপুর, দুই মেদিনীপুর, জলপাইগুড়ি, হুগলি, পুরুলিয়া, আলিপুরদুয়ার, বাঁকুড়া, মালদহ ও বীরভূম জেলায় তিন-চারটে ব্লকের ১০-১২টি পঞ্চায়েতে তারা ঘুরবেন। ২০১৯-এর শেষ দিকে আগে এ রকমই কেন্দ্রীয় দল এসে পূর্ব বর্ধমান ও হুগলিতে ১০০ দিনের কাজে বেশ কিছু অনিয়ম খুঁজে পাওয়ার দাবি করে রাজ্যকে রিপোর্ট করে। তার ভিত্তিতে বেশ কয়েকটি পঞ্চায়েতকে টাকা ফেরতের নির্দেশ দেওয়া হয়। রাজ্য প্রশাসন সেই সূত্র ধরে পঞ্চায়েতের কর্তাদের বিরুদ্ধে এফআইআর-ও করেছিল।বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ কয়েকদিন আগে দাবি করেন, এ রাজ্যে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার দুর্নীতি নিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে তথ্য দিয়ে এসেছিলেন। আর ১০০ দিনের কাজে সব থেকে বেশি টাকা পায় পশ্চিমবঙ্গ। সেখানেও দুর্নীতির অজস্র অভিযোগ। সে সব অভিযোগ খতিয়ে দেখতেই সম্ভবত কেন্দ্রের বিশেষ দল আসছে।জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, গত দুবছরের প্রকল্পের কাজের সব নথি ঠিক করে রাখতে বলা হয়েছে। প্রকল্পের কাজের সব রসিদ, ক্যাশবুক থেকে সাতটি রেজিস্টার যথাযথ ভাবে পূরণ করে রাখার জন্য পঞ্চায়েতগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যে প্রকল্পে কাজ চলছে, সেখানে যাতে কাজের নাম, বরাদ্দ, কাজের বিবরণ-সহ বোর্ড টাঙানো থাকে, তা-ও সুনিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা বা বাংলা আবাস যোজনায় ২১০ বর্গফুটের মধ্যে বাড়ি করার নিয়ম। তা মানা হয়েছে কি না, যোগ্য প্রাপক বাড়ি পেয়েছেন কি না, জিও ট্যাগিং যথাযথ হয়েছে কি না কিংবা বাড়ির বাইরে লোগো দেওয়া বোর্ড লাগানোর মতো খুঁটিনাটি বিষয় খতিয়ে দেখা হবে।জেলা পরিষদের সভাধিপতি শম্পা ধাড়া বলেন, জেলার চারটি ব্লকে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল যাবে।খণ্ডঘোষ, মঙ্গলকোট,আউশগ্রাম ২ ও গলসি ২ নম্বর ব্লকে প্রতিনিধি দলের সদস্যরা যাবেন। সোমবার কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের দুই সদস্য জেলা প্রশাসনের সঙ্গে প্রথমে বৈঠক করেন। তারপর তারা খণ্ডঘোষ ব্লকের লোদনা পঞ্চায়েতে যান। সভাধিপতি বলেন, প্রতিবছরই কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল আসে। এটা নতুন কিছু নয়। পাশাপাশি তিনি দাবী করেন, কেন্দ্রীয় দলের সদস্যরা লোদনা পঞ্চায়েতের কাজ দেখে খুশী হয়েছেন।অন্যদিকে বিজেপির জেলা সম্পাদক মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্র বলেন,আবাস যোজনার ঘর ও একশো দিনের কাজ নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ করেন বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। তার পরিপেক্ষিতে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে দলের পক্ষ থেকে বিষয়টি জানানো হয়। আশা করছি কেন্দ্রীয় দল আসায় এবার সত্য উদঘাটন হবে।

