• ৭ পৌষ ১৪৩২, বৃহস্পতি ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

রাজনীতি

রাজনীতি

Jay Bannerjee: রাজীবের পর এবার কী জয়ের পালা? বিজেপি ছেড়ে কোথায় যাচ্ছেন?

রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের পর কি এবার জয় বন্দ্যোপাধ্যায়? ফের দলবদলের সম্ভাবনা তৃণমূলে!এইরকম একাধিক প্রশ্ন উঠেছে রাজনৈতিক মহলে।সূত্রের খবর, ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি দিয়েছেন জয় বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই চিঠির শেষ লাইনে তিনি উল্লেখ করেছেন যে তিনি বিজেপি ছেড়ে দিচ্ছেন তবে কোন দলে যোগদান করছেন সেই বিষয়ে খোলাখুলি কিছু জানাননি।ইতিমধ্যেই সরিয়ে দেওয়া হয়েছে জয়ের কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা। পাশাপাশি খবর মিলেছে জাতীয় কর্মসমিতি থেকেও সরিয়ে দেওয়া হয়েছে তাঁকে। এই বিষয়ে জয় বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, তিনি বিজেপি ছাড়ছেন। যেই দলের সঙ্গে মানুষ নেই সেই দলে থেকে কোনও লাভ নেই। যেই দলে মানুষ রয়েছেন সেখানেই তিনি যাবেন। কারণ সেখানেই কাজ করার সুযোগ পাবেন।এই বিষয়ে জয় বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আমি বিজেপিতেই ছিলাম প্রথম থেকে। কিন্তু কিছু বিষয়ে আমার দলের উপর খারাপ লাগা তৈরি হয়েছে। আমি খুবই দুঃখ পেয়েছি। আমায় জাতীয় কার্যনির্বাহী পদ থেকে সরিয়ে রাজীব বন্দ্য্যোপাধ্যায়কে করা হয়েছিল। এখন তিনিও দলবদল করে নিয়েছেন। একাধিকবার আমি এই রাজ্যে মার খেয়েছি। তবুও গতকাল আমার নিরাপত্তা সরিয়ে নেওয়া হয়। সেই কারণে প্রধানমন্ত্রীকে আমি জানিয়ে দিয়েছি যে আমি নিজেকে বিজেপি থেকে সরিয়ে নিলাম। আর আমি মানুষের কাজ করি। তাই যেই দলের সঙ্গে মানুষ রয়েছে আমি সেই দলে রয়েছি। যেই দল মানুষের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে সেই দল আমি ছাড়ছি। বিজেপি নেতা ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেন, আমি বিগত এক মাস অসুস্থ ছিলাম। দলের তরফে একটাও খোঁজ নেওয়া হয়নি আমার। তবে আমি এখনও বলছি কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব আমায় খুবই ভালোবাসেন। তাঁরা আমাকে বিজেপি থেকে সরিয়ে দেয়নি। আমি নিজেকে বিজেপি থেকে সরিয়ে নিয়েছি।

নভেম্বর ০৬, ২০২১
রাজনীতি

Subrata Mukherjee: সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের ছোটবেলা কেটেছে বর্ধমানে, শোকে পাথর জন্ম স্থানের গ্রাম

প্রবীণ রাজনীতিবিদ সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যুতে শোকে বিহ্বল নাদনঘাটের নওপাড়া। অধুনা বর্ধমানের নওপাড়ায় ছোটবেলা কেটেছে সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের। স্থানীয় সুষমা সুন্দরী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশুনা করেছেন তিনি। তারপর বাবা চাকরিসূত্রে সপরিবারে নওপাড়া ছেড়ে বজবজে বসবাস শরু করেন। এখনও অনেকেরই অজানা সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের জন্ম স্থান পূর্ব বর্ধমানের নাদনঘাটের নওপাড়ায়। নওপাড়ায় বর্ষীয়াণ এই রাজনীতিকের মূর্তি স্থাপন করা হবে বলে এদিন ঘোষণা করেছেন রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ।নওপাড়ায় সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের শৈশবের বন্ধুরা তাঁকে সন্টু বলে ডাকতেন। সেকথা জানালেন শামসুল শেখ, তিনকরি বৈরাগ্যরা। তাঁরা অতীতের পাতা থেকে স্মৃতি তুলে ধরলেন। প্রাথমিক স্কুলে পড়ার সময় পেয়ারা পারতে গিয়ে বোলতার কামড় খেয়েছিলেন সুব্রত, জানালেন তিনকরি। মন্ডা খেতে খুব ভালবাসেন। শামসুলের কথায়, খুব ভাল হাডুডু খেলতেন। এককথায় মন্ত্রী হলেও গ্রামকে কখনও ভোলেননি সুব্রত মুখোপাধ্যায়। গ্রামের জলপ্রকল্প, স্বাস্থ্য কেন্দ্রের উন্নয়নেও সুব্রতবাবুর ভূমিকা ছিল বলে জানিয়েছেন গ্রামবাসীরা।এখন মুখোপাধ্যায় পরিবারের ভিটে বলতে উঁচু মাটির ঢিভি। ঘর-বাড়ির কোনও চিহ্ন নেই। তাছাড়া গ্রামে তাঁদের কয়েক বিঘে চাষের জমি আছে। তা ভাগে চাষ চলছে বংশ পরম্পরায়। আগে ভাগের চাল নিতেন মুখোপাধ্যায় পরিবার। এই গ্রামেই সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের বাবা শিক্ষক অশোক মুখোপাধ্যায়ের মূর্তি বসেছে। গ্রামে রয়েছে সিদ্ধেশ্বরী মায়ের মন্দির। গ্রামে ঢোকার আগে সিদ্ধেশ্বরী মায়ের মন্দিরে পুজো দিতেন সুব্রত। একথা জানালেন গ্রামের বাসিন্দারা। আজ নওপাড়ার বাসিন্দারা শোকে মুহ্যমান। তাঁর গ্রামের বন্ধুমহলও শোকে পাথর।

নভেম্বর ০৫, ২০২১
রাজনীতি

Big Breaking: দীপাবলিতেই নিভল জীবনপ্রদীপ, প্রয়াত সুব্রত মুখোপাধ্যায়

৭৫-এই নিভল জীবনপ্রদীপ।প্রয়াত হলেন পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এসএসকেএম হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন সুব্রতবাবু। মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম জানান, রাত ৯টা ২২ নাগাদ সিভিয়ার কার্ডিয়াক অ্যারাস্ট হয় তাঁর।এসএসকেএমে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই জানান, সুব্রত মুখোপাধ্যায় প্রয়াত। কালীপুজোতে এ ভাবে আলো নিভে যাবে ভাবতে পারিনি। আমি সুব্রতদার মৃতদেহ দেখতে পারব না। ফিরহাদ হাকিমও উপস্থিত ছিলেন এসএসকেএমে। ফিরহাদ হাকিম বলেন, মমতাদি আসতে আসতে পুরো ভেঙে পড়েছিলেন। বলছিলেন জীবনে অনেক ঝড় ঝাপ্টা দেখেছি। কিন্তু এরকম ভাবে সুব্রতদার চলে যাওয়া ভাবতে পারি না। আজ আমাদের বিরাট ক্ষতি। ৯টা ২২-এ সুব্রতদা শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। সিভিয়ার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট। স্টেন্ট বসে গিয়েছিল। বাথরুম থেকে ঘরে ঢোকার সময় একটা সিভিয়ার হার্ট অ্যাটাক। পরে আবারও হার্ট অ্যাটাক।২৪ অক্টোবর, রবিবার স্বাস্থ্যপরীক্ষা করাতে এসএসকেএম হাসপাতালে যাওয়ার পর সুব্রতকে ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন চিকিৎসকেরা। শ্বাসকষ্ট বাড়ায় উডবার্ন ওয়ার্ডের আইসিসিইউ-তে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। কিন্তু অবস্থার অবনতি হতে থাকে। সেখানেই শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করলেন প্রবীণ রাজনীতিবিদ। I am deeply anguished pained by the passing away of veteran politician senior WB Cabinet Minister Shri Subrata Mukherjee.My thoughts are with his bereaved family members, admirers supporters.May his soul attains eternal peace. Om Shanti 🙏🏻 Suvendu Adhikari শুভেন্দু অধিকারী (@SuvenduWB) November 4, 2021মন্ত্রীর প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করে টুইট করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শোকপ্রকাশ করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তাঁর মতে, রাজনৈতিক মহীরুহের পতন হল।

