• ৩ আষাঢ় ১৪৩২, বৃহস্পতি ১৯ জুন ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Purba Bardhaman

উৎসব

৪৮২ বছর ধরে পুজীত দেবী সিদ্ধেশ্বরী, আর কোনও কালী মুর্তীর পুজো হয় না এই গ্রামে!

সময়টা ছিল ১৫৪০ খৃষ্টাব্দ। ভূ-কৈলাসের রাজবংশের বংশধর দিগম্বর ঘোষাল মহাশয় গ্রান্ড ট্রাঙ্ক রোড এবং রাজস্ব সংক্রান্ত ব্যাপারে শেরশাহের নির্দেশ মত কাজকর্ম দেখাশোনার জন্য কংসানদী পথে প্রায়ই আসতেন। তিনি এক দিন কংসানদীর তীরে কোলসড়া গ্রামে রাত্রি নিবাস করেন। এবং এক রাতে মা সিদ্ধেশ্বরী তাঁকে পুজো করার জন্য স্বপ্নাদেশ দেন ও মন্দির প্রতিষ্ঠা করতে বলেন। তখন দিগম্বর ঘোষাল শেরশাহকে তাঁর স্বপ্নাদেশের কথা জানান। যানা যায় শেরশাহ ইসলাম সম্প্রদায় ভূক্ত হয়েও দিগম্বর বাবুর ইচ্ছা পুরন করার জন্য মা সিদ্ধেশ্বরী নামে একটি তাম্র ফলকের ওপর পাঁচশত বিঘা জমি একটি দলিল করে দান করেছিলেন।১৫৪০ থেকে আজ পর্যন্ত মা সিদ্ধেশ্বরী কালীর পুজো হয়ে আসছে জামালপুরের কোলসড়া গ্রামে। সিদ্ধেশ্বরী মায়ের মন্দিরটি নির্মান হয়েছে শ্মশানের ধারে।পঞ্চমুণ্ডের আসনের উপর দেবীর মূর্তি স্থাপন করা আছে এবং দেবীর মূর্তিটি একটি ত্রিশুলকে বেষ্টন করে তৈরী হয়েছে, তাই এই মূর্তিটি ঘরে ও বাইরে অক্ষত অবস্থায় বের করা যায় না। যখন সিদ্ধেশ্বরী কালীর অঙ্গহানী হয় তখন পাঁচজন পুরোহিত মূর্তিটি কে খণ্ডখণ্ড করে কেটে ঝুঁড়িতে ভরে পুকুরে নিরঞ্জন দেয়।ঘোষাল পরিবারের বর্তমান বংশধর সমীর ঘোষাল জানান ১৮২৯ পর্যন্ত সিদ্ধেশ্বরী কালী মায়ের পুজো ঘোষাল বাড়ির পুজো হিসাবেই গণ্য হত। তবে ১৮৩০ থেকে এই পুজো কোলসড়া গ্রামের সর্বজনীন পুজো হিসাবেই বিবেচিত হয়েছে। এই গ্রামে সিদ্বেশ্বরী কালীর একা পুজো হয়। এছাড়া দ্বিতীয় আর কোন কালীর মূর্তী পুজো হয় না। এখানে বলি দান প্রথা আছে। প্রতিবছর চৈত্রমাসের শুক্ল পক্ষে এবং কার্ত্তিক মাসে কালী পুজোর সময় মহা ধুমধাম সহকারে সিদ্ধেশ্বরী কালীর পুজো হয় কোলসড়া গ্রামে।

অক্টোবর ১৪, ২০২২
রাজ্য

বিদায়ী বর্ষার ব্যপক বর্ষনে সংকটে শস্যগোলা। চরম ক্ষতির শঙ্কায় চাষীরা

গত তিনদিন ধরে দফায় দফায় বৃষ্টিপাতের জেরে পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের কয়েকটি এলাকায় ধানজমি জলমগ্ন হয়েছে। ফলে কৃষকরা ক্ষতির আশঙ্কা করছেন। জমিতে ধানগাছে থোর আসতে শুরু করেছে সেসব ধানগাছ জলমগ্ন হয়ে থাকলে গাছ পচে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন এলাকার কৃষকরা। আউশগ্রামের সোমাইপুর ও আউশগ্রামের মাঝামাঝি এলাকায় বেশকিছু ধানজমি জলমগ্ন হয়ে রয়েছে। ওই এলাকায় পাঁচটি বড় নালা এক জয়গায় এসে মিশেছে। স্থানীয় এলাকায় পঞ্চগঙ্গা নামে পরিচিত ওই নিচু জলাভূমি এলাকা।গত তিনদিন দফায় দফায় বৃষ্টিপাতে পঞ্চগঙ্গা সহ তার আশপাশের এলাকা প্লাবিত হয়। জলে ডুবে যায় প্রচুর ধানজমি। এছাড়া আউশগ্রামের কুনুর নদীর সংলগ্ন সিলুট, বসন্তপুর এলাকায় বেশকিছু ধানজমি জলমগ্ন হয়ে পড়েছে বলে স্থানীয় কৃষকরা জানান। বৃষ্টির জেরে কুনুর নদীর জলও বেড়েছে। নদী ছাপিয়ে এলাকা প্লাবিত। ওই এলাকার কৃষকরাও ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করছেন।এই বিষয়ে পূর্ব বর্ধমান জেলার উপ কৃষি অধিকর্তা আশিষ কুমার বারুই বলেন, এখনও পর্যন্ত যা বৃষ্টি হয়েছে তাতে ধানের ক্ষতির আশঙ্কা নেই। বরঞ্চ সেচের জলের অভাবটা অনেকটাই মিটবে। কৃষকদের সুবিধা হবে বলে তিনি জানান।

অক্টোবর ১৪, ২০২২
রাজ্য

উধাও খোদ মহাদেব! বর্ধমানে চুরি গেলো শিবলিঙ্গ এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য

শিবলিঙ্গ চুরি হওয়াকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ালো পূর্ব বর্ধমানের মাধবডিহিতে। শুক্রবার সকালে মাধবডিহির নরত্তমবাটি গ্রামের বাসিন্দারা দেখেন শিবলিঙ্গ নেই। কিভাবে শিবলিঙ্গটি উধাও হল তা ভেবেই কূলকিনারা পাচ্ছেন না গ্রামের বাসিন্দারা। ধর্মীয় স্থান হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে একটি শিব ঠাকুর প্রতিষ্ঠিত ছিল। কথিত আছে এখানকার দেবাদিদেব মহাদেব নাকি কোন মন্দিরে নয় বরং খোলা জায়গাতেই থাকতে পছন্দ করেন। রাতের অন্ধকারে কোন ভাবে সেই শিবলিঙ্গের অর্ধেক অংশ উধাও হয়ে গিয়েছে বলে জানাচ্ছেন গ্রামবাসীরা। কিভাবে সেই শিবলিঙ্গটি উধাও হয়ে গেল সেই নিয়ে দ্বন্দ্বে পড়ে গিয়েছেন তারা। এই ঘটনায় গ্রামের মানুষরা খুবই দুঃখিত। যেহেতু এই শিব ঠাকুরকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন কাল্প কাহিনী রয়েছে তাই এই ঘটনা মেনে নিতে পারছেন না তারা। শিবলিঙ্গটিকে খুঁজে বের করতে তদন্ত শুরু করেছে মাধবডিহি থানার পুলিশ।সেবাইত শান্তিনাথ ব্যানার্জী বলেন, উপরের অংশ নিয়ে গেছে দুস্কৃতিরা।কিন্তু বাবাকে অর্থাৎ শান্তিনাথকে নিয়ে যেতে পারে নি।কারণ বাবা মহাদেব এখানে স্বপ্নাদেশ দিয়ে প্রতিষ্ঠা হয়েছিল। সুতরাং বানার আসল রূপ এখানে আছে।গ্রামের বাসিন্দা সুশান্ত ঘোষ বলেন, শিবলিঙ্গটি কেউ চুরি করে নিয়ে গেছে।স্থানীয় বাসিন্দা জয়রাম চক্রবর্তী বলেন, এটি কষ্টিক পাথরের শিবলিঙ্গ। হাজার বছরের পুরনো, বহু মূল্য। তার ধারণা কোন তান্ত্রিকের কাজ হতে পারে।

অক্টোবর ১৪, ২০২২
রাজ্য

বিরল আকৃতির গরুর জন্মানোই চাঞ্চল্য পূর্ব বর্ধমানের ভাতারে

বিরল আকৃতির বাছুরের জন্ম ঘিরে চাঞ্চল্য ছাড়লো পূর্ব বর্ধমানের ভাতারের খুরুল গ্রামে। ভাতারের খুড়ুল গ্রামের বাসিন্দা খোকন ঘোষ পেশায় গো-পালক। তাঁর গৃহপালিত গাভী একটি বিরল আকৃতির বাছুরের জন্ম নেয়। দুটি মাথা ও ছটি পা বিশিষ্ট বাছুরের জন্ম ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। খবর ছড়াতেই খোকন বাবুর বাড়িতে এলাকার মানুষের ঢল নামে। যদিও বাছুরটি জন্মের কিছুক্ষণ পরই মারা যায়।গাভীর মালিক খোকন ঘোষ বলেন, সকাল থেকেই গাভিটি যন্ত্রণায় ছটফট করছিল। স্থানীয় পশু চিকিৎসক এবং আমরা দুভাই মিলে বাছুরটিকে ভূমিষ্ঠ করার চেষ্টা করি। ঘন্টাখানেক চেষ্টার পর বাছুরটি ভূমিষ্ঠ হয়। যার দুটি মাথা ও ছটি পা। জন্মের ঘন্টাখানেকের মধ্যে বাছুরটি মারা যায়। স্বভাবতই মন খারাপ গোপালক খোকন ঘোষের।গ্রামবাসীরা জানান, বছর ত্রিশ পঁয়ত্রিশ আগে এই গ্রামে বিরল আকৃতির বাছুরের জন্ম হয়েছিল। এটা নিয়ে দ্বিতীয়বার বিরল আকৃতির বাছুরের জন্ম হল ভাতারের খুড়ুলগ্রামে।

অক্টোবর ১৩, ২০২২
রাজ্য

শাসক দলের বিরুদ্ধে বামেদের ফ্ল্যাগ ও ফষ্টুন ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগে বর্ধমানে