জানুয়ারি ১৭, ২০২২
রাজ্য

কুঁড়ে ঘরের খুদে শিল্পীর মায়াবী গানের সুরের জাদুতে মুগ্ধ সংগীতপ্রেমীরা

চারপাশে সবুজে ভরা ক্ষেত। তারাই মাঝে কোনওরকমে মাথা তুলে দাঁড়িয়ে আছে ভাঙা ফুটো একচিলতে কুঁড়ে ঘর। প্রতিদিন সকাল সন্ধ্যে সেই কুঁড়ে ঘর থেকে ভেসে আসে শিশু পুত্র অভিষেক সানার মায়াবী কন্ঠে ভরা লোক গানের সুর। নিথুর প্রেম ভিখারি করেছে মোরে। মা হারানো অভিষেকের গাওয়া এই গানের সুর মূর্ছনাতেই মোহিত পূর্ব বর্ধমানের বড়শুলের আট থেকে আশি সকলে। মায়াবী কন্ঠে ভরা গানের জাদুতেই একরত্তি ছেলে অভিষেক গ্রামের সকলের মনের মনিকোঠায় স্থান করে নিয়েছে। বড়শুলের সকল বাসিন্দাই মনেপ্রাণে চান দিন দরিদ্র পরিবারের ছেলে অভিষেক বড় হয়ে নামজাদা বাউল কিংবা লোকগানের শিল্পী হোক। অভিষেকও সেই স্বপ্নকে আঁকড়েই নিজেদের কুঁড়ে ঘরে নিত্যদিন রেওয়াজ চালিয়ে যাচ্ছে।আরও পড়ুনঃ পুরভোট বন্ধ নিয়ে সরাসরি রায় নয় হাইকোর্টের, নির্বাচন পিছানোর সিদ্ধান্ত বর্তাল কমিশনের ওপরবর্ধমান সদর ২ ব্লকের বড়শুল ২ পঞ্চায়েতের প্রত্যন্ত গ্রাম বালিমাঠ। এই গ্রামের চারপাশে থাকা চাষের জমির মাঝেই রয়েছে ছিটেবেড়া আর খড়ের চালার তৈরি অভিষেকদের কুঁড়ে ঘরটি। নিজভূমি নিজগৃহ প্রকল্পে পাওয়া জায়গায় গড়ে তোলা ভাঙা ফুটো সেই ঘরেই ৯ বছর বয়সী অভিষেক ও তাঁর ছোট ভাই সহ বাবা, বৃদ্ধা ঠাকুমা ও পিসি বসবাস করেন। জায়গা মিললেও এখনও পাকা বাড়ি তাঁদের মেলেনি। অভিষেকের যখন ৪ বছর বয়স তখন তাঁকে ও তাঁর ছোটভাই কৌস্তভ কে বাড়িতে ফেলে রেখে গায়েব হয়েযান মা ভারতীদেবী। অভিষেকের বাবা তারকচন্দ্র সানা বালি খাদানে শ্রমিকের কাজ করে যৎসামান্য যা রোজগার করেন তা দিয়েই তাঁদের দিন গুজরান হয়। অভিষেক বড়শুল নিম্নবুনিয়াদি বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র। তাঁর ভাই কৌস্তভ একই বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণীর পড়ুয়া। বাড়িতে বিদ্যুতের বাতির আলোয় পড়াশুনা করার সৌভাগ্যও এখনও তাঁদের হয়নি। সন্ধ্যা নামলেই লম্ফ অথবা হারিকেনের আলোই ভরসা অভিষেকদের। তবে কষ্টের সংসারে অভিষেকই গানের সুরে সবার মন ভুলিয়ে রেখেছে।তারকচন্দ্র সানা জানিয়েছেন, তিনি গান-বাজনা ভালোবাসেন। বাউল ও লোকগান শোনার টানে আগে তিনি বীরভূমে জয়দেবের মেলায় যেতেন। তখন ছোট্ট অভিষেককেও সঙ্গে নিয়ে যেতেন। জয়দেব মেলায় হাজির হওয়া বাউল ও লোকগানের শিল্পীদের গাওয়া গান শুনে অভিষেকেরও গান গাওয়ার প্রতি আগ্রহ তৈরি হয়। প্রথমদিকে সে বাড়িতেই গুনগুন সুরে গান গাইতো। তা দেখে অভিষেককে একটা হারমোনিয়াম কিনে দেয় ওর মামারা। হারমোনিয়াম পাওয়ার পর প্রথম প্রথম অভিষেক নিজেই হারমোনিয়াম বাজিয়ে গান করতো। বছর দুই হল বড়শুল নিবাসী মঙ্গল কালিন্দী কোনও পারিশ্রমিক না নিয়ে গান শেখাচ্ছেন অভিষেককে। মঙ্গলবাবু নিজেই গান লিখে গানের সুর দেন। সেই গানই এখন গেয়ে অভিষেক বড়শুলবাসীর মন জয় করে নিয়েছে। পাশাপাশি অভিষেক তাঁর নিজের ছোট ভাই কৌস্তবকেও একটু একটু করে গানের তালিম দিচ্ছে।আরও পড়ুনঃ যন্ত্রের যুগেও গ্রাম বাংলায় পৌষ পার্বণের পিঠে-পুলি তৈরিতে আজও অনবদ্য ঢেঁকিখুদে শিল্পী অভিষেক জানিয়েছে, বাবার হাত ধরে সে জয়দেবের মেলায় যেত। সেখানে বাউল ও লোকগানের শিল্পীদের গাওয়া গান শুনেই সে গান গাওয়ার ব্যপারে অনুপ্রাণিত হয়। অভিষেক এও জানায়, বাউল ও লোকগান শেখার প্রতিই তাঁর টান বেশী। বড় হয়ে স্বনামধন্য বাউল গানের শিল্পী হতে চায় বলে অভিষেক। মঙ্গল কালিন্দী বলেন, তাঁর ছাত্র অভিষেকের প্রতিভা রয়েছে। গান গেয়ে এত ছোট বয়সে ও যে ভাবে সবার মন জয় করে নিয়েছে সেটাই সবথেকে গৌরবের বলে মঙ্গলবাবু দাবি করেছেন। এলাকার বাসিন্দা নয়ন মণ্ডল বলেন, মায়াবী কন্ঠে ছোট্ট অভিষেকের গাওয়া গান তাঁদের মুগ্ধ করে।আরও পড়ুনঃ বেসরকারি বাসপরিবহণ শিল্পে তীব্র সংকট, সরকারি সাহায্য জরুরিঅভিষেকের গাওয়া গানের সুর মর্ছনাতেই এখন মোহিত বড়শুলবাসী। দূর দূরান্তের সংগীত প্রেমীরাও অভিষেকের কন্ঠে গান শুনতে এখন তাদের কুঁড়ে ঘরে হাজির হচ্ছে। বর্ধমান ২ ব্লকের বিডিও সুবর্ণা মজুমদার ও ছোট্ট অভিষেকের গাওয়া গান শুনে মুগ্ধ। জানা গিয়েছে, তিনি অভিষেক ও তাঁর পরিবারকে সহায়তা প্রদানের ব্যাপারে উদ্যোগী হয়েছেন। অভিষেকের প্রতিভার কথা শুনে যারপরনায় মুগ্ধ বিশিষ্ঠ বাউল গান শিল্পী তথা অমৃত বাউল লোকগান প্রসার সমিতির রাজ্য সম্পাদক মণিমোহন দাস। তিনি জানিয়েছেন, অভিষেকের বাবা চাইলে তিনি সহ তাঁদের সংগঠনের অন্য শিল্পীরাও বিনা পারিশ্রমিকে অভিষেককে গান শেখাতে রাজি রয়েছেন। তবে অভিষেকের বাড়ি গিয়ে হয়তো গান শেখানো সম্ভব হবে না।অমৃত বাউল লোকগান প্রসার সমিতির আখড়ায় এসে অভিষেককে গান শিখতে হবে। অভিষেককে দিয়ে বড় মঞ্চে গান গাওয়ানোর ব্যাপারেও প্রয়োজনে উদ্যোগ নেবেন বলে মনিমোহন দাস জানিয়েছেন।