নভেম্বর ০৪, ২০২১
রাজনীতি

Byelection-TMC: রাজ্যের চার কেন্দ্রেই জয়ী তৃণমূল, উন্নয়নের বার্তা মমতার

চার কেন্দ্রেই জয়ী তৃণমূল । সকাল থেকেই জয়ের আভাস পাওয়া গিয়েছিল। বেলা বাড়তেই একে একে সামনে আসে চার কেন্দ্রের ফলাফল। দিনহাটা, গোসাবা, শান্তিপুর ও খড়হহে তৃণমূলের জয়জয়কার। আর এই ফলাফলকে মানুষের জয় বলেই আখ্যা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জয়ী প্রার্থীদের ধন্যবাদ দেওয়ার পাশাপাশি তিনি উল্লেখ করেছেন, আসলে বাংলার মানুষ ষড়ষন্ত্র আর ঘৃণার রাজনীতি নয়, উন্নয়নকেই ভরসা করে।গোসাবা, খড়দহ, শান্তিপুর ও দিনহাটা বিধানসভা কেন্দ্রে গত ৩০ অক্টোবর উপনির্বাচন হয়। মঙ্গলবার এই চার কেন্দ্রের ফলাফল ঘোষণা হল। এর মধ্যে নিঃসন্দেহে পাখির চোখ ছিল খড়দহ। কারণ এখানে রাজ্যের মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় প্রার্থী হন। যিনি ভবানীপুরে একুশের ভোটে জয়ী হলেও পরে ইস্তফা দেন। এ দিন জয়ী হয়েছেন তিনি। পাশাপাশি, একই রকম গুরুত্বপূর্ণ ছিল দিনহাটা ও শান্তিপুরের ফলাফলও। এই দুই আসনে একুশের ভোটে জয়ী হয় বিজেপি। তবে ভোটে লড়েছিলেন দুই সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক ও জগন্নাথ সরকার। পরে দল তাঁদের সাংসদ হিসাবেই রেখে দেয়। দুই আসনেই এ দিন জয়ী হয়েছে তৃণমূল। গোসাবাতেও দেড় লক্ষের বেশি ব্যবধানে জয়ী ঘাসফুলের প্রার্থী সুব্রত মণ্ডল।উপনির্বাচনে রাজ্যের চারটি বিধানসভা আসনেই পরাজিত বিজেপি। এর মধ্যে দিনহাটা এবং শান্তিপুর আসন হাতছাড়া হয়েছে তাঁদের। তবে শান্তিপুর হাতছাড়া হলেও ব্যবধানের নিরিখে এই কেন্দ্রেই বিজেপি-র ফল সবথেকে ভাল বলা যায়। দিনহাটায় এবং গোসাবায় শাসকদল জিতেছে লক্ষাধিক ভোটের ব্যবধানে। খড়দহেও ব্যবধান ৯৩ হাজারের বেশি। এই তিন কেন্দ্রেই জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে বিজেপি প্রার্থীর। ব্যতিক্রম কেবল শান্তিপুর। সেখানে জামানত রক্ষা করতে সমর্থ হয়েছেন রাজ্যের প্রধান বিরোধী দলের প্রার্থী।My heartiest congratulations to all the four winning candidates!This victory is peoples victory, as it shows how Bengal will always choose development and unity over propaganda and hate politics. With peoples blessings, we promise to continue taking Bengal to greater heights! Mamata Banerjee (@MamataOfficial) November 2, 2021এ দিন ফল প্রকাশের পর মমতা টুইটে অভিনন্দন জানান চার প্রার্থীকে। তিনি লিখেছেন, এটা মানুষের জয়। এই জয় বুঝিয়ে দিচ্ছে কী ভাবে বাংলার মানুষ ষড়যন্ত্র আর ঘৃণার রাজনীতিকে উপেক্ষা করে উন্নয়ন আর ঐক্যকেই বেছে নিয়েছেন। বাংলাকে উন্নয়নের নয়া উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার আশ্বাসও দিয়েছেন মমতা।A cracker free Diwali in true sense. Wishing folks at @BJP4India a very Happy Diwali!💥 Abhishek Banerjee (@abhishekaitc) November 2, 2021অন্যদিকে, তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বিরোধীদের কটাক্ষ করে টুইটে বিজেপিকে দিপাবলীর শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, সত্যিকারের বাজি-হীন দিপাবলী। একই সঙ্গে সংবাদমাধ্যমের মাধ্যমে কর্মীদের বিজয় মিছিল না করার বার্তা দিয়েছেন তিনি। কর্মীদের উদ্দেশে তিনি জানিয়েছেন, যাতে সব এলাকায় শান্তি বজায় থাকে। বিজয় মিছিল যাতে না করা হয়, বা কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি যাতে না তৈরি হয়, সেই বার্তাই দিয়েছেন তিনি।

নভেম্বর ০২, ২০২১
রাজনীতি

Abhishek Bandyopadhyay: 'আজ খুঁটি পুজো, ২৩-এ বিসর্জন', আগরতলায় হুঙ্কার অভিষেকের

নানা বিতর্কের পর হাইকোর্টের রায়ে অবশেষে ত্রিপুরায় সভা করল তৃণমূল কংগ্রেস। রবিবাসরীয় এই সভায় তৃণমূলে যোগ দিলেন বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির সদস্য় তথা প্রাক্তনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। ত্রিপুরার মাচিতে দাঁড়িয়ে বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।এদিন সভায় অভিষেক বলেন, আজ খুঁটি পুজো করলাম। ২০২৩-এ বিসর্জন। এতো ভয় কিসের! তৃণমূলকে আটকাব, অভিষেককে ঢুকতে দেব না। যত কুৎসা করবেন তত তৃণমূলের শক্তি বাড়বে। দুমাসে ১০০ গাড়ি ভেঙেছে। আজ আমরা একটা কর্মসূচি নিয়েছি, ত্রিপুরার জন্য তৃণমূল। যে শিক্ষকদের চাকরি গিয়েছে তাঁদের চাকরি ফিরিয়ে দেব।তিন দিন আগে গোয়া সফরে গিয়েছিলেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। ত্রিপুরায় সভা করলেন অভিষেক। এরপর ডিসেম্বরে আগরতলায় সভা করবেন মমতা। দিপাবলীর পর ফের ত্রিপুরায় আসবেন ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ। অভিষেক বলেন, ডিসেম্বরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আসবেন। আস্তাবলে মিটিং হবে। পুলিশই বলছিল, এদিনের সভায় ১০হাজার লোক আসবে। তলায় তলায় নিঃশব্দ বিপ্লব শুরু হয়ে গিয়েছে। রাজ্য চালাচ্ছে বিপ্লব দেব। তাঁর একটা ক্লাব চালানোর যোগ্যতা নেই। একটা কাউন্সিলর হওয়ারও যোগ্যতা নেই। ত্রিপুরাকে বিজেপি মুক্ত ও মা-মাটি-মানুষের সরকার গড়ার কথা ঘোষণা করেন অভিষেক।

অক্টোবর ৩১, ২০২১
রাজনীতি

Rajib Bandyopadhyay: 'আমি ভুল করেছি, আমি অনুতপ্ত,' তৃণমূলে যোগ দিয়ে বললেন বিজেপি নেতা

শেষমেশ ত্রিপুরায় তৃণমূলের জনসভায় ঘাসফুলে যোগ দিলেন বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির সদস্য রাজীব বন্দ্য়োপাধ্যায়। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে মঞ্চেই তিনি স্বীকার করেন বিজেপিতে গিয়ে অনুতপ্ত। এদিনের মঞ্চেই তিনি বিজেপিকে হুঁশিয়ারি দিতেও ভোলেননি রাজীব। মমতাকে দেবী হিসাবে ঘোষণা করেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী। বারে বারে মার্জনা প্রার্থনা করেন রাজীব।অভিষেককে পাশে বসিয়ে প্রাক্তন বিজেপি নেতা বলেন, আমি বারবার বলেছিলাম পেট্রল, ডিজেল ও রান্নার গ্যাসের দাম কমাতে হবে। বলেছিল হবে হবে। শিল্পের কথা বলেছিলাম। ডানলপ খুলুক আর ইন্ডাস্ট্রি হবে, একথা আপনারা ঘোষণা করুন। আমাকে ভুল বুঝিয়েছিল। তাঁর বক্তব্য, ডবল ইঞ্জিন সরকার ত্রিপুরায় কোনও কাজ করছে না। আমি সমালোচনা করেছিলাম দুয়ারে সরকার, স্বাস্থ্যসাথী নিয়ে ভেবেছিলাম ভোটের জন্য। আমি ভুল ছিলাম। এখনও সব প্রকল্প চলছে। এখানে লক্ষ্মীর ভান্ডার আছে? তৃণমূলের ভয়ে কাঁপছেন।তৃণমূলে ফিরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে রাজনীতি করবেন তা ঘোষণা করেন ডোমজুরের প্রাক্তন বিধায়ক। রাজীব বলেন, পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় বলেছিলাম বাংলার উন্নয়ন চায় মমতা বন্দ্যেপাধ্যায় ছাড়া আর কেউ নন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভারতের মা, আজ দেবী রূপে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন। আমি চিনতে ভুল করেছি। আমি ভুল করেছি। স্বীকার করছি। আমি অনুতপ্ত।

অক্টোবর ৩১, ২০২১
রাজনীতি

Kunal Ghosh: কুণালকে ফের তলব আগরতলা পুলিশের

রবিবার ত্রিপুরা যাচ্ছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর অভিষেকের সফরের আগেই সরগরম ত্রিপুরা। আগরতলা পশ্চিম থানায় ডেকে পাঠানো হল তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষকে। শনিবার খোয়াই থানায় তাঁকে হাজিরা দিতে হয়েছে।টুইটে কুণাল ঘোষের দাবি, শুক্রবার রাতেই তাঁকে নোটিস ধরানো হয়েছে এবং বেনজিরভাবে এক দিনের মধ্যেই অর্থাৎ আজই থানায় হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়। উল্লেখ্য, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের রবিবারের সফর উপলক্ষে বর্তমানে ত্রিপুরাতেই রয়েছেন কুণাল ঘোষ।আমি হিন্দু হয়েও বলছি জয় শ্রীরাম রাজনৈতিক শ্লোগান নয়। ধর্ম রাজনীতি থেকে দূরে থাকুক। মহিলারা মা সীতার পাতালপ্রবেশের যন্ত্রণাটাও মনে রাখবেন।এ কথার জন্য শুক্রবার আগরতলা পুলিশ আমার নামে মামলা করেছে।গভীর রাতে নোটিশ ধরিয়েছে। বেনজিরভাবে এক দিনের মধ্যে আজই থানায় ডেকেছে। Kunal Ghosh (@KunalGhoshAgain) October 30, 2021তৃণমূলের মুখপাত্র জানিয়েছেন, শুক্রবার আগরতলা পুলিশ আমার নামে মামলা করেছে। গভীর রাতে নোটিস ধরিয়েছে। বেনজিরভাবে এক দিনের মধ্যে আজই থানায় ডেকেছে। টুইট করে তিনি বলেন, আমি হিন্দু হয়েও বলছি জয় শ্রীরাম রাজনৈতিক স্লোগান নয়। ধর্ম রাজনীতি থেকে দূরে থাকুক। মহিলারা মা সীতার পাতালপ্রবেশের যন্ত্রণাটাও মনে রাখবেন। এই মন্তব্যের কারণেই নোটিস পাঠানো হয়েছে তাঁকে।

অক্টোবর ৩০, ২০২১
রাজনীতি

Tripura-Abhishek: ত্রিপুরায় অভিষেকের সভায় ফের বাধা, কী জানাল আগরতলা পুলিশ?