সিপিএমের ফ্ল্যাগ ও ফেষ্টুন ছিঁড়ে দেবার অভিযোগ উঠলো পূর্ব বর্ধমানের মেমারিতে। অভিযোগ উঠলো শাসকদলের বিরুদ্ধে। অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূল কংগ্রেসের মেমারি ১ নম্বর ব্লক সভাপতি। প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার মেমারির চকদিঘি মোড়ে প্রতিবাদ সভা ও মিছিল করে সিপিএম।সিপিএমের অভিযোগ সিআইটিইউর জেলা সম্মেলন উপলক্ষে মেমারি শহর ও শহরের আশপাশে ফ্ল্যাগ ও ফেষ্টুন লাগানো হয়েছিলো রাস্তার ধারে। সিপিএম নেতা অভিজিত কোঙারের অভিযোগ মেমারির বাগিলা, কালসি ও নুদীপুর মোড় এলাকায় রাতের অন্ধকারে তৃণমূল আশ্রিত দুস্কৃতিরা তাদের ফ্ল্যাগ ও ফেষ্টুন ছিঁড়ে ফেলে দেয়।যদিও মেমারি ১ নম্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি নিত্যানন্দ ব্যানার্জী সিপিএমের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন সিপিএমের পতাকা লাগানোর লোক কোথায়? পতাকা টাঙিয়েছিলো দেখাক। এসব মিথ্যা অভিযোগ করছে সিপিএম।আগামীকাল শুক্রবার পূর্ব বর্ধমান জেলা সিআইটিইউর একাদশ তম সম্মেলন হবে মেমারিতে। শুক্রবার বিকেলে মেমারির পুরনো বাসস্ট্যাণ্ড এলাকায় সম্মেলনের প্রকাশ্য সমাবেশ হবে। ওই সভায় উপস্থিত থাকবেন সিপিএম নেতা সুশান্ত ঘোষ।

অক্টোবর ১৩, ২০২২
রাজ্য

দোকানে হানা দিয়ে প্রচুর পরিমাণ নিষিদ্ধ শব্দবাজি বাজেয়াপ্ত

একটি দোকানে হানা দিয়ে প্রচুর পরিমাণ নিষিদ্ধ শব্দবাজি বাজেয়াপ্ত করেছে পূর্ববর্ধমানের মেমারি থানার পুলিস। বেআইনিভাবে শব্দবাজি মজুতের অভিযোগে দোকানের মালিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধৃতের নাম তপন অধিকারী। মেমারি থানার উলাড়া গ্রামে তার বাড়ি। মেমারি থানার রসুলপুর বাজারে তার দশকর্মার দোকান রয়েছে। সেখানে মঙ্গলবার রাতে হানা দেয় পুলিস।পুলিসের দাবি, দোকান থেকে ৩টি বস্তায় মজুত করে রাখা ৪৪ কেজি ৮৭০ গ্রাম ওজনের বিভিন্ন ধরণের নিষিদ্ধ শব্দবাজি উদ্ধার হয়। সাব-ইনসপেক্টর বুদ্ধদেব ঘোষের অভিযোগের ভিত্তিতে ভারতীয় দণ্ডবিধির ২৮৬ ও ফায়ার সাির্ভস অ্যাক্টের ২৪ ধারায় স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করে পুলিস তপনকে গ্রেপ্তার করে। ধৃতকে বুধবার বর্ধমান আদালতে পেশ করা হয়। ধৃতের জামিন মঞ্জুর করেন সিজেএম চন্দা হাসমত।

অক্টোবর ১২, ২০২২
রাজ্য

বিসর্জনের মাইক বাজানোকে কেন্দ্র করে দুই পাড়ার মধ্যে সংঘর্ষে জখম হয় দু'পক্ষের ৫ জন

লক্ষ্মী প্রতিমা বিসর্জনের সময় মাইক বাজানোকে কেন্দ্র করে দুই পাড়ার মধ্যে সংঘর্ষে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ালো পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের শিবদা গ্রামে। সংঘর্ষের ঘটনায় জখম হয় দুপক্ষের ৫ জন। পুলিশ আটক করে দুপক্ষের বেশ কয়েকজনকে। জখমদের চিকিৎসার জন্য গুসকরা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। উত্তেজনা থামাতে ঘটনাস্থলে যায় বিশাল পুলিশবাহিনী ও র্যাফ।মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তারস্বরে মাইক বাজিয়ে শিবদা গ্রামের পশ্চিমপাড়ার ঠাকুর নিয়ে বিসর্জনের শোভাযাত্রা বের হয়। সেই শোভাযাত্রা ঠাকুর গয়লাগড়ে বাগদিপাড়ার পুজো মণ্ডপের সামনে আসতেই দুপক্ষই প্রতিযোগিতা করে উচ্চস্বরে মাইক বাজাতে থাকে। যাকে কেন্দ্র করে বচসা শুরু হয়। বচসা ক্রমে রূপান্তরিত হয় সংঘর্ষে।আউসগ্রাম থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।ঘটনাকে কেন্দ্র করে বুধবার সকালেও ফের দুপক্ষই সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ডিএসপি ডিএনটি বীরেন্দ্র পাঠকের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশবাহিনী ও র্যাফ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সংঘর্ষের ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয়।তাদের উদ্ধার করে গুসকরা প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে বেশ কয়েকজনকে আটক করেছে আউসগ্রাম থানার পুলিশ।

অক্টোবর ১২, ২০২২
রাজ্য

হনুমানের অত্যাচারে অতিষ্ট এলাকাবাসী, অবশেষে বনদপ্তরের পাতা ফাঁদে ধরা পড়ল হনুমান

অবশেষে বনদপ্তরের পাতা ফাঁদে ধরা পড়ল হনুমান। গত এক সপ্তাহ ধরে হনুমানের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিলেন পূর্ব বর্ধমানের বড়শুলের বাসিন্দারা। বনকর্মীরাও লাগাতার চেষ্টা করছিলেন হনুমানটিকে বাগে আনার।কিন্তু তারা সক্ষম হন নি।হনুমানের আক্রমণে ১০-১২ জন বাসিন্দা জখম হন। হনুমানের কামড়ে জখমদের জনের মধ্যে দুজনকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গতকাল মঙ্গলবার ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে হনুমানের বিষয়ে মাইকে প্রচার করে এলাকার বাসিন্দাদের সাবধান করা হয়।বুধবার দুপুরে বড়শুলের বাজেসালেপুর এলাকায় ফাঁদ পেতে হনুমানটিকে খাঁচা বন্দি করে বনদফতরের কর্মীরা। বনদফতরের কর্মী দীপক মণ্ডল জানান, ব্লক প্রশাসনের কাছে খবর পেয়ে কয়েক দিন আগে হনুমানটিকে ধরার জন্য চেষ্টা করা হয়। কিন্তু হনুমানটিকে চিহ্নিত করা যায়নি। বুধবার দুপুরে হনুমানটি গ্রামের মানুষের সাহায্যে বন্দি করতে সক্ষম হন তারা।বিডিও সুবর্ণা মজুমদার জানান, হনুমানটির বিষয় বন দপ্তরকে খবর দেওয়ার পর বুধবার দুপুরে ধরা পড়েছে। বেশ কয়েক দিন ধরে এলাকার মানুষ আতঙ্কিত ছিলেন হনুমানের আক্রমণে বেশ কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা জখমও হন।স্থানীয় বাসিন্দা লক্ষ্মণ পাল বলেন, হনুমানটি আক্রমনে তারা অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিলেন। বেশ কয়েকজন হনুমানের কামড়ে জখম হয়েছে। তারা খুব আতঙ্কে ছিলেন বাড়ির ছোটদের নিয়ে। হনুমানটি ধরা পড়ায় স্বস্তি ফিরিছে এলাকায়।

অক্টোবর ১২, ২০২২
রাজ্য

মন্তেশ্বর জয়রামপুরে ট্রাক্টর ও স্কুটি গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষে মৃত এক যুবক

ট্রাক্টর ও স্কুটি গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষে মৃত এক যুবক ঘটনাটি ঘটেছে মন্তেশ্বর জয়রামপুর ক্যানেল পুলের নিকট। পূর্বস্থলী ১ নম্বর ব্লকে নাদানঘাট থানার অন্তর্গত ভৈদপাড়ায় সুব্রত সরকার নামে এক যুবক মন্তেশ্বরে ক্যারাটে প্রশিক্ষণ নিতে এসেছিলেন, প্রশিক্ষণের শেষে স্কুটি নিয়ে নাদান ঘাটে ভৈদপারা গ্রামে বাড়ি ফিরছিলেন। মন্তেশ্বরে জয়রামপুর ক্যানেল পুলের নিকট উল্টো দিক থেকে আসা একটি কাঠ বোঝাই ট্রাক্টর সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে জখম হয়।স্থানীয়রা ও কর্তব্যরত মন্তেশ্বর থানার পুলিশ উদ্ধার করে মন্তেশ্বর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে আসে, কর্তব্যরত চিকিৎসক দেখে মূত বলে ঘোষণা করেন, মন্তেশ্বর থানার পুলিশ খবর পেয়ে মৃতদেহ মন্তেশ্বর থানায় নিয়ে আসে আজ বুধবার ময়নাতদন্তের জন্য কালনা মহকুমা হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ।

অক্টোবর ১২, ২০২২
রাজ্য

হঠাৎ পঞ্চায়েত পরিদর্শনে পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক প্রিয়াংকা সিংলা

বুধবার মন্তেশ্বরের গ্রাম পঞ্চায়েত পরিদর্শনে এলেন পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক প্রিয়াংকা সিংলা। এদিন তিনি পঞ্চায়েতের বিভিন্ন খাতের হিসাব নিকাশ সহ বিভিন্ন কাজ খতিয়ে দেখে উক্ত পঞ্চায়েত ভালো কাজ করছে বলে জানান। অন্যদিকে এদিন জেলাশাসককে কাছে পেয়ে তার সঙ্গে দেখা করেন জামনা সমবায় সমিতির অ্যাসিষ্ট্যান্ট ম্যানেজার সুমন ঘোষ। তিনি এদিন জেলাশাসককে জানান, জামনা সমবায় এক মিলারের কাছ থেকে সুদ সহ প্রায় দেড় কোটি টাকা প্রাপ্য থাকলেও তা এখনও না মেলায় সমস্যার মধ্যে পড়তে হচ্ছে সমবায়ের গ্রাহকদের। এরপরেই জেলাশাসক বিষয়টি দেখার আশ্বাস দিয়েছেন বলে তিনি জানান। এদিন জেলাশাসকের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন মহকুমাশাসক সুরেশ কুমার জগত, বিডিও গোবিন্দ দাস সহ অন্যান্যরা।

অক্টোবর ১২, ২০২২
রাজ্য

বর্ধমানে রেস্তোরাঁয় আরও তোলার দাবিতে ব্যাপক মারধর, রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে

শাসকদলের নাম করে রেস্তোরাঁয় ঢুকে টাকা ও মদ চেয়ে তোলাবাজির অভিযোগ উঠেছে বর্ধমান শহরে। তবে টাকা দিয়েও রেহাই মেলেনি। আরও বেশি টাকা চেয়ে মালিকের ভাইপোকে চলল বেধড়ক মারধর। এই ঘটনা তিনদিন হয়ে গেলেও অধরা দুস্কৃতীরা। বিজেপির অভিযোগ শাসকদলের মদতেই তোলাবাজরা এত সাহস পাচ্ছে। তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য মুখপাত্র জানিয়েছেন, দোষী যে দলেরই হোক শাস্তি হবেই।তোলার টাকা চেয়ে বর্ধমান শহরের নীলপুর এলাকায় রেস্তোরাঁতে হামলার অভিযোগ ওঠে। দুদিনের বেশী কেটে গেলেও ঘটনায় মূল অভিযুক্ত এখনও অধরা বলে অভিযোগ। বিজপির দাবি, অভিযুক্তরা বর্ধমান-দক্ষিন বিধানসভার বিধায়ক খোকন দাসের ঘনিষ্ঠ{ এলাকায় অভিযুক্তরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও পুলিশের খাতায় তারা ফেরার, তাদের ধরতে বর্ধমান থানার পুলিশ তল্লাশি চালাচ্ছে। থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করার পরেও অভিযুক্তরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ানোয় আতঙ্কিত রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ী পরিবার। প্রসঙ্গত, ৭ই অক্টোবর বর্ধমানে দুর্গাপুজো কার্নিভালের দিন শহরের ছোটনীলপুর এলাকায় সদ্য ব্যবসা শুরু করা এক রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ীর কাছে ৫০হাজার টাকা তোলা চেয়ে না পেয়ে রেস্টুরেন্টের সামনেই ওই ব্যবসায়ীর ভাইপোকে বেধড়ক মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ{ এই ঘটনায় জেলা তৃণমূলের যুব সভাপতি রাসবিহারী হালদার জানান, জঘন্য কাজের জন্য দোষীদের শাস্তি পাওয়া উচিত, যদি তারা দোষী হয়। প্রশাসন প্রশাসনের মতো কাজ করবে, দোষীদের রেয়াত করবে না।নতুন খোলা এই রেস্তোরাঁ ঘটনার পর দুদিন বন্ধ ছিল। মালিক সুজিত চৌধুরী জানান, তাঁরা মধ্যবিত্ত ঘরের মানুষ। কষ্ট করে ব্যাবসা করছেন। দোকান খোলার আগে থেকে কয়েকজন হুমকি দিচ্ছিল। বারবার ৫০ হাজার টাকা ও প্রতিদিন মদের বোতল দাবি করে। ভয় পেয়ে তাঁর ছেলে ৩০ হাজার টাকা দেওয়ার পরও তার ভাইপোকে মারা হয়।এই ঘটনার জেরে শেফ কাজ ছেড়ে দিয়ে চলে গেছেন। তাঁরা শান্তিতে ব্যবসা করতে চান।দোকানের কর্মচারিরা জানান, তাঁরা এসে মাংস ও ডিম চায়। বিল ছাড়া তাঁরা দিতে পারেন না জানানোয় হুমকি দিয়ে চলে যায়। দুদিন পরেই মালিকের ভাইপোকে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারধর করা হয়।বিজেপি জেলা যুব মোর্চার সভাপতি পিন্টু সাম বলেন, শাসকদলের বিধায়ক ও স্থানীয় কাউন্সিলরের মদতেই দুস্কৃতীরা এত বেড়েছে। দোকানের মালিক অবশ্য জানিয়েছেন, বিধায়কের বিরুদ্ধে তার কোনও অভিযোগ নেই। তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য মুখপাত্র দেবু টুডু, বলেছেন এসব গর্হিত কাজ। তাদের দল এসব কাজের তীব্র বিরোধী। আইন মেনে পুলিশ ঠিকই ব্যবস্থা নেবে।

অক্টোবর ১১, ২০২২
রাজ্য

পাইপ আছে জল নাই, জলের দাবীতে পথ অবরোধ বর্ধমানের ভাতারে

পানীয় জলের দাবীতে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভে সামিল হলেন গ্রামবাসীরা। পূর্ব বর্ধমানের ভাতারের ভূমসোর গ্রামের ঘটনা। সোমবার বর্ধমান কাটোয়া রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান গ্রামের মহিলারাও। ভাতারের ভূমসোর গ্রামে বছরখানেক আগে সজল ধারা প্রকল্পের পাইপলাইন বাড়ি বাড়ি সংযোগ হয়। গ্রামবাসীদের দাবি, বাড়ি বাড়ি সংযোগ হলেও তাতে জল আসেনা। বর্তমানে চরম জল কষ্টে ভুগছেন তারা। বারবার পঞ্চায়েত প্রধানকে জানিও কোন সুরাহা মেলেনি। অবশেষে পানীয় জলের দাবিতে পথ অবরোধে সামিল হয়েছেন তারা। ঘন্টাখানেক ধরে চলে অবরোধ। আটকে পড়ে বহু গাড়ি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় ভাতার থানার পুলিশ। পুলিশ বিক্ষুব্ধ জনতাকে শান্ত করার চেষ্টা করে। পুলিশ সমস্যার সমাধানের আশ্বাস দিলে গ্রামবাসীরা অবরোধ তোলেন। তবে আগামীদিনে সমস্যা সমাধান না হলে পুনঃরায় অবরোধে নামার হুঁশিয়ারি গ্রামবাসীদের। ভাতারের বিডিও অরুণ কুমার বিশ্বাসের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন বিষয়টি খতিয়ে দেখে সমস্যা সমাধানের ব্যবস্থা করা হবে।

অক্টোবর ১০, ২০২২
রাজ্য

জেলা সংশোধনাগারে বিচারাধীন বন্দীর মৃত্যু ঘিরে রহস্যের গন্ধ

বর্ধমান জেলা সংশোধনাগারে এক বিচারাধীন বন্দীর মৃত্যু নিয়ে রহস্য দানা বেঁধেছে। মৃতের পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ তাদের সময়মত খবর দেওয়া হয়নি। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তারা।মৃত বন্দীর নাম শেখ মোশাররফ হোসেন ওরফে চাঁদ। তার দুই ভাই শেখ জিয়াউদ্দিন আহমেদ ও কবীর হাসান জানান; তাদের বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের ভাতার থানার ধরমপুর গ্রামে। গত ৩ রা অক্টোবর চাঁদ বর্ধমানে ঠাকুর দেখতে এসেছিল। সে সময় সন্দেহভাজন হিসেবে পুলিশ একটি চুরির কেসে তাকে গ্রেপ্তার করে। আদালতে তোলার আগে পরিবারকে খবর দেওয়া হয়। তারা জানান ; আদালতে এবং জেল হেফাজতে কোনো অসুস্থতা তার ছিলনা।আজ সকালে হঠাৎই ভাতার থানা থেকে তাদের ফোনে জানান হয়; আসামী অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তারা জানতে পারেন তার মৃত্যু ঘটেছে। মৃতের পরিবারের সদস্যদের বক্তব্য; হঠাৎই কেউ লো প্রেসারে এভাবে মরে যেতে পারেনা। যদি তাই হবে হাসপাতালে ভর্তি করার সময় তাদের খবর দেওয়া হয়নি কেন। আজ বর্ধমানে এসে হাসপাতালের সেলে যান। সেখানে না দেখতে পেয়ে তারা বর্ধমান থানায় এসে জেল কতৃপক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দেন।তাদের ধারণা; আসামীকে মারধর করা হয়ে থাকতে পারে। গোটা ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত চাইছেন মৃতের পরিবার।এই ঘটনা নিয়ে চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে।

অক্টোবর ০৯, ২০২২
রাজ্য

বর্ধমানে দেরিয়াপুরে 'মণ্ডল পরিবারের' লক্ষ্মী পুজো এবছরে শতবর্ষে পদার্পন করলো

আজ রবিবার ৯ অক্টোবর ২০২২ কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো। দেবী লক্ষ্মী হলেন শান্তি, শ্রী ও সম্পদের প্রতীক। বাংলার ঘরে ঘরে কোজাগরী লক্ষ্মী পুজোর আয়োজন করা হয়। আমবাঙালীর মনে করে যে বাড়িতে মা লক্ষ্মীর বাস, সেখানে কখনও কোনোদিন অভাব আসবে না। সাধারনভাবে বৃহস্পতীবার কে লক্ষ্মীবার বলে মানা হয়। ওইদিন বাংলার ঘরে ঘরে নিরামিষ খাওয়ার চল। হিন্দু ধর্মাবলম্বী মানুষের ধারণা ভক্তি ভরে রীতিনীতি মেনে লক্ষ্মীদেবীর পুজার্চনা করা হলে, দেবীর কৃপায় সংসার সর্বদা ধন-সম্পদের অভাব থাকবেনা।লক্ষ্মী মণ্ডপ ও প্রতিষ্ঠাতা কেদারনাথ মণ্ডলদক্ষিণবঙ্গে কোজাগরী লক্ষ্মী পুজোর চল সবথেকে বেশী দক্ষিণ দামোদর এলাকায়। সেখানকার রায়না, আনগুনো, শ্যামসুন্দর, মেরাল, বোখরা, দেরিয়াপুর এলাকায় বাড়ি বাড়ি লক্ষ্মী পুজোর ধুমধাম লক্ষ্য করা যায়। এবছর পূর্ব বর্ধমানের দেরিয়াপুরে মণ্ডল বাড়ির লক্ষ্মী পুজো ১০০ বছরে পদার্পণ করলো। ১৯২৩ এ মণ্ডল বংশের কেদারনাথ মণ্ডল এই পুজোর প্রতিষ্ঠা করেন। তাঁর পর এই পুজো দ্বায়িত্ব সামলেছেন গীতাপদ মন্ডল, শান্তিময় মন্ডল ও হরিনারায়ণ মন্ডলেরা। কালের নিয়মে একান্নবর্তী পরিবার ভাঙ্গতে ভাঙ্গতে ছোট হয়ে এলেও দেবী লক্ষ্মীর আরাধনা ধূমধামের সাথে দেরিয়াপুরের মণ্ডল পরিবার এখনও একসাথেই করে আসছেন।বস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে সুজিত মণ্ডলপরিবারের সদস্য সুমিত মণ্ডল জানান, বর্তমানে পরিবারের সদস্য সংখ্যা প্রায় ৮০ জন, তাঁদের অধিকাংশই কর্মসুত্রে গ্রামে না থাকলেও পুজো উপলক্ষে সকলে এই দুদিন একত্রিত হন দেরিয়াপুরে। পাড়া প্রতিবেশী আত্মীয় কুটুম্ব সকলে মিলে প্রত্যেক বছর প্রায় ২৫০ থেকে ৩০০ জন মানুষ পুজোর পরের দিন দেবীর ভোগ গ্রহণ করেন। সুমিত জানান এই পুজোর নানা দ্বায়িত্ব বাড়ির বড়দের সাথে তিনি ছাড়াও পরিবারের সদস্য সন্দীপন, স্বস্তিক, অনিরুদ্ধরাও ভাগ করে নেন। তাঁরা জানান, এবছরে ১০০ বছর উদযাপনের জন্য আত্মীয়সজন, বন্ধুবান্ধব মিলে প্রায় ৮০০ জনের বেশী মানুষ এই পুজোতে আমন্ত্রিত। তিনি আরও জানান শতবর্ষকে স্মরণীয় করে রাখতে পরিবারের তরফ থেকে ১৫০ জন মানুষকে বস্ত্র বিতরণ করা হয়।