জানুয়ারি ১৪, ২০২২
উৎসব

যন্ত্রের যুগেও গ্রাম বাংলায় পৌষ পার্বণের পিঠে-পুলি তৈরিতে আজও অনবদ্য ঢেঁকি

কথায় আছে ঢেঁকি স্বর্গে গিয়েও ধান ভাঙে। সেই সব এখন গল্পকথা, ইতিহাস। যন্ত্র ও প্রযুক্তির ব্যবহার বেড়ে চলায় ঢেঁকির কদর ইদানিং কালে কমে গিয়েছে। তবুও এই রাজ্যের গ্রাম বাংলার কিছু মানুষ এখনও আগলে রেখেছেন সাবেকি ঢেঁকিকে। পৌষমাস শুরু হলে পিঠে-পুলির চাল কোটার জন্য তাই রাজ্যের গ্রাম বাংলায় বাড়ে ঢেঁকির কদর। যেমনটা এখন দেখা যাচ্ছে রাজ্যের শস্যগোলা পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর ব্লকের প্রত্যন্ত গ্রাম শিয়ালী ও কোড়ায়। সামনেই পৌষ সংক্রান্তি। তাই পৌষ পার্বণের দোরগোড়ায় এইসব গ্রামের মহিলারা এখন সদাব্যস্ত ঢেঁকিতে চাল কোটার কাজে। সেই কারণে গ্রামের বাড়ি বাড়ি কান পাতলেই শুধু ভেসে আসছে ঢেঁকিতে চাল কোটার শব্দ।এক সময় পৌষ মাসের মাঝামাঝি থেকে গ্রাম বাংলার মহিলারা ঘরে ঘরে ঢেঁকিতে চাল কোটা শুরু করে দিতেন। ঢেঁকিতে ভাঙা চাল গুঁড়িয়ে তা দিয়েই তাঁরা তৈরি করতেন হরেক রকমের পিঠে-পুলি। কিন্তু যন্ত্রের ব্যবহার বৃদ্ধির ধাক্কায় ঢেঁকি এখন যেন মিউজিয়ামে জায়গা করেনিতে বসেছে। ঢেঁকি ছেড়ে গ্রাম বাংলার অনেক মানুষ এখন চাল গুঁড়ানোড় মিলে পৌছে যাচ্ছেন। তবে তারই মধ্যে কিছু কিছু গ্রামের মানুষ এখন ট্র্যাডিশন বজায় রেখে বাড়ির সাবেকি ঢেঁকিকে আগলে রেখেছেন। যেমনটা আগলে রেখেছেন শিয়ালী ও কোড়া গ্রামের মানুষজন। তাঁরা চান না গম ভাঙানোর যন্ত্রে পিঠে-পুলির চালের গুঁড়ো তৈরি করতে। শিয়ালী ও কোড়া গ্রামের মহিলারা প্রতিবছরের ন্যায় এই বছরও তাই ঢেঁকিতে ছাঁটা চালের গুঁড়ো দিয়ে পৌষ পার্বণে পিঠে-পুলি তৈরি করে পরিবারের সকলকে তৃপ্ত করতে চান।গ্রামের বধূ কাকলী কোলে বলেন, ঢেঁকিতে ছাঁটা চালের গুঁড়ি দিয়ে বানানো পিঠে- পুলির স্বাদটাই আলাদা। আর ঢেঁকিতে ছাঁটা চাল অনেকদিন ধরে রেখেও দেওয়া যায়। অপর বধূ কল্পনা কোলে বলেন, আমাদের শিয়ালী গ্রামে এখন একটি মাত্রই ঢেঁকি রয়েছে। পৌষ পার্বণের আগে সেই ঢেঁকিতে চাল ভাঙাতে আসেন গ্রামের অনেক মহিলা। পৌষে ঢেঁকিতে চাল ভাঙানোর কাজে পুরুষরাও মহিলাদের সঙ্গে হাত লাগান। খেজুর গুড়ের সঙ্গে ঢেঁকিতে গুঁড়ো করা চাল দিয়ে তৈরি পিঠে-পুলি আগামী কটা দিন বাঙালির ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে এক ভিন্ন মহিমায় পৌছে দেয় বলে মনে করেন শিয়ালী ও কোড়া গ্রামের মহিলারা।বুধবার শিয়ালী ও কোড়া গ্রামে গিয়ে দেখা যায় গ্রামের এক প্রান্তে মাটির দাওয়ায় বসে ঢেঁকিতে চাল গুঁড়ানোর কাজ করে চলেছেন মহিলা ও পুরুষরা। যন্ত্র ও স্মার্ট ফোনের ব্যবহার বৃদ্ধির যুগে সত্যি যেন এটা একটা বিরল দৃশ্য হিসাবেই সামনে আসে। এর থেকে একটা বিষয় স্পষ্ট হয়ে গেল কাঠের তৈরি ঢেঁকি গ্রামবাংলা থেকে এখনও একেবারে বিলুপ্ত হয়ে যায়নি। তাই শিয়ালী ও কোড়া গ্রামের রাস্তার পাশে একটি খামারে কাঠের ঢেঁকিতে চাল ঢেলে অন্যপ্রান্তে ঢেঁকিতে পা দিয়ে চলছে চাল গুঁড়ো তৈরীর কাজ। এই দৃশ্যই আরও একবার মনে করিয়ে দিল গ্রাম বাংলায় ঢেঁকির মাহাত্ম্যকে।