আগামিকাল ত্রিপুরায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা হওয়ার কথা আছে। কিন্তু অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভাকে ঘিরে ১৫ দফা শর্ত জারি করেছে ত্রিপুরা পুলিশ। শেষ মুহূর্তে ত্রিপুরায় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভার স্থান বদলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। করোনাকালে ত্রিপুরার রবীন্দ্র ভবনের সামনে সভায় বেশি জনসমাগম হতে পারে, এই আশঙ্কা থেকেই সভার স্থান বদলের নির্দেশ ত্রিপুরা পুলিশের। বিপ্লব দেবের সরকারের এহেন পদক্ষেপে বেজায় ক্ষুব্ধ তৃণমূল। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অভিযোগ তৃণমূলের। টুইটে ত্রিপুরার বিজেপিশাসিত সরকারকে বিঁধেছেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ বলেছেন, অভিষেককে ভয় পেয়ে এদের কী হাল।.@BjpBiplab is a COWARD and we cannot say this enough number of times!Time and again, he has blatantly misused state machinery to threaten us, attack us silence us. Its a shame that in a Democratic nation such acts go unnoticed. The silence of the Home Minister is DEAFENING. https://t.co/n0Pi9GKiZ7 pic.twitter.com/g1SHFlAcNh All India Trinamool Congress (@AITCofficial) October 30, 2021সম্প্রতি ত্রিপুরায় করোনা পরিস্থিতিকে মাথায় রেখে বিশেষ নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। সেই নির্দেশিকা অনুযায়ী রাজ্যের বাইরে থেকে কোনও ব্যক্তি ত্রিপুরায় এলে তাঁকে আরটিপিসিআর টেস্ট করিয়ে ঢুকতে হবে। বাংলা-সহ কয়েকটি রাজ্যের জন্য এই নিয়ম জারি করেছে ত্রিপুরা সরকার।এই প্রসঙ্গে রাজ্যের বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার জানান, অনেক রাজ্য আছে যেখানে আমরা বহুবার আরটিপিসিআর টেস্ট করে গিয়েছি। আমি যখন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলাম। তখন আমায আরটিপিসিআর টেস্ট করে যেতে হয়েছিল। করোনা মহামারি রুখতে যে মহামাির আইন আছে তাতে এই কথা বলা আছে। আমার মনে হয় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের বাইরে এমন কোনও নেতা নন যে তাঁকে আটকাতে এই ধরনের পরিকল্পনা করতে হবে।

অক্টোবর ৩০, ২০২১
রাজনীতি

Goa TMC: গোয়ায় খেলা শুরু, তৃণমূলে যোগ দিলেন নাফিসা আলি-লিয়েন্ডার পেজ

একুশের বাংলা বিধানসভা ভোটে জিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, এবার গোটা দেশজুড়েই খেলা হবে। ইতিমধ্যেই ত্রিপুরাতে ডালপালা মেলতে শুরু করেছে ঘাসফুল। এরই মধ্যে গোয়াতেও চমক জিইয়ে রাখলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। টেনিস জগতে জগৎ জোড়া নাম যাঁর, ভারতের গর্ব যিনি, গোয়ার সেই ভূমিপুত্র লিয়েন্ডার পেজকেই তৃণমূলে আনলেন মমতা।এদিনই গোয়ায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে তৃণমূলে যোগ দিলেন অভিনেত্রী নাফিসা আলি। সেখানে হাজির ছিলেন রাজ্যসভায় তৃণমূলের নেতা ডেরেক ওব্রায়েনও। জাতীয় স্তরের সাঁতারু তথা প্রাক্তন মিস ইন্ডিয়া নাফিসা ২০০৪ সালের লোকসভা ভোটে দক্ষিণ কলকাতা কেন্দ্রে কংগ্রেস প্রার্থী হিসেবে মমতার বিরুদ্ধে লড়ে হেরেছিলেন। কিন্তু গত কয়েক বছর সে ভাবে সক্রিয় রাজনীতিতে দেখা যায়নি তাঁকে। তৃণমূলের তরফে বার্তা দেওয়া হয়েছে গোয়ায় আসন্ন বিধানসভা ভোটে দলের প্রচারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারেন নাফিসা।We are elated to share that Nafisa Ali and Mrinalini Deshprabhu have joined the Goa Trinamool Congress family today in the presence of our Honble Chairperson @MamataOfficial.We wholeheartedly welcome both leaders! pic.twitter.com/W5eAlKpmR2 All India Trinamool Congress (@AITCofficial) October 29, 2021 নাফিসার পাশাপাশি এদিন তৃণমূলে যোগ দিলেন প্রাক্তন টেনিস খেলোয়াড় লিয়েন্ডার পেজ। শুক্রবার গোয়ায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতেই তৃণমূলে যোগ দেন লিয়েন্ডার। এদিনই সকালে ঘাসফুলের পতাকা হাতে তুলে নেন প্রখ্যাত অভিনেত্রী নাফিসা আলি ও গোয়ার উদ্যোগপতি মৃণালিনী দেশপ্রভু।এদিন লিয়েন্ডার পেজকে পাশে নিয়েই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, মানুষের ওপর আমরা আস্থা রাখছি। এই বছরটা নতুন সকালের বছর হোক। গোয়া এখন খুবই অবহেলিত। আমরা আমাদের প্রতিশ্রুতি রাখব। দিল্লির লাড্ডু চলবে না। দিল্লির দাদাগিরিও চলবে না। গোয়ার মানুষই গোয়া চালাবে। আমরা রূপরেখা তৈরি করে দেব।

অক্টোবর ২৯, ২০২১
রাজনীতি

Goa Mamata: গোয়ায় বাধার মুখেও দিনভর ঠাসা কর্মসূচি মমতার, জেনে নিন দিনের সূচি

নতুন ভোরের আশ্বাস যে কেবলমাত্র স্লোগানে আটকে নেই, সেকথা স্পষ্ট তৃণমূল সুপ্রিমোর কন্ঠে। ৩ দিনের তাঁর সফর শুরু গোয়ায়। কিন্তু গোড়াতেই তাঁকে দেখতে হয় কালো পতাকা। আগামী ফেব্রুয়ারিতে গোয়া বিধানসভা নির্বাচন। বিজেপি আর কংগ্রেসের লড়াইয়ের মঞ্চ তৈরি। সেই মঞ্চে হঠাৎ আর্বিভাব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। শুক্রবার একের পর এক অনুষ্ঠান ঘিরে দিনভর ব্যস্ত থাকবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আসুন জেনে নিই মমতার সারাদিনের কর্মসূচি।শুক্রবারের সূচিসকাল ১০গোয়ায় তৃণমূল কংগ্রেসের বৈঠক। ডোনাপলার ইন্টারন্যাশনাল সেন্টারে হবে বৈঠক।বেলা ১২ টাপানাজির বেটিমে মত্স্যজীবীদের সঙ্গে বৈঠক করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।দুপুর ১টাডোনাপোলা ইন্টারন্যাশনাল সেন্টারে সাংবাদিক বৈঠক করবেন তিনি।দুপুর ৩.৩০ মিনিটেপোন্ডায় মুঙ্গয়েশি মন্দির দর্শন করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়বিকাল ৪ টেয়গোয়ায় শ্রী মহালসা নারায়ণী মন্দির দর্শনবিকাল ৪.৩০ মিনিটপোন্ডার তপভূমি মন্দির দর্শন করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়সন্ধ্যা ৫.৪৫ মিনিটনাগরিক সমাজের মুখোমুখি হবেন তিনি। ইন্টারন্যাশনার সেন্টারেই হবে এই কর্মসূচি।গোয়া সফরের শুরুতেই রাজনৈতিকভাবেও ধাক্কা খেয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানা গিয়েছে, তাঁর সঙ্গে দেখা করবেন না গোয়া ফরওয়ার্ড পার্টির নেতা বিজয় সরদেশাই। আজ গোয়া ফরওয়ার্ড পার্টির সূত্রে এমনটাই জানানো হয়েছে। শোনা যাচ্ছিল, গোয়া ফরওয়ার্ড পার্টির নেতা বিজয় সরদেশাইয়ের সঙ্গে দেখা করতে পারেন তৃণমূল নেত্রী। বিজয় সরদেশাইয়ের দল গোয়ায় বিজেপির জোটসঙ্গী। তাই গোয়া ফরওয়ার্ড পার্টির সঙ্গে মমতার এই বৈঠক যথেষ্টই গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছিল। কিন্তু এখন গোয়ার রাজনীতির আকাশে যেমন পূর্বাভাস, তাতে তৃণমূল সুপ্রিমোর সঙ্গে দেখা করছেন না বিজয় সরদেশাই।

অক্টোবর ২৯, ২০২১
রাজনীতি

TMC: বিজেপির সংখ্যা কমল আরও এক, তৃণমূলে ফিরলেন কৃষ্ণ কল্যাণী

বিজেপি-র ছেড়ে আরও এক বিধায়ক যোগ দিলেন তৃণমূলে। বুধবার দক্ষিণ কলকাতার এক বেসরকারি হোটেলে রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণীকে তৃণমূলে যোগদান করান তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। যোগদানপর্বে ছিলেন তৃণমূলে হিন্দিভাষী সেলের সভাপতি তথা জোড়াসাঁকোর বিধায়ক বিবেক গুপ্ত।তৃণমূলে ফিরে কৃষ্ণ বলছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা কথা দেন, তা করে দেখান। ভোটের আগে উনি যা যা বলেছিলেন, ক্ষমতায় ফিরে সব করে দেখিয়েছেন। আমি তা দেখে অভিভূত। ধন্যবাদ জানাই মমতাদি এবং অভিষেকদাকে। আগের দল সম্পর্কে তাঁর ব্যাখ্যা, বিজেপি-তে ভাল কাজের মূল্যায়ন নেই। ছমাস আগে ভুল করেছিলাম। এ বার তা শুধরে নিচ্ছি। মূল্যবৃদ্ধি ইস্যুতেও বিজেপি-র সমালোচনা করেছেন তিনি।গত ১ অক্টোবর দলবিরোধী কাজের অভিযোগে কৃষ্ণকে শোকজ করেছিল বিজেপি। শোকজের সিদ্ধান্ত জানার পরেই দলত্যাগের কথা ঘোষণাও করেছিলেন কৃষ্ণ। এ বার সরাসরি নিজের পুরনো দলে ফিরে গেলেন তিনি। তাঁকে নিয়ে মোট পাঁচজন বিজেপি বিধায়ক তৃণমূলে যোগ দিলেন।উল্লেখ্য, বিধানসভা ভোটের আগেই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি-তে গিয়েছিলেন কৃষ্ণ। গিয়েই রায়গঞ্জ কেন্দ্রে বিজেপি-র টিকিট পেয়ে জিতেও যান তিনি। কিন্তু বিধায়ক হওয়ার কয়েক মাসের মধ্যেই রায়গঞ্জের সাংসদ তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরীর সঙ্গে বিরোধী শুরু হয় তাঁর। প্রকাশ্যেই দলীয় সাংসদের বিরুদ্ধে তাঁকে হারানোর চক্রান্ত করার অভিযোগ আনেন রায়গঞ্জের বিধায়ক। বিরোধী এমন জায়গায় পৌঁছয় অঘোষিতভাবে দলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেন তিনি। আর বুধবার বিজেপি ছেড়ে ঘর ওয়াপসি হল কৃষ্ণর।

অক্টোবর ২৭, ২০২১
রাজনীতি

CM-Darjeeling: দার্জিলিং-সমস্যার স্থায়ী সমাধানে নির্দেশ মমতার, কী সেই নির্দেশ?