অক্টোবর ০৯, ২০২২
রাজ্য

রক্তাক্ত অবস্থায় এক ব্যক্তির দেহ উদ্ধারকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল কালনায়

এদিন শনিবার বিকেলে কালনার ডাঙ্গাপাড়া এলাকায় ঘরের মধ্যেই হঠাতই গলা কাটা রক্তাক্ত অবস্থায় এক ব্যক্তির দেহ উদ্ধারকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল। মৃত ওই ব্যক্তির নাম উৎপল গুপ্ত (8৯) বাড়ি কালনার ডাঙ্গাপাড়া এলাকায়। মৃতের পরিবার পরিজনদের দাবি তিনি প্রতিদিনই প্রচণ্ড নেশা করতেন। এদিনও বিকেলে বাড়ি থেকে নেশা করবে বলে মোটরবাইকের চাবি নিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছিলেন, এমন সময় হঠাৎই তাঁর ছেলে মোটরবাইকের চাবিটি কেড়ে নেয়, তারপরই ঘর থেকে একটি বিকট শব্দ এলে পরিবারের লোকেরা দেখতে পায় রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন উৎপলবাবু। এরপরই ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়। স্থানীয় মানুশে খবর দেওয়ায় ঘটনাস্থলে হাজির হয় কালনা থানা পুলিশ। মৃতের ছেলেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কালনা থানায় নিয়ে যায় কালনা থানা পুলিশ।

অক্টোবর ০৯, ২০২২
রাজ্য

সুর কাটলো কার্নিভালের, ক্ষোভ উগরে দিয়ে মঞ্চ ত্যাগ পুরসভার চেয়ারম্যানের, জেলাশাসকের প্রশংসা

কার্নিভালের মঞ্চ থেকে ক্ষোভ প্রকাশ করে নেমে গেলেন বর্ধমান পৌরসভার চেয়ারম্যান পরেশ সরকার। তিনি বলেন, কার্নিভাল খুব ভাল হচ্ছে আমার কারো বিরুদ্ধে ক্ষোভ বা রাগ নেই। আমার একটাই দুঃখ৷ দুমাস ধরে পৌরকর্মীরা কার্নিভালের জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় এদিন কার্নিভালের মঞ্চ থেকে একবারের জন্যও পৌরকর্মীদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করা হলো না। তিনি বলেন, রাস্তা পরিস্কার করা থেকে দুর্গাপুজো ও কার্নিভালের জন্য সবকিছু প্রস্তুত করেছে দু-আড়াই হাজার পৌরকর্মী। পৌরকর্মী ও আধিকারিকদের ধন্যবাদ জানানো হল না এটাই আমার দুঃখ। আমি একজন সামান্য শিক্ষক, আমার বয়স হয়েছে তাই আমি কারো অন্যায়টা গিলতে পারিনা। এরপর তিনি আর মঞ্চে ওঠেননি।এখানে উল্লেখ্য রাজ্যের অন্যান্য জেলার পাশাপাশি বর্ধমান শহরেও কার্নিভালের আয়োজন করা হয়। উদ্বোধন করেন মুম্বাইয়ের চলচিত্র অভিনেতা চাঙ্কি পাণ্ডে।এবিষয়ে জেলাশাসক প্রিয়াঙ্কা সিংলা জানান, তারা পৌরসভার কাছে কৃতজ্ঞ। কার্নিভাল খুব ভাল ও সাক্সেস হয়েছে। জেলাশাসক জানান, আজকের কার্নিভালে ৩০টি পূজা কমিটি অংশগ্রহণ করেছে। মানুষের উৎসাহ ও উদ্দীপনা দেখে তিনি এ খুশি সে কথাও তিনি জানান। পরবর্তি সময়ে আরও বড়ো ভাবে কার্নিভাল করার কথাও তিনি ঘোষণা করেন। তিনি আরও জানান, পরের বছর জেলার অন্যান্য সাব-ডিভিশন থেকেও দুর্জাপূজা কমিটি গুলিকে আহ্বান করবেন এই কার্নিভালে অংশগ্রহণ করার জন্য। জেলাশাসক জানান এই প্রস্তুতি শুরু হয়েছে ১ সেপ্টেম্বর থেকে। সেদিন ইউনেস্কোর আমাদের বাংলার দুর্গাপুজোকে হেরিটেজ ঘোষণা করার জন্য ধন্যবাদ জ্ঞ্যাপন র্যালি করা হয়েছিলো বর্ধমান শহরে। শুক্রবারের অনুষ্ঠানটিকে সফল করার জন্য সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে তাঁর বক্তব্য শেষ করেন।

অক্টোবর ০৭, ২০২২
রাজ্য

দুর্গাপুজোয় বর্ধমানে শশুরবাড়িতে গিয়ে মিলল জামাইয়ের ঝুলন্ত দেহ, এলাকায় চাঞ্চল্য

শ্বশুর বাড়ি থেকে যুবকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ালো পূর্ব বর্ধমানের ভাতারের নরজা গ্রামে। মৃতের নাম রাজেন ঘোষ(২৪)। বাড়ি ভাতারের পালার গ্রামে।রাজেন ঘোষ একটি বেসরকারী কোম্পানিতে কাজ করতেন। বছর দেড়েক আগে ভাতারের নরজা গ্রামে তাঁর বিয়ে হয়। পুজো উপলক্ষে দিন পাঁচেক আগে নরজা গ্রামে তাঁর শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার রাতে শ্বশুর বাড়ি থেকে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। শ্বশুরবাড়ি লোকজন তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভাতার গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা রাজেনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পুলিশ দেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায় এবং শুক্রবার দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। রাজেনের মৃত্যুর কারণ নিয়ে ধোঁয়াশায় রয়েছেন রাজেনের পরিবারের লোকজন।রাজেনের বাবা মানিক ঘোষ বলেন, তাদের ছেলেকে মেরে ফেলা হয়েছে। এ বিষয়ে তিনি ঘটনার উপযুক্ত তদন্তের দাবিতে ভাতার থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।অন্যদিকে মৃতের শ্বশুর মৃন্ময় ঘোষ বলেন, গতকাল রাতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্য হয়। বাড়ির সদস্যরা অনুষ্ঠান বাড়িতে গিয়েছিলেন ফিরে এসে দেখেন দরজা বন্ধ। সিলিং ফ্যান থেকে রাজেনের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে দেহটি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে।

অক্টোবর ০৭, ২০২২
রাজ্য

দুর্গাপুজো কার্নিভাল-২০২২ বর্ধমানে উদ্বোধনে বলিউডি অভিনেতা চাঙ্কি পাণ্ডে, উপচে পড়া ভিড়

মুখমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে দুর্গাপুজোর শেষে বিসর্জনের কার্নিভাল শুরু জেলায় জেলায়। চারদিনের জমজমাট পুজোর শেষে রাজ্য জুড়ে আবার উৎসবে মেতেছে আবাল-বৃদ্ধা-বনিতা। পুর্ব বর্ধমানের বর্ধমান শহরেও চলছে কার্নিভাল। এই কার্নিভালের উদ্ধোধন করেন বলিউডের প্রখ্যাত চলচ্চিত্র অভিনেতা চাঙ্কি পাণ্ডে। ফিতে কেটে তিনি কার্নিভালের শোভাযাত্রার সূচনা করেন। উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ভারাপ্রাপ্ত মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ, প্রধান উদ্যোক্তা বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক খোকন দাস, জেলা পরিষদের সভাধিপতি শম্পা ধাড়া, জেলাশাসক প্রিয়াঙ্কা সিংলা, পুলিশ সুপার কামনাশীষ সেন, জেলা পরিষদের সহকারি সভাধিপতি দেবু টুডু, অতিরিক্ত জেলাশাসক সুপ্রিয় অধিকারী, বর্ধমান পৌরসভার চেয়ারম্যান পরেশ সরকার এছাড়াও জেলার অন্য বিধায়করা, প্রশাসনিক উচ্চপদস্থ আধিকারিক, জেলা পরিষদের কর্মাধক্ষরাও ছিলেন। কার্নিভালে সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণ ছিল চোখে পড়ার মতো।

অক্টোবর ০৭, ২০২২
নিবন্ধ

স্বীকারোক্তি (ছোট গল্প)