জানুয়ারি ১৩, ২০২২
রাজ্য

মধুচক্র চালানোর অভিযোগে পাঁচ যুবক গ্রেফতার, চাঞ্চল্য মেমারিতে

মধুচক্র চালানোর অভিযোগে গ্রেফতার হল পাঁচ যুবক। মঙ্গলবার রাতে পূর্ব বর্ধমানের মেমারি থানার পুলিশ জাতীয় সড়কের ধারে কানাইডাঙা এলাকায় চলা মধুচক্রের ডেরায় হানা দেয়। সেখানেই ধরা পড়ে পাঁচ যুবক। উদ্ধার করা হয়েছে ৮ জন মহিলাকে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত যুবকদের নাম মহম্মদ চাঁদ,আনিসুর রহমান ,দেবু বালা, শম্ভু ক্ষেত্রপাল ও বিশ্বজিৎ মণ্ডল। ধৃতরদের বেশিরভাগই মেমারি থানা এলাকার বাসিন্দা।একজন দক্ষিণ ২৪ পরগনার স্বরুপনগরের বাসিন্দা। উদ্ধার হওয়া মহিলারা ব্যান্ডেল, রাণাঘাট, নদিয়া প্রভৃতি এলাকার বাসিন্দা বলে পুলিশ জানিয়েছে। সুনির্দিষ্ট ধারার মামলা রুজু করে পুলিশ বুধবার ধৃতদের পেশ করে বর্ধমান আদালতে।আরও পড়ুনঃ রাজ্যে টানা দুদিন করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি, কমেছে পজিটিভিটি রেটপুলিশ জানিয়েছে, যুবকরা গোপনে কানাইডাঙা এলাকার একটি বাড়িতে মধুচক্র চালাচ্ছিল। গোপন সূত্রে সেই খবর পুলিশের কাছে পৌছায়। মঙ্গলবার রাতে পুলিশ ওই মধুচক্রের ডেরায় হানা দিয়ে পাঁচ যুবককে হাতে নাতে ধরে ফেলে। ৮ জন মহিলাকেও সেখান থেকে উদ্ধার করা হয়। সবাইকেই এদিন বর্ধমান আদালতে পাঠানো হয়েছে।

জানুয়ারি ১২, ২০২২
রাজ্য

সারা শরীরে কেরোসিন তেল ঢেলে জ্বলন্ত উনানে ঝাঁপ! মৃত্যু আদিবাসী যুবকের

গোটা শরীরে কেরোসিন তেল ঢেলে জ্বলন্ত উনানে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হলেন এক আদিবাসী যুবক। সোমবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের ভাতার থানার শিলাকোট গ্রামে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম সুকুল মুর্মু(৩০)। মানসিক অবসাদে থাকার কারণেই যুবক এমন মর্মান্তিক ঘটনা ঘটিয়েছে বলে দাবি করেছেন পরিবার সদস্যরা। পুলিশ যদিও অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে যুবকের মৃত্যুর ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। যুবকের এমন মৃত্যুর ঘটনার কথা জেনে স্তম্ভিত এলাকাবাসী।আরও পড়ুনঃ উৎকণ্ঠা বাড়াচ্ছে অভিজাত আবাসনগুলিই, স্বাস্থ্য দপ্তরের রিপোর্ট পেশ নবান্নেপুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পেশায় জনমজুর শিলাকোট গ্রামের বাসিন্দা সুকুল মুর্মুর বাড়িতে তাঁর স্ত্রী, দুই নাবালক ছেলে ও বাবা মা রয়েছে। পরিবারের সদস্যদের বক্তব্য, সুকুল বেশ কয়েকদিন ধরে মানসিক অবসাদে ভুগছিল। আগে কয়েকবার পুকুরে ঝাঁপ দিয়ে সে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু স্থানীয় লোকজনের তৎপরতার তাঁর প্রাণ বাঁচে। কিন্তু সোমবার রাতে তাঁর স্ত্রী সরস্বতী মুর্মু যখন উনানে রান্না করছিলেন তখন সুকুল গায়ে কেরোসিন তেল ঢেলে আচমকা উনুনে ঝাঁপ দিয়ে দেয়। তাঁর গোটা শরীর দাউদাউ করে জ্বলতে থাকে। ঘটনার আকস্মিকতায় হতভম্ব হয়ে যান সরস্বতী মুর্মু। সরস্বতীর চিৎকার শুরু করলে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে সুকুলের শরীরের আগুন নিভিয়ে ফেলে। স্থানীয়রাই আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি।মঙ্গলবার সকালে বর্ধমান হাসপাতালে সুকুলের মৃত্যু হয় ।