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উত্তরবঙ্গ সফরের তৃতীয় দিনে প্রশাসনিক বৈঠক ছিল কার্শিয়ং-এ।হাজির ছিলেন দার্জিলিং, কালিম্পং-এর প্রশাসনিক আধিকারিক এবং পাহাড়ের রাজনৈতিক নেতারা। আর সেখানেই দার্জিলিং সমস্যার স্থায়ী সমাধানের পরিকল্পনা তৈরি করার নির্দেশ পাহাড়ের নেতাদেরই দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ডিসেম্বরের শুরুতে সেই প্রস্তাব মুখ্যমন্ত্রীর কাছে জমা দিতে হবে। এমনটাই নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভোটার তালিকা সংশোধন শেষ হলে জিটিএ ভোট করানো হবে বলেও মঙ্গলবার জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।টাউন হলের এদিনের প্রশাসনিক বৈঠকে অনীত থাপা, গৌতম দেব, রোশন গিরিদের উপস্থিতিতে বিজেপি-র নাম না করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ভোটের আগে একটি রাজনৈতিক দল আসে, বিভাজনের রাজনীতি করে আসন জিতে নেয়, কিন্তু সমস্যার সমাধান হয় না। এদের উদ্দেশ্য পাহাড়ের মানুষের মধ্যে বিভাজন তৈরি করা। তাঁর কথায়, তোমাদের আমি বলি, তোমরাই আমাকে পরিকল্পনা দাও, যে কী করে একটি স্থায়ী সমাধান করা যায়। দার্জিলিং বাংলার মধ্যে থাকবে, আমি তোমাদের মদত করব। যাতে তোমাদের ছেলেমেয়েরাই নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারে।দার্জিলিংয়ে পঞ্চায়েত ব্যবস্থা দ্বিস্তরীয়। রাজ্যের অন্যান্য জায়গার মতো ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত করতে সংবিধান সংশোধন করার কথাও ভাবা হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। পাহাড়ের রাজনৈতিক দলগুলোকে নিজেদের মধ্যে ঝগড়া মেটানোর বার্তাও দেন মুখ্যমন্ত্রী।

অক্টোবর ২৬, ২০২১
রাজনীতি

UttarPradesh-TMC: মোদির গড়ে মমতার প্রবেশ, উত্তরপ্রদেশ কংগ্রেসে ভাঙন, তৃণমূলে যোগ ২ নেতার

গত শনিবার উপনির্বাচনের প্রচারে গিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছিলেন, তৃণমূলের পরের টার্গেট উত্তরপ্রদেশ৷ তার ঠিক দু দিনের মাথায় উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেসে ভাঙন ধরালো তৃণমূল। এ দিন শিলিগুড়িতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে তৃণমূলে যোগ দিলেন উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেসের সহ সভাপতি রাজেশপতি ত্রিপাঠী৷ তাঁর সঙ্গে তৃণমূলে যোগ দিলেন উত্তরপ্রদেশের আরও এক কংগ্রেস নেতা ললিত ত্রিপাঠী৷এর আগে গোয়াতেও কংগ্রেসে বড়সড় ভাঙন ধরিয়েছে তৃণমূল৷ এবার উত্তরপ্রদেশেও একই পথে হাঁটল তারা৷Today, eminent leaders from Uttar Pradesh Shri Rajeshpati Tripathi Former Vice President of @INCUttarPradesh Shri @LaliteshPati joined the Trinamool family in the presence of Smt. @MamataOfficial and Shri @abhishekaitc.Extending a very warm welcome to both leaders! All India Trinamool Congress (@AITCofficial) October 25, 2021উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেসে ভাঙন ধরিয়ে থামছে না কংগ্রেস৷ ছট পুজোর পরই তিনি নিজে বারাণসী যাবেন বলে জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, দলে যোগ দিয়ে উত্তরপ্রদেশের দুই নেতাই তাঁকে সেখানে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করেছেন৷ মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, দুই নেতাই কংগ্রেস থেকে ইস্তফা দিয়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন৷আগামী বছর উত্তরপ্রদেশে বিধানসভা নির্বাচন৷ তৃণমূলে যোগ দেওয়া কংগ্রেস নেতা রাজেশপতি ত্রিপাঠী বলেন, কংগ্রেস দুর্বল হচ্ছে বলেই কংগ্রেস কর্মীরা বিজেপি-র সঙ্গে লড়তে পারছে না৷ তারা নিজেদের দুর্বল মনে করছে৷ আর এক নেতা ললিত ত্রিপাঠী বলেন, উত্তরপ্রদেশের মানুষ সচেতন৷ সময় সময় নতুন বিকল্প বেছে নিয়েছেন৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো নেতৃত্ব থাকলে আমরা নিশ্চিত যে উত্তরপ্রদেশের মানুষও বিশ্বাস করবেন যে বিজেপি-র প্রকৃত বিরোধিতা করতে পারে তৃণমূলই৷ মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, উত্তরপ্রদেশের মানুষকে নিয়েই সেখানে সংগঠন গড়ে তুলবে তৃণমূল।

অক্টোবর ২৫, ২০২১
রাজনীতি

Abhishek-Dinhata: দিনহাটায় দাঁড়িয়ে গোয়া জয়ের ডাক অভিষেকের

তিন মাসের মধ্যে গোয়ায় সরকার গঠন করবে তৃণমূল। দিনহাটায় উপনির্বাচনের প্রচার মঞ্চ থেকে এমনই হুংকার দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী দিনে তৃণমূলের সংগঠনকে সর্বভারতীয় স্তরে ছড়িয়ে দেওয়ার রূপেরখাও তুলে ধরেন অভিষেক। পাশাপাশি বিজেপি-কে নিশানা করে দেগেছেন একের পর এক তোপ। কোচবিহার থেকে বিজেপি-কে উৎখাতের ডাক দিয়েছেন সোমবার দুপুরে শিলিগুড়িতে প্রশাসনিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘটনাচক্রে, একই সময়ে দিনহাটায় ভোট প্রচার সারছিলেন অভিষেক। দিনহাটার উপনির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী উদয়ন গুহের সমর্থনে জনসভা করেন তিনি। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে সংগঠনকে আরও কয়েকটি রাজ্যে ছড়িয়ে দেওয়া তৃণমূলের পাখির চোখ। সেই ইচ্ছার কথা জনসভায় জানান অভিষেক। বলেন, দিনহাটায় উদয়ন গুহ নন, প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দেশের মানুষ এই ফলের দিকে তাকিয়ে আছেন। উপনির্বাচনের ফল ৪-০ হবে। তবে জয়ের ব্যবধান বাড়াতে হবে। কোচবিহার থেকে বিজেপি-কে উৎখাত করতে হবে।আমরা ত্রিপুরায় গিয়েছি। গোয়াতেও ঢুকেছি। আরও ৫-৭টা রাজ্যে যাব। এটা কী মাস? অক্টোবর। সামনে নভেম্বর, ডিসেম্বর ও জানুয়ারি। হাতে তিন মাস হাতে সময় আছে। গোয়ায় বিধানসভা আসন ৪০টি। দল আমাকে দায়িত্ব দিয়েছে। তিন মাসে গোয়ায় জোড়াফুল ফুটবে। ওখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূল সরকার প্রতিষ্ঠা করবে। আপনারা লিখে নিন। এর পর ত্রিপুরা, মেঘালয়, অসম এবং উত্তরপ্রদেশ-সহ একাধিক রাজ্যেও আমরা যাব। তার কারণ বাংলা পথ দেখিয়েছে। দেশকে পথ দেখাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের কথায়, দেশে বহু রাজনৈতিক দল আছে। বিজেপি, কংগ্রেস, সিপিএম, যদিও খাতায়-কলমে সর্বভারতীয় দল। মাঠে ময়দানে নেই, হাওয়া...জিরো। এনসিপি জাতীয় দল। তেমন তৃণমূলও সর্বভারতীয় দল। কিন্তু এদের মধ্যে পার্থক্য কী? যত রাজনৈতিক দল আছে সকলকে ইডি, সিবিআই দিয়ে একটু ধমকে চমকে ঘরে ঢুকিয়ে দিয়েছে। কিন্তু তৃণমূল বিশুদ্ধ লোহা। যত তাতাবে, যত পোড়াবে, যত প্রহার করবে, তত বিশুদ্ধ হবে। আমাকেও তো কত ধমকেছে, চমকেছে। দিল্লিতে ৯ ঘণ্টা জেরা করেছে। ভেবেছে কংগ্রেসের মতো বসে যাবে। কিন্তু আমরা বিশ্বাসঘাতকের দল নই।বিজেপি-কে ঝাঁঝালো আক্রমণ শানিয়ে তিনি বলেন, গোসাবা এবং খড়দহে উপনির্বাচন হচ্ছে তার কারণ তৃণমূলের সৈনিকরা ওই কেন্দ্রে জিতেছিলেন। কিন্তু মানুষের জন্য কাজ করতে গিয়ে কোভিডে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন। কিন্তু শান্তিপুর এবং দিনহাটায় উপনির্বাচন হচ্ছে কেউ সাংসদ থেকে মন্ত্রী হবেন বলে, নিজেদের রাজনৈতিক লালসা চরিতার্থ করবেন বলে মানুষের ভালবাসাকে প্রত্যাখ্যান করেছেন। ওঁরা সাংসদ হবেন, মন্ত্রী হবেন। তা হলে দাঁড়ালেন কেন? ভেবেছিলেন, বিজেপি ক্ষমতায় আসবে। ক্ষমতায় এলে মন্ত্রী হবেন।

অক্টোবর ২৫, ২০২১
রাজনীতি

Mamata: স্বাধীনতা সংগ্রামী বাবার অনুপ্রেরণায় ১২-১৩ বছর বয়স থেকে রাজনীতি শুরু, স্মৃতিচারণা মুখ্যমন্ত্রীর

শিলিগুড়িতে বিজয়া সম্মেলনীতে স্মৃতিচারণায় ভাসলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। জীবনের নানা দিকের কথা বললেন খোলামেলা ভাবে। মুখ্যমন্ত্রীর বাবা যে স্বাধীনতা সংগ্রামী ছিলেন সেকথাও জানালেন তিনি। তাঁর কাছ থেকেই অনুপ্রেরণা পেয়ে 12-13 বছর থেকে রাজনীতি হাতেখড়ি বলেও জানালেন মুখ্যমন্ত্রী।রবিবার বিজয়া সম্মেলনীতে স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আমরা যখন ছোটো থেকে বড় হয়েছি বিবেকানন্দ, নেতাজি ও রবীন্দনাথ ঠাকুরের বই পড়ে। আমিও জীবনে ১২-১৩ বছর থেকে শুরু রাজনীতি শুরু করেছিলাম। এত ছোট বয়স থেকে রাজনীতি কেউ কেরেছে কিনা জানি না। আমার বাবা স্বাধীনতা সংগ্রামী ছিলেন। বাবার কাছে শুনে শুনে একটা দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম বলতে পারেন। মমতা কথায়, তারপর থেকে এই সারাটা জীবন পরার হয়ে এলাম। জীবনে ক্ষতবিক্ষত হয়ে বেঁচে আছি। আমি জীবন্ত লাশ বলেত পারেন। আমার শরীরের কোনও অংশ বাদ নেই যেখানে আঘাত লাগেনি। অস্ত্রোপচার হয়নি। আজও মনের জোরে কাজ করে চলি।এদিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে যথেষ্ট আবেগ-প্রবণ হয়ে পড়েন মুখ্যমন্ত্রী। সেকথাও বলে ফেলেন মমতা। তিনি বলেন, গত ২০ বছর আমার জ্বর হয়নি। এখন ঠান্ডাটা লাগলে বেশি লাগে। পঞ্চমীর দিন গলাটাই চোকড হয়ে যায়। তবে এরই মধ্য়ে বিজেপিকে বিঁধতে ছাড়েননি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, শান্তিতে কেটেছে পুজো। এ শান্তি কোথায় পাবেন। বাংলা ত্রিপুরা হয়ে যায়নি এখনও। আমরা থাকাকালীন কোনও দিন হয়ে যাবেও না। বাংলার সংস্কৃতি আমরাই আগলে রাখব। ত্রিপুরায় গেলেই মাথায় মারো। একে তো মারছে, মারবার পরে হাসপাতালে চিকিৎসা করতেও দিচ্ছে না। একটা ইনজেকশন দিচ্ছে না। তাঁরা বড় বড় কথা বলে। মানবাধিকারের কথা বলে। কটা হিংসা হয়েছে, নির্বাচনের পরে কটা বিজয় উৎসব হয়েছে, কতজনকে মার হয়েছে হয়েছে উত্তরবঙ্গে। রোজ হিংসার কথা বলছে বিজেপি। ত্রিপুরার দিকে তাকিয়ে দেখো। উত্তরপ্রদেশে চলে যান লোক ঢুকতেই পায় না।

অক্টোবর ২৪, ২০২১
রাজনীতি

By-Election: রাজ্যের দুই বিধানসভা কেন্দ্রে অকাল ভোটের জন্য বিজেপি নেতাদের লালসাকে দায়ী করলেন অভিষেক

গোসাবায় উপনির্বাচনে প্রচারে গিয়ে স্থানীয় ভাবাবেগকে উসেক দিলেন ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন জনসভায় দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বলেন, একজন সাংসদ থাকবেন আর একজন মন্ত্রী হবেন বলে নিজেদের লালসা ও রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতে মানুষের রায় পরিত্যাগ করেছেন। আর তৃণমূলের দুই বিধায়ক করোনায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে গিয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন। এঁরা মানুষের কাজ করতে গিয়ে মৃত্যুকে আপন করেছেন। এভাবেই চার কেন্দ্রে কেন অকাল ভোট সেই ব্যাখ্যা দিয়েছেন তৃণমূলের যুবরাজ।উল্লেখ্য়, গোসাবা ও খড়দহ কেন্দ্রে তৃণমূলের দুই বিধায়কের মৃত্যু হয়েছিল করোনায়। অন্যদিকে শান্তিপুরের বিধায়ক হয়েছিলেন বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার। তিনি বিধায়কপদে ইস্তফা দিয়ে সাংসদ থেকে গিয়েছেন। দিনহাটায় সব থেকে কম ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছিলেন কোচবিহারের বিজেপি সাংসদ নিশীথ প্রামানিক। তিনি এখন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তিনিও বিধায়ক পদে ইস্তফা দিয়েছেন। দুই বিজেপি বিধায়কের ইস্তফার জন্যই উপনির্বাচন করতে হচ্ছে শান্তিপুর ও দিনহাটায়।এদিনের জনসভায় অভিষেক বিঁধেছেন অমিত শাহকে। অভিষেক বলেন, বিজেপির প্রাক্তন সর্বভারতীয় সভাপতি ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন সুন্দরবনকে আলাদা জেলা করে ২ লক্ষ কোটি টাকা বরাদ্দ করবেন। কোথায় গেল সেই টাকা। বহিরগতরা এসব বলে চলে যায়। কাজের কাজ কিছু করে না। ভূমিপুত্রকে ভোট দিয়ে জয়ী করুন। সারা দেশ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে তাকিয়ে আছে। আমরা বলেছিলাম আর যাই হোক মাথা নত করবে না।দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ অভিষেক। তিনি বলেন, এই জেলার সঙ্গে আমার আত্মিক সম্পর্ক। আপনাদের সঙ্গে যে সম্পর্ক তা কেউ ভাঙতে পারবে না। আমি আপনাদের কাছে কৃতজ্ঞ। চারটে বিধানসভা আসনের মধ্যে গোসাবায় সব থেকে বেশি ভোটে জয়ী করবেন। প্রত্যেকটা বুথে, প্রত্যেকটা অঞ্চলে তৃণমূলপ্রার্থীকে জেতাতে হবে। প্রতিবছর নানাসময়ে প্রাকৃতিক ঝড়ঝঞ্ঝায় বিধ্বস্ত হতে হয় দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলাকে। আমি এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান করব, কথা দিয়ে গেলাম। অভিষেকের কটাক্ষ, শুধু দিল্লি বা বহিরাগত বিজেপি নেতা নয়, গত ৬ মাসে বিজেপির কোনও নেতার টিকি খুঁজে পাওয়া যায়নি।

অক্টোবর ২৩, ২০২১
রাজনীতি

Abhishek Rally: গোসাবা ও খড়দহে উপনির্বাচনের প্রচারে গিয়ে লোকসভার রাস্তা মসৃণ করা শুরু অভিষেকের

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেশনেত্রী হিসেবে অভিহিত করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।আগামী ৩০ অক্টোবর গোসাবা, খড়দহ, শান্তিপুর এবং দিনহাটায় উপনির্বাচন। তার মধ্যে গোসাবা ও খড়দহে জয়ী প্রার্থীর মৃত্যুতে এবং শান্তিপুর ও দিনহাটায় জয়ী প্রার্থীরা বিধায়কপদ থেকে ইস্তফা দেওয়ায় উপনির্বাচন হচ্ছে। এই আবহে শনিবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার গোসাবায় দলীয় প্রার্থী সুব্রত মণ্ডলের সমর্থনে জনসভা করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক।আরও পড়ুনঃ ভয় ধরিয়ে ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় মৃত্যু ৬৬৬ জনেরঅভিষেক বলেন, গোটা ভারত আজ তাকিয়ে দেশনেত্রী মমতার দিকে। কারণ একমাত্র তিনি-ই পারেন বিজেপি-কে হারিয়ে দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে। অভিষেক বলেন, যেখানে গণতন্ত্রকে ভূলুণ্ঠিত করছে বিজেপি, সেখানেই প্রতিবাদের ধ্বজা ধরে এগিয়ে যাচ্ছেন মমতা। গোটা ভারত আজ দেশনেত্রী মমতার দিকে তাকিয়ে। গোয়া ও ত্রিপুরায় সংগঠন কাজ শুরু করে দিয়েছে। তাঁর ঘোষণা, আগামী ৩ মাসের মধ্যে গোয়া এবং দেড় বছরের মধ্যে ত্রিপুরায় তৃণমূলের নেতৃত্বে গণতান্ত্রিক সরকার গঠন হবে। বিজেপি-র ক্ষমতা থাকলে আটকে দেখাক। পাশাপাশি বিজেপি নেতৃত্বকেও আক্রমণ করতে ছাড়েননি অভিষেক। বিজেপি-র শীর্ষ নেতা তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের নাম করে তাঁর কটাক্ষ, বিধানসভা ভোটের আগে এখানে এসে বলে গিয়েছিলেন, সুন্দরবনকে আলাদা জেলা করে তার উন্নয়নে ২ লক্ষ কোটি টাকা দেব। আজ যখন আবারও একটা ভোটের সামনে দাঁড়িয়ে গোসাবা, কোথায় গেলেন বিজেপি-র নেতারা? দিল্লি, মধ্যপ্রদেশের নেতাদের কথা না হয় ছেড়ে দিলাম, করোনা বা আম্ফানের সময় বিজেপি-র স্থানীয় নেতাদেরও দেখেছেন কি? এটাই হল তৃণমূলের সঙ্গে বিজেপি-র পার্থক্য। গত সাত বছর ধরে তৃণমূলই যে বিজেপি-কে হারিয়ে আসছে, সেই দাবি তুলে ধরে কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূলের মূল পার্থক্যও ফের একবার জানিয়ে দেন অভিষেক।পাশাপাশি এদিন খড়দহের সভামঞ্চ থেকে অভিষেক বলেন, দরজা খুলে দিলে দলটাই (বিজেপি) উঠে যাবে। কিন্তু আমরা তা করছি না। আমি দলনেত্রীর পা ধরে অনুরোধ করেছি, কর্মীদের আবেগ সবার আগে। তাদের মনে দুঃখ দিয়ে কাউকে দলে ফেরাবেন না। হ্যাঁ কয়েকজনকে দলে ফিরিয়েছি, কিন্তু এমনি-এমনি নয়। অনেক প্রায়শ্চিত্ত করিয়েই তবে তাদের দলে এনেছি। তা বলে সবাইকে আনব না। আগের তৃণমূলের সঙ্গে এখনকার তৃণমূলের পার্থক্য আছে। সেটা বুঝতে পারছেন তো? পাশাপাশি, তৃণমূলের ভবিষ্যতের ব্লু প্রিন্টও তুলে ধরেন অভিষেক।আরও পড়ুনঃ ৩ দিনের ঠাসা কর্মসূচি নিয়ে কাশ্মীরে অমিত শাহতৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের কথায়, দল আমাকে দায়িত্ব দিয়েছে। আগামী তিন মাসের মধ্যে আরও ৫ রাজ্যে সংগঠন গড়বে তৃণমূল। ১ বছরের মধ্যে ১২-১৫ রাজ্যে আমাদের ওয়ার্কিং কমিটি থাকবে। যেখানে যেখানে বিজেপি মানুষকে উপেক্ষা করেছে, মানুষকে যন্ত্রণা দিয়েছে, গণতন্ত্র কেড়ে নিয়েছে সেখানেই লড়বে তৃণমূল। অভিষেকের চ্যালেঞ্জ, বিজেপিকে হারাতে পারে একমাত্র তৃণমূল। ত্রিপুরায় গিয়েছি, গোয়াতে গিয়েছি। উত্তরপ্রদেশেও যাব। এদিন নতুন স্লোগানও তোলেন তিনি। ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ বলছেন, গোটা দেশ বলছে, দেশ কি নেত্রী ক্যায়সি হো, মমতা দিদি য্যায়সি হো।