গাড়িটা গ্রামের পথ ধরতেই মনটা যেন কেমন ভেসে গেল শরতের আকাশে সাদা মেঘের মত। দুপাশে সবুজ ধানক্ষেতের পাশে সাদা কালো ফুলের বন কতদিন পর দেখে মনটা নেচে উঠল। কতদিন পরে গ্রামের মাটির গন্ধ নিল বুক ভরে । প্রায় পনেরো বছর গ্রাম ছেড়ে বেরিয়ে গেছে চেতনা। আর প্রায় আট বছর দেশ ছাড়া। গ্রামের দূর্গা পূজো দেখেনি কতদিন। গ্রামের এখন অনেক পরিবর্তন হয়েছে। রাস্তা ঘাট আর আগের এবড়োখেবড়ো নেই, সামান্য বৃষ্টির জলে যেখানে সাঁতার কাটা যেত। স্কুল থেকে ফেরার পথে ওই জমা জলে লাফিয়ে খেলা করে জামা ভিজিয়ে বাড়ি গিয়ে মায়ের কাছে বকা খেয়েছে কতদিন। গ্রামে ঢোকার মুখে গাড়ি থামিয়ে দিগন্ত বিস্তৃত সবুজ মাঠের সামনে দাঁড়িয়ে মনের জানালা দিয়ে উঁকি দিতে লাগল চেতনার ছেলেবেলা। মেধা আর চেতনা দুই বন্ধু। গ্রামের লোকে বলত হরিহর আত্মা। মেধার মা ছিল না, তাই চেতনার মা ওকে খুব স্নেহ করতেন। চেতনা মাঝে মাঝে ওর মাকে বলত, তুমি আমার থেকে মেধাকে বেশি ভালোবাসো। অন্যদিকে মেধার বাবা চেতনা কে বলতেন তুই আমার আরেক মেয়ে। এইভাবে উভয়ের বাড়িতে উভয়েই ভালোবাসা পেয়েছে। এই ভাবে বড় হতে থাকে দুজনে। চেতনা বরাবর পড়াশোনায় খুব ভালো আর মেধা মোটামুটি। কিন্তু কোনো দিন চেতনাকে হিংসা করেনি। বরং ও খুব খুশি হত চেতনার রেজাল্টে। বলত , কার বন্ধু দেখতে হবে তো। চেতনা মাধ্যমিক পরীক্ষায় খুব ভালো রেজাল্ট করলো। ওর ইচ্ছা ছিল কোনো ভালো স্কুলে পড়ার কিন্তু ওর বাবার সামর্থ্যের বাইরে তা, তাই কাছাকাছি জেলার স্কুলে ভর্তি হলো। মেধা ও একই স্কুলে ভর্তি হলো। যদিও চাইলেই অন্য আরও বড়ো স্কুলে ভর্তি হতে পারতো কিছুতেই যে দুজনে আলাদা হবে না। একই জায়গায় মেডিকেল কলেজে পড়ত ওই গ্রামেরই ছেলে তড়িৎ। ওই ওদের ভর্তির সব ব্যবস্থা করে। তিনজন এক সাথে যাতায়াত করে। পড়াশোনার বিভিন্ন বিষয়ে সাহায্য করে চেতনাকে। চেতনা স্বপ্ন দেখে অনেক বড় ইঞ্জিনিয়ার হবে। কিন্তু ভাবে কি করে সম্ভব? ওদের আর্থিক অবস্থা খুব একটা ভালো না। বাবা গ্রামের স্কুলে শিক্ষকতা করেন আর কিছু জমি জায়গা আছে। আজকের দিনে হয়ত অনেক কিন্তু তখন ওটা সামান্যই ছিল। জানে যে জেলা মানে মেধার বাবা সবরকম সাহায্য করবে ও চাইলে কিন্তু ও চায়না সেটা। ও নিজের স্কলারশিপের টাকাতেই পড়াশোনা চালিয়ে যেতে চায়। তাই পড়াশোনা খুব মন দিয়ে করে। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় ভালো ফল করত হবে। জয়েন্টে ভালো ফল করতে না পারলে সরকারি কলেজে ভর্তি হতে পারবে না। পড়াশোনা হবে না এইসব ভেবে দিনরাত পরিশ্রম করে আর ওকে সাহায্য করে যায় তড়িৎ। এইভাবে কখন যে দুটি মন কাছাকাছি এসে যায় নিজেরাই বুঝতে পারে না। জানে শুধু মেধা। ওই ওদের মধ্যে যোগাযোগ করতে সাহায্য করে। এরপর জয়েন্টে খুব ভালো ফল করে চেতনা শিবপুরে পড়তে চলে যায়। মেধা ওখানেই ইকনমিক্স নিয়ে ভর্তি হয়। মেধার বাবা চেতনাকে পড়াশোনা করতে সাহায্য করতে চান। কিন্তু চেতনার বাবা নিজের জমিজমা বিক্রি করে মেয়েকে পড়াবেন ঠিক করেন। তড়িৎ আর মেধা মাঝে মাঝে যায় চেতনার সাথে দেখা করতে। ছুটি ছাটা য় চেতনা চলে আসে গ্রামে। এইভাবে চলতে থাকে ওদের ছাত্র জীবন। তারপর হঠাৎ হয় ছন্দপতন। মেধার গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট হতেই জানতে পারে ওর বিয়ের কথা। মেধার বাবা একদিন ফোন করে বিয়ের বাজার করার জন্য। আর সেই সময় যে ধাক্কা টা খায় আজও তার রেশ রয়ে গেছে। গাড়িতে তড়িৎ কে দেখে অবাক হয়ে বলে, তুমি! মেধার জন্য শাড়ি কী তুমি পছন্দ করবে? তখন জেঠুর উত্তর শুনে চমকে ওঠে। জেঠু মানে মেধার বাবা বলেন ও না থাকলে বরের পোশাক পছন্দ করবে কে? আচ্ছা তাই বলো। আমি ভাবলাম ---বলে ও চুপ করে যায়। মেধা তখন বলে ওঠ ওঠ গাড়িতে ওঠ। পরে সব জানবি। চেতনা বুঝতে পারে না কি ঘটছে। চেতনা কোনোরকমে ওদের সঙ্গ দেয়। ওকে হোস্টেলে ছাড়ার সময় মেধা বলে আগামী অগ্রহায়ণ মাসের প্রথম সপ্তাহে আমার বিয়ে। তোকে কিন্তু দুই তিন দিন আগে আসতে হবে। তুই ছাড়া আমার আর কে আছে বল? ওকে আর কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে ওদের গাড়ি ছেড়ে দেয়। চেতনা যেন খুশি হতে পারছে না মেধার বিয়ের কথা শুনে। মনে হচ্ছে কি যেন আড়ালে রাখতে চাইছে মেধা। তড়িৎ কে ফোন করলে ফোন ধরে না। চেতনা আরও উতলা হয়ে পড়ে। ওর রুমমেট সুদেষ্ণা বোঝে কিছু একটা চলছে ওর মধ্যে। বারবার জানতে চায় চেতনার কাছে যে কোন সমস্যা হচ্ছে কিনা? কিন্তু কি করে বলবে ও নিজেই তো কিছু বুঝতে পারছে না। এগিয়ে আসে মেধার বিয়ে। দুদিন আগে না বিয়ের আগের দিন বিকেলে গিয়ে পৌঁছায় বাড়িতে। ও তখনই মেধার বাড়িতে যেতে চাইলে মা বলে কতদিন পরে এলি, আজ আর যেতে হবে না, একদম কাল সকালে যাবি। মায়ের কথা শুনে অবাক হয় চেতনা। যে মা ওকে সবসময় মেধার সাথে থাকতে বলত আজ সেই কিনা বলছে কাল যাবি! বিস্মিত হয় ও। বিস্ময়ের আরও বাকি ছিল যা বিয়ের দিন ঘটতে থাকে। আর একটা ব্যাপার খুব অবাক লাগে মেধা সেই থেকে আর ওর সাথে কোনো যোগাযোগ করেনি। ওর বাবা আবার ফোন করে চেতনা কে আসতে বলেন। সকাল বেলা ওদের বাড়িতে যায় ওকে দেখে খুব খুশি হয় মেধার বাবা। মেধা ও রাগ দেখিয়ে বলে এতক্ষণে আসার সময় হলো তোর? চেতনা কিছু বলে না কাজে লেগে পরে। ওদের বাড়ির আত্মীয়স্বজন সবাই চেতনা কে চেনে। তাই ও সহজেই কাজে লেগে যায়। এক ফাঁকে শুধু জিজ্ঞাসা করে তড়িৎ দা আসবে না? মেধা বলে সময় হলেই আসবে। যেন না আসলেও হয় আরকি। চেতনা আর কিছু বলে না। দুপুর গড়িয়ে বিকেল হয় চেতনা মেধাকে সাজাতে বসে, সাজানো হয়ে গেলে বাড়ি যায় নিজে তৈরি হতে। মা, বাবা ওনাদের সাথেই চেতনা কে যেতে বলেন। ও একটু বিশ্রাম করে তৈরি হয়ে মা, বাবার সাথে ওদের বাড়িতে ঢোকে। কে যেন হাত ধরে টেনে নিয়ে যায় বর আসনের কাছে। বরকে দেখে ও বাকরূদ্ধ হয়ে যায়। এ কাকে দেখছে ও! নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছে না। ও প্রায় পড়েই যেত ওর বাবা এসে না ধরলে। নিজেকে কোনো রকমে সামলে মেধার কাছে যায়। তখন রাগে, দুঃখে, অভিমানে ঠিক রাখতে পারছিল না। ওর মা, বাবা ওকে ধরে রাখেন। মা হয়ত কিছু আন্দাজ করেছিলেন। মেধা কে অভিনন্দন জানিয়ে কোনো রকমে বাড়ি ফিরে আসে। তিনজনের কিছু খাওয়া হয়না। মেধার বাবা অনুরোধ করেন কিন্তু চেতনা শরীর খারাপ লাগছে বলে চলে আসে। মায়ের কাছে খুবই কাঁদে। মুখে কিছু না বললেও মা সব বোঝেন! পরেরদিন ভোর হতেই চলে যায় কলেজে। সুদেষ্ণা ওকে দেখে অবাক হয়। বোঝে কিছু একটা গন্ডগোল হয়েছে। জানতে চাইলে চেতনা আর নিজেকে ধরে রাখতে পারে না। সব বলে সুদেষ্ণাকে। সুদেষ্ণা ওকে বলে আগে তুই কেঁদে হালকা হয়ে নে তারপর কথা বলব। দুদিন চেতনা বিছানা থেকে ওঠে না। সুদেষ্ণা খাবার এনে ওকে খাওয়ায়। তৃতীয় দিনে ওকে সুদেষ্ণা বলে শোনা তোর ভবিষ্যৎ সামনে। কলেজ ক্যাম্পাসিং এ ভালো ভালো কোম্পানি আসবে তার জন্য তৈরি হতে হবে। ওরা তোর সাথে কী করেছে সেটা ভেবে তুই তোর স্বপ্নটাকে নষ্ট করে দিতে পারিস না। আমি সব মেনে নিতাম যদি এটা মেধা না হয়ে অন্য কেউ হতো। কিন্তু মেধা! আমি ভাবতে পারছি না এত বড় বিশ্বাসঘাতকতা ও কি করে করল? তাও আমার সাথে। যে কোনো দিন আমাকে হিংসা করেনি! আমি কিছু বুঝতে পারছি না। এই সময় সুদেষ্ণা পাশে না থাকলে হয়তো চেতনার জীবনটা নষ্ট হয়ে যেত। অনেক কষ্টে আবার পড়াশোনাতে মন দেয়। পাশ করার আগেই ভালো মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে জব পেয়ে যায়। প্রথম যায় ব্যাঙ্গালোর, তারপর মুম্বাই আর সেখান থেকে আমেরিকা। এর মধ্যে মা বাবাকে কোলকাতায় নিয়ে চলে আসে। গ্রামের সাথে সব সম্পর্ক ছিন্ন করে দেয়। দেশে ফিরলেও সুদেষ্ণা ছাড়া কারও সাথে যোগাযোগ রাখেনি।। মহালয়ার কদিন আগে যখন ফোন টা আসে একটু ঘাবড়ে গেছিল অচেনা নম্বর দেখে। ইন্ডিয়ার কল বোঝে, তাই ভাবে মা, বাবার আবার কিছু হলো বোধহয়। কিন্তু ফোন ধরে বুঝতে পারে বৃন্দাবন জেঠু। বলেন, মা আমার একটা অনুরোধ, তুই একবার গ্রামে আয়, মেধা তোকে দেখতে চায়, ও খুব অসুস্থ, মৃত্যু শয্যায়। একথা শুনে চেতনার মনে যত অভিমান ছিল এক নিমেষে কোথায় চলে গেল। রাগ তো কবেই পড়ে গেছে। সোজা দেশে আসার ব্যবস্থা করে;মা, বাবাকেও কিছু জানায়নি। এয়ারপোর্ট থেকে গাড়ি নিয়ে সোজা গ্রামে। মেধা দের বাড়ির সামনে গাড়ি থামতেই জেঠু বেরিয়ে এলেন। যেন ওর জন্যই অপেক্ষায় ছিলেন। হাত ধরে নিয়ে যান সোজা মেধার কাছে। ওর ঘরে ঢুকে দেখে একদম বিছানার সাথে লেগে আছে প্রানবন্ত মেধা। আয় তনি আমার কাছে আয় বলে কৃশ হাত বাড়িয়ে দেয়। তনি নামটি কতদিন পর শুনল চেতনা। এটা ছিল মেধার দেওয়া নাম। ওর এই অবস্থা দেখে খুব কষ্ট হয় চেতনার। ও ছুটে গিয়ে হাতটা ধরে। কি হয়েছে তোর? তুই ঠিক ভালো হয়ে যাবি। আমি এসে গেছি আর কিছু হবে না তোর। চেতনার চোখে জল। তুই আমার জন্য কাঁদছিল কেন? আমার তো এটাই হবার ছিল। আমি তোর সাথে যেটা করছি সেটা যে মহাপাপ। বিশ্বাস ঘাতকতা করেছি তোর মত বন্ধুর সাথে। আমার পাপের শাস্তি ভোগ করছি। কেন এমন বলছিস? তুই চুপ কর। বলে চেতনা। আমাকে আজ বলতে দে। আজ তোর কাছে নিজের অপরাধ স্বীকার করবো বলেই আমার প্রাণ রয়েছে এখনো। চেতনা অস্থির হয়ে জিজ্ঞাসা করে জেঠু কি হয়েছে ওর? তড়িৎ সামনে আসে, বলে ওকে বলতে দাও কথাগুলো নাহলে ও মুক্তি পাবে না। আমাকে আগে কেন খবর দাওনি তোমরা? কি করে দিতাম? তোমাদের কোনো ঠিকানা জানা ছিল না। তোমাকে যেদিন জানালাম ওই দিন কলকাতায় একটা কাজে গেছিলাম, সেখানেই কাকুর সাথে হঠাৎ দেখা হয়ে যায়। সব জানাই ঠাকুরের। কাকু তোমার নম্বর দেন। চেতনা চুপ করে থাকে। ক্ষীণ গলায় মেধা বলে, বন্ধু হয়ে আমি যা করেছি তার কোনো ক্ষমা হয়না জানি। আমাকে না তড়িৎ কে পারলে ক্ষমা করিস সব শোনার পর। বলতে থাকে মেধা, আমরা তিনজন যখন একসাথে যাতায়াত করতাম করুন আর তড়িৎ বিজ্ঞান বিভাগের হওয়ায় পড়াশোনা নিয়ে আলোচনা করতে খুব। আমি সেখানে চুপচাপ থাকতাম। ধীরে তড়িৎ তোকে পছন্দ করতে শুরু করে আমিই প্রথম সেটা আন্দাজ করি। আমি নিজে অনুঘটকের কাজটা করি। কিন্তু কোথায় একটা খিচ ছিল মনে। তাই তুই যখন পড়তে চলে গেলি আমরা একসাথে যাতায়াত করতাম ঠিক কিন্তু ওর মুখে সবসময় তোর কথা, তোদের ভবিষ্যতের কল্পনা লেগে থাকত। যে আমি তোকে কোনো দিন হিংসা করিনি, তোর রেজাল্ট ভালো হলে আমি পাড়া মাথায় করেছি আনন্দের চোটে সেই আমার মনে তখন হিংসা বাসা বাঁধে। মনে মনে ভাবি কি করে তড়িৎ আমার হবে। ঠিক সেই সময় সূযোগ পেয়ে যাই। তড়িৎ বিদেশি ইউনিভার্সিটি থেকে উচ্চ শিক্ষা নিতে চায় কিন্তু টাকার জন্য আটকে যাচ্ছে। আমি তখন বাবাকে বললাম টাকা টা দিতে, বাবা এককথায় রাজী হয়ে গেল । জানিস তো আমি কিছু চাইলে বাবা না করে না। আমিই তখন বাবা কে বললাম তুমি শুধু তড়িৎ এর বাবার থেকে আমার আর তড়িৎ এর বিয়ের প্রতিশ্রুতি নিয়ে আসবে। বাবা আমার কথায় কোনো প্রশ্ন না করে রাজী হয়ে গেল এবং কাজটা করেও ফেলল। কিন্তু তড়িৎ যখন এসব জানতে পারল তখন ও সবাইকে সব বললো। ওর মা বাবা কে এবং আমার বাবা কে। আমার বাবা প্রথমে বিশ্বাস করেনি কারণ আমি বাবা কে বলেছিলাম আমরা পরস্পর কে ভালোবাসি। তড়িৎ যখন কিছুতেই বিয়ে করতে চায় না তখন বাবা বুঝতে পারে আমি কোন ফন্দি করছি, বাবা আমাকে অনেক বোঝায় কিন্তু তখন তো আমার মাথায় শয়তান বাসা বেঁধে আছে। আমি আত্মহত্যার হুমকি দিই। ব্যস সবাই চুপচাপ বিয়ে তে রাজী হয়ে যায়। কিন্তু আজ পর্যন্ত ও আমাকে স্ত্রী বলে স্বীকার করাতো দুর আমাদের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক টাও থাকে না। আমি কিছু দিনের মধ্যেই নিজের ভুল বুঝতে পারি। কিন্তু লোকসমাজের জন্য আলাদা হতে পারিনি। আমার একটা ভুল আমাদের তিনটি জীবন নষ্ট করে দিল। আমি তোর কাছে ক্ষমা চাইবো না। শুধু তড়িৎ কে তুই আর ভুল বুঝিস না। ওর কোনো দোষ ছিল না। এই সত্য টা বলব বলেই আমি বেঁচে আছি। এবার আমি নিশ্চিন্তে মরব। এই বলে একটা দীর্ঘ শ্বাস নিয়ে চোখ বন্ধ করে ফেলে মেধা। আর তখনই চন্ডী মন্ডপে বেজে ওঠে বিসর্জনের বাজনা। ঘরে নীরবতা ছেয়ে যায়। চেতনার চোখ থেকে বসু ধারা বয়ে যায়। তড়িৎ নীরবে তাকিয়ে থাকে মেধার মুখ পানে। আর ওর বাবা শুধু বলেন মেধার স্বীকারোক্তি আজ ওকে কষ্টের জীবন থেকে মুক্তি দিল।