জানুয়ারি ১২, ২০২২
  • ‹
  • 1
  • 2
  • ...
  • 25
  • 26
  • 27
  • 28
  • 29
  • 30
  • 31
  • ...
  • 39
  • 40
  • ›

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

বর্ধমান স্টেশনে ট্রেন ঢুকতেই হুড়োহুড়ি — পদপিষ্টে অন্তত ১২ জন আহত

রবিবার ছুটির সন্ধ্যায় বর্ধমান (Bardhaman) রেল স্টেশনে হুড়োহুড়িতে পদপিষ্টের ঘটনা ঘটে। বহু যাত্রী একযোগে ট্রেন ধরার চেষ্টায় মুখ্য সিঁড়ি ও ওভারব্রিজ এলাকায় ঠাসাঠাসিতে পদপিষ্ট হয়ে পড়েন। এই ঘটনায় অন্তত ১২ জন আহত হয়েছেন বলে প্রাথমিক খবর পাওয়া গেছে। আহতদের দ্রুত উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে (Burdwan Medical College Hospital) ভর্তি করা হয়েছে। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, অধিকাংশের অবস্থা আপাতত স্থিতিশীল। ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া সূত্র অনুযায়ী, একসঙ্গে ৩৪টি ট্রেন ৪, ৫ ও ৬ নম্বর প্ল্যাটফর্মে ছিল। যাত্রীরা ট্রেনে ওঠা ও নামার জন্য সিঁড়ি ও ওভারব্রিজ এলাকায় একসাথে ওটানামা করতে থাকেন, তখন ভিড় গিজ গিজ করছিল। সিঁড়িতে অতিরিক্ত চাপ ও ধাক্কাধাক্কির ফলে কয়েকজন পড়ে যান। এতেই আঘাত পান। প্রত্যক্ষদর্শীরা অভিযোগ করেছেন, বেশ কিছু দিন ধরে ওভারব্রিজ একাধিক অংশ কাজ করছে না বা সংস্কার হচ্ছে, ফলে যাত্রীদের মূল সিঁড়িগুলো ব্যবহার করতে হয়। রেলের উদ্ধার দল ও রেলে নিয়োজিত স্টাফ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের উদ্ধারে মনোনিবেশ করে। রেল প্রশাসনের তরফে বলা হয়েছে, অতিরিক্ত নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়ন করা হবে এবং ভবিষ্যতে এমন দুর্ঘটনা এড়াতে পরিকল্পিত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অক্টোবর ১২, ২০২৫
বিদেশ

গাজা শান্তি সম্মেলনে ভারতের প্রতিনিধি কীর্তি বর্ধন সিং

মিশরের শর্ম-এল-শেখে সোমবার অনুষ্ঠিত হতে চলেছে গাজা শান্তি সম্মেলন। সেখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিশেষ দূত হিসেবে ভারতকে প্রতিনিধিত্ব করবেন কেন্দ্রীয় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কীর্তি বর্ধন সিং।সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ এল-সিসি শেষ মুহূর্তে প্রধানমন্ত্রী মোদিকে আমন্ত্রণ জানান। তবে মোদি নিজে অংশ না নিয়ে প্রতিনিধিত্বের দায়িত্ব দিয়েছেন প্রতিমন্ত্রীকে।এই সম্মেলনে অংশ নেবেন আরও বেশ কয়েকজন বিশ্বনেতা জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মের্জ, ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমমানুয়েল মাক্রোঁ, স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদরো স্যাঞ্চেজ এবং জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।কূটনৈতিক মহল মনে করছে, গাজা উপত্যকার সংঘাত পরিস্থিতি নিয়ে এই বৈঠকে আন্তর্জাতিক পরিসরে শান্তি প্রক্রিয়া এগিয়ে নেওয়ার রূপরেখা তৈরি হতে পারে। উল্লেখ্য গাজায় আপাতত যুদ্ধবিরতি চলছে।

অক্টোবর ১২, ২০২৫
রাজ্য

দুর্গাপুরে ডাক্তারি ছাত্রীর ‘গণধর্ষণ’, তিন অভিযুক্ত গ্রেফতার — সহপাঠীর ভূমিকাও প্রশ্নের মুখে