অক্টোবর ২৩, ২০২১
রাজনীতি

Mamata-Goa Visit: 'নতুন প্রভাত'-এর লক্ষ্যে গোয়া সফর মমতার

এখন আর শুধু নজরে বাংলা নয়। লক্ষ্য দিল্লিও বটে। সে কারণেই ছোট ছোট রাজ্যগুলিকে পাখির চোখ করে এগোচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। ত্রিপুরা, অসমের পর এবার তাদের নজরে গোয়া। এই পশ্চিমী রাজ্য যে কতটা গুরুত্ব পাচ্ছে তা বুঝিয়ে দিচ্ছে তৃণমূল সুপ্রিমোর সফর। স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যাচ্ছেন সেখানে।মমতা নিজেও এই সফর নিয়ে কতটা উচ্ছ্বসিত তা বোঝালেন শনিবার সকালের একটি টুইটে। উত্তরবঙ্গ সফর সেরেই ২৮ অক্টোবর যাবেন গোয়ায়।Together, we will usher in a new dawn for Goa by forming a new govt that will truly be a govt of the people of Goa and committed to realising their aspirations! #GoenchiNaviSakal (2/2) Mamata Banerjee (@MamataOfficial) October 23, 2021টুইটারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লেখেন, ২৮ তারিখের গোয়া সফরের জন্য আমি প্রস্তুতি নিচ্ছি। আমি সমস্ত ব্যক্তিত্ব, সংস্থা এবং রাজনৈতিক দলগুলিকে আহ্বান জানাচ্ছি বিজেপিকে হারাতে সঙ্ঘবদ্ধ হোন। গত ১০ বছর ধরে গোয়ার মানুষকে অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। সকলে যুথবদ্ধ হলে নতুন সরকার গঠিত হবে। যা গোয়ায় এক নতুন সকাল নিয়ে আসবে। নতুন সরকার মানুষের সরকার হোক, মানুষের সমস্যা বুঝুক এটাই কাম্য।২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে গোয়ায় বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে আগামী সোমবার থেকেই গোয়া বিধানসভা নির্বাচনের জন্য পুরোপুরি ময়দানে নেমে পড়ছে বঙ্গের শাসক দল। প্রচারের শুরুতে সৌগত রায়ের সঙ্গী হবেন বিজেপির জার্সি ছেড়ে সদ্য তৃণমূলের জার্সি পরা বাবুল সুপ্রিয়। তৃণমূল গোয়ার জন্য নতুন স্লোগানও প্রকাশ করেছে, গোয়েনচি নভি সকাল। অর্থাৎ, গোয়ায় নতুন প্রভাত।

অক্টোবর ২৩, ২০২১
রাজনীতি

Bangladesh-BJP: বাংলাদেশের ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রীর নীরবতায় অসন্তুষ্ট বিজেপি

বাংলাদেশের ঘটনা নিয়ে রাজ্য সরকার ও তৃণমূলের ভূমিকা নিয়ে বুধবার অসন্তোষ প্রকাশ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এ দিন তিনি বলেন, রাজ্য সরকারের ভূমিকায় আমরা মোটেই সন্তুষ্ট নই। দলের অবস্থানও একই বলেই জানিয়েছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই বিষয়ে বিবৃতি দেওয়া উচিৎ ছিল বলে মনে করেন তিনি।সুকান্ত মজুমদার বলেন, এত বড় ঘটনা ঘটে গিয়েছে অথচ সেই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এখনও পর্যন্ত তৃণমূলের তরফ থেকে বা মুখ্যমন্ত্রীর তরফ থেকে কোনও ধরনের বিবৃতি আমরা পাইনি। তাঁর দাবি, যে ধরনের বিবৃতি দেওয়া উচিৎ ছিল, তা দেওয়া হয়নি।আরও পড়ুনঃ অবশেষে সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিলেন বাবুলগতকালই বাংলাদেশের দুষ্কৃতীদের তাণ্ডব নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি চুপ করে আছেন কেন, সেই প্রশ্ন তুলেছিল তৃণমূল। তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপত্র জাগো বাংলায় মোদির নীরবতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছিল। তৃণমূলের অভিযোগ, এ ক্ষেত্রে বিজেপি কুৎসিত রাজনীতি করছে।আজ সেই প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার বলেন, প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে কী কথা বলেছে না বলেছে আপনারা ভবিষ্যতে ঠিক জানতে পারবেন। তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশের একটি আইন সিএএ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলতে পারেন যে তিনি রাষ্ট্রসঙ্ঘে যাবেন, সে ক্ষেত্রে তার পার্শ্ববর্তী দেশ যেখানে নাকি বাঙালিরাই থাকে সেই জায়গায় এত বড় ঘটনা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী কিছু বলছেন না, এটা খুব চিন্তার বিষয় বলে আমার মনে হয়।

অক্টোবর ২০, ২০২১
রাজনীতি

Babul Supriyo: মঙ্গলেই ইস্তফা বাবুলের

প্রায় এক মাস পর স্পিকার ওম বিড়লার কাছ থেকে সময় পেলেন বাবুল সুপ্রিয়। মঙ্গলবারই স্পিকারের কাছে ইস্তফাপত্র জমা দেবেন তিনি।তৃণমূলে যোগ দিয়েই সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেবেন বলে জানিয়েছিলেন বাবুল সুপ্রিয়। কিন্তু প্রায় এক মাস কেটে গিয়েছে। লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার কাছ থেকে সময় পাচ্ছিলেন না। সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিতে পারছিলেন না তিনি। এই নিয়ে অভিযোগ করে টুইটও করেন বাবুল সুপ্রিয়। যদিও লোকসভার সূত্র উদ্ধৃত করে এএনআই জানিয়েছিল, সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করে যোগাযোগ করেননি বাবুল।বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদানের পরই সংসদ পদ থেকে তিনি ইস্তফা দেবেন বলে জানিয়ে ছিলেন বাবুল সুপ্রিয়। এ জন্য গত মাসের শেষের দিকে দিল্লি উড়ে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা ব্যস্ত থাকায় তাঁর সময় পাননি বাবুল। তিনি দুবার চেষ্টা করেও স্পিকারের সঙ্গে দেখা করতে পারেননি বলে দাবি বাবুলের। এই প্রেক্ষিতে নিজের টুইটার হ্যান্ডেল থেকে একটি টুইটে স্পিকারকে দেওয়া তাঁর চিঠি তুলে ধরেন বাবুল।এ নিয়ে বাবুল বলেন, আমরা বলতে পারি না কেন স্ট্যাম্পটি নেই। তবে আমি আপনাকে বলতে চাই যে মাননীয় স্পিকারের উচ্চ পদে থাকা কাউকে স্ট্যাম্প লাগানোর জন্য অনুরোধ করাও সৌজন্যপূর্ণ নয়। যখন কেউ সেখানে স্বাক্ষর তারিখ, সময়, স্থান এবং পিএল নম্বর উল্লেখ করে চিঠিটি পাচ্ছেন।লোকসভার স্পিকারকে পাঠানো চিঠিটি টুইটারে তুলে দিয়ে বাবুল জানিয়েছিলেন, স্পিকারের তরফে সময় মেলেনি বলেই এখনও সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিতে পারেননি।

অক্টোবর ১৮, ২০২১
  • ‹
  • 1
  • 2
  • ...
  • 17
  • ...
  • 36
  • 37
  • ›

ট্রেন্ডিং

বিদেশ

বোমা বিষ্ফোরণে কেঁপে উঠলো ঢাকা, মৃত্যু এক, অপরাধ-হিংসা বেড়েই চলেছে বাংলাদেশে

ওসমান হাদিকে গুলি করে হত্যার পর থেকে বাংলাদেশ উত্তপ্ত। তারপর ময়মনসিংহের দীপুচন্দ্র দাসকে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে নৃশংসভাবে খুন করেছে জেহাদীরা। চট্টগ্রামে হিন্দু বাড়ি আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দিয়েছে। অতপর আজ, বুধবার ঢাকায় নিউ ইস্কাটনে ককটেল বোমা নিক্ষেপ করেছে দুষ্কৃতীরা। সেই বোমায় মৃত্যু হয়েছে একজনের। ইউনূস সরকারের আমলে একের পর এক অপরাধ ঘটেই চলেছে। বড়সড় প্রশ্নের মুখে মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্ব।প্রথম আলো সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে, রাজধানীর নিউ ইস্কাটনে ফ্লাইওভার থেকে ছোড়া ককটেলের বিস্ফোরণে এক যুবক নিহত হয়েছেন। আজ বুধবার রাত পৌনে আটটার দিকে এ ঘটনা ঘটে বলে পুলিশ জানিয়েছে। পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে এটাকে বোমার বিস্ফোরণ বলেছিল।এ বিষয়ে পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মাসুদ আলম বলেন, রাত পৌনে ৮টার দিকে নিউ ইস্কাটনের বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের ফটকের সামনে শক্তিশালী ককটেলের বিস্ফোরণ হয়। এ সময় ওই যুবক গুরুতর আহত হন। কিছুক্ষণ পর ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।পুলিশের উপকমিশনার মাসুদ আলম জানান, নিহত ব্যক্তির নাম সিয়াম বলে জানা গেছে। তিনি সেখানে চা খেতে এসেছিলেন। ওপর থেকে ককটেল এসে তাঁর মাথার ওপর পড়ে। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।এদিকে নির্বাচনে লড়াই করার প্রস্তুতি নিয়েছে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলি। খালেদাপুত্র তারেক রহমানের আগামী কাল বাংলাদেশে আগমন উপলক্ষ্যে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে সরকার। পাশাপাশি তাঁকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত বিএনপি নেতা-কর্মীরা। দীর্ঘ ১৭ বছর পর তিনি বাংলাদেশে ফিরছেন।

ডিসেম্বর ২৪, ২০২৫
বিদেশ

ঢাকায় ছাত্রনেতা ওসমান হাদী হত্যা, নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রের অভিযোগ অন্তর্বর্তী সরকারের একাংশের বিরুদ্ধে