অক্টোবর ০৭, ২০২২
রাজ্য

বর্ধমানের পূজা কার্নিভালের মঞ্চে বসতে চলেছে বলিউডি তাড়কাদের চাঁদের হাট

শুক্রবার বর্ধমান শহরে হতে চলে দুর্গাপূজা কার্নিভালের জন্য যানচলাচলে নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে নির্দেশিকা দিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারী করল পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশ। পূর্ব বর্ধমান জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি আধিকারিক রামশংকর মন্ডল জানিয়েছেন, কার্নিভাল শুরু হবে বিকাল ৫ টে নাগাদ নীলপুর মোড় সংলগ্ন সৎসঙ্গ ভবন এলাকা থেকে। এই র্যালী শেষ হবে লক্ষ্মীপুর মাঠের পাঞ্জাবী পাড়া মোড়ে। ইতিমধ্যেই প্রশাসনের পক্ষ থেকে কার্জন গেটের সামনে করা হয়েছে তিনটি ভাগে প্রায় বিশাল মঞ্চ বাঁধা হয়েছে যা প্রায় ২০০ ফুট লম্বা । যেখানে উপস্থিত থাকবেন পূর্ব বর্ধমান জেলার মন্ত্রীরা-সহ বিধায়ক অন্যান্য জনপ্রতিনিধি এবং প্রশাসনিক আধিকারিকরা। গড়ে তোলা হয়েছে কড়া পুলিশি নিরাপত্তা। বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক খোকন দাস জানিয়েছেন, জেলা প্রশাসনের তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগ এবং বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়কের ব্যবস্থাপনায় বর্ধমান শহরের ৩১ টি পুজো কমিটিকে নিয়ে হচ্ছে দুর্গাপূজা এবারের কার্নিভাল।আরও জানা গেছে, জি টি রোড ধরে চলবে এই কার্নিভালের র্যালী। সুত্র মারফত জানা গেছে কার্নিভ্যালে হাজির থাকবেন মুম্বাইয়ের বিশিষ্ট অভিনেতা চাংকি পান্ডে-সহ আরও অনেক সেলিব্রেটিরাই। কার্জনগেট চত্বরে প্রত্যেকটি পুজো কমিটিকে ৩-৪ মিনিট করে নিজেদের পারফরম্যান্স তুলে ধরার জন্য সময় দেওয়া হবে। সামগ্রিক বিচারের নিরিখে তাদের মধ্য থেকে পুরস্কৃতও করা হবে। প্রসঙ্গত, দুর্গাপূজাকে ইউনেস্কো হেরিটেজ ঘোষণা করাতে, মুখমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে রাজ্যে সমস্ত জেলাতেই কালকে এই কার্নিভ্যালের আয়োজন করা হয়েছে।জি টি রোড ধরে হতে চলা এই কার্নিভালের জন্য বর্ধমান শহরে যানচলাচলে নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে একটি নির্দেশিকা জারী করল পূর্ব-বর্ধমান জেলা পুলিশ। শুক্রবার আলিশা বাস স্ট্যান্ড থেকে কার্জনগেট এলাকা ও রেলওয়ে ওভারব্রিজ হয়ে গোলাপবাস মোড় পর্যন্ত জি টি রোড বরাবর এই নির্দিশিকা কার্যকরী থাকবে। নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, সকাল ৮ টা থেকেই পণ্যবাহী গাড়ি চলাচলা নিষেধাজ্ঞা থাকছে (যতক্ষন কার্নিভাল চলবে)। বাস চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকছে দুপুর ১২ টা থেকে। ইকো-রিক্সায় (টোটো) নিষেধাজ্ঞা থাকছে দুপুর ২ টো থেকে। চারচাকা গাড়ীতে নিষেধাজ্ঞা থাকছে বিকেল চারটে থেকে এবং দু-চাকা যানে নিষেধাজ্ঞা থাকছে বিকেল সাড়ে চারটে থেকে।