দুর্গাপুরে কলেজ ছাত্রীকে অপহরণ করে গণধর্ষণের অভিযোগে তীব্র চাঞ্চল্য। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গ্রেফতার করা হয়েছে তিন অভিযুক্তকে। তাঁদের রবিবার দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক ১০ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন।ঘটনাস্থল কলেজ ক্যাম্পাস থেকে মাত্র ৭০০ মিটার দূরে, ঘন ঝোপঝাড়ে ঘেরা এলাকায়। পুলিশ জানায়, সেখানে দীর্ঘদিন ধরেই বসে নেশার ঠেকমদ ও গাঁজা বিক্রির আড্ডা। শনিবার রাতে ওই ঠেকেই ছিলেন তিন অভিযুক্ত। তখনই তাঁরা কলেজের ডাক্তারি ছাত্রী এবং তাঁর এক সহপাঠীকে রাস্তায় হাঁটতে দেখে প্রথমে তরুণীকে উত্ত্যক্ত করতে শুরু করেন। এর পর তাঁকে জোর করে টেনে নিয়ে গিয়ে জঙ্গলে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ।পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনাকালীন তরুণীর মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয় অভিযুক্তরা। পরে তদন্তে ধৃতদের কাছ থেকেই তরুণীর ফোন উদ্ধার হয়েছে। পুলিশ দাবি করেছে, তিন জনের বিরুদ্ধেই প্রত্যক্ষ প্রমাণ মিলেছে। তদন্তকারীদের একটি সূত্র জানিয়েছে, সহপাঠীকে পালিয়ে যেতে দেখে তরুণী কলেজের বন্ধুদের ফোন করেছিলেন। পরে তাঁর বন্ধুরাই ওই সহপাঠীকে ঘটনাস্থলে ফের যেতে বলেন। এই সময়েই নির্যাতিতাকে ধর্ষণ করা হয় বলে প্রাথমিক তদন্তে ধারণা পুলিশের।ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরেই পুলিশ ওই সহপাঠীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। তাঁর বয়ানেই পুরো ঘটনার প্রাথমিক তথ্য মিলেছে বলে সূত্রের খবর। তরুণীর সঙ্গে কথা বলেছেন ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট রঞ্জনা রায়।কলেজ কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, রাত ৭টা ৫৮ মিনিটে সহপাঠীর সঙ্গে ক্যাম্পাস থেকে বেরিয়েছিলেন তরুণী। ৮টা ৪২ মিনিটে সহপাঠী একা ফিরে আসেন, গেটের কাছে কিছুক্ষণ ঘোরাঘুরি করে ফের বাইরে যান। পরে রাত ৯টা ২৯ মিনিটে দুজন একসঙ্গে কলেজে ফেরেন। ৯টা ৩১ মিনিটে তরুণী নিজের হস্টেলে ফিরে যান।অভিযোগ, তরুণীর বাবার দাবি অনুযায়ী, তাঁর মেয়েকে বাইরে নিয়ে গিয়েছিলেন সেই সহপাঠীই, এবং ধৃত তিন জন ওই ছাত্রেরই বন্ধু। তাঁর কথায়, রাত ১০টার দিকে ওর বন্ধু ফোন করে জানায়, আমার মেয়েকে ধর্ষণ করা হয়েছে। ওর এক বন্ধু ওকে খেতে নিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু যখন দু-তিন জন মেয়েকে ঘিরে ধরে, তখন ওর বন্ধুটি পালিয়ে যায়।এখনও পর্যন্ত তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে পুলিশ মনে করছে, ঘটনায় আরও কয়েক জন যুক্ত থাকতে পারে। তাঁদের খোঁজে চলছে তল্লাশি অভিযান

অক্টোবর ১২, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

১৪ বছর পর কলকাতায় মেসি! “মাঠ কাঁপাবে” ডিসেম্বরে?

কলকাতার ফুটবলপ্রেমীদের জন্য এক বিশাল সুখবর! ফুটবল কিংবদন্তি লিওনেল মেসি (Lionel Messi) তাঁর বহু প্রতীক্ষিত GOAT Tour of India 2025-এর জন্য এ বছরের ডিসেম্বর মাসে কলকাতা ময়দান মাতাতে আসছেন। ১৪ বছর পর বিশ্বকাপজয়ী এই মহাতারকার ভারতে ফেরা নিঃসন্দেহে এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত হতে চলেছে।আগামী ডিসেম্বরে আর্জেন্টাইন মহাতারকা লিওনেল মেসি তাঁর ভারত সফরের সূচনা করবেন কলকাতাতেই। আয়োজকদের ঘোষণা অনুযায়ী, তিনি ১২ই ডিসেম্বর রাতে মহানগরে পৌঁছাবেন এবং ১৩ই ডিসেম্বর কলকাতায় বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নেবেন।কলকাতার আইকনিক সল্টলেক স্টেডিয়ামে (যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন) মূল অনুষ্ঠানগুলি হবে, যেখানে ২০১১ সালে মেসি আর্জেন্টিনার হয়ে ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে একটি আন্তর্জাতিক প্রীতি ফুটবল ম্যাচে খেলেছিলেন।GOAT কনসার্ট এবং GOAT কাপ, ১৩ই ডিসেম্বর এই দুটি প্রধান ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হবে। GOAT কাপ হবে একটি সেলিব্রেটর সেভেন-এ-সাইড (seven-a-side) সফট-টাচ ফুটবল ম্যাচ। বেশ কয়েকজন ভারতীয় কিংবদন্তির উপস্থিতির সম্ভবনা ওই খেলায়, সুত্রের খবর, এই বিশেষ ম্যাচে মেসির সঙ্গে মাঠে নামতে পারেন ভারতীয় ক্রীড়া জগতের তারকারা, যেমন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, বাইচুং ভুটিয়া এবং লিয়েন্ডার পেজ প্রমুখ।ম্যচের শেষে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে মেসিকে বিশেষ সংবর্ধনা দেওয়া হতে পারে। এছাড়াও এই সফরের অঙ্গ হিসাবে কলকাতা শহরে মেসির একটি মূর্তি উন্মোচন-র আয়োজন চলছে।এই সফরে নানাবিধ অনুষ্ঠানের মধ্যে, ফুড অ্যান্ড টি ফেস্টিভ্যালঅনুষ্ঠিত হবে। কলকাতায় তাঁর প্রিয় পানীয় আর্জেন্তিনীয় ভেষজ চা মাটে-এর সঙ্গে আসামের চায়ের ফিউশন করে একটি বিশেষ খাদ্য ও চা উৎসবের আয়োজন করা হবে।কলকাতা ছাড়াও মেসি ভারতে আরও কয়েকটি শহর সফর করবেন, সেকারনে তাঁর নিরাপত্তা ব্যবস্থাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কলকাতার পর মেসি আরও চারটি-শহরে সফর করবেন। যেগুলি হল আহমেদাবাদ, মুম্বাই এবং নয়া দিল্লী। ১৫ই ডিসেম্বর তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করে তাঁর ভারত সফর শেষ করবেন। এই সফরের ইভেন্টগুলোর টিকিটের মূল্য ৩,৫০০ টাকা থেকে শুরু হতে পারে বলে জানা গেছে।মেসির প্রতিক্রিয়াদীর্ঘ ১৪ বছর পর ভারতে আসা নিয়ে মেসি উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন। একটি সরকারি বিবৃতিতে তিনি বলেন, এই সফর করতে পারা আমার জন্য খুবই সম্মানের। ভারত খুব স্পেশাল একটি দেশ, এবং ১৪ বছর আগে আমার সেখানে কাটানো মুহূর্তগুলোর খুব ভালো স্মৃতি আছে এখানকার ভক্তরা ছিল অসাধারণ। ভারত ফুটবল প্রেমী দেশ (passionate football nation), এবং আমি ফুটবলের প্রতি আমার ভালোবাসা নতুন প্রজন্মের ভক্তদের সাথে ভাগ করে নেওয়ার জন্য মুখিয়ে আছি।২০২৫ এর ডিসেম্বর মাসে ফুটবল কিংবদন্তির আগমন শুধু কলকাতার নয়, গোটা ভারতের ক্রীড়াপ্রেমীদের কাছে এক বিশাল উৎসবের বার্তা নিয়ে আসছে।

অক্টোবর ০৭, ২০২৫
রাজ্য

সাংসদের ওপর হামলায় রাজ্যকে নিয়ে বড় প্রশ্ন মোদির, কড়া জবাব মমতার

বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু ও বিধায়ক শঙ্কর ঘোষের ওপর হামলা নিয়ে রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তার পাল্টা কড়া জবাব দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি সোশ্যাল মিডিয়া লিখেছেন, এটা খুবই দুর্ভাগ্যের এবং গভীর উদ্বেগের বিষয় যে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী একটি প্রাকৃতিক বিপর্যয় নিয়ে রাজনীতি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, কোনো উপযুক্ত অনুসন্ধানের জন্য অপেক্ষা না করেই তা-ও আবার যখন উত্তরবঙ্গের মানুষ ভয়াবহ বন্যা ও ধসের সঙ্গে যুঝছেন।যখন সমগ্র স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশ ত্রাণ ও উদ্ধারের কাজে ব্যস্ত হয়ে আছে, তখন বিজেপি নেতারা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় গিয়েছিলেন বিপুল সংখ্যক গাড়ির কনভয় নিয়ে, কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা নিয়ে এবং স্থানীয় পুলিশ ও প্রশাসনকে কোনো খবর না দিয়ে। রাজ্য প্রশাসন, স্থানীয় পুলিশ বা তৃণমূল কংগ্রেসকে কীভাবে এই ঘটনার জন্য দায়ী করা যাবে?এখানেই থামেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রশ্ন তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী পদের গরিমা নিয়েও। প্রশ্ন তুলেছেন মোদির নৈতিকতা নিয়েও। তাছাড়া কোনও প্রমান ছাড়াই প্রধানমন্ত্রী তৃণমূল কংগ্রেসকে দায়ী করেছে বলে দাবি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি লিখেছেন, প্রধানমন্ত্রী তৃণমূল কংগ্রেস এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ওপর দোষারোপ করেছেন কিছুমাত্র প্রমাণ ছাড়া, আইনানুগ কোনো তদন্ত ছাড়া এবং কোনো প্রশাসনিক রিপোর্ট ছাড়া। এটা শুধু রাজনৈতিক নিম্নতা স্পর্শ করল না, যে সাংবিধানিক নৈতিকতা তুলে ধরতে প্রধানমন্ত্রী শপথ নিয়েছেন, সেই নৈতিকতারও লঙ্ঘন হল। যে কোনো গণতন্ত্রে আইন তার নিজস্ব পথ নেয় এবং কোনো ঘটনার দায় নির্ধারিত হয় যথাযথ প্রক্রিয়ায় -কোনো রাজনৈতিক বেদীর উচ্চতা থেকে করা একটি ট্যুইটের মাধ্যমে নয়।উত্তরবঙ্গ কাল যাবো, আজ কার্নিভাল !!!কার্নিভাল নাকি বাংলার ঐতিহ্য ! তা দশমীর চার দিন পর সরকারি অনুদান আর প্রশাসনিক চোখ রাঙানির জেরে প্রতিমা নিরঞ্জন আটকে রেখে, মিছিল করিয়ে ঘাটে যাওয়া কবে থেকে বাংলার ঐতিহ্য হয়ে গেলো?আর মুখ্যমন্ত্রী চটজলদি উত্তরবঙ্গ যেতে আগ্রহী নন কেন, pic.twitter.com/mD0TeqWIaz Suvendu Adhikari (@SuvenduWB) October 5, 2025মমতা বলেছেন, সংশ্লিষ্ট ঘটনা ঘটেছিল একটি কেন্দ্রে, যেখানে মানুষ নিজেরাই বিজেপির একজন বিধায়ককে নির্বাচন করেছেন। তথাপি এই ঘটনায় তৃণমূল কংগ্রেসের তথাকথিত শক্তিমত্তা দেখায় প্রধানমন্ত্রী দ্বিচারিতা অনুভব করলেন না। এই ধরনের অসার এবং অতি-সরলীকৃত সাধারণীকরণ শুধু অপরিণতই নয়, তা দেশের সর্বোচ্চ পদের সঙ্গে মানানসইও নয়।

অক্টোবর ০৭, ২০২৫
রাজ্য

বিজেপি সাংসদ ও বিধায়কের ওপর হামলা, নিন্দা নরেন্দ্র মোদীর, ফোন রাজনাথ সিংয়ের

বন্যা ও ভমি ধ্বসে বিপর্যস্ত উত্তরবঙ্গ। এরই মধ্যে নাগরাকাটায় বন্যা পরিস্থিতি দেখতে গিয়েছিলেন মালদা উত্তরের সাংসদ খগেন মুর্মু ও শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। তাঁদের ওপর তৃণমূল কংগ্রেস প্রাণঘাতী হমলা করেছে বলে অভিযোগ। মাথা ফেটে রক্তাক্ত হয়েছেন খগেন মুর্মু। আঘাত পেয়েছেন শঙ্কর ঘোষ। যদিও তৃণমূল অভিযোগ অস্বীকার করেছে। এবার এই ঘটনায় সোশ্যাল মিডিয়ায় মুখ খুললে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। জখম সাংসদের সঙ্গে কথা বলেছেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং।প্রধানমন্ত্রী পশ্চিমবঙ্গের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। আক্রমণের তীব্র নিন্দা করেছেন। নরেন্দ্র মোদী এক্স হ্যান্ডেলে বলেছেন, যেভাবে আমাদের দলের সহকর্মীরাযাদের মধ্যে একজন বর্তমান সাংসদ ও বিধায়কও রয়েছেনপশ্চিমবঙ্গে বন্যা ও ভূমিধসে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সেবা করতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন, তা অত্যন্ত নিন্দনীয়। এটি তৃণমূল কংগ্রেসের অসংবেদনশীলতা এবং রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলার করুণ রূপের স্পষ্ট প্রতিফলন।যেভাবে আমাদের দলের সহকর্মীরাযাদের মধ্যে একজন বর্তমান সাংসদ ও বিধায়কও রয়েছেনপশ্চিমবঙ্গে বন্যা ও ভূমিধসে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সেবা করতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন, তা অত্যন্ত নিন্দনীয়। এটি তৃণমূল কংগ্রেসের অসংবেদনশীলতা এবং রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলার করুণ রূপের স্পষ্ট প্রতিফলন।আমার Narendra Modi (@narendramodi) October 6, 2025আমার একান্ত কামনা পশ্চিমবঙ্গ সরকার ও তৃণমূল কংগ্রেস এই কঠিন পরিস্থিতিতে হিংসায় লিপ্ত না হয়ে মানুষের সাহায্যে আরও মনোযোগী হোক। আমি বিজেপি কার্যকর্তাদের আহ্বান জানাই, তারা যেন জনগণের পাশে থেকে চলতি উদ্ধার কাজে সহায়তা করে যান।এদিকে নাগরাকাটায় বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শনে গিয়ে সাংসদ খগেন মুর্মু ও বিধায়ক শঙ্কর ঘোষের ওপর হামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংজি। রাজ্য বিজেপি সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য এক্স হ্যান্ডেলে বলেছেন, তিনি টেলিফোনে আমার সঙ্গে কথা বলে ঘটনার বিস্তারিত জানতে চান এবং স্পষ্ট বার্তা দেন রাজনীতিতে হিংসার কোনো স্থান নেই। পশ্চিমবঙ্গের মানুষ এই অন্যায় ও অত্যাচার কখনো মেনে নেবে না। সবাই মিলে এই হিংসার রাজনীতি প্রতিহত করতে হবে। বাংলার মানুষ গণতন্ত্রের শক্তিতে বিশ্বাস রাখে।

অক্টোবর ০৭, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal