পঞ্জাবের বিধানসভা ভোট পিছিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন। ১৪ ফেব্রুয়ারির বদলে ২০ফেব্রুয়ারি সে রাজ্যে নির্বাচন হবে বলে জানিয়েছে কমিশন। ১৬ ফেব্রুয়ারি গুরু রবিদাস জয়ন্তী থাকায় একাধিক রাজনৈতিক দল কমিশনের কাছে নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার আবেদন জানায়। এই দাবি নিয়ে রবিবার একটি বৈঠকও বসে কমিশন। সেই বৈঠকের পরই কমিশন এই দিন পরিবর্তনের কথা জানিয়েছে।
এর আগে পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিং চান্নি কমিশনকে নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার আবেন জানান। বিজেপি, বিএসপি-র প্রতিনিধিরাও কমিশনের কাছে নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার আবেদন জানান। এই দাবি মেনে কমিশন পঞ্জাবের নির্বাচন ২০ ফেব্রুয়ারি করে দিয়েছে। সেখানে এক দফাতেই নির্বাচন সম্পন্ন হবে।
আসলে আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি পাঞ্জাবের দলিত শিখদের ধর্মগুরু রবিদাসের জন্মজয়ন্তী। সেই উপলক্ষে ১০ ফেব্রুয়ারি থেকেই বেনারসে তীর্থ করতে যাবেন প্রায় ২০ লক্ষ দলিত শিখ। ১৪ ফেব্রুয়ারি ভোট হলে এই ভোটাররা তাঁদের গণতান্ত্রিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হবেন। নির্বাচন কমিশনের কাছে তাঁর অনুরোধ ছিল, ভোটের দিন অন্তত ৬ দিন পিছিয়ে দেওয়া হোক, যাতে এই ২০ লক্ষ ভোটার বেনারস থেকে ফিরে এসেও নিজেদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে পারেন। একই আর্জি জানিয়েছিল বিজেপিও। তার পরই সোমবার ভোটের নতুন দিন ঘোষণা করল নির্বাচন কমিশন।
পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী নিজেও এই দলিত শিখ সম্প্রদায়ের নেতা। আগামী নির্বাচন জিতে পঞ্জাবে কংগ্রেসকে ফের ক্ষমতায় আসতে হলে রাজ্যের ৩২ শতাংশ দলিত ভোটারকে সংগঠিত করা জরুরি। কারণ, পঞ্জাবের হিন্দু ভোটারদের একটা বড় অংশের ভোট যাবে বিজেপি এবং অমরিন্দর সিংয়ের জোটের দিকে। আম আদমি পার্টিও সেখানে কিছুটা ভাগ বসাবে। উচ্চবর্ণের জাঠ শিখদের ভোটের একটা বড় অংশ যায় অকালি দলের খাতায়। সেখানেও কংগ্রেসের পাশাপাশি ভাগ বসাবে আম আদমি পার্টি। তাই ক্ষমতায় ফিরতে কংগ্রেসের মূল ভরসা এই ৩২ শতাংশ দলিত শিখদের ভোটই। আবার বিজেপিও চাইছে দলিত শিখদের ভোট নিজেদের দিকে টানতে। তাই স্থানীয় ধর্মীয় আবেগকে মান্যতা দিয়ে ভোট পিছনোর দাবি জানিয়েছিল দুই পক্ষই।
আরও পড়ুনঃ সমুদ্রে ভয়ঙ্কর অগ্নুৎপাত, হাজার বছরে একবার ঘটে এমন বিস্ফোরণ!
- More Stories On :
- Punjab Assembly Election
- PostPOned
- Election Commission