অক্টোবর ০৬, ২০২২
  • ‹
  • 1
  • 2
  • ...
  • 6
  • 7
  • 8
  • 9
  • 10
  • 11
  • 12
  • ...
  • 32
  • 33
  • ›

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

১০০ দিনের কাজ নিয়ে হাইকোর্টে বড় ধাক্কা কেন্দ্রীয় সরকারকে

গতকালই ওবিসি মামলায় হাইকোর্টে জোরদার ধাক্কা খেয়েছে রাজ্য সরকার। এবার ১০০ দিনের কাজ নিয়ে বড় ধাক্কা খেল কেন্দ্রীয় সরকার। বুধবার নজিরবিহীন একটি নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। পশ্চিমবঙ্গে ফের ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প চালু করতে হবে, এই মর্মে কেন্দ্রীয় সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। আগামী ১ আগস্ট থেকেই এই প্রকল্প চালু করতে নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চ।উল্লেখ্য, বাংলায় ১০০ দিনের কাজের টাকা বহুদিন ধরে আটকে রেখেছে কেন্দ্র, এই অভিযোগ করে আসছে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ রাজ্য সরকারের একাধিক মন্ত্রী এই ব্যাপারে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বারবার সমালোচনায় সরব হয়েছেন। কেন্দ্রীয় সরকারের দাবি, পশ্চিমবঙ্গে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে লাগামহীন দুর্নীতি হয়েছে। এই দুর্নীতির তদন্তে কেন্দ্র বেশ কয়েকটি দলও বাংলার জেলায় জেলায় পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।কেন্দ্রের অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল অশোক চক্রবর্তী আদালতে জানিয়েছিলেন, ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে পশ্চিমবঙ্গে মোট ৫ কোটি ৩৭ লক্ষ টাকা বন্টনের ক্ষেত্রে গরমিল ধরা পড়েছে।। তার মধ্যে ২ কোটিরও বেশি টাকা পুনরুদ্ধার করা গিয়েছে। হুগলি, মালদা, বর্ধমান, দার্জিলিংয়ের মতো জেলাগুলিতে ১০০ দিনের কাজের টাকা বন্টনের ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ পেয়েছে কেন্দ্রের প্রতিনিধি দল। ১০০দিনের কাজের প্রকল্পে টাকা বন্টনের ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গে বেনজির দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ কেন্দ্রের।রাজ্যে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প আটকে থাকা নিয়ে মামলার শুনানি বুধবার ছিল কলকাতা হাইকোর্টে। এদিন উভয় পক্ষের সওয়াল-জবাব শুনেছেন প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। এরপর প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছেন যে শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গের জন্যই বিশেষ কোনও বেঁধে দিতে পারে কেন্দ্র। এই রায়ের পর সোচ্চার হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছেন, ১০০ দিনের পুরনো বকেয়া টাকা ফেরত দিতে হবে।

জুন ১৮, ২০২৫
রাজ্য

তোলা না দেওয়ায় গাছে বেঁধে কাপড় ব্যবসায়ীকে মারধর

পাঁচ লক্ষ টাকা তোলা না দেওয়ায় গাছে বেঁধে এক কাপড় ব্যবসায়ীকে মারধর এবং সালিশি করে গ্রাম ছাড়া করার অভিযোগ উঠলো স্থানীয় একদল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে কালিয়াচক থানার ফতেখানি এলাকায়। এই ঘটনায় আক্রান্ত ব্যবসায়ীর পরিবার কালিয়াচক থানার দ্বারস্থ হলেও চারদিন পরে পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ। অবশেষে বুধবার ওই ব্যবসায়ী দম্পতি সমস্ত ঘটনার বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ জানালেন পুলিশ সুপারের কাছে। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পুরো বিষয়টি নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মালদার পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব। এদিকে কালিয়াচকের ওই ব্যবসায়ীর ওপর আক্রমণ এবং পাঁচ লক্ষ টাকা তোলাবাজির ঘটনায় রীতিমতো অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন জেলার সর্ববৃহৎ ব্যবসায়ীদের সংগঠন মালদা মার্চেন্ট চেম্বার অফ কমার্সের কর্মকর্তারা। সংশ্লিষ্ট সংগঠনের সভাপতি জয়ন্ত কুন্ডু জানিয়েছেন, এই ধরনের ঘটনার আমরা তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। বারবার যদি ব্যবসায়ীদের ওপর দুষ্কৃতীদের হামলা নেমে আসে, তাহলে আমরা যাব কোথায়। অবিলম্বে পুলিশ সুপার যাতে অপরাধীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করে, সেই আবেদন জানাচ্ছি। এদিকে পুলিশকে অভিযোগে কালিয়াচক থানার ফতেখানি এলাকার পোশাক ব্যবসায়ী মহম্মদ রহিম বিশ্বাস জানিয়েছেন, পুরনো একটি মামলার ঘটনায় গত শনিবার এলাকার এক কুখ্যাত দুষ্কৃতী জহরুল খান এবং তার দলবল তাকে বাড়ির সামনে থেকে তুলে নিয়ে যায়। তাদের একটি ডেরায় তাঁকে গাছে বেঁধে ব্যাপক মারধর করা হয়। এরপর পাঁচ লক্ষ টাকার তোলা চাওয়া হয়। সেই টাকা না দেওয়ায় আশেপাশের আরও কিছু সাগরেদদের জুটিয়ে সালিশি ডাকা হয়। সেই সালিশির মাধ্যমে তাদের পরিবারকে গ্রাম ছাড়া করার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। আর এই ঘটনার পর থেকেই গত চারদিন ধরেই ওই ব্যবসায়ী পরিবার নিজের বাড়ি ছেড়ে অন্য এক আত্মীয়ের বাড়িতে আত্মগোপন হয়ে রয়েছেন। এমনকি ফতেখানি স্ট্যান্ডের কাছে ওই ব্যবসায়ী তার নিজের পোশাকে শোরুম খুলতে পারছেন না।

জুন ১৮, ২০২৫
রাজ্য

বাংলা দিবস পালন নিয়ে বিজেপিকে কড়া তোপ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের

বাংলা দিবস পালন নিয়ে ফের বিজেপি ও তৃণমূলের মধ্যে বাগযুদ্ধ শুরু হয়ে গেল। আগামী ২০ জুন বাংলা দিবস পালন করা হবে বলে উত্তরপ্রদেশের বিশেষ সচিব পশ্চিমবঙ্গের সংস্কৃতি দফতরকে একটি চিঠি দিয়েছে। আলাদা করে বাংলা দিবস পালনের দিন নির্ধারণ নিয়ে এবার প্রশ্ন তুললেন খোদ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই ইস্যুতে BJP-র কড়া জবাব দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।বুধবার সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ২০ জুন প্রতিটি রাজ্যের রাজভবনে বাংলা দিবস পালন করা হবে বলে ঠিক করা হয়েছে। এই তারিখ কীভাবে ঠিক করা হল? দেশ স্বাধীন হয়েছে ১৫ আগস্ট। বাংলার প্রতিষ্ঠা দিবস আপনারা ঠিক করে দেবেন? বিজেপি ইচ্ছা মতো চাপিয়ে দেবে? এটা বাংলাকে চরম অসম্মান বলে আমরা মনে করছি। বাংলা দিবস বাংলার সরকার পালন করবে। সেটা ১ বৈশাখ।এদিন কেন্দ্রকে নিশানা করে মুখ্যমন্ত্রীর আরও তোপ, সব বুলডোজ করছে, দেশে জুমলা সরকার চলছে। পেহেলগাঁওয়ের পর সবাই বিশেষ অধিবেশন ডাকার কথা বলেছে। বিরোধীরা সবাই অধিবেশন ডাকার কথা বলেছিল। কেন বিশেষ অধিবেশন ডাকা হবে না?একশো দিনের কাজের টাকা চার বছর ধরে বন্ধ করেছে। আবাস যোজনার টাকা দিচ্ছে না। রাজ্য সরকার নিজে সেই টাকা খরচ করে উন্নয়ন বজায় রেখেছে।

জুন ১৮, ২০২৫
রাজ্য

ভাগীরথী সেতুতে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা, লরির চাকায় পিষ্ঠ হয়ে মৃত্যু রোগীর

মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর ভাগীরথী সেতুর উপর ঘটল মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। বুধবার দুপুরে চলন্ত লরির চাকায় পিষ্ট হয়ে মৃত্যু হল এক বৃদ্ধের। মৃতের নাম হরেন মণ্ডল (৬৩)। তিনি ঝাড়খণ্ডের পাকুর জেলার বাসিন্দা বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।জানা গিয়েছে, বুধবার সকালেই অসুস্থতা জনিত কারণে হরেন মণ্ডলকে জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাঁর সঙ্গে ছিলেন পুত্রবধূ। দুপুরে বৌমা ফুলতলা বাজারে ফল কিনতে গেলে অনেকক্ষণ কেটে গেলেও তিনি না ফেরায়, চিন্তায় পড়ে বৃদ্ধ খুঁজতে বের হন। খুঁজতে খুঁজতে উঠে পড়েন ভাগীরথী সেতুর উপর। সেই সময় এক চলন্ত লরির সামনে পড়ে যান তিনি। অসাবধানতাবশত লরির চাকায় পিষ্ট হন হরেন মণ্ডল। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।ঘটনাস্থলে পৌঁছায় রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ ও রঘুনাথগঞ্জ সদর ট্রাফিক গার্ড। কিছু সময়ের জন্য সেতুর উপর যান চলাচল ব্যাহত হয়। পরে পুলিশ ব্যবস্থা নিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ। দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ কী, লরি চালকের গাফিলতি ছিল কিনাতা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।এই দুর্ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকাজুড়ে। হাসপাতালে ভর্তি রোগীর এমন মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে পরিবার ও হাসপাতাল চত্বরে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পরেও কি ভাবে রাজ্য সড়কে পৌছালো ঐ রুগী তা নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছে একলাবাসীর মধ্যে।

জুন ১৮, ২০২৫
রাজ্য

রায়নার বিধায়কের কন্যার নামকরণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী

রায়নার বিধায়ক শম্পা ধারার শিশু কন্যার নামকরণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার বিধানসভাতেই বিধায়ক শম্পা ধারা কন্যা সন্তান নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সামনে হাজির হন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিধায়ক শম্পা ধারার শিশু কন্যার নাম রাখেন ঐশী। আশাপূরণ হওয়ায় শম্পা ধারা বেজায় খুশি। মেয়ের অন্নপ্রাসন অনুষ্ঠানের দিনও নির্দিষ্ট করে ফেলেছেন বিধায়ক। সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হওয়ার জন্য শম্পা ধারা এদিন মুখ্যমন্ত্রী সহ সকল বিধায়ককে নিমন্ত্রণও করেন।শম্পা ধারার কন্যার এখন বয়স মাত্র সাড়ে চার মাস। বাংলার অগ্নিকন্যা তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অন্তত তাঁর কন্যার নামকরণ করে আশীর্বাদ করুন, এমনটাই স্বপ্ন ছিল রায়নার তৃণমূল বিধায়কের। সেই স্বপ্ন পূরণের লক্ষে নিজের শিশু কন্যাকে সঙ্গে নিয়ে সোমবার দুপুরে বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর ঘরের সামনে পৌছে যান পূর্ব বর্ধমানের বিধায়ক। মুখ্যমন্ত্রী ঘর থেকে বের হতেই বিধায়ক শম্পা তাঁর কন্যার নামকরণ করার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করেন। নিজের দলের বিধায়কের সেই অনুরোধ ফেরাননি মুখ্যমন্ত্রী।শম্পা ধাড়া জানান, চলতি বছরের ২৩ জানুয়ারি তাঁর কন্যা সন্তানের জন্ম হয়েছে। শম্পা ধারার কথা অনুযায়ী নাম করণ করে দেওয়ার পর তাঁর মেয়ের মাথায় হাত দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আশীর্বাদ করেছেন। এটাই তো তাদের কাছে অনেক বড় পাওয়া। এর জন্য তিনি গর্বিত বোধ করছেন।তাঁর খুব আনন্দও হচ্ছে।

জুন ১৭, ২০২৫
বিনোদুনিয়া

কেশরী চ্যাপ্টার টু, ইতিহাস বিকৃত করার ভয়ঙ্কর অভিযোগ

ইতিহাসের একটি পরিচিত অধ্যায় ইংরেজ শাসনের সময় বিখ্যাত স্বাধীনতা সংগ্রামী ও বিপ্লবী ক্ষুদিরাম বোস ও প্রফুল্ল চাকী কুখ্যাত ইংরেজ জাজকে বধ করার চেষ্টা করেছিল। এর ভিত্তিতে ক্ষুদিরাম বোসের ফাঁসি হয়েছিল এবং প্রফুল্ল চাকীও পুলিশের হাতে যাতে ধরা না পড়ে তার জন্য নিজের প্রাণ নিজের হাতে নিয়েছিল। বিধাননগর দক্ষিণ থানাতে অভিযোগ এসেছে যে একটি সিনেমা ইদানিংকালে লাইভ স্ট্রিমিং হচ্ছে সিনেমাটির নাম হচ্ছে কেশরী চ্যাপ্টার টু। সেই সিনেমাটি জিও হটস্টারে দেখানো হচ্ছে লাইভ স্ট্রিমিং এর মাধ্যমে সেখানে একটা দৃশ্যে দেখানো হয়েছে যে ক্ষুদিরাম বোসের নামকে ক্ষুদিরাম সিং বলা হয়েছে এবং প্রফুল্ল চাকির সেখানে কোন উল্লেখ নেই।বিখ্যাত স্বাধীনতা সংগ্রামী অরবিন্দ ঘোষের ছোট ভাই বিরেন্দ্র কুমার ঘোষ তিনি ও বিপ্লবী ছিলেন উনার নামটাকে বারিন্দ্রা কুমার বলে বলা হচ্ছে। শুধুমাত্র ঐতিহাসিক তথ্যগুলোকে বিকৃত করা হয়নি, বরঞ্চ স্বাধীনতা সংগ্রামী যারা আছেন তাদের নামটাকে বিকৃত করে তাদের গরিমাটাকে কিছুটা হলেও ম্লান করার চেষ্টা হয়েছে এবং করা হয়েছে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে একটা কেস করা হয়েছে। এটাও দেখানো হয়েছে খুদিরাম বোস এবং বারিন্দ্র ঘোষ ওনারা অমৃতসরের ছাত্র ছিলেন। এই পরিপ্রেক্ষিতে অভিযোগটা করা হয়েছে। আর সেই অভিযোগের ভিত্তিতে বিধান নগর দক্ষিণ থানাতে একটি কেস রুজ করা হয়েছে এবং তদন্ত শুরু হয়েছে।

জুন ১৭, ২০২৫
কলকাতা

ভূয়ো কল সেন্টারের পর্দা ফাঁস, বাগুইআটিতে গ্রেফতার ৬

গোপন সূত্রে প্রাপ্ত সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে বাগুইহাটি থানা অধীনস্ত সৃষ্টি অ্যাপার্টমেন্টে অভিযান চালায় বিধাননগর পুলিশের একটি দল এবং পর্দা ফাঁস করে একটি ভুয়ো কল সেন্টারের। অভিযুক্তরা বিভিন্ন রাজ্যে সমাজের প্রান্তিক শ্রেণীর মানুষদের সঙ্গে যোগাযোগ করত এবং কম সুদে ঋণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাদের কস্টার্জিত অর্থ হাতিয়ে নিতো।স্বতঃপ্রণোদিত অভিযোগের ভিত্তিতে বাগুইআটি থানায় কেস নাম্বার ৩৮২/২০২৫ মামলা রুজু হয়। এই অভিযানে মোট ছয় জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং উদ্ধার হয়েছে বহু বৈদ্যুতিন সরঞ্জাম, ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন ইত্যাদি। এই মামলার তদন্ত চলছে। ধৃতদের আজ আদালতে পেশ করা হলে তাদের প্রত্যেকের সাত দিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন মঞ্জুর হয়। মামলার তদন্ত চলছে।

জুন ১৭, ২০২৫
রাজ্য

তৃণমূলের দলীয় বৈঠকে মমতাবালাকে কটুক্তির অভিযোগ, উপপ্রধানকে গ্রেফতারের দাবি

দলীয় বৈঠক তৃণমূল উপপ্রধানের গালাগাল ও কটুক্তির শিকার তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ মমতা ঠাকুর। অভিযুক্তকে গ্রেফতারের দাবিতে থানায় অভিযোগ দায়ের করলেন তৃণমূল কর্মী। সরব হলেন মতুয়া ভক্তরা। পার্থ ভৌমিকের সম্পর্কে কিছু কথা বলার জন্যে কর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছে, আর কিছু নয় বলে দাবি তৃণমূল জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ দাসের।একুশে জুলাই এর প্রস্তুতি সভা ছিল সোমবার উত্তর ২৪ পরগনার গোবরডাঙ্গায়। অভিযোগ, সেখানে বক্তব্য রাখার সময় গোপালনগর চৌবেরিয়া ১ নাম্বার গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সুনীল সরকার মমতা ঠাকুরকে উদ্দেশ্য করে গালিগালাজ করেন। এমনকি বৈঠক শেষে মমতা ঠাকুর বাইরে বের হলে তাঁকে উদ্দেশ্য করে সুনীলসহ আরও কয়েকজন কটুক্তি করে এবং অশ্লীল অঙ্গিভঙ্গি করে, এমনকি তাঁকে হুমকিও দেওয়া হয়। এবং ছোট জাত বলে আক্রমণ করা হয়। এই মর্মে সোমবার রাতে সব্যসাচী ভট্ট নামে এক তৃণমূল কর্মী গাইঘাটা থানায় এফ আই আর দায়ের করেন। অভিযোগ করার সময় সব্যসাচীর সঙ্গে ছিলেন মতুয়া ভক্তরা ও গোসাইরা। অভিযুক্তর গ্রেফতারের দাবি করেন তারা। তারা বলেন, মাকে গালাগালি দেওয়া মানে আমাদের মতুয়া সমাজকে গালি দেওয়া। এটা আমরা কোনওভাবেই মেনে নেব না। ২৪ ঘন্টার মধ্যে যদি অভিযুক্তকে গ্রেফতার না করা হয় তাহলে তীব্র প্রতিবাদ হবে।এই বিষয়ে অভিযুক্ত চৌবেড়িয়া এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সুনীল সরকার জানিয়েছেন, মমতা ঠাকুর বক্তব্য রাখতে গিয়ে নানা কথার মধ্যে দিয়ে জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস ও পার্থ ভৌমিককে আক্রমণ করছিল। আমি শুধু প্রতিবাদ করে বলেছি আপনাদের ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বের বৈঠকে এটা আলোচনা করবেন। আমি যদি উনাকে গালাগাল করে থাকি সেটা প্রমাণ করুক। আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। যদিও বনগাঁ জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস জানিয়েছেন, গতকাল একুশে জুলাইয়ের প্রস্তুতি সভায় চেয়ারম্যান পার্থ ভৌমিক সম্পর্কে কিছু কথা বলাতে কর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছে আর কিছু নয়। তৃণমূলের সভায় মমতা ঠাকুরকে উদ্দেশ্য করে গালাগাল ও জাত তুলে কটুক্তি নিয়ে কটাক্ষ করা প্রসঙ্গে শান্তনু ঠাকুর বলেন, ওদের নেত্রী হরিচাঁদ গুরুচাঁদ নিয়ে যা বলেছেন তাতে ছোট নেতা কি বলবে। মমতা ঠাকুর হারিকাঠে গলা দিয়েছে, কি হবে বুঝতে পারছে না। ওর লজ্জা ঘৃণা ভয় কিছু নেই। এই বিষয়ে মমতা ঠাকুরবালার কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

জুন ১৭, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal