নেটমাধ্যমে দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়েছে খবর— মারা গেছেন বলিউডের ‘হ্যান্ডসম হিরো’ ধর্মেন্দ্র! মুহূর্তে তোলপাড় গোটা দেশ। কেউ টুইট করছেন, কেউ শোকবার্তা লিখছেন ইনস্টাগ্রামে। রাজনীতিক থেকে শুরু করে সেলিব্রিটি— একের পর এক শোকপ্রকাশ যেন গুজবকে আরও বিশ্বাসযোগ্য করে তুলেছিল। স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্ক ও বিভ্রান্তিতে পড়ে গিয়েছিল ভক্তমহল। কেউ ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালের বাইরে ছুটে গিয়েছেন, কেউ আবার ফোন করেছেন মুম্বইয়ের হাসপাতাল প্রশাসনকে।
সোমবার রাত থেকেই হাসপাতালের সামনে উপচে পড়ে মানুষের ভিড়। ধর্মেন্দ্রর এক ঝলক দেখার আশায় ভোর রাত থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন শতাধিক অনুরাগী। পরিস্থিতি এতটাই জটিল হয়ে ওঠে যে, মঙ্গলবার সকালে মুম্বই প্রশাসন বাধ্য হয় হাসপাতাল চত্বরে অতিরিক্ত নিরাপত্তা মোতায়েন করতে। পুলিশ সূত্রে খবর, জনস্রোত সামাল দিতে হাসপাতাল ঘিরে বিশাল বাহিনী দাঁড় করানো হয়। যান চলাচল ব্যাহত হয় ব্রিচ ক্যান্ডির আশপাশের রাস্তায়।
মঙ্গলবার বেলা সাড়ে এগারোটা নাগাদ হেমা মালিনী ও এষা দেওলকে হাসপাতাল থেকে বের হতে দেখা যায়। কিছুক্ষণের মধ্যেই দুই ভাই— সানি ও ববি দেওল পৌঁছে যান ধর্মেন্দ্রর কাছে। দিল্লিতে শুটিংয়ে থাকা অভয় দেওলও খবর শুনে রাতারাতি বিমানে চেপে মুম্বই আসেন। পরিবারের ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধর্মেন্দ্র আপাতত স্থিতিশীল ও চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে আছেন। তবে মৃত্যু সংক্রান্ত গুজব ছড়িয়ে পড়ায় ক্ষুব্ধ অভিনেতার পরিবার।
হেমা মালিনী এক্স (প্রাক্তন টুইটার)-এ লেখেন, “এমন মিথ্যে খবর ছড়ানো অত্যন্ত দায়িত্বজ্ঞানহীন কাজ। ধর্মেন্দ্র একেবারেই সুস্থ আছেন, ঈশ্বরের কৃপায় তিনি ভাল আছেন।” অন্যদিকে এষা দেওলও বলেন, “সোশ্যাল মিডিয়া গুজবকে বাস্তবে পরিণত করছে, এটা ভয়ঙ্কর। দয়া করে এমন খবর বিশ্বাস করবেন না।”
বলিউডে এখন একটাই প্রশ্ন— কে ছড়াল এই ভুয়ো খবর? নেটিজেনদের একাংশের অভিযোগ, কিছু ইউটিউব চ্যানেল ও ফেসবুক পেজ ভিউ বাড়াতে এই ধরনের সংবেদনশীল খবর ছড়াচ্ছে। ইতিমধ্যে মুম্বই পুলিশের সাইবার শাখা সূত্রে খবর, গুজবের উৎস খোঁজার কাজ শুরু হয়েছে।
দেওল পরিবারের ঘনিষ্ঠ সূত্রের কথায়, “ধর্মেন্দ্র এখন বয়সের ভারে নাজুক, তবে তিনি সুস্থ আছেন। এই ধরনের খবর শুধু পরিবারের নয়, দেশের কোটি ভক্তের মনেও ভয় ঢুকিয়ে দিচ্ছে।”
আরও পড়ুনঃ https://janatarkatha.com/country/dharmendra-death-fake-news-009566
- More Stories On :
- Dharmendra
- Social media