ঢাকায় মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে বাংলাদেশি ছাত্রনেতা ও সাংস্কৃতিক সংগঠক শরীফ ওসমান হাদীর মৃত্যুকে ঘিরে নতুন করে রাজনৈতিক উত্তেজনা ছড়িয়েছে। হত্যাকাণ্ডের কয়েকদিন পরই ওসমান হাদীর পরিবার সরাসরি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের একটি অংশের বিরুদ্ধে আসন্ন জাতীয় নির্বাচন ভণ্ডুল করার উদ্দেশ্যে এই হত্যার পরিকল্পনার অভিযোগ তুলেছে।২০২৪ সালের জুলাই মাসের বিদ্রোহের পর গড়ে ওঠা সাংস্কৃতিক প্ল্যাটফর্ম ইনকিলাব মঞ্চএর মুখপাত্র ছিলেন শরীফ ওসমান হাদী। গত ১২ ডিসেম্বর ঢাকায় খুব কাছ থেকে তাকে গুলি করা হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে বিমানে করে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হলেও ১৮ ডিসেম্বর চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।এই মৃত্যুর পর ঢাকায় সহিংস বিক্ষোভ শুরু হয়। একাধিক জায়গায় জনতা বিশিষ্ট সংবাদমাধ্যম ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের অফিস লক্ষ্য করে হামলা চালায়, যা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তোলে।ওসমান হাদীর ভাই শরীফ ওমর হাদী ঢাকার শাহবাগে আয়োজিত এক প্রতিবাদ সমাবেশে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন। নোবেলজয়ী মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকারকে লক্ষ্য করে তিনি বলেন, আপনারাই ওসমান হাদীকে হত্যা করেছেন, আর এখন সেই হত্যাকাণ্ডকে ইস্যু করে নির্বাচন বানচাল করার চেষ্টা করছেন।ওমর হাদী জানান, তার ভাই ফেব্রুয়ারির মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন চেয়েছিলেন এবং রাজনৈতিক অস্থিরতা নয় বরং একটি স্বচ্ছ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার পক্ষে ছিলেন। তিনি দ্রুত বিচার নিশ্চিত করার দাবি জানিয়ে বলেন, খুনিদের শাস্তি না হলে নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট হবে। সরকার এখনও পর্যন্ত আমাদের কোনও দৃশ্যমান অগ্রগতি দেখাতে পারেনি।তিনি আরও হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, যদি ন্যায়বিচার না হয়, তবে বর্তমান ক্ষমতাসীনদেরও একদিন দেশ ছাড়তে হতে পারে। যেমনটি গত বছর গণবিক্ষোভের মুখে শেখ হাসিনার ক্ষেত্রে ঘটেছিল। ওমর অভিযোগ করেন, কোনও সংস্থা বা বিদেশি প্রভুদের কাছে মাথা নত না করায় ওসমান হাদীকে হত্যা করা হয়েছে।দ্য ডেইলি স্টারএর প্রতিবেদনে ইনকিলাব মঞ্চের সদস্য সচিব আবদুল্লাহ আল জাবের দাবি করেছেন, এই হত্যাকাণ্ড জুলাইয়ের বিদ্রোহের অর্জন ও বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ধ্বংসের উদ্দেশ্যে একটি গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ। তার অভিযোগ, আন্তর্জাতিক গোয়েন্দা শক্তি ও দেশের ভেতরের ফ্যাসিবাদী সহযোগীরা এই হত্যার সঙ্গে যুক্ত।বিক্ষোভকারীরা জানিয়েছেন, ন্যায়বিচার না পাওয়া পর্যন্ত তারা রাজপথ ছাড়বেন না। তবে ইনকিলাব মঞ্চের নেতারা স্পষ্ট করেছেন, ২৫ ডিসেম্বর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে ফেরার দিন তারা কোনও কর্মসূচি নেবেন না। একইসঙ্গে তারা আশা প্রকাশ করেছেন, তারেক রহমান তাদের আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানাবেন।

ডিসেম্বর ২৪, ২০২৫
রাজ্য

সামশেরগঞ্জে বাবা-ছেলের নৃশংস হত্যাকাণ্ডে ১৩ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

গত ১২ এপ্রিল, মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর পুলিশ জেলার সামশেরগঞ্জ থানা এলাকার জাফরাবাদ গ্রামের দুই বাসিন্দা হরগোবিন্দ দাস এবং তাঁর ছেলে চন্দন দাসকে উত্তেজিত জনতার একটি দল নৃশংসভাবে হত্যা করে। এই জোড়া খুনের মামলার তদন্তে গঠিত হয়েছিল একটি বিশেষ তদন্তকারী দল (SIT)। পূর্ণাঙ্গ তদন্তের পর ১৩ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে জমা পড়েছিল চার্জশিট।আজ রায় বেরিয়েছে মামলার। অতিরিক্ত জেলা জজ আদালত ১৩ জন অভিযুক্তকেই দোষী সাব্যস্ত করে শাস্তি ঘোষণা করেছেন। এখানে একটি প্রাসঙ্গিক তথ্য, গণপিটুনিতে মৃত্যুর ধারায়(যা কয়েক বছর আগে চালু হওয়া নতুন ফৌজদারি বিধিতে ১০৩(২) ধারায় চিহ্নিত হয়েছিল) এটি দেশে দ্বিতীয় conviction.দণ্ডিত ১৩ জনের নাম হলো:১. দিলদার নদাব (২৮), ২. আসমাউল নদাব ওরফে কালু (২৭), ৩. এনজামুল হক ওরফে বাবলু (২৭), ৪. জিয়াউল হক (৪৫), ৫. ফেকারুল সেখ ওরফে মহক (২৫), ৬. আজফারুল সেখ ওরফে বিলাই (২৪), ৭. মনিরুল সেখ ওরফে মনি (৩৯), ৮. একবাল সেখ (২৮), ৯. নুরুল ইসলাম (২৩), ১০. সাবা করিম (২৫), ১১. হযরত সেখ ওরফে হযরত আলী (৩৬), ১২. আকবর আলী ওরফে একবর সেখ (৩০) এবং ১৩. ইউসুফ সেখ (৪৯)।এদের মধ্যে ৫ জনের নাম এফআইআর-এ ছিল। বাকিদের তদন্তে পাওয়া তথ্য এবং তাঁদের ভূমিকার ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। ওড়িশার ঝারসুগুডা, ঝাড়খণ্ডের পাকুড়, বীরভূমের পাইকর, হাওড়া, ফারাক্কা, সামশেরগঞ্জ এবং সুতি-সহ বিভিন্ন জায়গা থেকে এই ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করা হয়।তদন্তের সময় সিসিটিভি (CCTV) ক্যামেরা থেকে প্রাথমিক সূত্র পাওয়া গিয়েছিল। এছাড়া গুগল ম্যাপস লোকেশন ভিজ্যুয়ালাইজেশন পদ্ধতি ব্যবহার করে অভিযুক্তদের মোবাইলের সিডিআর (CDR) ম্যাপে প্লট করা হয়েছিল। এর মাধ্যমে অপরাধের জায়গায় তাঁদের উপস্থিতি এবং প্রবেশ-প্রস্থানের পথ স্পষ্টভাবে প্রমাণ করা হয়েছে।অভিযুক্তদের হাঁটার ধরন বা গেইট প্যাটার্ন বিশ্লেষণ (Gait pattern analysis) করা হয়েছিল, যা সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যাওয়া ব্যক্তিদের হাঁটার ধরনের সাথে হুবহু মিলে গেছে। আদালত এই রায়ে ডিএনএ (DNA) প্রমাণের ওপরও গুরুত্ব দিয়েছেন। অপরাধে ব্যবহৃত অস্ত্রে লেগে থাকা রক্তের ডিএনএ-র সাথে মৃত ব্যক্তিদের ডিএনএ মিলে গিয়েছে।এই মামলার সঙ্গে যুক্ত মিঠুন হালদার, ইন্সপেক্টর প্রসূন মিত্র এবং বিভাস চট্টোপাধ্যায়, এই তিন পুলিশ আধিকারিক দক্ষতার সঙ্গে কাজ করেছে বলে অভিনন্দন জানিয়েছে রাজ্য পুলিশ। মাত্র নয় মাসের মধ্যেই দোষীদের শাস্তি সুনিশ্চিত করার জন্য জঙ্গিপুর জেলা পুলিশকেও অভিনন্দন জানিয়েছে উর্দ্ধতন পুলিশ কর্তারা।

ডিসেম্বর ২৪, ২০২৫
কলকাতা

বাংলাদেশে হিন্দু খুনের প্রতিবাদে উত্তাল কলকাতা, বাংলা হাইকমিশনের সামনে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের বিক্ষোভ, ধুন্ধুমার

কলকাতার রাজপথ উত্তপ্ত হয়ে উঠল মঙ্গলবার। বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনের সামনে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের বিক্ষোভ ঘিরে চরম উত্তেজনা ছড়ায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতেই পুলিশ লাঠিচার্জ করে। এই ঘটনায় একাধিক বিক্ষোভকারী আহত এবং কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।বিক্ষোভকারীদের দাবি, বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন-সহ একাধিক ইস্যুতে প্রতিবাদ জানাতেই এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। সম্প্রতি দীপুচন্দ্র দাসকে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে নৃংশস ভাবে হত্যা করে বাংলাদেশের মৌলবাদীরা। তাঁকে মারধর করে পোস্টে বেঁধে জীবন্ত জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। পরবর্তী বাংলাদেশ পুলিশ স্বীকার করে দীপু কোনওরকম সাম্প্রদায়িক কথা বলেনি। সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে। এমনকী বাংলাদেশ পুলিশ তাঁকে না রক্ষা করে হত্যাকারীদের হাতে তুলে দেয় বলে অভিযোগ।বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর অত্য়াচারের প্রতিবাদেই এদিন সকাল থেকেই বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কর্মী-সমর্থকরা হাইকমিশনের সামনে জমায়েত হতে শুরু করেন। প্রথমদিকে পরিস্থিতি শান্ত থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে উত্তেজনা বাড়তে থাকে। বেগবাগান এলাকায় একাধিক পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে যায় বিক্ষোভকারীরা।পুলিশ সূত্রে খবর, বিক্ষোভকারীদের একটি অংশ ব্যারিকেড ভেঙে হাইকমিশনের মূল গেটের দিকে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। বারবার মাইকে সতর্কবার্তা দিয়ে জমায়েত ছত্রভঙ্গ করার নির্দেশ দেওয়া হলেও তা অমান্য করা হয় বলে অভিযোগ। এরপর ধস্তাধস্তি শুরু হলে পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।কূটনৈতিক স্থাপনার নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কায় পুলিশ লাঠিচার্জ করে। এতে কয়েকজন বিক্ষোভকারী আহত হন। ঘটনাস্থল থেকে একাধিক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। লাঠিচার্জের পর পুরো এলাকা ঘিরে ফেলে পুলিশ এবং মোতায়েন করা হয় অতিরিক্ত বাহিনী। সাময়িকভাবে যান চলাচলও ব্যাহত হয়।পুলিশ আধিকারিকদের দাবি, বিদেশি কূটনৈতিক মিশনের নিরাপত্তা রক্ষা করা প্রশাসনের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যাতে আরও অবনতি না ঘটে, সেই কারণেই কঠোর পদক্ষেপ নিতে হয়েছে। অন্যদিকে, বিক্ষোভকারী সংগঠনগুলির বক্তব্য, তাঁদের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদে অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ করা হয়েছে। পুলিশের লাঠিচার্জের নিন্দা জানিয়ে তাঁরা প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।

ডিসেম্বর ২৩, ২০২৫
রাজ্য

হাঁসখালি কাণ্ডে তৃণমূল নেতার ছেলে সহ তিনজনের যাবজ্জীবন সাজা ঘোষণা আদালতের

নদিয়ার হাঁসখালি গণধর্ষণ, খুন ও প্রমান লোপাটের ঘটনায় গুরুত্বপূর্ণ রায় ঘোষণা করে আদালত। গতকাল, সোমবার মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে তৃণমূল কংগ্রেসের এক নেতা সহ মোট ৯ জনকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। দোষ প্রমাণিত হওয়ার পর আজ রাণাঘাট আদালত অভিযুক্তদের সাজা ঘোষণা করে। মূল অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার ছেলে ব্রজ গয়ালী, প্রভাকর পোদ্দার ও রঞ্জিত মল্লিক তিনজনকে যাবজ্জীবন সাজা ঘোষণা করা হয়েছে। বাকিদের সাজাও ঘোষণা করেছে আদালত। তৎকালীন পঞ্চায়েত সদস্য সমরেন্দ্র গয়ালীর পাঁচ বছর কারবাসের সাজা হয়েছে।আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার সময় অভিযুক্তদের প্রত্যক্ষ ভূমিকা, প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষ্য এবং তদন্তকারী সংস্থার পেশ করা নথি ও তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতেই এই রায় দেওয়া হয়েছে। মামলায় সরকারি কৌঁসুলি সওয়ালে জানান, অভিযুক্তরা পরিকল্পিতভাবে অপরাধে যুক্ত ছিল এবং তা প্রমাণ করতে পর্যাপ্ত তথ্য আদালতের সামনে তুলে ধরা হয়েছে। পুলিশ প্রথমে গ্রেফতার করেছিল ২ জনকে। তারপর হাইকোর্টের নির্দেশে এই মামলার তদন্তভার হাতে যায় সিবিআইয়ের ওপর।রায় ঘোষণার সময় আদালত চত্বরে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়। রায় শোনার পর দোষী সাব্যস্ত হওয়া অভিযুক্তদের সংশোধনাগারে পাঠানো হয়। আদালতের এই সিদ্ধান্তে হাঁসখালি সহ গোটা নদিয়া জেলায় রাজনৈতিক মহলে তীব্র আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। এই মামলাকে ঘিরে রাজ্য রাজনীতিতে দীর্ঘদিন ধরেই বিতর্ক চলছিল। বিরোধী দলগুলির অভিযোগ ছিল, অভিযুক্তদের মধ্যে শাসকদলের নেতা থাকায় তদন্ত প্রক্রিয়ায় প্রভাব খাটানোর চেষ্টা হয়েছে। উচ্চতর আদালতে যাবেন বলে আসামী পক্ষের আইনজীবী জানিয়েছেন।

ডিসেম্বর ২৩, ২০২৫
রাজ্য

হরগোবিন্দ দাস এবং চন্দন দাস খু.নের ঘটনায় ১৩ জন দোষী সাব্যস্ত, রায় মঙ্গলবার

সামসেরগঞ্জের জাফরাবাদ গ্রামে হরগোবিন্দ দাস এবং চন্দন দাস খু.ন কাণ্ডে ধৃত ১৩ জনকে দোষী সাব্যস্ত করলো জঙ্গিপুর আদালত। চলতি বছর তাঁদের নৃশংস ভাবে খুন করা হয়। এই মামলা রায়দান করা হবে মঙ্গলবার। রায়ের দিকে নজর রয়েছে সাধারণ মানুষের।দীর্ঘদিন ধরে জঙ্গিপুর আদালতে এই মামলার শুনানি চলে। ফরেনসিক রিপোর্ট, একাধিক সাক্ষী, পুলিশি তদন্ত রিপোর্ট এবং অন্যান্য তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে আদালত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বিচারপ্রক্রিয়া চলাকালীন আদালতে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষ্য উঠে আসে। যার ফলে মামলা গুরুত্বপূণ মোড় নেয়। চলতি বছরের ১২ ই এপ্রিল সামসেরগঞ্জের জাফরাবাদ গ্রামে খুন করা হয় হরগোবিন্দ দাস এবং চন্দন দাসকে। সেই সময় হিংত্মাক আন্দোলন চলছিল ওই মুর্শিদাবাদের এই এলাকায়। দীর্ঘ শুনানির পর অবশেষে জঙ্গিপুর আদালতে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে ১৩ জনকে। এদিন রায় ঘোষণা ও দোষী সাব্যস্ত করার ঘটনায় ব্যাপক নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়।

ডিসেম্বর ২২, ২০২৫
রাজনীতি

হুমায়ুন কবীরের নতুন দল ‘জেইপি’, মঞ্চ থেকেই একের পর এক হুঁশিয়ারি, ব্রিগেডে জনসভা জানুয়ারিতে

মুর্শিদাবাদের বেলডাঙা খাগারুপাড়া মাঠে আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশ করল হুমায়ুন কবীরের নতুন রাজনৈতিক দল জে ইউ পি (JUP)। দল গঠনের সঙ্গে সঙ্গেই সভাপতি হিসেবে নিজের নাম ঘোষণা করেন হুমায়ুন কবীর। সভার মঞ্চ থেকেই আগামী বিধানসভা নির্বাচন ঘিরে একের পর এক বড় রাজনৈতিক ঘোষণা করেন তিনি।হুমায়ুন কবীর জানান, জেইউপি দলের হয়ে তিনি বেলডাঙা ও রেজিনগর, এই দুই বিধানসভা কেন্দ্রেই প্রার্থী হবেন এবং ৩০ হাজার ভোটে দুটি আসনেই জয়লাভ করবেন। পাশাপাশি মুর্শিদাবাদ জেলার আরও ছয়টি বিধানসভা আসনে দলের প্রার্থী ঘোষণা করেন তিনি।সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরাসরি আক্রমণ করে হুমায়ুন কবীর বলেন, আপনি সাড়ে সাত লক্ষ কোটি টাকার ঋণের বোঝা বাংলার মানুষের মাথায় চাপিয়েছেন। এর জবাব ২০২৬ সালে বাংলার মানুষ দেবে।কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, আগামী ৩১ জানুয়ারির মধ্যে ব্রিগেডে সভা করব। ফিরহাদ হাকিম বেশি বাড়াবাড়ি করলে ব্রিগেড থেকে লক্ষ লক্ষ মানুষ নিয়ে মেয়র অফিস ঘেরাও করা হবে।সভায় উপস্থিত কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশে হুমায়ুন কবীর বলেন, আজ যারা এখানে এসেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে যদি মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়, জেলায় হলে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ডেপুটেশন, জেলার বাইরে হলে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রয়োজনে থানার ইট খুলে নেব।তৃণমূল কংগ্রেসকে নিশানা করে হুমায়ুন কবীর ঘোষণা করেন, মুর্শিদাবাদ থেকে তৃণমূলকে নিশ্চিহ্ন করে দেব।একই সঙ্গে বিজেপিকেও সতর্ক করে তিনি বলেন, বিধানসভা থেকে মুসলিম বিধায়কদের চ্যাদোলা করে বাইরে ফেলবে, এমন স্বপ্ন দেখবেন না। বিরোধী দলনেতাকেও আক্রমণ করে বলেন, ২০০টি আসনে প্রার্থী দিলে ১০০টি আসন জিতব, তার মধ্যে ২০ জন হিন্দু বিধায়ক থাকবেন।মুখ্যমন্ত্রীকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হুমায়ুন কবীর বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, যদি আপনার সৎ সাহস থাকে, তাহলে আপনার প্রিয় চ্যানেলে বসুন, আমার মুখোমুখি। সেদিন বাংলার মানুষ দেখবে আপনার মিথ্যাচার।সভা শেষে তিনি আগামী দিনের কর্মসূচিও ঘোষণা করেন৪ জানুয়ারি: ডোমকল জনকল্যাণ মাঠে জনসভা৫ জানুয়ারি: হরিহরপাড়া এলাকার একটি মাঠে জনসভাএদিনের সভায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল থেকে বহু কর্মী-সমর্থক জে ইউ পি দলে যোগদান করেন, যা দলটির ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক শক্তি প্রদর্শনের ইঙ্গিত বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহল।

ডিসেম্বর ২২, ২০২৫
রাজ্য

ভোটের আগে তৃণমূলে বড় ধাক্কা, আজ নতুন দল ঘোষণা হুমায়ুন কবিরের

বঙ্গ রাজ্য রাজনীতিতে আজ, সোমবার নয়া জল্পনা ও চমক। সাসপেন্ড তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর আগামিকাল মুর্শিদাবাদের বেলডাঙ্গায় আনুষ্ঠানিকভাবে নিজের নতুন রাজনৈতিক দল ঘোষণা করতে চলেছেন। বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে তাঁর এই পদক্ষেপ ঘিরে জেলা ও রাজ্য রাজনীতিতে শুরু হয়েছে তীব্র আলোচনা।জানা গিয়েছে, বেলডাঙ্গায় আয়োজিত ওই জনসভা থেকেই নতুন দলের নাম, প্রতীক ও রাজনৈতিক রূপরেখা প্রকাশ করবেন হুমায়ুন কবির। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্বের সঙ্গে মতবিরোধে জড়িয়েছিলেন। দলবিরোধী মন্তব্য ও কার্যকলাপের অভিযোগে তাঁকে দল সাসপেন্ড করে। সেই ঘটনার পর থেকেই আলাদা রাজনৈতিক পথ নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়ে আসছিলেন তিনি। পাশাপাশি নতুন রাজনৈতিক দল ঘোষণা করবেন বলেও জানিয়ে দিয়েছিলেন হুমায়ুন।হুমায়ুন কবিরের নতুন দলে কারা কারা যোগ দেবেন, তৃণমূল বা অন্য দল থেকে কোনও পরিচিত মুখ তাঁর সঙ্গে থাকবেন কি না, এই প্রশ্নগুলো ঘিরেই রাজনৈতিক মহলে কৌতূহল তুঙ্গে। বিশেষ করে মুর্শিদাবাদ জেলার রাজনীতিতে তাঁর প্রভাব বিবেচনা করলে, এই নতুন দলের আত্মপ্রকাশ স্থানীয় রাজনৈতিক সমীকরণে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা নেতৃত্ব বিষয়টি নিয়ে প্রকাশ্যে মন্তব্য না করলেও পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে বলে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে বিজেপি ও অন্যান্য বিরোধী দলও হুমায়ুন কবিরের ঘোষণার দিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখছে।গত ৬ ডিসেম্বর হুমায়ুন বাবরি মসজিদের শিলান্যাস করেছেন। তারপর থেকে নতুন দল গঠনের জন্য প্রস্তুতি বৈঠকও সেরেছেন। ভোটের আগে নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ কতটা প্রভাব ফেলতে পারে, তা অনেকটাই নির্ভর করবে হুমায়ুন কবিরের সংগঠিনক শক্তি ও জনসমর্থনের উপর। আগামিকালের বেলডাঙ্গার সভা থেকেই স্পষ্ট হবে, এই নতুন দল রাজ্য রাজনীতিতে কতটা তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে। তবে বঙ্গ রাজনীতিতে ২০২৬ বিধানসভা নির্বাচনে নবাবের মুর্শিদাবাদ যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে চলেছে তাঁর ঈঙ্গত রয়েছে।

ডিসেম্বর ২২, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal